হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের এক রৌদ্রস্নাত সমুদ্রসৈকতে স্বর্ণকেশী সুন্দরীর কোলে মাথা রেখে শুয়েছিল জেমস। সামনে সুনীল সাগর, নীচে উষ্ণ বালুকা, লবণাক্ত তীব্র বায়ু মুখে এসে আছড়ে পড়ছে, আর কানের কাছে নীলনয়নার মিষ্টি কূজন। জেমস মনে মনে বলছিল, “হমীন অস্ত, ওয়া হমীন অস্ত, স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই।”
কিন্তু সব স্বর্গেই একটা শয়তান থাকে যে আর সবাইকে স্বর্গচ্যুত করতে চায়। এখানে শয়তান আসলো মোবাইলের ‘ঢিল মারি তোর টিনের চালে’-র সুরে। সিনেমাটা সামনের মাসে রিলিজ করবে, এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। জেমস পরিবেশস্রষ্টা বোতামটা অফ করে দিল। সমুদ্রসৈকত আর সুন্দরী মিলিয়ে গেল, জেমস ফিরে এল তার লন্ডনের এক কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে।
3-D টিভির সাথে ডঃ গ্রীডির আবিষ্কারটা যোগ করে বাজারে এসেছিল 4-D টিভি। তার সাথে শীতাতপ- নিয়ন্ত্রক, তেজ-নিয়ন্ত্রক আর বায়ুশক্তি- নিয়ন্ত্রক যোগ করে তৈরি হল প্রথম পরিবেশস্রষ্টা। প্রথম পরিবেশস্রষ্টা শুধু পরিবেশটাই বানাতে পারতো। এই যেমন সাইফভাই আম্রিকাতে বসে দুঃখ করছে, সেই অঝোর ঝরণ শ্রাবণজলে বৃষ্টিটা এখানে আর দেখতে পারছি না - চালিয়ে দাও “বাংলায় বর্ষা” ডিভিডিটা। বাঁশঝাড়ের মধ্যে ঝরঝর বৃষ্টি, কচুপাতায় টুপটাপ, তার সাথে ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ, একটু ঠাণ্ডা হাওয়া, নৌকোর ছপছপ-ব্যস পাঁচ মিনিটে ছোটবেলায় মায়ের কোলে পৌঁছে যাওয়া। এর পরের সংস্করণে স্পর্শের ব্যাপারটা যেই জুড়ে গেল পরিবেশস্রষ্টার আবেদন গেল বেড়ে। তখন সেই “বাংলায় বর্ষা”-র ডিভিডি চালালে ঝুপ্পুর বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দটাও পাওয়া যাবে। ব্যস, আর পায় কে। হৈহৈ করে বিক্রি শুরু হয়ে গেল। “যতো কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে”, “রয়েলবেঙ্গল রহস্য”, “কৈলাসে কেলেঙ্কারি”, “হন্ডুরাসে হাহাকার”, “মিশরের ইশারা” - একের পর এক ডিভিডি বিক্রি হতে লাগলো। ট্রাভেল এজেন্সীদের হাতে হারিকেন, দুনিয়াজুড়ে পর্্যটন-ব্যবসার চোদ্দটা বেজে গেল। অর্ধেকের ওপর বিমানকোম্পানীর লালবাতি জ্বলে গেল। পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠলো ই-পর্্যটন ব্যবসা।
জেমস পরিবেশস্রস্টার তৃতীয় সংস্করণের খ-রূপটা যোগাড় করেছে তার এক বাংলাদেশী বন্ধুর কাছ থেকে। এতে দুয়েকটি চরিত্র ইচ্ছেমত সৃষ্টি করা যায়। সেই বাংলাদেশীবন্ধু ধুগো বলেছিল, এটা পাওয়ার পর সে নাকি শ্যালিকা-অণ্বেষণ করা ছেড়ে দিয়েছে। যেখানে ইচ্ছেমতন নীলনয়না, কৃষ্ণকলি, মার্জারাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ফালতু ফালতু একজনার মানভঞ্জন করতে যাবে কোন উজবুক। সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিরাট সাড়া পড়ে গেছে। পরিবেশস্রষ্টা-৩ বাজারে এলে পৃথিবীর আদিমতম ব্যবসা লাটে উঠবে। ইউরোপ- আমেরিকায় আবার অর্থসংকট আসবে, বেকার-সমস্যা বাড়বে, এক কথায় আবার কেলোর কীর্তি হবে। তবে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরাও দাবি করেছেন, এর ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমবে, নারী-নির্যাতন কমবে । সব থেকে বড় কথা অল্প খরচায় বেশী বিনোদন এবং বাজারের নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় সংস্করণটি কয়েক মাসের মধ্যেই পৃথিবী জুড়ে হৈচৈ ফেলতে আসছে।
মোবাইলে এম আই - ফাইভের অধিকর্তা এম-এর মুখ ভেসে উঠলো।
- জেমস, তোমার তো বাংলাতে ভালই দখল আছে?
- হ্যাঁ স্যার, স্কুলে বাংলা আমার দ্বিতীয় ভাষা ছিল। তার পরেও আমি বাংলার চর্চা চালিয়ে গেছি। সংস্কৃতও কিছুটা পড়েছি।
- হ্যাঁ, তোমার জীবনপঞ্জীতে তাই লেখা আছে। ভালোই করেছ। এই সফটওয়ার ব্যাপারটা আসার পর ওই হতচ্ছাড়া বাঙ্গালীগুলো গোটা দুনিয়া জুড়ে গেঁড়ে বসেছে। আর কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাভাষা পৃথিবীর এক নম্বর ভাষা হয়ে যাবে। যাই হোক, এবার কাজের কথায় আসা যাক। কন্দুক সম্বন্ধে তোমার কোন ধারণা আছে?
- হ্যাঁ স্যার, এক সময় তো আমরা এই খেলাটায় এক নম্বর ছিলাম। তখন এই খেলাটার নাম ছিল সকার। গোটা দুনিয়াকে তো আমরাই এই খেলা শিখিয়েছি। তারপর বেটিং, ডোপিং আর গট আপের জন্য অনেকেই খেলাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তবে গত দশকে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বিশ্বকাপের খেলায় একটা রোবট খেলানোতে দুনিয়া জুড়ে হুল্লোড় বেধে গিয়েছিল। এখনতো এটা রোবোটিক্সের বিশ্বকাপ হয়ে গেছে। দুই দলের এগারো জন করে রোবট খেলে একটা বল নিয়ে।
- বাঃ তোমার জিকে তো বেশ ভালোই দেখছি। আমিও ভাবছিলাম এই কাজটার জন্য তোমাকেই নির্বাচন করা উচিত। দেখা যাচ্ছে, ঠিকই ভেবেছিলাম।
- কাজটা কি, স্যার?
- গত কয়েক বছর ধরে কন্দুক-বিশ্বকাপের জন্য রোবোটিক্সের অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ফাইনালে শুধু ভারত আর বাংলাদেশই যায়। এবছরেও মনে হয় ভারতের লাথি-৫ আর বাংলাদেশের এঁকাবেঁকা-৬ এর মধ্যেই লড়াই চলবে। তবে শুনেছি, ভারত নাকি স্তম্ভন বলে নতুন একটা সফটওয়ার নামাচ্ছে, যেটা প্রতিপক্ষের রোবটগুলোকে স্তম্ভিত করে দেবে।এটা অতিশ্যামদন্ত কারিগরীতে তৈরী এবং অন্যান্য সিগন্যালকে আটকাতে ওস্তাদ । তোমার কাজ হবে এটা খুঁজে বের করা, কে ফাইনালে জিতবে।
- বুঝেছি স্যার।
- কিসসু বোঝনি। এর ওপর আমাদের দেশের অর্থনীতি অনেক নির্ভর করছে। আমরা কাদের ওপর বাজী ধরবো সেটা তুমিই ঠিক করে দেবে। তোমার সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে পারে অথবা ডুবিয়ে দিতে পারে।
জেমসের শিরদাঁড়া দিয়ে বরফের স্রোত বয়ে গেল। যতটা সম্ভব নিজেকেসামলে বললো, “আমি আমার দেশের জন্য প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও রাজী আছি স্যার।”
- গাধার মত কথা বল না। মাইনেতো পাও মাসে পাঁচশো পাউন্ড। তুমি মরলে দেশের ঐটুকুই লাভ - বছরে ছ’হাজার পাউন্ড। তার থেকে নিজের কাজটা ঠিক করে কর।
- ঠিক আছে স্যার। আর কিছু?
- কাজটা অতোটা সহজ নয়। ধরা পড়লে...
- গিলোটিন?
- ছাগলের মত ব্যা ব্যা কর না । তোমাকে মেরে কার কি লাভ? তার চেয়েও বেশী।
- তার চেয়েও বেশী? কি সেটা?
- এর আগে দুইজন ধরা পড়েছিল। ঢাকা থেকে তাদের দিয়ে পুরো হাতের লেখায় স্বীকারোক্তি লিখিয়েছিল। তারপর সেটা রাষ্ট্রপুঞ্জে পাঠিয়েছিল। আমার কাছেও এসেছিল এক কপি।উঃ কি হাতের লেখা, তার ওপর বানান ভুল, আর ব্যাকরণের তো মা বাপ নেই। ব্যাটা বাঙ্গালীগুলো সব লাল দাগ দিয়ে দেখিয়েছে। আবার চিমটি কেটেছে, ব্রিটিশরা আজকাল নিজেদের মাতৃভাষাই যেখানে ভুল লেখে, সেখানে তাদের ভাষাশিক্ষা কি রকম বোঝাই যাচ্ছে। তোমাকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের দিব্যি জেমস, যাওয়ার আগে নিজের ভাষাটা একটু ঝালিয়ে নিও, আর কোন কিছুলিখতে হলে অভ্র-র ইংরাজী- সংস্করণটা ব্যবহার কর। ওতে বানান আর ব্যাকরণটা সামলে যাবে। নেহাতই হাতে লিখতে হলে ব্লক অক্ষরে লিখ। তোমার হাতে লেখা রিপোর্টতো আমিই পড়তে পারি না, বাঙ্গালীগুলোর হাতে পড়লে যে কি হবে, সেটা ভেবেই আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
- ঠিক আছে স্যার, জেমস মিনমিন করে বললো।
মোবাইলটা অফ করে ক্যাপসুল পিসিটা খুললো জেমস। গুগলির শহরভ্রমণ বিভাগে গিয়ে কলকাতা আর ঢাকার সম্বন্ধে পড়ে নিতে হবে। ব্যাটাচ্ছেলে সিলেটিটা গুগল কিনে সেটার নাম অবধি বদলে দিয়েছে। ক্যাপসুল পিসির সঙ্গে পরিবেশস্রষ্টা জুড়ে দিয়ে কলকাতা আর ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটলো জেমস। ঝালমুড়ি, পাপড়িচাট আর বিরিয়ানীর গন্ধ নিল নাক ভরে। তারপর ভাবতে বসল কোথায় যাবে- কলকাতা না ঢাকা, এয়ার ইন্ডিয়া না বিমান।
প্রথমে দেখা যাক খাবার কি পাওয়া যাবে, নিজেকেই বললো জেমস। এয়ার ইন্ডিয়া ব্রেকফাস্টে দেবে আলু-পরোটা আর দই। ওয়াও। বিমানে দেবে নারকোল নাড়ু, মোহনভোগ আর চন্দ্রপুলি। নাহ, বাংলাদেশ 1-0. লাঞ্চে এয়ার ইন্ডিয়া দেবে ফ্রায়েড রাইস আর কষা মাংস, বিমানে দেবে খিচুড়ি আর মাছের ডিম ভাজা। আর বিকেলে এরা দেবে ধোকলা আর ঝুড়িভাজা, ওরা দেবে মুড়ি- নারকোল আর শসার কুচি। কিছু করার নেই। প্রথমে ঢাকাতেই যাওয়া যাক।
সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিন্ত মনে জেমস ঘুমগেল।
পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙ্গলো প্রায় নয়টা নাগাদ। ধড়াচূড়া পরেই জেমস দৌড়োল শক্তি- বিভাগে। আপ্যায়ন বিভাগে প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর অন্তর-দূরভাষে পাওয়া গেল শক্তি- বিভাগের প্রধানকে। এক কথায় জেমসের সমস্ত আবেদন নস্যাত করে দিলেন তিনি, “রোবটদের সঙ্গে লড়বার মত কোন অস্ত্র স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আজও তৈরী করে উঠতে পারেনি।”
টুকটাক কেনাকাটা করে হিথরো পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেল। বিমানের গেটে নিজের কার্ডটা ঢোকাতে গিয়ে থমকে গেল জেমস। প্রবেশদ্বার দিয়ে যে মেয়েটি ঢুকল তাকে দেখে শেষের কবিতার লাইনটা মনে পড়ে গেল, “এতো আগমন নয়, আবির্ভাব।” একেবারে যাকে বলে পক্কবিম্বাধরোষ্ঠী, স্তোকনম্রস্তনাভ্যাং। জেমসের আরেকটা শব্দ মনে পড়ে গেল। শরদিন্দু-র লেখা “তুঙ্গভদ্রার তীরে”-তে পড়েছিল- ন্যগ্রোধপরিমণ্ডলা। ব্যাখ্যাটাও সেখানে লেখা ছিল। কি যেন ছিল শ্লোকটা,
স্তনৌ সুকঠিনৌ যস্যা, তারপর কি যেন,
মধ্যে ক্ষীণা ভবেত যা সা ন্যগ্রোধপরিমণ্ডলা।।
যাকে বলে খাঁটি 36-26-36, আদর্শ বালুঘড়ির চেহারা। জেমস মনে মনে বৈষ্ণব-পদাবলী আবৃত্তি করতে লাগলো,
“মঞ্জু বিকচ কুসুমপুঞ্জ
মধুপ শব্দ গঞ্জিগুঞ্জ
কুঞ্জর গতি গঞ্জি গমন
মঞ্জুল কুলনারী।”
এবং মেয়েটি তো বিমানের দিকেই আসছে। জেমস দেখল তার কৃষ্ণকলি আঁখি গেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেমস পেছন পেছন দৌড়ল। হে যীশু, ও যেন অভিজাত শ্রেণীর টিকিট না কাটে, এম বলে দিয়েছেন, বেশী খরচ করলে নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। নাঃ যীশু আজকে জেমসের অনুরোধ শুনেছেন। মেয়েটি সাধারণ শ্রেণীর যাত্রী। জেমস মনের আনন্দে গেটে নিজের কার্ডটিও ঢোকাল।
বিমানে উঠে মনে হল, যীশু আজ বোধ হয় তাঁর পুরো আশীর্বাদের থলিটা জেমসের ওপরেই উপুড় করে দেবেন। মেয়েটার পাশের সীটটা খালি। এতটা রাস্তা একটি আদি ও অকৃত্রিম বঙ্গললনার সাথে। জেমসের পেটের ভেতরে কেমন প্রজাপতিরা উড়ে বেড়াতে লাগলো। কলেজের বাঙ্গালী মেয়েগুলোর কি গুমোর। ধুর ব্যাটা ফ্যাটফ্যাটে সাদা চামড়া, তার ওপর সারা গায়ে মনে হয় বসন্ত বা হাম হয়েছে, মুখ ভর্তি বীয়ারের গন্ধ, কাল রাতে দাঁত মাজিস নি? রোজ এই শুনতে শুনতে দিন গুনত, কবে একটা সত্যিকারের বাঙালী মেয়ের সাথে গল্প করার সুযোগ পাবে। আজ পুরো রাস্তাটা, আঃ। জেমস মেয়েটির পাশে গিয়ে তার সব থেকে হ্যাণ্ডূ ভয়েসে বললো, “মাই নেম ইজ বণ্ড, জেমস বণ্ড।” মেয়েটি একটু হাসলো, জেমসের মনে হল দন্তরুচিকৌমুদী কথাটার মানে সে এতদিনে বুঝতে পারলো। তারপর জলতরঙ্গ বেজে উঠলো, “আমি মায়া।”
বিমান চালু হওয়ার আগেই জেমস বুঝতে পারলো লন্ডনের বাঙালী মেয়ে আর সত্যিকারের বাংলাদেশের মেয়ের মধ্যে ফারকটা কোথায়। কোথায় সেই রুক্ষ ভাষা আর শুষ্ক দৃষ্টি আর কোথায় এই মদির চাহনি। একেই বোধ হয় বলে ‘বুক ভরা মধু, বাংলার বঁধু।’ বিমান ছাড়ার দশ মিনিটের মধ্যেই তারা তুমিতে নেমে এল, আর এক গ্লাস আমের পানা শেষ করার পর তার মাথা নেমে এল জেমসের কাঁধের ওপর। যীশু আজ সত্যি দয়ালু, ভাবলো জেমস। প্রাতরাশের পর আগডুম-বাগডুম বকতে বকতে কখন যে খিচুড়ি আর ডিম ভাজা এসে গেল কারো খেয়ালই নেই। এর মধ্যে মায়া জেনে গেছে যে জেমস এই প্রথমবার ঢাকা যাচ্ছে, আর কোথায় উঠবে জানে না। মায়া ওকে নিজের বাড়িতেই নিমন্ত্রণ করেছে। ওঃ যীশু, তুমি কি আজকে সারাদিন শুধু জেমসের কথাই ভাবছো? জেমস ভাবলো যীশু খুশি থাকতে থাকতে সব থেকে বড় চাওয়াটাও চেয়ে নেওয়া যাক। আস্তে করে চোখ মেরে জিজ্ঞেস করলো, “ভারতীয় সঙ্গম সম্বন্ধে কিছু শেখাবে না আজ রাতে?” মায়া মুখ ঘুরিয়ে জবাব দিল, “সেটা নাহয়, ডিনারের পরেই ভাবা যাবে।”
ওঃ যীশু এ কোন অভিযানে পাঠিয়েছ তুমি?
মায়া বড় ছটফটে, এক মিনিটও চুপ করে থাকতে পারে না। কখনো এটা নিয়ে খুটখাট করছে তো কখনো ওটা নিয়ে। পাটনা ছাড়ানোর কয়েক মিনিট পরেই সুরক্ষা পত্রটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে লাগলো।
- জেমস, তুমি কখনো প্যারাস্যুট ব্যবহার করেছ?
- হ্যাঁ, কয়েকবার ব্যবহার করতে হয়েছে।
- তুমি জান, ওটা কোথায় থাকে? আমাকে পরিয়ে দেবে?
ব্যাপারটা যদিও বেআইনী তবু এই রকম একটা মদালসা প্রাণপ্রিয়ার জন্য জেমস তখন ফোর্ট নক্সের দরজা ভাঙ্গতেও রাজি। কাজেই মায়া একটা প্যারাস্যুট পরল, জেমসকেও একটা পরাল। এবং জেমসকে প্যারাস্যুটটা পরেই বসে থাকতে হল।
বসে থাকতে থাকতে একটু বোধ হয় ঝিমুনি এসেছিল। হঠাত একটা ঘোষণা শুনে ঘুমটা কেটে গেল।
- এ-এ-ই, সবাই শোন। আমরা তস্কর-ই-পাকিস্তানীরা এই প্লেনটার দখল নিচ্ছি। আমাদের দাবী কাসভ-সহ আমাদের কুড়িজনকে মুক্তি দিতে হবে।
- ধুর গবেট কোথাকার। কাসভকে নিয়ে কি হবে। ও তো এখন বুড়ো হয়ে গেছে। একশনেও আসবে না, প্ল্যানিং্যেও আসবে না। আর ওর পেছনে ভারত সরকার মাসে মাসে যা খরচ করছে, ও ওখানেই থাকলে আমাদের মঙ্গল। আমরা বাকি ঊনিশজনকে পেলেই প্লেন ছেড়ে দেব।
- কিন্তু এটা তো বাঙ্গলাদেশের বিমান। এটা অপহরণ করলে ভারত সরকার বন্দীমুক্তি করতে রাজি হবে কেন? যাত্রীদের মধ্যে একজন বলে উঠলো।
- এটা বিমান নাকি? যাচ্চলে, ভুল প্লেনে চড়ে বসেছি বস।
- তাতে কি হয়েছে? দু-চারটে কে খুন করে দিলেই বাকি দেশের চাপে ভারত সরকার রাজি হয়ে যাবে। ভারতীয় ছাড়া আর কেউ মরলেই ভারত সরকারের ঘুম ছুটে যায়।
- “এই যে খুকুমণি, এদিকে এসো তো। তুমি তো বাকস , মানে বাঙ্গলাদেশ কন্দুক সমিতির সভাপতির মেয়ে”, মায়ার দিকে তাকিয়ে হাঁক পাড়লো একজন।
জেমস দেখলো মায়ার মুখটা ভয়ে সাদা হয়ে গেছে। পক্ক বিম্বাধর থর থর করে কাঁপছে।
লোকটা জেমসের একদম পাশে এসে মায়ার রগের পাশে বন্দুক ঠেকালো। হঠাত জেমসের মধ্যে কমান্ডো ট্রেনিং্যের ফার্স্ট বয় জেগে উঠলো। এক ঝটকায় লোকটার হাত ধরে সরিয়ে দিল সে, আর লেজার গানের রশ্মি জানালাতে একটা বিরাট ফুটো করে দিল। বাইরের ঠান্ডা ঢুকে ভেতরটা পুরো বাষ্পীভূত করে দিল। চারিদিক ধোঁয়ায় ভরে গেল, সবার হাত-পা জমে গেল। জেমসের মনে হল সে আর নড়তে পারবে না। এর মধ্যে সে শুধু দেখতে পেল জানালার ফাঁক দিয়ে তার বঙ্গললনার শরীরটা বেরিয়ে যাচ্ছে। তার নিজের সীটবেল্ট লাগানো ছিল না। সে কোনমতে মনের জোরে মায়ার পা চেপে ধরলো, আর নিজেও একই পথে বেরিয়ে এল।
বাইরে বেশ অন্ধকার। জেমসের ভয় হল মায়া যদি প্যারাস্যূটের বোতামটা টিপতে না পারে। সোঁ সোঁ করে বাতাস কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিছু শোনা যাচ্ছে না। জেমস কোনমতে মায়ার প্যারাস্যুটের বোতামটা টিপে দিয়ে নিজেরটাও টিপে দিল আর দু-জনা অন্ধকারের মধ্যে ধীরে ধীরে নামতে লাগলো।
একটু একটু আলো ফুটে উঠতে জেমসের ঘুম ভাঙ্গলো। দেখে এক বিরাট স্টেডিয়ামের পাশে ঘুমিয়ে ছিল সে। তাড়াতাড়ি উঠে প্যারাস্যুটটা একপাশে লুকিয়ে রাখলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো কিভাবে সব কিছু মরীচিকার মত হারিয়ে গেল। কয়েক ঘণ্টা আগে সে বাংলাদেশ কন্দুক সমিতির সুন্দরী কন্যার পাশে বসেছিল। এখন তার মায়ার সাথে বসে প্রাতরাশ করার কথা। আজ রাতে মায়ার সাথে সে ভারতীয় সঙ্গমের তালিম নেবে। আর একটু চেষ্টা করলে কি আর বাংলাদেশের সফটওয়ারের সম্বন্ধে কিছু খবর পেত না? সবই চলে গেল কয়েকটা আকাট মুখ্যু পাকিস্তানী তস্করের জন্য, যে ব্যাটারা এয়ার ইন্ডিয়া আর বিমানের ফারাক বোঝে না। একমাত্র গাধারাই আত্মহত্যা বাহিনীতে ঢোকে।
স্টেডিয়ামের ভেতর কিছু লোক ঢুকতে শুরু করেছে। জেমস ভাবলো এরা বোধ হয় স্বাস্থ্যচর্চা করতে ঢুকেছে। তারপর দেখলো সবাই এসে চেয়ারগুলোয় বসছে। সেও উঠে একটা চেয়ারে বসে গেল। একজন তার দিকে তাকিয়ে হাসলো, “কোথা থেকে?”
- লন্ডন
- ও, ওখানেও বুঝি কন্দুক খেলা হয়?
জেমসের মাথা থেকে পা পর্্যন্ত জ্বলে উঠলো। ব্যাটা বলে কি?
কিন্তু এখন সে বিদেশে। তাও আবার ভিসা ছাড়া। মনের জ্বালা মনেই চেপে রেখে এক গাল হেসে বলল, “হ্যাঁ, হয় তবে আপনাদের মত নয়।”
আরেকজন মনে হয় একটু খবর রাখে। সে বলে উঠলো, “গত বিশ্বকাপে তো আপনারা প্রথম দিকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। আপনাদের একটা খেলোয়াড় দৌড়তেই পারছিল না, আর মধ্যমণি তো বিপক্ষের গোলের সামনে দাঁড়িয়ে হঠাত হিন্দী সিনেমার নাচ নাচতে লাগলো। বেচারার শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছিল।”
জেমসকে এ কথাটাও চুপচাপ মেনে নিতে হল। সবাই টিভিতে দেখেছিল ব্যাপারটা। কথার মোড় ঘোরাবার জন্য অন্য কথা শুরু করল, “এখন কোন খেলা হবে?”
আরে, আজকে ভারত-ক বনাম ভারত-খ এর খেলা। পরের বিশ্বকাপে কে কে খেলবে তার পরীক্ষা।
বাঃ যীশু তাকে একদম ঠিক জায়গাতেই এনে ফেলেছেন। এবার এম-কে সঠিক খবর দিতে পারলে তার প্রোমোশন আটকায় কে?
জেমস মন দিয়ে খেলা দেখতে লাগলো।
ভারত - ক দলে পিকে, চূনী, বলরাম, সুকুমার সমাজপতি, শৈলেন মান্না - এরা সবাই খেলছে। আর অন্য দলে আছে পেলে, মারাদোনা, মেসি, গ্যারিঞ্চা এরা।
মারাদোনা বল পেয়ে তার সেই বিখ্যাত কাটানো শুরু করল। চুনী, শৈলেন, সুকুমার সবাইকে কাটিয়ে বলরামের সামনে যেই এসেছে, বলরাম হঠাত তার সামনে হাঁ করে দাঁড়ালো। তার সবুজ দাঁত দেখে মারাদোনা কেমন থমকে গেল। বলরাম বল নিয়ে বেরিয়ে গেল আর গোটা গ্যালারী চেঁচাতে লাগলো, “স্তম্ভন, স্তম্ভন।” কিছুক্ষণ পরেই পিকে বল নিয়ে প্রায় বিপক্ষের গোলের সামনে পৌঁছে গেল, আর গোলপোস্টে দুঙ্গা দু-হাত বাড়িয়ে সবুজ দাঁত বের করে দাঁড়ালো। পিকে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে একের পর এক হাই তুলতে লাগলো আর লোকজন চেঁচাতে লাগলো, “জৃম্ভন, জৃম্ভন।” এই তাহলে অতিশ্যামদন্ত কারিগরী যার কথা এম বলছিলেন, ভাবলো জেমস।
দু-ঘণ্টা বাদে খেলা শেষ হলে ভিড়ের সাথে বেরিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিল জেমস। ভিড়ের মধ্যেই হঠাত এক জন তার চোখ টিপে ধরল, আর কানের কাছে বেজে উঠলো সেই বহু আকাংক্ষিত জলতরঙ্গ, “খেলা দেখলে?”
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পাশে হায়াত হোটেলেই একটা সুইট বুক করল জেমস। মায়া ভীষণ ক্লান্ত, সে সারাদিন ঘুমোবে , জেমস প্রাতরাশ সেরে স্নান করে বের হল জেমস। সারাদিন কলকাতা ময়দান আর আই টী হাবগুলোর আনাচে কানাচে ঘুরে খবরাখবর যোগাড় করল সে। সন্ধ্যের পর ক্লান্ত দেহে কিন্তু বেশ খুশি খুশি মনে ফিরে এল জেমস। মায়া বলেছে ডিনারের পর ... ।
সারাদিন ঘুমিয়ে মায়া বেশ সুস্থ। তাড়াতাড়ি স্নান করে তাকে ডিনারে আমন্ত্রণ করলো জেমস। ডিনারে তারা কি খেল তার খেয়ালই নেই। সে শুধু ভাবছে, ডিনারের পরেই ভারতীয় সঙ্গম, ডিনারের পরেই ... ।
ডিনারের পরে বসার ঘরে সোফায় বসেছিল তারা। জেমস মায়ার কানে কানে বললো, “আর কতক্ষণ অপেক্ষা করাবে আমাকে?”
- কি ব্যাপারে? ও ভারতীয় সঙ্গম। চলো এখুনি দেখাচ্ছি।
টিভি বার করে গুগলিতে গিয়ে লিখলো , ভারত, সঙ্গম। আর পর্দায় ভেসে উঠলো, স-ঙ্গ-ম ... ... রাজ কাপুর।
ত্রিশ সেকেন্ড সিনেমা চলার পর জেমস যখন অধৈর্্য হয়ে উঠেছে, মায়া বললো, “তোমার বোধ হয় বোর লাগছে, চলো ঠিক জায়গাটা এনে দি।”
ছবি দ্রুতগতিতে চলে গেল আইফেল টাওয়ারের দিকে। যেখানে নায়ক পশ্চিমের অনুবর্তী হয়ে নায়িকাকে চুম্বনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, আর নায়িকা তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে। কয়েক জন দর্শক হঠাত এসে বললো, “ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া” এবং দর্শক বুঝে গেল এসব জিনিস ভারতে চলে না। মায়া জেমসের দিকে চোখ টিপে চলে গেল, “এটাই হল ভারতীয় সঙ্গমের মোদ্দা কথা, বুঝলে হাঁদাবাবু। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়। মাঝরাতে বেরোতে হবে। তোমার অভিযানের আসল কাজ কিন্তু আজ রাতেই।”
জেমস এতটাই মুষড়ে পড়েছিল যে তার মাথায় এল না, মায়া কি করে তার অভিযানের কথা জানলো।
রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ওরা হোটেল ছেড়ে বেরোল। হায়াতের পাশেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। জেমস খোঁজ নিয়েছে, রোবটগুলো ওখানেই রাখা আছে। জেমসের উদ্দেশ্য সফটওয়ারগুলোর ক্ষমতা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান আহরণ, মায়ার পরিকল্পনা ওগুলো চুরি করা। কিন্তু দুজনারই প্রথম কাজ হল, রোবটদের কাছে পৌঁছনো। মায়ার চুলের ক্লিপ আর জেমসের হাতের কৌশল ওদের ঠিক পৌঁছে দিল রোবটদের ঘরের ভেতর। আলোটা জ্বালানো মাত্র রোবটেরা তাদের ঘিরে ধরল, আর দুজনা রোবটদের হাতে বন্দী হয়ে গেল। রোবটদের হাতের চাপে জেমসের মনে হল তার হাত-পা ভেঙ্গে যাবে। তার দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো। সে শুধু তাকিয়ে দেখতে পেল মায়াকেও তারা ঐ ভাবেই চেপে ধরেছে। তার চোখ দুটো প্রায় বেরিয়ে এসেছে। রোবটরা তাদের টানতে টানতে পাশের ঘরে নিয়ে গেল। এঘরে রোবটদের টুকরো-টুকরো করা হয়। রোবটগুলো ওকে একটা গর্তের মধ্যে ফেলে দিল। জেমস ভয়ার্ত চোখে দেখলো ওপর থেকে কয়েক টন ওজনের পিস্টনটা ওর ওপর নেমে আসছে। আর বেরোবার উপায় নেই। এবার বন্ডের এণ্ড। ভাবলো জেমস। জীবন বীমার শেষ প্রিমিয়ামটা দেওয়া হয় নি। লন্ড্রী থেকে পোষাকগুলোও আনা হয় নি। ব্যালকনিতে গেঞ্জীটা আর দুটো শর্টস ঝুলছে। আর কি কি কাজ বাকি রয়ে গেল ভাবতে ভাবতে জেমস দেখলো পিস্টনটা তার ওপর প্রায় এসে পড়েছে।
“কাট”, মায়ার গলার স্বর শুনে চমকে উঠলো জেমস। চোখ মেলে দেখলো লন্ডনের ফ্ল্যাটেই চেয়ারে বসে আছে সে। বাঁ দিকের চেয়ারে মায়া বসে, ডানদিকের চেয়ারে আরেক ভদ্রলোক। মায়া মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করলো, “অভিযানটা কেমন লাগলো?” জেমস তখনো ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে দেখে বললো, “পরিচয় করিয়ে দি। ইনি ভারতেরগোয়েন্দা বিভাগের প্রধান। আর এতক্ষণ ধরে তুমি দেখলে আমাদের পরিবেশস্রষ্টার সর্বশেষ সংস্করণ যার নাম হল মায়া।”
- কিন্তু তোমরা ? মানে কি করে?
- কেন? তোমার পরিবেশস্রষ্টা-৩ এর খ-সংস্করণ। ওর সাথে মাইক আর ক্যামেরাও ছিল। তোমার ঘরেসব খবর আমাদের কাছে আছে। স্বর্ণকেশিনীর প্রতি দুর্বলতা থেকে এম-এর ফোন পর্্যন্ত।
- মানে আমাকে কি এখন নিজের হাতে স্বীকারোক্তি লিখতে হবে? আর সেটা তোমরা সবাইকে দেখাবে?
- পাগল নাকি? আজকাল আমরা রোজগার ছাড়া কিছু ভাবি না। তোমার ঐ বদখত হাতের লেখায় ভুলে ভরা চিঠি বেচে কত আর পাবো? তার থেকে ভালো বুদ্ধি আছে আমাদের।
- কি সেটা?
- পুরো অভিযানটা আমরা রেকর্ড করে রেখেছি। “জেমসের মায়া” ডিভিডিটা মন্দ বিক্রী হবে না। এমকে না হয় একটা ফ্রী কপি দিয়ে দেবো।
মন্তব্য
হে হে হে, আগে বন্ড সিনেমা দেখলেই ইচ্ছে করতো বড় হয়ে আমি বন্ড হবো। এইটা বন্ডের হিরোয়িক কাজের জন্য না, বরং ঐ শ্যালকদৌহিত্র যেইভাবে মায়াসঙ্গ উপভোগ করে, সেইটার জন্য! বন্ডের লুলামী দেখে নিজের মধ্যেও একটু আধটু লুলবর্ষণ করতে মঞ্চায়। নির্ধারিত জায়গায় গামলা উপুর করে সব লুল ফেলে দিতে মঞ্চায়! যাচ্ছালা, গেলো মন্টা খারাপ হয়ে। উপুর করা গুলাবি ব্যাগের কথা মনে পড়ে গেলো...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওয়াও!
## সুন্দরভাবে গল্প বলার পাশাপাশি বাংলাকে নিয়ে উচ্চাশা খুব ভালো লেগেছে।
##অনেক ভাল লেগেছে, ভাল থাকুন ভাইয়া..সবসময়
থাকেন কই মিয়া?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শেষ টা শেষতক দুর্দান্ত।
facebook
আরে আরে আরে কদ্দিন পর!
দারুণস!!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কতদিন পর লিখলেন...
শুভ প্রত্যাবর্তন!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই প্রথম আপনার লিখা পড়লাম, খুব ভালো লেগেছে।
দুরন্ত ... আপনার লেখা প্রথম পড়লাম। আপনার ডঃ গ্রীডিও পড়ে আসলাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেকদিন পর লিখলেন দাদা!
লেখাটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো। অছাম যারে বলে
নতুন মন্তব্য করুন