পত্রমিতালী জিনিষটা আজকাল আর চলেনা, কিন্তু আমাদের ছোটবেলায় বেশ চলত। কুণালের সঙ্গে অবশ্য আমার শুরুতে সাধারণ বন্ধুত্বই ছিল। একই ক্লাসে পাশাপাশি বসে কাটিয়ে দিয়েছি বেশ কটা বছর। বারো ক্লাস শেষ করে আমি ভর্তি হলাম, মফস্বলের কলেজে, আর ও চলে গেলো কলকাতায় ইঞ্জিনীয়ারিং পড়তে।
কলকাতা থেকে মাঝে মাঝেই চলে আসতো ও। আর সঙ্গে নিয়ে আসতো কলকাতার গল্প। কফি হাউসের আড্ডাটা যে মোটেই খারাপ নয়, বরং তাতে প্রচুর কিছু শেখা যায়, সেটা ওর কাছেই প্রথম শুনলাম। আমরা যে কি ভীষণ কূপমন্ডুক, দুনিয়াটা যে কি দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে, আমরা কোথায় গাড্ডায় পড়ে আছি, প্রায় প্রতি মাসেই ওর কাছে শুনতাম।
এইভাবে গালি খেতে খেতেই কলেজটা শেষ করে ফেললাম। ইঞ্জিনীয়ারিং শেষ করে বাপের আরো কিছু পয়সা ধ্বংস করে সে চললো স্বর্গের দেশ – আমেরিকায়। আর আমার বাবা আমাকে ধ্বসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন সোজা স্বর্গে। কোনমতে একটা মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের চাকরি পেয়েছিলাম বলে সংসারটা ডুবলো না, ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে চললো ভবিষ্যতের দিকে। তখনই আমাদের যোগাযোগটা পত্রমিতালিতে সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। দু-তিন বছর পর-পর সে আসতো, আর আমরা যে কত পিছিয়ে আছি, তার একের পর এক বর্ণনা দিয়ে যেত।
ডট-কমের এক ধাক্কায় আমরা আর্জেন্ট পিপি ট্রাঙ্ককলের যুগ থেকে চলে এলাম এসটিডি-আইএসডির যুগে। তখন যোগাযোগটা আরেকটু সহজ হল। প্রায় প্রতি মাসেই মিনিট পনেরোর জন্য ফোন করতো ও। আমার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এ দায়িত্বটা সে নিজের থেকেই নিয়েছিল।
তখন সবে আমরা সাদা-কালো টিভিতে চিত্রহার দেখে মোহিত হচ্ছি, আর ও শোনাত ওদেশের রঙ্গীন টিভির গল্প। ভিসিআর, পেজার, মোবাইল, ডিভিডি – এ সব এদেশে আসার আগেই তার বর্ণনা, ব্যবহার এবং আমাদের দেশে যে এগুলো আসতে আরো দশ বছর দেরী এই আপ্তবাক্যগুলো আমার কর্ণস্থ হয়ে যেত।
“আরে কম্পিউটার রে ভাই। কি জিনিস ভাবতেও পারবি না। দুনিয়া বদলে দেবে।”
“তুই এখনও গাধা রয়ে গেলি, এখনো ইন্টারনেটের নাম শুনিস নি?”
“একটা ই-মেল আকাউন্ট খোল না। কবে যে মানুষ হবি।”
কয়েক বছর বাদে পাড়ায় একটা সাইবার কাফে খুলল যখন, আমিও একটা ই-মেল আকাউন্ট খুললাম। তারপর মাঝেমাঝে কুণালের গালাগালি খেয়ে, সেখানে মেল চেক করতে যেতাম। আসতে আসতে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে দেখলাম মজা মন্দ নয়। জোক্সগুলো ভালই লাগে, কত দেশ-বিদেশের ছবি দেখি – কিছুটা সময় কেটে যায়। আরেকটা সুবিধা, ই-মেলের গালিগুলো বেশি গায়ে লাগে না।
“অর্কুটে নাম তোল”
“ফেসবুকে নাম নেই তোর। এখনো ঢ্যাঁড়স রয়ে গেলি।”
“টুইটার, টুইটার – টুইট করা শেখ।”
ইতিমধ্যে বিয়ে করেছি। চাকরী আর বৌ সামলে সাইবার কাফেতে সপ্তাহে এক-দেড় ঘন্টার বেশী দিতে পারিনা। কুণালও বিয়ে করেছিল। কার সাথে যেন চ্যাট করতে করতে ই-প্রেম হয়ে গেল, তারপর তাকে ঘরণী করে তুললো। বিয়ের কয়েক মাসের পরেই বোঝা গেল, বিধর্মী বৌ কিছুতেই সহধর্মিণী হতে রাজি নন। কুণাল চাকরী করার বাইরে (এবং অফিসেও) দিনরাত শুধু চ্যাট, টুইট আর ই-মেল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। গিন্নী তাকে ই-ধর্মত্যাগ করাতে বদ্ধ-পরিকর। দু-জনার কেউই যখন ধর্মত্যাগ করতে রাজি হল না – তখন ই-মেল রইল, ফিমেল ডিভোর্স করে চলে গেলেন।
কুণালের তাতে খুব একটা অসুবিধা হল মনে হল না। সে মনের আনন্দে পরিচিত, সদ্য পরিচিত এবং অপরিচিত সকলের সাথে মহানন্দে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে লাগলো।
“সিন্থেটিক সুখ রে ভাই, সিন্থেটিক সুখ। ভাবতে পারবি না কি জিনিস”, গুগুল-টকে ভেসে এলো ওর উত্তেজিত গলা। একটা ছোট্ট চিপ বগলের তলায় লাগিয়ে রাখ। ইচ্ছেমত সুখের চিপ। যখন ইচ্ছে খুশী হয়ে যা।”
- যাঃ, তা আবার হয় নাকি?
- হয়না মানে? আমিও একটা কিনেছি। মন খারাপ হলেই অন করে দি।
- সুখ আবার কেনা যায় নাকি? আমার বিভ্রান্ত জবাব।
- কেন যাবে না? ম্যাট্রিক্স দেখেছিস? খুশী কি, দুঃখই বা কি? অনুভূতি। অনুভূতি কি? নিউরনের গোড়ায় কিছু তরিৎ-রাসায়নিক ঝটকা। ব্যাস। ওই চিপটা তোকে সেই ঝটকা দেবে, আর তুই খুশীতে ঝলমল করে উঠবি।
রাত্রিবেলা আমার পাঁচ বছরের মেয়েকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে তলিয়ে যেতে যেতে ভাবলাম, কোন চিপ বুঝি এই খুশী দিতে পারে। কে জানে হবেও বা।
“আজকাল আর রেগুলার চিপ বদল করতে হয় না। একটা সিম কার্ড লাগিয়ে রেখেছি – প্রয়োজন মত অনুভূতি ডাউনলোড করে নি।”
- মানে যখন খুশী, খুশী হবি?
- শুধু খুশী নয়, চাইলে দুঃখও ডাউনলোড করতে পারিস।
- শুধু শুধু কেউ দুঃখ চায় নাকি?
- শুধু শুধু কেন। ধর কারো বড়লোক বাবা মারা গেছেন। এদিকে ভীষণ খুশী, এবার হাতে সব টাকা পাওয়া যাবে, কিন্তু সবার সামনে তো খুশি দেখাতে পারছে না, শ্রাদ্ধের দিন দুঃখ ডাউনলোড করে নিল। কিংবা, ছুটি নেওয়ার জন্য বসের ঘরে ঢোকার আগে একটু অসুস্থতা ডাউনলোড করে নিলি।
আমার মাথা ঘুরতে লাগলো। পরবর্তী কয়েক মাস ধরে ওর নতুন নতুন সুখানুভূতির গল্প শুনতে লাগলাম।
-আজ চিংড়ী মাছের মালাইকারী খেলাম, বুঝলি?
-কাল ডান-পাটা ব্যথা করছিল, একটু ম্যাসাজ করিয়ে নিলাম।
-পরশুদিন মনে হল ভীমসেন যোশীর গান শুনলাম।
“মনে হল মানে?”
-না মানে সত্যি সত্যি ওনার গান শুনিনি। ওনার গান শুনলে কেমন যেন একটা ভালো লাগে। সেই ভালো লাগাটা ডাউনলোড করেছিলাম।
এতো গল্পকথার মধ্যে আমার জীবনেও একটা খুশীর খবর এলো, এবং ডাউনলোড ছাড়াই। ভালো ব্যবসা দেওয়ার জন্য, কোম্পানী আমাকে সপরিবারে এক সপ্তাহের জন্য আমেরিকাভ্রমণের নিমন্ত্রণ জানালো। কুণালের শহরের কাছেই। কাজেই ঠিক করলাম স্বর্গ-ভ্রমণের সাথে সাথে একজন স্বর্গবাসী বন্ধুর সাথেও দেখা করে আসি।
এক সন্ধ্যেবেলা ওর ফ্ল্যাটে গেলাম। ঘর অন্ধকার করে দুটো কম্পিউটার, দুটো মোবাইল আর একটা পিডিএ নিয়ে বসে আমার বন্ধু মহানন্দে চ্যাট করছে। চেহারাটা অনেকটাই বদলেছে। সোফায় বসে বসে বেশ একটা বড়সড় ভূঁড়ি বানিয়েছে, চামড়াটা কেমন খসখসে হয়ে গেছে। “লাগাতার মনিটরের রেডিয়েশন,” পুরু চশমার কাচের আড়াল থেকে ওর ঝকঝকে চোখ-দুটো হেসে উঠলো।
“একটু বোস,” বলে দশ আঙ্গুলে ঝড় তুলে চললো সে।
প্রায় মিনিট দশেক বোকার মত বসে থেকে বললাম, “বার্গারগুলো ঠান্ডা হয়ে যাবে যে।”
“ও বার্গার এনেছিস। দে দে। কোথা থেকে আনলি?”
-কেন, তোর বাড়ীর সামনেই তো একটা কেএফসি খুলেছে। একটা পাঞ্জাবী ছোকরাকে দেখলাম। বছর দুয়েক হল বসেছে বললো।
-তাই বুঝি। আমিতো বছর তিনেক বাড়ি থেকে বেরোইনি। যা লাগে ফোনে অর্ডার দিয়ে দি, বা মেলে। ব্যাস সোজা বাড়ী চলে আসে।
-বাড়ী থেকে বেরোস নি মানে? অফিস করিস কি করে?
-কিছুদিন ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম করলাম। তারপর দেখলাম, একা মানুষ। যা টাকা জমেছে, তার সাথে বেকার ভাতা যোগ করলে চলে যাবে। দিলাম চাকরীটা ছেড়ে। এই চ্যাট, ই-মেল, টুইট নিয়ে সুখেই আছি। সুখ কম পড়লে ডাউনলোড করেনি। দাঁড়া, এই ই-মেলটার জবাব দিয়ে নি। শালা!! আমায় খিস্তি করেছে? দাঁড়া আগে দশ-মিনিটের জন্য রাগ ডাউনলোড করে নি, তারপর শেখাব খিস্তি কাকে বলে। কোন রাগটা ডাউনলোড করব? ধাক্কা মারলে রাগ, বস বকলে রাগ, বরের গালে লিপ্সটিকের দাগ দেখলে রাগ ... হ্যাঁ, এই তো পেয়েছি, বন্ধু খিস্তি করলে রাগ। এক মিনিট ওয়েট কর।
এই ই-মেলটার পর সেই টুইটটা, তারপর ... । আমি কিছুক্ষণ পর বোর হয়ে বললাম, “আজ চলি।”
ও অন্যমনস্ক হয়ে চ্যাট করতে করতে জবাব দিল, “আচ্ছা আয়। আবার আসিস।”
আরেকবার যে আসা সম্ভব নয়, সে কথা বলে আর কথা বাড়ালাম না।
পরের সপ্তাহে ফিরে এসে আবার রুটিন-মাফিক সাইবার-কাফেতে গেলাম। এবার ওর গলাটা ভেঙ্গে গেছে। খুব আস্তে করে বললো, “নিজের বারোটা নিজেই বাজিয়ে দিলাম মাইরি।”
সে তো আমি অনেকদিন আগেই জানি। কিন্তু কোন বারোটার কথা বলছে কুণাল। আর গলাটাই বা এত দুঃখের কেন। সুখ তো ওর হাতের মুঠোয়। চাইলেই ডাউনলোড।
“তুই আমার অনেকদিনের বন্ধু বলেই বলছি। রেবেকা চলে যাবার পর তো আর কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছে করল না। একেবারেই একা থাকি। মাঝেমধ্যেই কিছু ই-ভায়াগ্রা ডাউনলোড করে নিতাম। কেউ জানতোও না, কারো অসুবিধেও করিনি। নিজের মনে ডাউনলোড করে খুশীতে থাকতাম। হঠাৎ একটা ফ্রি ই-ভায়াগ্রার ওএবসাইট দেখে আর মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। ভেরিসাইন চেক না করেই ডাউনলোড করেছি। তার সাথে ই-এইচআইভি এসে গেছে।”
মন্তব্য
গল্পটা ভালো লেগেছে দাদা। চালিয়ে যান।
। ছোটগল্প ভাই আমি আসলে একটু রয়েসয়ে ধরি, এটাও সেভাবে ধরলাম। প্রায় সাই-ফাই, নিয়ার ফিউচার?
যাহোক গল্পটা বেশি পপুলার হইলে আমি কপিরাইট মামলা করুম ক্ষণ।
দুর্দান্ত গল্প! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
কাকস্য পরিবেদনা
আরেকটা দুর্দান্ত, মানে ফাটাফাটি গল্প পড়লাম।
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
বাহ! ভালো লাগলো খুব! হয়তো একদম সাংঘাতিক নতুন কোন আইডিয়া বা থিম নয়, কিন্তু আপনার বলার গুণে সব মিলিয়ে ভালো লাগে
ধন্যবাদ সবাইকে। আপনাদের ভালবাসাতেই লিখি। কারো কারো জীবন বরবাদ হয়, আজ দুই মাস হল আমার জীবনটা বৌ-বাদ হয়ে গেছে। একা একা সিডনী চলে এসেছি। মেয়ের স্কুলের ক্ষতি হবে বলে তিনি আসেননি। পরশু মেয়ের পরীক্ষা শেষ হল। আজ রাতে তাদের বিমান ভ্রমণ শুরু হবে। এদিকে দেশ জুড়ে রামমন্দির নিয়ে দাঙ্গার আশঙ্কা। তাই দুপুর দুপুর তারা এয়ারপোর্ট এসে হাজির। আমি রাত জেগে ফোন করে তাদের বিনোদন করছি। তার মাঝেই লিখে ফেললাম। কদিন আগেই এই নিয়ে সচলে একটা লেখা পড়েছিলাম। সেটাই প্রেরণা।
সবাইকে জানাই। গিন্নী আগামী দেড়-মাস থাকবেন। কাজেই ততদিন আমার সচলাড্ডা বন্ধ। তারপর আবার দেখা হবে।
ক্যান? এক ফাঁকে এসে একটু চ্যাটাইয়া যাবেন খন। আর আসার পথে খানকতক চিকেন নাগেটসও লইয়া আসেন।
অসাধারণ একটি গল্প পড়ার সৌভাগ্য হলো, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !
রোমেল চৌধুরী
যাচ্ছেতাই কাণ্ড!
দারুণ গল্প!
ভাবুন আপনের তো জীবন বৌ-বাদ হয়েছিলো, আপনার গিন্নির তো সত্যিই জীবনটা বরবাদ হয়ে গেছিলো!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার একটা গল্পের জন্য ধন্যবাদ। বেশ লেগেছে।
মজা পেলাম!
নিজের জীবনটাও অনেকটা ভার্চুয়াল হয়ে গিয়েছে। একাধিক ব্লগ, একাধিক ইমেল, ফেইসবুক, একাধিক পত্রিকা, মুভি দেখা সব মিলিয়ে সিন্থেটিকের পাল্লায় নিজেই ডুবে গেছি। এখন তো মনে হয় খালি একটি ইন্টারনেট সহ মোবাইল অথবা আইফোন দিলে কবরে কিংবা জেলে যেতেও খারাপ লাগবে না () । অবশ্য পেটের চিন্তাটা শুধু বাকি রয়ে যায়। ওই ট্যাবলেটটা এখনো যে কেন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে না, যেটা খেলে আগামী কয়েক সপ্তাহ খাওয়া লাগবে না। আমার মনে হয় বিজ্ঞানীরা ইচ্ছে করেই করে না। পেটের চিন্তা দূর হয়ে গেলে যে দুনিয়ার সব মানুষ কাজ/কাম বন্ধ কইরা দিব , সে জন্যই করে না।
লিখতে থাকুন!
দারুণ লাগলো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমকপ্রদ ভাষা আর ঝরঝরে বর্ণনা........... একদমে পড়ে শেষ করলাম এবং ব্যাপক মজা পেলাম । ধন্যবাদ দাদা !!
দারুণ লাগলো। তবে আবার ডুব দেবেন এইটা মোটেও ভালো কথা নয়। সস্ত্রীক চলে আসুন না বরং!
দারুণ গল্প। অনেকদিন পর গল্প পড়ে হাসলাম।
সজল
ভার্চুয়াল রম্য বটে!
লিখুন হাত খুলে।
আপনার অন্য লেখাগুলোও পড়লাম। ভালোই লেগেছে।
অগ্রিম শারদীয় শুভেচ্ছা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
অসাধারণ লেখা। চালিয়ে যান।
অনবদ্য! অসাধারণ থীম।
অনন্ত
আপনার গল্প পড়ে সুখ পেলাম। না, সিন্থেটিক সুখ না। এক্কেবারে রিয়েল সুখ।
লন, আমার পক্ষ থেকে (গুড়) খান। কী আর করা, আসল গুড় দিতে পারলাম না, তাই ই-গুড়ই সই।
কুটুমবাড়ি
নতুন মন্তব্য করুন