১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের যে দ্বীপটাতে প্রথম নামেন তার নাম হিস্প্যানিওলা। আজকের হিস্প্যানিওলা দ্বীপ দু’টি দেশে ভাগ হয়েছে - হেইতি আর ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র আর ডোমিনিকা কিন্তু এক দেশ নয়। আমাদের প্রথম গল্প ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের তিন বোনের। এই বোনেরা একসাথে মিরাবাল সিস্টার্স নামে পরিচিত।
মিরাবালরা ছিলেন চার বোন পাত্রিয়া মার্সেদেস মিরাবাল, মারিয়া আর্হেন্তিনা মিনের্ভা মিরাবাল, আন্তোনিয়া মারিয়া তেরেসা মিরাবাল আর বেলজিকা আদেলা দেদে মিরাবাল। মিরাবালরা তাঁদের দেশের নামজাদা, উচ্চবিত্ত, শিক্ষিত ও উদার পরিবার; তাই মিরাবাল বোনদের ঠিকভাবে বেড়ে ওঠা বা শিক্ষালাভে সমস্যা ছিলনা। কিন্তু যখন এল জেফে নামে পরিচিত একনায়ক রাফায়েল লিওনিদাস ত্রুহিয়ো মলিনা দেশের শাসনক্ষমতা দখল করে তখন মিরাবাল বোনদের ব্যবসায়ী পিতা অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় পড়েন। তাঁদের পরিবারও নানা দুর্দশায় পতিত হয়।
হেইতির বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা চালানো একনায়ক ত্রুহিয়োর বীভৎস, ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরূদ্ধে দেশের জনগণ ক্ষিপ্ত ছিলেন। ক্ষিপ্ত ছিলেন মিরাবাল বোনেরাও, তাই অল্প বয়সেই তাঁরা জড়িয়ে পড়েন ত্রুহিয়ো বিরোধী আন্দোলনে। বোনদের মধ্যে মিনের্ভা আন্দোলনে অপেক্ষাকৃত বেশি জড়িয়ে পড়েন। এর মাশুল হিসেবে তিনি আইনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করলেও আইনজীবি হিসেবে কাজ করার লাইসেন্স পান না। ত্রুহিয়োর চোখে মিনের্ভার দোষ অনেক - তার বিরূদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম তো আছেই তার সাথে ত্রুহিয়োর প্রণয়কে প্রত্যাখান করার অপরাধও আছে। সুতরাং মিরাবাল বোনরা আর স্বস্তির জীবন পেলেন না - গ্রেফতার-আটক, অত্যাচার-নির্যাতন তাঁদের জন্য নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়ালো। ত্রুহিয়ো বিরোধী আন্দোলনকারী দলের ভেতর মিরাবাল বোনেরা পরিচিত ছিলেন “প্রজাপতি” নামে। মিরাবাল বোনদের স্বামীরাও ত্রুহিয়ো বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকায় সেই ভদ্রলোকদের বেশিরভাগ সময় থাকার জায়গা হয় জেলখানায়।
গোটা পরিবারের উপর এই অকথ্য অত্যাচার চলে প্রায় পনের বৎসর। মিরাবাল বোনদের কার্যক্রমে বিরক্ত ত্রুহিয়ো শেষ পর্যন্ত ঠিক করলো তাঁদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে। ১৯৬০ সালের ২৫শে নভেম্বর পাত্রিয়া, মিনের্ভা আর তেরেসা রাজধানী সেন্ট দোমিঙ্গো লা ভিক্তোরিয়া কারাগারে অন্তরীন তাঁদের স্বামীদের সাথে সাক্ষাত শেষে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন ত্রুহিয়োর ঘাতকরা পথিমধ্যে তাঁদের গাড়ি থামায়। তারপর তাঁদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় তাঁদের ড্রাইভারকেও। তারপর লাশগুলো তাঁদেরই গাড়িতে তুলে গাড়িটা ঠেলে ফেলে দেয়া হয় লা কুমব্রে পর্বত থেকে। দুর্ঘটনার এই সাজানো নাটক ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্রের মানুষ বিশ্বাস করেনি। এই ঘটনায় ফুঁসে ওঠে দেশ। এর ছয় মাসের মাথায় আততায়ীর গুলিতে ত্রুহিয়োর জীবনাবসান হয়।
মিরাবাল বোনদের সংগ্রামী জীবন আর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে বই লিখেছেন হুলিয়া আলভারেজ, জুনো দিয়ায, জ্যাকব কুশনার। তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় চলচিত্র ইন দ্য টাইম অভ দ্য বাটরফ্লাইজ। আরো চলচিত্র তৈরি হচ্ছে এখনো। আর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ তাঁদের মৃত্যুদিবসটিকে ঘোষণা করে নারীর বিরূদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে। একই দিন থেকে শুরু হয় জাতিসংঘের জেন্ডার সহিংসতার বিরূদ্ধে আন্দোলনের ১৬ দিন -এর কার্যক্রম - যা শেষ হয় ডিসেম্বরের দশ তারিখে।
********************************************************************
আরবী “জামিলা” শব্দের অর্থ সুন্দরী। আমাদের দ্বিতীয় গল্প উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার তিন “সুন্দরী”কে নিয়ে। এঁরা হলেন জামিলা বুহিরিদ, জামিলা বুয়েজা আর জামিলা বুবাসা। নাম একই রকম হলেও তাঁরা মিরাব্যালদের মত বোন নন্। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামে (১৯৫৪-১৯৬২) অংশ নেয়া এই তিন জামিলা সহ্য করেছেন দখলদার ফরাসীদের অবর্ণনীয়, পাশবিক অত্যাচার। বস্তুতঃ উচ্চ রুচি, ভদ্রতা, শিল্পজ্ঞান ইত্যাদি সুকুমারবৃত্তির জন্য আজকের দুনিয়ায় খ্যাত ফরাসীরা আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আলজেরীয়দের উপর যে ঘৃন্য, নীচ কায়দায় শারিরীক-মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে তা চিন্তা করাও দুষ্কর।
১৯৩৫-এ জন্মানো জামিলা বুহিরিদ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। শিক্ষার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পার হতে না হতেই জড়িয়ে পড়েন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে। অচিরেই তিনি আলজেরীয় জাতীয় মুক্তি ফ্রন্টের কমান্ডার ইয়াসেফ সা’দীর ব্যক্তিগত সহকারী নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর একুশ বৎসরের বুহিরিদ আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিশ বৎসর বয়ষ্কা ছাত্রী জোহ্রা দিরিফ আর আঠারো বৎসরের তরুণী হাসিবা বেন বু’আলীকে সঙ্গে নিয়ে এক দুঃসাহসিক কাণ্ড করে ফেলেন। প্রায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিনয়-বাদল-দীনেশ অথবা ক্ষুদিরাম-অভিরাম-প্রফুল্ল চাকী অথবা ভগৎ সিং-রাজগুরু-বটুকেশ্বর দত্তর মত এই তিন নারী বোমা নিয়ে আক্রমণ করলেন রাজধানী আলজিয়ার্সের ফরাসীদের ফুর্তির জায়গা “মিল্ক বার কাফে”তে। তুলনাটা মনে হয় আরো লাগসই হয় বীর চট্টলা কন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে।
মিল্ক বার কাফের বোমা হামলায় তিন ফরাসী তরুণ প্রাণ হারায়, আহত হয় বেশ কিছুজন। সেদিন তিন সংগ্রামী ধরা না পড়েই পালিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু বিধি বাম, বুহিরিদ ১৯৫৭ সালের এপ্রিলে ফরাসী সেনাদের সাথে এক বন্দুক যুদ্ধে আহত হয়ে ধরা পড়েন। শুরু হয় তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন। সন্ত্রাস আর নাশকতার অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু বুহিরিদের ফরাসী প্রেমিক আইনজীবি জাঁ ভার্জেসের তৎপরতায় আন্তর্জাতিক মিডিয়া এই দণ্ডাদেশের বিরূদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ফলে দখলদার ফরাসী সরকার তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়। ১৯৬২ সালে দেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান।
মিল্ক বার ক্যাফের ঘটনায় বুহিরিদের দুই সহযোগীর মধ্যে জোহ্রা ১৯৫৭ সালের অক্টোবরে ফরাসীদের হাতে ধরা পড়েন আলজেরীয় জাতীয় মুক্তি ফ্রন্টের কমান্ডার ইয়াসেফ সা’দীর সাথে। বিচারে তাঁর বিশ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু তিনিও ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। তৃতীয় জন হাসিবা ১৯৫৭ সালেই ফরাসীদের বোমা বর্ষণে তিন সহযোগীসহ তাঁদের গোপন আস্তানায় শহীদ হন।
আরেক জামিলা, জামিলা বুবাসাও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ শেষে যোগ দেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। অন্য অনেকের মত তিনিও সেষ পর্যন্ত ফরাসীদের হাতে ধরা পড়ে শিকার হন নৃশংস নির্যাতনের। বুবাসার উপর ফরাসীদের নির্যাতন লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এর কিয়দংশ বোঝা সম্ভব তাঁর উপর নির্যাতনের বর্ণনার একটি বাক্যে - Djamila Boupacha was raped with a broken wine bottle। এই বাক্যটি বাংলায় অনুবাদ করার সামর্থ্য আমার নেই।
তৃতীয় জামিলা, জামিলা বুয়েজা সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত কম জানা যায়। তবে তিনি বাকি দুই জামিলার মত ভাগ্যবতী নন্। ফরাসীদের নির্যাতনে তিনি অকালেই প্রাণ হারান।
প্রথম দুই জামিলা আর তাঁদের সহযোগীদের উপর নির্মিত হয়েছে চলচিত্র দ্য ব্যাটেল অভ আলজিয়ার্স। বুহিরিদের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচিত্র “জামিলা দ্য আলজিরিয়ান”। বুবাসার উপর নৃশংস নির্যাতন নিয়ে বই লিখেছেন সিমোন দ্য বুভায়র।
********************************************************************
শেষের গল্পটি ভীনদেশের নয়, আমাদের দেশের। এই গল্পের নায়িকা “নাচোলের রানি” ইলা মিত্র। ১৯২৫ সালের ১৮ই অক্টোবর কোলকাতায় জন্মানো ইলা সেনের বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন অখণ্ড বাংলা প্রদেশের অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল। অ্যাথলেটিক, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন আর সাঁতারে তুখোর কন্যা ইলা সেন বেথুন কলেজে বি এ পড়ার সময় কালেই নারী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৩ সালে মাত্র ১৮ বৎসর বয়সে পান ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পুর্ণাঙ্গ সদস্যপদ।
১৯৪৫ পার্টি সহকর্মী নবাবগঞ্জের জমিদার তনয় রমেন্দ্র মিত্রের সাথে পরিণয় সূত্রে ইলা সেন হন ইলা মিত্র। বিয়ের পর গ্রামে মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন ইলা মিত্র। ১৯৪৬ সালে বাংলার দাঙ্গাবিধ্বস্ত অঞ্চলে পুনর্বাসনের কাজ শেষে স্বামীসহ জড়িয়ে পড়েন ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনে। এর মধ্যে দেশ ভাগ হলে অন্য অনেকের মত ভারতে চলে না গিয়ে তাঁরা নিজেদের এলাকায় (রাজশাহী) কৃষক আন্দোলনেই ব্যস্ত থাকেন।
১৯৫০ সালের ৫ই জানুয়ারী রাজশাহীর নাচোল থানার পুলিশ গ্রাম থেকে দু’জন তেভাগা কর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন শুরু করলে হাজারখানেক গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে থানা ঘেরাও করে। গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবলসহ অফিসার থানার নিহত হন। এই ঘটনার দুই দিন পর ৭ই জানুয়ারী প্রায় দুই হাজার সৈন্য নাচোল থানার বারোটি গ্রাম ঘিরে ফেলে তাণ্ডব চালায়। পলায়নপর গ্রামবাসীর উপর নির্বিচারে গুলিও চলে। সৈন্যদের সাথে যোগ দেয় আর্মড পুলিশ আর আনসার বাহিনী। এই ঘটনার পর আত্মরক্ষার্থে ভারত সীমান্তের দিকে পালাতে গেলে রোহনপুর রেলষ্টেশনে ইলা মিত্র তাঁর সহযোগীদের সাথে গ্রেফতার হন। রমেন্দ্র মিত্র ভারতে পালাতে সক্ষম হন।
ধৃত ইলা মিত্রের উপর এরপর চলে শতাব্দীর কুৎসিততম ও নৃশংসতম নির্যাতন। পরবর্তীতে রাজশাহী আদালতে দেয়া বয়ানে ইলা মিত্র তাঁর উপর চালানো অত্যাচারের যে বর্ণনা দেন তার কিয়দংশ তুলে ধরছিঃ
1. Beating on heads with rifle butt.
2. Insulting remarks and abuse
3. Kicking delicate parts of the body with boots on.
4. Non stop beating hanging her on a bar or hands and feet tied.
5. Piercing iron nails through heels.
6. Pressing hands and legs in between two bamboo sticks.
7. Pushing hot boiled egg in her private parts.
8. Raping her in group.
9. Solitary confinement within a cell.
10. Starvation, even drinking water was denied.
11. Stripping of cloths followed by beating on naked body.
এই বর্ণনারও অধিকাংশ আমি বাংলায় অনুবাদ করতে অক্ষম তাই সবটাই ইংরেজীতে রেখে দিলাম। পরাধীন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী জামিলা বুবাসার উপর দখলদার ফরাসী বাহিনী যে কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে তারও সাত বৎসর আগে তথাকথিত স্বাধীন দেশে স্বদেশী নূরুল আমীনের সরকারের পুলিশ তার চেয়েও ঘৃন্য কায়দায় ইলা মিত্রের উপর অত্যাচার চালিয়েছে।
ইলা মিত্রের জীবন নিয়ে আর কিছু বলবোনা। তাঁর সম্পর্কে নিজ উদ্যোগে জানা, পড়া, আলোচনা করা আমাদের দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
********************************************************************
শারিরীক ভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের চেয়ে সবল বা দুর্বল হতে পারে। তবে শারিরীকভাবে বিবেচনা না করেই সামাজিক ভাবে বিবেচনা করে নারীকে পুরুষের চেয়ে দুর্বল করা হয়েছে। শক্তির গর্বে গর্বিত পুরুষ জাতি এভাবে জাতিগত ভাবে নারীকে নির্যাতন করার হাজারোটা পথ, উপায়, নীতি বের করে রেখেছে। দুর্বলকে রক্ষা করা সবলের নৈতিক দ্বায়িত্ব হলেও অনেক পুরুষই কারণে-অকারণে নারীর উপর অত্যাচারের থাবা হানে। পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া, মাথা ফাটিয়ে ফেলা, অ্যাসিডে মুখ-শরীর ঝলসে দেয়া, ক্ষুর-ব্লেড চালিয়ে মুখ বিকৃত করে দেয়া, গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া, গলা টিপে মেরে ফেলা, গায়ে ছ্যাঁকা দেয়া, ধর্ষণ করা, অশ্লীল গালাগালি বা অঙ্গভঙ্গি করা কত উপায়ই না আছে নারীকে শায়েস্তা করার জন্য! নারী সে কন্যা হোক, বোন হোক, স্ত্রী হোক, সহকর্মী হোক আর গৃহকর্মী হোক পুরুষের অত্যাচার তার নিয়তি। শোবার ঘর থেকে শুরু করে হাটে-মাঠে-বাজারে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে নারী পুরুষের থাবার শিকার হয়না। নির্জন স্থান, অন্ধকার স্থান, অপরিচিত স্থান এমন কত জায়গাই না আছে যা নারীর জন্য নিষিদ্ধ। কেন নিষিদ্ধ? শুধুমাত্র নিজেকে পুরুষের থাবা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য।
নারীর উপর সহিংসতা নিছক ব্যক্তিপর্যায়ের ব্যাপার নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও এই দুষ্টক্ষত স্থায়ী হয়েছে। নারী বন্দীদের প্রতি প্রশাসনের সহিংস ও কুৎসিত আচরণ অনেক দেশেই একটি “ওপেন সিক্রেট”। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে বিজিত দেশের নারীদের উপর দখলদার বা বিজয়ী পক্ষের সহিংসতা আর অত্যাচারতো অচ্ছেদ্য যুদ্ধের অংশ হয়ে গেছে। কর্মক্ষেত্রে পুরুষ সহকর্মীদের দ্বারা নারীর লাঞ্ছনার গল্প সাধারণ হয়ে গেছে। ধর্মের নামে, সামাজিকতার নামে, মর্যাদার নামে নারীকেই হরহামেশা কোরবানী হতে হয়।
মানসিকভাবে মেরে রাখা নারীর মানুষ হয়ে ওঠার পথে একটি বড় বাধা হচ্ছে তার বিরূদ্ধে একক, দলবদ্ধ বা সামাজিকভাবে সহিংস আচরণের পথ খোলা রাখা। নারীর বিরূদ্ধে করা এই ঘৃন্য অন্যায় বন্ধ করার জন্য পুরুষকে প্রথমে মানুষ হতে হবে, সমাজকে মানবিক হতে হবে, নারীকে মানুষ ভাবতে শিখতে হবে। এই সব আপ্তবাক্য উচ্চারণ করে নয় - বরং ব্যক্তি জীবনে বিশ্বাস আর এর চর্চার মাধ্যমে পুরুষই পারে ইতিহাসের এই স্থায়ী কলঙ্কচিহ্নকে মুছে ফেলতে।
মন্তব্য
ত্রুহিয়োর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে একটা উপন্যাস আছে মারিও ভার্গাস ইয়োসা-র, "ফীস্ট অব দ্য গোট"। খুব সাদামাটা ভাষায় ভয়াবহ ডিটেইলে লেখা উপন্যাস, গোটা ঘটনার আগে পরে কী হয় তার শ্বাসরোধী বর্ণনা আছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রত্যেক স্বৈরাচারী শাসকের জন্যে এটা অবশ্যপাঠ্য করা উচিত।
চমৎকার পোস্ট পাণ্ডবদা। সচলায়তনে বহুদিন পর এমন একটা পোস্ট পড়লাম।
পোস্ট করতে না করতেই পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ হিমু। শুধু ত্রুহিয়োকে নিয়েই আলাদা পোস্ট দেয়া যায়। একটা ক্লাসিক চরিত্র। তবে এই ব্যাটাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করেনি তাই তার ব্যাপারে বিশেষ কিছু লিখিনি। য়োসার উপন্যাসটার কথা জানতাম না। ঢাকায় পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। তবু খুঁজে দেখব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ওয়ার্ডস 'ন পেইজেস এ দেখতে পারেন।
পান্ডবদা অথবা হিমু ভাই, কেউ ক্রহিয়োকে নিয়ে লিখুননা সম্ভব হলে ?? এর সম্পর্কে জানার একটা তীব্র ইচ্ছা হচ্ছে...।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হিমুকে অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে আমি সেখানে দুই পয়সা যোগ করতে পারব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সিনেমাটা দেখার পর মনে হচ্ছে - মূল বইটা আর পাঠের প্রয়োজন হবে না।
পান্ডবদা, আপনাকে ধন্যবাদ ত্রুহিয়োকে লেখায় আনার জন্য।
পাণ্ডবদা!
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
কথা আটকে গেল কেন বস্? মন্তব্যটা শেষ করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিছু কিছু ঘটনার বিবরণে মন্তব্য করা যায়না, কথা আটকে যায়।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ভালো লেখা। তবে নির্যাতনের বর্ণনা পড়তে ভালো লাগে না।
নিয়মিত লিখুন পান্ডবদা।
ধন্যবাদ। নির্যাতনের বর্ণনা পড়তে কারোই ভালো লাগার কথা না। তবে এগুলো ইতিহাসের অংশ। ইতিহাসের এই অপ্রিয় অংশগুলো আমাদের জানা থাকা দরকার যাতে জানোয়ারগুলোকে সহজে চিনে রাখতে পারি। কখনো ভুলেও যেন তাদেরকে ক্ষমার চোখে না দেখি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শিউড়ে উঠলাম পাণ্ডবদা!
নির্যাতনকারী কীভাবে পাশবিকতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে? এসব ইতিহাস পড়ে এমন প্রশ্নই শুধু মাথায় ঘোরে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন। মানুষই পারে এমন কাজ করতে যা দেখলে পশুর যদি বিবেক থাকতো তাহলে সেও লজ্জায় মুখ লুকাত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
.............................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এদেরকে ক্ষমা করার প্রশ্নই অবান্তর। কোনদিন করিনি, কোনদিন করবওনা। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোন মাফ নাই। ঘটনাগুলোকে পাশবিক বলতেও আমার বাঁধে, কারণ পশুরা এই ধরনের নির্মমতা কখনোই দেখায় না।
ঠিক, পশুরা নীচ হতে পারেনা, মানুষই পারে নীচ হতে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
!
(আমি খুবই ভীতু মানুষ পান্ডব'দা। এই মেয়েগুলোর সাহস দেখে আমি শিউরে উঠি। হয়তো যুদ্ধক্ষেত্রে বা কোন বিদ্রোহে নয় তারপরও আমি হতবাক হয়ে যাই এইসময়ের অনেক মায়ের সাহস দেখেও।
হারামীগুলা জানেনা, মানুষ আগে নারী, তারপর পুরুষ। মাথা নিচু করে থাকা ছাড়া পুরুষের কোন উপায় নেই। নারীর উপর নির্যাতন কি সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ!)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমরা আগে মানুষ তারপর নারী বা পুরুষ। মানসিকভাবে যারা দুর্বল তাদের সেই দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশই সহিংস হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মানুষ আগে নারী তারপর পুরুষ, কথাটি আমি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বলেছিলাম পান্ডব'দা।
ঘৃণার কোন কমতি হয়না, কিন্তু সবটুকু ঘৃণা করেও পোষায় না আমার। অক্ষম আক্রোশে ফুঁসি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিজ্ঞানের ব্যাপারটা আমি আগেই বুঝেছি, তবে আমি "আগে মানুষ" কথাটা কেন বলেছি সেটা তোমার বোঝার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভয়ঙ্কর সব বিবরণ।
মানুষ কবেইবা মানুষ ছিলো আর কবেইবা মানুষ হবে...
ত্রুহিয়োর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা ছিলোনা আজ জানলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো-মন্দ মিলিয়েই মানুষ। সবাই ভালো হয় না, হতে পারে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
-----------
ধন্যবাদ কবি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- এরকম একটা লেখা অনেকদিন পড়ি না সচলায়তনের পাতায়। ধন্যবাদ পাণ্ডব দ্য সিক্সথ।
ইলা মিত্রের কথা খুবই অল্প শুনেছি বা জেনেছি। আপনার লেখাটা পড়ার পর একটা তীব্র টান অনুভব করছি বিশদ জানার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ ধু-গো। ইলা মিত্রের ব্যাপারে মনে হয় এই সচলেই অনেকে আছেন যাঁরা আমার চেয়ে বেশি জানেন। আমি তাঁদের অনুরোধ করছি ইলা মিত্রকে নিয়ে বিস্তারিত লিখতে। আমাদের জানা উচিত আমাদের গর্বের জায়গাগুলো কোথায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইলা মিত্র -- আ আ: সেই অর্চনা গুহনিয়োগীর কথা যখন প্রথম জানি, তখনই শুনি ইলা মিত্রর নাম৷ তারপর আস্তে আস্তে আরও সবকিছু৷ সেই কৈশোর যৌবনের সন্ধিক্ষণে ইলা মিত্র, অর্চনা গুহনিয়োগী এই নামগুলো যে মানসিকতা, চিন্তাধারা কীভাবে আমূল বদলে দিল, উল্টেপাল্টে দিল --- কিন্তু হিংস্রতার সেই ধারা এখনও চলেছে অব্যাহত৷ ২ বছর আগের রাধারাণী আড়ি ও আরও কয়েকজনের ঘটনা সেই কথাই বলে৷
আমি সমস্ত বন্ধুদের ধরে ধরে তাদের ছেলেমেয়েদের, বিশেষ করে মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখাবার জন্য বলে যাই৷ অনেকে শোনে, ভর্তি করে দেয় ক্যারাতে বা তাইকোয়ান্ডোর ক্লাসে৷ কেউ কেউ আবার শোনে তো না-ই উল্তে এঁড়ে তর্ক করে, আজেবাজে কথা বলে৷ এই ছেলেমেয়েগুলো যখন বড় হবে, তখন হয়ত অনেককিছু বদলাবে৷ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যারা অত্যাচার করে, তাদের সেই অত্যাচার কিছুটা হলেও ফেরত দেওয়া দরকার, আর দরকার অত্যাচারিতের হাত দিয়ে ফেরত দেওয়া৷
আমার খুব পছন্দের বিষয় লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
রাধারানীর ব্যাপারে জানতে চাই। আলাদা পোস্ট দিন। অর্চনা গুহনিয়োগীকে নিয়েও লিখুন।
মার্শাল আর্ট শিক্ষাটা সবার জন্যই বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত - বিশেষতঃ মেয়েদের জন্য তো বটেই। এই ব্যাপারে আমি আপনার মতের সমর্থক।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দময়ন্তী - ষষ্ঠ পান্ডবের মতো আমারও অনুরোধ রইলো - রাধারাণী আড়িকে নিয়ে লিখুন, প্লিজ!
চেনা রাগ চেনা ক্রোধ
চেনা চেনা প্রতিশোধ
চেনা ছুরি চেনা আক্রোশ
চেনা ঘৃণা বিদ্বেষ
চেনা লজ্জা এই দেশ
চেনা ভয় অচেনা আপোষ।
আর কী মন্তব্য করবো খুঁজে পেলাম না।
লেখায়
আপোষটা আমাদের কাছে অচেনাই থাকুক, সেটা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এমন একটা পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, পাণ্ডব'দা। নইলে এগুলো অগোচরেই থেকে যেতো হয়তো...
ধন্যবাদ বিডিআর, এমন গল্প আমাদের দেশে আরো আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়ে গিয়েছি কয়েকবার কিন্তু মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই পান্ডবদা...
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ রিপন, ঘটনার বর্ণনায় আমার ভাষাও কয়েক জায়গায় থমকে গেছে - লক্ষ্য করেছ নিশ্চয়ই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নিঃসন্দেহে প্রিয়তে !!!
...একটা নিদারুণ লেখা পড়লাম, পান্ডবদাকে ধন্যবাদ। স্বাধীন দেশে বসে বুঝিনা স্বাধীন হতে গিয়ে কী হারাতে হয়েছে...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ধন্যবাদ। স্বাধীন হবার জন্য একটা দেশের মানুষদের যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সেগুলোর কথা একশ'টা মহাকাব্য লিখেও শেষ করা যাবেনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব দা'
অতুলনীয় একটি পোষ্ট। পছন্দের পোষ্টে ঝুলিয়ে নিলাম।
ইলা মিত্রের কাহিনী কিছু জানতাম। বাকীদের কথা আজই প্রথম জানা হল।
আচ্ছা প্রীতিলতা কি কুমিল্লার মেয়ে ছিলেন না?
না তো। প্রীতিলতা চট্রগ্রামের মেয়ে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ অনিকেত। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ সালের ৫ই মে বর্তমান চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহন করেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
...
কিছু কিছু বিষয়ে আসলেই মন্তব্য করার ভাষাও থাকেনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা, ধন্যবাদ
ধন্যবাদ সাফি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডবদা এমন একটি লেখার জন্য
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ কৌশিক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কোন মন্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না, তাই নিশ্চুপ..................
এমন সব ঘটনাতে এমনটাই তো হবার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইলামিত্রের ঘটনা বাদে বাকীদের ঘটনা জানতাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্য।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনাকেও ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইলামিত্রের কথা জানতাম, তাঁকে করা অত্যাচারের কথা শুধু পড়েছিলাম, কিন্তু এরকম ডিটেইলে পড়ি নি, পড়ে ......
প্রজাপতিদের আর সুন্দরীদের কথা জানতাম না। জানা উচিত ছিলো!
জানানোর জন্য প্রথম পশলা ধন্যবাদ, আর সুলিখিত পোস্টের জন্য আরেক দফা
আপনাকেও ধন্যবাদ। বাকি কথার জন্য নিচের পূর্বকথন পড়ুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দ্য ব্যাটেল অভ আলজিয়ার্স দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
এইরকম একটা পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনাকেও ধন্যবাদ। মুভিটা ঢাকায় পাবার কোন উপায় বলতে পারেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়তে গিয়েই গা শিউরে উঠলো, মিরাব্যাল বোনদের ইতিহাস জানা ছিল না ।
অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা পোস্টের জন্য। পছন্দের তালিকায় যোগ করলাম।
---------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আপনাকেও ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শেষ ২ জনের অত্যাচারের ইতিহাস পড়ে গা কাঁটা দিল অনেকবার। আবারো মানতে বাধ্য হলাম "ট্রুথ ইজ স্ট্রেন্জার দ্যান ফিকশন"। আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এমন একটা লেখা দেবার জন্যে।
আর মডু দাদাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই লেখাটা স্টিকি করার জন্যে।
======================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনাকেও ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয় পোস্ট স্টিকি করার দরকার নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পূর্বকথনঃ
১। একবার সালমা হায়েকের প্রেমে পড়েছিলাম। তখন তার সব মুভি একটানা দেখতে গিয়ে "ইন দ্য টাইম অভ দ্য বাটরফ্লাইজ" দেখা হয়। মুভিটা দেখার পর মিরাব্যাল বোনদের আর ত্রুহিয়োকে নিয়ে কিঞ্চিত খোঁজখবর আর পড়াশোনা করা হয়।
২। ১৯৭৮ সালে আমার বড়বোন যখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন তখন তিনি তার পাঠ্যপুস্তক থেকে জামিলাদের কথা পড়ে শুনিয়েছিলেন। জামিলাদের কথা ভুলতে বসেছিলাম। আলজেরিয়ার ইতিহাস পড়তে গিয়ে তাঁদের কথা আবার মনে হল। এই দফা খোঁজ করে এইটুকু পেলাম। বেশিরভাগ ইতিহাস আবার ফরাসী বা আরবী ভাষায় লেখা তাই আর পড়ে উঠতে পারিনি। একটা বিষয় ভাবুন এককালে আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকে এমন মানুষদের গল্প থাকত, আর এখন!
৩। শিক্ষিত বাঙালী মাত্র ইলা মিত্রের নাম জানার কথা। তাই তাঁর সম্পর্কে অল্পই লিখলাম। রাজশাহী আদালতে দেয়া তাঁর জবানবন্দিটার মূলটা পড়েছিলাম অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক "নিপুণ"-এ সম্ভবতঃ ১৯৮৪ সালে। ইলা মিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা আমাদের প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ওহ, একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, নামগুলোর উচ্চারণ সম্ভবতঃ "মিরাবাল" হবে, আমার সীমিত স্প্যানিশ জ্ঞান তাই বলে। স্প্যানিশে a'র উচ্চারণ সবসময়ই "আ" এর মত - পাত্রিয়া, মারিয়া, তেরেসা, এরকম আর কী।
নামগুলির বানান ঠিক করা হল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক কৃতজ্ঞতা লেখাটির জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাই, এ লেখাটা কম করে হলেও দশ বার পড়ে গেছি গত ক'দিনে, কিছু লিখতে পারি নি।
আজকে যদি এই অসম সাহসী মানুষগুলিকে বলতে পারতাম, দেখো! তোমরা যে পাশবিক অত্যাচার সয়ে গেছ তা বৃথা যায়নি! তোমাদের শরীরে অত্যাচারের প্রতিটা দাগ বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে, আমরা মানুষ হয়েছি আজকে, পশু তো আর নেই!
যদি বলতে পারতাম এই কথাগুলি তাহলে মন্তব্য করে যেতাম। তবু বলি, এই লেখাটার জন্য ভীষনভাবে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম আপনার কাছে। ইলা মিত্রের কথা জানা ছিলো পারিবারিক যোগের কারণে, বাকী দু'জন সম্পর্কে সম্পূর্ণই অজ্ঞ ছিলাম। জেনে লাভটা কী হলো? তা জানি না ভাই, শুধু এটুকু জানি, না জানলে বড় ক্ষতি হয়ে যেত।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
"তোমরা যে পাশবিক অত্যাচার সয়ে গেছ তা বৃথা যায়নি! তোমাদের শরীরে অত্যাচারের প্রতিটা দাগ বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে, আমরা মানুষ হয়েছি আজকে, পশু তো আর নেই!"
-আপনার এই আশার কথাটিকে নিয়ে আমার কিঞ্চিত সন্দেহ আছে। ইদানিং কালেরই আরো অনেক গল্প আছে যেগুলো এই গল্পগুলোর চেয়ে কোন অংশে কম বীভৎস নয়। তবু আসুন আমরা আশা করি আমরা সত্যি সত্যি একদিন মানুষ হব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নারে ভাই, কথাটা পরিস্কার করে বোঝাতে পারি নি, লিখেছিলাম যদি বলতে পারতাম তাঁদেরকে যে এখন আমরা মানুষ হয়েছি, এমন অত্যাচার আর পৃথিবীতে হয় না, তাহলে মন্তব্য করার মতো মুখ থাকতো। কিন্তু তা আর বলতে পারছি কি? ইদানিং যে সব অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ পায় তা কোনো অংশে কম তো নয়ই বরং অনেকাংশেই এর চেয়েও ভয়াবহ!
এরকম অত্যাচার আর হয় না ভাবার মতো যদি না'ঈভ-ই হতাম, তাহলে মানুষহ হিসেবে আরো সুখী হতে পারতাম! আবারও বলি, কৃতজ্ঞতা রইল লেখাটির জন্য ভাই।
সেটাই, আজকে আইন অনেক কড়া, মিডিয়া অনেক সরব ও সবল, দুনিয়া অনেক ছোটো.... আইনগুলো আছেই মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রন করার জন্য। একটু সুযোগ পেলেই আমার আপনার মধ্যের অনেকেই, হয়তো আমরাও এমন পাশবিক হয়ে যাব....
নির্যাতন নারী পুরুষ সবাইকে সমান ভাবেই করা হয়েছে ইতিহাসে... নিযার্তন ধর্ষণ তো আগের যুদ্ধে খুব সচরাচর একটা বিষয় ছিল.... এইসব নারীরা মহান কারণ এঁরা ব্যতিক্রম... সাহস , অবদান আর লড়াই এর মাধ্যমে নারীর শক্তির উদাহরণ রেখে এঁরা আজকের নারী স্বাধীনতার পথ অনেকটাই প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছেন।
অসাধারণ একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
প্রিয় অবাঞ্ছিত, আপনার মন্তব্যর প্রথম বাক্যের সাথে পুরোপুরি দ্বিমত, দ্বিতীয় বাক্যের সাথে আংশিক দ্বিমত, আর বাকি বাক্যগুলোর সাথে পুরোপুরি সহমত।
সেটাই, আজকে আইন অনেক কড়া, মিডিয়া অনেক সরব ও সবল, দুনিয়া অনেক ছোটো....
আমার দৃষ্টিতে আজকেও আইন দুর্বলদের জন্য কড়া, মিডিয়া ক্ষমতাবানদের পক্ষে সরব ও সবল, দুনিয়া এখনো বিশাল কারণ অনেক দূরত্বই এখনো অনতিক্রমনীয়।
সুযোগের অভাবে বা সাহসের অভাবে পাশবিক আচরণ না করা মানুষের সংখ্যা অনেক। তবে আইন বা মিডিয়ার ভয়ের চেয়ে নিজের বর্তমান অবস্থান নেমে যেতে পারে বা লোকে তার এই মুখোশ চিনে ফেলতে পারে এই ভয়টাই তাদের মধ্যে বেশি কাজ করে।
অত্যাচার-নির্যাতন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার উপরই করা হয়েছে। এইক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিচয় তার উপর অত্যাচারের প্রকৃতিকে কেবল পাল্টেছে, অত্যাচার কমেনি। তবে নারীর উপর সহিংসতা বন্ধে পুরুষের ভূমিকাই অগ্রণী হওয়া উচিত। আর এই মহান ব্যক্তিত্বরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাতে শুধু নারীর নয়, মানুষের মুক্তির পথই আরেকটু প্রশস্ত হয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আচ্ছা 'রাণী' বানানটা কি বিশেষ কোন কারণে 'রানি' লেখা হয়েছে? নাকি এটাই বর্তমানে প্রচলিত?
আমিও "রাণী" লেখার পক্ষপাতী। 'রানি" লিখেছি বাংলা একাডেমীর হুকুমে। এই হুকুমের যৌক্তিকতা আমার জানা নেই। ভাষা-বানান সহজ, সরল করার যুক্তি কেউ কেউ দেন। তবে আমার কাছে সেগুলোকে কুযুক্তি বলে মনে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ। আর কী বলা যায় জানিনা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার পোস্ট ! ভয়াবহতা বাকরুদ্ধ করে । ধন্যবাদ।
দিশা___
ভয়াবহ লেখা।
আপনার একটা কথার সাথে পুরোপুরি একমত। এবং বাঁধাই করে রাখার মত কথা
বাকিগুলো সম্পর্কে জানা ছিল না। বিস্তারিত পড়া শুরু করতেছি।
- মুক্ত বয়ান।
অসাধারণ এই লেখাটা আগে কেন পড়িনি -- এই আফসোস হচ্ছে। প্রিয়তে নিলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ এবং ভয়াবহ একটা লেখা। ইলা মিত্র ছাড়া আর কারো নাম জানা ছিল না।
কি অদ্ভুত,আমি ইলা মিত্র ছাড়া উপরোক্ত কারও নামই আগে জানতাম না!নির্যাতনের বর্ণনা গুলো স্কিপ করলাম।আমার নার্ভ একটু উইক।তবে যুদ্ধবন্দীদের উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে জেন্ডার ইস্যু আমার কাছে বড় মনে হয়না।এই ক্ষেত্রে দুর্বলের হাহাকার দেখে সবলের আনন্দই মনে হয় মুখ্য ভুমিকা পালন করে।ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি আবু গারাইব কারাগারের পুরুষ বন্দীদের সাথেও মার্কিন সেনারা,এমনকি নারী সেনারাও কি কুৎসিত আচরন করেছে। জানেন,যখন ছোটবেলায় পেপারে নারী নির্যাতনের খবরগুলো পড়তাম মনে হত -এগুলো তো করছে আমাদের বাপ-চাচাদের বয়সী লোকরা,আমরা নিশ্চয়ই এরকম হব না।কিন্ত,আমি এখন হতাশ।আমরা আরও খারাপ হয়েছি।কত খারাপ তা ফেসবুকে একেকজনের ভাষা দেখলেই বোঝা যায়।আজকেও দেখলাম মেয়েকে টিজ করার প্রতিবাদ করায় এক মুক্তিযোদ্ধাকে মেরে ফেলা হয়েছে।কাজটি করেছে আমার চেয়েও বছর দুইয়েকের এক ছেলে। কষ্টে বুকটা ফেটে যায় যখন দেখি একজন টিনেজ ছেলে ধর্ষন করেছে কোন মেয়ে শিশুকে। আসলে কি কারনে আমরা এদের ন্যায়নীতি শেখাতে ব্যর্থ হচ্ছি বারবার?আমাদের দেশের ক্ষেত্রে আমি অনেকাংশে দায়ী করি রাজনীতিকে।এদেশে বাপ-চাচা কেউ সরকারী দলের কেষ্টুবিষ্টু হলেই লাইসেন্স পাওয়া যায় অন্য যে কারো উপর হামলে পড়ার।এই যে পুরুষের নারীকে ডমিনেট করার যে প্রবনতা,এটা কি তাদের জিনগত নাকি সামাজিক ছোঁয়াচে ব্যাধি?
অনেক অজানা তথ্য জানলাম আপনার অসাধারণ এই লেখাটি পড়ে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এরকম একটি তথ্যসম্বৃদ্ধ লেখা পড়বার সুযোগ আমাদেরকে করে দেবার জন্য।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
স্তব্ধ হয়ে বসে আছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন