রোজ দুপুর দু’টায় সায়েন্স ল্যাবের মোড় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। যেদিন বিকেলে প্রাকটিক্যাল ক্লাস থাকে সেদিন হয়তো সাড়ে চারটায়। এমনিতেই সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত-আজিমপুরের দিকে যাবার বাস খুব কম তার ওপর এই লাইনের বেশির ভাগ বাস চাঁনখাঁর পুলের পর আর যায় না। এই ভরদুপুরে খালি পেটে চাঁনখাঁর পুল থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বাকি পথটুকু আর হাঁটতে ইচ্ছে করে না। কয়েক মিনিট হেঁটেই য...রোজ দুপুর দু’টায় সায়েন্স ল্যাবের মোড় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। যেদিন বিকেলে প্রাকটিক্যাল ক্লাস থাকে সেদিন হয়তো সাড়ে চারটায়। এমনিতেই সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত-আজিমপুরের দিকে যাবার বাস খুব কম তার ওপর এই লাইনের বেশির ভাগ বাস চাঁনখাঁর পুলের পর আর যায় না। এই ভরদুপুরে খালি পেটে চাঁনখাঁর পুল থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বাকি পথটুকু আর হাঁটতে ইচ্ছে করে না। কয়েক মিনিট হেঁটেই যদি বাড়ি যাবার গোটা পথ শেষ করা যেত তাহলে কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু তাতো হবার নয়। গুলিস্তান থেকে প্রায় মারামারি করে বাস ধরতে হয় নারায়ণগঞ্জ যাবার জন্য। সকালে যেমন কমলাপুরে বিআরটিসির বাসের কণ্ডাকটর-হেলপারদের সাথে মারামারি করতে হয় ফার্মগেট রূটের বাসকে সায়েন্স ল্যাব রূটে যেতে বাধ্য করার জন্য। বাসে চাষাঢ়ার মোড়ে নেমে আবার হাঁটা। তারপর বাড়ি। তারপর কপালে খাওয়া জোটে। কোন কোন দিন মনটা একটু বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। সেদিন নিউমার্কেটের ওভারব্রীজের নিচের স্ন্যাকসবার থেকে চপ-বন খাওয়া হয় বাস ভাড়া দিয়ে। তারপর কোলরিজের অ্যানশিয়েন্ট মেরিনারের মত কঠোর রোদ মাথায় নিয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত হাঁটা। যেদিন রোল থার্টি টু সাথে থাকে সেদিন একটু বিব্রতকর অবস্থাতে পড়তে হয়। শ্যামবাজারে যাবার জন্য থার্টি টু একসাথে গুলিস্তানের বাসে উঠতে চায়। একসাথে বাসে উঠলেই বিপদ। দু’জনের বাসভাড়া কে দেবে। রোজ রোজ থার্টি টু’র পয়সায় বাসে উঠতেও লজ্জা। তারচেয়ে ক্লাস শেষ হতে ওকে ফাঁকি দিয়ে কেটে পড়াই ভাল। ইবনে জায়েদ-ইবনে আয়াজ-এর মত অদ্ভূত নামের পাঞ্জাবীর দোকানগুলোর সামনে থেকে ধামরাই-গুলিস্তানের বাসে কোনক্রমে উঠে পড়তে পারলে স্বস্তি। কপাল ভালো থাকলে বাস আজিমপুর মোড়ে থামলে বসার জায়গাও মেলে। গাউসিয়ার সামনে দিয়ে যাবার সময় চলতি ফ্যাশনের ম্যাজেন্টা সালোয়ার-কামিজের ঢেউ বড্ড চোখে লাগে। ঠিক এর আগের হলুদ-কালো কম্বিনেশনের মধোতি-শর্ট কামিজই বরং ভালো ছিল। কেমন একটা একটা উৎসব উৎসব ভাব মনে আসত। পাকস্থলীর শুন্যতাটা তখন বুকের বাম দিকে স্থানান্তরিত হয়। নীলক্ষেত মোড় আসলে আবার অন্য অনুভূতি। ফুটপাথে থরে থরে সাজানো পুরোনো বইয়ের বিলোল কটাক্ষে বুকের বামপাশটা টনটনিয়ে ওঠে। এ’মাসেও নীলক্ষেতে নামা হবে না। যাওয়া হবে না পল্টনে পার্টি অফিসের সামনের চাদর বিছানো দোকানগুলোয়। অথবা স্টেডিয়াম মার্কেটের দোতলার হাক্কানী-ষ্ট্যাণ্ডার্ড-প্রভিন্সিয়ালে। গোলাম রহিম কাজীর স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যার বই দু’টো কিনতে হবে। বোর্ডের স্কলারশীপের টাকাটা এখনো আসেনি। রোজ কলেজের কেরানীর কাছে গিয়ে খোঁজ করতে এক রাশ লজ্জা ভর করে। বাসে উঠলে রোজ এক ধরণের ঘটনা। খুচরো পয়সা নিয়ে কণ্ডাকটরের সাথে বচসা। নিচু ছাঁদ আর ভাঙ্গা-চোরা সীটের জন্য বাস মালিককে গালাগাল। কাশির জন্য পেপারমিন্ট পাঁচরকমের শীষওয়ালা কলম আগরবাতির প্যাকেটের মত পলিথিনের প্যাকেটে আইসক্রীম সহজ নামাজ শিক্ষা দাঁতের মাজন। এবার বন্যা এলে আর রক্ষা নাই। আইয়ুব খানের আমলই এরচেয়ে ভাল ছিল। বাস আজিমপুর থেকে পলাশীর পথ ধরে। প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে ধরে ছুটে যায় বখশীবাজার মোড়ের দিকে। একদিন হঠাৎ বাসে কলরব ঠিক পিঠের কাছটাতেই। ডানহাতে কায়দা করে বাসের রড আর বাঁহাতে ফাইলটা চেপে ঘুরে দাঁড়াতে মারমুখো দুই যাত্রী আর কাঁচু-মাচু এক পকেটমার। টাকা মেরে সেরে উঠতে পারেনি। পাশের সীটের দিকে ফেলে দিয়েছে। বাতাসে উড়ে যাওয়া টাকা থামাতে জানালার পাশের যাত্রী হাত বাড়ায়। সাথে সাথে তার হাত খপ করে চেপে ধরে দুই মারমুখোর একজন। ব্যাখ্যা সহজ - কাঁচু-মাচু আর জানালার পাশ পরস্পর সহযোগী। জানালার পাশ যতই নিজের সম্পর্কহীনতা ঘোষনা করুক দুই মারমুখো তাতে কান দেবার লোক না। সামনে পেছনে পাশের সীটে বসা আর দাঁড়ানোরাও জানে জানালার পাশ নির্দোষ। কিন্তু দুই মারমুখোকে দেখে কারো মুখে আর শব্দ ফোটে না। বাস চাঁনখাঁর পুল আসতে কাঁচু-মাচু আর জানালার পাশকে মারতে মারতে বাস থেকে নামায় দুই মারমুখো। ড্রাইভার হুশ করে বাস ছেড়ে দেয়। বাসের ভেতরটা অকারন কলরবে ভরে ওঠে। সবার মতামত কাঁচু-মাচুই দোষী জানালার পাশ নির্দোষ। অথচ এতক্ষণ মুখ ফুটে এ’কথা কেউ বলেনি। একই রকম আরো দশটা পুরনো ঘটনার গল্পে বাসটা ভরে ওঠে। ময়লা কাপড় পরা ঘামে জ্যাব জ্যাবে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি হলুদ দাঁত ঘোলাটে চোখ নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বাসভর্তি মানুষগুলোকে আর মানুষ বলে মনে হয় না। সবগুলোকে গা ঘিন ঘিন করা কেঁচো বা শুঁয়োপোকার মত লাগে। বাস গুলিস্তান এসে যায়। ঢাকা কলেজের সামনের দোজা মার্কেট থেকে কেনা স্ট্রাইপড শার্ট বঙ্গবাজার থেকে কেনা জীনস আর গুলিস্তানের বাটার ক্লিয়ারেন্স সেলের দোকান থেকে কেনা বাইসাইকেল স্যু পরা ফাইল হাতে একটা কেঁচো অথবা শুঁয়োপোকা ধামরাইয়ের বাস স্ট্যাণ্ড থেকে নারায়ণগঞ্জের বাসের দিকে হাঁটতে থাকে।
*******************************************************************
মন্তব্য
গল্পটি ইচ্ছাকৃতভাবে এক প্যারাগ্রাফে লেখা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক কিছু তুলে এনেছেন গল্পতে। মনে হল মহাকালের স্রোতে জীবনের একটুকরো বিজ্ঞাপন।
যে কথাটি বলতে চাইনি পাঠকদের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে সে কথাটি না বললে ভুল বোঝাবুঝি থেকে যাবে।
অনেকদিন ধরে একটা উপন্যাস লেখার চেষ্টা করছি। হয়ে উঠছেনা। টুকটাক যা লেখা হয়েছে সেগুলো ছোট গল্পের চরিত্র অর্জন করেনি। আবার এই টুকটাকগুলোকে ধারাবাহিক হিসেবে দেয়াও সম্ভব না, যেহেতু উপন্যাসের কাঠামোটা দাঁড়ায়নি। তাই টুকটাকগুলো অণুগল্প হিসেবে চালাবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্র-প্রেমিকের সাথে একমত।
মনটা উদাস হইল আপনার লেখা পড়ে, জীবন যুদ্ধরত এক সৈনিকের গল্প, অসাধারণ, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ। পরের পর্ব বলে কিছু নেই। প্রতিটি পর্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহ্, বেশ লাগল। স্বল্প পরিসরে অনেক কিছু তুলে এনেছেন।
ধন্যবাদ। পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা তো যথারীতি দারুণ উপাদেয়! কিন্তু এটা অনুগল্প হলো কি? শেষের দিকে একটা "কিক" আশা করছিলাম, এই আর কি...
অণুগল্পে ছোটগল্পের মত কিক নাও থাকতে পারে। একটা দৃশ্যকল্প বা একটা ভাবনা পাঠককে ধরিয়ে দেয়া গেলেই অণুগল্পের চলে, ছোটগল্পকে তখনো আরো কিছু পথ হাঁটতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব ভালো লাগলো, পরিণত শৈলী আর সস্তা চমকের লোভ না থাকায় চমৎকার লাগলো।
এতো ভালো লেগেছে বলেই বানানের কথা তুলছি:
শূন্যতা, অদ্ভুত, ছাদ, দাড়ি।
রূট হওয়া উচিত রুট, স্কলারশীপ-এ হ্রস্ব ই। বিদেশি শব্দে সাধারণত হ্রস্ব কার লাগানো হয়, যদি না কোনো বিশেষ কারণ থাকে, যেমন এই গল্পে ব্যবহৃত সীট, এখানে উচ্চারণের জন্যই দীর্ঘ ঈ কার দরকারি।
ধন্যবাদ। অদ্ভুত, ছাদ, দাড়ি ভুল হয়েছে বারবার ফরমাট পাল্টানোর সময়। শূণ্যতা নাকি শূন্যতা আমার সন্দেহ যায় না। নিয়মটি দয়া করে মনে করিয়ে দিন, আশা করি বাকি জীবনে ভুলবনা। আমার মতে রূট ঠিক, স্কলারশিপ ঠিক। ইংরেজী ইউ-এর জন্য হ্রস্ব-উকার হলে ও-ইউ বা ও-ও'র জন্য দীর্ঘ-উকার হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেমন ই-এ'র জন্য দীর্ঘ-ইকার হওয়া ঠিক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শূন্য বানান এমনিতেই জটিল, এর মধ্যে ণ এনে আর জটিলতা বাড়াতে চাইনা-- এভাবেই মনে রাখি শূন্য বানানে ণ নেই।
- প্রতিবিম্ব!
দারুণ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি তো দারুন বুদ্ধিমান!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটাকে গল্প-প্রচেষ্টা বলে খাটো করার জন্য লেখককে মাইনাস দাগানো হলো !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, লিখতে চেয়েছি উপন্যাস কিন্তু হয়ে উঠছেনা। উপন্যাসের ছেঁড়া পাতা কী গল্প হয়? তা হয়তো হয় তিন বন্দোপাধ্যায় বা জন স্টাইনবেকের ক্ষেত্রে। আমার মত মানুষের ক্ষেত্রে তাকে গল্প-প্রচেষ্টা বলা ছাড়া উপায় নেই। এবার প্লাসই দেন আর মাইনাসই দেন, কিছু করার নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গল্পটা এত ব্যাপ্তিময় আর গভীর, আর আপনি নাম দিছেন অণুগল্প! এইটা কিছুতেই অণুগল্প হৈতে পারে না। কাভী নেহী।
পিপি আর রণদা'কে দেয়া জবাব থেকে আপনার উত্তরটা এতক্ষণে পেয়ে গেছেন নিশ্চয়ই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুঁয়াপোকা হবে মনে হচ্ছে আমার কাছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শুঁয়াপোকা গত বাইশ বৎসরে প্রজাপতি হতে পারেনি। তাই কেঁচোই ঠিক হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুঁয়াপোকা থেকে প্রজাপতি হয়না । শুঁয়া পোকা থেকে হয় পিউপা । পিউপা থেকে প্রজাপতি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শুঁয়াপোকা পরিণামে প্রজাপতিই হয়। মাঝখানে মূককীট হবার একটা অন্তর্বর্তীকালীন কোকুন-আবদ্ধ বোবা-পর্ব থাকে কেবল। এই পথটুকু যে বাইশ বৎসরে পাড়ি দিতে পারেনা সে তো কেঁচোই হবার কথা। কেঁচোর জীবনচক্রের বেশিরভাগ সময় তার চেহারা একই রকম থাকে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অণু কিংবা মেগা - গল্পটা দারুণ!!
ধন্যবাদ।
মাথার ভেতর কেবল ঘোরাঘুরি করে শলোখভ-পুইগ-বোরহেস। প্রথমজন লিখে ফেলেন মহাকাব্যিক মহাউপন্যাস, দ্বিতীয়জন লেখেন একের পর এক উপন্যাস - একেক ভাষায়, একেক ফরমাটে, আর তৃতীয়জনের আর উপন্যাস লেখা হয়ে ওঠে না। আমি এখনো চেষ্টার স্টেজে। কী হবে, আদৌ কিছু দাঁড়াবে কিনা কিচ্ছু জানি না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইসব খুচরো জীবনকথার আড়ালেই তো আছে মহাজীবনের দীর্ঘব্যাপ্তি। উপন্যাসেই সেই দীর্ঘতা পূর্ণ হউক।
ধন্যবাদ। চেষ্টা চালানোর চেষ্টা করছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কী অসাধারণ গল্প!!!!!!!
ধন্যবাদ। তবে আপনার প্রশংসার মাত্রা দেখে আমি নিজে একটু বিচলিত। আসলেই কি অসাধারণ কিছু হয়েছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ। আপনার টেরা-উপন্যাসের কী হল? অবশ্য একটু দম নিয়ে যদি পর পর পনের-বিশ পর্ব নামিয়ে দেন তাহলে মন্দ হয় না। শুধু আপনার বাঙালী প্রতিবেশীটির সাথে চা খেতে যাবেন না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠদা, গল্পটা কোন সময়টাকে পোট্রেট করছে? লেট নাইটিজ?
বখশীবাজার না বকশীবাজার?
প্রচেষ্টা মনোরম।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সময়কাল লেট এইটিজ।
"বখশীবাজার না বকশীবাজার?" - দুই রকম বানানই দেখেছি। আমি এ'নিয়ে নিঃসন্দেহ নই।
প্রচেষ্টা চললে এবং কিঞ্চিত আলোর মুখ দেখলে মনোরম কিনা বলতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটা উপন্যাস হয় কিন্তু
চেষ্টা করুন না
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চেষ্টা করার চেষ্টা করছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই পর্বটাও ভাল লেগেছে !!
দিশা___
আরো একবার গল্পটা পড়লাম। আবারো মনে হয়েছে কী অসাধারণ গল্প! হয়তোবা গল্পটা খুব সাধারণ কিন্তু আপনার লেখার কারণে অসাধারণ লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন