• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ঘনাদার জন্মদিন

শঙ্কর এর ছবি
লিখেছেন শঙ্কর [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০০৯ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাত ফোনটা পেয়ে একটু আশ্চর্যই হয়েছিলাম। প্রেমেনদার স্বর্গবাসের পর আর ওপথ মাড়ানো হয় নি।
- 'কি হে। অনেকদিন দেখা নেই। পরশু একবার আসবে নাকি?', সেই পুরনো গলায় আহবান।
- ঘনাদা আপনি? মানে? কেমন আছেন?
- 'সে তো এলেই দেখতে পাবে। তোমাদের কি আর সময় হবে?', গলায় সেই চিরপরিচিত অভিমানের সুর।
- হবে না মানে? পরশুদিন নিশ্চিন্ত থকুন, সবাইকে নিয়ে আসছি।

তারপর সব কটাকে পর পর ধরলাম। শিশির, শিবু, গৌর। ৭২ নং বনমালী নস্কর লেনের তেতলার টংযের ঘর থেকে ডাক এসেছে শুনলে, কে আর না বলে পারে। শিবু আর গৌরটা অবশ্য গাঁইগুঁই করছিল, টিভিতে রাত নটায় রাখী সাওন্তের স্বয়ম্বরটা দেখাবে। ওদের নাকি এখন বাজী চলছে কে শেষ পর্যন্ত মিঃ সাওন্ত হতে পারবে, তাই নিয়ে। আমি পেড়ে বকুনি দিলাম, 'তোরা এখনও একই রকম রয়ে গেলি। বাজী ফেলার বদভ্যেসটা আর গেল না, তখন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নিয়ে পাগল ছিলি, একন রাখীর স্বয়ম্বর। আর ক-বছর পরে যে তোদের নিজেদের মেয়েদুটোর বিয়ে দিতে হবে, সে ব্যাপারে কোন চিন্তা নেই, হাঁ করে রাখীর স্বয়ম্বর দেখছেন।'

শিশিরের ছেলে আবার আইটি নিয়ে পড়ছে। সে উতসাহের সঙ্গে জানালো, সে তো আসবেই, এবার সঙ্গে করে ঘনাদার জন্য ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে আসবে।

দেখতে দেখতে পরশু এসে গেল। কেউ যেন না ভোলে, এই ভয় আমি সব-কটাকে রোজ দু-বেলা ফোন করেছি। শিশিরটা আবার আগের মত গন্ডমুর্খই রয়ে গেল। বেলা তিনটের সময় আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছে, 'আসছিস তো তাহলে? দেখিস আবার কোন কাজ বাধিয়ে বসিস না।' রামপাঁঠা আর কাকে বলে। ঠিক কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটার সময় এক পকেট নস্টালজিয়া নিয়ে চারমুর্তি ঢুকলাম সেই পুরনো আড্ডাঘরে। দরজা খুলে দিল সেই পুরানো বনোয়ারীলাল। আমাদের দেখে তার খুশি আর ধরে না।
- দাদাবাবুরা এসেছেন। বড়বাবু বলছিলেন। আজ অনেকদিন বাদে আড্ডাঘরটা খোলা হয়েছে।
- কেন রে? আজকাল আর কেউ আড্ডা মারে না? তিনি তাহলে করেনটা কি?
- না বাবু। আজকালকার ছেলেপুলে তো সবাই নিজের নিজের ঘরে কম্পিউটার খুলে বসে তাকে। ওরা একা একাই হাসাহাসি করে, গুনগুন করে গান গায়। মাঝেমধ্যে একজন নাকি আরেকজনকে কম্পিউটারে আড্ডা মারতে ডাকে, কিন্তু এখানে আর কেউ বসে না।

বনোয়ারী এমনিই বোধ হয় চোখটা একটু মুছে নেয়, 'আর তেতলার বাবু? উনি তো ওখানেই বসে থাকেন। নিচে আসেন না বললেই চলে। আমি যা দু-বেলার খাবারটা ওপরে দিয়ে আসি।'

আমাদের সাড়া পেয়েই মনে হয়, তেতলা থেকে হাওয়াই চপ্পলের আওয়াজ শোনা গেল। সেই পুরনো পরিচিত বাঁ-পাটা একটু টেনে টেনে হাঁটার শব্দ। তবে গতি অনেক শ্লথ হয়ে গেছে। ঘরে ঢুকেই পুরনো অভ্যেসে ইজিচেয়ারটার দিকে এগিয়ে গেলেন। আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম প্রণাম করবার জন্য। দু-হাত তুলে 'থাক, থাক' বলে গুছিয়ে বসলেন। শিশির অনেক খুঁজেও সিগারেটের টিন পায়নি, কাজেই প্যাকেটটাই বাড়িয়ে ধরল। উনি একটা সিগারেট নিয়ে বাকী প্যাকেটটা পকেটে পুরে হাসতে হাসতে বললেন, 'এখন আর মনে নেই, বারো হাজার হল, না তেরো।' শিশিরও হাসতে হাসতে বলল, 'কি দরকার মনে রেখে। সবটাই গুরুদক্ষিণা মনে করুন না।'

- তা ওই বাক্সতে করে কি এনেছ?

শিশিরের কাঁধে একটা ব্যাগ দেখেছি, কিন্তু কি জিজ্ঞেস করার সময় পাই নি। ও ওটা টেবিলের ওপর নামিয়ে বলল, 'এই আপনার সঙ্গে গল্প করতে গেলে, নিজের জি.কে.টা বড় কম লাগে তো। তাই এটা নিয়ে এসেচি।'

- অ, আজকাল বুঝি নলেজ আর মাথায় করে নিয়ে বেড়ায় না, ব্যাগে করে নিয়ে বেড়ায়। তা, ওটা কি? জি.কে.র বই?

শিশির ততক্ষণে জিনিসটা টেবিলে নামিয়ে ব্যাগ থেকে বের করে ফেলেছে। একটা ল্যাপটপ। কনেক্সন লাগিয়ে বলল, 'এটাতে অন্তর্জালও লাগানো আছে। আপনি প্রশ্ন করলেই খপ করে জবাব দিয়ে দেবে।'

- বটে? বল দেখি, গ্যালাপাগোস দ্বীপপু্ঞ্জ কোথায়?

শিশির টুকটাক খুটখাট করে বলতে শুরু করল, 'দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল থেকে ঠিক ৯৭৩ কিমি দূরে ..'

- 'ব্যস ব্যস হয়েছে, হয়েছে', খিঁচিয়ে উঠলেন ঘনাদা। কতগুলো ডেটা মুখস্থ করে তোমরা আজকাল ভাবছো জি.কে. বাড়ছে।
- 'আহা, শুধু ডেটা কেন? আরো অনেক সুবিধা আছে। যেমন দরুন আপনি যে দুশ দশটা ভাষায় কথা বলতে পারেন, এখানে গুগুল ট্রান্সলেটর দিয়ে আমরাও তার কয়েকটা বুঝে যেতে পারি। আপনাকে আর কষ্ট করে মানে বোঝাতে হবে না', বলে আমাদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপলো শিশির। বুজলাম ঘনাদার ব্রহ্মাস্ত্রটা কি এনেছে সে।
- 'আপনি যা জানতে চান, সব এখানে পাবেন', জোর গলায় জাহির করল শিবু।
- 'রান্নার রেসিপি থেকে লেটেস্ট সিনেমার রিভিউ - পৃথিবীর সব খবর পাবেন ঘরে বসেই', এতক্ষণে আমিও কিছু কিছু ধরতে পেরেছি ব্যাপারটা।

সেই প্রমাণ সাইজের ট্রে হাতে নিয়ে বনোয়ারী ঢুকল। শ্রীহরির ল্যাংচা, হটকাটির রোল, বাঞ্ছারামের দই, কে.সি.দাশের অমতকুম্ভ - সব সাজানো।

- 'বয়স তো কম হল না, পেটটা বড্ড ঝামেলা করে আজকাল। তাই কচুরী, সিঙ্গাড়া গুলো ছেড়ে দিয়েছি', এই বলে সব থেকে বড় প্লেটটা কোলে তুলে নিলেন তিনি। 'কই, তোমাদের গুগুল, ইয়াহু, সব সার্চ ইঞ্জিন খুলে দেখ। কোথাও লেখা আছে আজ আমার জন্মদিন? দময়ন্তী ঠিক মনে রেখেছে। যা যা ভালোবাসি, সব লিস্টি করে পাঠিয়ে দিয়েছে। নাও নাও, তোমরা শুরু কর।'

লজ্জায় আমাদের গলা দিয়ে তখন আর খাবার নামছে না। ঘনাদার জন্মদিনটাই আমরা ভুলে গেলাম।

প্লেটটা শেষ হবার আগে ঘনাদাকে দিয়ে আর কোন কথা বলানো যাবে না, সে আমরা সকলেই জানি। জলখাবার শেষ করে, চা-পান অন্তে, আরেকটি সিগারেট ধরিয়ে ঘনাদা শুরু করলেন।

'হ্যাঁ, তার পর জিজ্ঞেস করছিলে, কি করছি আজকাল। আসলে তোমরা চলে যাওয়ার পর আড্ডাটা তো উঠেই গেল, ভাবলাম বুড়ো বয়সে একটু নতুন করে পড়াশুনো করি। কিছুদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে যাতায়াত শুরু করলাম, তারপর কি মনে করে একদিন তাক থেকে পুরনো অঙ্কের বইগুলো নামালাম। সেই ছোটবেলার অঙ্কগুলো নতুন করে শিখতে বেশ মজাই লাগছিলো। বারবার সেই গাঁয়ের পাঠশালা আর অঙ্কের মাস্টারমশাই হরিচরণবাবুর কথা মনে পড়ছিল। এলজেব্রা, ত্রিকোণমিতি ছাড়িয়ে আস্তে আস্তে ভেক্টর এলজেব্রা, ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম, বেসেল, লিয়েন্ডার, জিওডেসিক করতে করতে কখন যে টেক্টনিক গতিবিধি নিয়ে পড়াশুনো শুরু করেছি, খেয়ালই নেই। টেক্টনিক গতিবিধি জানা আছে তো?' হঠাত করে শিশিরের দিকে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেন তিনি।

- হ্যাঁ, হ্যাঁ। ওই যে মহাদেশগুলো ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে, তাই তো?

'যাক, গুগুল তোমাকে এখনও নিরাশ করেনি দেখছি', চিমটি কাটার সুযোগটা আজও ছাড়লেন না। তারপরই চলে গেলেন স্মৃতিচারণে, 'হ্যাঁ যা বলছিলাম। মহাদেশীয় গতিবিধি নিয়ে কাজ করতে করতে প্রায় গবেষণাই করে ফেললাম সুমেরু-বৃত্তের ওপর। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে আলাস্কা আর কানাডার বিশাল প্রান্তরের অনেকটাই প্রায় কয়েক কিলোমিটার বরফের তলায়। সেই বরফের তলায় যে কি আছে, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেরই ধারণা বরফ যুগের আগে ওখানে প্রাণীদের বসবাস ছিল। মাটির তলায় কয়লা, গ্যাস বা নিদেন পক্ষে তেল, কিছু একটা পাওয়া যেতে পারে। আর সেই মাটির তলার দখল নিয়ে এখন ঠান্ডা লড়াই চলছে। এই বরফগুলো আবার বিভিন্ন স্তরে আছে, আর এক একটি স্তরের গতিবিধি এক এক রকম। অর্থাত ধর, তুমি ড্রিল করে দশটা বরফের স্তর ভেদ করে চার কিলোমিটার নিচে চলে গেলে, দশ মিনিট পরেই দেখবে, তিন নং স্তরটা উত্তরদিকে আর সাত নং স্তরটা একটু দক্ষিণদিকে সরে গেছে, তোমার ওপরে ওঠার রাস্তা বন্ধ। কিছুদিন এনিয়ে গবেষণা করার পর মনে হল এই স্তরীভূত বরফের গতিবিধির একটা আঙ্কিক সমাধান বের করতে পেরেছি। একটা পেপারই পাব্লিশ করে ফেললাম তার ওপর।'

সিগারেটের ধোঁয়ায় একটার পর একটা রিং তৈরী হয়েই চলেছে। ঘনাদার চোখদুটো যেন চলে গেছে উত্তর মেরুর সেই গ্লেসিয়ারের চূড়োয়। বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর শিশিরের গলা খাঁকড়িতে যেন বাস্তবে ফিরলেন তিনি।

২০০৭ সালের তেসরা আগস্ট। অন্তর্জালে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারো, সেদিন আলাস্কা আর কানাডার মাঝের জমিতে প্রায় চার কিমি বরফের তলায় রাশিয়া গিয়ে নিজেদের পতাকা পুঁতে দিয়ে এসেছিল। টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া তো আমেরিকার থেকে অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। আর কানাডা তো আমেরিকার ছোট ভাই। এমনকী কানাডার ভেতরেও যেখানে একটা কানাডার পতাকা দেখবে, পাশেই একটা মার্কিন পতাকা উড়ছে দেখতে পাবে। সেক্ষেত্রে, রাশিয়া পৌঁছে গেল, আর আমেরিকা এমনি এমনি বসে বসে চুপচাপ বুড়ো আঙ্গুল চুষছিল ভাবো? তোমাদের গুগুলবাবু কি বলে? কারণটা কি?'

- 'ছাড়ুন তো শিশিরের কথা। একটু কী-বোর্ড নিয়ে খুটখাট করতে পেরে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে', একটু উস্কে দিই আমি। ঘনাদা খুশি হয়ে আবার শুরু করেন,

'এটা ২০০১ সালের জুন কি জুলাইয়ের কথা। পেপারটা যে অনেকেরই রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল, তার প্রমাণ পেলাম পরের মাসেই। ন্যাশনাল লাইব্রেরী থেকে সবে বেড়িয়েছি। এমন সময় একজন বিশাল সাইজের সাদা-চামড়ার লোক আমাকে জিজ্ঞেস করল, 'মিঃ দাশ?'

নিজের পরিচয়টা স্বীকার করতেই হল। ভদ্রলোক বিনীত অনুরোধ করলেন আমি ওনার সঙ্গে এখনই একবার রাশিয়ান কন্সুলেটে যেতে পারবো কি না। খুবই জরুরী দরকার। এখন না গেলে কখন আমি যেতে পারবো জানালে, উনি বাড়ী এসে আমাকে নিয়ে যাবেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে যত শীঘ্র সম্ভব দেখা করতে চান।

'আজকাল কন্সুলেটগুলো বেশ ভদ্রলোক হয়ে গেছে দেখছি। আমাকে তো সবাই চিরকাল বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেত', হেসেই বললাম আমি।

ভদ্রলোক হেসে বললেন, “সেই রকমই পরিকল্পনা ছিল প্রথমে। তারপর এখানকার এক বাঙ্গালী সহকর্মী সেই পরিকল্পনা শুনে আঁতকে উঠে আমাকে 'ঘনাদা সমগ্র' থেকে আপনার কয়েকটি কাহিনী পরে শোনালেন। তারপরই পরিকল্পনাটা পরিবর্তন করা হল। মানে, কেউ আর অল্পবয়সে হাড়গোড় ভেঙ্গে হাসপাতাল যেতে রাজী হল না।”

শিবুর খুঁক খুঁক হাসিটাকে পাত্তা না দিয়েই বলে চললেন ঘনাদা, 'তোমরা তো জানো বিনয় করে কেউ কিছু চাইলে আমি গলে জল হয়ে যাই। না বলতে পারি না। কাজেই চললাম ওনার সঙ্গে। সেখানে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা হওয়ার পর বুঝলাম আসল প্রয়োজনটা কি। আলাস্কা আর কানাডার মধ্যবর্তী এলাকার দখল নিয়ে ঠান্ডা লড়াইতে আমার সাহায্য চায় রাশিয়া। স্তরীভূত বরফের গতিবিধির সমাধানের সূত্রটি পুরোপুরি পেয়ে গেলেই তাঁরা অভিযানের শুরু করে দেবেন।

কিন্তু অত সহজে রাজনীতির বোড়ে হতে রাজী নই আমি। মাথা ঠান্ডা রেখে বললাম, এ ব্যাপারে আপনারা যদি ক্লাউস ফুক্সের ধার শোধ করে দিতে রাজী থাকেন, তবেই আমি রাজী। কারণ ওনার মতন আমিও মনে করি, ক্ষমতা শুধু একজনের হাতে থাকা ভাল নয়।

অনেক প্রলোভন দেখানোর পরেও যখন আমি টললাম না। তখন ওনাদের রাজী হওয়া ছাড়া আর উপায় রইল না। কথামতই পরের সেপ্টেম্বরের ন' তারিখে ক্রেমলিনে স্বয়ং পুতিনের হাতে তুলে দিলাম আমার গবেষণার কাগজপত্র। উনি তো অনেক ধন্যবাদ দিলেন আমাকে। এ ফর্মুলা ওনাদের কাজকে প্রায় বিশ বছর এগিয়ে দিল। আশা রাখলেন, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যেই ওনারা অভিযান শুরু করে দিতে পারবেন।

পরিকল্পনা মতো তার ঠিক দুদিন পরেই সি.আই.এ-র এজেন্টের সাথে দেখা হল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। এমন সমাপতন, এনার নামও ওপেনহাইমার। এক ওপেনহাইমারের তত্ত্বাবধানে আমেরিকাতে এটম বোমা তৈরী হয়ে তথ্য পাচার হল রাশিয়াতে, আরেক ওপেনহাইমারের মাধ্যমে তথ্য ঢুকছে আমেরিকাতে। হাসতে হাসতে বললাম, 'কি দাম দেবে তোমরা এটার?' ওপেনহাইমার জবাব দিল, 'কিছু জিনিস আছে, পয়সায় তার দাম হয় না, তুমি কি নেবে বল?'

- একটা প্রশ্নের জবাব। তাড়াহুড়ো নেই। তুমি সমস্ত অন্তর্জাল ঘেঁটে আমাকে জবাব দেবে।

প্রায় আধঘন্টা ঘেঁটেও যখন জবাব পাওয়া গেল না, আমি ওকে নিষ্কৃতি দিয়ে বললাম, 'থাক দরকার নেই।' কিন্তু ওরও তখন জেদ চেপে গেছে। উত্তর বার করবেই। 'আমি নিচের থেকে সিগারেট কিনে আনছি। আশা করি তার মধ্যেই হয়ে যাবে তোমার।' এই বলে নিচে নেমে এলাম।

ঘনাদা আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে নীরবে একটার একটা ধোঁয়ার রিং ছাড়তে লাগলেন।

- তারপর, ঘনাদা।
- তারপর আর কি। সিগারেট শেষ হবার আগেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আমার চোখের সামনেই ভেঙ্গে পড়ল। তার সাথে আমেরিকার আলাস্কা অভিযানও।
- কিন্তু, আপনি তো পরে আরেকজনকেও আপনার ফর্মুলা দিয়ে আসতে পারতেন।
- আজকাল বয়স হয়ে যাচ্ছে বলেই বোধ হয়, বড় নিয়তিবাদী হয়ে গেছি। মনে হল, হয়তো ভগবানের ইচ্ছে নয়, আমেরিকার হাতে এটা পড়ুক। তাই আর দিইনি।
- আর সেই প্রশ্নটা কি ছিল? যেটা ওপেনহাইমার ঘন্টার পর ঘন্টা খুঁজে যাচ্ছিল?

ঘনাদা মুচকি হেসে বললেন, 'কেন? শিশিরই বলুক। ওর অন্তর্জালে বুঝি শুধু উত্তরই থাকে। প্রশ্ন থাকে না?'

- 'ধুগো কবে শালীবান হবে?' শিশিরের সতর্ক প্রশ্ন।
- ওটা তো বলাই বলেই দিয়েছে।
- 'জেনেসিসের বঙ্গানুবাদ?', শিবুর পালা।
- বাঙ্গালী হয়ে আমেরিকানের কাছে বাংলার বঙ্গানুবাদ চাইবো?
- 'তাহলে ইংরেজী অনুবাদ', গৌরের ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
- সেটা তো অমর আকবর এন্টনীতে অমিতাভ বচ্চন করে দিয়েছেন।
- 'হাঁস আগে না ডিম আগে', আমার শেষ চেষ্টা।
- আমি এক প্রশ্ন দু-বার করি না। ওটা সুপার কম্পিউটারকে করা হয়ে গিয়েছে।

আমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়েই বোধ হয় উত্তরটা বলে দিলেন, 'পাকিস্তান কবে সন্ত্রাসের পথ ছাড়বে?'

পায়ের শব্দ সিঁড়ির ওপরে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই শিবু আর গৌর জুতো পড়তে শুরু করল, এখনও যদি রাখী সাওন্তকে ধরা যায়। শিশির হেসে বলল, 'ঘনাদার অসময় জ্ঞানটা এখনও ঠিক আছে। পৌনে নটা বাজে। বাড়ী পৌঁছনোর আগে আজকের এপিসোড শেষ।'

শঙ্করের মন্তব্যঃ নিজে মন্তব্য করার ব্যাপারে আমি ভীষণ আলসে। এক একেকটা গল্প পোস্ট করে হ্যাংলার মত বসে থাকি, কে কখন কি বলল। উতসাহ পেলে আবার লিখতে বসি। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই সবাইকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়ে ওঠে না। এজন্য সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার নীরবতাকে ক্ষমা করে পড়া শেষ হলে জমিয়ে ভালো-মন্দ মন্তব্য করে যাবেন।


মন্তব্য

সীমা [অতিথি] এর ছবি

কখনো বলা হয়নি, আমি কিন্তু আপনার লেখার দারুণ ভক্ত।

সাদামাটা [অতিথি] এর ছবি

আপনি আসলে কে বলেন তো? ...লেখা পড়ে তো মাথাই নষ্ট!!!...আরো চাই।

মামুন হক এর ছবি

খুব ভালো লাগল !

হিমু এর ছবি

আমি ঘনাদা প্রথম পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনে, আমাদের ছোট্ট শহরের লাইব্রেরিতে বসে, একটি গল্প সংকলনে ছিলো তাঁর প্রথম গল্পটিই, মশা। পরে আরেকটি গল্প সংকলেন পড়ি হাঁস (সেই হাঁসখোর বাপ্পী দত্তের গল্পটা)। এরপর ঘনাদার সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয়। প্রায় এক দশক পর ম্যালেরিয়ায় কাবু হয়ে শয্যাশায়ী ছিলাম মাস কয়েক, আমার ভাই তিন খণ্ডে ঘনাদা সমগ্র এনে দিলেন পড়তে। এক একটা গল্প পড়ি আর কিছুক্ষণ জ্বরে কাঁপি। সে কারণেই হয়তো গল্পগুলো মাথায় গেঁথে গেছে।

প্রেমেন্দ্র মিত্র আমার খুব প্রিয় গল্পকারদের একজন। তাঁর "সূর্য কাঁদলে সোনা" এক অসাধারণ সিনেমেস্ক থ্রিলার। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উচিত এ নিয়ে একটা চড়া বাজেটের সিনেমা তৈরি করা।

চমৎকার লাগলো পড়তে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শঙ্কর এর ছবি

আমিও ছোটবেলা থেকেই ঘনাদার ভক্ত। একেকটা গল্প পড়েছি আর ভেবেছি ইতিহাস, ভুগোল আর বিজ্ঞানের ওপর কি প্রবল দখল থাকলে এই রকম একটা গল্প লেখা যায়। "সুর্য কাঁদলে সোনা" আমি সারারাত জেগে এক নিঃশ্বাসে শেষ করেছিলাম। ওই রকম থ্রিলার আমি আর পড়িনি। এ কথাটা আমারও বহুবার মনে হয়েছে যে, ওটা সিনেমা করলে এখনও দুর্দান্ত হত। ধন্যবাদ।

মামুন ভাই, সীমা এবং সাদামাটা। আপনাদেরও ধন্যবাদ। মামুন ভাইয়ের নাম অবশ্য আলাদা করে বলব না। তা হলে, উনি মাইন্ড খেয়ে আগের বারের মতো আরেক খানা ছড়া লিখে দেবেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, ঈমানে কই, একটা পর্যায় পর্যন্ত আসার আগে ভাবিই নাই যে এটা আপনার মৌলিক লেখা!

পুরাই টাশকি খেয়ে গেলাম। এতো কম লিখলে চলে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পলাশ দত্ত এর ছবি

অনুগ্রহ করে সিরিজটা চালাবেন? (offiser computer_e avro download kora nai. bepok kosto kore MOUSE diye montobber bangla angshatuku likhlam.)
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, অভ্র এর একটা পোর্টেবল ভার্সন আছে, ফাটাফাটি, ব্যভার করে দেখতে পারেন

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তারচেয়েও সহজ সমাধান হলো, একটা ইউনিকোড বাংলা ফন্ট নিজের ইমেইলেই রেখে দেন। যে পিসিতে বাংলায় লেখার হ্যাপা সেই পিসিতে ফন্ট নামায়ে খালি উইণ্ডোজের ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করে নেন। ব্যস, কেল্লা ফতে। এইবার বাংলায় লেখেন যতো খুশি, যেখানে খুশি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

আমি তো আপনার সমস্যা বুঝলাম না। সচলায়তনে লেখার জন্য অভ্র ডাউনলোড করা লাগবে কেন??? মন্তব্যের টেক্সট বক্সের ওপরে কম্বোবক্সে তো সম্ভাব্য সব লেআউট দেয়া আছে, সিলেক্ট করে নিয়ে লেখা শুরু করবেন। আপনি তো শুক্নায় আছাড় খেয়ে পড়ে আছেন।

যারা কনফিউজড তারা ভিডিও দেখুন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
তানবীরা এর ছবি

হিমু এটা দিয়ে সব শব্দ ঠিক করে লেখা যায় না
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিমু, দারুণ টিউটোরিয়াল। তবে ঘটনা হলো, এটা তখনই কাজ করবে যখন মেশিনে লোকাল একটা ইউনি বাংলা ফন্ট ইনস্টলড থাকবে। সেটা না হলে সব চারকোনা বক্স (এ্যাম্বেডেড অংশ ছাড়া) দেখাবে, সেটা যেকোনো লে-আউটেই লেখা হোক না কেনো।

পলাশদা'র সমস্যা আসলে হলো তাঁর মেশিনে কোনো ফন্ট নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিবিড় এর ছবি

আরে আপনি তো দেখি উড়াধূড়া মানুষ, আর বেশি বেশি লিখেন (চলুক)


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দময়ন্তী এর ছবি

দুর্দান্ত! (Y)

আচ্ছা "পরবাস' না আর একটা কোথায় যেন একটা খুব ভাল ঘনাদা পড়েছিলাম৷ সেটাও কি আপনার লেখা ছিল? ঘনাদা আর বিল গেটসের মোলাকাত্৷
-----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অমিত এর ছবি

সেইরকম

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমারও সেই একই প্রশ্ন, আপনি কে বলেন তো?
আপনি তো জাত লেখক। এতদিন কোথায় ছিলেন? লেখেন ভাই, সমানে লেখেন। আপনার মতো লেখকের অপেক্ষায় বসে আছি বহুদিন।
আপনার লেখা নিয়ে মন্তব্য করার সাহস নেই। ভালো লেখা পড়লে ঈর্ষা হয়, মনে হয় আমাকে এর চেয়েও ভালো করে লিখতে হবে। কিন্তু আপনি সেই ঈর্ষারও উর্ধ্ধে।
চালিয়ে যান। অপেক্ষায় আছি।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্বপ্নহারা এর ছবি

জটিল মজা পাচ্ছি। চমৎকার লেখা...দৌড়াক!

-----------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শন্করদা, আপনি নমস্য, জটিল লেখা দিচ্ছেন একের পর এক, আপনার যেন আবার "চা খাবার রোগ না হলেই হয়"

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমিও পোঁ ধরে একই প্রশ্ন করছি - আপনি কে???

সত্যি বলতে আমি ঘনাদার ততটা ভক্ত ছিলাম না, যতটা টেনিদার, কিন্তু পড়েছি তাও অনেক। আজ আবার বহু বছর পর আরেকটা পড়া হলো। এককথায় চমৎকার!

ইসসস, আপনি যদি একটা লীলা মজুমদারের গুপী বা নেপো বা পদিপিসী অথবা একখানা টেনিদা লিখতেন ...... :(

শঙ্কর [অতিথি] এর ছবি

এই রে! সব্বাই মিলে আমাকে লগি দিয়ে ঠেলে গাছে উঠিয়ে দিচ্চে। ও হিমুভাই, বাঁচাও।

আমি স্বনামে সচলে এসেছি। কোন নিক নিই নি। সচলায়তন ছাড়া কোথাও কোনকালে লিখিনি। এই মুহুর্তে পরবাসে আচি, কিন্ত কখনও 'পরবাসে' লিখিনি। প্রবাসে এসে বাংলা পড়তে বড় ইচ্ছে হয়। এক বন্ধু এক রাশ ই-মাগাজিনের ঠিকানা দিল। গত এক বছরের ওপর সচল পড়ে বড় শখ হল, আম্মো বোধ হয়, কলম ধরতে পারি - থুক্কু কী-বোর্ড টিপতে পারি।

আপনাদের ভালোবাসায় পড়ে আমার কাজ-করম, পড়াশুনো, সংসার সব ভেসে যেতে বসেছে। গিন্নি বকুনি দেন, 'সাহিত্য ছেড়ে মেয়েটাকে একটু পড়তে বসাও না। কলকাতায় ফিরলে কোন স্কুলে চান্স পাবে না।' আমি গাড় চুলকে বলি, 'যাচ্চি, যাচ্চি। তারপর ছোটকা - .'

এই হল আমার অতীত এবং বর্তমান।

মূলত পাঠক এর ছবি

হিমু বাঁচাবে কেন, তার কি আর কোনো কাজকম্মো নেই? আপনার বাঁচার একটাই রাস্তা, টপাটপ লিখতে থাকুন। থামলেই বিপদ! জনগণের তরফে মেগাহুমকি দিয়ে রাখলাম।

স্নিগ্ধা এর ছবি

এই হল আমার অতীত এবং বর্তমান।

হে হে হে - এবার আপনার ভবিষ্যতটাও বলে দিই? নিকষ ...... :D

তবে দুস্কু কর্ব্বেন্না - গিন্নির কানমলা খেয়ে মনখ্রাপ হলে সচলে এসে আমাদের জানাবেন - আমরা সহানুভূতি, সহ-সহানুভূতি, সহ-সহ-মর্মিতা, সহ-সহ-সহ-কানব্যথা ইত্যাদি দিয়ে আপনাকে অনেএএএক সান্ত্বনা দিয়ে এক্কেবারে ভাসিয়ে দেবো :D

লিখতে থাকুন, উটি থামাবেন না যেনো ... !

বইখাতা [অতিথি] এর ছবি

সেই ছোটবেলার পর আর ঘনাদা পড়া হয়নি। তবে প্রেমেন্দ্র মিত্রের ভক্ত আমি। বিশেষ করে তাঁর ছোটগল্পগুলির।

খুব ভালো হয়েছে গল্পটা। আপনার সব লেখাই আমি খুব আগ্রহ নিযে পড়ি। দারুণ লিখেন আপনি।

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনার লেখা পড়তে পড়তে কেন যেন সেই ছাত্রবেলায় গোগ্রাসে গেলা কথাসাহিত্যিক 'শঙ্কর'-এর কথাই মনে পড়ে যায়।
লেখা নিয়ে সবাই মন্তব্য করেছে। আমি আর ওপথে না-ই গেলাম। অন্তর্জালিক অভিনন্দন আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ঘনাদা পড়েছি সেই কোনকালে। আপনার লেখা পড়ে আবারও ফিরে গেলাম কৈশোরে। আপনার লেখা লা জওয়াব! এই প্রসংগে একটা কথা বলি। অনেক সময় কিছু কিছু চরিত্র এতো ফেমাস হয়ে যায়, যে আসল গল্পকারের মৃত্যুর পরেও অন্যেরা সেই সব চরিত্রদেরকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প ফাঁদে। সিরিয়াসলি বলছি, আপনি কিন্তু ঘনাদাকে নিয়ে একটি সিরিজ লেখা শুরু করে দিতে পারেন।
ঢাকাতে কি "ঘনাদা সমগ্র" জাতীয় বই পাওয়া যায় নাকি? (সবাইকে প্রশ্ন করছি)।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সত্যি বলতে গেলে আমিও অনেকদূর পড়ার পরে বুঝতে পেরেছি এটা মৌলিক লেখা!

দা' আপনি লেখা বন্ধ করবেন না যেন... পিলিজ!

@ জাহিদ ভাইঃ হ্যা, পাওয়া যায়!

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তানবীরা এর ছবি

'কই, তোমাদের গুগুল, ইয়াহু, সব সার্চ ইঞ্জিন খুলে দেখ। কোথাও লেখা আছে আজ আমার জন্মদিন?

হুজুররা যেমন বলে না, কওতো কেয়ামত কবে হবে, সেটা মনে পড়ে গেলো

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাজ্জাদ এর ছবি

'সূর্য কাঁদলে সোনা' এর খোঁজ করায় গুগল মামা মারফত এই অমূল্য রতনের সন্ধান পেলাম। প্লিজ নিয়মিত লেখবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।