যখনই বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে কথা ওঠে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কথা ওঠে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা ওঠে তখন প্রায়শঃ বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তন বা বাহাত্তরের সংবিধান পুনর্বহালের কথা ওঠে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরই এব্যাপারে আবার কথা শুরু হয়েছে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইতোমধ্যে এব্যাপারে দাবীও জানিয়েছেন। সরকারও না কি এব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হতে পারে কেন বাহাত্তরের সংবিধান, কেন বিরাশি, বিরানব্বই বা দুই হাজার দুইয়ের সংবিধান নয়? আসলে এখানে বাহাত্তরের সংবিধান বলতে মূলতঃ সকল সংশোধনপূর্ব আদি সংবিধানকে বোঝানো হয়। সংশোধনপূর্ব আদি সংবিধানে এই প্রত্যাবর্তন বা পুনর্বহালের দাবীর পেছনে কম-বেশি যে উদ্দেশ্যগুলো থাকে সেগুলো হচ্ছেঃ
১। প্রথম সংবিধানের চার মূলনীতিতে প্রত্যাবর্তন।
২। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহজকরণ।
৩। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলকরণ।
৪। সংবিধানের শুরু থেকে “বিসমিল্লাহ” ও মূলনীতি থেকে “আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা” বিয়োজন।
৫। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠণ করার পথ বন্ধ করণ।
৬। সামরিক শাসনামলসমূহ বৈধকরণ সংক্রান্ত সংশোধনীসমূহ বাতিলকরণ।
মোট উদ্দেশ্যর সংখ্যা এই তালিকা থেকে বেশি হতে পারে। আবার যারা বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তন দাবী করেন, তাদের সবাই যে উপরের সবগুলো পয়েন্টের বাস্তবায়ণ দাবী করেন এমনটা নয়। যাই হোক, এখানে উপরোক্ত সবগুলো পয়েন্ট একে একে আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে।
১। প্রথম সংবিধানের চার মূলনীতিতে প্রত্যাবর্তনঃ
প্রথম সংবিধানের চার মূলনীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। এইখানে জাতীয়তাবাদ বলতে বাঙালী জাতীয়তাবাদ বোঝানো হয়েছিল এবং সমাজতন্ত্র বলতে “আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে” বোঝানো হয়নি। এখনকার আলোচনা হয় মূলতঃ ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে।
সংবিধানের ইংরেজী ভাষ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা-কে বলা হয়েছিল “Secularism”। এই “Secularism”-এর অর্থ খুঁজলে আমরা পাইঃ
Secularism is the assertion that governmental practices or institutions should exist separately from religion and/or religious beliefs. (Wikipedia)
Indifference to or rejection or exclusion of religion and religious considerations. (Merriam-Webster)
A doctrine that rejects religion and religious considerations. (Wordweb)
Secular: adjective 1 not religious, sacred, or spiritual. 2 (of clergy) not subject to or bound by religious rule. 3 Astronomy denoting slow changes in the motion of the sun or planets. 4 Economics (of a fluctuation or trend) occurring or persisting over an indefinitely long period. — DERIVATIVES secularism noun, secularist noun, secularity noun, secularize (also secularise) verb, secularly adverb. (Oxford)
প্রথম সংবিধানে “ধর্মনিরপেক্ষতা”কে দেখা হয়েছিল সকল ধর্মের সমানাধিকার এবং রাষ্ট্রের এব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব না থাকা কে। যদিও Secularism-এর অর্থ “ধর্মহীনতা” বা “ইহজাগতিকতা” হওয়াই যৌক্তিক। তবুও পাকিস্তানের “ইসলামী প্রজাতন্ত্রের” ধারণার বিপরীতে সকল ধর্মের সমানাধিকারের ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই এই মূলনীতিটি যোগ করা হয়েছিল বলে মনে হয়। রাষ্ট্রের নাম যদি “গণপ্রজাতন্ত্র” হয় বা রাষ্ট্রের মূলনীতিতে যদি “গণতন্ত্র” থাকে, তাহলে সকল ধর্মের সমানাধিকারের কথা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের পথে এই মূলনীতিটি থাকলে তার অপব্যাখ্যার এবং ভুল বোঝানোর সুযোগ থেকে যায়। এই সুযোগ নিয়েই জেনারেল জিয়ার সরকার একে “আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস” বানিয়েছিল। সুতরাং এই মূলনীতিটি না রেখেও গণতন্ত্রের কথা বলে সকল ধর্মের সমানাধিকার সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব। রাষ্ট্রের তরফ থেকে ধর্মীয় বিষয়ে উৎসাহ বা অনুৎসাহ প্রদর্শন বা অংশগ্রহণের পথও বন্ধ করা যায়।
দ্বিতীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ এর অর্থ ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ। আমার দৃষ্টিতে এটি ছিল প্রথম সংবিধানে অবহেলাজনিত কারনে সৃষ্ট একটি ভ্রান্ত ধারনা। কারণ, বাঙালী জাতীয়তাবাদ বললে বাংলাদেশের নাগরিক ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীদের জাতীয়তাকে অস্বীকার করা হয়। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালী হলেও সংখ্যায় কম বলে বাকিদের জাতিসত্ত্বাকে উপেক্ষা করার বা ছোট করার কোন অবকাশ গণপ্রজাতন্ত্রে থাকার উপায় নেই। প্রথম সংবিধানের প্রণেতারাও ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীদের জাতীয়তাকে অস্বীকার বা অগ্রাহ্য করতেন বলে মনে হয় না। সুতরাং সংবিধানে এই মূলনীতিটি এই আকারে না রাখাই উচিত। নাগরিকত্বের প্রশ্নে “Citizen of the United States”-এর মত “বাংলাদেশের নাগরিক” বললে নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তার সাথে নাগরিকত্বের সংঘাত এড়ানো যায়। ফলে “বাঙালী” নাকি “বাংলাদেশী” এই অহেতুক বিতর্কটিও এড়ানো যায়।
চতুর্থ মূলনীতি ছিল সমাজতন্ত্র। আমরা জানি সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে কোন রাষ্ট্র সমাজতন্ত্রের পথ ধরবে কিনা তা মূলনীতিতে উল্লেখের প্রয়োজন পড়ে না। তবে সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত লবীর নেক-নজরে থাকার জন্য এ ধরণের মূলনীতি নেয়া হয়েছিল বলে মনে হয়। বর্তমানে ব্যাখ্যাত “আর্থ-সামাজিক ন্যায় বিচার অর্থে” আর যাই হোক “সমাজতন্ত্র” নয়। আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহ সমাজতন্ত্রের পথ বহু আগেই পরিত্যাগ করেছে। রাষ্ট্রও কখনো এর তেমন চর্চা করেছে বলে মনে হয় না। বস্তুতঃ মূলনীতির এই “সমাজতন্ত্র” এক কালে কিছু শিল্প-কারখানার জাতীয়করণ ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয় নি। সুতরাং এই মূলনীতিটি আদৌ থাকার দরকার আছে কিনা তা ভাবার বিষয়।
তৃতীয় মূলনীতি ছিল গণতন্ত্র। বস্তুতঃ এটিই সংবিধানের একমাত্র মূলনীতি হওয়া প্রয়োজন। এই মূলনীতিটিই রাষ্ট্রের চরিত্র ও নীতি নির্ধারন করে দেয়। প্রয়োজনে গণতন্ত্রের বিশদ ব্যাখ্যা সংবিধানের পরিশিষ্টে সংযোজন করা যেতে পারে।
২। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহজকরণঃ
একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর বলে বা ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বলে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সংশোধনীবিহীন সংবিধান পাওয়া গেলে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সহজতর হবে। এর বিকল্প হিসেবে অনেকে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠণ বা সংবিধান পুনরায় সংশোধন বা এসংশ্লিষ্ট পুরাতন সংশোধনীটি বাতিলের কথা বলেন। আমি আইনের ছাত্র নই, তাই আইনের মার-প্যাঁচের কথা বলতে পারবো না। তবে আমার সাধারণ জ্ঞান দিয়ে আমি বুঝি যে এসব কোন কিছু না করেই বিদ্যমান আইন দিয়ে দেশী-বিদেশী সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা সম্ভব।
আমরা যদি একথা স্বীকার এবং বিশ্বাস করি যে, ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কার্যকর হয়েছে এবং সে সময় থেকে সাবেক পাকিস্তান রাষ্ট্রের আইন ও ধারণা এই ভূখন্ডের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাহলে, ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ হতে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের জনগণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তি ইত্যাদির বিরূদ্ধে দেশী-বিদেশী যে কারো করা অপরাধের জন্য দেশে বিদ্যমান ফৌজদারী ও দেওয়ানী দণ্ডবিধির আওতায় বিচার করা সম্ভব। এর জন্য কোন নতুন আইনের বা ট্রাইবুনালের প্রয়োজন পড়ে না। যদি ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল থেকেও সরকার কার্যকর ধরা হয়, তাহলে সে দিন থেকেই সকল দণ্ডবিধি কার্যকর বলে ধরা উচিত। সেক্ষেত্রেও বিদ্যমান আইনে বিচার হওয়া সম্ভব। ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় বিলম্বে মামলাও গ্রহণযোগ্য। সুতরাং কোন অজুহাতেই যুদ্ধাপরাধীদের তাদের অপকর্মের জন্য বিচারের হাত থেকে বাঁচানোর কোন পথ নেই। এর জন্য সংবিধান সংশোধন করার বা বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের মত জটিলতায় যাওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না। এর জন্য সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ঠ।
৩। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলকরণঃ
সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে,
“The state religion of the Republic is Islam, but other religions may be practiced in peace and harmony in the Republic.”
জেনারেল এরশাদের করা খারাপ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই সংশোধনীটি। আসলে এই সংশোধনীটির কোন দরকারই ছিল না। জেনারেল এরশাদের পূর্বসূরী জেনারেল জিয়া সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে রাষ্ট্রের প্রথম মূলনীতি করেছিল,
“Absolute trust and faith in the Almighty Allah shall be the basis of all actions.”
এই মূলনীতির পর আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা দেবার দরকার পড়েনা। তবুও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য এবং ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য ব্যাপারটি দুরূহ করার জন্য জেনারেল এরশাদ এই কাজটি করেছিল। দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করায় এটি এখন একটি অতীব স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিনত হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানে যারা প্রত্যাবর্তনের কথা বলেন তারা কৌশলে এই স্পর্শকাতর বিষয়টির বিতর্কে না জড়িয়ে একে বাদ দেবার জন্যই একথা বলেন। এর উলটা পথের পথিকরা এই কৌশল আঁচ করতে পেরে ইতোমধ্যেই হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছেন। বস্তুতঃ বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের কথা যত জোরে উচ্চারিত হবে তার সাথে সাথে এই হৈ-চৈও বাড়তে থাকবে। এর জন্য প্রয়োজন ভিন্ন সমাধাণ। এই আলোচনার শেষাংশে এর সম্ভাব্য সমাধাণ নিয়ে বলার চেষ্টা করব।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
মন্তব্য
"সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা"
এই প্রথম শুনলাম মশাই। কম্যুনিষ্ট চোথাগুলোতে 'সমাজতন্ত্র'কে 'সাম্যবাদে' উত্তরণের পথে একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বলা হয় যাতে করে জাতির দেহে ও মনে সাম্যের ভাব তৈরি হয় এবং সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনে সুবিধে হয়। এটি একধরনের স্টেরিলাইজেশন প্রসেস।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর সাম্যবাদের পথে হাঁটার খায়েশ ছিল এর প্রধান কারিগরদের যাতে করে কৃষক শ্রমিক সাধারণ জনতার পেটে খাবার আর মুখে হাসি থাকে। দেশে যেন পাক আমলের উঁচুনিচু ভেদ না থাকে। এসব স্বপ্ন থেকেই ত' মূলত এদেশের জন্ম। আর সেজন্যই এত ঢালাওভাবে জাতীয়করণ। এসময় ঢাকা নিউমার্কেটের 'আকস' স্টুডিও-ও সমাজতান্ত্রিক জাতীয়করণ থেকে বাদ যায়নি।
শেষমেষ অবশ্য সমাজতন্ত্রের সর্বোচ্চ ধাপ গণতন্ত্রের জাতীয়করণ করেও সুবিধে হয়নি। নিরুপায় তাজুদ্দীন বললেন "এটা কি করলেন মুজিব ভাই! নিজে মরবেন, আমাদেরও মারবেন"।
দয়া করে ১৯৭২-৭৫ পর্বে "সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা" একটু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখালে দারুণ উপকৃত হই।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
প্রফাইল আপনি বলছেন যে - "বাংলাদেশ সৃষ্টির পর সাম্যবাদের পথে হাঁটার খায়েশ ছিল এর প্রধান কারিগরদের যাতে করে কৃষক শ্রমিক সাধারণ জনতার পেটে খাবার আর মুখে হাসি থাকে" । এইখানে আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না কারন আপনি যদি দল হিসেবে আওয়ামে লীগ এর স্বাধীনতা পূর্ববর্তী চরিত্র খেয়াল করেন তাইলে দেখতে পারবেন লীগ সেই সময়ে কখনো সাম্যবাদী কোন চরিত্র প্রকাশ করে নি । তার উপর দলের কর্ণধার শেখ মুজিবর রহমান এর আজীবন রাজনৈতিক গুরু সোহরাওয়ার্দী কিন্তু কমিউনিষ্ট বিরধী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন । তাই হঠাত করে স্বাধীনতার পর রাতারাতি সেই দল সাম্যবাদী আদর্শ কে দেশ পরিচালনার নীতি হিসেবে গ্রহন করবে তা ভাবা বোধহয় ভুল হবে । বরং ঠান্ডা যুদ্ধের সেই সময়ে সোভিয়েট ব্লকের সমর্থন পাওয়াটাই এখানে মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয় ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে পরবর্তী মাসখানেকের আইন অধ্যাদেশগুলো আর বাংলাদেশ গণপরিষদের নথিপত্র দেখুন। এছাড়া যুদ্ধকালে তাজুদ্দীনের ভাষণগুলোও দেখা যেতে পারে।
তার উপর দলের কর্ণধার শেখ মুজিবর রহমান এর আজীবন রাজনৈতিক গুরু সোহরাওয়ার্দী কিন্তু কমিউনিষ্ট বিরধী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন
শেখ মুজিব বাংলাদেশের কারিগরপালের গোদা। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে প্রথম উল্লেখযোগ্য কারিগর রেহমান সোবহান যিনি হাতে কলমে দেখিয়েছিলেন পূব আর পশ্চিমের পাহাড়সম বৈষম্য। মূলত বাংলাদেশর ভিত্তিপ্রস্তর ৫০-এর দশকের ঐ শেষ সময়টাতেই স্থাপিত হয়ে যায়। এছাড়া অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মোজাফফর আহমেদ (টিআইবি-সুজনের নন) তাজুদ্দীন আহমদ মোশাররফ হোসেন এসব প্রধান কারিগর কাজ করেছেন পেছনে থেকে। তাদের প্রাথমিক খায়েশ ছিল সাম্যবাদের, তাই এত ব্যাপক জাতীয়করণ হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের ভাষণগুলো, শেষমেষ পার্লামেন্টারি সোশ্যালিজম এসব কথাবার্তাগুলো আমার বক্তব্যের পক্ষেই যায়। আর বাকশাল ত' সাক্ষাত কম্যুনিস্ট পার্টি, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফর্ম করেছিল।
এ প্রসঙ্গে চাইলে ভুরি ভুরি তথ্যপ্রমাণ দেয়া যেতে পারে।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
প্রিয় প্রফাইল, মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
গণতন্ত্র বলতে আমি মার্কিনীদের শেখানো গণতন্ত্র বুঝি না। তাই গণতন্ত্র আর সাম্যবাদের পার্থক্য আমার কাছে সূক্ষ্ম। "পাত্রাধার তৈল না কি তৈলাধার পাত্র" এই ধরণের বিতর্কে যাবার আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। তাই এব্যাপারে কথা বাড়াচ্ছি না। এই পোস্টের উদ্দেশ্যও তা নয়। এই পোস্টের উদ্দেশ্য এর প্রথম অনুচ্ছেদে-ই স্পষ্ট বলে আমার ধারণা।
চতুর্থ মূলনীতি "সমাজতন্ত্র"-এর প্রয়োগ কতটুকু কী হয়েছে তা আমার লেখায় সংক্ষেপে বলা হয়েছে। সেই বক্তব্যর সাথে আপনার দ্বিমত থাকলে বা আমার বলায় ভুল থাকলে বলতে পারেন।
১৯৭২-১৯৭৫ পর্বে সমাজতন্ত্র নিয়ে কী হয়েছে তা বর্ণনা করার বা ব্যাখ্যা করার জন্য এই পোস্ট না। দয়া করে আলোচনা পোস্টের ট্র্যাকে রাখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই পোস্টের প্রত্যেকটি শব্দই আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ববহ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি 'দুখণ্ডে শেষ' নয়, এবিষয়ে বেশ বড় একটি সিরিজ হওয়া দরকার বিশেষকরে দিনবদলের এই সময়টাতে। আর এরকম একটি সিরিজ আপনার মত সিরিয়াস একজন সচলের কাছ থেকে আশা করি।
এদেশের সংবিধান মেলকিয়াদিসের আজব পুঁথির মত, সব ভূতভবিষ্যত আর নিজেদের প্রত্যেকের অবস্থান এর মধ্যেই লেখা আছে যেন। কিছুদিন আগে ল' কমিশনের চেয়ার জাস্টিস মোস্তফা কামাল উঠেপড়ে লেগেছিলেন বর্তমান সংবিধান রিভাইস করার জন্য। এখন কথা আসছে ৭২-এ ফিরে যাবার। সংবিধান বোঝার এবং এ নিয়ে যেকোন কথা বলার ক্ষেত্রে ১৯৭২-১৯৭৫ পর্বটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঐ পর্বে একটি কনস্টিট্যুশনাল এসেম্বলির হাত ধরে সংবিধান এসেছিল এবং এর সাঙ্ঘাতিক কাটাছেঁড়াও হয়েছিল। তাই আমার প্রথম কমেন্ট অফট্র্যাকের নয় বলেই মনে করি।
"গণতন্ত্র আর সাম্যবাদের পার্থক্য আমার কাছে সূক্ষ্ম"
এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অনুসিদ্ধান্ত। তবে এটা সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে একটা প্রতিষ্ঠিত ডিসিপ্লিন আছে এবং ওখানে "সমাজতন্ত্র", "গণতন্ত্র" ও "সাম্যবাদে"র সংজ্ঞাও আছে।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
২য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পড়ছি। খুব খিয়াল কৈরা পড়ছি।
পরের পর্ব গুরুত্বপূর্ণ।
খুব জরুরি লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পান্ডব দা আপনি ৭২ সংবিধানে ফিরে যাবার যে উদ্দেশ্য গুলো বলেছেন এখানে আমার মতে ১ম উদ্দেশ্য পূরন হলে ৩,৪,৫ নং উদ্দেশ্য গুলো আপনা আপনি পূরন হবে । আর যেই ৬নং উদ্দেশ্যের কথা বললেন তাতে আমার মতে কিছু সাংবিধানিক সমস্যা দেখা দেবার কথা ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অনেক কিছুই হয়তো ২০১০ এর আঙ্গিকে ভাবতে হবে। মূল একই থাকবে খোলস মানে প্যাকিং ভিন্ন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রসংগ। বিতর্ক করার মত একটা জমজমাট বিষয়।
খুবই খিয়াল কৈরা পরবর্তী পর্বের লাইগা বৈসা আছি।
যাই হোক, সংবিধানের কথা যেহেতু আইল, জাতি হিসাবে আমাগো কিছু মৌলিক প্রশ্ন আছে, সেইগুলা নিয়াও তর্ক হওয়া লাগে। যেমন -
১)
বাংলাদেশ কি একটি জাতি রাষ্ট্র? তাহলে এই জাতি রাষ্ট্র গঠনের পেছনে ঐতিহাসিক ভাবে কোন জাতি নির্নায়কের ভুমিকা পালন করেছে?
বাঙালী? বাঙালী-মুসলমান? ভাগীরথি-হুগলীর পূর্বদিকের বাংলার বা নিম্নবাংলার মত্স্যজীবি - কৃষিজীবি সমতল বাসী জাতিগোষ্ঠী? এই জাতিগোষ্ঠী ঐতিহাসিক কোন কোন পর্যায়ে কিভাবে স্বাতন্ত্র অর্জন করেছে?
স্পষ্টতঃ যে জাতি এই রাষ্ট্রের নির্ণায়ক, তা ছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান ভৌগলিক সীমানার মধ্যে অন্য অনেক জাতি-গোষ্ঠীর লোক বাস করেন।
যে ৭১ এর মুক্তিসংগ্রাম বর্তমানের বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার অধীন জনগোষ্ঠীকে এক পতাকার নিচে জড় করেছে, ঐ সংগ্রামে সেসব জাতি-গোষ্ঠীর অনেকেই একাত্ম বোধ করেছেন, কেউ কেউ করেন নি। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
তাহলে আবার প্রশ্ন - বাংলাদেশ কি তাহলে একটি জাতি রাষ্ট্র নয়? তাহলে নিকটবর্তী অঞ্চলের অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠির (যেমন অহমীয়া, পশ্চিম-বাংগালী, বিহারী) তুলনায় বাংলাদেশের স্বাধীন সত্বার নৈতিক ভিত্তি কি?
রাজনীতি বিজ্ঞানে যাদের কিঞ্চিত ঘোরাফেরা আছে, তারা নিশ্চই প্রশ্ন গুলি নিয়ে ভেবেছেন। আলোচনা করলে মন্দ হয়না।
২) বাংলাদেশের সামাজিক/অর্থনৈতিক নীতি কি হবে, তা যদিও মুক্তিসংগ্রামের গঠন পর্যায়ে (৭১-পূর্ব) যথেষ্ট আলোচিত হয়েছে বলে জানি, সেই আলোচনা পরিপূর্নতা পেয়েছে বলে মনে হয়না। যেকারণেই ৭১ পরবর্তী প্রথম সংবিধানের সময় থেকে (এবং তার পরবর্তী সময়ে আরো বড় আকারে) যথেষ্ট দিকভ্রষ্টতা দেখা দিয়েছে। এই দিক্ভ্রষ্টতা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, এবং ৭১-পূর্বকালে যে নীতিগুলো মুক্তিসংগ্রামের ভিত হিসাবে কাজ করেছে, তাকে বর্তমানের বিশ্ববাস্তবতায় ঝালিয়ে কিভাবে বাস্তবে পরিণত করা যায় -- সেটা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।
ষষ্ঠ-পাণ্ডব, এই বিষয়গুলা বেশি অপ্রাসংগিক হৈলে এইটা নিয়া আলাদা পোস্ট দেওন যায়। আপনার প্রশ্ন গুলা বাস্তব এবং ব্যবহারিক। আমি যেগুলা কৈলাম সেইগুলা কিছুটা তাত্বিক।
পাণ্ডব দা, দুর্দান্ত পোস্ট ! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুবই সময়োপযোগী এবং ইনভলভিংলি কাজের পোস্ট হয়েছে দাদা। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে,
"সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা"-
এটা বোধ হয় বেশ ভুলই বলা হ'লো পাণ্ডবদা'।
এখন সংজ্ঞায়নে বা কনসেপ্চুয়ালাইজেশনে যদি আপনি পাশ্চাত্যের হিসেব না নেন - যেখানে কি না এগুলোর জন্মই হয়েছে ওইভাগে - সে 'গণতন্ত্র' বলেন আর 'সমাজতন্ত্র'ই বলেন - সেক্ষেত্রে তো এই বিষয়গুলোও শুরুতেই নতুন ডেফিনিশন দিয়ে দিতে পারতেন, যে আপনি কোনটা বলতে কোনটা বুঝাচ্ছেন ।
আমারও যে খুব পড়াশোনা এমত বিষয়ে, তা নয়। তবু, ক্ষুদ্র জ্ঞানেও বলতে চাই একটা ছোট্ট হাত তুলে, যে- 'সাম্যবাদ' আর 'গণতন্ত্র' নামে কোনো দুইটা এক ধরনের বা প্রায় কাছাকাছি জিনিস বোঝার অবকাশ দেখি না। হ্যাঁ, 'সোশ্যালিজম'-এর জন্ম-কার্য সবই ধারণাগতভাবে অবশ্যই 'কম্যুনিজম'-এ পৌঁছানোর একটা পথ এবং পন্থা হিসেবে এসেছিল এবং মোটামুটিভাবে চলেওছে, যেই পুরো ব্যাপারটাই কি না সেট হিসেবেই 'গণতন্ত্র'র কনসিডারেশন সেট-এর মোটামুটি একটা কাউন্টার-থিওরি।
তবে, আমাদের সংবিধানে যখন কি না পরপর দু'টো 'রাষ্ট্র-পরিচালনার মূলনীতি' হিসেবেই ছিল ওই 'সমাজতন্ত্র' আর এই 'গণতন্ত্র', সেখানে সত্যিই বুঝি 'আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে' জাতীয় একটা ক্লিয়ারিফিকেশন পেরেন্থেসিস-এর দরকার ছিল, নইলে কনফ্যুশন আরো বাড়তো বই কমতো না ব'লেই মনে করি।
বিনয়ের সঙ্গে বলি- আমি আইনের ছাত্র ( ছিলাম )। তবে, যেই 'আইনের মার-প্যাঁচ' আপনি পাশ কাটিয়ে যেতে চেয়েছেন একটু হ'লেও - সেটাকে মারপ্যাঁচ বলি আর টেকনিক্যালিটিই বলি - এগুলোকে না নিয়ে বা এড়িয়ে গিয়ে তো এগুলো হবেও না।
এমনিতেই 'রাষ্ট-পরিচালনার মূলনীতি' চ্যাপ্টারটিই জুডিশিয়ালি এনফোর্সেবল নয়, যেখানে কি না মৌলিক অধিকারের সঙ্গে এগুলোর বাস্তব পার্থক্য, কারণ ওই নীতিগুলো থাকেই কেবল ভিশন জাতীয় গাইডিং লাইনস হিসেবে, যেটা কি না আদতে হয়তো বস্তুত আনঅ্যাটেইনেবল। কর্পোরেট কোম্পানির ভিশনও কিন্তু গাইড ক'রে গতিপথ দেখায় বটে, কিন্তু সেখানে সত্যি সত্যি পৌঁছানো যায় না। এগুলো নিশ্চয়ই আপনিও জানেন।
না দাদা, আমি আমার আইনবিদ্যা জাহির ক'রে কূটতর্ক করার কোনো মতলব আঁটছি না আপনার সঙ্গে। আমি যেই দ্বিবিধ কারণে এই পোস্ট-এ আগ্রহী হলাম এবং এখন কথাও বলছি- তার একটা তো আপনার মতোই মতাদর্শগত ফান্ডামেন্টাল প্রটাগনিজম, আরেকটা হ'লো- রাজনীতি-আদর্শের ঊর্ধ্বে বা বাইরে এগুলোর বড় দিকগুলো সত্যিই আইনগত দিক, যেই ক্ষেত্রটা কি না আমার অ্যাকাডেমিক ডিসিপ্লিন ছিল এক সময়, আর তাই ভাবলাম একটু আমার নাকটাও গলিয়ে যাই।
সমস্যা যেটা থাকে আমাদের ধারণায় এক আধটু, সেটা হ'লো - ল ভোকাবুলারি বা ল গ্রামার-এর বাইরে এসে আবেগের ভরে ডেভিয়েট করি বা করতে চাই, যেখানে আমাদেরকে যতোটুকু নিয়ে যায় আমাদের আবেগের স্রোত।
হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে আমিও চাই যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি, আমিও চাই সংবিধান থেকে 'বিসমিল্লাহ্' আর 'রাষ্ট্রধর্ম'র অপসারণ, আমিও চাই “Absolute trust and faith in the Almighty Allah shall be the basis of all actions.” জাতীয় ঐশীবাণী'র বিলুপ্তি,,,, আরো তো কতোকিছুই চাই!
সংবিধান, 'গণতন্ত্র' আর আইনের যেই লেগ্যাসি এবং অবস্থা-পরম্পরা আমরা বহন করছি স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার পক্ষ-প্রতিপক্ষ প্রয়াস আর স্বাধীনতা-উত্তর এই ৩৭ বছরের বাস্তব প্রত্যক্ষণ মিলিয়ে, তাতে এখন কোনটার সমাধান কীভাবে হ'তে পারে সত্যিই, সেটা আইন-বিশেষজ্ঞরা দেখবেন নিশ্চয়ই খতিয়ে। আমরাও বলবো দেখবো অবশ্যই। আপনার পোস্ট অবশ্যই অনেক ভালো এবং কার্যকর, পাণ্ডবদা'। আমি কিন্তু মৌল বিশ্বাস-গত কোনো জায়গাতেই ডিফার করছি না আপনার সাথে। হয়তো বুঝাতে পেরেছি- আমার বক্তব্য মূলগতভাবে আপনার বিরোধী নয়, আমি কেবল একটা-দু'টো ব্যাপারে একটু কোয়ালিফিকেশন অ্যাড করলাম আর আন্ডারলাইন করলাম আমার ব্যক্তিগত আগ্রহের প্রেক্ষিতে।
অনেকই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশদ আলোকপাত করলেন আপনি, অবশ্যই ধন্যবাদার্হ এটা। আমিও সত্যিই অপেক্ষায় থাকবো আপনার পরের পর্বের, আর আপনার সমাধান-পরামর্শের। চালিয়ে যান। নিজের সীমিত জ্ঞানের ফাঁদে প'ড়ে যদি আপনাকেই আহত ক'রে থাকি, তবে আমি দুঃখিত।
ভালো থাকবেন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন