Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

ব্যর্থ প্রয়াস - অহমীয়া গল্পের রূপান্তর-০২

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ০৬/০৭/২০০৯ - ৫:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শনিবার ওর কোন প্রাকটিক্যাল ক্লাশ থাকেনা। থিয়োরী ক্লাশ ১১:৩৫-এ শেষ হয়ে যায়। এরপর ওর বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু ওকি সরাসরি বাড়ি ফেরে? ও কোথায় যায়? যেহেতু দিনটা সপ্তাহের শেষদিন তাই ওকি ঘন্টা দুই অন্য কোথাও কাটানোর কথা ভাবেনা? শনিবারের এইসময় আমি যেমন সচরাচর করিনা অমন অন্যকিছু করার কথা ভাবছি, আইরিনও কি তেমন কিছু ভাবছে না?

আজ আইরিনের পিছু নেব। আমার ধারণা পৌনে বারটায় কলেজের মেইন গেটের সামনের আমলকী গাছের কাছে ও আসবে। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার আগে ঊনিশ-কুড়ি বছর বয়সী সব মেয়েই পনের-বিশ মিনিট বন্ধুদের সাথে গল্প করে। আইরিনের বয়স বিশ। ও-ই বা কেন মিনিট বিশেক গল্প করবেনা?

আজ কিন্তু দেখা গেল আইরিন বেশি সময় নেয়নি। মুহূর্তের মধ্যে ও রাস্তা পার হয়ে একটা রিকশা নিয়ে নিল। কিন্তু রিকশাটা তার বাড়ির রাস্তা না ধরে সোজা উল্টোদিকে বাজারের রাস্তা ধরল।

আমার পরণে পুরোনো একটা পাঞ্জাবী, ঢিলে পাজামা আর মুখ-ঢাকা হেলমেট। একটা পুরোনো স্কুটারে করে গজ দশেক পিছন থেকে আমি আইরিনের পিছু নিলাম। আমি সচরাচর এমন পোশাক পড়িনা, এতে একটু অস্বস্তি হচ্ছে। তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত এই পোশাকে আইরিন আমাকে চিনতে পারবেনা।

আইরিনের পরনে চমৎকার কম্বিনেশনের কামিজ-চুড়িদার। হালকা বাতাসে ওর ওড়না উড়ে যেতে চাইছে। বেগুনী রঙের এই পোশাকে ওকে কেমন যেন অচেনা লাগছে। রিকশার ক্যাঁচক্যাঁচ আর বাতাসের দুষ্টুমীতে আইরিন বিরক্ত হচ্ছিল। আমার কাছে গোটা ব্যাপারটা দেখতে ভালই লাগছিল। আমি একজন দক্ষ শিল্পীর তন্ময়তা নিয়ে আইরিনকে দেখছিলাম, যেন আমার মনেই নেই আইরিনের সাথে আমার সম্পর্ক কী।

আমার স্কুটারের ধীর গতির জন্য উল্টোদিক থেকে আসা একটা মোটরসাইকেল আর পাশ কাটানো দুটো সাইকেল ধমকে উঠল। আসলে একটা স্কুটার থেকে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে একটা রিকশার পিছু নেয়া সহজ না। আরো কঠিন সেক্ষত্রে নিজেকে লুকিয়ে রেখে চলা। আমার বার বার সিগারেট ধরাতে বা রিকশাটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু অমন কিছু না করে আমি সাবধানে দূরত্ব বজায় রেখে এমন ভাবে আইরিনের রিকশাটার পিছু পিছু যেতে থাকলাম যেন ও আমাকে দেখতে না পায়।

রাস্তায় লোকজনের কারণ-অকারণ ব্যস্ততা, অফপিরিয়ডে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে আসা কলেজ পড়ুয়াদের হঠাৎ রেষ্টুরেন্টে ঢুকে পড়া, সকালের ফ্লাইটে আসা খবরের কাগজের বাণ্ডিল নিয়ে ফুটপাথে ছোটা হকারের দল, ট্রাফিক সিগন্যালে অনবরত লাল-হলুদ-সবুজের অনবরত পালটে যাওয়া, অটোরিকশার স্ট্যান্ডে খালি অটোরিকশার থেমে যাওয়া, হাত দেখিয়ে থামানো অটোরিকশার ড্রাইভারের সাথে যাত্রীদের দরাদরি তারপর বিরক্ত হয়ে বাস বা রিকশার খোঁজ।

এমন সময় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অটোরিকশার পাশে আইরিনের রিকশাটা আস্তে থেমে গেল। আমি তাড়াতাড়ি একটা বহুতল ভবনের নিচতলার পার্কিং-এ স্কুটারটা ঢুকিয়ে বেরিয়ে আসলাম। দেখি রিকশা ছেড়ে আইরিন একটা অভিজাত হোটেলের দিকে হাঁটা দিয়েছে। অজানা ভয়ে আমার বুকটা কেঁপে উঠল। এ’সমস্ত দামী হোটেলে পনের মিনিটের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে! এখানে এক রাতের মধ্যে কত কিছু হয়ে যায়! আইরিনের এখানে কী কাজ?

একবার মনে হল চেঁচিয়ে ওকে সতর্ক করে দেই। কিন্তু মাথা যখন পুরো মুখঢাকা হেলমেট থাকে তখন কাউকে ডাকা অসম্ভব। যেই মাত্র আমি হেলমটটা খুললাম, তখনই দেখতে পেলাম আইরিন হোটেলটাতে না ঢুকে ব্যাগ থেকে এক তাড়া কাগজ বের করতে করতে পাশের একটা ফটোকপির দোকানে ঢুকছে। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে একটা সিগারেট ধরিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম ওর ফটোকপি করা শেষ হবার অপেক্ষায়। সিগারেট শেষ করে আমি মাথায় আবার হেলমেট চাপালাম। দোকান থেকে বের হয়ে আইরিন একবার আমি যেদিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেদিকে একবার তাকাল। কিন্তু আমার মনে হল ও আমাকে দেখতে পায়নি।

এবার ও কাছের একটা ওষুধের দোকানে ঢুকল। আমি পরিষ্কার দেখতে পেলাম সে একটা প্রেসক্রিপশন বের করছে। আমি আবার চিন্তায় পড়ে গেলাম। ও কি অসুস্থ্য? কিন্তু ওর যদি শারীরিক কোন অসুবিধা থাকত তাহলে তো আমার জানার কথা! ওর প্রেসক্রিপশনটা দেখার খুব ইচ্ছে হল। কিন্তু এই মুহূর্তে ওর মুখোমুখি হবার সাহস হল না। ওষুধের দোকান থেকে ও বের হতেই আমি দোকানের সেলসম্যান ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম, “এইমাত্র যে মেয়েটা বের হয়ে গেল ও কী ওষুধ কিনতে এসেছিল”? ছেলেটা আমার দিকে একটু সন্দেহের চোখে তাকিয়ে আমার প্রশ্নটাকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করল। এখন কী করা যায় ভেবে আমি একটু দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। যাই হোক ওষুধের দোকানে আর পীড়াপীড়ি করে সময় নষ্ট করার চেয়ে তাড়াতাড়ি আবার আইরিনে পিছু নেয়াটাকেই ঠিক বলে মনে হল।

ওষুধের দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আইরিন নেই। আমি একটু উদ্বিগ্ন হয়ে ওকে রাস্তার পাশের কসমেটিকের দোকান আর চাইনিজ বারগুলোতে খুঁজতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি ও একটা ফোন বুথে ঢুকে কাকে যেন ফোন করছে। আমাকে যেন দেখতে না পায় এমনভাবে ওর কাছে গিয়ে ফোনের ডিসপ্লেতে দেখার চেষ্টা করলাম কোন নাম্বারে ও ফোন করছে। নাম্বারটা দেখতে পেলাম কিন্তু পরিচিত বলে মনে হলনা। এবার আমি কান খাঁড়া করে শোনার চেষ্টা করলাম ফোনে ও কী কথা বলছে। ঠিক বোঝা না গেলেও আমার মনে হল ওর কথোপকথনে ভয় পাবার মত কিছু নেই।

ফোন বুথ থেকে বের হতেই একটা ওর বয়সী ছেলে ওকে কী একটা নামে ডেকে “কেমন আছো” জিজ্ঞেস করল। আইরিনও দেখলাম হাসিমুখে “ভালো” বলল। আইরিনের যে এমন একটা নাম আছে তাই জানতাম না। ছেলেটা আইরিনকে কফি খাবার জন্য সাধল, আইরিন আবারো হাসিমুখে “সময় নেই” বলে পাশ কাটাল। আমি কাছে দাঁড়িয়েই মুখের সামনে একটা খবরের কাগজ ধরে রেখে গোটা ব্যাপারটা দেখলাম। আমার কাছে এটা ভেবে বেশ ভালো লাগল যে আইরিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মত আচরণ করতে পারছে।

আমি ওর পিছু নেবার পর প্রায় চল্লিশ মিনিট পার হয়েছে। এর মাঝে আমি কখনো হেলমেট মাথায় দিয়েছি, কখনো হাতে নিয়ে হেঁটেছি। কিন্তু আমার ফিরে যাবার কথা মনে হয়নি। আজ মাসের দ্বিতীয় শনিবার, আমার অফিস বন্ধ। সুতরাং আমার হাতে প্রচুর সময় আছে। যেদিন আমার হাতে সময় থাকে সেদিন আমার অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করে। বিভিন্ন দিনে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমার আইরিনকে দেখতে ইচ্ছে হয় - ও কীভাবে কথা বলে, কীভাবে হাঁটে, অন্যদের সাথে কীরকম আচরণ করে।

আজ আইরিনের পারফরম্যান্স বেশ সন্তোষজনক। ওর হাঁটাতে অস্থিরতা বা তাড়াহুড়ো করার ভাব নেই, কথা বলার সময় অনিশ্চয়তার ভাব নেই। আজ ও বেশ একজন অভিজ্ঞ ও দ্বায়িত্বশীল নারীর মত আচরণ করছে। আমার দেখে খুব ভালো লাগল। আমি বেশ সন্তুষ্ট মনে ওকে লক্ষ্য করতে থাকলাম।

এখন ও কোথায় যাবে? হঠাৎ দেখলাম “সিটি নার্সিং হোম” নামে একটা প্রাইভেট ক্লিনিকের সামনে ও দাঁড়িয়ে গেল। এখন কি ও ক্লিনিকে ঢুকে পড়বে? এখানে ওর কী কাজ? আমি আবার চিন্তায় পড়ে গেলাম। দেখি ও ক্লিনিকটাতে ঢুকে পড়ল। আমিও আবার ওর পিছু নিলাম। লম্বা করিডোর পার হয়ে আইরিন আস্তে আস্তে ৮ নাম্বার কেবিনের দরজায় নক করল। আইরিন কেবিনে ঢুকতে আমি করিডোরের অন্য মাথায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। মিনিট পনের পরে আইরিন কেবিন থেকে বের হয়ে গেল। কেবিনে দরজার সামনে দাঁড়ানো একজন অ্যাটেনডেন্টকে জিজ্ঞেস করলাম, “যে মেয়েটা এইমাত্র বের হয়ে গেল সে কে”?

“ও রুবীর বন্ধু”।

“রুবী কে”?

“এই কেবিনের রোগিনীর মেজ মেয়ে”।

আইরিনের রুবী নামের কোন বন্ধু আছে বলে কখনো শুনিনি। অবশ্য আমি ওর ব্যাপারে সবকিছুই জানব এমনটা না-ই হতে পারে। আমি আর সময় নষ্ট না করে ক্লিনিক থেকে বের হয়ে আবার আইরিনের পিছু নিলাম। এখন ও কোথায় যাবে? বাড়ি ফিরবে? দেখা গেল কিছুদূর হেঁটে ও আবার রিকশা নিয়ে কলেজে ফিরল। কিন্তু কেন? শনিবার ১১:৩৫ কি ওর ক্লাশ শেষ হয়ে যাবার কথা না? ওর রুটিন কি বদলে গেছে? নাকি কলেজে এমন কোন কাজ আছে যেখানে ওকে থাকতেই হবে? আমি অনেকক্ষণ কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে শেষে বাড়ি ফিরে গেলাম।

বাড়ি ফিরতেই আমার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, “সারাদিন কোথায় ছিলে”?

আমি একটু হেসে বললাম, “বুঝলে, তোমার মেয়ে আর ছোট্ট খুকীটি নেই। সে এখন একা একা অনেক কাজ করতে পারে। একা একা ফটোকপি করাতে পারে, ওষুধ কিনতে পারে, ক্লিনিকে গিয়ে বন্ধুর অসুস্থ্য মায়ের খোঁজখবর নিতে পারে। ওকে নিয়ে আমাদের আর ভাবনা নেই”। আমি বেশ সন্তোষের সাথে আমার স্ত্রীর দিকে তাকালাম। আমার ক্লান্ত চেহারায় মেয়ের জন্য গর্ব ফুটে উঠছিল।

আমার স্ত্রী কিছুক্ষণ আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলেন। তার দু’চোখ জলে ভরে উঠল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “সমস্যা কী? আমার দিকে এমন অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছ কেন?”

এবার আমার স্ত্রী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন। কান্নারুদ্ধ গলায় বললেন, “তোমার মাঝে মধ্যে কী হয় বলতো? আজ তিন বৎসর হল আইরিন মারা গেছে। আজকেও তুমি অন্য কোন মেয়েকে আইরিন মনে করে তার পিছু নিয়েছ। কেন তুমি এমন কর”!

দোহাইঃ

“ব্যর্থ প্রয়াস” গল্পটি প্রখ্যাত অহমীয়া কবি, ছোট গল্পকার অতনু ভট্টাচার্যের (১৯৬৮-) গল্পের ইংরেজী অনুবাদ “Futile Pursuit”-র বাংলা রূপান্তর। তাঁর কবিতার বইয়ের মধ্যে “সহযোদ্ধা” ও “অশ্লীল রাত্রির কবিতা” অন্যতম।

------------------------------------------------------------------

তারার ফুল - অহমীয়া গল্পের রূপান্তর-০১


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

শেষের ট্যুইস্টটা চমকে দিয়েছে আমাকে!!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখার জন্য অতনু ভট্টাচার্য আর পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষটাই এসে মনটা এমন খারাপ হয়ে গেল। মন খারাপ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার মন খারাপ হয়ে থাকলে তার দোষ অতনু ভট্টাচার্যের।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এনকিদু এর ছবি

অসাধারন !


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কোনটা? গল্পটা নাকি রূপান্তর?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফাহিম এর ছবি

এটা ব্যর্থ প্রয়াস??? ভালোই রসিকতা করেন ভাই...

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

হিমু এর ছবি

গল্পের নাম "ব্যর্থ প্রয়াস" ... Futile Pursuit থেকে ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

শেষের টুইস্টটা কেমন্জানি!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শেষের টুইস্ট ভালো না লাগলে অতনু ভট্টাচার্যকে অভিযোগ করুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শেষটায় এসে মন খারাপ হয়ে গেলো। মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমারও।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাণ্ডব'দা, দুর্দান্ত গল্পটার অসাধারণ অনুবাদ করেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগলে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মারাত্মক হৈছে অনুবাদ। পুরা গুল্লি।



অজ্ঞাতবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। পারলে অতনু ভট্টাচার্যরে "গুল্লি" করেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনাম এর ছবি

শেষটা পড়ে সত্যি একটা ধাক্কা খেলাম। অসাধারণ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। ধাক্কা খেয়েছেন তাও ভালো, মেজাজ খারাপ করেননি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

গল্প তো ভালোই, অনুবাদও চমৎকার।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। গল্প ভালো লেগেছিল বলেই রূপান্তরের সাহস করেছিলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

সুন্দর মসৃণ অনুবাদ। ভালো লেগেছে।

আচ্ছা, অসমীয়া তো দেখতে আর শুনতে প্রায় বাংলার মতনই। এটা পড়তে বা বুঝতে শেখা কতটা কঠিন? আমি আসলে জানি না। যদি বেশি কঠিন না হয়, তাহলে সরাসরি অনুবাদই করা যেত কি... ইংরেজী অনুবাদের থেকে রুপান্তর না করে? এই অনুবাদটা পড়ে এরকম মনে হচ্ছে না, তারপরও আমার সবসময়ই চিন্তা হয়, মূল ভাষা থেকে অনুবাদ না করে আমরা লেখকের কোন একটা সূক্ষ্ণ অনুভূতির প্রকাশটা মিস করলাম কি না।

তাই বলে আবার অসমীয়া শিখতে গিয়ে সিরিজের তৃতীয় গল্প অনুবাদের দেরী যেন না হয়। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

বর্ণমালা প্রায় এক রকম হলেও পড়ে মানে বুঝতে গেলে ভাষাটা জানতে হয় অন্ততঃ কথা বলতে পারার মতো, এইটা টের পেয়েছিলাম অনেক আগে এক অসমীয়া সহপাঠির থেকে বই নিয়ে পড়তে গিয়ে। তবে যাঁরা কিছুটা বলতে-বুঝতে পারেন তাঁরা চেষ্টা করলে হতেও পারে। যদিও এতো ভালো অনুবাদ ঐ রকম অর্ধ-মর্মোদ্ধারের মাধ্যমে বোধ হয় হবে না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অহমীয়া ভাষা নিয়ে প্রথমে অমন চেষ্টাই করেছিলাম। তারপর কী হয়েছিল তার উত্তর আপনার মন্তব্যর উত্তরে মূলত পাঠকের বর্ণনায় পাবেন।

মূল ভাষা থেকে অনুবাদ না করলে লেখকের সূক্ষ্ম কেন স্থূল অনুভূতিও মিস হয়। ভাষাতো সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে গভীর অন্বয়যুক্ত জিনিষ। অনুবাদ কর্মের সময় অনুবাদক সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের যে অংশগুলো তার মনে ঠিক অনুরণিত হয় না সেগুলোকে নিজের সংস্কৃতি দিয়ে প্রতিস্থাপণ করে ফেলেন। তাই কোন অনুবাদই আর অনুবাদ হয়ে ওঠে না। আমি দেখুন অনুবাদ বলিনি, রূপান্তর বলেছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এর একটা কারণ বোধহয় দৃশ্যকল্পগুলো আমাদের অতি পরিচিত দৃশ্যগুলোর সাথে মিলে যায় বলে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দূর্দান্ত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পুতুল এর ছবি

অসাধারণ! অনুবাদ চলুক।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। চেষ্টা চালাচ্ছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফকির লালন এর ছবি

অনুবাদে রস ও বিশ্বস্ততার বিরোধ কিভাবে হ্যান্ডেল করেন। আমি এটা নিয়ে বেশ বিপদে পড়ি।

সুখপাঠ্য। ভালো লাগলো। চলুক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অনুবাদে রস আর বিশ্বস্ততার বিরোধ চিরন্তন। আমি তাই অনুবাদ করার চেষ্টা করি না, রূপান্তর করি। কাজের ধারায় প্রথমে অনুবাদ করার চেষ্টাই করি তারপর পাঠক হিসেবে পড়তে থাকি বার বার। এতে রূপান্তরকর্মটা হয়ে যায়।

আপনার অনুবাদ/রূপান্তর আমার পড়া আছে। তাই আমি জানি আপনার বিপদটা যে জন্য তা জিনিষটা বিশেষতঃ "কবিতা" বলে, অথবা কাব্যিক গদ্য বলে। বিশ্বস্ত অনুবাদ করলে কবিতা কি আর কবিতা থাকে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

আরিফ ভাই

মন্ত্র মুগ্ধের মত পড়লাম।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। গল্পটা এবং অতনু ভট্টাচার্যের বলার ধরণ দুটোই আমার ভালো লেগেছিল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

আঃ, কি বলবো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বলেই ফেলুন না কিছু একটা - ভালো বা খারাপ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

দুর্দান্ত রূপান্তর

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। আচ্ছা "মানিক-১"-এর উত্তরে কী দিতে হয়?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সিরাত এর ছবি

আমার শেষ টুইস্টটা কেন জানি একটু ম্যানিপুলেটভ লাগলো। আমি মানুষটা মনে হয় কম আবেগী বলেই। তাও, দারুণ অনুবাদের জন্য চার! হাসি

চালান ভাইয়া!

আচ্ছা, আপনি অহমিয়া শিখলেন কেমনে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শেষের মোচড় আরোপিত মনে হলে তার দায় অতনু ভট্টাচার্যের, আমার না। রূপান্তর আপনাদের ভালো লাগলেই ভালো, তারা না দিলেও চলবে।

আপাততঃ বিশ পর্ব চালানোর ইচ্ছে আছে। চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আমি অহমীয়া জানি না। শেখার চেষ্টা করেছিলাম। দেখা গেল পড়া যায়, কিন্তু অর্থ ঠিক বোঝা যায় না। সাহিত্যের রস ঐ জ্ঞানে বের করে আনা আরো অসম্ভব।

আমি ইংরেজী থেকে অনুবাদ করেছি। শেষে তা বলেও দিয়েছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

চমৎকার।
নিকট প্রতিবেশী ভাষা হিসেবে অহমিয়া সাহিত্যের সাথে আমাদের চেনাজানাটা আরো গভীর হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার ধারণা অহমীয়া সাহিত্য বাংলায় চেনানোর কাজটা আপনি আরো ভালোভাবে পারবেন। শব্দার্থ না বোঝার জন্য অহমীয়া ভাষা শেখা থেকে আমার পিছিয়ে আসা আপনার ক্ষেত্রে হবে না। কারণ কী তা আপনি জানেন। তাছাড়া আমাকে দিয়ে গল্প লেখা ঠিক হয়ে উঠে না। যা কিছু করি কষ্টসাধ্য প্রয়াস মাত্র। আর গল্প-উপন্যাস-কবিতায় আপনার পদচারণা প্রমানিত সত্য।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বইখাতা [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার অনুবাদ। এরকম অনুবাদ আরো আশা করছি আপনার কাছ থেকে। আর অহমীয়া সাহিত্য সম্পর্কে আমরাও আরো বেশি জানতে পারবো আপনার অনুবাদের মাধ্যমে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।