সকালে মোবাইলের শব্দে তন্দ্রা টুটে গেল। মোবাইলে তুলতেই ওপাশ থেকে অনুজপ্রতিমের ভেজা গলা, “দাদা, মণিকাকা আজ ভোরে ইন্তেকাল করেছেন। দিশাদি’কে পাচ্ছিনা, মনে হয় মোবাইল বন্ধ করে ঘুমাচ্ছে, আপনি বলে দিন। আর তাড়াতাড়ি চলে আসুন”। হতবিহবল আমি দিশাকে ঠেলে ঘুম থেকে তুলে বললাম, “খুব খারাপ খবর আছে, মণিকাকা আর নেই”।
আমাদের মণিকাকা, কাজী হাবিব উদ্দীন আহমেদ, শব্দ-সৈনিক, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিনে যে দশজন অকুতোভয় বীর “স্বাধীন বাঙলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র” স্থাপণ করেছিলেন তাদের একজন। দীর্ঘ প্রায় আট বৎসর অসহনীয় শারিরীক কষ্ট ভোগ করে ২৯শে ডিসেম্বর, ২০০৭-এর ভোরে তার প্রিয় দেশ আর তার প্রিয় মানুষদের রেখে চুপচাপ অনন্তের পথে পাড়ি জমালেন।
*********************************************
১৯৭১-এ বিশোর্ধ্ব তরুন কাজী হাবিব উদ্দীন ছিলেন চট্টগ্রামে। চেষ্টা করছিলেন ব্যবসা করার আর তার সাথে জড়িত ছিলেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সাথে। বন্ধুত্ব ছিল চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী-কলা-কুশলীদের সাথে। ষাটের দশকে স্কুল জীবনেই জড়িয়ে পড়েছিলেন শিক্ষা আন্দোলনে। ১৯৭১-এর মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে তাই স্বাভাবিকভাবেই তিনি ছিলেন উদ্বেল। ২৫শে মার্চের কালো রাতে চেষ্টা করেছিলেন বাড়ীর বাইরে বেড়িয়ে পরার। কিন্তু আগ্রাবাদ কলোনীর গেট বন্ধ থাকায় বাসায় আটকে পড়ে ছটফট করেছেন সারা রাত। তার এই বিনিদ্র রজনী কাটানোর সেই শুরু। এরপর বাকী জীবনে আর রাতে ঘুমাতে পারেন নি। ২৬শে মার্চ সকালেই বের হয়ে পড়েছিলেন কী করবেন সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। প্রথমে ছিলেন ক্যান্টনমেন্টের সামনে গণ-প্রতিরোধের সাথে, তারপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রসদ সংগ্রহ দলের সাথে কাজ করে পৌঁছুলেন কলেজিয়েট স্কুলের সামনে। তখন কলেজিয়েট স্কুলের সামনে গোডাউন ভেঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণেচ্ছুদের মধ্যে অস্ত্র বিতিরণ করা হচ্ছে। তাঁর ভাগ্যে পড়ল একটা ভাঙ্গা রাইফেল। সেই ভাঙ্গা রাইফেল নিয়েই তিনি ছুটলেন পরবর্তী কর্তব্য ঠিক করতে। সন্ধ্যায় যখন তিনি আগ্রাবাদ কলোনীর সামনে এসে পৌঁছেছেন তখন একটা গাড়ী এসে থামল। গাড়ীতে ছিলেন আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক, বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কবি আবদুস সালামসহ আরো কয়েকজন। গাড়ী থেকে আবদুল্লাহ-আল-ফারুক তাঁকে ডেকে বললেন, “আমাদের সাথে যাবেন নাকী?” নির্দ্বিধায় কাজী হাবীব উদ্দীন গাড়ীতে উঠে বসলেন। গাড়ী ছুটে চলল কালুরঘাট বেতার ষ্টেশনের দিকে, তখন সেখানে এক ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
*********************************************
“স্বাধীন বাঙলা বেতার” নিয়ে কোন আলোচনা বা লেখা লক্ষ্য করলে দেখবেন তার সিংহভাগ জুড়ে থাকে স্বাধীনতার ঘোষনা আর মেজর জিয়ার ভূমিকা নিয়ে। অথচ এই বেতার কেন্দ্রটি যাঁরা চালু করলেন (কোন রাজনৈতিক দলের সহায়তা বা প্রনোদণা ছাড়াই), ২৬ থেকে ৩০শে মার্চ পর্যন্ত চালিয়ে রাখলেন, পরে ছোট ট্রানমিটার নিয়ে পালিয়ে ভারত থেকে আবার সম্প্রচার শুরু করলেন তাঁদের প্রসঙ্গ কিন্তু প্রায় অনুক্তই থেকে যায়।
*********************************************
সৈয়দ আবদুশ শাকের, বেলাল মোহাম্মদ, রাশিদুল হোসেন, আমিনুর রহমান, শারফুজ্জামান, মুস্তাফা আনোয়ার, আবদুল্লাহ-আল-ফারুক, রেজাউল করিম চৌধুরী, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ আর কাজী হাবিব উদ্দীন আহমেদ এই দশ জন মিলে রেডিও পাকিস্তানের চট্টগ্রাম কেন্দ্র দখল করে প্রতিষ্ঠা করেন “স্বাধীন বাঙলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র”। ২৬শে মার্চ থেকে ৩০শে মার্চ দুপুর ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলে দশ কিলোওয়াটের এই বেতার। এরমাঝে প্রচারিত হয়েছে খবর, গান, কথিকা আর মেজর জিয়ার বহুল আলোচিত সেই ঘোষণাদ্বয়। ২৯শে মার্চ কেউ মেজর জিয়াকে খবর দেয় যে শব্দ-সৈনিকেরা পালাবার চেষ্টা করছেন। রাতে মেজর জিয়া সঙ্গীদেরসহ কাজী হাবিব উদ্দীনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান ফুলতলী ক্যাম্পে। পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। কী হাস্যকর ব্যাপার! যাঁরা কারো নির্দেশ ছাড়াই স্বউদ্যোগে বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র স্থাপণ করেছেন তাঁরা যাবেন পালিয়ে? যাঁরা মৃত্যুর ভয় না করে একাজ করেছেন তাঁদেরকেই গুলি করে হত্যার ভয় দেখানো!
সারারাত মেজর জিয়া তাঁদের সাথে থেকে সকালে তাঁদের পাঠিয়ে দিলেন নিজ দ্বায়িত্বে বেতার কেন্দ্রে যাবার জন্য। ৩০শে মার্চ পাকিস্তানী হানাদারেরা বিমান হামলা শুরু করে বেতার কেন্দ্রের ওপর। বন্ধ হয়ে যায় সম্প্রচার। আবারো মেজর জিয়া তাঁদের ফুলতলী ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে বললেন যে করে হোক বেতার চালু করতে। এরপর এক কিলোওয়াটের একটা ট্রান্সমিটার নিয়ে শুরু হয় তাঁদের পথ চলা। নানা পথ ঘুরে তাঁদের চেষ্টা চলতে থাকে বিভিন্ন স্থানে বেতার কেন্দ্র স্থাপণের। কিন্তু বিমান হামলার ভয়ে কেউ তাঁদের জায়গা দিতে রাজী হয় না। অবশেষে প্রথমে রামগড়ে তারপর ত্রিপুরার বাঘাফায় স্থাপিত হয় এই বেতার। ৩রা এপ্রিল থেকে আবারো সম্প্রচার চলতে থাকে। ২৫শে মে থেকে মুজিবনগর সরকারের ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেতার চালু হলে এই কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। এরমাঝে বেতার কেন্দ্রের নাম থেকে বাদ দেয়া হয় “বিপ্লবী” শব্দটি। ততদিনে স্বাধীন বাঙলা বেতারে কাজ করার আর অনুষ্ঠান করার জন্য এসে গেছেন প্রথিতযশারাসহ আরো অনেকে। ত্রিপুরায় থাকা কাজী হাবিব উদ্দীন আর তার সহযোদ্ধারা আস্তে আস্তে চলে যান পেছনের সারিতে।
*********************************************
কাজী হাবিব উদ্দীন আর তাঁর সহযোদ্ধাদের এই প্রয়াসকে গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ “যুক্তির প্রয়োজনে” বলেছেন “দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ”, “অধিকারের বাইরের কাজ”(দেখুন, “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র অরণ্য-বেতার”, সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রথম আলো, ঈদসংখ্যা, অক্টোবর ২০০৬, পৃষ্ঠাঃ ১২৪-১২৫)। ভাগ্যিস কাজী হাবিব উদ্দীন আর তার সহযোদ্ধারা তাঁদের অধিকারের বাইরে এই দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কাজটি করেছিলেন! নয়তো আমাদের হয়তো আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হত নিজেদের বেতারের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক খবর পাবার জন্য। হয়তো পাকিস্তানী হানাদারদের অপপ্রচারে হতোদ্যম হয়ে পড়তেন অনেকেই। তথাকথিত যুক্তিবোধ, অধিকার থাকা-না থাকা তাঁদের গ্রাস না করায় আমরা স্বাধীনতার প্রথম দিনেই পেয়ে যাই নিজেদের বেতার। এক কিলোওয়াটের একটা বেতারকেন্দ্র যে কী শক্তি ধারন করতে পারে তা যারা মুক্তিযুদ্ধের মর্ম বোঝেননি তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
*********************************************
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর কাজী হাবীব উদ্দীন কিন্তু কখনো কোন সরকারের কাছ থেকে কোন সুবিধা নেবার চেষ্টা করেন নি। সারা জীবন চেষ্টা করে গেছেন নিজে নিজেই কিছু করার। তাই দিনের পর দিন, বৎসরের পর বৎসর তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবিকার জন্য। ফলে অল্প বয়সেই তাঁর শরীর আক্রান্ত হয় নানা রোগে। তারপর এক সময় দুই কিডনী নষ্ট হয়ে যায়। একদিন পর পর ডায়ালাইসিস করে টিকে ছিলেন আরো প্রায় আট বৎসর। বঙ্গবন্ধুর শাসণামলে তাঁকেসহ আরো আঠারো জনকে “বঙ্গবন্ধু স্বণ পদকে” ভুষিত করার ঘোষণা দেয়া হলেও সেই পুরষ্কার আর পাননি কখনো। একটি স্বণ পদক দেয়া হয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) একবার এককালীন সামান্য কিছু অর্থ-সাহায্য দেয়া হয় তাঁকে। একুশে বা স্বাধীনতা পুরষ্কার দেয়া হয়নি তাঁকে বা তাঁর সহযোগীদের। কেন দেয়া হবে? এদেশে স্বাধীনতা পুরষ্কার পায় তো শর্ষীনার পীরের মত কুখ্যাত রাজাকারেরা। এদেশে অধিকাংশ সরকারী সম্মানণা তো দেয়া হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। আর কাজী হাবীব উদ্দীন তো কোন রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন শব্দ-সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, বাঙালী। নিজের জন্য এর চেয়ে ভিন্ন কোন পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করেন নি কখনো।
*********************************************
ঢাকা শহরে যারা বাস করেন তারা জানেন এই শহরের বেবীট্যাক্সী/সিএনজি পাওয়া কতটুকু কঠিন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাবার জন্য এদের ড্রাইভারদের কত অনুনয়-বিনয় করতে হয়। শেষ জীবনে যখন তাঁকে এক দিন পর পর কিডনী ডায়ালাইসিস করতে বারডেমে যেতে হত, তখন সেইসব সিএনজি ড্রাইভার মহারাজদেরকে অনুনয় করতে হত এই শব্দ-সৈনিককে। সাথে সহধর্মিনী, অথবা দুই পুত্রদের কেউ, অথবা অন্য কোন স্বজন। কোন সরকারী গাড়ী বা অ্যাম্বুলেন্স পান নি কখনো। কেন পাবেন? ওসব তো নেতা আর কর্তাদের জরুরী কাজের জন্য! কোথায় কে কবে যুদ্ধ করেছিল তার জন্য কী গাড়ী দিতে হবে না কী?
তবু একটা সুবিধা পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যার সুবাদে - অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে বারডেমে ডায়ালাইসিস করার। শুধু এইটুকুই। সারা জীবন বাস করে গেছেন গোপীবাগের ক্ষয় ধরা, জরা-জীর্ণ পৈত্রিক নিবাসে। পুত্রদের জন্যও কখনো কারো কাছে কোন কোটা বা সুবিধা দাবী করেন নি। না কোথাও ভর্তির জন্য, না কোন চাকুরীর জন্য। পুত্ররাও পিতার পথ ধরে নিজেরাই নিজ যোগ্যতায় ভাগ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এখনো।
*********************************************
প্রাসঙ্গিকভাবে একজন মানুষের কথা না বললে অন্যায় হবে। তিনি কাজী হাবিব উদ্দীনের সহধর্মিনী কাজী আলেয়া হাবিব। সারাটা জীবন তিনি দশভূজার মত গোটা সংসারটিকে আগলে রেখেছেন, সংসারের সংস্থাণ করেছেন ঢাকা থেকে কখনো কুমিল্লা, কখনো চট্টগ্রামে ছুটে গিয়ে। অসুস্থ্য জীবনসঙ্গীর যে অক্লান্ত সেবা-শুশ্রষা করেছেন তা কেবল গল্পেই শোনা যায়। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা তা প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি না থাকলে আজকের ইতিহাস আরো করুনাকর হত।
*********************************************
২৯শে ডিসেম্বর, ২০০৭-এর দুপুর। আমরা সবাই আশায় আছি কখন গার্ড-অভ-অনার দিতে পুলিশ আসবে, কখন আমরা তাঁকে নিয়ে যাব মীরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে অন্তিম শয্যায় শোয়াতে। হঠাৎ খবর আসে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী তালিকায় নাকী তাঁর নাম নেই, তাই মীরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তাঁর ঠাঁই হবেনা, গার্ড-অভ-অনার দিতে পুলিশও আসবেনা। বিজয়ের মাসের মেঘহীন আকাশে আমরা আবার পরাজিত শকুনদের করাল ছায়া দেখতে পাই। সংসদ ভবনের পবিত্র চত্বরে শুয়ে থাকা রাজাকার খান-এ-সবুরের অট্টহাস্য শুনতে পাই। কিন্তু সারা জীবন যিনি কোন দয়াভিক্ষা করেন নি আজ তিনি কোন দুঃখে মাথা নত করবেন! একটা ভাড়া গাড়ীতে করে তাঁকে নিয়ে আমরা রওয়ানা হই গ্রামের বাড়ী চৌদ্দগ্রামের চিওড়ার দিকে। সন্ধ্যায় চিওড়া আর তার আশ-পাশ গ্রামের সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেন তাঁদের প্রিয় সহযোদ্ধার লাশ। আমরা ভাবি এটিই ভালো হয়েছে। কোন আমলা বা নেতা নয়, একদল মুক্তিযোদ্ধা আরেকজন মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ সম্মান জানালেন। যেই গর্ব নিয়ে তিনি স্বাধীন দেশে ফিরেছিলেন সেই গর্ব নিয়েই তিনি চির বিদায় নিলেন।
*********************************************
ডিনামাইট নিয়ে আমি গিয়েছিলাম মাটির গভীর থেকে আরো গভীরে;
আমি ফিরিনি, কিন্তু তোমাদের জন্য আলো এসেছে।
আমার নামে কেন নাম রাখোনি শহরের রাস্তার?
তবে এসব রাস্তা কাদের নামে? তাদের তো চিনি না!
*********************************************
তথ্যসূত্রঃ
১। কাজী হাবিব উদ্দীন আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে লেখকের ব্যক্তিগত আলাপ
২। ডঃ জাহিদ হোসেন সম্পাদিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস, ডিসেম্বর ২০০৫, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
৩। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র অরণ্য-বেতার, সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রথম আলো, ঈদসংখ্যা, অক্টোবর ২০০৬,
৪। http://en.wikipedia.org/wiki/Swadhin_Bangla_Betar_Kendra
মন্তব্য
তাঁকে শ্রদ্ধা ......
এছাড়া আর কিইবা করার আছে, এখন ।
শ্রদ্ধা শব্দসৈনিককে অবনত মস্তকে |
স্নিগ্ধা
অনেক কিছুই সম্ভব সীমিত সামর্থের ভেতর,
সচলায়তন কর্তৃপক্ষ ব্যানারে সম্মাননা জানাতে পারেন তাঁর মৃত্যুদিবসে, এই লিখাকে এক দিনের জন্য ষ্টিকি করা যেতে পারে, আরও উদ্যোগ নিয়ে তথ্যসম্ভৃদ্ধ ই-বুক |
খবরটা জানা ছিলো না । মনটা বিষন্ন হলো ।
পুনশ্চ: তানভীর(আজগর)/তন্ময়ের কোন ফোন নাম্বার থাকলে গোপন বার্তায় সেটা দিতে অনুরোধ করছি । চাইলে ওদের কাছে আমার নাম বলে অনুমতিও নিতে পারেন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বস এই ব্যপারে বিস্তিরিত জানতে চাই। সময় করে মেইলে বা ব্যক্তিগত মেসেজে জানানোর অনুরোধ রইল। আদার বেপারী জাহাজের খবর লইনা, তাই রাজনীতির তেমন খবর রাখিনা। কিন্তু এই ব্যাপারটা খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
ভালই হল! তিনি একটা রাজাকার নিয়ন্ত্রিত গার্ড অফ অনারের হাত থেকে রক্ষা পেলেন। এ দেশে একদিন সংগ্রামী জীবনের জন্য গো.আ-কে গার্ড অফ অনার দেয়া হবে। হয়তো অগ্নিকন্যাই সেটা দেবেন।
তিনি যথার্থই বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া একটা অধিকারের বাইরের কাজ।
এই বীরের আত্মার শান্তি কামনা করি। তার পরিবারের জন্য সম বেদনা। নিজেদের জন্য প্রার্থনা করি যেন আমরা স্বাধীন হতে পারি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সত্যিকারের বীরের কাহিনী পড়ে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে এলো।
লজ্জায় মাথা নিচুও হলো। আমরা অপদার্থ, অকৃতজ্ঞ জাতি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হ্যা, আমরা আসলেই তাই.
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
অসাধারণ সব তথ্য।
বীরের প্রতি শ্রদ্ধা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ ।
"মৃত্যু" শব্দটি আসলেই নিষ্ঠুর!!!!!!!!!!
কিছুই বলার নাই আসলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শব্দ-সৈনিক কাজী হাবিব উদ্দীন আহমেদ কে আমার শ্রদ্ধা। চোখে ভেসে আসছে মার্চের সে কয়দিন খোলা মাঠে বয়স্কদের ট্যানজিস্টর নিয়ে ছোটাছুটি করে সিগন্যাল ধরার সেই চেষ্টার দৃশ্য।
...........................
Every Picture Tells a Story
শ্রদ্ধা রইল এই শব্দ সৈনিকের প্রতি ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এই শব্দ সৈনিককে শ্রদ্ধা, আর আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শ্রদ্ধা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এই মহান শব্দ সৈনিকের কথা জানতাম না।
শ্রদ্ধা তাঁর প্রতি।
ধন্যবাদ চমৎকার তথ্য জানানোর জন্য।
সত্যিই, লজ্জা পাওয়া আর বুক ফাটিয়ে দুঃখ করা ছাড়া আর কী-ই বা বলতে পারি অভাগা আমরা?!
অনেক লজ্জাবনত শ্রদ্ধা থাকলো এই শব্দ-সৈনিকের জন্য, তাঁর স্ত্রীর জন্য। এবং এইখানে মেজর জিয়া আর সৈয়দ আবুল মকসুদ ছাড়া অন্য যেই নামগুলোই এসেছে, তাদের সবাইকেও শ্রদ্ধা।
পাণ্ডবদা', ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম। যদিও এই জানাগুলো আমাদেরকে আরো সঙ্কুচিতই করে উত্তরোত্তর, ...
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখাটা পড়ে বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে ছিলাম ----- ---------- ------
------- ------------ ----------- ------------
খারাপ লাগছে
-------- ---------- --------- --------- --------- -------
---------- --------- ---------- -------- --------- --------------
এই মানুষগুলো আর জন্মায় না আজকাল তাই না? চারদিকে শুধু সুবিধাবাদী আর লজ্জাহীনের ছড়াছড়ি। এই মানুষগুলোর গল্পই কি বলতে হবে বারবার? ভেঙে যাওয়ার , হেরে যাওয়ার গল্প?
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
নতুন মন্তব্য করুন