(১)
পলাশী থেকে নীলক্ষেতের দিকে যেতে ব্যানবেইসের সামনে দিয়ে যে ফাঁকা রাস্তাটা আছে একসময় সেটা ফাঁকা ছিল না। আটাশীর বন্যার পর উদ্বাস্তু মানুষে ভরে গিয়েছিল রাস্তাটা। গৃহহীন মানুষেরা এমনভাবে রাস্তাটা দখল করে নিয়েছিল যে রাস্তা ধরে হাঁটা যেত না। বস্তির ভেতর দিয়ে হাঁটতে গেলে মনে হত গ্রামে কারো ভিতর-বাড়ির উঠোনে চলে এসেছি। চোখে পড়ত নোংরা-ময়লার ভেতর খেলারত শিশুর দল, কুকুর-বিড়াল-মুরগীর ...(১)
পলাশী থেকে নীলক্ষেতের দিকে যেতে ব্যানবেইসের সামনে দিয়ে যে ফাঁকা রাস্তাটা আছে একসময় সেটা ফাঁকা ছিল না। আটাশীর বন্যার পর উদ্বাস্তু মানুষে ভরে গিয়েছিল রাস্তাটা। গৃহহীন মানুষেরা এমনভাবে রাস্তাটা দখল করে নিয়েছিল যে রাস্তা ধরে হাঁটা যেত না। বস্তির ভেতর দিয়ে হাঁটতে গেলে মনে হত গ্রামে কারো ভিতর-বাড়ির উঠোনে চলে এসেছি। চোখে পড়ত নোংরা-ময়লার ভেতর খেলারত শিশুর দল, কুকুর-বিড়াল-মুরগীর দল, চুলে বিলিকাটা-ঘরকন্নার কাজকরা মেয়েদের দল, অলস সময় কাটানো-বিড়ি-গাঁজা ফোঁকা পুরুষের দল। উচ্চকিত হাসি, তীব্র চিৎকার, কোমর বেঁধে ঝগড়া, প্রলাপ-বিলাপ-শীষ-শীৎকার নানারকম শব্দে মুখরিত গোটা রাস্তা। রাস্তা নয় যেন চাপাচাপি করে একসাথে দাঁড়ানো একটা গোটা গ্রাম। জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ-বিচ্ছেদ-প্রণয়-হত্যা-প্রেম-প্রতারনায় মুখরিত এক টুকরো পৃথিবী। আবার মাঝে মাঝে চারদিক আশ্চর্য নিশ্চুপ।
বছর দুই পরে যখন উদ্বাস্তুদের প্রতি আমাদের সহানুভূতির যখন লেশমাত্র নেই তখন সবার মনে হল, “আরে! ব্যাটারা দেখছি রাস্তাটা পুরোই দখল করে নিয়েছে! হাঁটার উপায়টাও রাখেনি!” আস্তে আস্তে ব্যাপারটা কর্তাদেরও নজরে পড়তে লাগলো। কিছুদিন আগে ভোট হয়ে যাওয়ায় বস্তিবাসীদের নিয়ে টানা-হেঁচরা করার দিনও শেষ। সুতরাং এখন উচ্ছেদে আর বাধা নেই। নোটিশ চলে এল, বস্তিবাসীরাও বুঝতে পারল পিঠ চাপড়ানো, পেছনে দাঁড়ানো নেতাদের দল এখন আর নেই। আস্তে আস্তে অনেকেই সটকে পরতে লাগলো। যাদের নিতান্ত উপায় নেই তারা ছাড়া আর কেউ রইলনা। রাস্তা দিয়ে আস্তে আস্তে রিকশা চলতে শুরু করল। রাস্তা সারানোর জন্য ঠিকাদারদের তোড়-জোর দেখা যেতে লাগল। এক সময় গোটা বস্তিটাই ভেঙ্গে দেয়া হল।
একদিন নীলক্ষেত থেকে রিকশায় করে পলাশী ফেরার পথে হঠাৎ বামদিকের ছাতাপড়া, রঙছাড়া, প্লাস্টারকরা দেয়ালে চোখে পড়ল লাল রঙের ইট দিয়ে লেখা, “বস্তি ভেংগে দিলে ও তোমি আমাকে ভুলে জেও না”।
(২)
আমি যে শহরটিতে বড় হয়েছি সেখানে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ভক্তরা বেশ সংগঠিত। শহরের নানা দেয়ালে, ছোট ছোট বিলবোর্ডে শোভা পেত ঠাকুরের নানা বানী। যেমন,
শ্বাসের ব্যায়াম হয় যে গানে, দেহের ব্যায়াম নাচে
এই দুই-ই আসল ব্যায়াম নাই কিছু এর কাছে
আরেকটা বানী এখনো বেশ মনে আছে,
মানুষ আপন, টাকা পর
যত পারিস মানুষ ধর
আমি ঠাকুরের ভক্ত নই। তবে ঠাকুরের এই বানী নানা জনের কাছ থেকে নানা ভাবে শুনতে শুনতে এক সময় নিজেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম। জীবনের অর্ধেকের বেশী পার হবার পর উপলদ্ধি করলাম ঠাকুর সংসারত্যাগী সাধু পুরুষ, কিন্তু আমি ঘোর সংসারী ভোগী পুরুষ। তাই ঠাকুরের আবিষ্কৃত সত্য আমার জন্য কতটুকু সঠিক হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। টাকা ঠাকুরের কাছে মূল্যহীন হলেও আমার কাছে তাই জীবন। নয়তো টাকা উপার্জনের জন্য জীবনপাত করছি কেন? কেন টাকার অনুপস্থিতির দরুন অনেক প্রিয়মুখই অকালেই অচেনা হয়ে যায়? তাই ঠাকুরের বানীর পাণ্ডবীয় রূপ হচ্ছে,
টাকা আপন, মানুষ পর
যত পারিস টাকা ধর
(৩)
ছোটবেলায় আমাদের বাসার কাছেই ছিল নিম্ন আয়ের মানুষদের বসতি। একে ঠিক বস্তি বলা যায় না। বাস ড্রাইভার, ওয়ার্কশপের ফোরম্যান, দর্জিদোকানের খলিফা, মুদী দোকানদাত, “সওদাগরী আপিসের কনিষ্ঠ কেরানী” এমনসব পেশার মানুষের বাস। সেখানে সপরিবারে থাকতো মান্নাফ মিস্ত্রী। মান্নাফ মিস্ত্রী গুণী অটোমোবাইল মিস্ত্রী। তার পসার যত ছিল, বদনামও তত ছিল। বড়দের কাছে শুনে শুনে আমাদের কাছে মান্নাফ মিস্ত্রী ছিল খারাপ লোক। কেন? কারন মান্নাফ মিস্ত্রী প্রতি রাতে মাতাল হয়ে হল্লা করত, রিকশা ভাড়া নিয়ে রিকশাওয়ালাদের সাথে ঝগড়া করতো। মান্নাফ মিস্ত্রীর ঘরে ছিল দুই বউ। কোন ভদ্রলোক কি দুই বিয়ে করে? মাতাল হয়ে হল্লা করে? তাই সে খারাপ লোক।
আজ এতদিন পর দেখি এই অধম পাণ্ডবও আসলে আরেকটি মান্নাফ মিস্ত্রী হয়ে গেছে। বিশ্বকর্মার পাঠশালার পাঠ শেষে অটোমোবাইল মিস্ত্রী ষষ্ঠ পাণ্ডবের পোষাকী পদবী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পাণ্ডবও মদ খায়। তবে রাস্তায় হল্লা করে না। চুপচাপ ঘরে ঢুকে পরে। যদি সাহস থাকতো তাহলে পাণ্ডবও দুই বিয়ে করত। একজন, যাকে পাণ্ডব ভালোবাসে। আরেকজন, যে পাণ্ডবকে ভালোবাসে।
মন্তব্য
পান্ডবদের দুই বিয়ে করার কোন ট্র্যাকরেকর্ড নাই। যা আছে তা হোল এক বৌ পাঁচজনে ভাগাভাগি করা। তার উপর আপনি আবার ছয় নাম্বার পান্ডব, আপনার কপালে বৌতো নাইই, এমনকি শালীও আছে কিনা তাই নিয়ে সন্দেহ জাগছে।
লেখাটি ভাল লেগেছে। শেষ লাইনটাতে অবশ্য আবার চিন্তা লাগলো। যে আপনাকে ভালবাসে, তাকে আপনি ভালবাসতে পারবেন না কেন? বা আপনি যাকে ভালবাসেন সেইই বা আপনাকে ভালবাসবে না কেন? হুমম-কঠিন ধাঁধাঁ!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
কে বলেছে পাণ্ডবদের দুই বিয়ের রেকর্ড নেই? অর্জুনের আরেক স্ত্রীর নাম সুভদ্রা, যে আবার কৃষ্ণের বোন। ভীমের রাক্ষস-স্ত্রীর নাম হিড়িম্বা। তারা এসব পারবে আর আমি ইচ্ছে করলেই দোষ?
ভালোবাসা তো জোর করে হয় না। তাই আপনি যাকে ভালোবাসেন তিনি আপনাকে নাও ভালোবাসতে পারেন। এবং ভাইস-ভার্সা।
এসব নিয়ে বেশী চিন্তা করবেন না। সাহস থাকলে করে দেখান।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সাট্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ফেললেই সাহস হয়ে যাবে
কোনো চিন্তা নেই
এহ! বললেই হল সাট্টিফেকেট পুড়িয়ে সাহস বানানো! আপনার না "ছায়া-আশ্রয়" সংক্রান্ত একটা সার্টিফিকেট আছে। ওটা পুড়িয়ে এক বার সাহস করে দেখান তো!
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছায়া আশ্রয় সাট্টিফিকে পোড়ালে হয় ভার্চুয়াল সাহস
(ভার্চুয়াল সাহস দিয়ে দুইটা কেন। মনে মনে দুইশটা বিয়েও করা যায়)
আর কারিগরি বিদ্যার সাট্টিফিকেট পোড়ালে হয় প্রাকটিক্যাল সাহস
পুড়িয়ে ফেলেন
বিদ্যা তো আছেই
আর সাট্টিফিকেট দিয়ে কী হবে?
কারিগরী বিদ্যার সার্টিফিকেট জীবনে একবার শুধু কাজে লেগেছিল উপরের ক্লাসে ভর্তি হতে। এছাড়া এর আর কোনদিন দরকার হয় নাই। একে পোড়ালে কোন প্রাকটিক্যাল সাহস হবে না। শুধু ধোঁয়ার গন্ধে কাশতে হবে। সত্যিকারের প্রাকটিক্যাল সাহসের বটিকা যদি আবিষ্কার করতে পারেন তাহলে আপনার "ওয়ারেন বাফেট" হতে আধঘন্টাও লাগবে না।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মুগ্ধ হলাম প্রথম গল্পটা পড়ে। বাকি দু'টো মোটামুটি লেগেছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধণ্যবাদ। যদি আমার একটি লেখার সামান্য অংশও আপনার (পাঠকের) ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা খুব ভালো লেগেছে ষষ্ঠ পান্ডব।
আগে বলা হয়েছে কিনা মনে নেই।
শুরু থেকেই আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আগে বলে থাকুন আর নাই বলে থাকুন, এখনতো বললেন। অসংখ্য ধণ্যবাদ। আশা করি আপনার ভালো লাগা ভবিষ্যতেও ধরে রাখতে পারবো।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরে! কি বলে? হিমুর উচিত ছিলো ৩ নাম্বার পড়ে খুশী হওয়া।
কেন? আপনি কি মনে করেন হিমু "দুই"-এ সীমাবদ্ধ থাকতে ভালোবাসেন? হিমু পাণ্ডব নন, তার হৃদয়টা বিশাল। সেখানে জম্বুদ্বীপের সব রমণীর স্থান হবে।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি বড় সহৃদয় ... তবে জম্বুদ্বীপের সব রমণী নয়, শুধু ৪৮-৫২ কেজি ওজনের ১৫০-১৭০ সেমি উচ্চতার রমণীরা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আচ্ছা! হিমুর বাতেনী খায়েশ আস্তে আস্তে জাহের হইতেছে। নানা প্রকার জরীপ চালাইয়া আসলে কি ফলাফল পাওয়া গেল তাও সংখ্যাতত্ত্বে প্রকাশ পাইতেছে।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগলো ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধণ্যবাদ।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এক নম্বরে মুগ্ধ হলাম। তবে দু'নম্বরটা মুগ্ধ হবার মত না। আর তিন নম্বরটা, অনুগল্প থেকে ছোটগল্প-বড়গল্প হয়ে ওঠার সব সম্ভাবনা আছে এটার... উপন্যাসই বা নয় কেন?
ধর্ম্মপুত্র, আপনি জানেন যে আখ্যান রচনার সামর্থ আমার নেই। আমি শুধু চেষ্টা করে যাই। কখনো কখনো বাকদেবীর ছিটে-ফোঁটা আশীর্ব্বাদ পেলে কিছু কিছু গল্প হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছিন্ন গল্পগুলোকে জোড়া লাগিয়ে মহাভারতের উনবিংশতি পর্ব লেখার জন্য মিখাইল শলোখভের মত প্রতিভা প্রয়োজন।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মিখাইল শলোখভ ১৭ বছর বয়সে ওনার প্রথম লেখাটা লিখেছিলেন, আর সেটা ছিলো একটা ছোটগল্প। তখন উনিও সম্ভবত: ভাবতেন আখ্যান লেখার সামর্থ ওনার নেই।
প্রসঙ্গান্তরে, "যদি সাহস থাকতো তাহলে পাণ্ডবও দুই বিয়ে করত। একজন, যাকে পাণ্ডব ভালোবাসে। আরেকজন, যে পাণ্ডবকে ভালোবাসে।" কথাটাকে আপনি আপনার নতুন সিগনেচার বানিয়ে ফেলতে পারেন। "তোমার সঞ্চয়.." এর চেয়ে এটা অনেক বেশি জটিল - বাক্যটার মধ্যে এমন সহজ একটা অকপটতা আছে...। নিজের এত ভয়াবহ একটা লাইন থাকতে কবিগুরুর কাছ থেকে ধার করার কি প্রয়োজন?
ধর্ম্মপুত্র আপনি জানেন যে শলোখভ আমার বয়সে পৌঁছানোর বহু আগেই "প্রশান্ত দন"-এর মূল অংশ লিখে ফেলেছিলেন। আসলে যার দ্বারা হয় তার যথা সময়েই হয়। তার জন্য এত দীর্ঘ প্রস্তুতি পর্বের প্রয়োজন পড়ে না।
গুরুদেবের কাছ থেকে যা ধার করেছি তার ব্যপ্তি ও গভীরতা ব্যাপক। আমার উক্তিটি বড্ড বেশী একবগগা। আর আমি কি শুধু প্রাণের আকুলতায় মূহ্যমান বা রিরংসাগ্রস্থ মানুষ, যে এটিকেই সিগনেচার করবো?
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনু গুলো বেশ ভাল লাগল। বিশেষ করে;
“বস্তি ভেংগে দিলে ও তোমি আমাকে ভুলে জেও না”
কথাটা খুব মনে ধইরেছে!
"হায়রে হৃদয় তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়"-এর সাথে খুব মিল পেলাম। চেনা লাগছে তবু এখন কোথায় পড়েছিলাম তা মনে পড়ছে না! আপনার মনে থাকলে বলবেন কিন্তু!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার উল্লেখ করা লাইনটি গুরুদেবের। কবিতার নাম এই মুহূর্তে মনে নেই। একটু খুঁজলেই পাবেন। আমার সিগনেচারটি গুরুদেবের কাছ থেকে ধার করে একটু পালটে দেয়া।
মন্তব্যর জন্য ধণ্যবাদ।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইবার মনে পড়ল, কবিতা না। গুরু পোষ্ট মাষ্টার গল্পের।
তখন পালে বাতাস লাগিয়াছে....... মনে পড়ে?
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
"যদি সাহস থাকতো তাহলে পাণ্ডবও দুই বিয়ে করত। একজন, যাকে পাণ্ডব ভালোবাসে। আরেকজন, যে পাণ্ডবকে ভালোবাসে।"
ভীষন ভালো লাগলো আপনার লেখা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধণ্যবাদ। তবে ভীষন ভালো লাগার মত কিছু কি লিখতে পেরেছি?
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রথমটা বেশি ভালো; তার পরেরগুলো বেশ ভাল।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধণ্যবাদ। তবে আসলেই কি বেশ ভালো?
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এক নাম্বারটা এত বেশি ভালো লাগছে যে পরের দুইটাতে তেমন মন বসাইতে পারি নাই।
খুব ভালো লেখেন আপনি। বলার স্টাইল চমৎকার।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুম...... ভাই সত্যিই ভাল লেগেছে । সবচেয়ে ভাল লেগেছে-
............ টাকা আপন, মানুষ পর
যত পারিস টাকা ধর
......... আমাদের অস্বীকার করা এই সত্যটা ।
নিবিড়
প্রথমটা আসলেই অসাধারণ! খুব ভাল লাগল।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
আসলেই...
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
উদ্ধৃতি
আজ এতদিন পর দেখি এই অধম পাণ্ডবও আসলে আরেকটি মান্নাফ মিস্ত্রী হয়ে গেছে।
আমার মনে হয় মান্নাফ মিস্ত্রীর বাপ। কারণ পোলাপানরাই হল্লাচিল্লা বেশি করে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভাল লাগলো পড়তে। সব গুলো পড়ার ইচ্ছে থাকল।
দিশা___
প্রথম গল্পটা অসাধারণ! যাকে বলে মুগ্ধতাজাগানিয়া।
ছোটবেলায় দেখেছি সেই রাস্তায় উদ্বাস্তুদের সংসার। একটু দূরে, তাও চোখে পড়ত ভীষনভাবে।
আজিমপুরে থাকতাম, বাসস্ট্যান্ড থেকে ম্যাটারনিটি পার হয়ে এতিমখানার শেষ পর্যন্ত ফুটপাথ জুড়ে ছিলো নীল ধূসর পলিথিনের খুপড়ি ঘর। প্রচন্ড বৃষ্টির রাতগুলোতে বাবা মাথা নেড়ে বলতেন, আজ বড় বিপদের দিন লোকগুলোর.........
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন