Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

ইভ টিজিং ও বিপর্যস্ত বেড়ে ওঠা

শামীম রুনা এর ছবি
লিখেছেন শামীম রুনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১০/২০০৯ - ১১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেইন রোড থেকে আমাদের বাসায় যাওয়ার গলির মুখে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ও নামকরা এক গার্লস স্কুলের শিক্ষিকার বাসা, যে বাসায় তিনি সম্ভবত বিশ ঘন্টা ব্যাচে মেয়েদের পড়ান। ফলে আমাদের গলিতে এবং গলির মুখে চায়ের দোকানে সব সময় অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের জটলা চোখে পড়ে। এই সব জটলা দেখে দেখে আমরা এই পথে চলাচল করি, ভালই লাগে নতুনদের দেখতে। মাঝে মাঝে কিছু সাহসী মেয়েদের দেখি ছোট চায়ের দোকানে ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে চায়ের সাথে সিগারেটও ফুঁকছে, মেয়েরা লুকিয়ে ধূমপান করে না বলে এটাও দেখতে ভাল লাগে। গলিটাকে আমি মনে মনে বেশ ভালবাসি, হয়ত নিজের বাসার গলি বলে কিংবা নতুনদের আনাগোনায় মুখরিত বলে অথবা ইউনিভার্সিটি আর প্রাইভেট কোচিং-এর কারণে গলিটার পারিপার্শ্বিকতায় শিক্ষিত একটি ভাবমূর্তি গড়ে উঠার কারণে। আমি চলাচলের পথে চোখ মেলে গলির সব কিছু দেখি। কয়েকদিন আগে, চলার পথে গলিতে অন্য রকম একটি ঘটনা ঘটতে দেখলাম, প্রাইভেট পড়ে তিন জন মেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে, উচ্ছ্বল-প্রানবন্ত, কোনো কথায় তিনজনই হাসছে খুব। ওদের দেখে আমার কৈশোর যেন ঝপ্ করে লাফিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালো। চায়ের দোকানের সামনে উবু হয়ে বসে সিগারেট ফুঁকতে থাকা কয়েক তরুনের চোখেও কিশোরীদের হাসি ধরা পড়ে আর ওরা অমনি শিস্ বাজিয়ে অশ্লীল একটি শব্দ মেয়েদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেয়। সে অশ্লীল শব্দ শুনে টঙ দোকানের দোকানদার, থেমে থাকা রিক্সাওয়ালা সবাই দাঁত কেলিয়ে হাসে আর উচ্ছ্বল-প্রানবন্ত কিশোরীদের হাসি ধপ্ করে নিভে যায়, কেউ যেন ওদের মুখে....... ছুঁড়ে দিয়েছে। ওরা দ্রুত অন্য একটি রিক্সা নিয়ে তাতে উঠে পড়ে, তিনজনের এক রিক্সায় উঠা নিয়েও তরুনরা বিব্রতকর কথা উচ্চস্বরে বলে। কিশোরীরা তখন ওই দুষিত জায়গা থেকে যেতে পারলে বাঁচে। ওদের মুখে আমি তখন ঘৃনা দেখি, ভয় দেখি অসহায়তা আর ক্ষোভ দেখি। কার প্রতি ক্ষোভ? নিশ্চয় মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্য ওরা নিজেদের মনে এক ধরণের রাগ অনুভব করে। আমি হতবাক হয়ে তরুনদের দিকে তাকাই, আমার বুঝতে সমস্যা হয় ওরা এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট কিনা! ওরা যদি এই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তবে নিশ্চয় ওদের কিছু সহপাঠি মেয়ে, কিছু বন্ধু মেয়ে! আর ইউনিভার্সিটিতে পড়ার কারণে ওদের মানসিকতা অনেক বেশি শিক্ষিত এবং আধুনিক হবার কথা ..... নিজের ভেতরে ভ্রান্তি বোধ করি।
ইভ টিজিং একজন মেয়ের বেড়ে ওঠাকে কতটা বিপর্যস্ত করে আমার মনে হয় প্রতিটি মেয়েই কম-বেশি তা জানে। আর মেয়েদের সব চেয়ে বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেই বয়সে যে বয়সে ওরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে সব চেয়ে বেশি কনফিউজড্ থাকে। নিজেদের শারিরীক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন এবং সব কিছুর সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া ও শেয়ার করার মত নির্ভর যোগ্য বন্ধুর অভাব, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক, সব কিছু ধোঁয়াসা ...... পুরো সময়টা হয়ে উঠে এলোমেলো। এর মাঝে ঘর থেকে বের হলে বখাটেদের টিজ্, অনেক সময় মনে হয়, মেয়ে হয়ে জন্মানোই বুঝি আজন্মের পাপ। পত্রিকার পাতার প্রায় খবর হয় ইভ টিজিং-এর কারণে অনেক মেয়ের অসময়ে চলে যাবার কথা। অনেক মেয়ে সাহসীকতার সাথে এই সব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে, অনেকে মাথা নিচু করে, না শোনার ভান করে সব কিছু মেনে নিয়েছে । মেনে নিয়েছে নিজেদের অবাধ চলাফেরায় বাঁধা। নিজেদের ভেতরে ভেতরে গুটিয়ে নিয়েছে, পরবর্তীতে এই গুটিয়ে নেবার প্রবনতা ওরা সারা জীবন ভিবিন্ন ক্ষেত্রে বয়েছে।
আমি স্কুল পড়াশুনা করেছি মূলত বিভিন্ন মফস্বল শহরে। মজার ব্যাপার হলো, আমি দশটি ক্লাশ পড়েছি নয়টি স্কুলে। ফলে স্থায়ী বন্ধুত্ব আমি তেমন কারো সাথে গড়ে তুলতে পারিনি। শৈশব তো যেনতেন কেটেছে, বিপত্তি শুরু হয় তখন থেকে যখন আমি দৈর্ঘ্যে বাড়তে লাগলাম এবং প্রাকৃতিক নিয়মে আমার শারীরিক পরিবর্তন হতে লাগল। নিজের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে আমি সে সময় খুবই কুন্ঠিত বোধ করতাম, অন্যদের সামনে নিজেকে নিয়ে বিব্রত বোধ করতাম। অনেক পরিচিতদের দৃষ্টির পরিবর্তন দেখলাম কিন্তু বুঝতে পারতাম না এই পরিবর্তন কেন? তবে নারী হয়ে জন্মানোর সহজাত ইন্দ্রিয়ের জন্য বুঝতাম এই দৃষ্টি ভালো নয়। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিতে শিখলাম। কেন এই গুটিয়ে নেওয়া? আমার কি দোষ না ভেবেই চমৎকার ভাবে আমি আমাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করতে শিখে গেলাম। তখন আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি কোনো অভিভাবক কিংবা কোনো বন্ধু।
আমি আমার সে দুঃসময়ের কিছু ঘটনার বর্ণনা দেই, এত করে আমার বেড়ে ওঠার সময় আমার মানসিক বিপর্যের অবস্থা কিছুটা বোঝা যাবে.......
তখন আমি ক্লাশ এইটের ছাত্রী, ভোলা গার্লস স্কুলের। রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপারে আমাদের স্কুল একদিন তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায়। আমি আর আমার এক বান্ধবী রিক্সা নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম, আমাদের রিক্সা গিয়ে পড়ে স্কুল ছাত্রদের মিছিলের মাঝে। আমরা দু’জনে বেশ উৎসুক হয়ে মিছিল দেখছিলাম এসময় পাশ দিয়ে যাবার সময়, আমাদেরই বয়সী কয়েকজন ছাত্র আমাদের দিকে থুথু ছুঁড়ে দেয়। মুহূর্তে আমাদের সব উৎসাহ নিভে যায়। স্তম্ভিত হয়ে যাই আমরা। কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে সে ঘটনাটি বললে অভিভাবকরা বলে, আমরা খারাপ, তাই ওরা আমাদের দিকে থুথু ছুঁড়েছে! বখাটে কিশোরদের থুথু সাবান দিয়ে ঘষে পরিস্কার করে নিয়েছি কিন্তু অভিভাবকদের ঐ কথা বখাটেদের ছোঁড়া থুথুর চেয়ে কঠিন হয়ে আমাদের মনে লাগে যা সারা জীবনেও কোনো কিছু দিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। অপরাধ ছাড়াই অপরাধী হয়ে যাই। এরপর থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে লুকিয়ে কাঁদতে শিখি।
এস.এস.সি. পরীক্ষার আগে আগে আবার স্কুল বদলে বরিশাল হালিমা খাতুন গার্লস স্কুলে এসে ভর্তি হই। কলোনীর বাসা থেকে স্কুল অনেকটা পথ দূরে, মাঝে মাঝে অফিসের গাড়ী করে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হয় নয়তবা রিক্সা করে একা একা যেতে হয়। প্রথম প্রথম স্কুলে আসা-যাওয়া করতে কোনো অসুবিধা হতো না, কিন্তু ধীরে ধীরে আমি অসুবিধার সম্মুখীন হতে লাগলাম। কলোনীর গেটে জমা হওয়া এক দঙ্গল ছেলেদের ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যাওয়া আমার জন্য মহা দুরহ কাজ হয়ে দাঁড়াল। গাড়ী করে গেলে তো হুস্ করে চলে যেতাম, আর তা না হলে রিক্সায় করে যাবার সময় ওই বখাটেদের উড়ো মন্তব্য আর গানের কলি আমাকে যে নরক যন্ত্রনা দিতো তা কি আর বলার আছে। ফলে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আমার জন্য এক বিভীষিকা হয়ে উঠলো। আমি আমার এই সমস্যা কারো সাথে শেয়ারও করতে পারতাম না, যদি আবার আমাকে শুনতে হয় আমি খারাপ মেয়ে, এই ভয়ে। পরীক্ষার আগে আগে এই মেন্টাল টেনশন আমাকে যে কতটা ডিপ্রেশ করেছিল!
বরিশালে আমাদের কলোনির বাসা ছিল কীর্ত্তনখোলা নদীর তীরে। এই নদীর তীরে দাঁড়ালে অকারণে জীবানন্দের কবিতা মনে পড়ে যেতো Ñ অদ্ভুত! আমাদের বাসার ছাদে দাঁড়ালে দেখা যেত নদীর অপূর্ব দৃশ্য। আমি প্রায় বিকালে ছাদে যেয়ে দাঁড়াতাম, কেননা মেয়ে হবার কারণে তখন আমি খেলা থেকে বহিস্কৃত হয়ে গেছি; তাই বিকালে ছাদে যাওয়া, বই পড়া আর গান শোনা ছাড়া আমার আর কোনো বিনোদন ছিল না। কিছু দিন ছাদে যাবার পর আবিস্কার করলাম,শ্লোগানের মত একটি শব্দ; প্রথম প্রথম শব্দটা বুঝতে পারতাম না, পরে বুঝলাম ওটা আমার নাম। কলোনির মাঠে যে ছেলেরা ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলতো তারাই খেলা বাদ দিয়ে মাঠ থেকে স্বমস্বরে আমার নাম ধরে শ্লোগান দিতো। আজ যত সহজে সেদিনের কথা লিখতে পারছি তখন যদি এতো সহজে কারোর সাথে এই বিষয় শেয়ার করতে পারতাম তবে নিশ্চয় আমি ফু দিয়ে সব সমস্যা উড়িয়ে দিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারতাম। আমার কৈশোর হয়ে উঠতো আরো রঙিন। সেদিন আমি নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে ছাদ থেকে নেমে এসেছিলাম। আমার কৈশোর ধীরে ধীরে হয়ে পড়ছিল বন্দী। আমার স্কুলে যেতে আতংক, আমার ছাদে উঠতে আতংক। বখাটে কিছু ছেলের যন্ত্রনায় আমার কৈশোরের একটা রঙিন সময় বিষাদময় হয়ে উঠেছিল।
কৈশোর পার করে পরবর্তী জীবনেও নানা রকম ইভ টিজিং-এর সম্মুখীন হয়েছি। তবে পরবর্তী জীবনের ঘটনাগুলো পাত্তা না দিয়ে নিজের পথে এগিয়ে গেছি, কিছু বর্বর মানুষের হীন কর্মকান্ড আগের মত মনকে দিশাহারা করে তোলেনি। আসলে কিশোর বেলা এমন একটা সময়, সন্ধিক্ষনের সময়; তখন সব ভালোকে যেমন খুব ভালো লাগে তেমনি সব খারাপকেও খুব বেশি খারাপ লাগে। সে সময়ে পাশে একজন সহমর্মী বন্ধুর খুব, খুব দরকার।


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

আর মেয়েদের সব চেয়ে বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেই বয়সে যে বয়সে ওরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে সব চেয়ে বেশি কনফিউজড্ থাকে। নিজেদের শারিরীক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন এবং সব কিছুর সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া ও শেয়ার করার মত নির্ভর যোগ্য বন্ধুর অভাব, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক, সব কিছু ধোঁয়াসা ...... পুরো সময়টা হয়ে উঠে এলোমেলো।

বখাটে কিশোরদের থুথু সাবান দিয়ে ঘষে পরিস্কার করে নিয়েছি কিন্তু অভিভাবকদের ঐ কথা বখাটেদের ছোঁড়া থুথুর চেয়ে কঠিন হয়ে আমাদের মনে লাগে যা সারা জীবনেও কোনো কিছু দিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। অপরাধ ছাড়াই অপরাধী হয়ে যাই। এরপর থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে লুকিয়ে কাঁদতে শিখি।

প্রতিটি কথা চাবুকের মত পিঠে এসে পড়ল।
এমন নয় যে আপনি অচেনা কোন কথা শুনিয়েছেন।
এমন নয় যে এই গল্পের চরিত্রদের আমরা আগে কখনো দেখি নি।

এ আমাদের চেনা গল্প, চেনা মুখ,চেনা লজ্জা---

দিনের পর দিন, বছরের পর বছর বিরামহীন ঘটে চলেছে এই অনাচার।
আমরা জানি সবই।
সয়ে যাই সবই।
একসময় অন্ধ হয়ে যাই অভ্যস্ততায়।

আপনাকে সাধুবাদ জানাই জীবনের পরের পর্বে এসে, এই নিগড় চিনে এবং চিরে বেরিয়ে আসার জন্যে।

আমার সবচাইতে বড় আক্ষেপ আমাদের অভিভাবক্ মন্ডলীর ব্যর্থতায়। প্রথম সুযোগেই মেয়েদের দোষী ধরে নেবার এই উন্মুখপনা---এ সত্যি বড় হতাশার। আমাদের প্রথম এবং প্রধান আশ্রয়স্থল যেটা হবার কথা ছিল---সেই আপন ঘরের লোক যদি আমাদের পর করে দেয়, আমরা তবে কোথায় গিয়ে দাঁড়াই?

শামীম রুনা এর ছবি

এখন অভিভাবকরা অনেক বেশি সচেতন এবং বন্ধুভাবাপন্ন । এই বন্ধু প্রবনতা যত বাড়বে পরিস্থিতি ততই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অতিথি লেখক এর ছবি

এই একাকিত্বের কান্নাভেজা কৈশোর সদ্য পেরিয়ে এসেছি আমিও...কোচিং থেকে ফেরার পথে আচমকা ছুঁড়ে আসা রূড় মন্তব্যে কতো কেঁদেছি ! অচেনা কলারদের উটকো কলে আজীবন কিশোরীটিকেই দোষী ঠাউরে নিতে হবে ???ধন্যবাদ আপুনি ,ভালবাসা রইলো... *তিথীডোর

শামীম রুনা এর ছবি

নিশ্চয়ই না। সময় বদলে দেয় অনেককিছু। তারপরেও হয়তো কেউ কেউ থেকে যাবে,যারা ট্রাফিক পুলিশের চাকরী ছাড়াই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ভুল বাঁশিতে ফু দিয়ে যাবে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

দময়ন্তী এর ছবি

এই উপমহাদেশের সমস্ত মেয়ে একটু বড় হলেই বুকের সামনে বই, খাতা, ব্যাগ কিছু একটা ধরে চলতে অভ্যস্ত হয়ে যায়৷ কি আর বলব! এই নিয়ে বলতে গেলে তো পাতার পর পাতা হয়ে যায়৷

তবে আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অবজ্ঞা করাটা সবচেয়ে ভাল অস্ত্র৷ রুখে দাঁড়ালে, নিজের জোর না থাকলে অনেক বেশী মুশকিলে পড়তে হয়৷ কিন্তু যা খুশী বলছে, কিন্তু পাত্তা দিচ্ছি না ---- যেমন হাসছিলাম হাসছিই, তাকাচ্ছিও না, গুটিয়েও যাচ্ছি না --- জাস্ট একটা দেওয়ালের মত উপেক্ষা করছি --- এর চেয়ে বড় অস্ত্র আর হয় না৷ বোর হয়েই একসময় থেমে যায়৷ একটু বড় হওয়ার পর আরেকটা ভাল উপায় আবিস্কার করেছিলাম৷ মোটামুটি লীডারকে দেখে নিয়ে, সোজা তার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আপাদমস্তক একবার মেপে নিয়ে ফিক করে একটু মুচকি হেসে ধীরেসুস্থে চলে যাওয়া৷ পুরো দলটা হেভি ধন্ধে পড়ে যায়৷ দেঁতো হাসি আমি অবশ্য একটু বদরাগী টাইপের ছিলাম বলে কিছু লোককে দুমদাম পিটিয়েও দিয়েছি৷

সাহায্য পেলে তো ভালই৷ তবে নিজেরটা আসলে নিজেকেই বুঝতে হয়৷ মেয়েরা রুখে না দাঁড়ালে অবস্থা বদলাবে কি করে!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শামীম রুনা এর ছবি

নিজেরটা যারা বুঝতে পারছে,তারা নিশ্চয়ই পরবর্তী প্রজন্মেরটাও বুঝতে পারবে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মৃত্তিকা এর ছবি

শামীম আপু, এমন অকপট লেখার জন্য চলুক
আর দময়ন্তী'দি, আপনার সাথে স্বভাবে আমার বেশ মিল পাওয়া গেলো দেঁতো হাসি

তবে একটি মেয়ের স্বাভাবিক, সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্যে অভিভাবক আর বন্ধুদের সহযোগীতার হাত না থাকলে শুধু মাত্র সাহসকে সঞ্চয় করে এগিয়ে চলা কিছুটা অসম্ভবই।

শামীম রুনা এর ছবি

এই সময়ে অভিভাবকদের বন্ধুত্ব প্রবনতাই শক্তি হিসাবে কাজ করে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লজ্জিত...

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

শামীম রুনা এর ছবি

এইটাই সচেতনতা।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার চেনা মফস্বলের একটি মেয়ে কলকাতায় এলে কিছুতেই বাসে উঠতে চাইতো না। অনেকের বাসে উঠলে বমি পায়, ভেবেছিলাম সেই জাতীয় সমস্যা, তা নিয়ে পেছনেও লেগেছি যেহেতু ঐ বমির ব্যাপারটা শহুরে মেয়েদের থাকে না, অনেক আগেই সেটা মিটিয়ে ফেলতে হয় প্রয়োজনের খাতিরে। অনেক পরে জানতে পেরেছিলাম যে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা থেকেই তার ঐ বাসভীতি!

আমার সাথে এক টিউশনে পড়তো একটি সর্বার্থে বজ্জাত ছেলে। হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজার অবধি হেঁটে এলে জ্যাম এড়ানো যায়, কিন্তু সেই পথটুকু সে ফুটপাতের ঝুপড়ি বাজারের ভেতর দিয়েই হেঁটে আসতো ভিড় ঠেলে, কিছুতেই স্টলের সারির বাইরে দিয়ে আসতো না, বিশেষতঃ পুজোর সময় যখন ভিড় সবচেয়ে বেশি। কারণটা বলাই বাহুল্য, দু কনুই দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে আসা এবং সে বাবদ কিছু প্লেজার।

এরকম গল্প আরো অনেক লিখে ফেলা যায়, কিন্তু এই যন্ত্রণার হাত থেকে প্রতিটি বালিকাকিশোরীকে মুক্তি দেওয়ার উপায় যে জানা নেই। ঐ বজ্জাত ছেলেটির বাড়িতে মা এবং ছোটো বোন, দুই-ই ছিলো, তাতেও সংবেদনা কী তার শেখা হয়ে ওঠে নি!

শামীম রুনা এর ছবি

এই যে ঘটনাসমুহ এবং তৎপরবর্তী আক্রান্তদের সামাজিক-মানসিক প্রতিক্রিয়া,এইসব বুঝতে কী বোভোয়ার বা হুমায়ুন আজাদ গুলে খেতে হয়? সংবেদনা বোধহয় তাই সবখানে থাকেনা।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এদেরকে দেখলে মনে হয় রাস্তার সাথে পিশে ফেলি। সরি, এতটা রুড হয়ে বলতে হলো। কিন্তু বাস্তবে শক্তি বা সামাজিক বল কোনটাই আমার কোনকালে ছিলনা। তাই মনে মনে এদের অবজ্ঞা করেছি, সবসময়।

তবে ইভটিজিং শুধু মেয়েরা নয়, দেশে ছেলেরাও এর মুখোমুখি হয় বলে শুনেছি। আপনি একাএকা কোথাও যাচ্ছেন, তো রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটা দল থেকে কিছুনা কিছু বলা হয়। বিদেশে এসে শুনতাম লন্ডনে নাকি এমন ঘটনা এখন ডালভাত। তাই প্রথম দিকে আতংকে থাকতাম কথন কেউ কি আবার বলে বসে। সৌভাগ্যই বলতে হয়, কানাডা অনেক ভালো জায়গা। আজপর্যন্ত এমন কিছু এখনো দেখিনি।

শামীম রুনা এর ছবি

আপনার দেখা ভাল জায়গা হয়ে উঠুক সারা পৃথিবী।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কী বলবো, মাঝে মাঝে বন্ধুদের দলে ভিড়ে যে আমিও ইভটিজার হয়ে যাই!
...............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

শামীম রুনা এর ছবি

যখন নিজের সন্তানের বেলায় এমন হবে,তখন..........

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

মন খারাপ।

শামীম রুনা এর ছবি

বিষয়টা ভাবনার,মন খারাপ করার না।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অরুণ চৌধুরী, ঢাকা এর ছবি

এ লেখা পড়ার পর মনে হলো, সমগ্র পুরুষ জাতির পখখো থেকে আমার খমা প্রার্থনা করা উচিত।
যদিো জানি, চাইলেই সব অন্যায়ের খমা হয় না।
অসাধারণ একটি লেখা।

শামীম রুনা এর ছবি

এটি আমাদের সমাজের সাধারণত ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির একটা চিত্র। কিন্তু ভেতরে ভেতরে এর ক্ষত অনেক বেশি দগদগে। ক্ষমাতে ক্ষত সারে কি? প্র্যাকটিকেলি চিন্তা করুন।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এরকম একটি প্রাণখোলা লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।
সত্যি, এ বিষয়ে বলতে গেলে পাতার পর পাতা লিখে যেতে হয়।
সাধারণত দল ভারী হলে 'নেড়ি কুকুরের দল অযথাই ঘেউ ঘেউ করে' ভেবে অবজ্ঞা করেছি, পাত্তা দেইনি। তবে দু'তিনজন হলে খুব জোরে কথা বলে প্রতিবাদ করেছি, তারপর নিজের মতো হেঁটে চলে এসেছি। এতে পথচারী কিংবা আশেপাশের মানুষ থমকে দাঁড়িয়ে তাকায় আর ওরা ভড়কে যায়।
কিন্তু এ কৌশলগুলো বের করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিটা মেয়ের মানসিক যন্ত্রণা শুধু মেয়েরাই জানে। ঐ সময়টা যখন নিজের শরীর, মন-ই নিজের কাছে ক্রমশ অচেনা তখন এই পরিস্থিতি অসহ্য ঠেকে।

"দু কনুই দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে আসা এবং সে বাবদ কিছু প্লেজার।" -
নীলক্ষেত, নিউমার্কেট কিংবা অন্য কোন ভিড়ে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত।
এমনকি হুটহাট ফাঁকা রাস্তায়ও পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়....... আশ্চর্য!
কতোটা দাম্ভিকতা দিয়েছে সমাজ ওদের!
মনে পড়ছে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে আড্ডায় এক বান্ধবী বলেছিলো- 'সামনে ব্যাগ ধরে রাখি আর পেছনে আম্মু থাকে।'

মেয়েদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে। বোঝাতে হবে-
এ শরীর কোন বরাহ-নন্দনের বিনোদনের বস্তু নয়।

---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

শামীম রুনা এর ছবি

আমি আশাবাদি, আসছে প্রজন্মের আর এই বিব্রত বোধের খোলসে নিজেকে আড়াল করতে হবেনা।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

সেই কৈশর থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে পাড়ার ছেলেদের সাথে আমার বসচা। তখন মনস্তাত্বিক ব্যাপারগুলো বুঝতাম না। এই ধরনের শেয়ারিং সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শামীম রুনা এর ছবি

সঙ্গে থাকুন।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

নাজমুস সামস এর ছবি

বখাটে কিছু ছেলের যন্ত্রনায় আমার কৈশোরের একটা রঙিন সময় বিষাদময় হয়ে উঠেছিল।
বাংলাদেশের সব মেয়েদের জীবনে এ রকম বিষাদময় ঘটনা ঘটে। সত্যিই বড় দুর্বিষহ এ সময়গুলো।খুবই কার্যকর লেখা।

শামীম রুনা এর ছবি

লেখাটা এমন কোনো কার্যকর লেখা না। শুধু দু-একটা বাস্তব ঘটনার চিত্র।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মেঘনাদ এর ছবি

কোনো এক জায়গায়(বোধহয় হুমায়ুন আজাদ এর শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ) এ এক সময় পড়েছিলাম গাসেত (নিশ্চিত নই) এর একটা সূত্র। এক জন রোগীর পাশে স্ত্রী, ডাক্তার এবং দর্শক থাকলে এই দৃশ্যটির সবচেয়ে শৈলপিক উপস্থাপনা শুধুমাত্র এই দর্শক ই করতে পারেন। (অনেকটা এরকম। ভুলে গেছি। ক্ষমা করবেন)
সে সূত্রানুযায়ী আপনি একজন সফল শিল্পী। সাধুবাদ জানবেন।

এখন আসা যাক মূল প্রসংগে।
এ লেখাটা আপনি এখানে লিখছেন কেনো?
আপনি তার সমাধান দিয়েছেন শেষে,

সে সময়ে পাশে একজন সহমর্মী বন্ধুর খুব, খুব দরকার।

খুব ভালো কথা। তাহলে অনুমান করা যাচ্ছে আপনি একজন "ধনে পাতা, কই মাছ বিষয়ক মানুষ"। আরো ভালো কথা।
বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত ৯৯ জন তাই। যদি তাই হয় তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ বিষয়ে লেখার অধিকার আপনাকে কে দিলো?

প্রথম ঘটনায় আপনার অবস্থান অনেকটা এরকম, " ভাইরে, আমিতো খুব ভালো মানুষ। ঘটনা দেইখা খুব মন খারাপ হইলো তাই তোমাগো লগে শেয়ার করলাম। আমি কইকী আমার একটা দোস্ত লাগবো (এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড এ গান বাজবে) তোমাদের মাঝে কী কেউ আছে......।"

ঘটনা শেষ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সেখানে আপনি কী করলেন?

নিজের ভেতরে ভ্রান্তি বোধ করি।

(সভ্য সমাজের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছামতো গালাগালি করা যায়না। ALAS!)

নিজে বাঙ্গালী। দূঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এখন পর্যন্ত তা নিয়ে গর্বিত হওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি এবং মজাদার ব্যাপার হচ্ছে বাঙ্গালীর মানসিকতা আমি একদমই বুঝি না।
লেখিকা@ আমি আপনার পুরো রচনাটি পড়ে এমন কোনো তথ্য পাইনি যার বদৌলতে লেখাটি ছাপার অক্ষরে আসতে পারে।
তার চেয়েও বেশী মজা পেলাম পাঠক কূলের মন্তব্যে । (কমবেশী প্রত্যেককেই ধরার ইচ্ছা ছিলো । সময় সল্পতার কারনে কুতসিত, অরুচিকর, অবান্তর কয়েকটি নিয়ে একটু মজা নিয়ে যাই)

তিথীডোর@ আহারে!! আমার আদর আপনার জন্য।
মৃত্তিকা@ হোঃ হোঃ হোঃ...অকপট? হোঃ হোঃ হোঃ......(মারা যাবো)।
শেহাব@ ঊহু! ঊহুরে!
অরুন@ ভাইরে আমার বাপ মা মুসলিম, কাগজে আমিও। এখন কী আমেরিকানদের হাতে পায়ে ধরে মাফ চাবো? তাইলে তো বিপদ!
মউ@

কতোটা দাম্ভিকতা দিয়েছে সমাজ ওদের

PARDON!!!! আমিতো জানতাম এটা আমি, আপনি এবং সে নিয়ে হয়!!!
মূলত পাঠক@ আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করতাম। আর আপনি এসে গল্প বলে গেলেন লেখিকাকে ধরার বদলে!!!!!!!! আমি দূঃখিত এবং হতাশ।

শামীম রুনা@ দয়া করে(ক্ষেমা ঘেন্না করে, আপনার ঠ্যাং এ ধরি) আর দূঃখিত, লজ্জিত কইরেন নাগো আফা। একটু গর্বিত কইরেন পারলে। না পারলে কিচ্ছু করন নাগবো না। ধনে পাতা দিয়া কই মাছ ভূনা করেন। মাইখ্যা মাইখ্যা খান। আমগোর তাতে কম ক্ষতি(খাদ্যক্ষতি, অইডা তেমন কিছু না। অনেক পাপ করছি! কী আর করা)।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি নিজেদের এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে নৃপুংসক চিহ্নিত করা হওয়া উচিত আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ।
এই লেখায় ৫ ষ্টার দিয়ে যারা লেখিকা (সভ্য সমাজের অনুপযূক্ত একজন) কে উতসাহ দিয়েছেন তাদের নিয়ে বলার জন্য আমাকে হিব্রু অথবা চাইনীজ জানতে হবে। জানিনা তাই অনুমান করে নিন কষ্ট করে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মেঘনাদ - আপনি যখন মন্তব্যকারীদের জনে জনে ধরে ফাঁসীকাষ্ঠে ঝোলাচ্ছেনই, তখন আমিও নাহয় একটু সাহস করে কয়েকটা প্রশ্ন করেই ফেলি?

কী আর হবে! ফাঁসী না হলে নাহয় গিলোটিনেই মুন্ডুটা যাবে!

যদি তাই হয় তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ বিষয়ে লেখার অধিকার আপনাকে কে দিলো?

ঠিক যে আপনাকে এই মন্তব্য করার অধিকার দিলো, সে-ই। অর্থাৎ, আমি, আপনি এবং অন্যান্যরা। অর্থাৎ রোগী, ডাক্তার, রোগীর স্ত্রী, দর্শক সব্বাই! বুঝতে কি পারলেন? ওই যে ঐ তারাই, যাদের কথা আপনি বলেছেন -

আমিতো জানতাম এটা আমি, আপনি এবং সে নিয়ে হয়!!!
লেখিকা@ আমি আপনার পুরো রচনাটি পড়ে এমন কোনো তথ্য পাইনি যার বদৌলতে লেখাটি ছাপার অক্ষরে আসতে পারে।

তথ্য?! কী 'তথ্য' আপনার ছাপার যোগ্য মন্তব্যে আছে সেটা একটু পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিলে, সেটার প্রেক্ষিতে শামীম রুনার দেয়া বা না দেয়া তথ্য খুঁজতাম।
(কমবেশী প্রত্যেককেই ধরার ইচ্ছা ছিলো । সময় সল্পতার কারনে কুতসিত, অরুচিকর, অবান্তর কয়েকটি নিয়ে একটু মজা নিয়ে যাই)

আচ্ছা, এই যে আপনি কয়েকদিন পর পর 'হা রে রে রে' করে তেড়ে আসেন, এটা কেন করেন?! আপনার খুব মেজাজ খারাপ হয় এসব পড়ে? চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুলগুলো দেখিয়ে আমাদের (আপনার ভাষায়) 'সভ্য সমাজের উপযুক্ত' করে তোলার একটা অদম্য বাসনা হয়? এইসব আবেগ টাবেগ তাড়িত লেখা পড়ে আপনার হাসি পায়? মানে, ঠিক কী হয় আপনার মনের ভাব, যে কারণে আপনি ভদ্রতার ব্যাপারটা তো বাদই দিলাম, এমনকি সংলগ্ন, বোধগম্য মত প্রকাশ করতেও ব্যর্থ হন?!!
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি নিজেদের এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে নৃপুংসক চিহ্নিত করা হওয়া উচিত আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ।

এই কথাটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন? হয়তো এটা বুঝতে পারলে আপনার প্রলাপ-সদৃশ মন্তব্যের একটা মানে খানিকটা হলেও বুঝতে পারতেও পারি ... নিশ্চিত নই অবশ্য, তাও চেষ্টাই জীবন ......

মেঘনাদ এর ছবি

আচ্ছা।
ব্যাপারটা বুঝতে ভুল করেছেন। স্পষ্ট করি।
এ সূত্রানুযায়ী শিল্পীর অবস্থান হতে হবে ঘটনা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে (শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ)।
(ডাক্তার, রোগী, স্ত্রী ঘটনায় অংশগ্রহন করলেও দর্শক করেনা। তাই সে একমাত্র শিল্পী হবে অথবা সম্ভবনা থাকবে)।

আমার প্রশ্ন ছিলো আমাদের দেশ যদি শুধুমাত্র এরকম শিল্পী দ্বারা ভরে যায় তাহলে সমাজে বসবাস কে করবে?
(যেহেতু Roshomon সিনেমার মতো আমাদের সবার কিছুনা কিছু Excuse আছে!)। যদি তাই হয় তাহলে আমি জানি বাকী যে একজন(তিনটা মেয়ে) তারা স্বাভাবিক ভাবে এ ধরনের শিল্পীসমাজকে লাথি মারবে। এই অধিকার টা চাইতে হবে তাদের কাছে)। আমি সমাজের অংশ বলেই আমি উনার মতো অর্থহীন শিল্পীকে Refuse করছি। আপনি তাকে সে অধিকার দিলে সেটা অপরাধ হবে, আমি দিবোনা।

তথ্য !!
ভালো প্রশ্ন।
তিনি যে সমাধান এ পৌছেছেন তা বহু আগে আমরা বস্তাপঁচা(উনার সাহায্য দরকার!!!!) হিসেবে ফেলে এসেছি। তাই এখন এটা ছাপার অক্ষরে আসার অযোগ্য। (ক্ষরণেও এটাই বিষয় ছিলো)।

আমি হা রে রে করে তেড়ে আসি কারন গরু ছাগলের গন্ধ আমার ভালো লাগে না এবং দূঃখের বিষয় হচ্ছে তাদের কে নিয়েই আমাকে জীবন পার করতে হবে তাই মানুষ বানানোর চেষ্টা করি। আমি মানুষ হিসেবে যাদেরকে চিনি প্রথম প্যারা পড়ার পর তাদের প্রশ্ন করার কথা “তারপর রুনা তুমি কী করলা?” যে সমাজে এটা কোনো প্রশ্ন হিসেবে আসেনি সেটাকে আমি মানুষের সমাজ এর পর্যায়এ ফেলতে রাজী নই।
কে মানুষ কে মানুষ না(নৃপুংসক) সেটা সঙ্গায়িত করার দায়িত্ব আমাদের। সমাজে কেউ যদি থাকতে চায় তাকে অংশগ্রহন করতে হবে প্রতিটি ঘটনায়। এতোটাই সহজ।

তিথীডোর@ আপত্তি জানিয়েছেন আমার মন্তব্যে!!!!হোঃ হোঃ হোঃ।
সবজান্তা@ এখানে দর্শনের কোনো ব্যাপার স্যাপার নেই। এখানে বিষয় হচ্ছে “মানবিকতা/মানসিকতা”।

স্নিগ্ধা এর ছবি

"গরু-ছাগল" সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে দেখি "মানুষ" আপনাকে আমার বক্তব্য বোঝাতে পারি কিনা -

১) দর্শক ঘটনা দ্বারা সরাসরি প্রভাবান্বিত/impacted হচ্ছে না বলে একটা নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান থেকে শিল্প সৃষ্টি করতে পারে। এটাই বিমানবিকীকরণ। ঠিক (যদিও শিল্পের বিমানবিকীকরণ আদৌ সম্ভব কিনা সে বিষয়ে আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি, সে প্রসঙ্গে এখন যাচ্ছি না)। আপনি এও বলছেন যে ওরকম 'শিল্পী' দিয়ে সমাজ ভরে গেলে সমাজে বসবাস করবে কে।

এখানে আপনার বক্তব্য পরস্পরবিরোধী মনে হচ্ছে - আবেগের প্রাবল্যে শিল্পকে দূষিত না করাটাকে আপনি সমর্থন করেন, সেটাই শিল্পসৃষ্টিতে হওয়া উচিত বলে মনে করেন - আবার সেই আপনিই কিন্তু বলছেন যে সবাই যদি এভাবে dissociated হয় তাহলে সমাজে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ কারা হবে।

আবার, আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব যুক্তি বা excuse আছে যেকারণে আমরা সমাজে ভূমিকা বদল করে থাকি, যুক্তি অনুযায়ী কখনও দর্শক কখনও রোগী হই, এবং

আমি জানি বাকী যে একজন(তিনটা মেয়ে) তারা স্বাভাবিক ভাবে এ ধরনের শিল্পীসমাজকে লাথি মারবে।
অর্থাৎ এর মধ্য থেকেই প্রতিবাদ/প্রত্যাখান বের হয়ে আসবে। তাই তো? ঠিকমতো বুঝে না থাকলে, জানাবেন।

শামীম রুনা কী উল্লেখ করলে তাঁর লেখাটা আপনার কাছে শিল্পোমানোত্তীর্ণ হতো? কারো কাছে যদি এই লেখাটাকে শিল্প বলে মনেও হয় সেটা 'অপরাধ' কেন? যে অবস্থান থেকে আপনি কেবল দর্শকেরই উচিত শিল্পসৃষ্টি করা এই মতামত দিচ্ছেন, সেই একই অবস্থান থেকে এটাকে মানদন্ডের আপেক্ষিকতায় বেনেফিট অফ ডাউট না দিয়ে একেবারে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করছেন কেন? আপনার মতটাও তো আপেক্ষিক? গাসেত বা যে কারো এধরনের সূত্রও তো?

২) আপনি দেখা যাচ্ছে এই গরুছাগলের ভিড়েও নিঃসংশয়ে নিজেকে 'মানুষ' হিসেবে চিনতে পেরেছেন! অভিনন্দন জানিয়ে জিজ্ঞেস করি - আপনার মনুষ্যত্বের সংজ্ঞাটা যেন কী? প্রতিটা ঘটনায় অংশগ্রহন করা? তাহলে, আপনি নিশ্চয়ই জীবনের নানা ঘটনায় সরাসরি প্রতিবাদ/সমাধান ইত্যাদির মাধ্যমে অংশগ্রহন করেছেন? Roshomon এর উদাহরণ না দিয়ে, আপনার সেসব ঘটনার উদাহরণ দেবেন প্লীজ, সাগ্রহে অপেক্ষা করছি!

আরেকটা কথা না বলেই পারছি না - আমি যদি মনোবিজ্ঞানী হতাম, আপনাকে একটা 'বিশেষ' কেইস স্টাডি হিসেবে পর্যবেক্ষণ করতাম। এরকম অকাতরে অন্যকে গালি দিয়ে, উপহাস করে, প্রকারান্তরে নিজের প্রচন্ড ইনসিকিওরিটি উদোম করে দিতে বেশি লোককে দেখি নি কিনা!

মেঘনাদ এর ছবি

১.আমাকে কোথায় এ সূত্র কে সমর্থন করতে দেখেছেন পুরোপুরি? আমি রেফারেন্স টেনেছি।
আপনি কী ব্যাংগ বোঝেন না? আমি তো আমার শিল্পের সঙ্গা নিয়ে কোনো কথাই বলিনি!! এখানে ওটা অপ্রয়োজনীয়।

আমি বলেছি যে সামাজিক ঘটনায় অংশ গ্রহন করেনা তাকে আমি সামাজিক/মানুষের স্বীকৃতি দেবোনা। এটা বলার জন্য সূত্র লাগে না।

ভগবান!!! তার লেখার শিল্পমূল্য বিচার নিয়ে আমি কোনো কথাই বলিনি। কারন এক প্যারা এর মধ্যে তিনি নিজেকে প্রমানিত করেছেন মেরুদন্ডহীন হিসেবে। মানুষ হিসেবে তাকে নিয়ে আমি লজ্জিত। এ লেখার (লেখা হিসেবে) শিল্পমূল্য বিচার করার মতো শক্তি আমি কোনোদিন অর্জন করবোনা।

২. অপেক্ষা করতে থাকুন।

৩. মনোবিজ্ঞানী হয়ে যান এবং গবেষনা করুন।

(দময়ন্তী মেজাজ প্রচন্ড রকম বিগড়ে দিয়েছেন। তাই আপনি আপনার মতো যূক্তি দাঁড় করান। আমি আপাতত যাবো)
আপনাকে দয়া করে একটা পোষ্ট এর লিঙ্ক দেই। আমার এক বন্ধুর লেখা। কষ্ট করে পড়ুন)

http://www.cadetcollegeblog.com/arnob/8278

তারপর ইচ্ছে হলে আবার বসবো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

লিঙ্কটার জন্য আসলেই ধন্যবাদ! নিচে আপনার এই মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি, দেখে নিন কষ্ট করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দীর্ঘ -বিদ্রুপাত্মক- অযৌক্তিক অভদ্র -সমালোচনায় আমি ও বিশেষ(!) ভঙ্গিতে উল্লেখিত... *তিথীডোর

সবজান্তা এর ছবি

একটা লেখায় দর্শন বিষয়ক কিছু আলোচনায় আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছিলো। কিন্তু আপনার এই মন্তব্য পড়ে খুবই বিরক্ত লাগলো। ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু সেই মত জানাতে আরেকজনকে তাচ্ছিল্য করার অধিকার কেউ দেয় নি।

আপনার এই মন্তব্যে আপত্তি জানালাম। আশা করি এরপরের বার আরেকটু ভদ্রভাবে কথা বলতে আসবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

দময়ন্তী এর ছবি

আচ্ছা সচলে মহিলাদের কলমে মহিলাদের সমস্যা বা দু:খ, অপমানের কথা পড়লেই আপনি এমনভাবে তেড়ে আসেন কেন? সমস্যাটা ঠিক কোথায়? আর আপনার ছোটবেলার জন্য খুব খুউব করুণা হল ---- ঐসময় কিছু জিনিষ না শিখলে ------- আহারে!

মডারেটরদের প্রতি:

তিথীডোর@ আহারে!! আমার আদর আপনার জন্য।

এই কুতসিত্ মন্তব্যটির প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷ মন্তব্যটি Zঘন্য উইত আ ক্যাপিটাল Z

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মেঘনাদ এর ছবি

খুব ভালো প্রশ্ন। কারন আপনারা ISM ISM (Feminism) চীতকার করে করে মাথা খেয়ে ফেলেন। আমি বলতে চাই "আপনারা যা চান তার জন্য নিজেকে যোগ্য করুন প্রথমে"। কয়েকদিন পর পর নাকী কান্না শুনতে ভালো লাগে না।
করুনা করলে কী আর করা!!
তিথীডোর শুধু কান্নাকাটি করেন। আপনার কাছে মনে হয় না উনাকে একটু আদর করা দরকার?!!!এখানে আপনি জঘন্যর কী দেখলেন?
মজাদার ব্যাপারটা কী জানেন মেয়েদের এই জিনিস্টা আমি সবচেয়ে অপছন্দ করি। কিছু পেলেন নাতো ঝুলি থেকে বের করলেন মোক্ষম অস্ত্র!!! হাঃ হাঃ এবার বাপধন যাবে কোথায়?!!
(তানবীরাঃ আমরা ফেসবুক, সচল এ উনাকে শুধু গুতাগুতি করি।
এখানে আপনি কিছু না বলেও পাঠককে দিয়েছেন রক্তের স্বাদ। এরকম মুহুর্তে আমার কবিতা আবৃত্তি করতে ইচ্ছে করে!!!)

আমার প্রশ্ন আপনারা কবে মেয়েমানুষ থেকে মানুষ হবেন বলুনতো?

অতিথি লেখক এর ছবি

যেদিন আমরা পুরুষমানুষেরা মানুষ হবো, সেদিনই বোধ হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিস্ময়...করুণার ও অযোগ্য এমন একজন মানুষের (?) মন্তব্য "সচলায়তনে" !!! *তিথীডোর

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

"আমার প্রশ্ন আপনারা কবে মেয়েমানুষ থেকে মানুষ হবেন বলুনতো?"-
বাহ্। মেয়েমানুষকে 'মানুষ' না ভাবার কি চমৎকার স্বীকারোক্তি!

-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

স্নিগ্ধা এর ছবি

মউ - ঐ 'মানুষ'টি বলতে চাচ্ছেন যে আমরা মেয়েরাই নিজেদের মানুষ না ভেবে বেশিরভাগ সময় 'মেয়ে'মানুষ ভাবি, অকারণে এবং অজায়গায় অজুহাত/অস্ত্র হিসেবে 'ফেমিনিজম' টেনে নিয়ে আসি।

মানে, উনি যদিও অনেক কিছুকেই "বস্তাপচা" বলে টান মেরে ফেলে দিয়েছেন, তারপরও কিভাবে কিভাবে যেন ফেমিনিজমের প্রায় তামাদি হয়ে যাওয়া কিছু কথা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন!

আমি কোনদিন কারুর সাথে এরকম করে তর্ক করতেই থাকিনি, যেমনটা এই মেঘনাদের সাথে করছি। ভয় হচ্ছে আমার স্বভাবসুলভ আলস্য এসে আবারও বাগড়া না দেয়! তবে এঁর ঔদ্ধত্য আর একচোখোমির এমন অভূতপূর্ব মিশেলটা আমার জন্য টনিক হিসেবে কাজ করবে, এটাই আশা করছি হাসি

জুয়েইরিযাহ মউ [অতিথি] এর ছবি

আসলে স্নিগ্ধাপু আমার মনে হয়েছে উনি নিজেই এমন ভাবনা আঁকড়ে ধরে বসে আছেন, নয়তো এ যুগে "মেয়েমানুষরা কবে তাদের মানুষ ভাবতে পারবে"- এমন প্রশ্ন উত্থাপনই মূল্যহীন এবং হাস্যকর এক বিষয়।
"মানে, উনি যদিও অনেক কিছুকেই "বস্তাপচা" বলে টান মেরে ফেলে দিয়েছেন, তারপরও কিভাবে কিভাবে যেন ফেমিনিজমের প্রায় তামাদি হয়ে যাওয়া কিছু কথা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন!" - ঠিক তাই।

মৃত্তিকা এর ছবি

মেঘনাদ, আপনার মন্তব্য দেখে হতভম্ব হলাম, আহত হলাম।
আমার প্রশ্ন, সচলে কেনো এরকম মন্তব্য ছাপা হবে। তাহলে এই যে সাতজন মডারেটর, তারপর সচল, অর্ধসচল করা, অতিথী, মিথস্ক্রীয়া--- এতো মডারেটিং, এই ব্যপক ব্যবস্থাপণার মানেটা কি দাঁড়ালো যদি এভাবে অপমানিত হতে হয়? এটা কি সুস্থ পরিবেশ?

লেখার বিষয়বস্তু বা প্রকাশ ভংগী পছন্দ না হতে পারে, কিন্তু তাই বলে এরকম আক্রমণাত্বক আঘাত করা মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে কি লেখিকা, পাঠককূল এবং মন্তব্যকারীদের কোন তথ্য পৌছানো সম্ভব? একেবারেই অসম্ভব।

সচলায়তনের প্রতি আমি এতো জলদি আস্থা না হারিয়ে, মডারেটরদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, লেখা মডারেটিং-এর পাশাপাশি মন্তব্যেরও কঠোর মডারেশন যেনো করা হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মৃত্তিকার এই বক্তব্যে সহমত জানাই। মডারেটেড সাইটে এ ধরনের বক্তব্য দেখতে চাই না। বিশেষত: মন্তব্যকারীর যেখানে আগেও এরকম অহেতুক আক্রমণ চালানোর ইতিহাস আছে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মৃত্তিকা এবং যুধিষ্ঠির - এই লোক এর আগে আমাকে উদ্দেশ্য করেও বিশ্রী কটুক্তি করেছে, কাজেই প্লীজ এটা মনে করবেন না যে আমি নিজে নিরাপদ জায়গায় থেকে এই মন্তব্য করছি। মডারেশন পার হয়ে এই মন্তব্য এসেছে বলে আমি খুশি। একবার চিন্তা করুন - এরকম আপাত'শিক্ষিত' লোকজন আমাদের চারপাশে আছেই শুধু না, এধরনের একটা সোজাসাপ্টা বিষয় নিয়েও বিরাট একটা ধোঁয়াটে তর্কের সৃষ্টি করে যে আক্রান্ত তাকেই উলটে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে!

ওই মাস্তান বা বখাটে ছেলেগুলোকে ভয় দেখিয়েই হোক কিংবা সচেতনতা বাড়িয়েই হোক, ইভটিজিং কমানোর সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এই মেঘনাদের মতো লোকজন আরো বেশি বিপজ্জনক! এরা তাত্ত্বিক দিক থেকে সূত্রের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করতে করতে একসময় ঐ ইভটিজারদেরই না সমর্থন করতে শুরু করে! কিছু কটুভাষণ এবং পালটা আক্রমণ এদেরও প্রাপ্য নয়? মন্তব্যগুলো প্রকাশিত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অন্তত সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এটাই বোঝাতে চাচ্ছিলাম হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

খুবই যৌক্তিক কথা। মেনে নিলাম। এ ধরনের বক্তব্য মডারেট করার প্রস্তাবটাও ফিরিয়ে নিচ্ছি।

ওডিন এর ছবি

আমার এই পোস্টে কমেন্ট করার কোন যোগ্যতাই নেই তবে কিছু কথাবার্তা শুনে মনে হলো 'অনেকের' মত আমিও একটু অনধিকারচর্চা করতে পারি।


তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ বিষয়ে লেখার অধিকার আপনাকে কে দিলো?

আমি জানতাম না এখানে নিজের ব্লগে নিজের ভাবনার কথা লিখতে 'অধিকার' লাগে। তবে আমার মনে হয় এটা সেইরকম অধিকার যার জন্য আপনি এখানে লিখছেন আর আমিও এখানে এই কমেন্ট করছি।

এই লেখায় ৫ ষ্টার দিয়ে যারা লেখিকা (সভ্য সমাজের অনুপযূক্ত একজন) কে উতসাহ দিয়েছেন তাদের নিয়ে বলার জন্য আমাকে হিব্রু অথবা চাইনীজ জানতে হবে। জানিনা তাই অনুমান করে নিন কষ্ট করে।

আমার আসলে এগুলা অনুমান করতে কোন অসুবিধাই হছে না- তবে আমি এখন আপনাকে মনে মনে কিভাবে সম্ভাষন করছি- আশা করি তা আপনি হিব্রু না জানলেও অনুমান করতে পারবেন-

সভ্য সমাজের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছামতো গালাগালি করা যায়না। !
আসলেই! আর ভার্চুয়াল সমাজের সমস্যা হচ্ছে সামনাসামনি আলাপ করা যায় না। বড়ই আফসুস! মন খারাপ

... আশা করি মডুভাইজানেরা থটরিডিং পারে না। নাহলে সচলে মনে হয় আমার দিন ফুরাইলো।

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

স্নিগ্ধা এর ছবি

শামীম রুনা - লেখাটা কম বেশি আমাদের প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। আমাদের মেয়েদেরও হয়তো এরকম অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, দেশ-কাল ভেদে হয়তো রকমটা আলাদা হবে, হয়তো হবে না। সেটা পুরোপুরি আটকানো বোধহয় সম্ভব না। কিন্তু, এই অভিজ্ঞতা যে 'লজ্জার', বা 'ওদেরই দোষ' এই প্রতিক্রিয়া যেন কিছুতেই না হয়, সেই চেষ্টাটুকু করতেই হবে।

বেশিরভাগ মেয়েই শরীরটাকে শরীর হিসেবে না দেখে একটা লায়াবিলিটি হিসেবে দেখতে শেখে! কী অপচয়!

শামীম রুনা এর ছবি

সেটাই। অবস্থার পরিবর্তনের প্রত্যাশা থেকেই আভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রয়াস।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

রানা মেহের এর ছবি

রুনা আপু

এতো কষ্ট হলো আপনার লেখাটা পড়ে।
বাংলাদেশে কিশোরকালটা খুব দুর্ভাগ্যের একটা সময়

মেঘনাদ
আপনার মতো কিছু লোক সচলে আসলে দরকার।

সচলে ভালো লোকজন দেখে ভালো কথা শুনে
অনেকসময় সত্যিকার পৃথিবী নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই।
মনে হয় কোথাও বোধহয় খারাপ মানুষ নেই কেউ।
আপনার কথা শুনে আবার বাস্তবে ফিরে আসলাম।
নাহ। পৃথিবীতে খারাপ লোক কমেনি একদম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শামীম রুনা এর ছবি

কষ্ট কেনো রানা?
লেখাটা আহাজারির জন্য নয়। একটা সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করতেই আমি কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চেয়েছি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

স্নিগ্ধা এর ছবি

পোস্টটা পড়লাম। এবার আপনি পড়ুন। 'লজিক্যাল ফ্যালাসি'র ধরন বা উদাহরণগুলো আপনার বন্ধুর লেখা থেকে সরাসরি নেয়া এবং বোল্ড করা, নিয়ে আপনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রয়োগ করা। দেখুন তো মেলে কিনা -

অ্যাড হোমিনেম- ব্যক্তি আক্রমন। সম্ভবত সবচেয়ে বহুল ব্যাবহৃত লজিক্যাল ফ্যালাইসি। এটা সবচেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয়ে থাকে ডিবেইটে যেখানে দুটি পক্ষ থাকে যারা একটি ইস্যুতে ভিন্ন ধারণা পোষণ করে এবং পসিবলি একপক্ষের যুক্তির বিরুদ্ধে রিফিউটাল হিসেবে অন্য পক্ষ অ্যাড হোমিনেম ব্যাবহার করে থাকে। এটার উদাহারণ হতে পারে, “কি আর বলবো তোমারে, তুমিতো দেখা যাচ্ছে কিছুই জাননা।”, “আরে এটা এরউইন রোমেলের যুক্তি না, ও তো ছিল একটা নাতসী।” ইত্যাদি । খেয়াল করুন এদের সবকটাই কিভাবে মুল যুক্তিকে অ্যাড্রেস না করে অ্যাড্রেস করছে যুক্তি উথ্যাপনকারীকে এবং অবান্তর কথা বলে যাচ্ছে।

১)

তার চেয়েও বেশী মজা পেলাম পাঠক কূলের মন্তব্যে । (কমবেশী প্রত্যেককেই ধরার ইচ্ছা ছিলো । সময় সল্পতার কারনে কুতসিত, অরুচিকর, অবান্তর কয়েকটি নিয়ে একটু মজা নিয়ে যাই)

২)
আমি হা রে রে করে তেড়ে আসি কারন গরু ছাগলের গন্ধ আমার ভালো লাগে না এবং দূঃখের বিষয় হচ্ছে তাদের কে নিয়েই আমাকে জীবন পার করতে হবে তাই মানুষ বানানোর চেষ্টা করি।

৩)
কারন এক প্যারা এর মধ্যে তিনি নিজেকে প্রমানিত করেছেন মেরুদন্ডহীন হিসেবে। মানুষ হিসেবে তাকে নিয়ে আমি লজ্জিত।

অ্যাপিল টু রিডিকিউল- এটাকে আমি বলি আই,কিউ মাপার যন্ত্র। এটা যা করে তা হোল একটি যুক্তির কন্টেন্ট কে গ্রহন না করে বা রিফিউট না করে ঐ যুক্তিকে হাস্যকর প্রমানের চেষ্টা করে। এর উদাহারণ হতে পারে, “এটা কোন যুক্তি হোল নাকি হো হো হো।”
১)

আপনি কী ব্যাংগ বোঝেন না? আমি তো আমার শিল্পের সঙ্গা নিয়ে কোনো কথাই বলিনি!! এখানে ওটা অপ্রয়োজনীয়।

২)
তিথীডোর@ আপত্তি জানিয়েছেন আমার মন্তব্যে!!!!হোঃ হোঃ হোঃ।

৩)
শামীম রুনা@ দয়া করে(ক্ষেমা ঘেন্না করে, আপনার ঠ্যাং এ ধরি) আর দূঃখিত, লজ্জিত কইরেন নাগো আফা। একটু গর্বিত কইরেন পারলে। না পারলে কিচ্ছু করন নাগবো না। ধনে পাতা দিয়া কই মাছ ভূনা করেন। মাইখ্যা মাইখ্যা খান। আমগোর তাতে কম ক্ষতি(খাদ্যক্ষতি, অইডা তেমন কিছু না। অনেক পাপ করছি! কী আর করা)।

আর্গুমেন্ট ফ্রম পার্সনাল ইনক্রেজ্যুয়লিটি- এটা আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনোরেন্সের কাছাকাছি হলেও আসমার্থক না। আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনোরেন্সে যেখানে বক্তা জানেই না কোন একটি তথ্য- আর্গুমেন্ট ফ্রম পার্সোনাল ইনক্রেজ্যুয়লিটিতে বক্তা জানে ঐ তথ্য কিন্তু বুঝেনা যে কিভাবে এটা সম্ভব, তাই সে সেটা অস্বীকার করে। এটার উদাহারণ হতে পারে ” বললেই হলো নাকি তিমি একটা ম্যামাল, আমরাতো চোখেই দেখতে পাচ্ছি এটা একটা মাছ।”
১)

আমি আপনার পুরো রচনাটি পড়ে এমন কোনো তথ্য পাইনি যার বদৌলতে লেখাটি ছাপার অক্ষরে আসতে পারে।

২)
এই লেখায় ৫ ষ্টার দিয়ে যারা লেখিকা (সভ্য সমাজের অনুপযূক্ত একজন) কে উতসাহ দিয়েছেন তাদের নিয়ে বলার জন্য আমাকে হিব্রু অথবা চাইনীজ জানতে হবে। জানিনা তাই অনুমান করে নিন কষ্ট করে।

আপনার বোঝার সুবিধার্থে, মানে আবারো তেড়ে আসার আগে চিন্তা করার সুবিধার্থে বলে দিচ্ছি - এখানে আপনি যে হিসেবে শামীম রুনার পোস্টে 'তথ্য' খুঁজে পান নি, সেই একই ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী আমি ওপরের বক্তব্য/মতামতকে 'তথ্য' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে আপনার personal incredulityর কথা বলছি।

ফলস্‌ ডাইকোটমি- এটা হয়ে থেকে যখন যুক্তি হিসেবে একটি ঘটনার ব্যাখ্যা ধরে নেওয়া হয় মাত্র দুটি। এটা ফাউন্ডেশনাল বায়াসের সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। ধরে নেওয়া যাক দুজন ব্যক্তি আর্গু করছে শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা নিয়ে। এদের একজন ক্যাপিটালিস্ট, অপরজন কম্যুনিস্ট। এখন ক্যাপিটালিস্টটি যদি এটা প্রমান করে যে কম্যুনিজম ভুল এবং দাবী করে বসে যে, যেহেতু কম্যুনিজম ভুল তাই ক্যাপিটালিজমই শ্রেষ্ঠ যেটা হবে ফলস্‌ ডাইকোটমি কেননা ক্যাপিটালিজম আর কম্যুনিজমই মাত্র দুটি অপশন নয় আরও বহু কিছু আছে। এমনকি ক্যাপিটালিজম ও কম্যুনিজমই অপশন মাত্র এই দুটি হয়ে থাকলেও কম্যুনিজমকে ভুল প্রমান করার মাধ্যমে ক্যাপিটালিস্ট এই দাবী করতে পারতো না যে ক্যাপিটালিজম শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা। ক্যাপিটালিজম শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা এই দাবী করতে হলে তাকে দেখাতে হবে কেনো ক্যাপিটালিজম শ্রেষ্ঠ অর্থনোইতিক ব্যাবস্থা, কেন কম্যুনিজম শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা হতে পারে না সেটা নয়। an argument must stand on its own merit.

১)

আমি মানুষ হিসেবে যাদেরকে চিনি প্রথম প্যারা পড়ার পর তাদের প্রশ্ন করার কথা “তারপর রুনা তুমি কী করলা?” যে সমাজে এটা কোনো প্রশ্ন হিসেবে আসেনি সেটাকে আমি মানুষের সমাজ এর পর্যায়এ ফেলতে রাজী নই।
- অর্থাৎ এই প্রশ্ন আসবে, অথবা আসবে না - এ ছাড়া আর বিকল্প নেই? প্রশ্ন না করে বিষয়টা নিয়ে মতামত প্রকাশকে কোন মনুষ্যচিত বিকল্প হিসেবেই ধরা হচ্ছে না!

২)

উদ্ধৃতি

সে সময়ে পাশে একজন সহমর্মী বন্ধুর খুব, খুব দরকার।

খুব ভালো কথা। তাহলে অনুমান করা যাচ্ছে আপনি একজন "ধনে পাতা, কই মাছ বিষয়ক মানুষ"। আরো ভালো কথা।

মুভিং দ্য গোলপোস্ট- এটার সংজ্ঞা দেয়ার বোধহয় প্রয়োজন নেই, এটা সেল্ফ-এক্সপ্ল্যানেইটরি। ব্যাপারটা হচ্ছে গোলপোস্ট যদি মুভিং হয় তাহলে আপনি কখনই গোল দিতে পারবেন না। এটা ফাউন্ডেইশনাল বায়াসের সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত একটি প্রিজুডিসপ্রসুত লজিক্যাল ফ্যালাইসি। একটি অবস্থানের প্রতি কোন যুক্তি ও প্রমান ব্যতীরেকেই পক্ষপাত প্রকাশ করে এখানে একজন যুক্তি উথ্যাপন করতে থাকে, তার একটি যুক্তি ভুল প্রমান হলে আরেকটি যুক্তি নিয়ে আসে এবং বলে আচ্ছা তাহলে এটা ভুল প্রমান কর। বস্তুত, সে আগেই ঠিক করে নেয় যে সে বিপক্ষকে গোল করতে দিতে যাচ্ছে না।
১)

আমি সমাজের অংশ বলেই আমি উনার মতো অর্থহীন শিল্পীকে Refuse করছি। আপনি তাকে সে অধিকার দিলে সেটা অপরাধ হবে, আমি দিবোনা।

২)
তিনি যে সমাধান এ পৌছেছেন তা বহু আগে আমরা বস্তাপঁচা(উনার সাহায্য দরকার!!!!) হিসেবে ফেলে এসেছি। তাই এখন এটা ছাপার অক্ষরে আসার অযোগ্য।

৩)
কে মানুষ কে মানুষ না(নৃপুংসক) সেটা সঙ্গায়িত করার দায়িত্ব আমাদের। সমাজে কেউ যদি থাকতে চায় তাকে অংশগ্রহন করতে হবে প্রতিটি ঘটনায়। এতোটাই সহজ।

আরো ছিলো, কিন্তু লিখতে লিখতে মোটামুটি মৃত্যুশয্যায় পৌঁছে গেছি। তাই আপনার উত্তর পেলে আবারও, আপাততঃ এখানেই শেষ করছি।

হিমু এর ছবি

মেঘনাদের মন্তব্য পড়ে আমার দময়ন্তীর যোগানো কাঙাল মালসাটের অংশবিশেষ খুব লাগসই মনে হলো।

রুনা, আপনাকে বলছি,

মহাকাশ হতে গু-খেকো শকুন হাগিতেছে তব গায়
বাঙালি শুধুই খচ্চর নয়, তদুপরি অসহায়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শামীম রুনা এর ছবি

ব্যাপার না।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

হিমু এর ছবি

মেঘনাদকে বলছি, আপনি বিতর্কে উৎসাহী নন, বিতণ্ডায় আগ্রহী। আপনি আপনার পয়েন্টটা আরেকজনকে অপমান না করে দাঁড় করাতে পারেন না। আমার মনে হয় না আপনি সামাজিক জীব। কারণ সমাজে এই ধরনের আচরণ যারা করে, তারা নানাভাবে সমাজচ্যুত হয় বা বিকল্প সমাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। সচলায়তনে যেহেতু তর্কগুলি মৃদুভাষের পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হয়, আর আপনি যেহেতু গ্যালারিবাসী, স্টেইকহোল্ডার নন, সেই ভরসায় কয়েক ঘন্টা ধরে যা উগড়ে গেলেন, তার মধ্যে যুক্তি সামান্যই, অভদ্র সারকাজম আর খিস্তি বেশি। মন্তব্য এডিট করে আপনার বক্তব্যের অসভ্য অংশটুকু সরিয়ে দেয়াই শ্রেয়তর ছিলো মডুদের জন্যে, সম্ভবত তারা তা এজন্যেই করেনি, আপনি কেমন সেটা যাতে সকলেই বোঝে, তারজন্যেই।

আপনি এর আগেও সচলায়তনে একই কাজ করেছিলেন, একটা গল্পের ব্যাপারে আপনার মত দিতে গিয়ে। পরে একটা লাগসই গল্প লিখে নিজের পয়েন্টটা প্রমাণ করেছিলেন, কিন্তু প্রচুর খিস্তিব্যয় করে আপনার খিস্তিকাম চরিতার্থ করার পর। আসলেই কি এর কোনো প্রয়োজন বা আবেদন আছে?

ঢাকার রাস্তায় কিছু ছিনতাইকারী দুই হাতে দুই দলা গু নিয়ে এসে হুমকি দেয়, আপনার আচরণ দেখে সেরকমই মনে হয়েছে। হাত ধুয়ে এসে সচলে যোগ দিন, দেখবেন এমনকি আপনারও ভালো লাগবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মামুন হক এর ছবি

হাত ধুয়ে এসে সচলে যোগ দিন, দেখবেন এমনকি আপনারও ভালো লাগবে।
--বস এই লোকরে সচলে আইতে কন , আপ্নেরে কী পাগলে কামড়াইছে?
ক্যাচালে ক্যাচালে এমনিতেই বহুলোক ঘরছাড়া, এখন আবার এই উটকো আপদ টেনে আনার দরকার কী? মডারেটররা আমাদের চেয়ে নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি বুঝে থাকবেন, তাই মাঝে মাঝে এই টাইপের মন্তব্য ছেড়ে দিয়ে আমাদের জোশ বাড়িয়ে দেন। কিছু কিছু হেভিওয়েট লোকদের জন্য হয়তো এইসব চরিত্র লেফট জ্যাব, রাইট হুক ইত্যাদি ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দেয়। কিনতু অগুনতি আমার মতো সল্পবুদ্ধি সম্পন্ন , ফেদারওয়েট লোকদের কথাও ভাবা উচিত। দিনশেষের আশ্রয় হিসেবে সচলে এসে যারা মেঘনাদ টাইপের নোংরা মানসিকতার যুদ্ধবাজ লোকদের সামনে পড়ে তিতা স্বাদ মুখে নিয়ে ঘরে ফিরে যাই। সর্ব সাধারণের কথাই আগে মাথায় রাখা দরকার। সবার ডিফেন্স এক লেভেলের না।

* যে কোন ধরনের ব্যক্তি আক্রমণমূলক, অপমানব্যঞ্জক মন্তব্যই মডারেশনের কোপে পড়া উচিত। সচলে মেঘনাদ টাইপের লোকজনরে দেখতে চাইনা।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

রুনাপু, কম বেশি সব মেয়েই এই ধরণের ঘটনার স্বীকার হয়। আর মেঘ্নাদের মতো কিছু ভন্ড সেই সব ঘটনার প্রকাশকে ময়লা করতে আসে তাদের আজাইরা মনোস্তত্ব দিয়ে। রাস্তার বদ বখাটেদের মতো এদেরো দৈনিক ঝাটাপেটা করার সময় এসেছে মনে হয়!

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

শামীম রুনা এর ছবি

'আজাইরা মনোস্তত্ব' - এতক্ষন এই শব্দটাই খুঁজছিলাম। একদম লাগসই।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

শামীম রুনা এর ছবি

লেখাটি যাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি অবশ্য প্রত্যাশা করবো, কোনো মন্তব্যই যেন ডিলিট/এডিট না করা হয়। যৌক্তিক যে কোনো বিতর্কে আমি অংশগ্রহন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কিন্তু বায়ুগ্রস্থ কোনো প্রলাপের জবাব দিতে আমি আগ্রহবোধ করি না।
খুবই কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করা ইভ টিজিং জনিত প্রতিক্রিয়া, আমাকে দিয়ে হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে আরো দু-একটি লেখা লিখিয়ে নিবে। লেখাগুলো অবশ্যই সচলের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবো।
ফেমিনিজম নয় এটি একটি বাস্তব সমস্যা।

________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অনিকেত এর ছবি

এই মেঘনাদ নামের 'ভদ্রলোকটি'র আচরন এবং কথার ভঙ্গী আমাকে এইরকমই আরেক জ্ঞান-পাপীর কথা মনে করিয়ে দিল। সে লোকটিও এরকমই 'তুখোড়' লোক ছিলেন। কথায় কথায় জ্ঞানের মুত্রধারা ছুটত। আশেপাশের লোকজনকে, মেঘনাদের মতই, গরু ছাগল মনে করতেন। প্রচুর পড়াশোনা করেছেন, অনেক জানেন, অনেক বোঝেন ইত্যাকার হা-বিতং আস্ফালন করে সেই গর্ভস্রাবটি যখন তখন চেনা-অচেনা মানুষজনকে অপদস্ত করে বেড়াতেন।

আমি খুব করে আশা করেছিলাম---আমার জীবনে যেন ঐ রকম লোকের আর কোন উদাহরন দেখতে না হয়। হা হতোস্মি! মহাপুরুষরা বারবার মারা যান। আর পথেঘাটে আগাছার মত জন্ম নিতে থাকে মানুষের মুখোশ পরা এইসব ঘটোৎকচের দল।

রানা মেহেরের কথাটারই প্রতিধ্বনি করতে চাইঃ

সচলে ভালো লোকজন দেখে ভালো কথা শুনে
অনেকসময় সত্যিকার পৃথিবী নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই।
মনে হয় কোথাও বোধহয় খারাপ মানুষ নেই কেউ।
আপনার কথা শুনে আবার বাস্তবে ফিরে আসলাম।
নাহ। পৃথিবীতে খারাপ লোক কমেনি একদম

পড়াশোনা করে যদি এইরকম একটি সর্বমানবিকগুনবিহীন বিকারগ্রস্ত চলিষ্ণু 'গুহ্যদ্বার' হতে হয় তাহলে ধিক শতবার!!

পড়াশোনা শিখে যদি পাশের মানুষটির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে না পারেন, বরং কর্কশ কন্ঠে নিজের বিকারগ্রস্ত মনের পশরা প্রদর্শনীতে নামতে হয়---তাহলে আপনার জন্যে রয়েছে একদলা থুথু আর অঢেল করুনা।

শামীম রুনা এর ছবি

আক্রমণ ব্যক্তিগত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কথা শুনতেই আমার আপত্তি নেই।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মূলত পাঠক এর ছবি

একটু দেরিতে দেখলাম, তবে তাতে ক্ষতি হয় নি, ঐ মন্তব্যের উত্তরে যা যা বলার ছিলো সব-ই বোধ হয় বলা হয়ে গেছে। আমার অকিঞ্চিতকর মন্তব্যটুকু বলে যাই।

১) আমার প্রতি মেঘনাদের শ্রদ্ধার কথা জেনে খুশি হওয়া উচিত ছিলো, কিন্তু ডিগ্রি কি সার্টিফিকেটের মূল্য নির্ভর করে কোত্থেকে পেলাম তার উপর। সে হিসেবে এই শংসাপত্রের কোনো প্রয়োজন দেখি না, এমন রূঢ়তা দেখানোর জন্য মার্জনা চেয়ে নিয়েই বলছি।

২) মূল লেখার চেয়ে মন্তব্য নিয়ে বেশি আলোচনা হলো, সেটাও কাঙ্ক্ষিত ছিলো না। পোস্টের লেখক প্রতিবাদী চরিত্র দেখাতে পারেন নি বাস্তবে, এই কারণে আপত্তি জানাতে হলে তার সাথে প্রমাণ সমেত এটাও লেখা দরকারি ছিলো, মন্তব্যকারী নিজে কী কী করেছেন। মনে রাখবেন, প্রমাণ সমেত, কারণ গাঁজাখুরি গপ্পো লেখক নিজেও শোনাতে পারতেন, তিনি সে লোভ সামলেছেন, সমালোচনার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও।

৩) লেখাটি সুউচ্চমানের না হতেই পারে তবে ঘটনা হলো সচলের সব লেখা সেই কষ্টিপাথরে উত্তীর্ণ হবে এমনও নয়। সমালোচনার জন্য নিজে শিল্পত্তীর্ণ লেখা যদি বা নাও লিখতে হয়, অন্তত মন্তব্যে সামান্য রুচির চিহ্ন দেখতে পেলে এই সমস্যা হতো না। হায়, সেটুকুও বলতে পারলাম না।

আমি মতপ্রকাশে স্বাধীনতার প্রয়োজন (যার কথা স্নিগ্ধা বলেছেন) বুঝি, মানিও, কিন্তু এই জাতীয় মতামত যা শুধু বিকৃত রুচির বাহকই নয়, অর্থহীন, অপ্রাসঙ্গিক, এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, তার প্রকাশের পক্ষে অনেক ভেবেও কোনো কারণ খুঁজে পাই না। মডারেটরদের উপর আরো দায়িত্ব চাপাতে চাই না, তাই পাঠকের দরবারে এর বিচার হওয়াই শ্রেয়, এ কথা মেনে নিলাম, নইলে অনুরোধ করতাম এর মডারেশনের।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি মতপ্রকাশে স্বাধীনতার প্রয়োজন (যার কথা স্নিগ্ধা বলেছেন) বুঝি, মানিও, কিন্তু এই জাতীয় মতামত যা শুধু বিকৃত রুচির বাহকই নয়, অর্থহীন, অপ্রাসঙ্গিক, এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, তার প্রকাশের পক্ষে অনেক ভেবেও কোনো কারণ খুঁজে পাই না। মডারেটরদের উপর আরো দায়িত্ব চাপাতে চাই না, তাই পাঠকের দরবারে এর বিচার হওয়াই শ্রেয়, এ কথা মেনে নিলাম, নইলে অনুরোধ করতাম এর মডারেশনের।

আমার কথাটাও তো তাই-ই ছিলো?! পাঠকের দরবারেই এর বিচার হওয়া উচিত ছিলো, যেটা হয়েওছে। মেঘনাদের মতপ্রকাশের 'স্বাধীনতা' নিয়ে আমি খুব চিন্তিত নই, যতোটা আগ্রহী এই ধরনের 'মানুষ'এর মত জেনে সেটাকে ফর্দাফাঁই করে তার মুখেই ছুড়ে মারাতে ......

লক্ষ্য করে দেখবেন, আমি চেষ্টা করেছি মেঘনাদের নিজের কথা থেকেই তার যুক্তির অসংলগ্নতা এবং ফাঁপা আঁতলামি তাকে দেখাতে। সেটার একটাই কারণ - এই ধরনের লোকেদের আপনি আপনার দিকের মত বা যুক্তি বোঝাতে গেলে, বা সেই মতের ভিত্তিতে বকাবকি করতে গেলেও এরা এদের অতি ব্যবহ্নত অস্ত্র নিয়ে আসে - যে প্রতিপক্ষ কিছুই জানে না, বস্তাপচা রদ্দিমাল নিয়ে কথা বলতে আসে, তেঁনার রুচিও হয় না এসবের উত্তর দিতে, ...... ইত্যাদি ইত্যাদি।

মেঘনাদের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে এ চিন্তাক্ষমতার দিক থেকে একদম মিডিওকার একজন (এর এমনকি বাক্যগঠনও ঠিক হয় না!), যে চায় ইন্টেলেকচুয়াল দিক থেকে অন্তত 'আলাদা' কিছু হতে - কিন্তু সেটা হবার এলেমও নেই - অতএব এই বালখিল্য এবং অসভ্য আউটবার্স্ট।

শামীম রুনা এর ছবি

স্নিগ্ধা, আপনাকে খুব অনুভব করছি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মূলত পাঠক এর ছবি

@স্নিগ্ধা:
ফলাফলের বিচারে আমি আপনার সাথে সহমত: সম্ভব হলে এই জাতীয় মন্তব্য প্রকাশ করা বন্ধ হোক এমন কথা বলতাম। যেহেতু সেটা করতে গেলে মডুদের আরো খাটাতে হবে, তাই পাঠকের হাতে ফর্দাফাই হোক এটাই চাই। সত্যি বলতে কী, সে গণধোলাইটা একেবারে প্রকাশ না হওয়ার চেয়ে অনেক ভালো, মানতেই হবে। হাসি

শামীম রুনা এর ছবি

এই লেখাটি তথ্য/তত্ত্ব বহুল কোনো প্রবন্ধ নয়, নয় কোনো গল্প-কবিতা বা গবেষণা। এই ধরনের লেখার শিল্পমান বিচারের কষ্টিপাথর কী হতে পারে, এ নিয়ে ভেবে ভেবে কাল থেকে আমি বিচলিত।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

কিছুই বলার নেই আমার। থমকে যেতে হয় লজ্জায়। সুমনের চট্টোপাধ্যায়ের 'মেয়েটা' গানের দু'লাইন-

আমিও পুরুষ বলোনা আমায় কতোটা ঘেন্না করো
কতোবার তুমি মনে মনে বলো, লজ্জায় ডুবে মরো..

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

শামীম রুনা এর ছবি

অসাধারণ গান।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

আমার সন্দেহ হচ্ছে যে মেঘনাদ সাহেব সদ্য হুমায়ুন আজাদ পড়া শুরু করেছেন এবং হুমায়ুন আজাদের বিদ্রুপ করবার ঐশ্বরিক ক্ষমতার প্রেমে পড়ে গিয়েছেন।

ব্যাপার না, হুমায়ুন আজাদের লেখা নতুন পড়া শুরু করলে এমন হয়ে থাকে, বিশেষ করে পাঠক যদি আধেয়র চেযে আধার দিয়ে প্রভাবিত হবার মতো অপরিণামদর্শী হন।

শামীম রুনা এর ছবি

হতেও পারে এমনটি। আসলে জ্ঞান একটা টোটাল ব্যাপার। কোনো একটা কম থাকলে আস্ফালনই সার হয়।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

যূথচারী এর ছবি

উফফ! এতো কঠিন কঠিন শব্দ কেন মন্তব্যকারীদের? ভাইবোনেরা আরো সহজ সহজ কথা লিখবেন, যাতে আমরা যারা এতো ডিসকোর্স বুঝি না, তারাও অংশ নিতে পারি।

শা.রু. আপনি যা লিখেছেন, সেটা খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য। অন্য দেশেও হয়তো হয়, অন্যভাবে। আমার অভিজ্ঞতা হলো- এর চেয়েও ভয়াবহ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এদেশের মেয়েদের। এবং নিজে পরিস্থিতির স্বীকার না হলে অথবা নিজের খুব ঘনিষ্ঠ লোককে খুব কাছ থেকে ঘটনায় না দেখলে, এইসব পরিস্থিতিতে কেন মুখ বুজে সহ্য করতে হয়, তা বোঝা যায় না অনেক সময়।

ধরুন রাস্তায় ছিনতাই হওয়া। কি করি আমরা, যখন জানতে পারি কেউ ছিনতাইয়ের স্বীকার হয়েছে? ছিনতাইয়ের স্বীকার লোকটিকে গিয়ে কি বলি- "আপনি কি করেছেন তখন?" আমরা সেটা সাধারণত করি না। সুতরাং যে মন্তব্যকারীরা এই ধরনের প্রশ্ন করেছেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। ঈভ টিজিং নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য আরেক ধরনের ঈভ টিজিং-ই। কেননা, কোনো পুরুষ যখন রাস্তায় মার খায় (ছিনতাইকারীর হাতে কিংবা অন্য কোনোভাবে) তাকে কিন্তু এই প্রশ্ন করেন না; শুধু মেয়েটা মার খেলেই (কিংবা টিজিং) 'কেন আপনি কিছু করলেন না'- এই প্রশ্ন অস্বাভাবিক এবং টিজিং-ই, আবারো।

হ্যা, দুয়েকটি পরিস্থিতিতে ছিনতাইকারীর সাথে লড়াই হয়, ছিনতাইকারী ধরা পড়ে, গণপিটুনি খায়, মারা পড়ে; কিন্তু এটা কোনো সাধারণ (কমন) ব্যাপার নয়। সাধারণ ব্যাপার হলো- ছিনতাই হবে, আপনি সর্বস্ব খোয়াবেন। তেমনি দুয়েকটি পরিস্থিতিতে নিপীড়নের/টিজিংয়ের স্বীকার মেয়ে (এবং ছেলে)-রা প্রতিরোধ করে ঠিক-ই। কিন্তু সেটা এখনো সাধারণভাবে প্রত্যাশা করা যায় না, কারণ এখনো পরিস্থিতি নিপীড়িতের অনুকূলে নেই।

ছেলে হওয়া সত্ত্বেও আমি এই ধরনের নিপীড়নের স্বীকার হয়েছি (যদিও খুব ছোটবেলায় সেটা) এবং নিজের খুব কাছের মানুষদের খুব কাছ থেকেই নিপীড়িত হতে দেখেছি। আমি মনে করি, আসলে এই সব "অপরাধ" ব্যক্তিগতভাবে প্রতিরোধের ব্যাপার না। সামাজিক সচেতনতা, প্রতিরোধ কিছুটা কার্যকরী, তবে রাষ্ট্রকেই মনে হয় আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।

শেয়ারিংয়ের জন্য ধন্যবাদ। তবে আগে যেটা বললাম- খুব কমই বলেছেন আপনি, বাস্তব অবস্থা আরো ভয়ানক, যদিও বেশিরভাগ সময়েই তা থাকে অজানা।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

শামীম রুনা এর ছবি

বাস্তবতা আসলেও আরো ভয়াবহ। খোলামেলা মত বিনিময় পথ দেখাতে সহায়তা করবে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পোস্টে ছাগু মুখ দিলে পোস্ট বাড়ে না আবারো প্রমাণিত হলো। পোস্টের বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে এখন দেখি প্রায় সবাই ছাগুরে কাঁঠালপাতা দিচ্ছে। মডুরা এই ভানুমতির খেল দেখানো থেকে আমাদেরকে বিরত রাখলেই খুশি হবো।

পোস্টের বিষয়ে, সচেতনতা জিনিসটা পরিবার থেকে শিক্ষা দিতে হবে। ইভ টিজিং এর একটা বড়ো কারণ বিনোদন ও কাজের অভাব। কিছু পোলাপান আছে কোনো কাজ কাম নাই, পড়াশুনাও রেগুলার বা মোটেই করা লাগে না, তখন টাইম পাস হলো ইভ টিজিং। আর কিছু আছে কাজের ফাঁকে যখন বিনোদন দরকার হয়, মোটিভেশনের দরকার হয়, তখন ইভ টিজিংটা একটা একটা উপায় হিসেবে বেছে নেয়। এর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো, যে টিজ করছে, সে সাধারণত বুঝতেই পারে না অপরপক্ষ কেমন ফিল করছে। এমনিতে আমাদের সমাজে একটা স্বতঃ নিষ্ঠুরতা আছে, আমরা ঠ্যাক দিয়ে আমোদ পাই, অন্যের পায়ে ল্যাং মেরে মজা পাই, তাতে নিজেদের কোনো লাভক্ষতি হচ্ছে কিনা, এই হিসাবটা করিইনা বলতে গেলে।

এটার প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের বিকল্প নাই। তবে আইন যারা প্রয়োগ করবে, তাদের সচেতনতা লেভেলও বাড়ানো দরকার। এজন্য পারিবারিক শিক্ষাটাই সবচেয়ে প্রথমে আসে। মানুষ তার পারিবারিক চরিত্র দিয়ে ব্যাপক প্রভাবিত হয়। ভালো-খারাপের বোধটা শিশুকাল থেকেই মূলত গড়ে ওঠা দরকার, সময় ও পরিবেশের সাথে সেটা বিবর্তিত হতে পারে, স্পষ্ট হতে পারে; কিন্তু মূল জিনিসটা আরো আগেই ভিতরে থাকা দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম রুনা এর ছবি

মানুষ তার নিজস্ব সহজাত মানবিক প্রক্রিয়ায় সচেতন হয়ে উঠবে-এটাই প্রত্যাশা।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনটপিক, অফটপিক মিলাইয়া আরেকটা মন্তব্য দেই:

অফটপিক: এহনতক বিভিন্ন ব্লগে নানা প্রজাতির ছাগুর সাথে পরিচয় ঘটেছে। তার মধ্যে একটা ইন্টারেস্টিং প্রজাতি হলো অতিজ্ঞানী মজহারীয় সুশীল পজেটিভ থিংকিং ছাগু। আপনি ব্লগে মইত্যা রাজাকারের বিপক্ষে কিছু লিখবেন, এরা কপাত করে ধরে ফেলবে, আপনি গিয়ে মইত্যারে একটা চড় মেরে না আসা তক আপনার মইত্যারে নিয়া কিছু লেখার অধিকার নাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা কতো? এ প্রশ্নের জবাবে কেউ ২৬ হাজার বললে, সেও রাইট, আপনি ৩০ লাখ বললে তাও সই। কারণ, ২৬ হাজারী যেমন নিজে গুণে দেখে নাই, আপনিও গুণে দেখেন নাই। অকাট্য যুক্তি! একইভাবে একজন ছিনতাই হলে বা ছিনতাই করা দেখলে তিনি যদি ছিনতাইকারীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে লাইফ রিস্ক না নেন, তাহলে তার ছিনতাই নিয়ে লেখার কোনো অধিকার নাই! মহা অকাট্য যুক্তি! যদিও আপনি আপনার লেখা দ্বারা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবেন, আরো মানুষকে জানাতে পারবেন, সমস্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়তে পারবেন; কিন্তু ছিনতাইকারীর হাতে নিহত, বা ছুরির কোপে আহত বা নিদেনপক্ষে একটা থাপ্পড় খাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি লেখার অধিকার বঞ্চিত! তবে এরকম পজিটিভ থিংকিং বাঞ্চোত আবার নিজে কোনো সমাধান দিবে না। কারণ, দুনিয়ায় সমাধান বলে কিছু নাই! উলটা জিজ্ঞেস করে বসবে, সমাধান কি? খায়, না মাথায় ঢালে?

অনটপিক: আমার বিবেচনায় পোস্ট হিসেবে ঘটনার বর্ণনা এরকমই হওয়া উচিত। কারণ, এতে লেখকের সততা আছে। তিনি রঙচঙে করার চেষ্টা করেন নি। নিজের দেখাকে বর্ণনা করেছেন, নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করেছেন। ভাষার কারুকার্য বেটার হতে পারতো; কিন্তু সেটা সাহিত্য মানের একটা দিক মাত্র। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হলো, লেখক বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। বাস্তবে অধিকাংশ মানুষই ইভ টিজিং দেখে চুপ করে থাকে, অধিকাংশ মেয়েই নিজের কাছে আরো সংকুচিত হয়ে পড়ে। লেখক যদি মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের বীরত্ব জাহির করতে গিয়ে টিজ করা ছেলেগুলোকে চড় মেরে বসতেন, তাহলে সেটা ব্যতিক্রমী ঘটনা হতো, বাস্তবতার প্রতিফলন তাতে সামান্যই থাকতো।

এখন আসা যাক, নিজে বীরত্ব না দেখাতে পারলেও লেখার দরকার আছে কিনা। অবশ্যই আছে। কারণ, এই লেখা যতগুলো মানুষ পড়বেন, তাদের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে আবার চিন্তাভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ইভ টিজিং নোতুন বিষয় না। বর্ণিত ঘটনাগুলোও নোতুন কোনো টাইপের না। তাহলে পুরাতন, সবার জানা বিষয় নিয়ে লিখে লাভ কি? লিখে লাভ হলো, সচেতনতা জিনিসটা চর্চারও বিষয়। এই লেখাটা সেই চর্চাকে উৎসাহিত করে। সুতরাং লেখাটা দরকারী, খুবই দরকারী, বিশেষ করে যে দেশে খারাপ চোখে তাকানো নিয়ে আইন করার দরকার পড়ে, সে দেশের মানুষকে সচেতন করতে এ লেখা কম হোক, বেশি হোক অবশ্যই অবদান রাখবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সহমত। উত্তম জাঝা!

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনিকেত এর ছবি

@বলাই দা' চলুক

জুয়েইরিযাহ মউ [অতিথি] এর ছবি

ইভ টিজিং নোতুন বিষয় না। বর্ণিত ঘটনাগুলোও নোতুন কোনো টাইপের না। তাহলে পুরাতন, সবার জানা বিষয় নিয়ে লিখে লাভ কি? লিখে লাভ হলো, সচেতনতা জিনিসটা চর্চারও বিষয়। এই লেখাটা সেই চর্চাকে উৎসাহিত করে। সুতরাং লেখাটা দরকারী, খুবই দরকারী, বিশেষ করে যে দেশে খারাপ চোখে তাকানো নিয়ে আইন করার দরকার পড়ে, সে দেশের মানুষকে সচেতন করতে এ লেখা কম হোক, বেশি হোক অবশ্যই অবদান রাখবে।

সহমত চলুক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

মেঘনাদ প্রহসন যথেষ্ট হয়েছে আশা করছি। ভবিষ্যতে এই লোকের কোনো পোস্টই উদাহরণ হিসেবেও দেখতে চাচ্ছি না ।

লেখার ব্যাপারে বলতে চাচ্ছি যে আমি লেখিকার সাথে একমত। এখানে মনে হয় সামাজিক শিক্ষার একটা ব্যাপার আছে যেটা প্রধানত পরিবার থেকে আশা উচিত। একদিনে কেউ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে শিষ্ দিয়ে অশ্লীল উক্তি করতে শিখে ফেলে না। শুরু অনেক সময়ই হয় আরো ক্ষুদ্র পরিসরে। অনেক সময় দেখা যায় পারিবারিক ভাবেই এমন কুৎসিত ঘটনার দায় মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ভেতরের ঘরে পাঠিয়ে কথা শোনানো হয়। আসল দোষী যে ছেলে সে দেখা যাচ্ছে গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়াচ্ছে। একটা মেয়েকে কিভাবে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে হয় পরিবার থেকে সে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। বাসা থেকে বের হয়ে দেখা গেল সে মিশছে রাস্তার ছেলেদের সাথে, দেখছে তারা কিভাবে পাশের বাসার মেয়েটিকে অপমান করে (অনেকটা মেঘনাদের মতই) নিজেদের গর্বিত মনে করছে। দেখে সে কিন্তু এটাই স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করবে। ক্লাশে গিয়ে সেও তার সহপাঠিদের কাছে এ নতুন শেখা বিদ্যা জাহির করতে চাইবে। বাবা মা কিন্তু জানেও না ছেলে কার সাথে মিশছে, কী করছে। তাদের মূল ফোকাস হচ্ছে মেয়েকে বাসায় বন্দী করে ফেলা, দুদিন পরে একটা "ভালো" ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেওয়া...

খুব সাধারণভাবে দেখতে গেলে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় এভাবেই এ সামাজিক ঘা এর বিস্তার ঘটে। গনজাগরণ ও প্রতিরোধ ছাড়া এর প্রতিকার অসম্ভব।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

শামীম রুনা এর ছবি

পারিবারিক এবং সামাজিক শিক্ষাটা খুব জরুরী।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

দুর্দান্ত এর ছবি

ইভ টিজিং একটি প্রয়োজন মেটায়। ধুমপান, ড্রাগস, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি যেমন মেটায় অন্য কিছু প্রয়োজন। যদি ইভ টিজিং এর ঐ প্রয়োজনটির উতসকে সরিয়ে নেয়া যায়, বা সেই প্রয়োজনটিই অন্য কোন ভাবে মেটানো যায়, তাহলে সমস্যাটি কিছুটা হলেও কমে আসে।

কো-এড স্কুল আমাদের দেশে আর কয়টা? পরিবার বা স্কুলের বাইরে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের একসাথে কিছু করার একমাত্র সুযোগ হল ব্যাচে পড়া। তাও যদি তদ্দুর পর্যন্ত মেয়েরা স্কুলে থাকে। নিম্নবিত্তে তো একটু লম্বা হওয়া মাত্রই তিনটি গন্তব্যঃ বড়লোকের বাসার কাজ, গার্মেন্টস নতুবা বিয়ে। কৌতুহল, প্রয়োজন যাই হোক একসাথে গঠনমূলক কোন কিছু করার সূযোগ নেই। শেষমেষ জীবিকার প্রয়োজনটাই প্রকট হয়ে ওঠে। মানসিক বৃদ্ধির কোনটাইতো একসাথে আর হয় না। অন্যপক্ষ কি আশা করে সেটার ব্যাবহারিক কোন তালিম এই বয়সের ছেলেদের (নাকি মেয়েদেরও?) থাকে না। ছেলে আর মেয়ের বেড়ে ওঠে আলাদা আলাদা বাস্তবতায়। ছেলেদের হাতের কাছে যা আছে, মানে হিন্দি-বাংলা ফিল্‌ম আর পর্নোগ্রাফি অথবা তাদেরই মধ্যের ইচড়েপাকা কারো থেকে তারা শিক্ষা নেয় - যার সবগুলিই ভুল, অশালীন ও কুতসিত। বাস্তবতার সাথে তার কোন মিলই নেই। ইভ টিজিং এই তালিম নেবার অংশ বিশেষ। সামাজিক শিক্ষার একটি বড় গর্ত এই সব আবর্জনায় ভরে ওঠে। অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সিস বাজানো, গায়ে হাত এসব হয়তো আর করা হয় না, কিন্তু সহকর্মীকে শুধু একটি ভোগের বস্তুর বাইরে ভাবা তখন আরো একটি কঠিন কাজ হয়ে যায়।

যদি এমন করা যেত? সারাদেশের সব স্কুল কো-এড করে ফেলা হল। কিশোরদের রাস্তার মোড় থেকে আর কিশোরীদের (জানিনা তারা সন্ধায় কি করে) থেকে নাটকের, গানের, বিতর্ক, বিগ্গানমেলায়, মঞ্চে নিয়ে আসা হল, আর তারা সেটা না করলে তাদের হাতে রিক্সা বা ঝাড়ু ধরিয়ে দেয়া হল। অবসরে একটি কিশোর ও একটি কিশোরী যদি স্বেচ্ছায় একদিন বিকেলে একসাথে ছবি বা নাটক দেখতে যায়, একসাথে ফুচকা খেতে চায়, আর হাতে পয়সা না থাকলে স্রেফ একসাথে ফুটপাথেই বসে থাকতে চায় - তখন সমাজ তাদের নিরাপত্তা দিল?

এটা করা কত কঠিন?

শামীম রুনা এর ছবি

কঠিন, অনেক অনেক কঠিন। কিন্তু কঠিনেরে ভালবাসিলে, সে কখনো করেনা বঞ্চনা।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দুর্দান্তদা, স্কুল কলেজ দুটোই ছিলো মেয়েদের, তাও জাবি এসে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। এখন হচ্ছে, কী সমস্যা জানেন? ছেলেদের খুব কাছ থেকে দেখে আর বিভিন্ন জায়গায় কাজের সুবাদে নানারকম মানুষ দেখে শুনে এখন আর কাউকে ভালো লাগাতে পারছিনা। বাবা-মা বিয়ের জন্যে চাপ দিচ্ছেন, কিন্তু কোনওভাবে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছিনা! আমার অফিসের লোকগুলাওতো বাড়িতে কারও স্বামী, কারও বাবা; তার পরিবার কি জানে অফিসে এসে এদের বদমায়েশীর কথা? আমি কীকরে জানবো যে আমার যিনি বর হবেন তার এই সু-অভ্যাস থাকবে না?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আলমগীর এর ছবি

রুনা
লিখে যান আপনার মতো, বিশেষ কোন 'অধিকার' লাগবে না।
তস্কর সব সময়েই ছিলো। মনোবল হারাবেন না।

শামীম রুনা এর ছবি

মনোবল ঠিক আছে। হয়তো আরো কিছু লেখা হবে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

লেখিকা রুনাকে চলুক

বলাইদা'র কমেন্টদ্বয়ে উত্তম জাঝা!

মেঘনাদ বধের জন্য আমার নিন স্নিগ্ধা ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

শামীম রুনা এর ছবি

আপনার সেই বাম হাত খানা কোথায়?
চায়ের কাপটিও সুন্দর।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

আহির ভৈরব এর ছবি

রুণা, গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। যা বলতে চেয়েছিলাম তা প্রায় সবই বলা হয়ে গেছে (যা একেবারেই শুনতে চাই না তাও বলা হয়েছে!) তাই শুধু শুভ কামনাটুকুই জানিয়ে যাই।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

শামীম রুনা এর ছবি

অনেক কিছুই বলা হয়ে গেছে। না বলাও থেকে গেছে কিছু।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তুলিরেখা এর ছবি

আগেই পড়েছি, কিছু বলা হয় নি।
লেখিকাকে ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। এ যে কি বিষ তা হাড়ে হাড়ে জানে যেসব মেয়ে উপমহাদেশে বেড়ে উঠেছে।
উপেক্ষা করতেই শিখেছিলাম, পথেঘাটে কত কুকুরবেড়ালছাগলও তো থাকে, এইরকম একটা মনোভাব নিয়ে, স্রেফ উপেক্ষা।

কিন্তু বুঝি এটা পলায়নপ্রবৃত্তি। সচেতনতা বাড়লেই এই সব বিষ কমবে, নইলে না। আশেপাশের ঘরের ছেলেগুলি যাদের সাথে ছোটোবেলা খেলাধূলা করেছি আম চুরি করে ভাগ করে খেয়েছি সব ছেলেমেয়ে মিলে, তারা হঠাৎ পশু হয়ে গেল একটা বয়সে পৌঁছে, ভাবতে ভালো লাগে না। তাদেরও নিশ্চয় ভালো লাগে না।

মনোভাবগুলো সমানে সমানে হলেই বোধহয় কমতে পারে এসব। বন্ধু কথাটা তো কথার কথা নয়। তারা কেন একদল আরেকদলকে ভক্ষক আর খাদ্যে র মতন দেখবে? শত হলেও সকলেই তো মানুষ। অমানুষ হতে কার ইচ্ছে হয়?

ভালো থাকবেন, আরো লিখবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কিউমিয়ান সিবিল এর ছবি

@মেঘনাদ, আমাকে বলিসনি, তৃতীয় পক্ষ থেকে খবর পেয়ে তোর পোস্ট দেখতে আসলাম। এসে দেখছি হুলুস্থুল। কিছু কিছু জিনিষ বোধহয় তোর ভুল হয়েছে। তুই বোধহয় ধরেই নিয়েছিস যে এটা একটা লিটারেচারের ফোরাম, যেখানে উঠতি লেখকেরা একে অপরের কোন বক্তব্যে সুঁচ পরিমান ফাঁক পেলেই ক্যাত করে ধরে কাঁত করে দিতে উদগ্রীব এবং করতে পারলে অন্যদের প্রসংশাই সে পাবে- বলা যায় না হয়তো বা বক্তব্য উপস্থাপনকারী নিজেই তাকে এসে হেসে বলবে স্যরি আমি ভুল বলেছিলাম, আমার ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। যদি আসলেই এটা কোন লিটারেচারের ফোরাম হতো তারপরেও একটি বাঙ্গালী লিটারেচার ফোরাম কখোনই এই পথে চলতো না। জীবন হুমায়ুন আজাদের কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ নয়। আমরা অনেক বেশী টেরিটোরিয়াল, অনেক বেশী ডিফেন্সিভ, অনেক বেশী সেক্সিস্ট। এখানে তুই ফেমিনিজম কপচাতে আসলে অপমানিতই শুধু হবি না বরং নিজেও একটি সেক্সিস্ট উপাধীই পেয়ে যাবি। আমি বলবো এটি একটি সোস্যালাইজিং এর ফোরাম। এখানে কেউ নিজের ক্যারিয়ার বানাতে আসে না- বন্ধু বানাতে আসে। এখানে কেউ এনলাইটেনমেন্টের স্বার্থে আসে না, মজা করার জন্য আসে। যারা গল্প কবিতা লেখে তারাও এটা ভেবে লিখে না যে ভবিষ্যতে এক সময় আমাকে টি এস এলিয়ট হতে হবে। লেখে বরং এই কারণে যে, নিজের মজা লাগে, প্রতিভা প্রদর্শিত হয়, অন্যে মন্তব্য করে, প্রসংসা করে, সেই প্রসংসা নিজেকে দেয় সেলফ্‌ গ্র্যাটিফিকেইশন। এমতাবস্থায়, এই ব্লগকে যদি মনে করি একটা মোটরওয়ে তাহলে তোর আচরণ একটি কেয়ারলেস ড্রাইভারের মতো যে কিনা এই দিলাম লাগিয়ে এই দিলাম লাগিয়ে করে ইতোমধ্যেই পাঁচ মিনিটে পঞ্চাশবার হর্ণ খেয়ে গিয়েছে। যদি ব্যাপারটা আসলেই গাড়ি চালানোর মতো সিরিয়াস কিছু হতো তাহলে তোকে উপদেশ দিতাম ড্রাইভিং লাইসেন্স খালে ভাসিয়ে দে- কিন্তু, সেটা করছি না যদিও তোকে তিরষ্কার ঠিকই করছি একটি সোসাইটির সোস্যাল স্ট্রাকচার কোনরকম বিশ্লেষণ না করে লোকজনের মাঝে ঢুকে ঠেলা-ধাক্কা শুরু করার জন্য। রিগ্রেইটেবলি, জীবন ট্যাগোরের শেষের কবিতা না যেখানে নায়ক মাত্রই ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া অমিত আর নায়িকা মাত্রই লাবন্য যে কিনা কোনদিক দিয়েই কোনকালের কোন বাঙ্গালী মহিলাকে রিপ্রেজেন্ট করে না। তুই নিজের জন্য যেমন সমালোচনা চাস সেটা এখানে না পেলে then piss off from here, অন্য জাগায় যা যেটা কিনা তোর সমমনা লোকজনের ফোরাম। সেটা না করে তুই কি করছিস, অন্যকে আঘাত করে দেখাচ্ছিস যে এইভাবে সমালোচনা করতে হয়, আমরা কি এটাকে বলতে পারি "স্বার্থপরতা"? আরও একটা জিনিষ তুই বুঝতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছিস যেটা কিনা- এখানে মহিলাদের জন্য প্রসংসার আলাদা একটি আসন সংরক্ষিত আছে, এটা আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। ব্যাপারটাকে তুলনা করতে পারিস মন্টি পাইথন এন্ড হলি গ্রেইলের ক্যাসল অ্যানথ্রাক্সের দৃশ্যটা দিয়ে যেখানে এক দঙ্গল মহিলার মাঝখানে স্যার গ্যালাহ্যাড সোর্ণ ইনটু চেস্টিটি। এখানে যদি তুই ইকুয়ালিটি কপচাতে যাস তোকে বিপদে পড়তে হবে। যদি তোর ম্যাসেজ এটাই হয়ে থাকে "বাঙ্গালী মহিলার প্লেয়িং দ্য ভিক্টিম পুরুষের জন্য সিডাকশন হওয়া উচিত নয়" তাহলে প্রথমে আমাদেরকে তোর বলতে হবে কেনো আমরা তোর কথা শুনতে যাচ্ছি। আমাদের ভ্যালুকে তুই এসে প্রস্তরযুগীয় গালী দিবি আর আমরা নিজেদের ডিফেন্ড করবো না পৃথিবীটা এতো সুধাময় কোন জায়গা না। এসেই হইহুল্লোড় শুরু না করে যদি আরও গভীর থেকে সেই কাজটাই করতি আমি নিশ্চিত তোর বক্তব্য সবাই গ্রহনই করতো কেননা এই ব্যাপারে আমরা আত্নবিশ্বাসী মানুষ পরিশেষে রিজন বোঝে। আর সবশেষে তোকে একটা কথা না জিজ্ঞেস করে পারছি না। তুই বাংলা সাহিত্য লেখা কেনো শুরু করেছিস যেখানে কিনা তুই এখনো ইংরেজীই ঠিকমতো পারিস না? নাকি তোর কাছেও মনে হয় মনে আসলো লিখলাম লিটারেচার হয়ে গেলো ব্যাপারটা এতোটাই সরল? আশা করি মধুসুদন, ট্যাগোর, জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ, অমিয়, বিষ্ণু এদের পর আর কোন উদাহারণ চাইবি না কেনো লিটারেচার লেখা শুরুর আগে লিটারেচার বোঝাটা খুবই খুবই জরুরী।

হিমু এর ছবি

আরও একটা জিনিষ তুই বুঝতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছিস যেটা কিনা- এখানে মহিলাদের জন্য প্রসংসার আলাদা একটি আসন সংরক্ষিত আছে, এটা আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। ব্যাপারটাকে তুলনা করতে পারিস মন্টি পাইথন এন্ড হলি গ্রেইলের ক্যাসল অ্যানথ্রাক্সের দৃশ্যটা দিয়ে যেখানে এক দঙ্গল মহিলার মাঝখানে স্যার গ্যালাহ্যাড সোর্ণ ইনটু চেস্টিটি। এখানে যদি তুই ইকুয়ালিটি কপচাতে যাস তোকে বিপদে পড়তে হবে।

কিউমিয়ান সিবিল, আপনি আপনার বন্ধুর মতোই দুর্মুখ, শুধু শুগার কোটিং দিতে জানেন ভালো। স্যার গ্যালাহ্যাডের ঐ দৃশ্যটার তুলনা কদর্য লাগলো আমার কাছে। "ইকুয়ালিটি"র অর্থ যদি হয় সবার সাথে দুর্ব্যবহার করা, তাহলে আমার কোট করা আপনার শেষের বাক্যটা সত্য হয়। মহিলাদের জন্যে "প্রশংসা"র আলাদা জায়গা আছে কি না জানি না, কিন্তু কাউকে পাইকারি হারে "গরু-ছাগল" ডাকলে প্রতিক্রিয়ার জায়গা সচলায়তনে আছে।

হোলি গ্রেইলের অন্য দৃশ্য থেকে উদাহরণ নিয়ে বলতে গেলে বলা যায়, সমালোচনার ক্ষুরধ্বনির নামে মেঘনাদ একটা গালির নারিকেলের খোলের দুখান আধলা খটাখট বাড়ি মেরে বোঝাতে চেয়েছেন, কোকোনাটস ডু মাইগ্রেইট, তাই না হাসি ?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্নিগ্ধা এর ছবি

এই পোস্টে তর্ক করতে করতে আমি ক্লান্ত - নাহলে আরেকটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতাম কেন আপনার বলা নিচের অংশগুলো ঠিক নয় -

আমরা অনেক বেশী টেরিটোরিয়াল, অনেক বেশী ডিফেন্সিভ, অনেক বেশী সেক্সিস্ট। এখানে তুই ফেমিনিজম কপচাতে আসলে অপমানিতই শুধু হবি না বরং নিজেও একটি সেক্সিস্ট উপাধীই পেয়ে যাবি।

একদমই ভুল। ফেমিনিজম বা যে কোন ইজম কপচানোর আগে সেটা নিয়ে কিছু ধারণা থাকাটা জরুরী - আসল সমস্যাটা সেখানেই ছিলো! মেঘনাদ নিজেই জানেন না কী বলতে চান।
যদি তোর ম্যাসেজ এটাই হয়ে থাকে "বাঙ্গালী মহিলার প্লেয়িং দ্য ভিক্টিম পুরুষের জন্য সিডাকশন হওয়া উচিত নয়" তাহলে প্রথমে আমাদেরকে তোর বলতে হবে কেনো আমরা তোর কথা শুনতে যাচ্ছি। আমাদের ভ্যালুকে তুই এসে প্রস্তরযুগীয় গালী দিবি আর আমরা নিজেদের ডিফেন্ড করবো না পৃথিবীটা এতো সুধাময় কোন জায়গা না।

এই প্রচ্ছন্ন বক্রোক্তির কী মানে?! এই পোস্ট পুরুষের শিভালরি জাগ্রত করার জন্য তো লেখা হয় নি! ইভটিজিং হয়, এবং সেটাতে আক্রান্ত কোন মেয়ের কী প্রতিক্রিয়া হয়, বা সে কী ধরনের আবগের মধ্য দিয়ে যায় - সেটা জানানো মানেই 'আহা উঁহু'র জন্য ফাঁদ পাতা নয়!
তবে আপনার এই উক্তিটির জন্য সাধুবাদ না জানিয়ে পারলাম না -
তুই বাংলা সাহিত্য লেখা কেনো শুরু করেছিস যেখানে কিনা তুই এখনো ইংরেজীই ঠিকমতো পারিস না?

ঘুরিয়ে বলা হলেও - কথাটায় সত্যতা আছে!

কিউমিয়ান সিবিল এর ছবি

আমার মনে হয়েছিলো মেঘনাদ কিছু পদক্ষেপ ভুল নিয়েছিলো, সেটা তাকে জানানোর জন্যই মন্তব্য করেছিলাম। এবং যেহেতু জানি এটা একটি উন্মুক্ত ফোরাম যেখানে আমার করা মন্তব্য অন্য সবাইও দেখতে যাচ্ছে- তাই, এই দায়িত্বও আমার উপর বর্তেছিলো যে, নিজের এমন কোন মত আমি প্রকটভাবে প্রকাশ করে ফেলতে যাচ্ছি না যা কিনা আরেকজন ইতিবাচকভাবে গ্রহন করবে না। আপনার কাছে যেটা মনে হলো বক্রোক্তি তা আসলে ছিলো এটা যে- আমার মত আমি প্রচ্ছন্ন রাখতে চেয়েছি, আসলেই কি আপনার মনে হয় এটা অনুচিত হয়েছে? মেঘনাদের মতো নিজের মত প্রকটভাবে প্রকাশ করে বসলেই কি সেটা বরং অনুচিত হতো না? আমি মনে করি, একটি উন্মুক্ত ফোরামে আমার মতের প্রতিনিধিত্ব করে মনে মনে আমি কি ভাবছি তা নয় বরং মুখে আমি কি বলছি তা। এমতাবস্থায়, আমার সাইকোঅ্যানালিসিস আপনি শুরু করলে অবশ্যই সেটা আমার জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। আমি মনে করি কিছু ব্যাপারে আমাদের আরেকটু বেশী ওপেন হওয়া উচিত- we need to learn how to take it. একটু সমালচনা শুধুমাত্র কটু বলেই তার কন্টেন্ট সম্পুর্ণ অগ্রাহ্য করে সমালোচনাকারীর মনস্তত্ব আলোচনা আমরা শুরু করবো না, এতোটুকু সহ্যক্ষমতা আমাদের কাছ থেকে আশা করাটা কি মোটেও অযৌক্তিক? আমার বক্তব্য ব্যালেন্সড রাখার চেষ্টা করার পরও আপনার মনে যদি হয়েই থাকে সেটা ছিলো বক্রোক্তি- then well হ্যা অনেকগুলো ব্যাপারই আমি মনে করি হার্ডকোর ভুল, অনেক ব্যাপারেরই চরম চরম বিরোধী আমি- একটা মানুষ যতটুকু বিরোধীতা করতে পারে ঠিক ততটুকুই। আর ইংরেজীর ব্যাপারটা সম্ভবত ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। আমার বক্তব্য ছিলো- মধুসুদন, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, অমিয়, সুধীন্দ্রনাথ, বিষ্ণু, বুদ্ধদেব এরা সবাই ছিলো ইংরেজী শিক্ষিতই শুধু নয় ইংরেজীর ছাত্রও, তারা ইংরেজী সাহিত্য বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পড়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, ইংরেজী সাহিত্যে ভালো দখল না থাকলে বাংলা সাহিত্য লেখা অসম্ভব যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সুফিয়া কামাল, কায়কোবাদকে সাহিত্যিক বলতে রাজী। আমি মেঘনাদকে বলেছি আগে ইংরেজীর পাঠটা আরেকটু ভালো করে চুকিয়ে তারপরই তার বাংলা শুরু করা উচিত।

অনুপম শহীদ [অতিথি] এর ছবি

@কিউমিয়ান সিবিল... হে মহাত্মা! আপনি শিষ্যের ভুল দেখিয়া, তা শোধরাইয়া দেবার নিমেত্তে 'শামীম রুনা'র লেখা পোস্টে নিজের সুচিন্তিত মতামত লিখিয়া জানাইয়াছেন, দেখিয়া আমার মত অশিক্ষিত-অজ্ঞান ব্যক্তির ফুলমালা লইয়া আপনাকে অভ্যর্থনা জানানো উচিত ছিল বলিয়াই মনে হইতেছে। আপনার প্রথম মন্তব্যের প্রতিটি লাইনে লাইনে যে জ্ঞানের প্রকাশ করিয়াছেন তাতে আমার নিজেকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র মনে হইতেছে, আপনার পরে এই লেখা লিখিতে গিয়া। আপনার শিষ্য আলোচিত সম্পূর্ণ লেখা পড়িয়াও তাহার বিশাল জ্ঞানে এতটুকু যুক্ত হতে পারে এমন কোন তথ্যর সন্ধান পাননি দেখিয়া তার মতামতে জানাইয়াছেন; তাই আগেই ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া রাখিতেছি যে এই দুই লাইনের মন্তব্য আপনার জ্ঞানের পরিধি ছুঁয়ে যাওয়া তো দূরের কথা তাহার কাছ ঘেঁষিবার যোগ্যও নহে।

যেহেতু এই ব্লগে যাতায়াতের অভ্যাস আছে এবং তারপরে আবার একজন নিরব পাঠক, সেই হেতু আপনার বুঝিতে নিশ্চয়ই কষ্ট হইবেনা শিক্ষা/জ্ঞানের বিচারে আমার অবস্থানটা কোথায় আপনার এবং আপনার বিশাল মেধা-মনন-জানার প্রেক্ষিতে। আপনার শিষ্য মহাত্মা মেঘনাদের কাছে এখানে যারা লেখালেখি করেন তাদেরকেই চতুষ্পদ বিভিন্ন প্রাণীর সমতুল্য বলিয়া ধারণা হইয়াছে, অতএব আমি তো ক্ষুদ্রতম কীটেরও নীচ! তাই ভুল কিছু বলিলে আমার অজ্ঞানতার দোষ বলিয়া ক্ষমা করিয়া দিয়েন!

শিষ্যের ভুল দেখিয়া আপনি যতটা আঘাত পাইয়াছেন আপনার প্রথম মন্তব্যে প্রকাশ করিয়াছেন তাহার চেয়ে বেশী প্রকাশ দেখি অন্যকে আঘাতের প্রচেষ্টা! (স্নিগ্ধা আপুর লেখা ৫১-নং এর মন্তব্যটা যে পড়িয়াছেন সে বিষয়ে আমার সন্দেহ করাও আমার অপরাধ!) 'যে ব্লগে লেখকেরা নিজেরা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য লেখে' সেখানে আপনার মত বিদগ্ধ চিন্তাবিদ একজন মানুষ যখন সূক্ষ খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করেন তখন স্বভাবতই কারো খুব বেশী গায়ে লাগার কথা না! এটা নিশ্চয়ই আপনি নিজেও জানতেন। তারপরেও আপনি একাধিকবার এখানে মন্তব্য করিতেছেন দেখিয়া মনে প্রশ্ন জাগে এরপরে আবার আপনাকে এই 'স্থুল বুদ্ধির মানব সকল' থেকে সরাইয়া লইবার জন্য আরও কোন আপনার সমমনা মহাত্মার আগমন ঘটিবে নাকি?! (আগে থেকে জানা থাকিলে সুবিধা হয় কারণ তাহলে আর আপনার বেলায় যে ভুল হইয়াছে তাহা দ্বিতীয়বার ঘটা থেকে নিস্তারের সুযোগ থাকে)

আর মহাত্মা কিউমিয়ান সিবিল আপনার মত উচ্চ স্তরের মানবকূলের মুখে 'ইকুয়ালিটি কপচানো' শুনিয়া বড়ই লজ্জিত বোধ করি। কারণ আমি না হয় আপনার স্তরে পৌছাতে পারিলামনা তবু আপনাদের মত মানুষের সম্মান করাটার চেষ্টা তো করিতে পারি। সেই আপনারা যদি আমার মত মানুষের স্তরে নামিয়া আসেন তাহলে কি তা আপনার মেধার অপচয় হয়ে যায় না?!(যার অভাব এই বাঙালী সমাজে বড়ই প্রকট! তাই কি নয় মহাত্মা?!)

পরিশেষে ছোট্ট একটি অনুরোধ, এই কিউ-মিউ-সিল-বিল নামের পিছনে নিজের মহান নামটা ঢাকিয়া না রাখিয়া যদি সেই নাম জানার সুযোগ এই অভাগাকে দেন, তাহলে বড় উপকার হয়! ভবিষ্যতে যখন আপনার নাম টি. এস. ইলিয়ট, ট্যাগোর, জীবনানন্দের পাশে উচ্চারিত হবে তখন যেন এই অজ্ঞান চিনিতে পারে!

যদি কষ্ট করিয়া পুরোটা পড়িয়া থাকেন তাহলে সবশেষে আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি যে কোন রূপ ভুল-ত্রুটির জন্য!

_________________________________________________________

@শামীম রুনা... আপনার লেখাটা আগেই পড়েছি, কিন্তু কিভাবে এই অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত তা জানা না থাকায় কিছূ লেখা হয়নি। আর এ এক এমন অপরাধ যা আমরা এখনও করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আমার মত একজন বা এখানে পড়েন-লেখেন কজন পুরুষের ক্ষমাপ্রার্থনা কোনভাবেই এই অপরাধের ভার আমাদের ওপরে হালকা করবেনা। তাই অপরাধ স্বীকার করে নিরব থেকেই বিদায় নিচ্ছি।

@স্নিগ্ধা আপু... আপনার দৃঢ় প্রতিবাদী কন্ঠ সাহস যোগায় অনেককে!

আলমগীর এর ছবি

খুবই আফসোস লাগে আপনি বা আপনার বন্ধুর মতো বোদ্ধার আসল নাম জানি না। আপনারা ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যে বিপুল অবদান রাখবেন, কোন সন্দেহ নেই। শুধু আগে থেকে একটু প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে আম পাঠকের সুবিধা হতো।

ভাল কথা, সচলয়াতন সম্পর্কে এত কথা বললেন, সচলায়তন কত দিন ধরে পড়েন? এর আগে আপনার কোন মন্তব্যও দেখেছি বলে মনে পড়ে না।

আরো একটা কথা, আপনার বন্ধু তো আর এখানকার সদস্য না। তাকে যা বলার মেইলে বললেই তো ভাল হয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে মেঘনাদের জন্য খুব মায়া লাগছে। স্থান-কাল-পাত্রের বিন্দুমাত্র বোধ নাই, সে আবার সাহিত্য সমালোচক! বেচারা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তুলিরেখা এর ছবি

স্নিগ্ধা,
আপনাকে সমর্থন।
এইসব মেঘনাদ ও তার বন্ধুদের কমেন্টগুলো দেখেই পরিষ্কার বোঝা যায় কেন মানুষকে আজও এই ২০০৯ সালেও ইভ টীজিং নিয়ে লিখতে হয়। কেন এগুলো
ক্রীতদাসপ্রথার মতন কোনো ইতিহাসের বিষয় হয়ে যায় নি।
এইসব চরিত্রদের প্রতি কি করা উচিত ?
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আলমগীর এর ছবি

মেঘনাদের নাদানো আর দেখতে ভাল্লাগছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমতকার

মেঘনাদ এর ছবি

যখন কোনো আলোচনা পুরোপুরি পঁচে যায় তখন তা নিয়ে সাধারনত আমি আর কোনো মন্তব্য করি না। কিন্তু যদি তা ভালো লেখার রেফারেন্স পায় তবে তা নিয়ে বোধহয় কিছু না বললে অপরাধ হবে। তাই আবার আসা। অনুপম শহীদ ৫১ নং মন্তব্যটিকে মনে করেছেন কোরান টাইপের কিছু (এখানে অবিশ্বাসীকে ঝাঁঝরা করে ফেলা হয়েছে!) যদিও এখানে কি হলো না হলো তা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই তারপরো আমার মনে হয় সময়ের স্বার্থে কিছু বলে যাওয়া ভালো।

প্রথম থেকে শুরু করি।

কোনো এক জায়গায়(বোধহয় হুমায়ুন আজাদ এর শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ) এ এক সময় পড়েছিলাম গাসেত (নিশ্চিত নই) এর একটা সূত্র। এক জন রোগীর পাশে স্ত্রী, ডাক্তার এবং দর্শক থাকলে এই দৃশ্যটির সবচেয়ে শৈলপিক উপস্থাপনা শুধুমাত্র এই দর্শক ই করতে পারেন। (অনেকটা এরকম। ভুলে গেছি। ক্ষমা করবেন)
সে সূত্রানুযায়ী আপনি একজন সফল শিল্পী। সাধুবাদ জানবেন।

পরে আমি যা লিখেছি তা থেকে এ প্যারা আপনাদের কাছে ব্যাংগ ছাড়া অন্য কোনো অর্থ দিলে আমি আপনাদের জন্য দূঃখিত হবো। এখানে আমি চরিত্র উপস্থাপন করেছি। যার মধ্যে কোনো একটি চরিত্র নিয়ে আমি কথা বলবো পরে।
এখন আসা যাক মূল প্রসংগে।
এ লেখাটা আপনি এখানে লিখছেন কেনো?
আপনি তার সমাধান দিয়েছেন শেষে,
উদ্ধৃতি
সে সময়ে পাশে একজন সহমর্মী বন্ধুর খুব, খুব দরকার।

আমি লেখকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার আরোপিত উত্তর নিয়ে এসেছি।

খুব ভালো কথা। তাহলে অনুমান করা যাচ্ছে আপনি একজন "ধনে পাতা, কই মাছ বিষয়ক মানুষ"। আরো ভালো কথা।
বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত ৯৯ জন তাই। যদি তাই হয় তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ বিষয়ে লেখার অধিকার আপনাকে কে দিলো?

এটি হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের সব মানুষ এভাবেই চিন্তাভাবনা করে। “ধনে পাতা, কই মাছ বিষয়ক মানুষ” হুমায়ুন আজাদ এর বহুল ব্যাবহ্রত উপমা (কবুল কবুল জামাইয়ের মতো)।
প্রথম ঘটনায় আপনার অবস্থান অনেকটা এরকম, " ভাইরে, আমিতো খুব ভালো মানুষ। ঘটনা দেইখা খুব মন খারাপ হইলো তাই তোমাগো লগে শেয়ার করলাম। আমি কইকী আমার একটা দোস্ত লাগবো (এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড এ গান বাজবে) তোমাদের মাঝে কী কেউ আছে......।"

পুরো লেখার সারাংশ।
ঘটনা শেষ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সেখানে আপনি কী করলেন?
উদ্ধৃতি
নিজের ভেতরে ভ্রান্তি বোধ করি।

(সভ্য সমাজের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছামতো গালাগালি করা যায়না। ALAS!)

ঊনার ভ্রান্তি বোধ করাটাকে গালাগালি করলাম না করেই।

নিজে বাঙ্গালী। দূঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এখন পর্যন্ত তা নিয়ে গর্বিত হওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি এবং মজাদার ব্যাপার হচ্ছে বাঙ্গালীর মানসিকতা আমি একদমই বুঝি না।
লেখিকা@ আমি আপনার পুরো রচনাটি পড়ে এমন কোনো তথ্য পাইনি যার বদৌলতে লেখাটি ছাপার অক্ষরে আসতে পারে।

এখানে আমি মনে করি আমরা সবাই এ বিষয়ে কমবেশী জানি।এ সচেতনতা নিয়ে আমরা কে কে জানিনা? ্কেউ হাত তুলুন। আমি মাফ চাইবো।

এখন কথা হচ্ছে আমরা ২০০৯ সালে আশা করছি আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে এবং “সচেতনতা” নামক এভারেষ্ট এর চূড়ায় উঠে কিছুক্ষন সে সাফল্য নিয়ে নাচগান করে তারপর নিজেকে সে কাজটি করার উপযোগী করবো!!!!! এইতো।
সময়টি যদি হতো ১২০০ তাহলে হয়তো বলতাম “Good Job”। কিন্তু দূঃখজনক হচ্ছে ব্যাপারটি তা নয়। শুধুমাত্র সচেতন্তা নিজেদের মাঝে তৈরী করাটাই শেষ কাজ নয় এখন আর।

তার চেয়েও বেশী মজা পেলাম পাঠক কূলের মন্তব্যে । (কমবেশী প্রত্যেককেই ধরার ইচ্ছা ছিলো । সময় সল্পতার কারনে কুতসিত, অরুচিকর, অবান্তর কয়েকটি নিয়ে একটু মজা নিয়ে যাই)
তিথীডোর@ আহারে!! আমার আদর আপনার জন্য।
মৃত্তিকা@ হোঃ হোঃ হোঃ...অকপট? হোঃ হোঃ হোঃ......(মারা যাবো)।
শেহাব@ ঊহু! ঊহুরে!
অরুন@ ভাইরে আমার বাপ মা মুসলিম, কাগজে আমিও। এখন কী আমেরিকানদের হাতে পায়ে ধরে মাফ চাবো? তাইলে তো বিপদ!
মউ@
উদ্ধৃতি
কতোটা দাম্ভিকতা দিয়েছে সমাজ ওদের

PARDON!!!! আমিতো জানতাম এটা আমি, আপনি এবং সে নিয়ে হয়!!!
মূলত পাঠক@ আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করতাম। আর আপনি এসে গল্প বলে গেলেন লেখিকাকে ধরার বদলে!!!!!!!! আমি দূঃখিত এবং হতাশ।

এই একাকিত্বের কান্নাভেজা কৈশোর সদ্য পেরিয়ে এসেছি আমিও...কোচিং থেকে ফেরার পথে আচমকা ছুঁড়ে আসা রূড় মন্তব্যে কতো কেঁদেছি ! অচেনা কলারদের উটকো কলে আজীবন কিশোরীটিকেই দোষী ঠাউরে নিতে হবে ???ধন্যবাদ আপুনি ,ভালবাসা রইলো... *তিথীডোর

তিনি যেনো জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন!!!! জাতির বিবেক তাকে মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধার করবে!!!একে আমি কীকরে সম্মান জানাই? তিনি তো নিজেকে পুতুল পুতুল বানালেন নিজের মন্তব্য দিয়ে।
শামীম আপু, এমন অকপট লেখার জন্য

কী করলে তিনি কপট হতে পারতেন? এখানে এমন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে লেখিকা সমাজের প্রতিষ্ঠিত নিয়মের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন!!! অনিয়ম এর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য অকপট হওয়ার প্রয়োজন পড়েনা।
শেহাব এর মন খারাপ!!!!!!!!!!কী নিয়ে!!!! মন খারাপ হবে কেনো!!! তিনি রাগ করতে পারেন অথবা অন্য অনেক কিছুই করতে পারেন!! মন কেনো খারাপ হবে তার?!!!
অরুন মাফ চেয়ে দায় সেরেছেন। আর কতো দিন অন্যের অপরাধের বোঝা নিজের কাধে নেবো?নিলে লাভটা কী হচ্ছে?
মউ মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে সমাজকে দোষী করে গেলেন!!!
মূলত পাঠক অভিজ্ঞতা বললেন তাতে কার কী লাভ?

আমি এইসব অহেতুক চরিত্র গুলো নিয়ে যদি মজা না নেই তবে আমাদের সমাজ যে জায়গায় ছিলো সেখানেই থাকবে।
আমি লেখিকার হাত গুটিয়ে রাখাকে গালাগালি করে আমাদের মধ্যে মেরুদন্ডহীন প্রতিটি একককে গালাগালি করছি।
কারন এ বিষয়ে জন্মের পর থেকে তো কম লেখালেখি আর দেখলাম না!!!লাভ কার কী হয়েছে?

আমার বক্তব্য ছিলো এটাই। যিনি একমত ছিলেন না তিনি এ কএকটি বিষয়ে আসতে পারতেন সামনে। যেহেতু আমি প্রতিটি ব্যাক্তিকেই তার ভুলের জন্য ধরছি। এগিয়ে আসলে তাকেই আসতে হবে। আমি তার ভুল নিয়ে তার সাথেই তর্ক করতাম। তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতো। কারন আমার এ পুরো মন্তব্যে আমি আমার সিদ্ধান্ত দিয়েছি। ব্যাপারটি এমন যে Debate এর আগে স্বীকার্যটি বলে নেয়া, আমি কী নিয়ে কথা বলবো সে বিষয়টি। এটা কোনো যূক্তি ছিলোনা, ছিলো উপস্থাপনার শুরু। যেটা আলোচনায় গড়াতো। “একক দায়িত্ববোধ”!!

এখন আসা যাক মূল প্রসংগে। এ সময়ে আমার প্রতিপক্ষদের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হলেন “স্নিগ্ধা”। এবং কী নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন? সভ্যতা ভব্যতা!!!
তিনি শুরু করলেন বিশাল ভুল বোঝা দিয়ে। তিনি মনে করেছেন দর্শকও ঘটনার অংশ!!!!
তারপর লেখিকাকে লেখা মন্তব্য কোট করলেন(Out of Context) এবং অন্য জায়গা থেকে মন্তব্য নিয়ে এলেন(যা পুরোপুরি অন্য বিষয় নিয়ে লেখা)।
বানালেন ক্ষীর পোলাও নামক খুব খুব ভালো খাদ্য!!!
প্রশ্ন তুললেন লেখিকাকে করা মন্তব্য নিয়ে।
তিনি খুবই সহজ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যেটি না বোঝার কোনো কারন আমি দেখিনা। যেহেতু পুরো মন্তব্যে লেখিকাকে আমি গালাগালি করতে চেয়েছি ঐ একটি বিষয় নিয়েই। তার মেরুদন্ডহীনতা নিয়ে।
নৃপুংসক হচ্ছে যার যৌনাংগ আছে কিন্তু তা কাজ করেনা। এটা বোঝার জন্য আইনষ্টাইন হওয়া লাগে না। এটাওতো রূপক।

আপনার এ মন্তব্যের পর আমি এসে যথাসম্ভব কম কথায় উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি কারন চেয়েছি লেখিকা এসে প্রশ্ন গুলো করুক। কারন তার সাথে আমি তর্ক করতাম এবং স্বীকার করাতাম যে পরেরবার তিনি কিছু করবেন ।

গাল দেয়াটা হচ্ছে আলোচনা শুরু করার সবচেয়ে ভালো উপায়। ১০টা গালি খেয়েও যদি আমি ৫ টা মানুষ বের করতে পারতাম যারা বলে যাচ্ছেন যে পরেরবার তার সামনে এরকম কিছু হলে তিনি কিছু করবেন অথবা করেছেন তা হলেও আমি সফল হতাম। কম্পিঊটার এর পাতায় যুদ্ধ করে যদি আমরা না জিতি তবে কর্মক্ষেত্রতো “বহোত দূর কী বাত!!!”। আপনি কী চাচ্ছেন এ পাতাটি হয়ে থাক হতাশ বাঙ্গালীদের অর্থহীন প্রলাপ সমগ্র?

স্নিগ্ধা, যে সভ্যতা আমাদের কিছু করতে শেখায় না সে সভ্যতার মুখে আমি থুথু দেই। আপনাদের পুরো সভ্য থাকাটাই আমার কাছে বিশাল ভন্ডামো মনে হয়।সে হিসেবে আমার কাছে আপ্নারা বিশাল ভন্ডের দল যেহেতু প্রথম ১৪ টি কমেন্ট এ একমাত্র দময়ন্তী ব্যাতীত আর কোনো সমাধান আসেনি (যদিও তা খুবই মহিলারী সমাধান!!!) এবং তিনি সে স্বভাব পরেও বজায় রেখেছেন তাই তাকে নিয়ে কিছু বলার নেই।

আপনাদের একেকজনের সমাধান শুনে আমি মারা যাই। সচেতনতা একটি চর্চার বিষয় এরকম হাজারো হেনো তেনো !!!!!!!হা ভগবান!!!!!

আপনি আমার পুরো উদ্দেশ্যর গাছে যে কেরোসিন ঢেলেছেন তা নিয়ে বলার কিছু নেই । আপনাকে আমি যা বলতে চাই তা হচ্ছে না পড়ে না বুঝে তর্ক বাধানোটা বোকামো। গত দু মাসে আমি মন্তব্য করেছি চারটি পোষ্টে যদিও আমি নিয়মিত পাঠক। তর্ক করাটা আমার হবি হলে প্রতিদিনই করতে পারতাম।

এবং অনেকগুলো পোষ্টে আমি দেখেছি তার মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার মতো অহেতুক হাউ কাউ আপনি নিয়মিত করেন কারন কোনো একটি লেখা পড়ে তার মানে বের করার ক্ষমতা আপনার কম। লাইমলাইট এ থাকতে আপনার ভালো লাগে এবং এ জন্য আপনি চামড়া ছুলে দিতেও রাজী। আমি জানি আপনি আমাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। উত্তর হচ্ছে এখানে আমি অতিথি লেখক হিসেবে মাঝে মাঝে লেখা দেই, আপনি কী আমার নাম দেখেছেন? আপনি কী আমার নিজের নামটি জানেন? এখানে আমার সাথে অযথা ভালো মন্দ প্যাচাল পারতে কাউকে দেখেছেন?
লাইম লাইট আমি চাই কিন্তু তা এখানে না এবং এখন না। যোগ্য করেই সেটা আমি নেবো নইলে নেবো না।
এ পোষ্ট থেকে আমরা কিছু মানুষ বের করতে পারতাম সেটা হতো এ পোষ্টের সফলতা। আপনার বেশী বোঝার কারনে তা ব্যার্থ হয়েছে।

এখন আসা যাক দ্বিতীয় পর্বে। (৫১ং ং মন্তব্য এর উত্তর)
১। আমি তো ব্যাক্তি আক্রমনই করছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা লজিক্যাল ফ্যালাইসি না কারন আমি বিতর্ক শুরু করার সুযোগ ই পাইনি।
ক। কোনটা তে কী কারনে মজা পেলাম তা আপনি তাকেই প্রশ্ন করতে দিতেন। আপনি কী বোঝেন নি যে ওটা উস্কানিমূলক।
খ। নিজেদের প্রমান করার সুযোগ তো দিলেন না!!
গ। লেখিকাকে এ প্রশ্ন নিয়ে সামনে আসতে দিতেন তবে আমি হয়তো প্রমান করতাম তিনি ছিলেন কিন্তু এখন নন।
২. ক।এটা ছিলো আমার খটি বিস্ময়।
আপনি আমার মন্তব্য পড়ে বুঝতেই পারেননি যে লেখার শিল্পমূল্য আমার বিচার্য্য বিষয় নয়। আমি এখনো বিস্মিত।
খ। এটা একটু মজা পেয়েছি। কী করবো বলেন? তিনি কান্নাকাটি করবেন এবং আমার(!) মন্তব্যে আপত্তি জানাবেন এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
গ। আপনি কী!!! আমি তো বলেই দিয়েছি আমি কী চাচ্ছি? তাকে বলতে দিন যে তিনি যা করেছেন তা স্বাভাবিক তাহলে তো বিতর্ক শুরু হবে নাকী?

এখন দেখা যাক আমার personal incredulity।

১.ক।আপনি কোনো প্যারা পড়ে তা থেকে কিচ্ছু উদ্ধার করতে পারেন না। এটুকু আবার পড়ুন ভালো করে। সমাধান দুটি হলেও আমি আমার টা প্রমান করতে পারলেই হবে । সেটার জন্য আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে।

লেখিকার প্রথম প্যারা পড়ে আমাদের কী কী চিন্তা/প্রশ্ন আসতে পারে?
অপশন ১। কিচ্ছু আসবে না।
অপশন ২। লেখিকা কী করলেন?(যেহেতু তিনি উত্তর দিয়েছেন)

অপশন ১। হলে সে আসলেই গরু ছাগল।(I m serious now)
অপশন ২। এরা মানুষ। যদি “ভ্রান্তি বোধ” উত্তর আসে তবে তা আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
এখান থেকে বিতর্ক শুরু হবে। আমরা যদি প্রমান করতে পারতাম যে ভ্রান্তি বোধ করাটা অমানুষের কাজ তাহলে আমরা জিততাম।
খ। আমরা তো আদিম যুগ থেকেই পরনির্ভরশীল। আপনি এখন সেটা হবেন নাকী স্বনির্ভর হবেন তা আপনার ইচ্ছা। আমি আপনার মত নিয়ে বিদ্রুপ করবোই। এটা কোনো যূক্তি ছিলোনা।

৩. আমি যা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি তা আমি খুব ভালো করেই জানি। আপনার চিন্তা ভাবনা সীমিত বিধায় আপনি ধরতে পারছেন না যে আমি একক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পক্ষে। তা না করলে বিভিন্ন জায়গায় যে বিভিন্ন সমস্যা আসে তা নিয়েই বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা হবে। আমার মতে সমাজ কিছু স্বনির্ভর/পরনির্ভর এর সমষ্টি হওয়া উচিত না। এটা হওয়া উচিত স্বনির্ভর এককদের সমাজ।

সে সমাজ হয়তো সচলায়তনের মতো বাংগালী সমাজ হবে না। এখানে আমরা নিয়মিত একে অন্যের প্রশংসা করছি এবং বুড়ো হচ্ছি। এটা কোথাও, কোনোদিকে যাবে না কখনো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

এবং অনেকগুলো পোষ্টে আমি দেখেছি তার মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার মতো অহেতুক হাউ কাউ আপনি নিয়মিত করেন কারন কোনো একটি লেখা পড়ে তার মানে বের করার ক্ষমতা আপনার কম। লাইমলাইট এ থাকতে আপনার ভালো লাগে এবং এ জন্য আপনি চামড়া ছুলে দিতেও রাজী।

এক্কেবারে ঠিক,ভীষণভাবে ঠিক! আমার লাইমলাইটে থাকার 'চামড়া ছোলা' আকাঙ্ক্ষা যেহেতু আপনি ধরেই ফেলেছেন, তাই এরপর আর কোথাও আপনার কোন মন্তব্যের জবাব দিয়ে নিজের 'মানে বোঝার অক্ষমতা' খোলা হাটে প্রকাশিত করার ঝুঁকি নেবো না - নিশ্চিন্তে যা খুশি বলে যান। সত্যি বলতে কি, যে "স্বনির্ভর এককদের সমাজ" গঠন করতে চায় তাকে ঐসব গালিটালি না খেলেও আমার আর কিছু এমনিতেও বলার থাকতো না হাসি

আরেকটা কথা না বলে পারছি না - আপনার এই মন্তব্যটা পড়ার পরে আপনার ওপর এমনকি একটু রাগও হচ্ছে না!!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি ভাবছিলাম, আপনি এইটার উত্তর আপনার ৫১ নম্বর মন্তব্যের লিংক দিয়াই এক বাক্যে শেষ করবেন। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্নিগ্ধা এর ছবি

লাভ নাই তো - ইন ফ্যাক্ট কিছু বলেই মনে হয় লাভ নাই!

আর্মি থেকে অনেকসময় দোষ টোষ করলে অসম্মানের সাথে বরখাস্ত করে দ্যায় না?

আমি সেরকম নিজেকে এই বিতর্ক থেকে অসম্মানের সাথে রিটায়ার করাচ্ছি হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সে সমাজ হয়তো সচলায়তনের মতো বাংগালী সমাজ হবে না। এখানে আমরা নিয়মিত একে অন্যের প্রশংসা করছি এবং বুড়ো হচ্ছি। এটা কোথাও, কোনোদিকে যাবে না কখনো।

এটাই মূলকথা। আপনি যে 'স্থান' জিনিসটা এতক্ষণে ধরতে পেরেছেন, এতেই কৃতার্থ হলাম। এরপরে 'পাত্র' জিনিসটা সম্পর্কে আরেকটু বোধ এলে
গাল দেয়াটা হচ্ছে আলোচনা শুরু করার সবচেয়ে ভালো উপায়।
এই ফতোয়াটাও জলে যাবে। তাছাড়া কালের বিচার নিয়েও মনে হয় একটু আসমানী ভাবনায় আছেন। আসমানী ভাবনার কর্পূর উবে গেলে
এখন কথা হচ্ছে আমরা ২০০৯ সালে আশা করছি আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে এবং “সচেতনতা” নামক এভারেষ্ট এর চূড়ায় উঠে কিছুক্ষন সে সাফল্য নিয়ে নাচগান করে তারপর নিজেকে সে কাজটি করার উপযোগী করবো!!!!! এইতো।
সময়টি যদি হতো ১২০০ তাহলে হয়তো বলতাম “Good Job”। কিন্তু দূঃখজনক হচ্ছে ব্যাপারটি তা নয়। শুধুমাত্র সচেতন্তা নিজেদের মাঝে তৈরী করাটাই শেষ কাজ নয় এখন আর।
এই মহান বাণীটিও অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। তখন বোধে আসতে পারে যে, ২০০৯ বা একবিংশ শতাব্দীতে ১২০০র ফর্মূলা খাটে না বলে ১৮০০র ফর্মূলাও নিপাতনে সিদ্ধ বলে চালিয়ে দেয়া যায় না। বাঁদরের হাতে লাঠির বাড়ি খেয়ে মেরুদন্ডের প্রমাণ দেয়ার দিনও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।

সমস্যার ওপর ফোকাসের চেয়ে ব্যক্তির সাথে কুস্তি করার মানসিকতা হিটপ্রাপ্তির জন্য অবশ্য ভালো উপায়। কেউ যদি মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করে, তখন প্রথম কাজই হবে ইতিহাস ঘেটে বের করা, সে নিজে কবে, কোথায় মিথ্যা বলেছিলো। তারপর শুরু হবে সেটা নিয়ে ত্যানা প্যাচানি। একইসাথে আসবে ত্যানার সাথে সুপারগ্লু হিসেবে মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করার অধিকার তাকে কে দিলো, সেই প্রশ্ন। তারপরে সরাসরি চলে যেতে হবে, ত্যানাম্যান নিজে মিথ্যাকথা বলতে নিষেধকারীর চেয়ে কতো উঁচুস্তরের মানুষ সেই আলোচনায়। মিথ্যাকথা বলার প্রশ্নে আর কোনো অগ্রগতি হবে না (এটা ছাগোলে গাছের চারায় মুখ দেয়ার সমতুল্য); কিন্তু ত্যানাম্যান হিট হয়ে যাবেন, বুকে ফুঁ দিয়ে বলবেন, "দ্যাখ, আমি কতো বড়ো জ্ঞানের ভান্ড!" কেউ যদি এরপর ত্যানাম্যানকে থুথুও দেন, ত্যানাম্যান ভাববেন, "ছোঃ আমি আসমানের লোক। তোরা শালা নির্বোধ বাঙালি, তোদের থুথু আমার গায়ে লাগবে কি! তোদের কি বিশাল ভাগ্যি, আসমান থেকে তোদেরকে জ্ঞান দিতে এসেছি!"

মেঘনাদ ভাই মেঘের দেশ থেকে আমাদেরকে, নির্বোধ বাঙালিকে জ্ঞান দিতে থাকেন, আমরা আমোদবোধ করতে থাকি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

যুধিষ্ঠির এর ছবি

যদিও এখানে কি হলো না হলো তা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই

আর

এটা কোথাও, কোনোদিকে যাবে না কখনো।

তাই যদি হয়, তবে

... আমি নিয়মিত পাঠক।

ক্যান? প্রশ্নের উত্তর দিতে আইসেন না আবার, কারণ আমি আপনেরে সচলে আর দেখতে চাই না। আপনে আপনার বন্ধুর পরামর্শমতো অন্য কোন ফোরামে গিয়া সময় কাটান, যেখানে আপনের সমমনা লোক আছে। ওইখানে গিয়া স্বনির্ভর এককদের সমাজ বানান। আমাগো মানুষ বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা বাদ দেন, নিজের লাইমলাইট নিয়া কাজ করেন। খুদাপেজ।

প্রিয় মডারেটরগন, বিরতিহীন ব্যক্তি-আক্রমন চলতে থাকার কারণে এই মন্তব্যে আপত্তি জানাইলাম। আগের সব কথা ফিরায়া নিয়া বলতেসি, মডারেটেড সাইটে এইরকম অসভ্যতা দেখতে চাই না।

মাঝে মাঝে মনে হয় সাইফ তাহসিনের কাছে মাফ চায়া আসি, যে ভাই কয়দিন আগে আপনেরে খামাখা মাত্রাছাড়া মন্তব্যের জন্য দোষারোপ না করলেও পারতাম, কারো মাত্রাছাড়া রূপটা এখন খুব মিস করতেসি। মনে হওয়া মনেই রাখি, কারণ পারস্পরিক সম্মানবোধটারে আমাদের সচলায়তনে আমরা খুব মূল্য দেই।

কিউমিয়ান সিবিল এর ছবি

@মেঘনাদ, তোকে আবার মন্তব্য করতে আসতে দেখাটা একটা বিরাট হার্টব্রেক হলো। তুই তোর অবস্থান এমন একটা পর্যায়ে নিয়েছিস যেখানে, তোর স্ট্যাটাস এখন অনাহুত। তোর এই স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে হলে হয় তোকে সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে (গড ফরবিড)এবং সবার তোকে ক্ষমা করতে হবে অথবা you got to piss of. তোর একটা সাইকোলজি মোটেই ভালো লাগলো না, তোর কেনো মনে হচ্ছে নিজেকে ডিফেন্ড করার জন্য তোর কথা বলেই যেতে হবে। এমন কিছু মন্তব্য তুই শুধু নিজেই করিসনি বরং অন্যেরও করা এমন কিছু অবান্তর মন্তব্যের উত্তরও তুই দিয়েছিস যা একেবারেই তোর র‌্যাশনাল সেলফ-ইমেজ প্রকাশ করছে না। তুই কি সমাজবিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট বা সমাজবিজ্ঞানে কি তোর কোন আগ্রহ আছে যে সমাজ নিয়ে তোর কথা বলতেই হবে। যেটা তোর গ্রাউন্ড না সেখানে কোনকিছু তোর পছন্দ না হলেই তোর বকবক শুরু করা উচিত না। বা করতে চাইলেও আগে তোর নিজের যেটা গ্রাউন্ড তা ঠিক করিস তারপর অন্য কিছু নিয়ে মাথা ঘামাস। ভালো থাকিস, ফোন করিস।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হায় রে মায়ার দুনিয়া! আপনার মন্তব্য দেখে মেঘনাদের জন্য মায়ায় আবারো চোখ ভিজু ভিজু হলো। ফোনে আবার তাকে বকা দিবেন না যেন!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মৃত্তিকা এর ছবি

মেঘনাদ, বিকারগ্রস্ত লোকদের সাথে তর্ক করিনা। তবু আমার কথা যখন কোট করলেন এবং বিপরীতে দাঁড়িয়ে আমি যখন আপনার ভয়ংকর দর্শন, কিম্ভুত কুৎসিত হাসিটি দেখতে পেলাম তখন ভাবলাম আমার অংশটির উত্তর না হয় দিয়ে যাই।

অকপট অর্থ সরল, কপটতাহীন। রুনাকে কেনো অকপট বললাম?

একটি মেয়ে সাধারণত শারিরীক বা মানসিক নিপীড়নের কথা মুখ ফুটে বলতো না কিছুদিন আগেও। এর কারণ- এক, লজ্জা আর দু্‌ই, সমাজ বা নিকট জন তাকে ভুল বুঝবে। এভাবেই তারা বড় হয়ে ওঠে। তবে এখন পরিবর্তন এসেছে, অন্তত আমি আমার চারপাশে সেরকম দেখেছি। এই পরিবর্তনগুলোকে আমি বাহ্‌বা জানাই সবসময়ই।

কিন্তু বিতন্ডারত এই আপনি, অমার্জিত বাক্যে অবিরাম নর্তন কুর্দন করে করে, কুৎসিত ভাবে নিজের কথা বোঝানোর নামে যেভাবে সকলকে হেয় করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাকে যেমন অনেকেই পারছেননা কিছু বোঝাতে, তেমনি সকল মেয়েরা শুরুতেই পারেনা ঐ দুটি পয়েন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে। তবে আমি অকপট তাদের পক্ষে বলেছি, যারা গলায় পড়িয়ে দেয়া সেই ‘মেয়েলীপণা’র মালা ছুড়ে ফেলে দিতে পেরেছে। লজ্জার ভয় সরিয়ে সমস্যার কথাগুলো বলে যেতে পারছে এবং দু একখান চড় থাপ্পড় দিয়ে আসতে পেরেছে—তাদেরকে। তাই এই লেখাটিও আমার কাছে একজন ভুক্তভুগীর অকপটে নিজের কথা বলে যাওয়া বলে মনে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।

ভাইরে, শিক্ষিত মানুষ তো আর একদিনে জন্মায় নাই। ছোটবেলা থেকে আপনার পিতা মাতা আপনাকে শিখিয়ে পড়িয়ে শিক্ষিত করেছেন। সেরকমই, বাংলাদেশের সমাজের যে চিত্র তাতে হুট করেই কি আর মেয়েদের শক্তিশালী প্রতিবাদী রূপ দেখতে পারবেন? আর সব পরিস্থিতিই কি সবসময় সবার অনুকূলে থাকে? তাদেরকে কথা বলারই তো সুযোগ দিচ্ছেন না, হারে-রে করে তেড়ে আসছেন, সে আর প্রতিবাদী হবে কি করে? শুরুতেই তো হেয় করে হীণমন্নতা ঢুকিয়ে দেয়ার কাজটা করছেন অবলীলায়!

সচলায়তনের মডারেটরদের প্রতি আমার আগের অনুরোধটাই বজায় রাখছি, এধরণের মন্তব্য ছেপে ঐসব লোকদের চেহারা দেখার আমার কোনই ইচ্ছা নেই। ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে বিনোদনের টুকরো সময়ের জন্য এখানে এসে তিক্ততা নিয়ে ফিরতে চাইনা।

আলমগীর এর ছবি

যখন কোনো আলোচনা পুরোপুরি পঁচে যায় তখন তা নিয়ে সাধারনত আমি আর কোনো মন্তব্য করি না।

মাইরি, সচলায়তন ধন্য হয়ে গেলো!

শামীম রুনা এর ছবি

লাকুম দি নুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।