গল্প প্রচেষ্টা-০৫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১৭/১০/২০০৯ - ৫:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডন চেম্বারের গলির ভেতর থেকে বাম পাটা টানতে টানতে ধর্মতলার মোড়ের জনতা ব্যাংকের সামনে আসতে দীপকের রোজ আটটার বেশি বেজে যায়। বগলের নিচে ক্রাচ থাকলে চলতে আরেকটু সুবিধা হত, কিন্তু ক্রাচ দেখলেই মনটা বিষিয়ে ওঠে - তাই পা টেনে টেনে চলা। আজকাল সকাল আটটা বাজতে না বাজতেই রোদটা যেন তেড়ে-ফুঁড়ে ওঠে। মুখ-চোখ জ্বলে ওঠে, মাথা থেকে কপাল বেয়ে ঘাম নামতে থাকে। আরেকটু সকাল সকাল আসা সম্ভব হত যদি মা ঘুম থে...ডন চেম্বারের গলির ভেতর থেকে বাম পাটা টানতে টানতে ধর্মতলার মোড়ের জনতা ব্যাংকের সামনে আসতে দীপকের রোজ আটটার বেশি বেজে যায়। বগলের নিচে ক্রাচ থাকলে চলতে আরেকটু সুবিধা হত, কিন্তু ক্রাচ দেখলেই মনটা বিষিয়ে ওঠে - তাই পা টেনে টেনে চলা। আজকাল সকাল আটটা বাজতে না বাজতেই রোদটা যেন তেড়ে-ফুঁড়ে ওঠে। মুখ-চোখ জ্বলে ওঠে, মাথা থেকে কপাল বেয়ে ঘাম নামতে থাকে। আরেকটু সকাল সকাল আসা সম্ভব হত যদি মা ঘুম থেকে আরেকটু আগে উঠতে পারতেন। কিন্তু ব্লাড প্রেশার বেড়ে থাকে বলে মা প্রায় সারারাত ঘুমাতে পারেন না, ভোরের দিকে তার চোখ লেগে আসে। কোন সমস্যা হতোনা যদি দীপক নিজেই সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার এগুলো বানিয়ে গুছিয়ে নিতে পারতো। রান্নাবান্না দীপক যে একেবারে পারেনা তা নয়। তবে রান্নাঘরটা এত ছোট যে এটা-সেটা নিতে গেলে বা রান্নার যোগাড়-যন্ত্র করতে গেলে জিনিসপত্র পড়ে ছত্রখান হবার সম্ভাবনা থাকে। এতে মায়ের কাজ বাড়ে বৈ কমেনা। এরচেয়ে মা’র ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষা করাই ভালো।

ব্যাংকের সামনে নারকেল গাছগুলোর আবছা ছায়ায় দাঁড়িয়ে খানপুর বা মিশনপাড়ার দিক থেকে আসা রিকশার অপেক্ষা, যদি কেউ ঢাকেশ্বরী কটন মিল পর্যন্ত যেতে রাজী হয়। রিকশাওয়ালারা সাধারণত অতদূর যেতে চায় না - একেতো রাস্তা খারাপ-আঁকাবাঁকা, মেঘনা রূটের বাসগুলো বেপরোয়া ভাবে চলে, তার উপর ফিরতি পথের যাত্রী পাবার সম্ভাবনা কম। কখনো কখনো খুব ফাঁকা পেলে মেঘনা রূটের বাসে হয়তো ওঠা যায় - তাতে সময়-খরচ দুটোই কমে। কিন্তু বাসে উঠতে-নামতে দীপকের এতটা সময় লাগে যে বাসের ড্রাইভার-কন্ডাকটর-যাত্রী সবাই বিরক্ত হয়। কেউ কেউ ধৈর্য্যহারা হয়ে গালাগালিও করে ওঠে। রিকশাওয়ালারাও বিরক্ত হয়, তবু তারা মেনে নেয়। দীপক যে বিরক্ত হয়না তা নয়, তবে আজকাল বাম পায়ের জন্য ক্ষোভ-হতাশার চেয়ে বিরক্তিটাই তার বেশি হয়।

আবার মাঝে মাঝে রিকশার জন্য এমন দাঁড়িয়ে থাকতেও দীপকের ভালো লাগে। রাস্তার উলটো দিকে “ভাষাপ্রদীপ লাইব্রেরী” - এই শহরে বইয়ের দোকানগুলোর নাম লাইব্রেরী রাখে কেন কে জানে? “লাইব্রেরী”র পাশ ঘেঁষে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বিল্ডিংগুলোকে ছুঁয়ে ছিমছাম রাস্তা “মেট্রো সিনেমা” হলের দিকে চলে গেছে। স্কুল জীবনে ভাষাপ্রদীপে গল্পের বই নাড়াচাড়া করার সময় “বড়দের বই”গুলো একটু চেখে দেখা বা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে মেট্রোতে মর্নিং শোয়ে মহল্লার বড় ভাইদের চোখ এড়িয়ে “এক টিকেটে দুই ছবি” এসব মনে পড়ে। সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় না সে আজ কত বৎসর! বইও পড়তে ইচ্ছে করেনা আজকাল। তবু রিকশার অপেক্ষায় থাকা দীপকের বই আর সিনেমা নিয়ে ভাবতে ভালোই লাগে।

অফিসে দীপকের কাজটা বুক-কীপারের; কাজটা কঠিন নয়, তবে বিরক্তিকর। এক চেয়ারে বসেই মোটামুটি সব কাজ সারা যায়, তবে কখনো ভারী বালাম খাতাগুলো নামানো দরকার হলে বা ফাইল নিয়ে বড়কর্তাদের ঘরে যেতে হলে পিয়ন সোবহানের সাহায্য দরকার হয়। অফিসের ভাষায় দীপকের নাম “ছোট বাবু”। এই দেশে অবশ্য হিন্দুদের ডাকার সময় নামের শেষে “বাবু”টা জুড়েই যায়, যেমন মুসলমানদেরকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে সম্মানী হলে “সাহেব” আর সম্মানের যোগ্য মনে না হলে “মিয়া” জুড়ে দেয়া হয়। ছোট বাবু ডাকটা দীপকের খুব একটা খারাপ লাগেনা। তবে মিলের ম্যানেজার থেকে শুরু করে নাইট গার্ড পর্যন্ত সবাই যখন “ছোট বাবু, ছোট বাবু” করে ডাকে তখন কে যে সম্মান দেখাচ্ছে আর কে যে তাচ্ছিল্য করছে তা বোঝা যায় না। চাকুরী করতে গেলে কি আর সব কিছু গায়ে মাখতে আছে? তাও বাবা মারা যাবার পর মিল কর্তৃপক্ষ দয়া করে চাকুরীটা দিয়েছিল, নয়তো যে কী হত দীপক তা ভাবতেও পারেনা। নিজের এমন কোন যোগ্যতাও নেই যা দিয়ে এরচেয়ে ভালো একটা চাকুরী যোগাড় করা যায়।

অফিস শেষ হলে উলটো পথের গল্প অনেকটাই এক রকম, তবু ঘরে ফেরার স্বস্তিটুকু তাতে থাকে। অফিস থেকে সোজা ঘরেই ফেরা হয়, অন্য কোথাও যাওয়া হয় না। বালুর মাঠের পেছনে “বান্দরবন” নামের চায়ের দোকানে স্কুল বন্ধুদের আড্ডা হয় নিয়মিত কিন্তু সেখানে যেতে ইচ্ছে করেনা। প্রতিদিন সেখানে প্রায় একই ধরণের গল্প, চর্বিত-চর্বন। কেউ কেউ শিবের চ্যালা হয় কেউবা ছয় ইঞ্চি “ডাইলে”র সেবা করে, সেগুলো আরো অসহ্য লাগে। সেখানে কেউ আর আগের মত গান গেয়ে ওঠেনা বা নির্মল আনন্দে হেসে ওঠেনা। সেখানে শুধু ব্যবসায়ের খেয়োখেয়ি, মাস্তানীর গল্প, অফিসের কূটকচাল আর সংসারের প্যাঁচালী। “বান্দরবন”কে একটা অন্ধকূপের মত মনে হয় - যেখানে কেউ আলো জ্বালে না বা সেখান থেকে কেউ আলো জ্বালাতে বের হয় না।

ঘরে ফিরেও দীপকের কিছু করা হয় না। খবরের কাগজ পড়া, রেডিওতে বিবিসি শোনা বা টেলিভিশনে খবর দেখা এ’সব ছেড়েছে বহু বৎসর হয়। দেশ-দুনিয়ার খবরের গুরুত্ব দীপকের কাছে অনেক আগেই ফুরিয়েছে। দীপক কারো খবর রাখেনা, যেমন দীপকের খবরও কেউ রাখেনা। চৌদ্দ ইঞ্চি সাদা-কালো টিভির ঝাপসা ছবিতে বিটিভির বস্তাপঁচা অনুষ্ঠান দেখাটাকে অভিশাপ বলে মনে হয়। তাই চুপচাপ শুয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করা হয় না। বালিশের পাশে সস্তার প্যাকেজে কেনা মোবাইল ফোন পড়ে থাকে - তাতে সচরাচর কেউ ফোন করেনা, দীপকও কাউকে ফোন করেনা।

এক সন্ধ্যায় অনভ্যস্ত মোবাইল বেজে ওঠে। ওপাশে পুরোনো বন্ধু ফারুকের গলা, “ওই দীপইক্যা, আছস ক্যামন”?
“ভালাই, তর খবর কী”?
“মোন্দ না, তয় রবীন হালার লগে পাটনারশীপের ব্যবসাটা মোনে হয় টিকব না। ক্ষতি নাই, নিজেই আলেদা দোকান দিতে পারমু। তয় আমি হের লেইগ্যা ফোন করি নাই”।
“তয়”?
“আউজকা ঢাকা যাইতে বাসে তর পুরান ডাল্লিং-এর লগে দ্যাখা হইসে”।
“আমার ডাল্লিং? তাও আবার পুরান”?
“হ ব্যাটা, নিয়তি সাহা”।
“নিয়তিরে পাইলি কই? হ্যার না বলে কইলকাতা বিয়া হইসে”?
“হের আমি কী জানি, আমি হ্যারে দ্যাখলাম, লগে জামাই আছে দুইডা পোলাপানও আছে”।
“তা দেখলি কিমুন”?
“জামাই হালারে তো পুরাই ধান্দাবাজ মোনে হইল, আর ঐ বেডিতো ফুইল্যা ঢোল হইছে, চেহারারও আর কোন সিরি-সাদ নাই - কিমুন মাসী-মাসী ভাব। তুই যে অরে বিয়া করস নাই ভালাই হইসে”।
“আমি নিয়তিরে যে বিয়া করতে চাইছি তরে কইলো ক্যাঠা”?
“হালার পুত অহনে অস্বীকার করতে চাও? আমগো স্কুল ফেরেন্ড সবতে জানে নিয়তিরে দেখলেই তর হাঁটু কাঁপাকাঁপি শুরু হইয়া যাইতো, জিবলা আটকাইয়া যাইতো”।
“যতসব ফালতু বাত, আমি জীবনেও অরে কিসু কই নাই”।
“না কস, মোনে মোনে ত আসিল”?
“হালার পুত, আমার মোনে-মুখে কিসুই আসিলনা। সব তোগো বানাইন্যা কতা”।
“থাউক এইসব। তুইতো হালায় সন্দা হইলেই খোঁড়ল ঢোকস। তর চেহারা আর দ্যাখা যায়না। পারলে সামনের বিস্যুদবার সন্দায় বান্দরবনে আহিস, নানান রহমের ব্যবস্থা আছে”।
“তগো ব্যবস্থা লইয়া তরা থাক, আমি ঐসবে নাই। তয় পারলে যামুনে, অহন রাখি”।
“আইচ্ছা, ভালা থাকিস আর বিস্যুদবার আইয়া পরিস”।

বৃহস্পতিবার কেন, কোন বারেই দীপকের আর আড্ডায় যাওয়া হয় না। মাঝে মাঝে বিয়ে করার ব্যাপারে মায়ের দুর্বল অনুযোগগুলোকেও বিবেচনার যোগ্য মনে হয় না। অথচ দীপকের জীবনটা এমন হবার কথা ছিলনা। স্কুল-কলেজে মাঝারী মানের ছাত্র, মাঝারী মানের ফুটবলার দীপক পালের একটা মাঝারী মানের জীবনই হতে পারতো। যেখানে অনুল্লেখযোগ্য চাকুরী, গড়পরতা আয়, গিন্নী-বান্নি গোছের বউ আর গোটা দুই বাচ্চা থাকতে পারতো। এসবের কিছুই হয়নি শুধুমাত্র বাম পাটার জন্য। এর জন্য দুই বৎসর বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছে, বাবার সঞ্চয় আর মায়ের গয়নাগুলো গেছে, কালাচাঁদ পোদ্দারের কাছে বিরাট দেনা হয়েছে, আশানুরূপ যৌতুক না পেয়ে দিদির সাবেক প্রেমিক - বর্তমানে দীপকের জামাইবাবুর মুখ গোমড়া হয়েছে, মনে হয় দিদির শরীরের ঢেকে রাখা যায়গাগুলোতে কালশিটে দাগও পরেছে। খবরের কাগজ পড়তে পড়তে, বিবিসি-ভয়েস অভ আমেরিকা শুনতে শুনতে, লোকজনের গাঁ কাঁপানো গল্পগুজব শুনতে শুনতে নব্বইয়ের নভেম্বরের শেষের দিকে তোলারাম কলেজের বি,কম ক্লাশের ছাত্র দীপক পাল আর রতন ঘোষের মাথা বিগড়ে যায়। চুপিচুপি তারা সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা গিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে যোগ দেবে। কোথায়, কাদের সাথে, কীভাবে আন্দোলনে নামবে এসব কিছু না জেনে, কাউকে কিচ্ছু না জানিয়ে দুই বোকা যুবক একদিন চাষাঢ়া থেকে কমলাপুরগামী ট্রেনে উঠে বসে। কমলাপুর থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটির দিকে যেতেই পুরানা পল্টনে বিশাল মিছিলের অংশ হয়ে যায় তারা। হঠাৎ সচিবালয়ের কাছে পুলিশ নাকি বিডিআরের হিসেবী রাইফেল গর্জে ওঠে। সামনের দিকে থাকা নেতাদের চেনা মুখ এড়িয়ে কীভাবে যেন একটা গুলি এসে দীপকের বাম পায়ে লাগে। আরেকটা গুলি আশ্চর্য রকমভাবে বাঁচার জন্য মাটিতে ঝাঁপিয়ে পড়া রতনের মাথার তালু দিয়ে ঢোকে। রত্‌না শালার ঘিলু বের হয়ে গিয়ে সারা জীবনের জন্য বেঁচে যায়।

ঢাকা মেডিকেলে বিড়ালের সংসার পাতা মেঝেতে আর পঙ্গু হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকার সময় দীপকের মনে হয়েছিল বাড়ি ফিরলে নিশ্চয় বিশাল সংবর্ধনা পাওয়া যাবে। নিশ্চয়ই নতুন গণতান্ত্রিক সরকার তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে, মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেবে। দীপক যা জানতো না তা হচ্ছে দলের পরিচয়বিহীন রতন ঘোষের লাশ নিয়ে এইদল ওইদল লাশের রাজনীতি করতে কিছুটা আগ্রহী হতে পারে, খোঁড়া দীপকের গুরুত্ব সেখানে কিছুই নেই। আর যেখানে প্রতিদিন দেশজুড়ে ডজন ডজন লাশ পড়ছে, শত শত জন গুরুতর আহত হচ্ছে সেখানে দলের বাইরের লোক দীপকের খোঁজ রাখে কে? নব্বইয়ের শেষটায় দেশ জুড়ে অমন কত দীপকই তো তৈরি হয়েছে। তাদের খোঁজখবর নেয়ার চেয়ে সরকারদের আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। ডাল-ভাত দর্শণ বা স্বপ্ন বাস্তবায়ণের মত জরুরী কাজ ফেলে কানা-খোঁড়াদের নিয়ে সময় নষ্ট করা সম্ভব না। আর স্বৈরাচার বলে এখন কিছু আছে নাকি? স্বৈরাচার তো আমের আচার হয়ে গেছে। কখনো কালো চশমা তাকে পাতে রেখে খায়, কখনো কালো কোট তাকে মাখিয়ে খায়।

পা টানতে টানতে ধর্মতলার মোড়ে আসা দীপকের মনে হয় বেঁচে থাকাটাই বড় ব্যাপার। সে বেঁচে আছে বলেই চাকুরী করতে পারছে, মাকে দেখতে পারছে, নাইবা হল ভালো চাকুরী বা নিয়তি সাহার মত বউ। রতনের মত মরে গেলে তার মায়ের কী হত? রতনের মা আজকাল ভিক্ষা করেন। হিন্দু ভিখিরীকে কেউ ভিক্ষা দেবে কিনা এই ভয়ে রতনের এয়োতি মা সিঁদুর মুছে, শাঁখা খুলে, লম্বা ঘোমটা টেনে ভিক্ষা করতে বের হন। বেশিরভাগ দিন দ্বিগুবাবুর বাজারের ফকিরটোলা মসজিদের সামনে কম্পমান হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আল্লারস্তে দুইটা ট্যাকা দ্যান বাবা”। বেঁচে থাকার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসা দীপক রতনের মায়ের মুখোমুখি হবার ভয়ে আর দ্বিগুবাবুর বাজারে যায় না, বাইরে বের হতেও তার শংকা হয়।

**************************************************

দোহাইঃ লেখা কি ছোটগল্প হয়েছে নাকি অণুগল্প হয়েছে প্রায় প্রতিবার এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর দেবার যথেষ্ঠ এলেম আবার আমার নেই। তাই সিরিজের নাম “অণুগল্প প্রচেষ্টা” থেকে পালটে “গল্প প্রচেষ্টা” করে দিলাম।

**************************************************

গল্প প্রচেষ্টা-০৪
গল্প প্রচেষ্টা-০৩
গল্প প্রচেষ্টা-০২
গল্প প্রচেষ্টা-০১


মন্তব্য

সচেতন নাগরিক এর ছবি

আপনি তো ভাই দারুণ লেখেন! আপনার লেখা গল্প প্রচেষ্টার সবগুলো গল্প পড়লাম, খুবই ভালো লাগলো। আপনার গল্পগুলো হালকা চিন্তার উদ্রেগ করে, আর চিন্তা করতে গেলে-ই সবকিছু আউলাঝাউলা হয়ে যায়। কি দরকার! চলুক না সবকিছু যেমন চলছে, কিছুই বদলাতে পারব না বলে অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছি। আমার মনে হয় এই প্রজন্মের আমরা সবাই-ই পরাজিত সৈনিক, মুখবুঁজে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নাই আমাদের। আমরা সবাই হয় দীপকের মত খোঁড়া, নাহয় বোবা, কালা, অন্ধ - এইসব নানাগুণে গুণান্বিত !!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ সচেতন নাগরিক কষ্ট করে সবগুলো গল্প পড়ার জন্য। কিছু কিছু ব্যাপার আছে চিরায়ত - তা ভালো হোক আর মন্দ হোক। তেমন কিছু কিছু কথা আছে চিরায়ত - যা সরাসরি বললে মনে লাগে না। তাই একটু ঘুরিয়ে বলা। একে যদি ভণ্ডামী মনে হয় তাহলে না হয় তা ভণ্ডামীই হল, তবু তো বলা হল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

দোহাইটা পড়লাম, ওইসব কূটকচালে প্রশ্ন করা অপরাধীদের মধ্যে আমিও আছি দেঁতো হাসি

আপনার লেখার ভঙ্গি পাল্টাচ্ছে বা এই গল্পটা অন্যরকম করে লিখেছেন। গল্পটা 'গল্প'এর মতো করেই এগিয়েছে, কাহিনীর বিস্তার, সংলাপ (একটু হঠাৎ ছিলো সেটা) পটভূমি বর্ণনা সব মিলিয়ে হয়তো এটা একটা গল্পই, by the book, কিন্তু হয়তো সেকারণেই আপনার আগের গল্প (নাকি 'অণু'গল্প চোখ টিপি ) গুলোর চাইতে একটু কম ধারালো লাগলো - বিশেষ করে শেষটা।

তবে, তারপরও - এটা খুব 'শক্ত' একটা লেখা। বুনোটের দিক থেকে। এবং ভাষার দিক থেকেও!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নিজেকে অপরাধী ভাবছেন কেন? চিন্তা-ভাবনার এই আদানপ্রদান আছে বলেইনা আমরা ব্লগে লিখি। নয়তো আমাদের উন্নতি হবে কী করে? আচ্ছা উন্নতি না হোক অন্ততঃ নতুন ভাবে ভাবার, চেষ্টা করার কী হবে? সুতরাং যা ভালো মনে হয়, যা খারাপ মনে হয় সবই লিখুন।

এই গল্পের ব্যাপারে আপনার ধারণার সাথে আমি একমত। এটা by the book গল্প হয়েছে হয়তো কিন্তু তাতে আমার পূর্বতন স্টাইল বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। তাতেই কিছুটা ভোঁতা লেগেছে। সংলাপ আরো বাড়ানো যেত, তবে তাকে আমার কাছে দরকারী মনে হয়নি। এতে হয়তো দৈর্ঘ্য অহেতুক বেড়ে যেত। আপনাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটত। তবে য়াগামীতে গল্প লেখার ক্ষেত্রে আপনার বিশ্লেষণ আমার মাথায় থাকবে। ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

গল্পটা পড়তে ভালো লাগলো, যদিও অনেক বিষণ্ন টোনের লেখা।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্প পড়তে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমি সার্থক। টোনের ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। টোন আসলে যা হওয়া উচিত ছিল তার ধারেকাছেও যেতে পারিনি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দময়ন্তী এর ছবি

হ্যাঁ আমিও ওই অপরাধীদের একজন, যে "অণুগল্প' না "গল্প' এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ দেঁতো হাসি
যাই হোক আজকেরটা আমার কাছে নি:সন্দেহে গল্প৷ এবং গল্পটা আমার বেশ ভাল লাগল৷ একদম শেষটা, রতনের মায়ের মুখোমুখী হতে না পারাটা আরেকটু টানটানভাবে প্রকাশ পেলে বোধহয় ভাল হত৷কিন্তু যা আছে তাও বেশ৷
----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনাদের "অপরাধ"-এর ব্যাপারে উপরে বলেছি। এমন অপরাধ আরো করতে থাকুন।

গল্পের শেষটা নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট নই। ঠিক এখন না, কিছু দিন বিরতি দিয়ে শেষটা অন্যভাবে ভাবার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

আরিফ ভাই গল্প ভাল লেগেছে , তবে কেন জানি দীপকের কথা বলার ভঙ্গি (ফোনে) ভাল লাগেনি। প্রথম থেকে চরিত্রের বর্ণনায় দীপককে যেরকম কল্পনা করেছিলাম তাতে দীপকের ডায়ালগ গুলো এরকম হলে ভাল লাগত ( একেবারেই নিজের অনুভূতি)

এক সন্ধ্যায় অনভ্যস্ত মোবাইল বেজে ওঠে। ওপাশে পুরোনো বন্ধু ফারুকের গলা, “ওই দীপইক্যা, আছস ক্যামন”?

“ভালই, তোর খবর কী”?

“মোন্দ না, তয় রবীন হালার লগে পাটনারশীপের ব্যবসাটা মোনে হয় টিকব না। ক্ষতি নাই, নিজেই আলেদা দোকান দিতে পারমু। তয় আমি হের লেইগ্যা ফোন করি নাই”।

“তাইলে ”?

“আউজকা ঢাকা যাইতে বাসে তর পুরান ডাল্লিং-এর লগে দ্যাখা হইসে”।

“আমার ডার্লিং? তাও আবার পুরনো”?

“হ ব্যাটা, নিয়তি সাহা”।

“নিয়তিরে কোথায় পেলি ? ওর না কলকাতাতে বিয়ে হয়ে গেছে ?

------- এই রকম আর কি

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রিপন, তুমি কী বলতে চেয়েছ তা বুঝতে পেরেছি। তবে আমার ব্যাখ্যা হচ্ছে, আমি ডায়ালগের ক্ষেত্রে মোটামুটি সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। এই গল্প যে শহরের, সেখানে মানুষ মোটামুটি এমন ভাষাতেই কথা বলেন। সেখানে আলোকপ্রাপ্ত মানুষদেরও বড় অংশ নিজেদের পরিমণ্ডলে এই ভাষাতেই কথা বলেন। তাই পুরোনো বন্ধুর সাথে দীপকের ভাষাকে আমি অমনই রাখতে চেয়েছি। এতে পাঠকের একটু খটকা লাগে হয়তো, তবে এই ভাষার ব্যবহার যদি আরো হয় (অর্থাৎ গল্পের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়) তাহলে আর অতটা কানে লাগবেনা বলে মনে হয়।

সময় করে বিস্তারিত মন্তব্য দেবার জন্য ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আম্মো কিন্তু অপরাধী পান্ডবদা !!!!
...পরিণতিতে বিস্তর পার্থক্য থাকলেও কেন জানি কালবেলার 'অনিমেষের' কথা মনে পড়ে গেলো।
আর লেখার বুনোট ?? ...আমি খালি পড়ি আর শিখি ...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সেরেছে, দোহাইটা লিখে দেখি এখন আমিই অপরাধী হয়ে পড়েছি। যাকগে, এই ব্যাপারে উপরে স্নিগ্ধাজীকে দেয়া উত্তর দেখে নিও।

অনিমেষের কথা বলতে পারবোনা, কারণ ঐ বই ইহজীবনে শেষ করতে পারিনি।

আমি পড়ি, লোকের কথা শুনি, আর শিখতে চেষ্টা করি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

থাক, কিই বা বলবো আর!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমিও মনে রাখলাম। ভবিষ্যতে আপনার লেখায় আমার তরফ থেকে আপনার উপরোক্ত মন্তব্যের "কপি-পেষ্ট" পাবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পুতুল এর ছবি

গল্প ভাল হয়েছে পান্ডবদা।
দীপকের শহরটা ছাড়া আর সব আমার পরিচিত বলেই গল্পটা একটু তাড়াহুড়ায় লেখা বলে মনে হচ্ছে।
সংলাপের অংশ বিস্বাশযোগ্যই (অথেনটিক) লাগল।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা বৃথাই নব্বইয়ের মিছিলে ছিলাম।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখকের চোখ ঠিক ফাঁকটাই খুঁজে বের করতে পারে। আপনি ঠিকই ধরেছেন, গল্পটা এক বসায় লিখে পোস্ট করা। তবে আরো সময় নিলে ভাষার দুর্বলতা হয়তো কাটানো যেত, আর কিছু হত বলে মনে হয় না। সংলাপ আমিও অথেনটিক রাখতে চেয়েছি (উপরে সচল জাহিদকেও তা বলেছি)।

নব্বইয়ের কথা আমাদের নেতা-নেত্রীরা লজ্জায় মুখে আনেন না। আমরা আম-জনতা কিছু বললেই কি আর না বললেই কি!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

নারায়নগঞ্জকে অবলম্বন করে আগে কোন গল্প পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তাই পরিচিত সব নামগুলো দেখে ভাল লাগলো।
---
অনেকগুলো কথা সামনে চলে এল। আমি ভাই গল্পের রকমফের বুঝি না। পড়তে ভাল লেগেছে, দীপকের ভাবনাটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে, এটা বলতে পারি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আচ্ছা, আপনি কি নারায়ণগঞ্জের পুরোনো বাসিন্দা? তাহলে দয়া করে আমার গল্প প্রচেষ্টা-০৪ পড়ুন (উপরে লিঙ্ক দেয়া আছে)। দেখুন তো আরো কিছু পরিচিত নাম চোখে পড়ে কিনা?

লেখকের ভাবনা যদি পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় আর তার কাছে গল্প পড়তে ভালো লাগে তাহলে লেখকের আর ভাবনা কি? অনেক ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

আমি পুরানো বাসিন্দা নই। তবে নারানগঞ্জের সাথে যোগাযোগ অনেক। তাই অনেক গেছি ও ছুটিছাটায় থেকেছি, ১৯৮০র দশকেই। দীপককে আপনি যেভাবে দেখিয়েছেন (মাইনাস তার আহত হবার গল্প), ঠিক একই সামাজিম অবস্থানের আমার একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন, তবে তিনি নারায়নগঞ্জের নন।
--
আজ ই ৪ নম্বর পড়বো।

নাহার মনিকা এর ছবি

ভালো বিষয়বস্তু। ভালো লাগলো পড়তে!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আপনার নামে পোস্ট না হলে এটা আপনার লেখা বলে বুঝতাম না। এটা অনেকটা প্রচলিত জনপ্রিয় ধারায় লেখা - যে কারণে সুহান অনিমেষকে খুঁজে পেয়েছেন এ গল্পে। আমি পাইনি যদিও। অনিমেষ খুঁজে পাবার পেছনে ধর্মতলার মোড়টাও একটা কারণ হতে পারে। আমিও জানতাম না নারায়নগঞ্জে একটা ধর্মতলা আছে।

দীপকের কথা শুনে আমাদের বি সেকশনের রাজু ভাইয়ের কথা মনে হয়ে গেলো। ডান হাতে গুলী খেয়েছিলেন ৯০ এর আন্দোলনের সময়, সে আঘাত সারেনি ওনার কখনো।

আপনি যে স্টাইলে লেখেন সেটা থেকে বের হবার বা পরীক্ষা করার কারণটা কি জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমি আপনার নিয়মিত স্টাইলটাই বেশি উপভোগ করি।

মোটের ওপর, আপনার আগের গল্প বা অনুগল্পগুলোকে এটার চেয়ে এগিয়ে রাখবো আমি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. ঠিক ধরেছেন। এটা প্রচলিত ধারায় লেখা। সুহানের বিভ্রান্তির ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যার সাথে একমত।

২. রাজু ভাইয়ের কথা আমারও মনে আছে। যতদূর জানি ঐ ঘটনায় উনার জীবনটাও তছনছ হয়ে গেছে। আজকাল ২৭শে নভেম্বরের দিন বুয়েটে কেউ সেদিনের কথা মনেও করেনা। সবাই সব ভুলে গেছে। আমরা অকৃতজ্ঞ, নির্লজ্জ ছাড়া আর কিছু না।

৩. নিজের স্টাইল থেকে বের হয়ে দেখলাম কেমন হয়। আমার নিজেরও ভালো লাগেনি।

৪. একমত। পাঠকরাও বলেছেন এই গল্পের ধার কম। আশা করি পরবর্তী গল্পে নিজের স্টাইলে ফেরত যেতে পারবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

অ.
গল্পে সংলাপের অংশটা যথাযথ ভাষাতে রেখেছেন বলে ভালো লাগলো। আমি যখন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস শুরু করি, তখন এ ধরনের ভাষা দেখে চমকে উঠতাম। আস্তে আস্তে মনে হলো- এটাই স্বাভাবিক।

এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখযোগ্য- উচ্চারণটাও হুবহু রাখা। যেমন- হইসে লিখেছেন। এটা কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ জানি না, তবে অনেকের লেখায় দেখি তারা বাক্যটা যথাযথ রাখার পাশাপাশি উচ্চারণানুযায়ী শব্দটা লেখেন। পড়তে মাঝে মাঝে সমস্যা হলেও এটা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চরিত্রগুলোর কাছাকাছি নিয়ে যায়। আপনার লেখায় অনেকগুলো উচ্চারণ এভাবে লেখা হলেও কিছু কিছু প্রমিত আকারে রয়ে গেছে- কাঁপাকাঁপি, খোঁড়ল ইত্যাদি। আমরা সাধারণভাবে চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়ে বা ড়-কে র হিসেবেই উচ্চারণ করি। সে হিসেবে অন্য কোনো একটি গল্পে এই বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে পারেন। এটা স্রেফ পাঠক হিসেবে মতামত, কৌতুহল থেকেও বলা। আর এখন যেভাবে লিখেছেন, সেভাবেও খারাপ লাগছে না।

আ.
গল্পটা ভালো লেগেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অ.
ভাষার ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আমি চেষ্টা করেছি সংলাপগুলো বাস্তব উচ্চারণের কাছাকাছি রাখতে। তবু ভুলবশতঃ কিছু সংলাপে কিছু প্রমিত বানানের শব্দ রয়ে গেছে। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে হুবহু উচ্চারণের মত শব্দ লিখলে পাঠক হোঁচট খেতে পারেন। সামনে অমন পরিস্থিতিতে পড়লে এক্সপেরিমেন্টটা করে দেখব, নিজের কাছেই কেমন লাগে।

আ.
ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লিখেছেন।

মহসীন রেজা

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেগেছে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।