১৬ই পৌষ, ১৪২৬
কোহিনুরের যমজ (১)
কোহিনুরের যমজ (২)
দিয়ার কথা
গুপীর কথা
কলকাতার রাস্তা ছাড়ালেই চারিদিকটা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যায়। আকাশটা বেশ পরিষ্কার লাগে, হাওয়াটা বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। মনের জট ছেড়ে যায়, ভয়ডর কেটে যায়। কেমন যেন গলা খুলে গাইতে ইচ্ছে করে, ‘হারে রে রে রে রে, আমায় ছেড়ে দে রে দে রে’।যেই
শঙ্করের কথা
বছর দেড়েক হল কলকাতা ফিরে এসেছি। এসেই যা চাপ, কী-বোর্ডে আঙুল বসানোর সময়ই পাই না। অনেক কষ্টে পুজোর ছুটির মধ্যে এটা নামালাম। ভালো লাগ্লে বলবেন কিন্তু।
দিয়ার কথা
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের এক রৌদ্রস্নাত সমুদ্রসৈকতে স্বর্ণকেশী সুন্দরীর কোলে মাথা রেখে শুয়েছিল জেমস। সামনে সুনীল সাগর, নীচে উষ্ণ বালুকা, লবণাক্ত তীব্র বায়ু মুখে এসে আছড়ে পড়ছে, আর কানের কাছে নীলনয়নার মিষ্টি কূজন। জেমস মনে মনে বলছিল, “হমীন অস্ত, ওয়া হমীন অস্ত, স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই।”
ছোটবেলাটা জেঠুর বাড়িতে বেশ মজাতেই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু একটু বয়স হতেই মায়ের টনক নড়ল, স্কুলে ভর্তি হতে হবে। তখনকার দিনে আজকের মত ভর্তির এত হ্যাপা ছিল না। বাড়ির পেছনে পুকুর, পুকুরের ওপারে স্কুল। সুনীল কাকা একদিন কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে এলেন।
ছোটবেলায় নানা রকম অসুখে ভুগে আমার পায়ের জোরটা একটু কমে গিয়েছিল। সমবয়সীদের মত লাফালাফি করতে পা ...
সরল অঙ্ক আমার সবসময়েই ভীষণ জটিল লাগে, আর সিঁড়িভাঙ্গার নাম শুনলে তো একদম সিঁড়ির ওপর বসে পড়ি। কাজেই রথীনস্যার যখন ক্লাসে চার নম্বর চ্যাপ্টারের বারো নম্বর অঙ্ক নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন জানালার বাইরে আমগাছের ডালে শালিক পাখিদুটোর ঝগড়া শুনছি। বিকেলে পটলাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ আছে। ওদের রাইট-ব্যাক হারুটা একটু খনি আছে। ওর দিকে বল গেলে একটা ইন্সাইড ডজ মারলেই সামনে শুধু গোলকিপার বোঁচা। শরীর ...
গরম চায়ের কাপে সবে চুমুক দিয়েছি, এমন সময় শিশিরের ফোনটা এল, "সামনের শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা কি করছ?"
এক গাল হেসে বললাম, "যাই করি। তোমার জন্য সব প্রোগ্রাম ক্যান্সেল।"
- একবার আসবে নাকি?
যাবোনা মানে! আমি তো মুখিয়ে আছি, কবে ডাক আসে এই আশায়। এককথায় রাজি।
শুধু রাজি নই, বাকি দুজনাকেও জানিয়ে দিতে গিয়ে দেখি, তারাও এক পায়ে খাড়া। বাকি কটাদিন যে কিভাবে কাটলো সে আমি-ই জানি। গৌরের তো দিন ভ ...
পত্রমিতালী জিনিষটা আজকাল আর চলেনা, কিন্তু আমাদের ছোটবেলায় বেশ চলত। কুণালের সঙ্গে অবশ্য আমার শুরুতে সাধারণ বন্ধুত্বই ছিল। একই ক্লাসে পাশাপাশি বসে কাটিয়ে দিয়েছি বেশ কটা বছর। বারো ক্লাস শেষ করে আমি ভর্তি হলাম, মফস্বলের কলেজে, আর ও চলে গেলো কলকাতায় ইঞ্জিনীয়ারিং পড়তে।
কলকাতা থেকে মাঝে মাঝেই চলে আসতো ও। আর সঙ্গে নিয়ে আসতো কলকাতার গল্প। কফি হাউসের আড্ডাটা যে মোটেই খারাপ নয ...