চীনের রান্না, চীনের খাবার
আমাদের ছোটবেলায় (সত্তরের শেষ আর আশির শুরু) বাসায় কোন আনন্দের ঘটনা ঘটলে, কেউ মজার কোন বাজী জিতলে, কেউ অনেক দিন পর বেড়াতে এলে বাসার সবাই মিলে চীনা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া হত। তখন এই শহরে চীনা রেস্তোরাঁ ছিল হাতে গোনা। ড্রাগণ, ফুজি বা ম্যাগী নুডুলস বাজারে আসেনি। কারো বাসায় এমন মুড়ি-মুড়কির মত নুডুলস রান্না হত না। চীনা রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানে ভাতের মাড়ের মত চিকেন...চীনের রান্না, চীনের খাবার
আমাদের ছোটবেলায় (সত্তরের শেষ আর আশির শুরু) বাসায় কোন আনন্দের ঘটনা ঘটলে, কেউ মজার কোন বাজী জিতলে, কেউ অনেক দিন পর বেড়াতে এলে বাসার সবাই মিলে চীনা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া হত। তখন এই শহরে চীনা রেস্তোরাঁ ছিল হাতে গোনা। ড্রাগণ, ফুজি বা ম্যাগী নুডুলস বাজারে আসেনি। কারো বাসায় এমন মুড়ি-মুড়কির মত নুডুলস রান্না হত না। চীনা রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানে ভাতের মাড়ের মত চিকেন কর্নস্যুপ, ফ্রায়েড নুডুলস আর পুরু বেসন মাখানো ফ্রায়েড চিকেন খাওয়া। কখনো কখনো ফ্রায়েড রাইসও খাওয়া হত। আমরা অবশ্য বাইরে খাওয়া হচ্ছে, বড়দের মত হোটেলে বসে খাচ্ছি, ছুরি-কাঁটা চামচ নাড়ছি এই আনন্দেই বিভোর থাকতাম। পরদিন স্কুলে সহপাঠীদের কাছে রসিয়ে রসিয়ে আগের দিন সন্ধ্যার ভোজের বর্ণনা দিতাম।
বড় হবার পর, যখন এই শহরের অলি-গলিতে চীনা রেস্তোরাঁ হয়েছে, তাদের খাবারে কিছুটা বৈচিত্র্য এসেছে তখনো চীনা রেস্তোরাঁয় খাওয়া আমাদের কাছে মজার ব্যাপারই ছিল। তাই চীনে প্রথমবার যাবার সময় যে বিষয়টি নিয়ে কোন শংকা বা আফসোস ছিলনা তা হচ্ছে খাবার।
প্রথম বার চীনে যাবার প্রথম দিনে সকাল থেকে ছিলাম না খাওয়া। আগের রাতে হংকং-এ ম্যাকডোনাল্ডস-এর অখাদ্য গিলেছি। সকালে ট্রেনে করে লো-উ বর্ডার পার হয়ে চীনে প্রবেশ। চীনে ঢুকতেই নাকে ধাক্কা মারল এক বিশ্রী গন্ধ। এমন গন্ধ যে আমি নাকে রুমাল বাঁধলাম। আমার সহকর্মী (তিনি এর মধ্যেই চীনের ব্যাপারে বেশ সড়-গড় হয়ে গেছেন) টান দিয়ে রুমাল নামিয়ে দিয়ে বললেন, “অ্যাখনই এই অবস্থা, তাইলে বাকী সাত দিন চীনে থাকবেন ক্যামনে?” আমি নিরুপায় হয়ে গন্ধ সহ্য করে কুয়াঙচৌ (Guangzhou – Canton) যাবার বাসে উঠে বসলাম। বাসের টিকিট কাটার সময় মহাখালী বা গাবতলী বাস টার্মিনালের মত প্যাসেঞ্জার নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া আর টিকিটের দাম নিয়ে দরাদরি করাও দেখলাম। এখন অবশ্য এই ব্যাপারটা আর চীনে চোখে পড়ে না।
সারাদিন না খেয়ে (জুস আর ফল বাদ দিলে) সন্ধ্যায় চৈনিক সহকর্মীদের সাথে গেলাম চীনা রেস্তোরায়। দেখলাম গরু-ছাগল-শুকর-ভেড়া ছাড়া আর সবই সেখানে জ্যান্ত রাখা। হাঁস-মুরগী-পাখি, মাছ-সাপ-ব্যাঙ-কচ্ছপ, নানা রকমের পোকা-মাকড়, হাজারো রকমের শাক-সব্জী সবই হয় জ্যান্ত, নয়তো তাজা। কিছু কিছু জিনিষ দেখে গা গুলিয়ে উঠলেও মাছ-চিংড়ী-সব্জী দেখে আনন্দিত হয়ে উঠলাম। ভাবলাম দিন শেষে খাওয়া মন্দ হবে না। সবাই নিজের পছন্দ মত অর্ডার করল। আমি চিংড়ী, মুরগী, সব্জী আর ভাত অর্ডার করলাম। আমার বাঙালী সহকর্মী সাথে মাছও অর্ডার করলেন। জ্যান্ত-তাজা জিনিষ সাথে সাথে রান্না করে এনে দেয়া হবে, বেশ মজা করে খাওয়া যাবে ভাবলাম। আমার স্মৃতিতে তখন আমার শহরের চীনা রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ-গন্ধ। প্রথম ধাক্কা খেলাম যখন একটা দাঁড়ি-গোঁফসমেত মাছ সেদ্ধ করে তার উপর সয়া-সস ঢেলে এনে দেয়া হল। চপস্টিক ব্যবহারে ব্যর্থ হয়ে ছুরি-কাঁটা চামচ হাতে নিলাম। প্রথম টুকরো মাছ মুখে দিয়ে বুঝলাম তেল-লবন-হলুদ-মরিচ ব্যবহার করা হয়নি। বরং কিছুটা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে সিরকার সাথে। একটু মাছ কোন রকমে গিলতে আমার অন্নপ্রাশণের ভাত বের হয়ে আসার উপক্রম। এরপর আসল ভাতের মাড়ের মত জিনিষে সেদ্ধ করা বাঁধাকপি, দাঁড়ি-গোঁফসমেত লবনবিহীন সেদ্ধ চিংড়ী, চামড়া আর ক্ষুদে ক্ষুদে পশমসহ সয়াসসে রান্না করা মুরগী। সবশেষে এল ছোট একবাটি দলাপাকানো ভাত। এসব একটু একটু গিলে আমার মনে হল বিচিত্রবীর্যের যুগ থেকে আমার পূর্ব-পুরুষ যা পাপ করেছেন (মায় এই অধম পাণ্ডবসহ) তার প্রায়শ্চিত্ত করতে আমাকে সাতদিনের জন্য চীনে পাঠানো হয়েছে। আমার পরবর্তী ছয়দিন কিভাবে কাটবে তা ভেবে আমার নিজের জন্য নিজেরই কষ্ট হল।
এই প্রথম ভোজসভার পর যা যা জ্ঞান অর্জিত হল সেগুলো হচ্ছে, এক, কী রান্না করা হল তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কীভাবে রান্না করা হল (দেশে ফিরে দেখছি মায়ের সাথে সাথে বৌকেও প্রণাম করা দরকার)। দুই, বাংলাদেশের চীনা রেস্তোরাঁয় যা রান্না করা হয় সেগুলো চীনা নামে বাংলাদেশী খাবার। তিন, আমার শহরে কেউ আসল চীনা রান্নার রেস্তোরাঁ দিলে প্রথম বেলার বেচা-বিক্রির পর কাস্টমারেরা নিজ খরচায় শ্রমিক এনে রেস্তোরাঁটা ভেঙ্গে দিয়ে যেত আর রেস্তোরাঁর মালিককে একটা কন্টেইনারে ঢুকিয়ে সোজা সাঙহাই বন্দরে পাঠিয়ে দিত।
চীনা ভোজসভার শুরুতে অ্যাপিটাইজার হিসেবে যা আসে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুরগীর পা (রান নয় নখর, তেল-লাল মরিচ দিয়ে জারানো), গরু বা শুকরের অন্ত্র (পাতলা স্লাইস করা), চীনেবাদাম, কোরিয়ান কিমচীর মত কিছু জারানো সব্জী। মুল খাবারের শুরু মাছ দিয়ে, তারপর একে একে চিংড়ী, মাংস, সব্জী আর সবশেষে ভাত (স্টীমড বা ফ্রায়েড)। একসাথে মাখিয়ে খাবার প্রশ্নই ওঠে না। খাবারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলে ফাঁকে ফাঁকে চা খাওয়া। সেই চায়ের যে কত প্রকারভেদ। তবে সবই গরম পানিতে পাতা ভেজানো, দুধ-চিনির নাম-গন্ধ নেই।
চীনে কারো বাসায় গেলে আপনাকে প্রথমেই এক গ্লাস পানি (সাধারণতঃ গরম পানি) বা চীনা চা এনে দেবে। পানি বা গরম পানির মর্যাদাও অদের কাছে চায়ের সমান। আমার ধারণা চীনারা ঘরের জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বা রাস্তায় চলতি পথে যখন ইচ্ছে হাত বাড়িয়ে যে কোন গাছের পাতা ছিঁড়ে এনে তাকে শুকিয়ে চা বলে চালিয়ে দেয়। আর শুধু পাতা! ফুল, ফল, মূল, বাকল গাছের হেন অংশ নেই যা দিয়ে ওরা চা খায় না। মরা গাছের কম্পোস্ট দিয়ে বানানো চা চীনে একবার চালু করে দিতে পারলে মনে হয় “চীনা চা অভিধানে” আমার নাম স্বণাক্ষরে লেখা হয়ে যাবে।
চীনে আপনি যে মানের হোটেলেই থাকুন না কেন সকালে নাস্তা করার জন্য ব্রেকফাস্ট হলে ঢুকলেই আপনি বুঝে যাবেন কোথায় এসে পড়েছেন। ডিম পোচ-পাঁউরুটি-মাখন-জেলী-ফ্রুট জুস-দুধ-কর্নফ্লেক্স ধরণের নাস্তা একটু ভাল হোটেল না হলে মেলে না। বাকী সব জায়গায় বিশুদ্ধ চীনা খাবার খেতে হবে। ভাল হোটেলেও ওসবের পাশাপাশি বিশুদ্ধ চীনা খাবার বিদ্যমান। চীনা খাবারে দুই-তিন ধরণের স্যুপ থাকে যেগুলোর মধ্যে আমি আজো কোন পার্থক্য করতে পারিনি। আমার কাছে সবই গলানো ভাতের জাউয়ের মত মনে হয়েছে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ-কচু সিদ্ধ ধরণের আজব খাবারের সাথে গাব জাতীয় ফলও থাকে। দেশে আমরা নুডুলস বলে যা খাই বা বাসায় রান্না করা হয় তাকে ফ্রায়েড নুডুলস বলা চলে। চীনারা সব বেলায় (বিশেষতঃ সকালে) যে নুডুলস খায় তাকে নুডুলস স্যুপ বলা যেতে পারে। বিরাট এক বাটিতে গরম জলে সেদ্ধ নুডুলস, তার সাথে মাংস, সব্জী, মশলা হেন জিনিষ নেই মেশায় না। তারপর চপস্টিক দিয়ে কঠিন বস্তুগুলো তুলে খায় আর ফাঁকে ফাঁকে বাটিতে ঠোঁট লাগিয়ে বিশাল চুমুক দেয়। সে এক দেখার মত দৃশ্য!
চীনা খাবার নিয়ে বলতে থাকলে এই সিরিজে আর অন্য কিছু নিয়ে বলার সুযোগ থাকবে না। তাই খাবার নিয়ে অল্প কিছু প্রসঙ্গ বলে এই পর্বটি শেষ করব।
চীনের সব খাবার দেখতে বা খেতে খারাপ অমন কথা বললে সত্য বলা হয় না। বরং এতদিনে মনে হয় চীনা খাবারের একটা বড় অংশই মজার। নিঙবোর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে বালিতে ভাজা চিংড়ী, নিঙহাই-এর শুকনো লাল মরিচ ভাজাতে ছোট ছোট করে কাটা ফ্রায়েড চিকেন, কুয়াঙচৌ-এর অসাধারণ কৌশলে হাতে বানানো নুডুলস, সাঙহাই-এর মশলাদার কাঁকড়া, ফুজিয়ানের সী-ফুডের আইটেমগুলো, হাঙচৌ-এর পদ্ম-পাতায় মুড়িয়ে কাদার তালের ভেতর ঢুকিয়ে পোড়ানো চিকেন এমন আরো অনেক খাবার আমার কাছে অমৃতের মত লেগেছে।
আমার অভিজ্ঞতায় চীনের পূর্বাঞ্চলের রান্না অপেক্ষাকৃত মজাদার। এই অঞ্চলের প্রদেশগুলো সমূদ্রের পাড়ে বলে মাছ বা সী-ফুড সহজলভ্য। এখানে সব্জীও ফলে প্রচুর। মধ্য-পশ্চিমের সিচুয়ান, হুনান, চঙচিঙ এলাকার খাবার মশলাদার, ঝাল। অনেকটা আমাদের দেশী খাবারের মত। উত্তর চীনের খাবারে মশলা কম, সেদ্ধ-সেদ্ধ, পানসে। আমার কাছে দক্ষিণ চীনের রান্না বাজে মনে হয়েছে। বিশেষতঃ গুয়ানডঙ, কুয়াঙশি, কুইচৌ এলাকার। অবশ্য হাইনান দ্বীপ যারা ভ্রমণ করেছেন তারা আমার সাথে যৌক্তিক কারনেই দ্বিমত পোষন করবেন।
খুশওয়ান্ত সিং তাঁর এক লেখায় মত এই প্রকাশ করেছিলেন যে, যেহেতু ইন্দোচীনের অর্থনীতি শুকরের মাংস-নির্ভর, তাই সেখানে কখনো ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করতে পারবে না। আমার মনে হয়েছে, চীনের, বিশেষতঃ মধ্য ও দক্ষিণ চীনের জন্য এই কথা আরো বেশি সত্য। বাংলাদেশে বরাহ মাংস দুর্লভ বলে যাদের আফসোস আছে তারা একটু কষ্ট করে চীনে যান। সেখানে প্রতি বেলায় আপনার সকল আফসোস দূর করে দেবার মত বরাহ মাংসের হরেক রকমের আইটেম আছে।
আমাদের দেশে কোন ভোজে গেলে দেখতে পাবেন এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা গাণ্ডে-পিণ্ডে গিলেন কিন্তু আমাদের দেশের খাবারের বদনাম করেন। বাংলাদেশের খাবারে তেল-মশলা বেশি, অস্বাস্থ্যকর ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ এই খাবার খেয়ে বাঙালীরা কয়েক হাজার বৎসর ধরে ভালো ভাবেই টিকে আছে (মায় ঐসব উন্নাসিকেরা)। চীনারা এক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। খাবার পছন্দ করা, খাওয়া এবং খাবারের প্রশংসা করার ক্ষেত্রে চীনাদের দেশপ্রেম অসাধারণ। নিজ দেশে বা দেশের বাইরে চীনাদের খাবারের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ চীনা খাবার। ছোট-বড়, ভালো-খারাপ কোন চীনা রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে আমি আজ পর্যন্ত কোন চীনাকে নিন্দা-মন্দ করতে দেখিনি। ওরা যখন খায় তৃপ্তি সহকারে খায়, প্রয়োজনীয় প্রশংসাও করে। কোন খাবার বা ফল বা সব্জীকে আমাদের মত ধনীর খাবার-গরীবের খাবার এমন বিভাজন করে না। খাবারের ক্ষেত্রে এই গুণগুলো খুবই দরকারী বিষয়। তাই চীনাদের খাবার আজ বিশ্ব জয় করেছে। আর সম্ভবতঃ এমন সব কারণেই স্বাদে-গন্ধে-বৈচিত্র্যে বাঙালী খাবার অনন্যসাধারণ হয়েও বাইরের দুনিয়ার কাছে “ইণ্ডিয়ান ক্যুইজিন”-এর ঘেরাটোপ থেকে খুব বেশি বের হতে পারেনি।
মন্তব্য
ভালো লাগল পড়ে। আমার ক্যান্টনিজ, সিচুয়ান রান্না খাবার অভিজ্ঞতা একদিন বলব। আচ্ছা আপনি "পিকিং ডাক" এর কথা বাদ দিলেন কেন?
...........................
Every Picture Tells a Story
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
"পিকিং ডাকে"র কথা বলিনি দু'টো কারনে। এক, চর্বিদার খাবার আমার পছন্দ নয়। দুই, পিকিং ডাক পালন পদ্ধতিটি আমার কাছে অমানবিক বলে মনে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দিলেন তো কৌতুহলটা বাড়িয়ে এখন এই পিকিং ডাক বস্তুটা কি জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
"পিকিং ডাক" কী জিনিষ তার ধারণা পেতে পারেন এখান থেকে। তবে হাঁস পালনের প্রকৃত পদ্ধতিটি এখানে অনেক হালকা ভাবে বলা হয়েছে। বাস্তবে পদ্ধতিটি দেখলে "পিকিং ডাক" খাবার রুচি চলে যাবার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুবই প্রাঞ্জল বর্ণনা। ভীষণ ভাল লাগল পড়ে।
বেশ কিছুদিন আগে এক চাইনিজ কোলিগের সাথে ওদের ডাইনিংয়ে গেলাম লাঞ্চ করতে। আমি তো বেশ উত্তেজিত, যে "আসল" চাইনিজ খাব। কারণ আগেই শুনেছিলাম, আমরা রেস্তোরাঁয় যে চাইনিজ খাই, সেটাকে ঠিক ওদের মূল ধারার খাবার বলা যাবে না, রান্না ও স্বাদে আসল খাবার থেকে অনেক আলাদা। যাই হোক, আমরা দুই বাঙালী গেলাম। ডাইনিংয়ে ঢুকতেই নাকে একটা বাজে গন্ধ এসে লাগল। খানিকটা দমে গেলাম। এরপর দেখলাম খাবারের মেন্যু। সাধারণত "চাইনিজ খাবার" হিসাবে যা খেতাম আগে, তার কিছুই দেখলাম না। মুরগী, সবজি, আঠাল ভাত, পর্ক, আলু, এসব ছিল। পর্ক বাদ দিয়ে বাকিগুলো নিলাম একটু একটু করে। গন্ধ তো সহ্য হচ্ছিল না-ই, খাবার মুখে দিতেই প্রায় বমি আসার উপক্রম হল। খাবারের গন্ধ বা স্বাদ, কোনটাই পছন্দ হচ্ছিল না। একটু একটু করে সামলে নিলাম। কারো আতিথেয়তায় খেতে গিয়ে শুরুতেই বাদ দিয়ে উঠে যাওয়া ঠিক ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে না। সাথের বাঙালী কোলিগ দেখলাম গোগ্রাসে গিলছিল। ভীষণ অবাক হলাম ওর খাওয়া দেখে। চারপাশের চাইনিজরাও খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছিল। চপস্টিক দিয়ে সব ধরণের খাবার যে এত তাড়াতাড়ি খাওয়া সম্ভব, সেদিন ওদের না দেখলে ঠিক বিশ্বাস করতাম না মনে হয়। শেষ পর্যন্ত কোন রকমে শেষ করে ভাবলাম বড় বাঁচা বেঁচেছি। এরপর আর ভুলেও ওমুখো হইনি।
মজার কথা হল, ওই বাঙালী কোলিগ আরেকদিন খেতে গিয়েছিল চাইনিজদের ডাইনিংয়ে। পরে জেনেছি, সেদিন খেয়ে নাকি ওর বমি চলে এসেছিল প্রায়!
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। চীনা খাবার খেয়ে কোনদিন বমি আসেনি। তবে একবার রাস্তার ধারের ফুড-ভ্যানে শুকরের কলিজা ভাজার সুঘ্রানে বমি চলে এসেছিল। দেখি স্কুল ফেরতা পোলাপান মহানন্দে কাঠিতে গেঁথে সেই বস্তু খাচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চীন্দেশে যাইনাই কখনো... তবে সিঙ্গাপুরের একাধিক চীনে রেস্তোরায় খাইছি... অর্ডার করার পরে চুলা টুলা নিয়া হাজির... তাতে পানি গরম করে একে একে এটা সেটা দিয়ে সিদ্ধ করে তুলে দিলো প্লেটে... খা ব্যাটা...
ওরা রান্না করতে পারে না... সেদ্ধ করে কেবল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুধু সেদ্ধ না এরা অন্য সব ধরণের রান্নাই জানে, খায়। একবার ইলিশ ভাজা খাইয়েছিল। অবশ্য চীনা রাঁধুনী ইলিশ ভাজতে চাইছিল না। তার ভাষ্য এই মাছ ভেজে খায় না। আমি মহা ক্যাচাল বাঁধিয়ে তাকে দিয়ে ভাজিয়ে ছেড়েছি। ব্যাটা তারপরও বিড়বিড় করে, "এত কাঁটাওয়ালা মাছ কী কেউ ভেজে খায়? বাপের জন্মেও শুনিনি"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১
বড়ভাই কি পুরা গনচীন ঘুরে তামাতামা করে ফেলেছেন ? উত্তর দিক্ষিন পূর্ব পশ্চিম সব অঞ্চলের খাবারের একটা ভাল রিভিউ দিলেন ।
২
চীনাদের অনেক খাবারেই গাঁজানো বা ফারমেন্ট করে তৈরী করা সস, আচার ইত্যাদির প্রয়োগ থাকে । আর মাংস গাঁজিয়ে বা পচিয়ে করা বেশ কয়েক রকম খাবারো রয়েছে জানতাম । এক চীনা পরিবার আমার প্রতিবেশী ছিল । ছাদের যেদিকে দাঁড়ালে ওদের বাড়ির গন্ধ নাকে লাগে আমি সেই দিকে একবারে বাধ্য না হলে যেতাম না ।
৩
চপস্টিক দিয়ে কেমনে এত দ্রূত খায় এটা আসলেই রহস্য । চপস্টিক দিয়ে খেলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে - হয়ত এজন্যই ওদের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিল্পী সবাই অনেক দক্ষ ।
৪
আমাদের দেশের খাবার খারাপ কে বলেছে । যেই শালা বলে ওরে বিদেশ পাঠায় দেয়া দরকার ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পুরো গণচীন দশজন্মেও ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। আমি শুধু বুড়ি-ছোঁয়া করে গেছি কিছু জায়গা। তাও আবার যেখান থেকে রুজী-রোজগারের কিছু বন্দোবস্ত হতে পারে।
সব দেশেরই (বলা ভালো সব অঞ্চলেরই) একটা নিজস্ব গন্ধ আছে। একটু খেয়াল করলেই সেটা ধরতে পারবেন। এর মধ্যে কিছু ভালো লাগে, কিছু সহ্য হয় আর কিছু অসহ্য লাগে।
চপস্টিক দিয়ে খেলে বুদ্ধি বাড়ে কীনা জানি না, তবে চপস্টিক দিয়ে খাওয়া একটা অসাধারণ শিল্প। কীভাবে যে এটা রপ্ত করতে হয় বলতে পারবো না। আমি অবশ্য ভাত আর নুডুলস ছাড়া বেশির ভাগ খাবার চপস্টিক দিয়ে খাওয়া অনেকটা কায়দা করতে পেরেছি।
আমাদের দেশের খাবার বাইরের লোকে খারাপ বলেন না। আমাদেরই উন্নাসিক ভাই-বেরাদররা বলেন। এদের কাছে বিদেশী সব কিছুই ভালো। কবি আবদুল হাকিম মধ্যযুগেই এদের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে গেছেন। তারপরও এরা দেশ ছাড়েন না। কারণ, তারা জানেন বিদেশে গেলে তাদের এই সব ফুটানী চলবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সবশেষে এল ছোট একবাটি দলাপাকানো ভাত। এসব একটু একটু গিলে আমার মনে হল বিচিত্রবীর্যের যুগ থেকে আমার পূর্ব-পুরুষ যা পাপ করেছেন (মায় এই অধম পাণ্ডবসহ) তার প্রায়শ্চিত্ত করতে আমাকে সাতদিনের জন্য চীনে পাঠানো হয়েছে।
সব্বোনাশ! আমি কোনোদিন চিনে যেতে চাই না...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সে কী! আপনি চীন না গেলে ওরা নিমকি খাওয়া শিখবে কী করে? ওরা এত কিছু খায় আর নিমকি খাবে না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি সাপ খেয়ে দেখতে পারতেন, চিকেন আর মাছের মধ্যবর্তী ধরণের স্বাদ। আর ভারতীয় ঘেঁষা খাবার শিঞ্জিয়াং বা উইঘুর রেস্টুরেন্টে পাবেন - স কাবাব আর গ্রিল। তিব্বতি রেস্টুরেন্টে পাবেন তিব্বতি খাবার - যা কোলকাতায় আর দার্জিলিং-এ খুব চলে ... রাস্তার ধারে সাপ আর আরশোলা ভাজা খেয়ে দেখলাম না কখনও - সাহস হয় নি আর কি ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সাপ খাইনি কিছুটা ঘেন্নায় আর কিছুটা সংস্কারবশতঃ। একই কারনে নধর রেশম পোকা আর মোটা-সোটা সামূদ্রিক জোঁক খাওয়া হয়নি। আমার পরিচিতদের মধ্যে শুধু দ্বিতীয় পাণ্ডব একবার ভৈরব নদীর বেদেদের কাছে সাপ খেয়েছিলেন। তার ভাষ্যমত স্বাদ অনেকটা বাইন/পাঁকাল মাছের মত, যা আপনার অভিজ্ঞতার সাথে মেলে।
শিনজিয়াঙ (উই্যগুর) আর শিঝ্যাঙ (তিব্বত) কে মূল চীন বলা যায় না। শিনজিয়াঙ আসলে পূর্ব তাজিকিস্তান, আর শিঝ্যাঙ যে কী তা গোটা দুনিয়া জানে। তাই তাদের খাবার মূল চীনের সাথে মেলে না। শিনজিয়াঙ-এর খাবার মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে (যেমন, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান বা কিরঘিজিস্তান) মেলে। এককালে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যও এখানকার খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন ধরণের।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দ্বিতীয় পাণ্ডবটা কে? ভীম যে না, সে তো জানি...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ইনি লেখালেখির জগত থেকে আপাততঃ শীতনিদ্রায় আছেন। আমি আর যুধিষ্ঠির মিলে তার ঘুম ভাঙাতে পারলে তার দেখা পাবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটু ভুল বলেছি। শব্দটা "পূর্ব তাজিকিস্তান" নয়, "পূর্ব তুর্কীস্তান" হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি ভাই চীনা লোকজন খুবই ডরাই। আল্লার দুনিয়ায় এমন কিসু নাই যে এরা খায় না। কোন্দিন আমারে ধইরা কাইটা কুইটা খাইয়া ফেলে...
ছাত্রকালে যেই হোস্টেলে থাকতাম, আর আশে পাশের কয়টা, যেইগুলায় ঘুরাঘুরি করতাম, ওই গুলার কিচেনে ঢুকে গন্ধ শুকেই বলা যাইত গত এক সপ্তাহে অই কিচেনে কোন চাংকু (নাক বোচার নিক নেম) রান্না করসে নাকি। কারন তারা একবার রান্না করলে এক সপ্তাহেও অইটার গন্ধ দূর হয় না...
তবে ভাই সত্য কথা, আমাদের রান্নাতেও কিন্ত অনেক গন্ধ। একবার তেল, হলুদ, আদা, রসুন কসিয়ে ভালো করে মাংস, অথবা, মাছ ভাজি করে সেই পোষাকে বের হলে দেখবেন লোকজন সব ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাচ্ছে। বাসে বা ট্রামে উঠলে আরো ভাল করে টের পাবেন, কারন আশে পাশের ৫ মিটার রেডিয়াসের মধ্যে কোন লোকজন বসবে না...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
বুদ্ধিটা কাজে লাগবে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হাতি না কী কানের জন্য নিজের শরীর দেখতে পায় না। আমরাও অভ্যাশবশতঃ নিজেদের খাবারের গন্ধ কত হর্স পাওয়ারের তা বুঝতে পারি না। আমাদের মধ্যে যারা শুঁটকী মাছ খান না তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন শুঁটকী ভুনার গন্ধ কেমন!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চরম মজাদার বর্ণনা। চীনা খাবার সম্পর্কে পারফেক্ট ধারণা দেয়ার জন্যও এ পোস্ট নমস্কার পাবে।
চীনা চা-এর ব্যাপারটা খুব মজার। প্রথম যখন এক চাংকু বান্ধবী দাওয়াত করে চীনা চা খেতে দিলো, তখন থেকেই বুঝলাম শালীরা কিপটার কিপটা। কিছু পাতাপুতা গরম পানিতে ভিজায়ে পানি খাওয়াই চলে, পানি শেষ হলে আরো পানি ঢালো। এগুলা নাকি আবার বিরাট বলবর্ধক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ। চীনা চা খেয়ে আপনার অনুভূতি এই হলে আরো বলবর্ধক কোরিয়ান জিনসেঙ চা খেলে কী বলবেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনে মিয়া চরম লিখেন! ঝোলায় আর কি কি আছে জলদি ছাড়েন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ফালতু প্যাঁচালীকে যদি চরম বলেন তাহলে “বড় হয়া” যখন ভালো লেখা লিখব তখন কী বলবেন? ঝোলা খালি করতে একটু সময় লাগবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ বলেছেন!
উমমমমম... শুনে জিভে পানি চলে আসছে!!
“ইণ্ডিয়ান ক্যুইজিন”-এর ঘেরাটোপ এর ব্যাপারটাতে মার্কেটিং-এর একটা বিরাট অবদান আছে তাই শুধু উন্নাসিকতাটাই একমাত্র কারণ নয় - তবে বৃহত্তর বিবেচনায় আপনার শেষ অনুচ্ছেদটার সঙ্গে একমত।
সিরিজ চলুক এমন তড়তড়িয়ে! বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছি।
“ইণ্ডিয়ান ক্যুইজিন”-এর ঘেরাটোপ এর ব্যাপারটাতে মার্কেটিং-এর ব্যাপারটা আমি জানি। বিপণন কৌশল নিয়ে আমার আপত্তি নেই, আপত্তি আছে মানসিকতা নিয়ে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাবারের গন্ধ বিষয়টি আসলে অভ্যাসের ব্যাপার। একবার দেশ থেকে নিয়ে আসা সুগন্ধী পোলাওয়ের চাল দিয়ে রান্না করা পোলাওয়ের গন্ধ শুঁকে এক ইউক্রেনীয় ছেলে বলেই বসলো, "কী উত্কট গন্ধ!" মনে হয়েছিল, ধরে চড় লাগাই
পরে ভাবলাম, ওদের কিছু খাদ্যের (যেমন, নোনতা মাছ) গন্ধ বিষয়ে আমার ধারণা কি উচ্চতর?
আমার তো মনে হয়, শুটকি-ভক্তদের উচিতই নয় অন্য জাতির খাবারের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ করা
ষষ্ঠ পাণ্ডব, আপনার গদ্য এবং লেখার বিষয়বস্তু আসলেই চমত্কার। আরও আসুক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্ন্যাসীদা' আমাকে বিরাট সনদপত্র দিয়ে দিলেন দেখছি! পরের পর্ব পড়ে না আবার এর জন্য আফসোস করেন!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাবার যতই বিস্বাদ বলেন আপনার লেখনী এমন সুস্বাদু ছিল যে সব গুলোই দারুণ লাগলো!
চীন দর্শন থামিয়েন না। আর অন্য কোন ভ্রমন কাহীনি থাকলে তাও দেন। সবার ভ্রমন ব্রৃত্তান্ত পড়ে আপনার গুলোর মত মজা পাইনা।
জয়তু, ৬'ষ্ট পান্ডব।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রিয় স্পর্শ, মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। তবে ভাববেন না আমার লেখার প্রশংসা করলেই মাফ পাবেন। পরবর্তী সাক্ষাতে গান না শোনানো পর্যন্ত "নো মাফ"। আমার পাশ থেকে হাঠৎ লাফ মেরে আপনার দৌড়ে পালানোটা অবশ্য দর্শনীয় ছিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১৪ বছরে দেখছি মনে নাই কিছু।হংকং হয়ে চীন -কোন কিছুই তখন বিস্বাদ লাগেনি।তবে অতিথির সন্মানে পরিবেশিত বানরের মগজ আর সাপের স্যুপ ছাড়া লীলেনের মুখে চুমু খাওয়া প্রাণীর মাংস পর্যন্ত এস্তেমাল করতে অসুবিধা হয় নাই।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
প্রিয় শুদ্ধস্বর, আরেকটু খোলাসা করে বলেন সব, বুঝতে পারিনি। বিশেষতঃ মহামতি লীলেনের মুখে চুমু খাওয়া প্রাণীটি কী? কবে এই ঘটনা ঘটল?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব'দা, এই পোস্ট-টা পড়লে বোধহয় সব পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার কাছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
চীনা খাবারের যে বর্ণনা শুনলাম তাতে দেশীয় চীনা খাবারই সেরা মনে হচ্ছে। আমি পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। লেখা চলতে থাকুক। ধন্যবাদ।
প্রিয় পিপি, আসল চীনা খাবারের চেয়ে বাংলাদেশী চীনা খাবার মজার, তারও চেয়ে সেরা আমাদের নিজেদের খাবার। পরবর্তী পর্বের জন্য একটু সময় দিতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার ধারণা, একটা অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে মূলত সেই অঞ্চলের ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও জলবায়ুগত চাহিদা এবং বিভিন্ন খাদ্য-উপকরণের সহজপ্রাপ্যতার ভিত্তিতে। উদাহরণ হিসেবে বলি, ফিনল্যান্ডে বা আইসল্যান্ডের খাবার আমাদের দেশের মানুষের পক্ষে হজম করা সম্ভব না, যেমন সম্ভব না জার্মানদের পক্ষে আমাদের মশলাদার খাবার হজম করা।
তবে সাধারণ বিচারে আমার কাছে চীনা খাবার (অথবা বলা ভাল, চীনা রীতির খাবার) দুনিয়ার সেরা। এর পুষ্টিমান ও সহজপাচ্যতা অতুলনীয়। আর স্বাদের ব্যাপারটা তো পুরোটাই আপেক্ষিক ও মানসিক। ব্যাংককের ফুটপাতে সেঁকা রেশমপোকা তো আমার কাছে খুবই উপাদেয় লেগেছে। যতবার গেছি, ততবার খেয়েছি প্রায় প্রতিদিন। ঘাসফড়িং আবার ততটা ভাল লাগেনি।
আর আমাদের (সামগ্রিক অর্থে ভারতবর্ষীয়দের) খাদ্যরীতি তো ভয়াবহ। আর এই খাদ্যরীতির কারণেই ভারতের মানচিত্রের মধ্যপ্রদেশের মত ভারতবর্ষীয়দের মধ্যপ্রদেশও হয় বিশাল। আর খেতে বসে একবারে যে পরিমাণ খাদ্য, বিশেষত শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্য আমরা উদরসাত্ করি, তা সাধারণভাবে মানুষের কর্মস্পৃহা নষ্ট করে তাকে বিছানামুখী করার জন্য যথেষ্ট।
চীনা খাবার আমার খুবই পছন্দ। আর চীনা খাবার নিয়ে এই লেখাটাও বড়ই উপাদেয়। পুরো সিরিজটিই খুব ভাল হচ্ছে।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
ধন্যবাদ দাদা লেখাটি পড়ার জন্য, আপনার নির্মোহ-নিরপেক্ষ-বিশ্লেষনাত্মক মন্তব্যর জন্য এবং উৎসাহ দেবার জন্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ সিরিজ...খুবই মজা পাইছি...
হাহাহহাহাহা!!!
প্রথমদিকে ভয় পেয়েছিলাম, পরে একটু আশ্বস্ত হলাম। খাওয়া প্র্যাকটিস করে যেতে পারলে ভাল হতো।
আমার সুশি অভিযানের কথা মনে পড়ে গেল। যদিও ওটা জাপানি খাবার।
খাওয়ার পর এক মুঠো ডাল-ভাত-আলুভর্তার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একবেলা সুশি খেয়েই এই অবস্থা! আর আমার মত চীনে ঘন ঘন আসতে হলে কী অবস্থা হত? এই মন্তব্য যখন করছি তখনও আমি চীনের এক গাঁয়ে। আজ সারাদিনে যা যা খেয়েছি তার কথা মনে হলে নিজের জন্যই কষ্ট হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন