একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি যে, যখন কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা শাস্তি চাওয়া, রাজাকারদের উত্থান ঠেকানো, মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ঠেকানো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কেউ কোন ব্লগ পোস্ট করেন, তখন কেউ কেউ এমন কথা বলেন যে, “ব্লগে এ’সব কথা লিখে কী লাভ?” “ওরা তো অনেক সংগঠিত।“ “ওদের শক্তি অনেক বেশি।“ “এভাবে কি বিচার করা যায়?” “এসব করে কোন লাভ হবেনা” ইত্যাদি ইত্যাদি। বস্তুতঃ ১৯৭১ সালেও এমন অনেক মহাজ্ঞানী, পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন যারা হিসেব কষে বুঝিয়ে দিতেন একটা প্রশিক্ষিত, আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত, রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সৈন্যবাহিনীর বিরূদ্ধে লুঙিপরা, অপ্রশিক্ষিত লোকজনের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল সম্বল করে যুদ্ধ করাটা কত অর্থহীন। সেই অর্থহীন যুদ্ধ করে যখন গ্রাম্য, অপ্রশিক্ষিত লোকগুলো জিতে গেল তখন মহাজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ধরে তাদের পেয়ারুদের যুদ্ধে হেরে যাবার কারণ খুঁজতে হাজারো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খুঁজে পেলেন। ব্লগে এ’ধরণের মন্তব্য পড়লে সেইসব মহাজ্ঞানীদের ছায়া দেখতে পাই, তাদের কন্ঠ শুনতে পাই।
ব্লগ সর্বরোগের মহৌষধ নয়। ব্লগ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের উপায় নয়। ব্লগ লিখে সর্বাঙ্গীন বিপ্লব করা যায় না। ব্লগ ভাত-কাপড় দেয় না। সেখানে ব্লগ লিখে যুদ্ধাপরাধীদের মত রক্তবীজদের কিভাবে শায়েস্তা করা যাবে? মুক্তিযুদ্ধ বা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে যারা ব্লগ লেখেন তারা কেউ এই দাবী করেন না যে এই ব্লগ লেখাটাই যথেষ্ঠ। বরং তারা যা করতে চান তা হচ্ছে আমাদের অজানা কিছু বিষয়কে সামনে নিয়ে আসতে, অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিতে, সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে, দালালদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ তুলে ধরতে, আমাদের সচেতন করতে, আমাদের জাগিয়ে রাখতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে এই লেখালেখি, আলোচনাটা জরুরী।
ব্লগেই আমরা দেখেছি অনেকে এমন কথা লিখেছেন যে, তিনি অমুকের বই পড়ে বা অমুকের লেখা পড়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই বইগুলো বা এই ব্লগগুলো লেখা না হলে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অসম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে থাকতেন। এটি নতুন কিছু নয়। আগে লেখা অনেক ভালো বইয়েরই আর কোন কপি বাজারে পাওয়া যায় না, মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন এমন অনেকেই আর আজ আমাদের মাঝে নেই। তাই আরো হাজার বছর ধরে এ’নিয়ে লিখে যেতে হবে, আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতেই এ’সব করতে হবে।
এই লেখা-পড়া-আলোচনায় আর কী লাভ? প্রাথমিক লাভটা হচ্ছে এই যে প্রকৃত সত্যটা কী সেটা জানা যায়। পরবর্তী পর্যায়ে তাতে আশু কর্তব্যটা নির্ধারণ করা যায়। সম্ভাব্য কার্যধারা, কর্মকৌশল নিয়েও আলোচনা করা যায়। এত কথা না বলে, না বুঝে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে গেলে প্রথম ধাপেই কচুকাটা হতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্তরূপ - ভূঁইফোড় কিছু নয়, আকাশ থেকে নেমে আসা কিছু নয়।
আবারো ব্লগের কথা বলি। এই মাধ্যমটা অপেক্ষাকৃত নতুন, কিন্তু বেশ কার্যকর। খোদ সচলায়তনে ব্লগ লিখে জনমত সংগঠিত করা গেছে, অনেক বড় বিপর্যয় ঠেকানো গেছে, অনেক অন্যায় রোধ করা গেছে, মানবতার সপক্ষে মানুষকে এক কাতারে আনা গেছে। এগুলো নিছক গল্প নয়, ইতিহাসের এই ঘটনাগুলোর সাক্ষী সচলের শত-শত ব্লগার-পাঠক। উদাহরণ দেবার প্রয়োজন বোধ করিনা। যারা অবিশ্বাস করেন তারা সচলের ইতিহাস দেখতে পারেন, অথবা আগামী দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন - অমন ঘটনা সচলরা আরো ঘটাবেন।
*******************************************************
পনেরই ডিসেম্বর রাতে বাসায় ফিরে দেখি মা-ছেলে মিলে কাগজের পতাকা আর স্মৃতিসৌধের ছবি দিয়ে বাসা সাজাচ্ছে। বাসার বাইরে জাতীয় পতাকা উড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি বোকা শ্রেণীর মানুষ বলে তাদের কাজে সায় দিলাম। অথচ সময়-অর্থের কী অপচয় দেখুন! আমি জ্ঞানী মানুষ হলে নিশ্চয়ই তাদেরকে এইসব আজেবাজে কাজ না করে লাঠি নিয়ে মগবাজারের দিকে রওয়ানা দিতে বলতাম। পতাকা লাগাতে লাগাতে দেখি মা ছেলেকে বলছে, “বাবা, দেশের গান গাও, বিজয় দিবসে দেশের গান গাইতে হয়”। অনুচ্চস্বরে মা-ছেলে দেশের গান গায়, আমি গলা মেলাই। আমি সেই গান শুনে কথার ভুল শুধরে দেই। আমার দৃশার দেশের গানের কথা মনে হয়। ব্লগে দৃশা দেশের গান একসাথ করার মত বোকামী না করলে আমারও নিশ্চয়ই গানের বানী শুধরানোর কথা মনে হত না। পুরোই অর্থহীন। এই ব্লগে লিখে রাগিব মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা আর যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বাংলা উইকিতে ভূক্তি লেখার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলেন, সত্য ইতিহাসকে ধরে রাখতে বলেন। কে জানে অনেক বোকাই হয়তো এ’সব ব্লগ পড়ে ঐসব অদরকারী কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়বে। এই দেশে মূর্খের তো আর অভাব নেই! মূর্খ না হলে পদে পদে রাগিবকে বলতো, ‘ব্যাটা ভুট্টাক্ষেত আর মায়াপুরীতে বসে এইসব আজেবাজে কাজ না করে এখানে এসে লড়াই কর্”। বস্তুতঃ সচল জুড়েই এইসব উন্মাদদের আনাগোনা, কয়টার নাম আর বলবো?
*******************************************************
আজকে যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ব্লগ লিখতে নিরুৎসাহিত করে, আগামী কাল তারা পতাকা দিয়ে বাড়ি সাজানো, দেশের গান গাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শণী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক-চলচিত্রের কী দরকার সেই প্রশ্ন তুলবে। তারা নানা ধরণের একতার কথা বলবে, পুরনো কাসুন্দি না ঘাঁটার উপদেশ দেবে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবার কথা বলবে, নিজেদের তাহ্জীব-তমদ্দুন রক্ষার কথা বলবে। সাথে সাথে তাদের বানানো ইতিহাসের ব্লগ লেখা, ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলতে থাকবে। আগামী প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হবে।
আগামীকাল যদি আমাদের সন্তান আমাদের এই প্রশ্ন তোলে যে, “সেদিন তোমরা চুপ করে বসেছিলে কেন? কেন তোমরা কিছুই বলনি, কিছুই লেখনি? কেন আমাদের বিস্মৃতির দিকে ঠেলে দিলে? কেন চেনালে না আমাদের শত্রু-মিত্রকে?” তখন আমরা কি উত্তর দেব?
মন্তব্য
সহমত!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
উদ্ধৃতি
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে এই লেখালেখি, আলোচনাটা জরুরী।
উদ্ধৃতি
ব্লগে লাফালাফি করে কী লাভ?
ভাই,
আপনি, কাছের জিনিস দেখেন দূরে সরে, একই সাথে পাশে থেকে অনেক দূরে। সহমত!
"আপনি, কাছের জিনিস দেখেন দূরে সরে, একই সাথে পাশে থেকে অনেক দূরে।"
ভাই নাগর_শরীফ, আপনার এই কথাটা আমি একেবারেই বুঝিনি। দয়া করে একটু বুঝিয়ে দেবেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কীভাবে বুঝাই,
যেমন,
আপনি কোনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন, এমন সময় একটা মারামারি শুরু হলো আপনার পাশেই, আপনি আপনার পাশের খন্ডচিত্রটা ভালোকরে দেখতে পারলেও, যদি আপনি একটু সরে গিয়ে পাশের ভবনের ছাদ থেকে দেখেন, তখন মারামারির পুরোচিত্র কিন্তু আপনার নজরে আসবে।
আরেকটা, চিত্রকর কোনো ছবিতে একেবারে পাশথেকে তুলির আঁচড় টানলেও যাঁচাইয়ের জন্যে সে একটু পিছনে সড়ে গিয়ে দেখে চিত্রটা সার্বিকভাবে কেমন হলো।
ব্লগে আমাদের স্বাদীনতা যুদ্ধ নিয়ে, অথবা রাজাকার বিরোধী যত লেখা হচ্ছে তাতে স্বাভাবিক ভাবেই একটা প্রশ্ন সাধারণ পাঠকদের থেকে এসে যায় যে, ব্লগে লাফালাফি করে কী লাভ? এই জিনিসটা কিন্তু লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকা ব্লগারদের খেয়ালে আসেনা, আর না আসাটাই স্বাভাবিক, কারণ ব্লগাররা জানেন এখানে লেখার প্রয়োজন আছে, আর তারা মনে করেন এটা তাঁদের মতো সবাই বুঝে। কিন্তু আপনি একজন ব্লগার হয়েও যেভাবে একটু দুর থেকে ব্লগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলেন, এবং বুঝলেন একটা প্রশ্নএসে যায়।সেটাই আমি বলেছি যে, আপনি, কাছের জিনিস দেখেন দূরে সরে
০২
ব্লগে এইসব লাফালাফির আসল মানে আমি বুঝতামনা, আমি মনে করতাম এসব হয়তো শহীদদের প্রতি কৃতগ্গতা প্রকাশ, অথবা দিনগুলা উদযাপন, নিজেকে জাহির করা, অথবা করতে হয় বলে করি। কিন্তু আপনার এই পোষ্টে লাফালাফি যে কত গুরুত্বপুর্ন একটা কাজ আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে আরো সমৃদ্ধ করাতে, এবং আরো বিভীন্ন কারণে তা স্পষ্ট হয়েছে। একমাত্র আপনিই এই নিয়ে পোষ্ট দিলেন। তাই আমি বললাম যে, একই সাথে পাশে থেকে অনেক দূরে।"
বুঝাতে পারলাম কি না দয়াকরে জানাবেন।
আমি কিন্তু খুব সিরিয়াসলি ব্লগিংকে এক ধরণের অ্যাক্টিভিজম মনে করি। কারণ ব্লগ যেকোন বিচারেই একটা মিডিয়া। এখানে লাফালাফি না করার অর্থ এই মিডিয়াটিকে ছাগুদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। আমরা লাফালাফি না করলে ওরা লাফালাফি করবে। তাতে এই মিডিয়ার তামশগীররা ছাগুকথাকে ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক প্রপঞ্চ বলে জানবে। ব্লগে লাফালাফিটা যেকোন বিচারেই শুধু জরুরি না ফরজ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
একমত। রাজনীতিতেও আজ তাই হয়েছে। মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা আজ রাজনীতিবিমুখ। তাই রাজনীতি চলে গেছে গুন্ডাদের দখলে। না লিখলে ব্লগও জাশি নিয়ে নিবে। তাই যতো সামান্যই হোক অস্তিত্ব জানান দেয়া চাইই চাই।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সব কথার শেষ কথা!
______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
প্রচণ্ড সহমত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত, দারুণভাবে!
আছি আছি আছি
ঠিক
সহমত পান্ডব'দা
তবে আমি নিজেও কিন্তু এজাতিয় কথা বলেছি। আমি বলেছি,
তবে সে কেবল ব্লগ লিখে পোষায়না বলেই...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
- বুদ্ধু
একদম সহমত। তবে যারা বলেন "ব্লগে লাফালাফি করে লাভ কি??" তাদের একটা বড় অংশই আসলে বাঙালী-আড্ডা-সুলভ হতাশার কারণে বলে থাকেন, ঠিক যেমনটি অনেকে বলে থাকেন "এই দেশের কিস্যু হবেনা!!", যখন হয়ত কথাটা তিনি ঠিকমত মীন-ই করেননা।
"ইন্টারনেট মিডিয়া"য় আমাদের সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দেবার গুরুত্ব কোন ভাবেই কম নয়। যখন দেখি একঝাঁক আধুনিক, মুক্তমনা, ক্ষুরধার ছেলে মেয়ে তাদের তথ্যের উৎস হিসেবে ইন্টারনেট/ব্লগকেই বেছে নিচ্ছে, আর এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, তখনই এই "ব্লগের লাফালাফি" আমার কাছে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সেই। রাজাকারদের ঠেকাতে হবে সব ক্ষেত্রে, কাজেই যে যে যেভাবে যেখান থেকে পারি লড়ে যাবো। পূর্ণ সহমত।
একমত পাণ্ডবদা,
স্বাধীনতা যুদ্ধের শ্লোগান গুলো শুনতে মনঞ্চায়।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চবিতে আগে ছাত্রলীগ স্লোগান দিত "একটা দুইটা শিবির ধর,
সকাল বিকাল নাস্তা কর"। আহা বড়ই মধুর আওয়াজ। যাই হোক, এখন আর কেউ বলে না
আমি নিজের কথা বলতে পারি। গ্র্যাজয়েশনের পর বন্ধু বান্ধবেরা এক একজন এক এক প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। কালেভদ্রে মুখদর্শন হয়। যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেইসবুকই ভরসা। চাকরি খুঁজি, সেও অনলাইনে। তিল থেকে তাল যে কোন কিছুর বৃত্তান্ত জানতে ঢুঁ মারি উইকিপিডিয়ায়।
জীবনের সাথে ইন্টারনেট যেখানে এতটা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গেছে, সেখানে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ আর মতবিনিময়ের জন্য ব্লগিংকে আমি অত্যাবশ্যকীয় মনে করি। চায়ের আড্ডা থেকেও বিপ্লবের বীজমন্ত্র রোপিত হতে পারে। কাজেই এই সাইবার যুগে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম উপেক্ষা করা যায়না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- ব্লগে লাফালাফিতে সহমত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্লগে লাফালাফি করুম নাতো কই লাফালাফি করুম। ব্লগের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে, আপনি সবসময়ি জানবেন আপনি একা না, আরো অনেকেই লাফালাফি করছে, ব্যাপক হারেই করছে। আপনিও তখন আগের চেয়ে একটু বেশি লাফাবেন। আমার মনে হয় পতাকা লাগানো, দেশের গান গাওয়া এগুলাও একি রকম ব্যাপার। মানুষ সামাজিকভাবে লাফালাফি করতে পছন্দ করে।
হা হা হা হা! !
প্রশ্নটার মুখোমুখি আমাকে বহুবার হতে হয়েছে। বাংলা ব্লগ যখন আরো অপরিণত, তখন অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিকে ব্লগের লেখা ফরোয়ার্ড করতে গিয়ে হুল খেয়েছি। এখনও খাই মাঝে মাঝে।
আমি প্রশ্নটা ফিরিয়ে দেই। ব্লগে লাফালাফি করলে লসটা কী?
লাফালাফি জারী থাকুক, সঙ্গে আছি
লাফালাফি কইর্যা লস নাই তো কোন, তাইলে লাফাইলে সমস্যা কী ?? সকল প্রকার লাফালাফির পক্ষে...
_________________________________________
সেরিওজা
ঠিক মনে হলো, নিজের কথা গুলো পড়লাম। চমৎকার লেখা পান্ডবদা।
সাবিহ ওমরের এই অমূল্য বাণীকে কমেন্ট অফ দ্য ইয়ার ঘোষনা দেবার তীব্র দাবী জানাচ্ছি!
______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সচল লাফালাফির জন্য আনন্দদায়ক উৎকৃষ্ট জায়গা। আসুন সবাই লাফালাফি করি। লাফালাফির মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা গুলোকে কার্যক্ষেত্রে নিয়ে আসার জন্যও চেষ্টা করি। অর্থাৎ-
'একটা দুইটা দালাল ধর
সকাল বিকাল নাস্তা কর'
---- মনজুর এলাহী ----
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
প্রচুর লাফালাফি অব্যহত থাকুক
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ব্লগে লাফালাফি করে কি লাভ সেটা জানেন যারা ২০০৬, ০৭ এ নিয়মিত ব্লগিং করেছেন। জামাতী ছাগুদের কি ভয়াবহ দৌরাত্ব ছিলো, আর কি ভাবে তা প্রতিহত করা হয়েছে সময় স্বাক্ষী।
লাফালাফি, ফালাফালি সব অব্যহত থাকুক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একমত...
তখন যদি লাফালাফি না করা হইতো, তাইলে এখন আর বাংলায় ব্লগ লেখতে হইতো না, উর্দুতে লেখতে হইতো।
লাফালাফি চিল্লাচিল্লি সবসময় অব্যাহত থাকবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখন আরেকটু বেশী লাফাবো।
আমার ছেলে একটাই গালি শিখেছে সেটা হলো "তুমি একটা পাকিস্তান" এখন আরো একটা শিখাবো 'তুমি একটা রাজাকার"
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মূর্খদের সাথে প্রচন্ড সহমত জানিয়ে গেলাম।
আজকে যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ব্লগ লিখতে নিরুৎসাহিত করে, আগামী কাল তারা পতাকা দিয়ে বাড়ি সাজানো, দেশের গান গাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শণী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক-চলচিত্রের কী দরকার সেই প্রশ্ন তুলবে।
ছাগুরা দেখে অনেক, শেখে কম। পাগলা বাঙালকে বলে লাফাইস না। ওরা যা চায়, ঠিক তার উল্টোটাতেই যে আমাদের ঝোঁক, ওদের না না যে আমাদের লাফালাফির জোশটাই বাড়িয়ে দেয়, সে ওরা ৩৮ বছরেও বুঝলে না।
সাধে কি বলে ছাগু?
আমরা যেমন অতীত ইতিহাস নিয়ে কোনো রেফারেন্স দিতে চাইলে সাধারনত কোন লেখকের লেখা, কোন পত্রিকার কোন প্রবন্ধ বা খবরের উল্লেখ করি ঠিক তেমনই আজ থেকে বেশ কিছু বছর পরেই এই ব্লগই হবে একটা রেফারেন্স।
আর ব্লগে ছাগুরামদের কীর্তি আর বিচার নিয়েতো লাফাতেই হবে, কারন এই লাফালাফিটাই ঐসব ছাগু গুলার বিরুদ্ধে জনমতের একটা অকাট্য প্রমান। যারা লাফালাফির বিরুদ্ধে তারা চায়না এরকম কোন দলিল থাকুক। তারাতো সত্যকে ভয় খায়।
ঐসব ছাগুর দালালগো গায়ের লুম্বা একটা একটা কইরা চিমটা দিয়া তুইল্লা ফেলা উচিত।
==============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সহমত
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পোস্টে সহমত।
তবে এখানে আরেকটা বিষয় যুক্ত করি। ব্লগে লাফালাফির বোধহয় দুটো অর্থ হয়-- একটি হলো একেবারেই কোনোকিছু না করে 'রাজাকারদের শোয়ায়া ফালামু', 'ওদের ধইর্যা পিটা' ইত্যাদি ইত্যাদি কথাবার্তা বলা এবং এর মাধ্যমে নিজে কতোবড় রাজাকারবিরোধী সেটা সবাইকে দেখানো। আরেকটি হলো এসব বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা দেয়া, সাহিত্য রচনা করা, জনসচেতনতা গড়ে তোলা ইত্যাদি। আমি জানি, আপনি দ্বিতীয়টির কথাই এখানে বলতে চেয়েছেন, এবং সেটা নিয়ে কোনোই দ্বিমত নাই।
কিন্তু নানা ব্লগে ঘুরাঘুরির সুবাদে দেখেছি প্রথম ধরনের লাফালাফির মানুষও কিন্তু কম নেই। তাদের সব উদ্যম শুধু এই ধরনের কমেন্ট করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর যে একেবারেই কোনো তাৎপর্য নেই তা বলছি না। কিন্তু এসব লাফালাফি এখন আর দেখতে ভালো লাগে না। মনে হয়, কাজ করার চেয়ে এসব কথা বলা দিন দিন ফ্যাশন হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও এই গ্রুপে পড়ি। নিজের ওপরও তাই বিরক্ত। না হলে রাগিব ভাই দিনের পর দিন পোস্ট দিয়ে যাবেন, আমরা কিছু না করে খালি বড় বড় কথা বলবো, আর এই ফাকে ছাগু-রাজাকারগুলা তাদের ভুক্তি দিয়ে বিশ্বকে উল্টো ইতিহাস জানিয়ে দিবে--- এই লাফালাফির আসলেই কি কোনো মানে আছে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ্যাঁ, আমি দ্বিতীয় অর্থটাকেই নির্দেশ করতে চেয়েছি। প্রথম অর্থটা নিয়ে আমারও কিঞ্চিত ক্ষোভ আছে, তবে বিশেষ কিছু মনে করিনা। আপনার ছাত্র রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা আছে, সেখান থেকে আপনি জানেন যে এমন কিছু "হাইপার-অ্যাকটিভ" কর্মী আছে যারা মুখে মুখে লাফ-ঝাঁপ দেয় কিন্তু কাজের কথায় পিছিয়ে পড়ে। আমি তাদের গালমন্দ করিনা। কারণ, সবার সাহস ও প্রত্যয় সমান শক্তিশালী নয়। তবে ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে, এই মানুষগুলোর মন সাদা এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে নন্। কিন্তু বর্ণচোরা ছাগুর দল দুই ধরণের পোস্টেই হতাশার বানী ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে। তাদের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। অতিবুদ্ধিমান ছাগুরা আবার আমাদেরকে নৈরাজ্যকর উদ্যোগের দিকে ঠেলে দিতে চেষ্টা করে। সেটা নিয়েও সাবধান হতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এখানে আমি আরেকটা জিনিস যোগ করতে চাই। যারা বলে ব্লগে লিখে কোন লাভ নেই, তাদের মাঝে বর্ণচোরা ছাগুর দল যেমন আছে, তেমনি আছে আরেক দল যারা এর পরের ধাপে এগিয়ে যেতে চায়, কিন্তু দিক নির্দেশনার অভাবে পারছে না।
আটত্রিশটা বছর তো কেটে গেল, আর কতদিন বাংলার বাতাস দূষিত করবে নিজামী গোআ?
০১
জিন্নাহ যেদিন বলেছিলেন- উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, সেদিন গুটিকয়েক যে ছাত্র-ছাত্রীরা 'নো নো' বলে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলো, তারাও হয়তো জানতো না কী দাবানল জ্বালানোর প্রথম বারুদ-টোকাটা দিয়েছিলো তাঁরা। জিন্নাহ গং কিন্তু যা বোঝার বুঝে ফেলেছিলো, যা হয়তো তখনকার বাঙালিরাও ধারণা করতে পারে নি, আরেকটু পরে বুঝেছিলো সবাই।
আজ ব্লগের মাধ্যমে যে কাজটা হচ্ছে, তাকে আমি সেই 'নো নো'র মতোই ভাবছি। আর এজন্যেই এটাকে নিরুৎসাহিত করতে খুব পরিকল্পিতভাবে এসব 'কী হবে' জাতীয় কথা-বার্তা উঠছে বলে আমার ধারণা।
০২
তথাকথিত খুব কাজের মানুষরা অনেকসময়ই আমাকে বলে থাকেন, পত্র-পত্রিকায় না লিখে কী সব ব্লগ-ফ্লগ করেন! আমি উত্তর করি, কাউকে না কাউকে কিছু আজাইরা কাজ করতে হয়। কাজের মানুষরা অনেক বড় বড় কাজের কথা পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। এক বছর পরে গিয়ে সেই কাজের কথাটা পড়তে গেলে কোন পত্রিকার আর্কাইভই আর পাওয়া যায় না। এখনকার কোন কিশোর একমাস পরে আজকের পত্রিকাটা কোথাও খুঁজে পাবে না যদি সে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে কিছু জানতে চায় বা কোন ছবি দেখতে চায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় শব্দটি লিখে একটা সার্চ দিলে সে ছবি সহ যাবতীয় লেখাসমৃদ্ধ এতগুলো ব্লগ লিংক পেয়ে যাবে যে, সে বুঝতে পারবে যেকোন কিছু জানার সাধ্য তার রয়েছে এই ব্লগগুলোর কল্যাণেই।
০৩
এখন পত্র-পত্রিকাগুলোয় যেসব লেখা বেরোয়, খুব আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি, কোথাও নতুন কোন তথ্য পাইনা। কেননা তা ব্লগগুলোর কল্যাণে আগেই জেনে যাচ্ছি আমরা। চাইলেই গত বছরে কী ঘটেছিলো মুহূর্তের মধ্যেই তা ব্লগ থেকে উদ্ধার করে নিতে পারছি আমরা। আমার মতো কোন বেকুফ এখন পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে একবছর আগের পত্রিকা খুঁড়বে ?
০৪
চর্বিত চর্বন জাতীয় কথাগুলো এজন্যেই বলছি যে, আমরা যে মূলত এখন ব্লগ-সভ্যতায় পৌঁছে গেছি, এটা যারা বুঝতে চায় না, তারা হয় বোকার স্বর্গে বাস করছে নয়তো খুব ধড়িবাজ এরা এই উদ্যম ও উদ্যোগগুলোকে নিরূপায় প্রতিহত করার বিফল চেষ্টাটা করতে চাচ্ছে।
আসুন তাদের ব্যর্থতার জন্য আমরা আনন্দের সাথে শোক প্রকাশ করি।
পাণ্ডব দা'র লেখার মূল সুরটাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ব্লগ যে আসলেই বড় কিছু একটা করতে সক্ষম এবং করছে, তা সেইসব ছা-গোত্রীয় প্রাণীদের অসহিষ্ণুতা দেখে নিশ্চিত হতে পারি আমরা। এবং এটাই আরো লাফালাফি ঝাপাঝাপি করার প্রণোদনা জোগাবে আমাদেরকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই মন্তব্যটা না থাকলে পোস্টটা কিছুটা অস্পষ্ট থেকে যেত মনে হয়। কষ্ট করে বিস্তারিত মন্তব্য করার জন্য টুপিখোলা অভিনন্দন দাদা!
অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনকে যারা মানতে পারেন না তারা পিছু হাঁটবেনই। কিন্তু তাতে কি নতুনের জয়যাত্রা রুদ্ধ হবে? ব্লগের মত মিডিয়ার গুরুত্ব না বুঝে যারা পিছু হাঁটবে দিন শেষে তারাই ঠকবেন। এককালে অনেকে চলচিত্রকে শিল্পমাধ্যম হিসেবে নাকচ করে দিয়েছিলেন। আবার নির্বাক চলচিত্র নির্মাতাদের অনেকে সবাক চলচিত্রকেও নাকচ করে দিয়েছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী পিছু হাঁটার দল আজ কোথায় পৌঁছেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সহমত
সচলায়তনের মত ব্লগের আরেকটা ভীষণ শক্তিশালী দিক হয়ে উঠছে এর গুণগত মান, চমৎকার বিশ্লেষণ, প্রামাণিক সূত্র, এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা। মেহেরজান ইস্যুতে লেখাগুলি দেখুন। অনিন্দ্যর প্রথম লেখাটা থেকে শুভাশীষের আজকের লেখাটা পর্যন্ত।
লাফাবো লাফাবো লাফাবো
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আছি সব্বাই... একসাথে!
_____________________________
মেঘদূত
নতুন মন্তব্য করুন