নভেম্বরের তের তারিখ রাতে চ্যানেল আই-এর খবরে দেখলাম পতিত সামরিক স্বৈরাচারী শাসক লে, যে, হু, মু, এরশাদ বলছেন, মহাজোটের সাথে তার চুক্তি ছিল ২০০৭-এর জানুয়ারীতে যে নির্বাচন হবার কথা ছিল সেখানে মহাজোট জিতলে তাকে দেশের রাষ্ট্রপতি বানানোর। তার ভাষ্য, চুক্তিটি বাতিল না হওয়ায় তা এখনো বিদ্যমান বলে ধরতে হবে। আমি দুই দিন অপেক্ষা করেছিলাম মহাজোটের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কিছু শোনার জন্য। না, কিছুই বলেন নি তারা। অন্ততঃ আমি তাই জানি, কেউ এব্যাপারে অন্য কিছু জানলে জানাবেন।
রাষ্ট্রপতির পদ বাংলাদেশের এখনকার সংবিধান অনুযায়ী প্রায় আলঙ্কারিক হলেও এরশাদের “আখেরী খায়েশ” তাই হওয়া। তিনি সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে চান এবং নিজের নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে চান।
মহাজোটের সব দলই (নতুনরা ছাড়া) এক সময় এরশাদকে হঠাতে দুর্বার আন্দোলন করেছিলেন। তাদের অনেক নেতা-কর্মী এ আন্দোলনে প্রান দিয়েছেন। জেল-জুলুমসহ অন্যান্য অত্যাচারের তো লেখা-জোখা নেই। আজ সম্ভবতঃ তাঁদের সেসব কথা কিছু মনে নেই। বিএনপি-জামাতকে ঠেকাতে এবং যে কোন প্রকারে ক্ষমতায় যাবার জন্য তাঁরা আজ মরিয়া।
এই সামরিক স্বৈরাচারকে হঠাতে সেলিম - দেলোয়ার - বসুনিয়া - নূর হোসেন - ডাক্তার মিলন বা চট্টগ্রামের লালদিঘীতে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তারা কবরে শুয়ে আজ কী ভাবছেন? আমরা যারা তাঁদের আত্মত্যাগের সুফল গুনছি তারাই বা কী ভাবছি?
এই নপুংসকদের রাজনীতির দেশে ক্ষমতাটাই বড় কথা। দু-দশটা ম্যাঙ্গো পাবলিক কবে, কোন কালে গণ্ডগোলে পরে মারা গিয়েছিল তা ভাবলে কী দেশের উন্নতি হবে? উনারা যে কোন ভাবে বেঁচে-বর্তে থেকে ক্ষমতায় যেতে পারলেই না দেশের উন্নতি হবে। যে দেশের নেতা বলেন, “আমি পাকিস্তানের প্রধাণমন্ত্রী হওয়া মানে পূর্ব পাকিস্তানের ৯৮% স্বায়ত্বশাসন অর্জন”, সে দেশে সেই নেতার উত্তরসূরীরা নিজের ভালো ছাড়া আর কিছু যে বুঝবেন না সেটাই তো স্বাভাবিক।
আসুন আমরা আঠারোই ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকি। দেখি পতিত সামরিক স্বৈরাচারকে দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসাতে আর কতটুকু দেরী!!
এব্যাপারে এএফপির খবর পড়ুন এখানে।
মন্তব্য
নীতিবিহীন রাজনীতির দেশে সবই সম্ভব। মাঝে মাঝে মনে হয়, সব শালারে দিই রাম ধোলাই। কিন্তু ভাবা পর্যন্তই। ম্যাঙ্গো পাবলিক হয়ে এই তামাশা দেখি যায় প্রতিদিন।
"There is no permanent enemy in politics and film industry." -
কথাটা page 3 নামক একটা হিন্দি ছবি থেকে ধার করে দিলাম।
But in our country politicians are the permanent enemy of the people. Any denying that?
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বুড়া হইসে বলে একটা সাধ আলহাদ থাকবে না জীবনে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পল্লীবন্ধু মনে হয় আবার বিয়ে বসতে যাচ্ছে। আগ্রহী পাত্রীরা এ সুযোগ হেলায় হারাবেন না মনে হয়। সেইরকম রেজুমে। রাষ্ট্র ও নারী, উভয়কে ব্যাপক সঙ্গমে জর্জরিত করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা।
এরশাদকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাই সবাইকে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পল্লীবন্ধু মনে হয় আবার বিয়ে বসতে যাচ্ছে।
বিয়ে বসা ???? হাহাহাহাহাহা
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে এরশাদ প্রেসিডেন্ট হবে।
জামাত ট্যাকল দেয়ার জন্য স্বৈরাচারি জায়েজ বলে মেনে নিয়েছেন আলীগ উপদেষ্টারা।
আর এলডিপি-র কনভেনশনে অলি আহাদ বলেছেন, মহাজোট জিতলে তিনি হবেন প্রধানমন্ত্রী। সৈয়দ আবুল মকসুদ মন্তব্য করেছেন, মহাজোট জিতলে তবে কি তারা হাসিনাকে এলজিইডি অথবা বস্ত্র মন্ত্রী করবেন? আমার সংযুক্ত মন্তব্য: তবে তো তোফায়েল, জিল্লুরের মতো সিনিয়র আওয়ামী নেতারা হবেন উপমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান নূরের মতো নেতারা হয়তো রাষ্ট্রপতি এরশাদের এপিএস হতে পারেন। কিন্তু এরশাদ তো সাবেক নায়কের বদলে কোনো নায়িকাকে এপিএস করতে পছন্দ করবেন।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
নিশ্চয় অলি আহমদ লিখতে চেয়েছিলেন ।
সব শালারা খচ্চরেরা রাষ্ট্রের পতি হতে চায় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সমস্যা হলো আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে খেতে হয়, তাই 'জামাত প্রতিরোধের' ধুয়া তুলে পল্লীবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরতে হাসিনার বাঁধবে না। আমরা সমালোচনা করে এসব পেশাদার রাজনীতিবিদের পেটে লাথি না মারি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বাংলা ব্লগ জগতে আমার প্রথম লেখাটি ছিল - রেজাউলের উচিত ছিল টিকটিকি হওয়া ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:৪৪ এ লেখা সেই পোস্টটি আপনার পোস্টের কমেন্টে উল্লেখ করে দিলাম ।
প্রিয় জেবতিক, ব্লগস্পট আর ইয়াহু ৩৬০-এর বাইরে প্রথম যে বাংলা ব্লগপোস্টটি পড়ি সেটি আপনার, ভ্যালেরীকে নিয়ে লেখা। আমি সেদিন থেকেই আপনার লেখার ভক্ত। অনেক কঠিন বিষয়কে সহজ ভাষায় প্রকাশ করার আশ্চর্য দক্ষতা আপনার আছে যা আমার নেই। আপনার পোস্টটির সাথে আমার পোস্টের তুলনাই হয়না। ধন্যবাদ লিঙ্কটি দেবার জন্য।
ব্যক্তিগত কথন থাক। আপনার রেজাউলের মত আমি আমার প্রতিবেশীকে দেখছি গুলিতে পঙ্গু হয়ে যেতে, বন্ধুকে দেখেছি পিঠে গুলি বয়ে বেড়াতে, সিনিয়র ভাইকে দেখেছি একটা হাত অকর্মন্য হয়ে যেতে। এই ঘটনাগুলোর জন্য তাদের জীবন থেকে অনেকগুলো বৎসর ঝরে গেছে। তাদের যা হবার কথা ছিল তা হতে পারেন নি। কাউকে প্রায় প্রতি বৎসর ভারতে ছুটতে হয় গায়ে থেকে যাওয়া ছররা বা সপ্লিন্টারের জন্য অসহ্য ব্যথার চিকিৎসা করাতে। মোটকথা তাদের স্বাভাবিক জীবনটাই সারা জীবনের জন্য শেষ হয়ে গেছে।
আমাদের নেতা-নেত্রী বা তাদের প্রিয়জনদের অমন কিছু হয়নি বলে মনে হয় তারা সবই ভুলে গেছেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরাতো তখন ভণ্ড ছিলাম না, আমাদের প্রচেষ্টাতো সর্বতোই ছিল, আমাদের আন্তরিকতায় তো খাদ ছিলনা। তবু এই বিশ্ববেহায়ার সাথে লড়াইয়ে আমরা হেরে গেলাম কেন?
যেদিন ঢাকার রাস্তায় মিছিলে শ্লোগান শুনেছি, "কে বলেছে স্বৈরাচার? এরশাদ মোদের অহঙ্কার!" সেদিন মনে হয়েছে এই দেশের মানুষের সাধারণ চরিত্রটি আসলে কী? আমাদের অর্জনগুলো কী এই চরিত্রদোষেই নষ্ট হয়ে যায়?
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আসলে আমরাও ছোট ছোট বেহায়া । ক্রমাগত চেষ্টা করছি নেতা হতে , ক্রমাগত ইচ্ছে করি বড় বেহায়া হতে । সম্মিলিত ছোট ছোট বেহায়াদের জন্যই এ দেশের এই অবস্থা ।
আমি নেতাদের দোষ দেই না ।
দেখেন কিভাবে সব চোর বাটপার আবার ইলেকশন করার অধিকার চাচ্ছে , আমরা সবাই সেই চোরদেরকে আবার নির্বাচিত করব ইনশাল্লাহ ।
আমরা মুক্তিযুদ্ধ উত্তর প্রজন্ম বেশ সহজেই সেই প্রজন্মকে দোষারোপ করি ঘাতক দালালদের ছেড়ে দেবার জন্য ।
একই দায় কি বর্তায় না আমাদের উপর? এরশাদ পতনের পর এলাকায় এলাকায় কালো তালিকা করা হয়েছিল সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে, মনে আছে কারো?
তারপর? সেই একই গল্প...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এ তো নতুন কিছু না
_ একই পানি বিএনপি খাইলে মদ আওয়ামিলিগ খাইলে শরবত
_ একই বিষ্ঠা বিএনপি খাইলে গু আওয়ামিলিগ খাইলে দাওয়া
_ একই কাজ বিএনপি করলে নষ্টামি আওয়ামিলিগ করলে লিলা
_ একই দল বিএনপির সাথে জোট করলে রাজাকার/ স্বৈরাচার আর আওয়ামিলিগের সাথে করলে ইসলামি শক্তি
_ বাংলাদেশে একপাল লোক আছে যারা সবকিছু এভাবে দেখে।
নতুন মন্তব্য করুন