খুব কম মানুষই আছেন যার বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই। আমরা প্রায় সবাই বোধের কাল থেকে নানা দেশ ঘোরার স্বপ্ন দেখে থাকি। আমি নিজেও তার ব্যতিক্রম নই। ছেলেবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন দেখায় কোন ভাঁটা পড়েনি। তবে আমার এই স্বপ্নের তালিকায় আগেও কখনো চীন দেশটির নামটি ছিলনা, এখনো নেই। স্কুল জীবনে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ বা আবুল কালাম শামসুদ্দীনের চীন ভ্রমণ কাহিনী পড়ে বা ...খুব কম মানুষই আছেন যার বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই। আমরা প্রায় সবাই বোধের কাল থেকে নানা দেশ ঘোরার স্বপ্ন দেখে থাকি। আমি নিজেও তার ব্যতিক্রম নই। ছেলেবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন দেখায় কোন ভাঁটা পড়েনি। তবে আমার এই স্বপ্নের তালিকায় আগেও কখনো চীন দেশটির নামটি ছিলনা, এখনো নেই। স্কুল জীবনে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ বা আবুল কালাম শামসুদ্দীনের চীন ভ্রমণ কাহিনী পড়ে বা গণচীন থেকে প্রকাশিত বাংলা বইগুলো পড়েও কখনো দেশটা দেখার ইচ্ছে হয়নি। নিয়তির ফের এমনই যে আজ আমার সবচে বেশীবার ভ্রমণ করা দেশটার নাম গণচীন। পেটের দায়ে গত আট বৎসর ধরে প্রতি বৎসর গড়ে দুইবার করে এই দেশটার নানা প্রদেশ ঘুরতে হয়েছে। এত বেশি বার ঘোরার ফলে চাই বা না চাই গণচীনের কিছু কিছু ব্যাপার আমার চোখে পড়েছে। এই অনিয়মিত সিরিজটিতে যতদূর সম্ভব স্থানের বর্ণনা না দিয়ে আমার চোখে পড়া টুকরো টুকরো ব্যাপারগুলো পাঠকদের জানাতে চাই। যখন পারবো তখনই আমার অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পূর্বধারণা আর বাস্তবতা
গণচীন সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের সাধারণ ধারণা হচ্ছে, চীনা মানুষের দেশ চীন, যারা লম্বায় খাটো, হলুদ গায়ের রঙ, ছোট ছোট চোখ, চ্যাপ্টা নাক আর শক্ত খাঁড়া খাঁড়া চুলের অধিকারী (চুলের ব্যাপারটা পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য)। এরা চীনা ভাষায় কথা বলেন, মার্শাল আর্ট জানেন, প্রতিবেলায় সাপ-ব্যাঙ খান, কাঠি দিয়ে (চপস্টিক) অদ্ভূত কায়দায় ভাত পর্যন্ত তুলে খান। আমার এক বন্ধুর কল্পনা ছিল আরেক কাঠি উপরে। তার ধারণা ছিল চীনারা ঢিলেঢালা পোষাক পরেন, চুল থাকে ঝুঁটিবাঁধা, ঘোড়ায় চড়ে চলা-ফেরা করেন আর তাদের পিঠে তলোয়ার বাঁধা থাকে। আমার বন্ধুটির মত অতটা না হলেও আমার নিজে ধারণাও বাঙালীর সাধারণ ধারণার চেয়ে বিশেষ উন্নত ছিলনা।
প্রথম বার যখন গণচীন যাই তখনই আমার ধারণাগুলো হোঁচট খায়। দেখতে পেলাম চীনা মানুষের দেশ গণচীন নয়, বরং কম করে হলেও পঞ্চাশটা দেশের সমন্বয়ে গড়া এক দেশ গণচীন। এদের উচ্চতা আমাদের চেয়ে খাটো থেকে শুরু করে নর্ডিকদের মত গালিভার সদৃশ। গায়ের রঙ গড়পড়তা বাঙালীদের চেয়ে কালো থেকে শুরু করে লাল, হলুদ, সাদা কী নেই! একই ধরনের কথা চোখ, নাক আর চুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। চীনের প্রধান ভাষা ম্যাণ্ডারিন, তবে ক্যান্টনিজ থেকে শুরু করে অমন গুরুত্বপূর্ণ ভাষা ডজন খানেক। আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে হিসেবে ধরলে মোট ভাষার সংখ্যা দুইশতের বেশি বই কম হবেনা। উত্তরের মানুষেরা দক্ষিণের ক্যান্টনিজ এক বিন্দুও বোঝেন না। যেমন পূর্বের ফুজিয়ানের লোকজন পশ্চিমের উইগুর ভাষা বোঝেন না। এসব বর্ণমালাও ভিন্ন। এমন কথা অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষাগুলোর জন্যও প্রযোজ্য। প্রতিটি প্রদেশের, প্রতিটি জেলার ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, রান্নার ধরণ ভিন্ন প্রকারের। আমাদের অনভ্যস্ত বাঙালী চোখ সহসা এগুলোর পার্থক্য করতে না পারলেও একটু খেয়াল করলেই পার্থক্যগুলো ধরা যায়।
আধুনিক গণচীনের প্রায় সবাই ম্যাণ্ডারিন ভাষা জানেন-বোঝেন। তবে এখানে অন্য ব্যাপার আছে। ভাষার ব্যাপারটি নিয়ে আরেক পর্বে বিস্তারিত বলার আশা রাখি। তাদের পোষাক-আশাকেও মিল (পশ্চিমা ধাঁচ) লক্ষ্য করা যায়। তবে ট্রাডিশনাল চীনা পোষাক এখনো (বিশেষতঃ গ্রামাঞ্চলে) দেখা যায়। চপস্টিক দিয়ে সবাই খান, এবং নানা ধরণে খাবার (তরল ছাড়া) দু’টো মাত্র কাঠি দিয়ে খাওয়ার কলা আমাকে এখনো বিস্মিত করে। গণচীনে এখনো অনেক জায়গা আছে (রেস্টুরেন্টসহ) যেখানে আপনি খাবার জন্য চামচ-কাঁটা-ছুরি চেয়েও পাবেন না। পশ্চিমের দিকে কিছু জায়গায় আমাদের মত হাত দিয়ে খাওয়ার রীতি আছে তবে শহরাঞ্চলে তা এখন প্রায় বিরল।
চীনাদের কেউ কেউ মার্শাল আর্ট জানেন, তবে সবাই না। সাপ-ব্যাঙ কেন, হেন জিনিষ নেই চীনারা খাননা। পূর্বাঞ্চলে মাছসহ সামূদ্রিক খাবার সহজলভ্য হলেও দেশের বেশির ভাগ জায়গার আমিষ পর্ক নির্ভর। সুতরাং যারা পর্ক খান না, তারা চীনে গেলে এমন কী কনফেকশনারী খাবার সময়ও এব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকবেন। একবার মাছ আর সব্জী খেতে চাইলে বাঁধাকপি আর ব্যাঙ এনে দেয়া হয়েছিল। ব্যাঙ বা সাপকে মাছের মর্যাদা দিতে এরা কার্পণ্য করেন না। বাংলাদেশের সহজলভ্য মোটামুটি সব সব্জী, ফল, মাছ বা মাংস চীনে পাওয়া যায়। যেসব সব্জী বা ফলকে আমরা মোটামুটি অচ্ছুত বলে গণ্য করি চীনারা সেগুলো বেশ আগ্রহ করে খান। অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে সেসব সহজলভ্য, তার অনেক কিছু প্রসেস করা হয়, টিনজাত বা টেট্রাপ্যাক করা হয়, রপ্তানীও করা হয়।
দেশের নাম, মানুষে নাম
দেশটির নাম মোটেই চীন বা চায়না নয়, Zhonghua। বাংলায় এর কাছাকাছি উচ্চারণ “চঙহুয়া’র মত। এটি অবশ্যই সঠিক উচ্চারণ নয়। কারণ চীনা ভাষাগুলোতে এক “চ” এরই নানা রকম রূপ আর উচ্চারণ আছে। ইংরেজীতে লেখা c, ch, gu, q, বা zh-এর উচ্চারণ সবই “চ”। তবে সেই “চ” মুখ আর গলার নানা জায়গা থেকে বের হয়। আমার বাঙালী কান তা পার্থক্য করতে পারেনা, আমার বাঙালী জীভেও তা সঠিকভাবে উচ্চারিত হয় না। ইংরেজীতে লেখা x-এর উচ্চারণ রোমান কায়দায় “জ” বা “জ্ব” নয়, বরং তালব্য-শ-এর মত। পাশাপাশি দুটো প্রদেশ আছে যাদের একটার নাম Shanxi আর আরেকটার নাম Shaanxi। সচলে এমন এলেমদার কেউ আছেন কীনা জানি না যিনি এই দুই নামের সঠিক পার্থক্যপূর্ণ উচ্চারণ করতে পারবেন। চারটা প্রদেশের নাম যথাক্রমে Hunan, Henan, Yunnnan, Hainan। পরপর উচ্চারণ করে দেখুন কী মজা! সুতরাং প্লেন বা ট্রেনের ভুল টিকেট কিনে ভুল জায়গায় পৌঁছানো আনাড়ি বিদেশীদের জন্য খুব সাধারণ ব্যাপার।
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে ইংরেজী বা অন্য কোন ইউরোপীয় ভাষা জানা একজন চীনাকে যদি তার নাম জিজ্ঞেস করেন তাহলে তার একটি ইউরোপীয় বা আরবী নাম শুনতে পাবেন। যেমন, জন, টম, মাইকেল, মেরী, ম্যাগী, সুলতান ইত্যাদি। এটি তার মোটেও আসল নাম নয়, ডাকনামও বলা চলে না। এটিকে ব্যবসায়িক বা কাজ-চলতি নাম বলতে পারেন। তাকে যদি তার চীনা নামটি জিজ্ঞেস করেন তাহলেই তার প্রকৃত নামটি জানতে পারবেন। ব্যাপারটি কেন এমন হয় জানতে চাইলে সবাই বলবে যে ইউরোপীয় ভাষাটি শেখার সময় তার ভাষা-শিক্ষক তাকে এই নামটি নিতে বলেছেন। অবশ্য ভুল উচ্চারণে চীনা নাম ধরে ডাকলে এক জনের বদলে আরেকজন চলে আসতে পারেন তাই নাকী এমন ব্যবস্থা।
কিছু কিছু অফিস আরেক কাঠি উপরে, তারা তাদের বৈদেশিক যোগাযোগ শাখার এক্সিকিউটিভের নাম ফিক্স করে দেয়। ধরুন বর্তমান এক্সিকিউটিভের নাম “লিসা”। এই লিসা যদি চাকুরী ছেড়ে দেন বা চাকুরী হারান বা অন্য ডিপার্টমেন্টে বদলী হয়ে যান তাহলে তার জায়গায় আসা অন্য নারীর নামও হবে লিসা। সুতরাং বৎসরের পর বৎসর ধরে ঐ অফিসের বৈদেশিক যোগাযোগ শাখার এক্সিকিউটিভ মানেই লিসা, তা মানুষ যতবারই পাল্টাক। নামের এই ব্যাপারটি আমি হজম করতে পারিনি। তাই সামনা-সামনি দেখা হলে বিনয়ের সাথে আমি তার চীনা নামটি জেনে নেই। একটু ভুল উচ্চারণেও আমি যখন তাদের চীনা নামে ডাকি তারা খুশি হয়। নিজের আসল নামে ডাক কে না পছন্দ করে? আধুনিক চীনাদের অনেকে শ্যারন স্টোন, মেগ রায়ান, নিকোলাস কেজ বা টম ক্রুজ ধরণের নামও নেন। তারা আবার এসব নামই বেশি পছন্দ করেন। যার যা রুচি! আমার আর কী করা।
চীনারা পৃথিবীর সব দেশকেই তাদের মতো করে নামে ডাকে। যেমন, বাংলাদেশ - মুনজালাগৌ, ভারত - ইন্দুগৌ, মায়ানমার - মেইতিয়েনগৌ, থাইল্যাণ্ড - তাইগৌ, কোরিয়া - হানগৌ, আমেরিকা - মেকুগৌ ইত্যাদি। তাই আপনার দেশের চীনা নাম আপনার না জানা থাকলে আপনার সামনেই আপনাকে নিয়ে কথা বলে যাবে, কিন্তু আঁচও করতে পারবেন না।
মানুষের মত চীনের অনেক জায়গারও ইউরোপীয় নাম আছে। যেমন Guangzhou – Canton, Xiamen – Amoy বা Chongqing – Tongking ইত্যাদি। রাজধানীর নাম পেইচিঙ, মোটেই পিকিং বা বেজিং নয়। সুতরাং জায়গার নামের ক্ষেত্রেও একাধিক নাম আছে কীনা তা পূর্বাহ্নেই জেনে অগ্রসর হবেন, নয়তো খামাখা হয়রানীতে পড়তে পারেন। সৌভাগ্যক্রমে আমি এমন বিপদে পড়িনি এখনো, তবে অনেক চীনা মানুষের (যাদের সাথে কাজ করতে হয়) চেহারা ঠিকমতো মনে রাখতে পারিনা এখনো। এনিয়ে প্রায়ই অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়।
মন্তব্য
মজা পাইলাম... তয়...
"মেড ইন চায়না" আর "জ্যাকি চ্যান" এর যুগে এই ধরনের লোক দেখার খুব খায়েশ হইতেসে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ওদের টিভিতে অমন পোষাক আর গেটআপের মানুষ দেখা যায় প্রত্যেক দিনই। তবে রাস্তায় এদের দেখা মেলে কদাচিত। একেবারে বিরল না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইশ, যে দেশে আমার জন্মানোর কথা ছিল, আমার বড় হবার কথা ছিল, কথা ছিল প্রত্যূষে কুয়াশাঘেরা পাহাড়ে তাইজিচুয়ান প্র্যাকটিস করার, সেখানে আমার বদলে আপনি যান এত ঘন-ঘন, আর আমার এখনো যাওয়া হয়নি, হিংসায় আমি মরে যাচ্ছি।
তবে লেখা খুব প্রাঞ্জল আর তথ্যসমৃদ্ধ হচ্ছে। চলতে থাকুক।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আনিসদা, আমার জায়গাটা আপনি নিতে পারলে আমি খুশিই হতাম। কিন্তু কী আর করা! কপালের ফের। যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।
আপনার পছন্দের লাফিং বুদ্ধার মন্দির দেখেছিলাম ছয় বৎসর আগে। মনে ধরার মত জিনিষ। আর সেই শহরে ছিলাম সর্বশেষ এই পাঁচই ডিসেম্বর। এদফা আর উনার দর্শন সম্ভব হয়নি।
ভালো থাকবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীনা ভাষায় বাংলাদেশকে বলে মঞ্জালা !!!!!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হের চৌধুরী, আরো মজার মজার প্রতিশব্দ আছে। যথা সময়ে সেগুলো বলা যাবে। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীনাদের নামের প্রসঙ্গ আসলেই আমার গ্রাজুয়েট স্কুলের অফিসমেট শোফেং এর কথা মনে হয়। ওর পুরো নাম হলো শোফেং গু, এবং অন্য বিদেশীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ও সবাইকে জোড় করতো যেন ওর আপাত: কঠিণ প্রথম নামটা ধরে না ডেকে শেষ নামটা ধরে, অর্থাৎ "গু" ডাকতে বলতো। আমি ওর সঙ্গে আমার দুবছরের সময়ে কখনো ওকে বলে উঠতে পারিনি যে বাংলাদেশীদের জন্য ওর শেষ নামে ডাকাটা বেশ বড় ধরণের সমস্যা! সেটা নিয়ে অনেক মজার কিছু কাহিনী আছে, সময় পেলে লিখবো কখনো।
লেখা ভালো লাগছে। সিরিজ চলুক।
চীনে যেতে হলে দেখি আগে একটা শর্টকোর্স করে যেতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কোন কোর্সের দরকার নাই। একদিন খানাপিনার আয়োজনসহ আমাকে দাওয়াত দিন। সবকিছু প্রাঞ্জল ভাবে শিখিয়ে-পড়িয়ে দেব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার এক চীনা বন্ধুকে তাদের দেশের নাম উচ্চারণ করতে বলায় সে যা বলছিল তা "চোঙগোয়া" অথবা "চোঙ্গোয়া"'র মত মনে হয়েছিল।
সিরিজটা ভাল লাগবে মনে হচ্ছে।
প্রিয় পিপি, উচ্চারণগুলো আমাদের কাছে কেবল এটা-ওটার মতই মনে হয়। সঠিকটা যে কী তা বোধহয় ভাষাটা না শিখে বলা যাবে না। এজন্মে যে তা হবে না তা নিশ্চিত। পরবর্তী জন্মে কোন দেশে জন্মাই দেখা যাক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাইইই, 'ষষ্ঠ পান্ডব' - আপনিও?!
চীনাকাহিনী ভাল্লাগছে ......
@আনিস মাহমুদ - আপনার এরকম চীন প্রীতির কোন বিশেষ কারণ বা মজার শানে নযুল আছে নাকি?
গোয়েন্দা ঝিকিমিকি দেখি খৃষ্টউৎসবের ছুটিতে যায় নাই। দণ্ডকারণ্যে বসবাসরত হে ধর্ম্মপুত্র এবং চতুর্থ পাণ্ডব এই বিপদে আমার সহায় হউন।
সচলরা যখন আমাকে পাণ্ডব বা পাণ্ডবদা বলে ডাকেন তখন ভালোই লাগে।
আনিসদার বিশেষ চৈনিক প্রীতি নিয়ে আমারও বিশেষ কৌতুহল হচ্ছে। আনিসদা, থলের বেড়াল বের করুন। নয়তো গোয়েন্দা ঝিকিমিকি আপনারও হেস্তনেস্ত করে ছাড়বে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীনপ্রীতির বিশেষ কোনো কারণ আসলে আমার নিজেরও জানা নেই। তবে এই দেশটির ভাষা, কৃষ্টি, ইতিহাস, প্রকৃতি আর মানুষ সম্পর্কে অদম্য এক কৌতূহল আর অনুসন্ধিৎসা আমার আশৈশব। হয়ত বহু প্রজন্ম আগে কোনো চীনা পর্যটকের সাথে আমার কোনো পূর্বসূরীর সম্পর্ক হয়েছিল (আমার আত্মীয়স্বজনের কারো কারো চেহারায় চীনের 'নেই মঙ্গোল' অঞ্চলের ছাপ দেখা যায়)।
মজাদার একটা শানে নুযূল থাকলে আমারও আনন্দ হত। কিন্তু নেই যে...
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
বাংলা জানা এক ভ্রাম্যমাণ চায়না অধ্যাপক আমার ১০টা কবিতা নিলো চায়না ভাষায় অনুবাদ করার জন্য
তারপর অনুবাদ করে ড্রাফটটা আমাকে মেইল করলা ঠিক আছে কি না দেখার জন্য
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আমার এই অনুবাদগুলোর উপররের দিক কোনটা আর নিচের দিক কোনটা
এবং আমার নামটা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা আমাকে বলো
সে আমাকে লেখার উপর নিচের বর্ণনা দিয়ে বলল আমার লীলেনটা নাকি চায়নিজ বানানে মোটামুটি ঠিক আছে
কিন্তু মাহবুবটা এতো বেশি বদলে গেছে যে ওই নামটা আমি আর নিজের বলেই দাবি করতে পারবো না
০২
সে একখান বই জাতীয় কিছু একটা পাঠিয়েছিল আমাকে
কিন্তু বহু কষ্ট করেও আমি বুঝতে পারিনি ওখানে আমার লেখা আছে কি নেই
নমস্কার গুরু! আপনি দেখি আমার ধারণার চেয়েও বিখ্যাত লোক। এক গুরুদেবের কবিতা আর জসীমউদদীনের গান ছাড়া চৈনিক ভাষায় বাংলা সাহিত্যের কিছু অনুবাদ হয়েছে বলে আমার জানা ছিলনা। দয়া করে আপনার বইখানা ই-বুক হিসেবে পাঠান। পরবর্তী ভ্রমণের সময় সাথে করে নিয়ে যাব। বলব এই কবি আমার বিশেষ পরিচিত। তাতে ব্যাটাদের কাছে আমার দাম অনেক বেড়ে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার জানামতে চীনাতে অনেক বাংলা কবিতা অনুবাদ হয়েছে (কারা কোথায় করেছে জানি না। বিভিন্ন সময়ে শোনা থেকে যতদূর মনে করতে পারি)
শামসুর রাহমান আল মাহমুদ হুমায়ূন আজাদের অনেক লেখা অনুবাদ হযেছে আমার জানা মতে
০২
আচ্ছা ওরা মাওসেতুংকে কী বলে বলেন তো?
একবার এক ইংরেজি জানা চায়নাকে আমি মাওসেতুংয়ের নাম বোঝাতে হয়েছে ছবি দেখিয়ে
পরে সেই ছবির লোকের নাম সে যা বলল আমি দেখি ওই নামের কাউকে আমি জীবনেও চিনি না
তারপর সে শেখ মুজিব আর ভাসানীর যা নাম বলল- আমি হিসেব করে দেখলাম এইসব নামের কোনো লোক বাংলাদেশে জন্মায়নি
০৩
আমার বইটা আমাদের এক চায়না প্রবাসী কবি নিয়ে গিয়েছিলেন পড়ার জন্য
কিন্তু বইটা পড়তে পড়তেই তিনি চলে গেছেন কানাডায়
চীনা সহকর্মীদের সাথে বা তাদের পরিচিতজনদের সাথে শিল্প-সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ নেই। তাই বাংলা সাহিত্য কতদূর অনূদিত হয়েছে বলতে পারবো না। এদের গড় সাংস্কৃতিক মান বা শিল্পবোধ খুবই নিচু। আমার এই মূল্যায়ণ হয়তো সঠিক নয়, তবে এটি আমার অভিজ্ঞতাসঞ্জাত।
চেয়ারম্যানকে ওরা মাও-জ্য-দঙ জাতীয় একটা কিছু বলে। সঠিক উচ্চারণ লেখা দূরে থাক বলাও আমার পক্ষে সম্ভব না।
নিজের সৃষ্টি অবহেলায় হারানোর ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান আমার চেয়েও অনেক উঁচুতে দেখছি। ব্যাক-ট্র্যাক করে বইটা আবার যোগাড় করার চেষ্টা করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীনাদের নামের প্রসঙ্গ আসলেই আমার গ্রাজুয়েট স্কুলের অফিসমেট শোফেং এর কথা মনে হয়। ওর পুরো নাম হলো শোফেং গু, এবং অন্য বিদেশীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ও সবাইকে জোড় করতো যেন ওর আপাত: কঠিণ প্রথম নামটা ধরে না ডেকে শেষ নামটা ধরে, অর্থাৎ "গু" ডাকতে বলতো। আমি ওর সঙ্গে আমার দুবছরের সময়ে কখনো ওকে বলে উঠতে পারিনি যে বাংলাদেশীদের জন্য ওর শেষ নামে ডাকাটা বেশ বড় ধরণের সমস্যা! সেটা নিয়ে অনেক মজার কিছু কাহিনী আছে, সময় পেলে লিখবো কখনো।
লেখা ভালো লাগছে। সিরিজ চলুক - "অনিয়মিত সিরিজ" বা "যখন পারবো" এইসব ধানাই পানাই বাদ।
সময় পেলে-টেলে ধরণের ধানাই-পানাই বাদ দিয়ে জলদি লেখা পোস্টান। অনেকদিন হয় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন। তেলের দামতো পড়তি, এজন্য অফিসে বসে হায়-হায় না করে লেখা-লেখি করেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই সিরিজ তো গড়গড়িয়ে চলতে হবে!
আমার সাম্প্রতিক চৈনিকা পড়শিনীর প্রেমের হাঁটুজলে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। দেখি পানি কদ্দূর ওঠে!
হাঁটুপানির জলদস্যু
হয় জর্ম্মন দেশের শীতে হিমুর বুদ্ধিনাশ হয়েছে, অথবা হিমু মহাভাগ্যবান। এতবার চীন ভ্রমণ করেও পঁয়ষট্টি কোটি ললনার দেশে সুন্দরী খুঁজতে হাবল টেলিস্কোপ বা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ লাগবে বলে মনে হয়। সেখানে প্রেমে পড়ার মত চৈনিক ললনা হিমু কোথায় পায়? বন্যার দেশের মানুষ আপনি। পানি উঠার জন্য মাওলা ভরসা করলে চলবে? জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে পানি মাথার উপর দশ হাত তুলে ফেলুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চলচলাইয়া চলুক লেখা
অচিন চীন দেশ চিন্না!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ। একটু সময় দেন। একটু বেকায়দায় আছি কীনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীনে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন লেখেন ... আমি গতবছরে গিয়েছিলাম মাত্র মাস দুয়েকের জন্য, তাও সাংহাই থেকে বেরোতে আর পারিনি।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দুই মাস সাংহাইতে ছিলেন কীভাবে? আপনাকে তো শিরোপা দেয়া উচিত! কোথায় কোথায় গেছি আস্তে আস্তে জানবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাড়াতাড়ি লেখেন, মজা লাগতাসে
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি কী আপনার মতো এলেমদার যে ক্যামেরা বের করে ফটাফট চমৎকার সব ছবি তুলে ফেলবো তারপর সেই ছবি নিয়ে গল্পও লিখে ফেলবো? একটু সময় দেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চাইনিজরা বাংলাদেশকে "মানজালা" বলে শুনছিলাম, কিন্তু ঠিক বিশ্বাস হইতো না, ভাবতাম কেউ কেউ বললেও সবাই নিশ্চই বলে না ... কানাডায় এসে রকমারি চাইনিজদের সাথে কথা বলে ভুল ভাংছে ...
একবার দুই চাইনিজ বালিকার সাথে প্রথম দেখা ... সাথে আরেক চাইনিজ ছেলে ছিল, সে পরিচয় করায়ে দিচ্ছে ... আমার সম্মানে সে ইংলিশেই কথা বলতেছে, "হী ইজ ফ্রম বাংলাডেশ" ... এক বালিকা দেখি বাংলাদেশ বুঝে না, আমি আগ বাড়ায়ে বল্লাম "মাঞ্জালা" ... বালিকা বিস্ময়ে বাকরূদ্ধ, "ওয়াও, ইয়োর চাইনিজ একসেন্ট ইজ সো গুড, ফার ফার বেটার দ্যান কানাডিয়ান্স" ... আমি দাঁত কেলায়ে হাসলাম
চাইনিজ বালক (এবং বালিকাদের) আমার বেশ ভালো লাগে ... দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে সবগুলিই হাসিখুশি, সহজ-সরল এবং মিশুক ... আর এদের সাথে কথা বলার সময় নিজের ইংলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এহ-হে! আমার পরবর্তী পর্বের দুইটা প্রসঙ্গ দেখি মন্তব্যেই লিখে দিলেন। মাথাওয়ালা সচলদের সামনে আমার কেরদানী দেখানোর চেষ্টা ঠিক হচ্ছে না মনে হচ্ছে। যাই হোক সময় পেলেই পরবর্তী পোস্ট নামিয়ে দেব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পেশাগত কারণে চাইনীজদের খুব কাছ থেকে দেখেছি (এবং দেখছি), তাই লেখাটা ভাল লাগল এবং আশা করছি আগামী পর্বগুলোও অনেক উপভোগ্য হবে।
এদের নাম নিয়ে যে কী বিচিত্র সব কান্ডকারখানা আছে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, তা বললেও ফুরাবার নয়
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
পরবর্তী পর্ব উপভোগ্য হবার কোন নিশ্চয়তা নাই। আর আপনার নিজের অভিজ্ঞতা ফুরাক বা না ফুরাক বলতে শুরু করে দিন তো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার বিশ্বাস, উপভোগ্য হবে
একটা বলি-
একবার এক চাইনীজ এয়ারপোর্টে নেমে, একটা জরুরি মিটিং অ্যাটেন্ড করার জন্য, সরাসরি গ্রামীণফোনের অফিসে চলে গেল। যাওয়ার পথে সে নিজের জন্য একটা ইংরেজি নাম ঠিক করল (কারণটা তো আপনার লেখার মধ্যেই বলা আছে)। মিটিংয়ের শুরুতে সে নিজেকে সেই নামে পরিচয় দিল। যাই হোক, মিটিং শুরু হল। এক পর্যায়ে গ্রামীণফোন টিমের একজন তাকে সেই নামে সম্বোধন করে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে একটা। কিন্তু সে নিশ্চুপ। আরেকবার জিজ্ঞেস করা হয়, সে তারপরেও নিশ্চুপ! বরং সে তার টিমের লোকজনের দিকে তাকায়। গ্রামীণফোনের লোকজনও একটু বোকা বনে যায়, ব্যাপার কী সেটা না বুঝতে পেরে। ওই চাইনীজটা আসলে বুঝতেই পারেনি যে প্রশ্নটা তাকেই করা হয়েছিল। কারণ সে নিজের যে নাম বলেছিল, নিজেই সেটা ভুলে গিয়েছিল! পরবর্তী অবস্থা নিজেই আন্দাজ করে নিন
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
মারাত-মক লেখা।
চলুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমহততততকার লেখা!
আপনার পড়া-শোনার চাপের মধ্যে এই হাবি-জাবি পড়েছেন! আবার সময় করে মন্তব্যও করেছেন!! অসংখ্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চলেন আমরা চীন দেশের একটা বাংলা নাম দেই...
প্রস্তাবিত নাম- 'চা আন ব্যাটা'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাল কৈসেন
আমিও প্রস্তাব দেই একটা, চায়না'র সাথে মিলায়া "চা আন্ না!"
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
রামায়ণ মহাভারতে কিন্তু চিনের আলাদা নাম আছে
সম্ভবত শবর রাজ্য
আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে শবর রাজ্য সম্ভবতঃ আজকের অরুণাচল বা তিব্বত হয়। এদু'টোর কোনটাকেই চীন বলা যায়না। হুন বা হান রাজ্য যাকে বলে তাকে সম্ভবত; আধুনিক চীন বলা যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চিন দেশের পৌরাণিক নাম পেয়েছি, 'ভদ্রাশ্ববর্ষ'। এখানে দেখতে পারেন।পুরাণকথা, পর্ব-১০
কৌতূহলোদ্দীপক লেখা। চলবে মানে! দৌড়বে রীতিমতো!
"চীনাদের খুব হিংসে করি। ওরা ডেইলি চাইনিজ খায়!"
(কপিরাইট: চীনান্তপ্রাণ আনিস্মাহ্মুদ)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
উক্রেনীয় রান্নার সুনাম শুনেছি অনেক, যদিও খাবার সুযোগ হয়নি এখনো। প্রতিদিন সেই খাবার খাওয়ার পরও আপনার চীনা খাবারের জন্য আফসোস হয়! আর সন্ন্যাসী মানুষের তো কলাটা-মুলাটা খেয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জোস এই লেখাটার দ্বিতীয় পর্ব আশা করছির শীঘ্রি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জোশ লেখা! জোশ!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কি ভাগ্য আমার!
ব্যাপক মজা পাইলাম!
যতদূর জানি, চীনের স্থানীয় নাম চুং গোয় (Zhong Guo) যেখানে চুং অর্থ মধ্য বা মাঝখান আর গোয় অর্থ দেশ। চীনারা মনে করে তাদের দেশ পৃথিবীর মাঝখানে, তাই এই নাম।
আর বাংলাদেশকে তারা বলে মংজিয়ালা বা মংচিয়ালা গোয় (Mengjiala Guo)।
সবক্ষেত্রেই অবশ্য টোনের ব্যাপার আছে। চীনা ভাষার উচ্চারণ চারধরণের টোন মেনে চলে। একই শব্দের উচ্চারণে টোন পরিবর্তন হলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাবে। যেমন Beijing কে পেইচিং বলা হয় যা চীনের রাজধানী। আর ব্যাকগ্রাউন্ড এর চীনা ভাষাও পেইচিং, ধ্বনি অন্যরকম, ক্যারেক্টারও।
নতুন মন্তব্য করুন