রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতীয় কংগ্রেস উঠেপড়ে লেগেছিল তাঁর সদ্য-বিধবা স্ত্রীকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য। সনিয়া গান্ধীর ইচ্ছে ছিল না। আবার এত জন বড় বড় নেতার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতেও তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি কিছুদিন সময় চাইলেন। খবরের কাগজে জানা গেল, অমুক তারিখে সনিয়াজী তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আমাদের অফিসটা পি.টি.আই (Press Trust of India)-র পাশেই। এই রকম বড় বড় খবর গুলোর হেডলাইন পেলেই তারা সামনের লাইটপোস্টে সেঁটে দিত। সেদিন লাইটপোস্টের সামনে বেজায় ভীড়। সবাই হাঁ-করে দাঁড়িয়ে। কখন সনিয়া গান্ধী তাঁর চূড়ান্ত মতামত জানাবেন। আমাদের মধ্যে গুপীদা ছিল একটু বেশী মাত্রায় রাজনীতি সচেতন। দশ মিনিট অন্তর টয়লেটে গিয়ে পকেট রেডিও শুনছে। আধঘন্টা অন্তর লাইটপোস্টে ডিউটি মেরে আসছে। মনে হল কংগ্রেস হাইকমান্ডের থেকে তার দুশ্চিন্তা কিছু কম নয়।
সাড়ে-বারোটা নাগাদ গুপীদা লাফাতে লাফাতে খবর নিয়ে এল, সনিয়াজী রাজনীতিতে আসতে রাজী নন জানিয়ে দিয়েছেন। সে কি তার উত্তেজনা। হল ঘরে ঢুকেই হাঁক-পাক শুরু করে দিয়েছে। "হ্যালো ডিজি, খবর শুনেছেন সনিয়া রাজনীতিতে আসছেন না, হ্যালো পিকেজি, শুনেছেন ..." সবাইকে শোনাতে শোনাতে আমার চেয়ারের পাশে এসে আমার পিঠ চাপড়ে আবার ঘোষণা করল, "হ্যালো শঙ্কর, খবর শুনেছ? Soniya has refused."
আমি চোখ না তুলেই জিজ্ঞেস করলাম, "Who proposed? You?"
মন্তব্য
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলেইতো !!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন