পাণ্ডবের চীন দর্শন-০৪

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ০৫/০১/২০০৯ - ১০:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূরে, কাছে

যারা উন্নত ট্রাফিক সিস্টেমের দেশে থাকেন তারা সাধারণতঃ দূরত্বকে সময়ের অংকে বলে থাকেন। যেমন, আমার বাসা থেকে অফিস পনের মিনিটের ড্রাইভ, বা অমুক স্টেট আমাদের এখান থেকে চার ঘন্টার ড্রাইভ। বাংলাদেশে অবশ্য দূরত্ব সময় বা কিলোমিটারের হিসেবে হয় না। এখানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কতক্ষণে পৌঁছানো যাবে তা কপালের ব্যাপার। চীন দেশটা আকারে বেশ বড় হওয়ায় আর ট্রাফিক মোটামুটি ভালো হ...দূরে, কাছে

যারা উন্নত ট্রাফিক সিস্টেমের দেশে থাকেন তারা সাধারণতঃ দূরত্বকে সময়ের অংকে বলে থাকেন। যেমন, আমার বাসা থেকে অফিস পনের মিনিটের ড্রাইভ, বা অমুক স্টেট আমাদের এখান থেকে চার ঘন্টার ড্রাইভ। বাংলাদেশে অবশ্য দূরত্ব সময় বা কিলোমিটারের হিসেবে হয় না। এখানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কতক্ষণে পৌঁছানো যাবে তা কপালের ব্যাপার। চীন দেশটা আকারে বেশ বড় হওয়ায় আর ট্রাফিক মোটামুটি ভালো হওয়ায় সেখানেও দূরত্ব সময়ের হিসেবে বলা উচিত ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে এই প্রাচীন দর্শনের দেশের মানুষরা এক অদ্ভূত দার্শনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে।

চীনে আপনাকে কেউ যদি কোন গন্তব্যর দূরত্ব সম্পর্কে বলে, “খুব কাছে (very near)”, তাহলে বুঝতে হবে দূরত্ব কমপক্ষে দশ কিলোমিটার। যদি বলে, “খুব একটা দূরে না (not so far)”, তাহলে বুঝতে হবে দূরত্ব কম করে হলেও পঞ্চাশ কিলোমিটার। যদি বলে, “একটু দূরে (a little far)”, তাহলে বুঝতে হবে দূরত্ব শ’পাঁচেক কিলোমিটার। যদি বলে, “দূরে (far)” তাহলে বুঝবেন দূরত্ব হাজার কিলোমিটারের উপরে। আপনার তখন উচিত হবে গন্তব্যের ধারে কাছের এয়ারপোর্টের খোঁজ নেয়া। আর যদি কেউ বলে, “বেশ দূরে (very far)”, তাহলে বুঝবেন আপনার গন্তব্যে প্লেনে করে যেতে হলেও কম করে দুই ঘন্টা লাগবে।

চীনের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত সময়ের হিসেবে চার ঘন্টা পার্থক্য হওয়া উচিত ছিল। অথচ সারা দেশটাকে একটা টাইম জোনে ফেলা হয়েছে - পেইচিং স্ট্যাণ্ডার্ড টাইম। তাই পেইচিং-এ যখন সকাল আটটা একেবারের পূর্বের জিলিনে তখন আসলে সকাল নয়টা। আর একেবারের পশ্চিমের কাশীতে তখন আসলে ভোর পাঁচটা। কিন্তু আইন অনুযায়ী আপনার ঘড়ি তখন সব শহরেই সকাল আটটা দেখাবে। তাই চীনের কোথাও গেলে আগে জেনে নেবেন তারা ঘড়ি অনুযায়ী ঠিক কখন দিন শুরু করে।

দূরত্ব যাই হোক না কেন আপনার চীনা হোস্ট প্রায় সব সময়ই আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, “আমি কী তোমাকে এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাতে আসব”? হয়তো দেখা যাবে তার শহর থেকে আপনি যে এয়ারপোর্টে নামবেন তার দূরত্ব চার ঘন্টার ড্রাইভ। এমনটা নয় যে চীনে তেলের দাম খুব কম। এমনটাও নয় যে চীনে হাইওয়ে, টোলওয়ে বা ব্রীজগুলোতে ট্যাক্স খুব কম। বরং রাস্তার ট্যাক্সের রেট দেখলে অনেক সময় আঁতকে উঠতে হয়। তবুও চীনারা আপনাকে এই আতিথেয়তাটুকু করবে। আমার এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে যে চীনা সহকর্মী চার ঘন্টা ড্রাইভ করে তার শহর থেকে আমার শহরে এসে, আমার সাথে আধ ঘন্টার মিটিং করে, আমাকে তার শহরের উলটো দিকের দুই ঘন্টা দুরত্বের এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে গেছে।

আজকাল সারা চীন জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় এয়ারপোর্ট হওয়ায় আর খান ত্রিশেক স্থানীয় এয়ারলাইন্স হওয়ায় যাতায়তের ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়েছে। অতগুলো এয়ারলাইন্স থাকলেও অভ্যন্তরীন এয়ারপোর্টগুলোতে একটা মজার ব্যাপার দেখা যায়। ধরা যাক আপনি বিকেল চারটার সময় সাঙহাই থেকে পেইচিং যেতে চান, এবং ঐ বিশেষ সময়ের ফ্লাইটটা চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যে কোন সময় এয়ারপোর্টে অবস্থিত যে কোন এয়ারলাইন্সের বুথে ঐ সময়ের টিকিট চাইলে তারা আপনাকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের টিকিটই দেবে, দামও একই রাখবে, কাছাকাছি সময়ে থাকা তাদের এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যাবার জন্য পীড়াপীড়ি করবে না। অথচ আমাদের দেশে বাংলাদেশ বিমানের কাছে চাইলে জিএমজির টিকিট দূরে থাক টাইমটেবলটাও জানা যাবে না।

চীনের এয়ারলাইন্সগুলোর আপ্যায়ণের কথা মনে হলে গলা শুকিয়ে ওঠে। ওদের বিজনেস ক্লাসের সার্ভিস সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, এমিরেটস বা থাই এয়ারওয়েজের ইকোনমী ক্লাসের সাথেও তুলনীয় নয়। ছয় ঘন্টার ফ্লাইটেও অনেক সময় ছোট এক প্যাকেট কুমড়ো বীচি ভাজা আর এক বোতল পানি দিয়ে এয়ার হোস্টেসরা লাপাত্তা হয়ে যায়। প্লেনে সীট বসানোর সময় এরা মিনিস্কার্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে (অল্প জায়গায় বেশি সীট বসানো)। অমন সীটে আমার মত হালকা-পাতলা মানুষেরই গা ব্যাথা হয়ে যায়, আর একটু মোটা-সোটা মানুষ হলে তাকে প্লেন থেকে নামাতে হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার লাগবে। অথচ অমন সব প্লেনেই দেখবেন চীনারা বড় বড় ফলের ঝুড়ি, বড় বড় খাবারের প্যাকেট, কম্বল, খেলনা নিয়ে উঠছে। ঠিক যেন আমাদের সদরঘাটের বিমান-সংস্করণ।

পূর্বদিকের ফুজিয়ান প্রদেশের কোন এয়ারপোর্ট থেকে আপনার রওয়ানা হবার কথা থাকলে আপনি মোটামুটি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ফ্লাইট ডিলেইড হবে। শীত-গ্রীষ্ম বারো মাস ওখানকার আবহাওয়া নির্বিঘ্নে প্লেন চলাচলের উপযুক্ত নয়। একবার ঐ প্রদেশের ফুচৌ এয়ারপোর্ট থেকে রওয়ানা দিয়েছিলাম। প্রথমেই ফ্লাইট চার ঘন্টা ডিলেইড (খারাপ আবহাওয়ার জন্য)। এয়ারপোর্টের বাইরে এপ্রিলের গরমের দিনে এমন আবহাওয়ার মুখোমুখি হলাম যে ব্যাগ থেকে ওভারকোট বের করার কথা মনে হল। চারঘন্টা পর প্লেন ছাড়তেই আবার ঝড়ের মুখোমুখি। আমাদের অবস্থা চানাচুর ভাজা বানানোর মত হল। আমার সহযাত্রী (আমার সহকর্মী) জোরে জোরে দোয়া-দরূদ পড়তে শুরু করলেন। আমাকে বললেন, “চুপ করে আছেন কেন কিছু একটা তো পড়ুন”! আমি বললাম, “একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন? আমরা টিকিট কেটেছি চায়না সাউদার্নের, বোর্ডিং কার্ড দিয়েছে চায়না ইষ্টার্ণের আর আমাদের তুলেছে শামেন এয়ারলাইন্সের প্লেনে। সুতরাং প্লেন যদি ক্রাশ করে আমাদের আর কোন হদিস করা যাবে না”। একথা শুনে ক্ষুদ্ধ সহকর্মী আরো জোরে জোরে দোয়া পড়া শুরু করলেন।

যারা একশ’ কিলোমিটারের উপর বেগে হাইওয়েতে গাড়ী চালাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য চীনা হাইওয়েগুলো আদর্শ স্থান। হাইওয়েগুলোর দু’ধারের দৃশ্য, রোড ডিভাইডারগুলো মনোরম। আর সবচে’ সুন্দর হচ্ছে কোথাও কোন আইল্যাণ্ড বা জাংশান থাকলে সেখানে অবধারিতভাবে বিশাল একটা ভাষ্কর্য থাকবেই। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর বিরাট সংখ্যক ভাষ্করের কাজ এভাবে কোন প্রদর্শনী বা জাদুঘরে না গিয়েই দেখা যায়। এই কথাগুলো আমি বললাম এশিয়ার বাকী দেশগুলোর বিবেচনায়, অবশ্যই ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকা এই হিসাবে পড়বে না।

চীনে বড় শহরগুলো থেকে ছাড়া বাস সার্ভিসগুলোর (সিটি সার্ভিস নয়) মান মন্দ না। তবে সেগুলো আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলা স্ক্যানিয়া-মার্সিডিজ-ভলভো বাস সার্ভিসগুলোর সাথে তুলনীয় নয়। ওদের বাসগুলো শুধু মসৃন গতিতে চলে, কোন আরাম আয়েশের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আপনি যদি অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলোর মধ্যে চলা বাসে করে কোথাও যান তাহলে সেখানে ঢাকার “ছবিয়াল”দের বানানো “মুড়ির টিন” নাটকটির অনুরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন। ঝুড়িতে করে জ্যান্ত হাঁস-মুরগী থেকে শুরু করে মাছ-শুঁটকী-শাক-সব্জী-ফল-মূল হেন জিনিষ নেই যা ওরা বস্তা বেঁধে বাসে ওঠে না। রাস্তায় কেউ হাত দেখালেই “ইচ্ছাপুর” ষ্টেশনে বাস থেমে যায়। বাসভর্তি লোকের উচ্চস্বরে গল্প করা, ভাড়া নিয়ে কণ্ডাক্টরের সাথে ঝগড়া, সিগারেটের ধোঁয়ায় বাস আচ্ছন্ন করে ফেলা সবই আছে।

একবার চীনা প্রধাণমন্ত্রী লি পেঙ বাংলাদেশে এসে পোস্তগোলার “বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু” উদ্ধোধন করতে গিয়েছিলেন। এরশাদ সরকার তখন রাস্তার দুধারের ময়লা-ডোবা-নালা যেন দেখা না যায় তার জন্য সবুজ রঙ করা টিনশীটের বেড়া তুলে দিয়েছিল। আর ভাঙা-চোরা বাড়ীগুলোকে ডেকোরেটর থেকে রঙিন কাপড় এনে বিয়ে বাড়ির মত সাজিয়ে দিয়েছিল। তখন ভেবেছিলাম আহা! আমাদের সরকারের কী বুদ্ধি! পরে চীনে গিয়ে দেখলাম আইডিয়াটা আসলে চীনাদের। যেমন, আপনি যদি কুয়াঙচৌ শহর থেকে একটু দূরে অবস্থিত এয়ারপোর্টের দিকে যান তাহলে রাস্তার দু’ধারে চার-পাঁচ ধাপে লাগানো গাছের সারি দেখতে পাবেন। গাছগুলোর উচ্চতাও আপনার কাছের সারি হতে বাড়তে বাড়তে প্রায় পনের মিটার উঁচু হয়ে গেছে। গাছের সারির পেছনে কি মাঠ আছে, না গ্রাম আছে, না ফ্যাক্টরী আছে কিছুই বুঝতে পারবেন না। প্রথম বার এই দৃশ্য দেখে আমার পাপী মনে লি পেঙ-এর পোস্তগোলা সফরের কথা মনে পড়ল। চলন্ত গাড়ী থেকে আমি রাস্তার এক পাশে স্থির তাকিয়ে থাকলাম পেছনে কী আছে দেখার জন্য। হঠাৎ এক জায়গায় ঝড়ে পড়া গাছের ফাঁকে দেখি পেছনে বস্তি। অবিকল আমাদের টিটিপাড়ার বস্তির মত নীল রঙের পলিথিনে ঢাকা ছাপড়া ঘর।

আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে চীন ঘোরার জন্য ট্রেনের কোন তুলনা হয়না। ট্রেনগুলো যে খুব বিলাসবহুল তা কিন্তু নয়, তবে আরামদায়ক। ট্রেন লাইনের দুধারে এয়ারপোর্ট হাইওয়ের মত ঠকবাজীর কোন ব্যাপার নেই। বরং কোথাও কোথাও ল্যাণ্ডস্কেপ দেখে আপনার বাংলাদেশ বা ভারতের কথা মনে হবে। তবে এখান থেকে আপনি চীনের ভিন্ন একটা রূপ দেখতে পাবেন। সেটা চীনের সাধারণ মানুষগুলোর কাজ আর জীবনযাত্রা। তখন বুঝবেন এই চীনা মানুষগুলো আমাদের থেকে খুব বেশি দূরের নয়, বরং অনেক কাছের। অন্ততপক্ষে জীবনযাপনের মান আর পদ্ধতির বিবেচনায়।


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কোনোদিন চীনে গেলে ভাবছি, পাণ্ডবদা'র এই লেখাগুলি সাথে নিয়ে যেতে হবে। হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

উঁহু, লেখা সাথে নিয়ে গিয়ে লাভ নেই। যাবার আগে আমার কাছে অন্ততঃ এক মাস কোচিং করতে হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

পড়লাম, মন দিয়ে। চলুক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। মন দিয়ে এই লেখা না পড়ে বরং নিজের পড়া-শোনা করুন, সাথে কিছু লিখুন। তাতে আখেরে আমরা দ্রুত মমিন সিরিজ পড়তে পাবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

লীন এর ছবি

পড়লাম। ভালো লেগেছে।

______________________________________
লীন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। সিরিজের আগের পর্বগুলো কেমন লাগলো জানাবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দিগন্ত এর ছবি

আপনার লেখা ক্রমেই ভাল হয়ে উঠছে। সময় পেলে কষ্ট করে চিন নিয়ে আমার লেখাগুলোও পড়তে পারেন। তবে লেখাগুলো বড় বড় ...
Over to Shanghai
The Shanghai Marketplace
More of Shanghai
An Indian Restaurant in Shanghai
Around Shanghai


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় দিগন্ত, আপনার লেখাগুলো পড়লাম। আপনি অত্যন্ত চমৎকার-ডিটেইলড বর্ণনা করতে পারেন। একটা কাজ করুন না, একটু কষ্ট করে লেখাগুলো বাংলায় অনুবাদ করে সচলে দিন। তাহলে সবাই পড়তে পারবে "দিগন্তের সাঙহাই দর্শন"।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগছে পড়ে। দুনিয়াতে কতকিছুই যে জানার বাকি

...........................
Every Picture Tells a Story

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। আমাদের চারপাশের পরিচিত দুনিয়ার যে এত রঙ-রূপ তা আপনার ছবি না দেখলে কী আমি জানতে পারতাম!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভবিষ্যতে চিনে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।
(মহসীন রেজা)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নিশ্চিন্তে চলে যান, আর আমাদেরকে আপনার অভিজ্ঞতার কথা লিখে জানান।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসাধারন লাগলো পান্ডব দা।

মঞ্চায় চীন যাই !
কিন্তু কেমনে যাই মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।

ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়। পাসপোর্টে চীনা ভিসা লাগান আর একটা টিকিট কেটে "জয় মা" বলে বের হয়ে পড়ুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

আপনার লেখা চীন সম্পর্কে আমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। চমত্কার লেখা। চলতে থাকুক।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাদা, আমি কিন্তু চীনের ব্যাপারে কারো আগ্রহ বাড়াতে চাইছি না। আর সচলের মত জায়গায়, যেখানে আপনার মত মার্কেটিং-গুরু আছেন, সেখানে চীনের মার্কেটিং করার মত সাহস অন্তত; আমার নেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার বর্ণনা খুবই চমৎকার। শুরু থেকেই সিরিজের প্রত্যেকটা লেখা পড়ছি, অত্যন্ত মনযোগের সাথে এবং খুব উপভোগও করছি। চলুক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় বিডিআর। আগামী পর্বগুলোতে আপনার এই মনোযোগ ধরে রাখতে পারবো কীনা তা নিয়ে সংশয় হয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

পাণ্ডব দা, দারুণ হচ্ছে কিন্তু..!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চালানোর চেষ্টা করছি। কতদূর চালাতে পারবো জানি না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

দারুণ লাগছে আপনার চীন দর্শনের লেখা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রতিবার যাবার সময় সাক্ষী হিসেবে কাউকে নিয়ে যাওয়া যায় না?
(আপনার কথাগুলো সত্য কি না তা পরীক্ষা করার জন্য)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মহামতি লীলেন কী শরীয়া আইনের ধারক হয়ে গেলেন যে প্রতিটি অপকর্ম প্রমাণের জন্য এখন থেকে দুইজন (এখানে একজন) প্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষ সাক্ষী দরকার হবে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার সমস্ত বর্ণনা বানোয়াট ও মহান চৈনিক জাতিকে অপদস্থ করার জ্ন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদীত

অন্তত একজ চাক্ষুস সাক্ষী ছাড়া (জাতির স্বার্থে আমি সে গুরু দায়িত্ব নিতে রাজি) কাউকে এর এক বিন্দুও বিশ্বাস না করতে অনুরোধ করা গেলো

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন নাগরিক হিসাবে আপনার উচিত এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়া এবং হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করা। সচলে কোন আইনজীবি আছেন বলে আমার জানা নেই। আপনার জানা থাকলে এব্যাপারে আজই অগ্রসর হোন। নরাধম পাণ্ডবের তখন আপীলাত ডিভিশনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া গতি থাকবে না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এনকিদু এর ছবি

তখন বুঝবেন এই চীনা মানুষগুলো আমাদের থেকে খুব বেশি দূরের নয়

এশিয়া ...

কোথাও এরকমি কিছু একটা পড়েছিলাম, মনে করতে পারছিনা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আমারও তাই মনে হচ্ছিলো... মুজতবা আলীর (লেখকের নাম ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী) "পারী" প্রবন্ধে কি?

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

"এশিয়া ......" -এর মানে কী?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এনকিদু এর ছবি

যতদূর মনে পড়ে লেখক বলেছিলেন, এশিয়ার মানুষ গুলো শুধু দেখতেই ভিন্ন । বাকি সব এক । সবাই গরীব, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ইত্যাদি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্নিগ্ধা এর ছবি

সবাই আপনার লেখা পড়ে চীনে যেতে চাইছে, কেউ কেউ আবার 'সাক্ষী' হিসেবে নিখরচায় যাওয়ারও ধান্দা করছে(!) - কিন্তু, আমি ঠিক করলাম আমার চীনে যাওয়ার কোন দরকারই নেই। এরকম প্রাণবন্ত, মানে প্রায় জলজ্যান্ত লেখা পড়ার পর আবার সময় নষ্ট করে চীনে যাবার আমার দরকারখানা কি?

আমাদের অবস্থা চানাচুর ভাজা বানানোর মত হল।

ইসসসস, পড়ে কি যে খারাপ লাগলো!!! দেঁতো হাসি

আমার মনে হয় -

আমার মত হালকা-পাতলা মানুষেরই
এরকম করে নিজের ঢাক নিজে পেটানোতে দর্পহারী মধুসূদন নাখোশ হয়েছিলেন! দেঁতো হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। আমার ধারণা আপনি চীনে অন্ততঃ একবার গিয়েছিলেন, এবং তখন যথেষ্ঠ নাজেহাল হয়েছিলেন। তাই এখন এই-সেই কথা বলে চীন ভ্রমণের কথা এড়াতে চাইছেন। আপনি চাইলে আমাকে চুপিচুপি সেই গল্পটা বলতে পারেন। আমি কাউকে বলব না।

২। আমি নিজের ঢাক পেটালাম কোথায়? আমি শুধু একটু আমার নিজের বর্ণনা দিয়েছিলাম। আর নিজের ঢাক নিজে না পেটালে অন্যেরাতো তা পিটিয়ে ফাটিয়ে ফেলবে। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের উপদেশের কথা মনে নেই?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাধু এর ছবি

লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে, চীন দেশে ভ্রমনের আগ্রহটা বাড়িয়ে দিয়েছে ।
ধন্যবাদ ষষ্ট পান্ডবকে ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। চীন দেখার আগ্রহ হলে সময়-সুযোগ করে আপনিও বেড়িয়ে পড়ুন না। তাহলে আমরা আপনার অভিজ্ঞতার কথাও জানতে পারব।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

দারুণ হচ্ছে। চলতে থাকুক।

খাবার হলো, ভাষা হলো, দূরে-কাছে হলো... মানুষদের নিয়ে আলাদা করে লিখবেন না? সাধারণ জীবন যাপন... এই যেমন ওদের পরিবারগুলো কেমন, সন্ধ্যায় সবাই একসাথে ডিনার খায় কি না, বাবা-মা কি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত কি না, ছেলেটা পড়া না পারার জন্য মার খায় কি না, মেয়েটা স্কুল পালিয়ে প্রেম করে কি না টাইপের ব্যাপার-ট্যাপার আর কি। জানি না অতটা কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয় কি না, এখনো না হলেও পরের বার নিশ্চয়ই জানতে চেষ্টা করবেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সর্বনাশ! ধর্ম্মপুত্র, আপনি তো দেখি আগে ভাগেই আমার গল্পগুলোর আউটলাইন বলা শুরু করে দিলেন!

আমরা আর মানুষের কতটা কাছে যেতে পারি? ভাষা-সংস্কৃতির ব্যবধান, অনুচ্চারিত জাতিভেদ-বর্ণভেদ আমাদের আর কাছে হতে দেয় কই! নিজ ভূমে বহু পরিচিত বা আজন্ম দেখা জ্ঞাতিজনদেরই অচেনা মনে হয়, আর এতো পর-ভূম। আপনিই বলুন, মনের ঠিকানা পাওয়া কী এতই সহজ?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লেখা পড়তে যত ভালো লাগলো, চীন ঘুরে এলেও মনে হয় এতটা লাগতো না.. আপনার দেখার চোখ আছে হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

রানা মেহের এর ছবি

চীনে মহাপ্রাচীর ছাড়াও এতো কিছু আছে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যথারীতি অতীব সুখপাঠ্য।
দারুণ, সত্যি!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন পর্বই মিস করতে চাইনি বলেই দেরীতে হলেও পড়ে গেলাম। এও বুঝলাম যে এ-পর্ব না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থাকতো। চালিয়ে যান, লেখা, বর্ণনা সবই সুন্দর হচ্ছে।

নাশতারান এর ছবি

আমিও কিন্তু সময়ের অংকে দূরত্ব বলি। তবে সাথে একটা ফ্যাক্টর থাকেঃ জ্যাম না থাকলে।

ঐখানে যেতে কতক্ষণ লাগবে?
-জ্যাম না থাকলে আধা ঘন্টা। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সময়ের অংকে বললে সাথে বাহনটার উল্লেখও থাকা চাই, তাই না? যেমন, প্লেনে গেলে ত্রিশ মিনিট, ট্রেনে গেলে তিন ঘন্টা, গাড়ি চালিয়ে গেলে পাঁচ ঘন্টা, বাসে গেলে ছয় ঘন্টা আর হেঁটে গেলে দুই দিন। মিস্ত্রি মানুষ হয়ে হিসাবে এমন উদাসীন হলে চলে!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পৃথুল এর ছবি

আমি চীন এ লেখাপরা করতে জ়াচ্ছি।। আমি jiangxi er nanchang এ জাচ্ছি।। আমি food নিয়া চিন্তাতে আছি।। একটু please advice দিবেন???

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।