১ | লিখেছেন নীলম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০২/০২/২০১৩ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
আমার পুরনো ডায়েরী পড়তে গিয়ে ঐ বয়সে এতো কিছু বুঝতাম অনুভূতিই বেশি হয় কেন যেন। ক্লাস নাইনের ডায়েরী পড়ে একবার দেখেছিলাম বেশ কিছু বিষয়ে প্রবন্ধ টাইপ কি কি যেন লিখেছি!! এবং অবাক হয়ে লক্ষ করেছিলাম সেইসময়ই ঐসব বিষয়ে আমার ধারণা বেশ স্পষ্ট ছিল। এখন লিখতে গেলেও মনে হয় অত তীক্ষ্ণ লেখা বেরোবে না। আর বাবা-মায়ের প্রতি অভিযোগও করেছি দেখলাম মাঝে মাঝে।
যাই হোক, ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। আরেকটু বড় করে লিখতে পারতেন। ঃ)
৭ | লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০২/০২/২০১৩ - ৯:৪৪অপরাহ্ন)
ডায়রি নিয়ে বসলেই ভুসভুস করে কাঁদি। আমার ডায়রি ভর্তি সব দুঃখ দুঃখ কাহিনী। জীবনের প্রতি আমার অভিযোগের শেষ নাই।তাই ঠিক করেছি যদি কোনদিন ডায়রির শেষ পাতা অবধি লিখতে পারি, সেদিন পানিতে ফেলে দিব ডায়রিখানা।তবে আজকাল আর ডায়রির কাছে অভিযোগ করতে ইচ্ছে করেনা, তাই ডায়রির পাতা আর শেষ হয়না।
আমার ডায়রি লেখার অভিজ্ঞতা বেশি সুখকর না। একটু আধটু লেখা শুরু করেছিলাম, টের পেলাম আমার অবর্তমানে ছোট বোন (নেহায়েত ছোট ছিল বলে মাফ করে দিয়েছি) আর আম্মু পড়ে। বিরক্ত হয়ে বাদ দিয়েছি।
১৫ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০২/২০১৩ - ৮:০২পূর্বাহ্ন)
ডায়রির সব শেষের লেখাগুলোয়, অর্থাৎ যেগুলো কি না প্রায় 'বড়' হয়ে যাবার পর লেখা, মায়ের প্রতি সহানুভূতিশীল এক আমাকে দেখতে পেলাম। তাঁর প্রতি আমার পূর্বের অভিযোগগুলোর অধিকাংশই নিজের উচ্চ আদালতে খারিজ করে দিয়েছিলাম সেই সময়! আর, ভাইয়ের সাথে তো কবে থেকেই খাতির জমে গিয়েছিল। কেন এই পরিবর্তন? এটা কি এজন্য যে আমি তখন আসলেই বড় হয়ে যাচ্ছিলাম?
১৭ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০২/২০১৩ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
জেমসের একটা গান আছে, আজো অজানা তোমার- আমার ডায়রিতে কী আছে লেখা- জানতেও না চাইলে।।।জানিয়ে দেব তোমায়!! ডায়রীজুড়ে হিসাব-নিকাশ লেখা।।।।।।।। ওরকমই হয়, ডায়রীতে মানুষ অটোবায়োগ্রাফি লেখে- সজ্ঞানে বা না জেনে।।।।(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট )
আমি খুব আগ্রহ করে লিখতাম, বেশিরভাগই পছন্দের উদ্ধৃতি লিখে নিজের বক্তব্য লিখে রাখতাম, ফাঁকে ফাঁকে মজার কোন তথ্য লিখে রাখতাম, কিন্তু যেদিন বুঝতে পারলাম, আম্মু গোপনে পড়ছে, সেদিন থেকে বিরক্তিতে চেড়ে দিয়েছি ডায়েরী লেখা।
এখন যেটা করি, চিঠি লিখি, কাগজে-কলমে। তারপর খামে ভরে রেখে দিই নিজের কাছে। এমন অনেকগুলো খাম আছে আমার কাছে। মুখবন্ধ করে রাখা।
আমার কোনোদিন ছোটোবেলা ডাইরি লেখা চালিয়ে যাওয়া হয় নি, একেকবার নতুন বছরের দিনে মহা উৎসাহে নতুন ডাইরির প্রথম পাতায় শুরু করতাম, তারপরে বছরের অর্ধেক চলে যাওয়ার পরে দেখতাম শুরুর কয়েকদিন কিছুমিছু লেখা হয়েছে, বাকী সব সাদা পাতা।
পরের বছর একই কেস।
এইসব দেখে ডাইরি লেখা বন্ধ করে দিলাম, কারণ বুঝতে পারলাম কাল্পনিক কাউকে নিয়ে গপ্পো লেখা বা কোনো কিছু নিয়ে ফেনিয়ে রচনা লেখা বা কোথাও ঘুরতে গেলে সেই বেড়ানোর কথা লেখা, ছড়া বানিয়ে লেখা, কবিতা টাইপের কিছু লেখা--এগুলো তবু আমার সয়, কিন্তু নিজের কথা নিজের মনের মধ্যে রেখে দিতেই ভালো লাগে। মনের ভিতরে একটা চোরকুঠুরি মতন আছে, সেখানে জমা হয়ে আছে স্মৃতিরা, তাকে ডাইরিতে আনতে চাই না।
আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো, কিন্তু এত কম দিলেন কেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখা ভাল লেগেছে শুনে
ডায়রি লিখতে হবে, এরকম কিছু মাথায় থাকলে আর লেখা হয়ে ওঠে না, বা লিখলেও নিত্যদিনের বর্ণনায় একঘেয়ে হয়ে যায়। হঠাৎ করে, আবেগের বশে বা ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখলে অন্তঃত কিছু লেখা হয়। আমার ক্ষেত্রে এটা হয়েছে।
মন্তব্য
আমার পুরনো ডায়েরী পড়তে গিয়ে ঐ বয়সে এতো কিছু বুঝতাম অনুভূতিই বেশি হয় কেন যেন। ক্লাস নাইনের ডায়েরী পড়ে একবার দেখেছিলাম বেশ কিছু বিষয়ে প্রবন্ধ টাইপ কি কি যেন লিখেছি!! এবং অবাক হয়ে লক্ষ করেছিলাম সেইসময়ই ঐসব বিষয়ে আমার ধারণা বেশ স্পষ্ট ছিল। এখন লিখতে গেলেও মনে হয় অত তীক্ষ্ণ লেখা বেরোবে না। আর বাবা-মায়ের প্রতি অভিযোগও করেছি দেখলাম মাঝে মাঝে।
যাই হোক, ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। আরেকটু বড় করে লিখতে পারতেন। ঃ)
নীলম, ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য। লেখালেখি তেমন একটা আসে না আমার। পড়তেই বেশি ভাল লাগে।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ভাল্লাগলো পড়তে। এতো ছোট কেন?
..হাতড়ায় কে না শৈশব।'--- প্রিয় একটা লেখার লিঙ্ক দিলাম, ডায়েরি নিয়েই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোর, ধন্যবাদ পড়ার জন্য, আর এত সুন্দর একটা পোস্টের লিংক দেয়ার জন্যও।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ভালইতো চলছিল---
আগে আরেকটু বড় করে নিজের ডায়রি নিয়ে লেখেন - তারপর আমরা
ফাঁকিবাজিতে আমাকে হারাতে পারবেন না স্যাম
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ডায়রি নিয়ে বসলেই ভুসভুস করে কাঁদি। আমার ডায়রি ভর্তি সব দুঃখ দুঃখ কাহিনী। জীবনের প্রতি আমার অভিযোগের শেষ নাই।তাই ঠিক করেছি যদি কোনদিন ডায়রির শেষ পাতা অবধি লিখতে পারি, সেদিন পানিতে ফেলে দিব ডায়রিখানা।তবে আজকাল আর ডায়রির কাছে অভিযোগ করতে ইচ্ছে করেনা, তাই ডায়রির পাতা আর শেষ হয়না।
বন্দনা, আপনার ডায়রিতে তো তাহলে মারাত্মক সিরিয়াস সব কথা লেখা আছে! আর, ডায়রি ফেলেন না কখনো, পরে আফসোস হবে।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
বলতে ভুলে গেছি, তিথীর মত আমার ও মনে হল লেখাটা আর ও একটু বড় হতে পারতো।
সবাই বলছে যখন, আরেকটু বড় করা উচিত ছিল বোধ হয়। পরের বার কোন কিছু লেখার আগে এটা মাথায় রাখব।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
লেখাটি পড়ে ডায়রি লেখার কথা মনে পড়ে গেলো, তবে এখন সময়ের পরিবর্তন হওয়ায় আজকাল ডায়রি লেখার মানুষের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য।
আসলেই। পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
আমার ডায়রি লেখার অভিজ্ঞতা বেশি সুখকর না। একটু আধটু লেখা শুরু করেছিলাম, টের পেলাম আমার অবর্তমানে ছোট বোন (নেহায়েত ছোট ছিল বলে মাফ করে দিয়েছি) আর আম্মু পড়ে। বিরক্ত হয়ে বাদ দিয়েছি।
ডায়রি সংরক্ষণে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হয়!
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ডায়রির সব শেষের লেখাগুলোয়, অর্থাৎ যেগুলো কি না প্রায় 'বড়' হয়ে যাবার পর লেখা, মায়ের প্রতি সহানুভূতিশীল এক আমাকে দেখতে পেলাম। তাঁর প্রতি আমার পূর্বের অভিযোগগুলোর অধিকাংশই নিজের উচ্চ আদালতে খারিজ করে দিয়েছিলাম সেই সময়! আর, ভাইয়ের সাথে তো কবে থেকেই খাতির জমে গিয়েছিল। কেন এই পরিবর্তন? এটা কি এজন্য যে আমি তখন আসলেই বড় হয়ে যাচ্ছিলাম?
ভাল লাগল মনের আকাশে মেঘ গুলো কেটে যাওয়ার জন্য।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
জেমসের একটা গান আছে, আজো অজানা তোমার- আমার ডায়রিতে কী আছে লেখা- জানতেও না চাইলে।।।জানিয়ে দেব তোমায়!! ডায়রীজুড়ে হিসাব-নিকাশ লেখা।।।।।।।। ওরকমই হয়, ডায়রীতে মানুষ অটোবায়োগ্রাফি লেখে- সজ্ঞানে বা না জেনে।।।।(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট )
গানের লিংকটা দিয়েন পারলে।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
আমি খুব আগ্রহ করে লিখতাম, বেশিরভাগই পছন্দের উদ্ধৃতি লিখে নিজের বক্তব্য লিখে রাখতাম, ফাঁকে ফাঁকে মজার কোন তথ্য লিখে রাখতাম, কিন্তু যেদিন বুঝতে পারলাম, আম্মু গোপনে পড়ছে, সেদিন থেকে বিরক্তিতে চেড়ে দিয়েছি ডায়েরী লেখা।
এখন যেটা করি, চিঠি লিখি, কাগজে-কলমে। তারপর খামে ভরে রেখে দিই নিজের কাছে। এমন অনেকগুলো খাম আছে আমার কাছে। মুখবন্ধ করে রাখা।
এটা একটা ভাল আইডিয়া, তবে চিঠির খাম দেখে দুষ্টু লোকজন না না কথা বলতে পারে
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
আমার কোনোদিন ছোটোবেলা ডাইরি লেখা চালিয়ে যাওয়া হয় নি, একেকবার নতুন বছরের দিনে মহা উৎসাহে নতুন ডাইরির প্রথম পাতায় শুরু করতাম, তারপরে বছরের অর্ধেক চলে যাওয়ার পরে দেখতাম শুরুর কয়েকদিন কিছুমিছু লেখা হয়েছে, বাকী সব সাদা পাতা।
পরের বছর একই কেস।
এইসব দেখে ডাইরি লেখা বন্ধ করে দিলাম, কারণ বুঝতে পারলাম কাল্পনিক কাউকে নিয়ে গপ্পো লেখা বা কোনো কিছু নিয়ে ফেনিয়ে রচনা লেখা বা কোথাও ঘুরতে গেলে সেই বেড়ানোর কথা লেখা, ছড়া বানিয়ে লেখা, কবিতা টাইপের কিছু লেখা--এগুলো তবু আমার সয়, কিন্তু নিজের কথা নিজের মনের মধ্যে রেখে দিতেই ভালো লাগে। মনের ভিতরে একটা চোরকুঠুরি মতন আছে, সেখানে জমা হয়ে আছে স্মৃতিরা, তাকে ডাইরিতে আনতে চাই না।
আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো, কিন্তু এত কম দিলেন কেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখা ভাল লেগেছে শুনে
ডায়রি লিখতে হবে, এরকম কিছু মাথায় থাকলে আর লেখা হয়ে ওঠে না, বা লিখলেও নিত্যদিনের বর্ণনায় একঘেয়ে হয়ে যায়। হঠাৎ করে, আবেগের বশে বা ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখলে অন্তঃত কিছু লেখা হয়। আমার ক্ষেত্রে এটা হয়েছে।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ছেলেবেলার সব কিছুই একটা সময়ে ছেলেমানুষী বলে মনে হয়! কিন্তু একটা সময়ে, বিশেষ করে টিনেজ এর দুঃসহ সময়ে ওই ডায়েরিগুলো কত বড় বন্ধু ছিল।
ভাল লাগল।
নির্ঝর অলয়
ধন্যবাদ।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
নতুন মন্তব্য করুন