১৯৯২ সালে আমাদের বাবা যখন না ফেরার দেশে চলে যান, তখন আমাদের ভাই-বোনদেরকে মোটামুটি অপোগণ্ড বলা যায়। বড় বোনের সবে বিয়ে হয়েছে, মেজ বোন আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকিরা কোন যোগ্যতা অর্জনের বয়সেই পৌঁছোয়নি। বাসায় তখন কোন উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, আমাদের কোন সঞ্চয় নেই, নিয়মিত আয়ের কোন উৎস নেই। উদ্বাস্তু পরিবার বলে সাহায্য করার মত কোন নিকটাত্মীয়ও নেই। আমার হয়তো তখন অকূল সাগরে পড়ার অনুভূতি হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। এর একটা কারণ আমি মোটামুটি নির্বোধ শ্রেণীর মানুষ, আমার সব কিছু বুঝতেই একটু সময় লেগে যায়। আর আরেকটি কারণ, আমার মা বেঁচে থাকায়।
আমার ঠিক ধারণা নয়, তখন মোটামুটি স্থির বিশ্বাস ছিল আমার মা নিশ্চয়ই একটা কিছু উপায় করে ফেলবেন যাতে আমরা অকূল সাগরে ভেসে না যাই। আজ সতের বছর পর দুনিয়া ফাটানো গলায় বলতে পারি আমার বিশ্বাস ভুল ছিল না। অথচ আমার মা কর্মজীবি ছিলেন না, জীবনে কোন চাকুরী বা ব্যবসা করেন নি। আমি এ’কথা বলবনা যে আমাদের ভাই-বোনদের কোন পরিশ্রম ছিলনা। বরং ছোট ভাই-বোনগুলোকে যে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে তা ভাবলে আজো আমার বুকটা হাহাকারে ভরে যায়। ওদের খেলার দিনগুলো, আনন্দের দিনগুলো হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে পিষ্ট হয়ে গেছে। এত বঞ্চনার পরও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমরা কোন ভাই-বোন অমানুষ হইনি। আজ আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম দুইটি করে ডিগ্রী নিয়েছি (এতে অবশ্য কী হয় জানি না), তার মানে মোটামুটি লেখা-পড়া শেষ করেছি। সবাই এখন কর্মজীবনে, সবার নিজের সংসার হয়েছে। আমরা কেউ ড্রাগ অ্যাডিক্ট হইনি, মাস্তান হইনি, চোরাকারবারী বা ঘুষখোর হইনি। আমরা কেউ ধণী হইনি সত্য, কিন্তু অথৈ পাথারে পড়িনি। একে নিশ্চিতভাবে আমাদের কোন সাফল্য বলা যায় না, কিন্তু এটি নিঃসন্দেহে আমার মায়ের এক বিরাট অর্জন।
তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বলে, শূন্য থেকে কিছুই উৎপন্ন হয়না (ex nihilo nihil fit)। কিন্তু আমি দেখেছি, আমার মা প্রায় শূন্য থেকে অনেক কিছু বের করতে পারতেন। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র মনে হয় এতে ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়। আজকাল ঘরে বাজার না থাকলে আমার-দিশার মাথা খারাপ হয়ে যায় কী রাঁধা হবে, কি খাবো ভেবে। অথচ দিনের পর দিন গেছে আমাদের বাসায় কোন বাজারই করা হয়নি। আমার মা কোথা দিয়ে কী দিয়ে যে কী রাঁধতেন তা ভাবাই যায় না। পৃথিবীতে কত প্রকারের যে ভর্তা হয়, শাক হয়, নিরামিষ হয় তা আমরা দূরে থাক সিদ্দীকা কবীর বা টমি মিয়াও আমার মায়ের সমান জানেন বলে মনে হয় না। আর সেই খাবারের কী স্বাদ! স্বর্গের খাবারের স্বাদ আমাদের কাছে ভূতলে এনে দিয়েছিলেন আমার মা।
বাংলাদেশে সরকারী চাকুরীজীবিদের পেনশন হাতে পাওয়া নিয়ে অনেক গল্প-নাটক-সিনেমা আছে। বাবা বেঁচে থাকতেই সেই নাটকের একবার মঞ্চায়ন দেখেছিলাম। বাবা চলে যাবার পর মায়ের অংশের পেনশন তুলতে গিয়ে যে নাটকের মধ্যে পড়ি তা মনে হয় কবির কল্পনাকেও হার মানায়। থাক সেসব কথা, কৃমিকীটেরা পৃথিবীতে সব সময়ই ছিল, তাদের চোষকও সমান নির্লজ্জতার সাথে মানুষকে চুষে খেয়েছে। আমরা যখন জীবনের পথে এক ধাপ এক ধাপ করে আগাচ্ছি, আমার মা তখন একটু একটু করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তার নাক, কান, গলা, হাত কখন নিরাভরন হয়ে গেছে তা আমার অন্ধচোখ টেরও পায়নি। এক এক করে তাঁর জীবন থেকে শখ, সুখ, আয়েশ কখন চলে গেছে বুঝতেও পারিনি। তার পরনের রঙিন শাড়ি কবে যে একরঙা হয়ে গেছে তাও জানতে পারিনি।
ছোটবেলায় এক বিয়ে বাড়িতে এক মহিলার গলায় বিশাল কন্ঠহার দেখে মাকে বলেছিলাম, আমি বড় হলে তোমাকে অমন হার গড়িয়ে দেব। ছোটবেলায় ম্যাগাজিনে আফ্রিকার জঙ্গলের ছবি দেখে মাকে বলেছিলাম, আমি বড় হলে তোমাকে প্লেনে করে আফ্রিকার জঙ্গল ঘুরিয়ে দেখাবো। আমি এখন বড় নয় বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু ছোটবেলায় মাকে দেয়া দু’টো কথার একটা রাখার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা, নাইবা হল কন্ঠহার বা আফ্রিকা ভ্রমণ, অল্প আয়াসে করা যায় এমন অনেক কিছুই মায়ের জন্য আজো করা হয়নি। মাকে নিয়ে কখনো কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। মাকে নিয়ে একটা ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়নি। মা তার শ্বশুরের ভিটেটা একবার দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে নিয়ে হাওড়া ব্রীজটাও পার হতে পারিনি।
সন্তানধারণ একজন নারীর জন্য কতটুকু আনন্দের বা গৌরবের তা ঠিক বলতে পারবোনা। তবে সন্তানধারণ আর তাদের মানুষকরণে আমার মায়ের শরীরটি ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। মানুষ বাটিতে করে মুড়ি খায়, আর আমার মা গত বারো বৎসর ধরে দিনে চারবেলা বাটি ভরে নানা রকম ট্যাবলেট-ক্যাপসুল-সিরাপ খায়, নাকে-মুখে ইনহেলার টানে। আমরা মাঝে-মধ্যে অসুস্থ্য হলে পাঁচদিন ধরে দিনে দুইবেলা দু’টি করে ঔষধ খেতে দিলেই বিরক্ত হই, ভুলে যাই। অথচ আমার মা, শুধু আমাদের কথা ভেবে কোন রকম ভুল না করে বছরের পর বছর ধরে দিনে চারবেলা এই বিষ গিলে যাচ্ছেন।
আজ মা দিবসে সকাল থেকে দমবন্ধ করা কাজের মাঝে ছিলাম। তাই মাকে একবার ফোন করার কথা মনেও হয়নি। বিকেলে মা নিজেই ফোন করলেন। আমি জানি তিনি এর মধ্যে তাঁর সব ছেলে-মেয়েকেই ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। মা যখন ফোন করলেন তখন বলবো বলবো করেও তাঁকে কিছুই বলতে পারলাম না। অথচ গত সাতাশ বছর ধরে বুঝে-না বুঝে, জেনে-না জেনে কত বিষয়ে গলাবাজী করেছি, স্টেজ ফাটিয়ে ফেলেছি, লিখে পাতার পর পাতা ভরে ফেলেছি। মাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত একটা পাতা দূরে থাক, দুটো লাইনও লিখতে পারিনি।
মাঝে মাঝে অনেক দিন পার হয়ে যায় মার সাথে দেখা করা হয়ে ওঠেনা, একটা ফোনও করা হয়ে ওঠেনা। মা কিন্তু তাঁর কোন ছেলে-মেয়েকেই ভুলে থাকতে পারেন না। ঠিক ঠিক সময় করে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, কিরে তোর শরীর কেমন? বউ ভালো আছে তো? বাবুটা কেমন আছে? বাবুকে আজ স্কুলে পাঠিয়েছিলি?
আজ পর্যন্ত মায়ের জন্য উল্লেখ করার মত কোন কাজই করতে পারিনি। তাঁর নিয়মিত খোঁজটাও রাখিনা। অথচ আমার মা তার গোটা জীবনটাই আমাদের জন্য বিলিয়ে দিলেন। এই আমাকে একজন বোধসম্পন্ন, ন্যায়পরায়ন মানুষ কী বলবেন? অপদার্থ, অকৃতজ্ঞ, কুলাঙ্গার ছাড়া আর কোন বিশেষন কি আমার প্রাপ্য হতে পারে?
মন্তব্য
"আজ পর্যন্ত মায়ের জন্য উল্লেখ করার মত কোন কাজই করতে পারিনি।"
আমারো তাই মনে হয়,
আবারো
ঠিক কথা
hr]এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
সব কিছুই বুঝি জালাল ভাই, তারপরও কেন যেন কিছুই করে উঠতে পারিনা। এই গ্লানি নিয়েই একদিন মরতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"আজ পর্যন্ত মায়ের জন্য উল্লেখ করার মত কোন কাজই করতে পারিনি।"
আমারো তাই মনে হয়,
আবারো
ঠিক কথা
hr]এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
আমার মা কত অসাধারনতার সাথে সব কাজ করতেন,এখন বুঝি।এখনও ফোন করলে বাবা- বলে ্যে ডাক দেন,বুঝি এই ফোন টার জন্য মা সারাদিন অপেক্ষা করেছিলেন।
কত রাগারাগি,এরপর ও মা তো মা ই...।সব কেম্ ন ্যেন ক্ষমা করে দেন...।খুব ভাল লাগ্ ল আপ নার লেখাটা।
প্রাচ্চের ভিন দেশি
যদি দেখার দূরত্বে নাও থাকেন কন্ঠ শোনার দূরত্বে তো আছেন। এই কন্ঠসুধা যতগুলো দিন আছে ততগুলো দিনই অসাধারণ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মা দিবসের কোন লেখা পড়বো না, ঠিক করে রেখেছিলাম। ব্রত ভেঙে একটা করে লেখা পড়ি, দুখসাগরে ভাসি, আবার নতুন করে ব্রত করি। তবুও লেখাগুলো পড়ি খুব শক্তিমান কিছু মানুষের উপাখ্যান জানতে। শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে এল আপনার মায়ের কথা পড়ে।
ইশতি, আপনারা যারা দেশের বাইরে আছেন তাদের কষ্টটা বুঝি। আপনাদের তবু নিজেকে বুঝ দেবার মত কিছু আছে যে দূরে থাকেন। কিন্তু, আমাদের বেলায় কী? দেশে থাকলে বিশ কিলোমিটারের দূরত্বও যে কষ্টাতিক্রমনীয় হয়ে যায় সেই আজব সত্যটা বুঝতেন।
আপনার মায়ের কথা লিখুন। দেখবেন শ্রদ্ধায় আপনা থেকে আমাদের মাথা নত হয়ে আসবে। বাংলাদেশের মায়েরা এমনই। অথচ এঁদের সন্তানগুলো এমন কেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মা'কে নিয়ে লিখেছিলাম গত বছর। আমার আত্মীয়-স্বজনদের প্রভাব আমার উপর অনেক বেশি, তাদের কথা লিখিও প্রচুর, কিন্তু মা'কে নিয়ে লিখতে বসলেই হাত কাঁপে। তবুও লিখেছিলাম। এই লেখাটাই সচল সংকলনে ছেপেছে এবার।
আপনার লেখাটা আবারো পড়লাম। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, মা ছাড়াও আরো কতগুলো বিষয়ের জন্য আপনার লেখাটার আবেদন আরো অনেকগুলো বৎসর থাকবে, অন্ততঃ যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই উদ্বাস্তুপ্রবনতা থাকবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
.........
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ। আপনিতো সৌভাগ্যবান, এখনো মায়ের সাথে এক ছাদের নিচে আছেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখার কিছু পাচ্ছিনা..
আপনার মাকে নিয়ে লিখে ফেলুন। মা দিবসেই লিখতে হবে এমনতো কোন কথা নেই। মা কাছে-দূরে যেখানেই থাকুন আমাদের প্রতিটি দিনই মা দিবস হতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন খারাপ হয়ে গেল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। নিজের মায়ের কাছ থেকে মনে হয় বেশ দূরেই আছেন। তাই অন্য কারো মায়ের কথা পড়লে মন আরো খারাপ হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডুদা, জীবনটা কেনো যেনো এমনই। জানি অথচ জেনে অন্যায় করি, কি অদ্ভুদ মানুষ না আমরা!
প্রতিবার দেশ থেকে ফিরে এসে খুব মন খারাপ হয় "মায়ের" জন্য। ভাবি এর পরের বার দেশে যেয়ে বাড়ির বাইরে যাবো না, অনেক মায়ের কাছে থাকব, কোন কথায় রাগ করব না, মায়ের সাথে চ্যাচাম্যাচি বা ঝগড়া করবো না। কিন্তু যখন ফিরে এসে অফিসে বসি আর কি কি করলাম ছুটিতে গিয়ে তার হিসাব মিলাই, দেখি আবারো যা করতে চাইনি তাই করে এসেছি আর যা করব ভেবে গিয়েছিলাম তার কিছুই করিনি।
অথচ মা আমার খুব অসুস্থ, ওষুধের উপড় শুধু আছেন। ঢাকা থেকে অকারনে কেউ কিংবা অসময়ে কেউ ফোন করলে শুধু একটা কথাই প্রথমে মনে আসে, যেটা কখনো মুখে আনি না .....................
একটা ছোট্ট অনুরোধ, এই লেখাটা আন্টিকে কপি করে দেন না, নিজে না পারেন, দিশাকে বলেন সে দিয়ে আসুক।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তা-তা, অনেক জটিল বা কঠিন কথাগুলো কিভাবে যেন আপনি সহজেই বলে ফেলতে পারেন। আপনি প্রবাস থেকে ফিরে যে কাজ করেন, আমি মায়ের বাসায় গেলে বা ফোন করলে একই ধরণের কাজ করি। পরে অনুশোচনা হয়, কিন্তু তারপরও একই কাজ বার বার করি। কেন যে আমরা এমন করি। অথচ আমরা নিজেদেরকে sensible, rational মানুষ বলে দাবি করি।
এই লেখার কপি আমার মাকে দেবার সাহস আমার বা দিশার নেই। তবে আপনার প্রস্তাব আমার মনে ধরেছে। আমি অন্যভাবে চেষ্টা করবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
............................................
ধন্যবাদ। তামাইয়ের বংশীবাদকের মায়ের গল্পটা কী আমরা শুনতে পেতে পারি না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়তে গিয়ে ছ্যাৎ করে উঠলো বুকের মধ্যে। আমার মায়ের গল্প আপনি কোত্থেকে পেলেন? আপনাকে আমি চিনিনা, ভেবেছি আমার পরিবারের কেউ এই নিকে লিখছে নাতো। বারবার পড়লাম, তারপর নিশ্চিত হলাম। না, এটা অন্য পরিবারের গল্প যেটা আমার সমান্তরালে চিত্রায়িত হয়েছে।
মাকে নিয়ে আমিও কখনো লিখিনি, কি লিখবো বুঝি না। একটাই বুঝি আজকে আমাদের ৫ ভাইবোনের দুটি করে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী, সমাজে প্রতিষ্ঠিত অবস্থান সম্পূর্ন আমার মায়ের কঠিন হাতের অবদান। ধনে বড় না হলেও জ্ঞানের পথে গিয়েছে তার সব কজন সন্তান।
মাকে নিয়ে লিখতে পারিনা, অন্যদের লেখাগুলো পড়ি আর চোখ ভিজে যায়। মার জন্য কী করতে পেরেছি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মায়েদের গল্প একই প্রকার। তাই অন্যের মায়ের কথা শুনলে মনে হয় একি আমার মায়ের গল্প নয়!
মায়ের জন্য আসলে কী করতে পারি আমরা? কোন ভাবেই কী আমাদের পেছনে ব্যয়িত মায়ের একটা দিনের প্রতিদান দিতে পারবো? মনে হয় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আসেন না ঘুরে মা'কে নিয়ে কোথাও থেকে! দেখবেন কতো খুশি হন উনি! এবারে আর কথায় না, কাজেও মায়ের জন্য কিছু করেন। আপনার আফ্রীকা ভ্রমনে চেয়ে কম আনন্দ হবে না মায়ের যদি দেশের মধ্যেই ভালো লাগার মতোন কোথাও চলে যান।
লেখাটা অসাধারণ হৃদয়ছোঁয়া, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মা'কে পড়ানোর ব্যবস্থা করুন, ওনার কান্নার জল আশীর্বাদের মতোই খাঁটি!
আপনার পরামর্শ অবশ্যই শিরোধার্য করার মত। ইচ্ছে আছে অমনটা করার। চেষ্টা করব, হবে কিনা জানি না। একটা ঘটনার কথা বলি, যখন এমবিএ করা শুরু করি তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল কনভোকেশনে মাকে নিয়ে যাব। কিন্তু কনভোকেশনের দিন এক অনাকাঙ্খিত ঘটনায় মা আর আসতে পারলেন না। সেই থেকে মাকে নিয়ে অমন কিছু ভাবলেই মনটা কু-ডাক ডাকে। আমি জানি অমন ভাবার কোন ভিত্তি নেই, তবু মন মানে না।
এই লেখাটার প্রিন্ট আউট এতক্ষণে আমার মায়ের কাছে পৌঁছে যাবার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- কিছু কিছু সিদ্ধান্ত সিক্সথ পাণ্ডব 'হঠাৎ'ই নিতে হয়, বুঝে সুঝে সবদিক বিবেচনা করে নিলে হয়তো কখনো সেটা নেয়াই হয় না। মা'কে নিয়ে কোথাও যাওয়ার ব্যাপারটাও তেমনি। একদিন হঠাৎ করেই মা'র কাছে হাজির হয়ে বলুন না, পরনে যা আছে তাই পরেই চলো মা। দুইটা দিন শুধু তোমার আর আমার। ব্যস বেরিয়ে পড়ুন মা কিংবা আপনার কোনো পছন্দের জায়গায়। এই দুদিনে কোনো মহাভারতই অশুদ্ধ হয়ে যাবে নারে ভাই। কিন্তু কিছু উপরি পাবেন। পাবেন মনের 'না করতে পারার' কষ্টটা থেকে মুক্তি! বিশ্বাস না হলে লাগেন বাজী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার মাকে সালাম, শ্রদ্ধা।
আপনার মা-সহ পৃথিবীর সব মাকে আভূমি নত হয়ে সালাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কী বলবো পাণ্ডব'দা, অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করছে, আবার ঠিক গুছিয়েও উঠতে পারছি না। আমাদের মা'য়েরা কেন যেন এমনই হয়, আর আমরাও এমনই। তারপরও আশ্রয় বলুন, নিরাপত্তা বলুন, আমাদের সমস্ত শক্তি-প্রেরণা-উৎসাহের ভাণ্ডার কিন্তু আমাদের মা-ই। কখনো কখনো মা'য়ের অস্তিত্বকে আমাদের চারপাশের বাতাসের মতোই মনে হয়—স্বাভাবিকভাবে অনেক সময় টের-ই পাই না, অথচ কী ভীষণ প্রয়োজনীয়, কী অপরিসীম স্বস্তিদায়ক এই উপস্থিতি।
হীনমন্যতায় ভুগবেন না, দাদা। আমরা নিজেরা নিজেদের না বুঝলেও আমাদের মা'য়েরা কিন্তু ঠিকই বোঝেন আমাদের। বোঝেন আমাদের ভালোবাসা বা শ্রদ্ধাটুকুও। আপনার মা'ও নিশ্চয়ই এর ব্যতিক্রম নন।
হয়তোবা ব্যাপারটা খুব বেশি কঠিন হয়ে যাবে আপনার জন্য, তারপরও অনুরোধ করি, সম্ভব হলে আপনার মা'কে নিয়ে লিখুন আরো। এমন মা'দের কথা আমাদের সবার জানা উচিত। সবারই গর্ব করা উচিত।
ভালো থাকবেন।
আপনার পর্যবেক্ষণ অসাধারণ। মায়েরা আমাদের চারপাশে বাতাসের উপস্থিতির মত। বাতাসটা না থাকলেই কেবল এর গুরুত্ব বুঝতে পারি।
এ'কথাও ঠিক যে সন্তানের মন মা-ই ভাল বোঝেন। আমাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসাও তাঁরা বুঝতে পারেন। তবে এ'কথা কি ঠিক নয় যে প্রকাশযোগ্য সকল শ্রদ্ধা-ভালোবাসাই মায়েদের মর্যাদার সাপেক্ষে অকিঞ্চিতকর?
আমি জানি না আবার কবে, কীভাবে মায়ের কথা আবার লিখতে পারবো। আমার মনে হয় সচলের প্রত্যেকে যদি তাদের মায়েদের নিয়ে একটু একটু করে লিখেন তাহলে আমরা একটা অসাধারণ সঙ্কলন/ই-বুক পেয়ে যাব। মায়েদের গল্পগুলোতে মিল অনেক, তাই এক মায়ের গল্প থেকেই আরো অনেক মায়ের কথা আমাদের জানা হয়ে যাবে। মায়েদের প্রতি অকিঞ্চিতকর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা কী এইটুকু করতে পারি না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার প্রস্তাবটা খুবই মনে ধরলো, পাণ্ডব'দা। আসলেই, চাইলে কিন্তু সহজেই একটা 'মা' সংকলন বের করা যায় সচলায়তন থেকে। এ ব্যাপারে কেউ সিরিয়াসলী ভেবে দেখতে পারেন। যে কোন রকম সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি।
আমার অবস্থান আপনার মত। তবে এগুলো কীভাবে করে তাতো জানি না। মডুরা বলতে পারবেন। তবে তার আগে সচলদের মধ্যে এমন সংকলনের চাহিদা বা দাবী থাকাটা মনে হয় জরুরী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব কষ্ট পেলাম পড়ে, খুব ই। আমি ঘর পালানো আজ অনেক বছর হল, মা ফোন করলেই বলেন দেশে চলে যেতে, তার সাথে থাকতে। আমি সাত পাঁচ বুঝিয়ে কাটিয়ে দেই। ভালো করেই জানি একদিন এই কথা গুলো ভেবে অঝোরে কাঁদব, তবুও কেন যেন করা হয়ে ওঠেনা যা করা উতিৎ।
দেশত্যাগ না করলেও ঘর ছাড়ার গ্যাঁড়াকলটি কী জিনিষ তা বুঝি। আপনাকে কী ধরণের ভিতরের-বাইরের দ্বন্দ্বের মধ্যে কাটাতে হয় তাও বুঝি। কিন্তু এই লানতের জীবন থেকে পরিত্রানের উপায় জানি না।
শুধু নিজের গ্লানির কথা স্বীকার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এতে অযাচিতভাবে আপনিসহ আরো অনেকের মনোকষ্ট বাড়ানোর কারণ হয়ে গেছি। আপনাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"মা" যে কি জিনিস, সেটা আমার মতো করে কাউকে এমন তীব্রভাবে,একাকীত্বে অনুভব না করতে হয়, এই কামনা করি । কখনই বাবা রা মা হতে পারেন না কেন, তার খুব ভালো উত্তর আজকের সচলের সবক'টা লেখায় দেওয়া আছে বোধ করি। পরপারে যাওয়ার বাস্তবতার আগেই কিছু করুন মা'র জন্য। লেখা যায় পাতার পর পাতা , সত্যটাকে সামনাসামনি করার মুশকিলটাই হলো ও ই অকৃতজ্ঞ, কুলাঙ্গার হওয়ার সুবিধেটাকে ঝেড়ে ফেলা, আমি পারিনি, আপনি কি পারবেন? ভালো থাকুন।
হ্যাপি মাদারস ডে
উপরে অতন্দ্র প্রহরীর মন্তব্যে দেখবেন তিনি মা-কে আমাদের চারপাশে থাকা বাতাসের সাথে তুলনা করেছেন। এই বাতাস কোন ভাবে, কোন প্রকারে উপস্থিত না থাকলেই এর গুরুত্ব তীব্রভাবে অনুভূত হয়। আপনার অনুভূতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখেই বলছি, আমাদের সবার অনুভূতিই unique, কোনটাই অন্যটার সাথে তুলনীয় নয়। অন্যের প্রতি আপনার শুভকামনা সফল হোক।
বাবা-মায়ের মধ্যে তুলনাটা আমার কাছে বালখিল্য মনে হয়। আমাদের বাবারা কী জিনিষ আশা করি বাবা দিবসের লেখাগুলোতে তার প্রমাণ পেয়ে যাবো।
অকৃতজ্ঞ, কুলাঙ্গার হবার সুবিধাটুকে ঝেড়ে ফেলার মনটা আছে আপনার-আমার-সবার। চেষ্টাও আছে। নিশ্চিতভাবেই তা যথেষ্ঠ নয়। কোনভাবেই মায়ের জন্য কোন কিছু করা যথেষ্ঠ নয়।
আপনার লেখাটা পড়লাম। বলার কিছু নেই, থাকতে পারে না। কবিদের সুবিধা এই, সহজ কথায়, সাধারণ শব্দে-বাক্যে অসাধারণ সব কথা অবলীলায় বলে দিতে পারেন। আমার মত নিম্নশ্রেণীর গদ্য-লেখকদের সেই সুবিধা নেই।
পুনশ্চঃ কিছু মনে করবেন না। পাঠক যখন লেখকের কাছে প্রশ্ন রাখেন তখন তার উত্তর দেবার দায় লেখকের উপর বর্তায়। সেই উত্তর দিতে প্রশ্নের উপর বার বার cursor রেখে প্রশ্ন পড়াটা একটু অসুবিধাজনক হয়ে যায় না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল এ-তো আমার মায়ের গল্প। ঘটনার ভিন্নতা আছে হয়তো। কিন্তু একই আবেগ, একই অনুভূতি। বুকের ভেতরটা একেবারেই এলোমেলো করে দিলেন পান্ডবদা'!
মা-তো মা-ই। সে আপনার হোক আর আমারই হোক। তাদের গল্পগুলোতে তাই এমন অসম্ভব মিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মা'কে নিয়ে যে কথা অন্য পোস্টে বলেছি, এখানেই তাই বলি।
অভিনন্দন!
শুধু জন্মটুকু দেয়ার জন্যই তো মায়ের ঋণ সারা জীবনেও শোধ হবার নয় ! বাদবাকি যা করে যান মায়েরা, সেটা হিসাব করলে একজন্মের জন্য কত হাজার জন্মের দরকার বলেন তো !
এজন্যই পৃথিবীর এই অবিকল্প সত্ত্বাটিকেই 'মা' বলা হয়। মহাকাল আজো যে মায়ের বিকল্প বানানোর নিয়ম আয়ত্ত করতে পারে নি। কখনো পারবে কি ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, অল্প কথায় যা বললেন তাতে নির্বাক হয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চোখে পানি চলে আসল... একি আমারও গল্প নয়?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অবশ্যই আপনারও গল্প। মায়েদের গল্পগুলো তো কম-বেশি একই প্রকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কালকে সারাদিন বসে বসে মা দিবসের পোস্ট গুলো পড়তে পড়তে মায়ের জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেছিলো। হুট করেই বিকালে মিরপুর গিয়ে গাট্টি বোচকাসহ আম্মাকে নিয়ে আসলাম আমার বাড়িতে। মা কদিন পরেই আমেরিকা চলে যাবে। আবার কবে পাবো জানি না। কয়দিন ব্যাপক আনন্দে থাকি আম্মার সাথে।
আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই না হল নজরুল! কোন গলাবাজীতে নেই, ঘ্যানা-প্যাঁচাতে নেই, একেবারে ডাইরেক্ট অ্যাকশান। আশা করি আপনার সামনের দিনগুলো আনন্দে কাটবে।
পুনশ্চঃ ইস্কাটনে চলে আসলেন আর প্রতিবেশীর একটু খোঁজ নিলেন না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সে এক পাথর কেবলই লাবণ্য ঝরে....
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখান আমার জন্য করা পোস্টারে আমার ছবির নিচে কবি বিদুর লিখে দিয়েছিলেন আবুল হাসানের এই লাইনটি। আজ আপনি আবার একই কথা বললেন। কবিরা সংবেদনশীল বলেই বোধহয় তাদের অকপট প্রকাশের ভাষাও এক প্রকার হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নিজেকে কুলাঙ্গার ভাবি, অপদার্থ ও! কী যে করি!!!
s-s এর ভাষায় বলি, এই সুবিধাটুকু ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অপরাধবোধে ছেয়ে গেল মন।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
কষ্ট ছাড়া মাকে বোধকরি আর কিছুই দিতে পারিনি। ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায়, একটা সময় ছিল মা পাশে নেই ভেবে পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যেত; আর এও দীর্ঘ ১৬ বছর মাকে ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম আনন্দে(!)। কয়বার খবর নিয়েছি মায়ের...অথচ এখনো জন্মদিনে প্রথম ফোনটি মায়ের, শরীর খারাপ হলে সবার আগে কোনো এক অজানা মন্ত্রে মা জেনে যান...।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
কিছুই বলতে পারলাম্না...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আজ মা দিবসে আম্মুর দিন নিত্য দিনের মতো কেটে গেল... দিনশেষে এক কাপ চা বানিয়ে খেতে দেয়া ছাড়া তেমন কিছু করিনি আম্মুর জন্য।
একটা লেখা দু লাইন লিখে আর লিখতে পারিনি কেন যেন...
পারিনা আম্মুকে নিয়ে কিছু লিখতে, সব এলোমেলো হয়ে যায় অজান্তে...
আমি প্রি-ম্যাচুয়ের্ড বেবী ছিলাম... আমার জন্য আম্মুর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল... কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে দিতে হল...
আরো কত ত্যাগ...
মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এসব ভাবলে...
এ লেখা পড়ার অনুভূতি ঠিক বোঝাতে পারবোনা ভাইয়া...
চাপা একটা কষ্ট হচ্ছে ভেতরে...
-------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
কুঁকড়ে গেলাম।
আমার মা কখনো সমুদ্র দেখেননি, সমুদ্রে অবগাহন করেননি। আমি গত সপ্তাহে সমুদ্রে নেমেছিলাম, অফিসের প্রোগ্রামে অঙ্গশ নিতে যেয়ে। সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, এই বর্ষায় মাকে সমুদ্র দেখাব। ঢাকা এসেই আগে আম্মুকে ফোন দিয়ে জানিয়েছি, ব্যাগ আর মন গোছাতে। জুনে সমুদ্র যাব মাকে নিয়ে।
এই লেখাটি আপনার মন্তব্যের লিঙ্ক এ পেয়েছি। পুরো লেখা আর মন্তব্যগুলি পড়েছি। যা কিছু বলার ছিল, বলা হয়ে গেছে আর যা বলা হয়নি তাও অনুভূত হয়েছে পড়ে।
মাকে নিয়ে ভালো থাকবেন সবসময়।
নতুন মন্তব্য করুন