চেনা মাটি, চেনা পাড়া
ছোট শহরটা থেকে বের হলেই ঢালু হয়ে নেমে যাওয়া বাঁধানো পথ - পীচঢালা নয়, কংক্রীটে বাঁধানো। পথের দুই ধারে মাঝি পাড়া। ছোট ছোট বাড়ি - ইটের তৈরি তবে পলেস্তারা নেই। মাথার উপর টালির ছাঁদ, কোথাওবা টিনের চাল। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জানালায় কাঁচ, পলিথিন বা প্লাস্টিক শীট লাগানো। বাড়ির চারপাশে সীমানা দেয়াল নেই, বরং কোথাও কোথাও বাড়িগুলো বেশ ঘেঁষাঘেঁষি করে বানানো...
চেনা মাটি, চেনা পাড়া
[justify]ছোট শহরটা থেকে বের হলেই ঢালু হয়ে নেমে যাওয়া বাঁধানো পথ - পীচঢালা নয়, কংক্রীটে বাঁধানো। পথের দুই ধারে মাঝি পাড়া। ছোট ছোট বাড়ি - ইটের তৈরি তবে পলেস্তারা নেই। মাথার উপর টালির ছাঁদ, কোথাওবা টিনের চাল। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জানালায় কাঁচ, পলিথিন বা প্লাস্টিক শীট লাগানো। বাড়ির চারপাশে সীমানা দেয়াল নেই, বরং কোথাও কোথাও বাড়িগুলো বেশ ঘেঁষাঘেঁষি করে বানানো। বাড়ির আঙ্গিনাতে হাঁস-মুরগী-কুকুর-বেড়াল আর ছোট ছোট বাচ্চারা চড়ে বেড়াচ্ছে, খেলছে। হাঁস, মুরগী দুটোর চেহারাই আমাদের দেশেরগুলোর চেয়ে একটু অন্য রকম। হাঁসগুলো সবই সাদা, মাথায় ছোট্ট ঝুঁটি আছে, ঠোঁটও একটু সরু। মোরগ-মুরগীগুলোর বুকের দিকটা বলের মত, গা ভারী, চলে হেলে দুলে। কুকুরগুলো ময়লাটে সাদা রঙের, ছোট, লোমশ। বেড়ালগুলো নানা রঙের, আহ্লাদী। বাচ্চাগুলো স্বাস্থ্যবান, হাসি-খুশী। কোথাও কোথাও বাড়িগুলোর ফাঁকে খালের পাড় ঘেঁষে কাঠের নৌকা তৈরি হচ্ছে। নৌকার আকার-আকৃতি স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশের কোন প্রকার নৌকার মত না। বেশ চওড়া, চওড়ার তুলনায় গভীরতা কম। নৌকার গা আমাদের নৌকার মত মসৃন নয়, বরং সরু লম্বা গাছকে লম্বালম্বি চিরে ফেলে তৈরি করা। ফলে নৌকার গা ঢেউ খেলানো।
বিকেল হতে দেখা গেল মজার দৃশ্য। বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে বাবা-মা দাঁড়িয়ে আছেন আর ছোট ছোট গাড়িতে করে বেশ ছোট বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরছে। বাবা-মা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বাড়িতে ঢুকছেন। আরেকটু বড় বাচ্চারা পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে গল্প করতে করতে হেঁটে যাচ্ছে। এক জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে ছিল সেখানে তারা পাতলা পাথরের টুকরা দিয়ে ব্যাঙ-লাফ খেলছে। একটা জ্যাঠা ছেলে কোথা থেকে এক জোড়া রাবারের বুট যোগাড় করে পানিতে নেমেছে। বাকিরা তার কাছাকাছি পানিতে পাথর ছুঁড়ে তাকে ভেজানোর চেষ্টা করছে। এক জায়গায় দেখি রাস্তা পার হবার জন্য ক্ষুদে পণ্ডিতের দল সুন্দর এক ব্যবস্থা নিয়েছে। রাস্তার আড়াআড়ি দুটো মোটা দড়ির মাথা চারজন ক্ষুদে পণ্ডিত ধরে রেখেছে। তাতে দু’পাশে গাড়ি থেমে গেছে। মাঝের করিডোর দিয়ে বাকি পণ্ডিতরা এক দৌড়ে রাস্তা পার। এরপর রাস্তার প্রথম পাড়ে থাকা শেষ দুই পণ্ডিত একটু ধীরে দুই দিকে দু’হাত তুলে রাস্তা পার হল। আমি হাততালি দিতে গিয়ে নিজেকে সামলে নিলাম।
মাঝি পাড়া পার হতেই কিষাণ পাড়া। কিষাণরা কেউ সব্জী ফলান, কেউ চা-বাগানে কাজ করেন। চা-বাগান না বলে চায়ের ক্ষেত বলাটাই মনে হয় বেশি লাগসই। জুম চাষের মত পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপেও চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া উপায় কি? গোটা দেশের বেশিরভাগ জায়গায়ই যে পাহাড়ী। ক্ষেতের সব্জী মানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, নানা রকম শাক, ধনেপাতা, সর্ষে, বেগুন, শতমূলী। এই এলাকায় ধানের চাষ নেই বললেই চলে, আলু বা গম চাষের কথা জানিনা তবে ভুট্টাক্ষেত দেখেছি। বাড়ির ধারে কাছে মধুজবা, কলাবতী, রঙন, শ্বেত-রক্ত-কনক করবীর ঝাড়। বাড়ির ঢোকার পথে কলা গাছের ঝাড়, বাগানবিলাসের ঝাড়। বাড়ির পিছন দিকে বাঁশবন। হঠাৎ দেখলে কে বলবে এটা আমাদের বাংলাদেশের গ্রাম না? পায়ে চলা পথের দুধারে কালোকেশী, হাতিশুঁড়, শিয়ালমতি আর লজ্জাবতী লতার ঝোপ দেখলে বার বার চমকে উঠতে হয়। মনে হয় এই বুঝি পাশের কুটির থেকে ডুড়ে শাড়ি আর নোলক পরা গ্রাম্যবালা বের হয়ে আসবে। কিন্তু তার বদলে পায়ে রাবারের বুট, পরনে ঢিলে শার্ট-পাজামা, মাথায় বড় কানাওয়ালা টুপী পরা চীনা কিষাণী বের হয়ে আসেন। সাথের কিষাণের পোশাকও একই প্রকার,একটু ঊনিশ-বিশ আরকি, মুখে কড়া তামাকের সিগারেট।
পাড়ার রাস্তায় ঠেলাগাড়িতে করে কিষাণ পাড়ার ফেরিওয়ালারা সব্জী, মাংস, মুরগী, মাছ আর সংসারের দরকারী আরো দশটা জিনিষ ফেরি করছেন। মেয়েরা দল বেঁধে ফেরিওয়ালাদের সাথে দরাদরি করে সওদা করছেন। পাড়ার ভেতর অনেকটা আমাদের সিএনজি অটোরিক্শার মত দেখতে মানুষে টানা সাইকেল-রিক্শা আছে। তাতে যাত্রীর পাশাপাশি অল্পস্বল্প মালামালও নেয়া হয়। সন্ধ্যা একট ঘন হয়ে এলে অন্ধকারের কিষাণ পাড়া বা মাঝি পাড়ার কোন এক কোণ থেকে পল্লী গানের সুর ভেসে আসে। সেই সুরটাও কেমন যেন চেনা চেনা মনে হয়, শুধু কথাগুলো বোঝা যায়না।
মাঝি আর কিষাণদের গ্রামগুলোর চেহারা আর গাছপালাতে অনেকটা আমাদের গ্রামগুলোর মত মিল থাকলেও ওখানকার গ্রামগুলো অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন। মাঝের রাস্তাটা দিয়ে হঠাৎ হঠাৎই ছুটে যায় বুইক, অডি, ফক্সওয়াগন বা জিএম-এর লেটেস্ট মডেলের গাড়ি। কারণ, নিঙদি-ফুদিঙ এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য এই পথটা একটু শর্টকাট যে। গ্রামের বাইরে বৌদ্ধমন্দির - কাঠ আর টিনের বানানো। বেশ কারুকাজ করা। ভেতরে-বাইরে বড় বড় চীনা লণ্ঠণ। একটু দূরের উঁচু পাহাড়ের উপর নয়তলা মন্দির - টাওয়ারের মত। রাতে আলো জ্বালালে পুরোটা একটা আলোকস্তম্ভের মত লাগে। অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। একটা ক্যাথলিক চার্চের দেখাও মিলল। সরু হয়ে ওঠা মিনারের মাথায় লাল রঙের ক্রস। হাজার বছরের পুরনো ধর্মবিশ্বাসের পাশাপাশি নবাগত ধর্মের ধ্বজাও পাশাপাশি উড়ছে। শহরাঞ্চলে অবশ্য গ্রামের মত এত ঘন ঘন উপাসনালয় চোখে পড়েনা। সে যাই হোক, ধর্ম বিশ্বাস আবার একটু একটু করে মনে হয় চীনে জায়গা করে নিচ্ছে।
ইনহঙ এখন যে কারখানায় কাজ করে তার মালিক আর তার পারিবারিক নাম এক। জিজ্ঞেস করলাম, “উনি তোমার বাবা নাকি”?
সে হেসে বলে, “তুমি কি যে বলনা! আমার বাবার কি এত কম বয়স হওয়া সম্ভব? উনি আমার ছোট চাচা। আমাদের বৃহত্তর পরিবারের প্রথম ব্যবসায়ী”।
জানলাম ইনহঙ আসলে এখানে একজন কর্মী মাত্র। তার মাসিক বেতনও খুব ভালো কিছুনা। ইনহঙ আসলে কৃষক পরিবারের মেয়ে। সাঙহাইয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। তার পরিবারের জন্য, তার এই উচ্চশিক্ষার ব্যাপারটা খুব সহজ ছিলনা। তবু বাবা-মা-মেয়ের ইচ্ছা, সবার পরিশ্রম, মেয়ের মেধা এটাকে সম্ভব করে তুলেছে। এই গল্প আগে জানা ছিলনা।
আমি জিজ্ঞেস করি, “তোমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? নিজেই কারখানা দেবে নাকি”?
ওর উত্তর, “কারখানা দেবার টাকা কোথায় পাব বল? আমিতো নিতান্ত গরীব মানুষ। আর আমার যা আয় তাতে একটা কারখানা দেবার মত টাকা কখনো হবে বলে মনে হয়না”।
আমি বলি, “তুমি তো উচ্চ শিক্ষিত, ভালো কাজ জানো, ইংরেজীও জানো। তাহলে অন্য কোথাও ভালো কাজ খুঁজছোনা কেন”?
একটু আনমনা হয়ে ইনহঙ বলে, “এই কাজটাতে বেতন কম ঠিকই, তবে এখানে থাকায় আমি বিদেশে যাবার সুযোগ পাচ্ছি। গত বছর চেক রিপাবলিক আর জার্মানী গিয়েছিলাম। এই বছর দুবাই আর রাশিয়া গেছি। সামনে ইটালী যাবার কথা আছে”।
আমি বলি, “তাতে তোমার কি বিশেষ কোন লাভ হয়”?
তার উত্তর, “হয়তো বিশেষ কিছু হয়না। হয়তো কিছু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আর কিছু না হোক কয়েকটা দেশেতো যাওয়া হল”।
আমি আর কথা বাড়াইনা। ভাবি অহেতুক বিদেশ ভ্রমণের সুযোগের আশায় ভবিষ্যতহীন কাজে লেগে থাকার উদাহরণ দেশেও কি কম দেখেছি?
উঈ হুয়া তার আশে পাশের আর দশটা চীনার চেয়ে বেশ লম্বা, ছ’ফুটতো হবেই। গায়ের রঙ হলদেটে নয় - তুষার ধবল। জিজ্ঞেস করি, “তোমার বাড়ি কোথায়”?
“উত্তরে, হেলোঙজিয়াঙে। দেখছোনা আমি কত লম্বা আর সাদা”।
“তা বটে। তা নিজের প্রদেশ রেখে এই দক্ষিণে এসেছ কেন? ওখানে এমন কারখানা নেই”?
“আমার বাড়ি যেখানটায় সেটা খনি এলাকা। আমার আত্মীয়-স্বজনদের বেশিরভাগ লোক খনিতেই কাজ করেন। কিন্তু খনির কাজ যে বিপদজনক তাতো জানোই। সে জন্য এই শিল্পাঞ্চলে চলে এসেছি। তাছাড়া আমাদের পরিবারের দুইজন খনি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় আমার পরিবার চায় না যে আমি সেখানে কাজ করি”।
উঈ হুয়াকে তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া খনি দুর্ঘটনার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করিনা। আসলে সাহস হয়না। চীনে তো বটেই, বাংলাদেশেও পত্রিকা বা টিভিতে চোখ রাখলে চীনের খনি দুর্ঘটনার খবর আকছার পাওয়া যায়। গ্যাস বিস্ফোরণ, আগুন লেগে যাওয়া, ভূমিধ্বস, পানিতে প্লাবিত হয়ে যাওয়া কত রকমের খনি দুর্ঘটনাই না আছে। আজকাল অনেক খনির পরিচালনা ব্যক্তিমালিকানাতে চলে যাওয়ায় শ্রমিকদের ব্যাপারে ব্যবস্থাপকদের দৃষ্টিভঙ্গীও অনেক পাল্টেছে। তাছাড়া খনিতে পূনর্গঠন বা উত্তোলন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়ায় অনেক খনিই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে গেছে। আমি ভাবি চীনা খনি শ্রমিকদের মত আমাদের পোশাক কারখানাগলোতে কত শ্রমিক কারখানার গেট বন্ধ থাকায় বের হতে না পেরে আগুনে পুড়ে, সরু সিঁড়ি দিয়ে একসাথে নামতে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে, গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে, বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। দেশে দেশে শ্রমিকদের এমন পোকা-মাকড়ের মত মৃত্যুর হিসেব কে রাখে? দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমানোর আর ক্ষতিপূরণের জন্য কেতাবে থাকা আইনগুলো কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মালিক পক্ষ সব জায়গাতেই বুক ফুলিয়ে চলছে।
ছেন মিঙ বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, “তুমি এত সমূদ্র সমূদ্র করছ কেন” সমূদ্রে কী আছে দেখার”? ছেন মিঙ অগভীর সমূদ্রে মাছধরা জেলে পরিবারের সন্তান।
“বা-রে! সমূদ্রের তীরের শহরে আসলাম আর সমূদ্র দেখব না? দুনিয়ার সবচে’ লম্বা সমূদ্র সৈকতের দেশের মানুষ আমি, তোমাদের সমূদ্রের সাথে আমাদের সমূদ্রটাকে মিলিয়ে দেখতে চাই”।
“তোমাদের দেশের সমূদ্রের পানি নিশ্চয়ই নীল অথবা সাদা। এখানে দেখবে পানি কালো অথবা হলুদ। পানিতে থেকে থেকে তেল আর ময়লা ভাসতে দেখবে। সৈকত দেখবে খাবারের প্যাকেট, উচ্ছিষ্ট, নানা হাবিজাবি দিয়ে নোংরা হয়ে আছে”।
আমি মনে মনে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের কথা মনে করে, দোকানে ঢাকা পতেঙ্গার সমূদ্রের কথা মনে করে চুপ করে যাই। বলা হয়না, আমাদের সৈকতও কম নোংরা নয়, পানিকেও কোথাও কোথাও ঘোলাটে মনে হয়।
ছেন মিঙ থামেনা, “ভাঁটার সময় দেখবে থকথকে কাদা, তাতে নৌকা আটকে আছে”। পরদিন কাজে যাবার সময় সত্যি সত্যি সে দৃশ্য দেখতে পাই।
তবুও আমি বলি, “তোমাদের সরকার পর্যটনের কথা ভেবে এখানকার সৈকতের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেয়না কেন”?
“কী হবে খামাখা সরকারের টাকা নষ্ট করে? ভবিষ্যত ভাবেনা এমন লোকজন সব কিছু নষ্ট করে দেবে”।
আমি জানি, গণচীন সরকার যথেষ্ঠ বিচক্ষণ। খামাখা অপচয় হতে পারে এমন সব প্রকল্প তারা সাধারণত নেন না। আবারও আমি চুপ হয়ে যাই দেশের ভবিষ্যত ভাবেনা আমাদের এমনসব দেশী ভাইদের কথা মনে করে।
ভাষার পার্থক্য, সংস্কৃতির পার্থক্য, মানসিকতার পার্থক্য কত রকমের পার্থক্যই না আছে বাংলাদেশের আর চীনের মাঝে। তবু হঠাৎ হঠাৎ অনেক বিষয়েই দুই দেশের মধ্যে অবাক করা সব মিল খুঁজে পাওয়া যায়। চীনের কোন কোন এলাকার গাছদের, ফুলদের আর পাখিদের দিকে তাকালে মনে হয়না নিজের দেশের বাইরে আছি। আর চীনের সাধারণ মানুষদের খুব কাছে যেতে পারলে দেখা যায় - তাদের আর আমাদের মনটা একই মাটির গড়া; তাদের আর আমাদের মনের বাসাও একই পাড়ায়।
মন্তব্য
সবার বাসাই এক পাড়ায়, আমরা বুঝতে পারি না কেবল। লেখা ভাল্লাগসে...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
কে বলেছে বুঝতে পারিনা? এই যে আপনি বুঝতে পারেন!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছবিগুলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম, হঠাৎ শেষ হয়ে গেল, এধরণের লেখাগুলো আরেকটু বড় করা যায়না?
আমারতো ধারণা এই পর্বটা অন্য অনেক পর্বের চেয়ে বড় হয়েছে। আরো লম্বা করলে পাঠক পিঠটান দিতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রথমে ভাবছিলাম আপনে কোনো গ্রামের বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুল করে চীনের নাম লিখে ফেলছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গাছপালা, ফুল, সবজি, মাছ দেখে আমি নিজেই যে কতবার ধন্দে পড়ে গেছি! অনেকের ব্যক্তিগত গল্প শুনেও মনে হয়েছে - এই গল্পতো আমরা জানি!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুধু চীনারা নয়, পান্ডবদা। সব দেশের মাটির মানুষের মনের বাসা একই পাড়ায়। শহুরে সভ্যতাই আমাদের আলাদা করে দেয়।
লেখাটা পড়তে পড়তে যে কথাটা বারবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিলো সেটা হলোঃ ছবি নেই কেন?
মনের চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম। চর্মচক্ষু দিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব।
[ সমূদ্র > সমুদ্র ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১. দোষটা একচেটিয়া আরবানাইজেশনের নয়। আরো অনেক ফ্যাক্টর আছে।
২. ছবি নেই কেন - সেই প্রশ্নের উত্তর সিরিজের শুরুর দিকের কয়েকটা পর্বে মন্তব্য আকারে দিয়েছি।
৩. ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- শেষ প্যারায় এসে বুঝলাম আমাদের বিডিআর এতো চীন চীন করে কেনো! কেনোইবা আমাদের হাসিব্বাই চৈনিক বালিকাদের এতো ভালু পায় (নিন্দুকেরা বলে "লুল্ফেলায়")। বদ্দা আর লুলিমু কেনো আমার প্রতিবেশিনী চৈনিক বালিকাকে নিয়ে দুষ্টু কথা বলে!
কিন্তু এই আপনি পাণ্ডব'দা, এতোগুলো লেখা দিলেন চীন্দর্শন নিয়ে কিন্তু কোনো বালিকাই দেখালেন না। আমার তো সন্দেহ হচ্ছে, চীনে কি পর্দাপ্রথা চালু হয়ে গেলো কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ । ধুলোলই একমাত্র সত্লুক ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চীনে পর্দাপ্রথা চালু হয় নাই সত্য, তবে চীন বেপর্দা এমনটাও বলা যাবেনা। আচ্ছা, আজকেও নীড়পাতাতে আছে অমন দুয়েকটা পোস্টে আমার ছবি দেখতে পাবেন। সেই ছবি দেখে বলুনতো কোন বালিকা আমার কাছে ঘেঁষবে? তবে হ্যাঁ, একটু দূর থেকে কিছু চৈনিক বালিকাতো দেখেছিই - সবাই যেমনটা দেখে। সেগুলো ক্রমে ক্রমে প্রকাশিত হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগল অনুভূতির সেতুবন্ধন। অন্যরকম সাযুজ্য যেন মনে মনে আর প্রকৃতিক বন্ধনে, তাই না?
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
আপনার ব্যাখ্যা যথার্থ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"বাছা,তব লেখা পড়ে চীনের দিকে দৃষ্টি দেয়ার 'চীনতা' বাদই দিলাম! মঙ্গলদেবের দৃষ্টি পড়ুক।"...
দাদা,অসাধারন!(হবেই তো। চীন নিয়ে কবে কে লিখেছে?)
ধন্যবাদ। শনিদেব-মঙ্গলদেব সবাই আমার কাছে সমান।
আমার পড়ামতে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, ওবেইদ জাগীরদার, শঙ্কররঞ্জন চৌধুরী চীন নিয়ে লিখেছেন। আমার না-পড়ামতে আরো কত জন যে লিখেছেন তার কি হিসেব আছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার মানের গদ্য লেখা কষ্টকর।
মন্তব্যর সাথে একমত হবার কোন কারণ নেই। আমি দেখেছি গদ্য লেখার সময় সৎ থাকার চেষ্টা করলে, পাঠকের প্রতি গুরুগিরি দেখাবার চেষ্টা না করলে লেখার একটা গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রাস্তা পার হবার বুদ্ধি দেখে মজা পাইছি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ক্ষুদে পণ্ডিতদের (তা যে দেশেরই হোক) যা বুদ্ধি অমন বুদ্ধি যে আমার মাথায় নেই সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আপনি একটু খেয়াল করুন, তাহলে জার্মানীর ক্ষুদে পণ্ডিতদের এমন কীর্তিকলাপও আপনার চোখে পড়বে যা আমাদের জানাতে পারবেন। অবশ্য আপনার কাছ থেকে একটা লেখা পেতে যে সময় লাগে তাতে বীজ থেকে গাছ গজিয়ে বড় হয়ে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
--আসলেই।
আপনি ব্যবসার কাজে গিয়েও এভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখেন দেখে ভাল্লাগলো! বেশিরভাগই ব্যবসায়ীদেরই যেতে দেখেছি 'বিশেষ' সব জায়গায়। চায়নার শহুরে চরিত্র নিয়েও বিস্তর লেখালেখি দরকার। সমাজতন্ত্রের ঘোমটার নীচে বিসদৃশ, বিবমিষাকর খেমটা নাচছে ...
১. কোন জায়গা দেখার ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব কিছু পদ্ধতি আছে। বিশেষ কিছু হয়তো না। তবে তাতে এমন অপ্রধান কিছু জিনিষ আমার মনে থেকে যায়।
২. নিঃসন্দেহে ব্যবসায়ীরা সবাই একরকম নন্। "বিশেষ" জায়গার পথিকরা ঢাকাতেও "বিশেষ রাস্তা"য় হাঁটেন। তবে এমন ভ্রমণে সবাইকেই প্রতিটি মিনিট টাকার অঙ্কে কিনতে হয় বলে অনেকেই তা নানা ভাবে উশুল করে নেবার চেষ্টা করেন।
৩. আমি আসলে আমার দেখা চীনের আর তার মানুষদের জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি - মানুষটাই মুখ্য। বৈসাদৃশ্যর কথা কিছু কিছু আগে বলেছি - যেমন, পর্ব-০৬ আর পর্ব-০৭। সামনে প্রাসঙ্গিকভাবে আসলে আরো বলার আশা রাখি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার লেখা পড়ে চীন সম্পর্কে কত কিছু যে জানছি তার শেষ নেই।
পরের পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।
আপনি জীবনে যা দেখেছেন সেগুলো নিয়ে লিখতে থাকুন। আমরাও সেখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুন। আপনার লেখার বর্ণনা পড়ে চোখের সামনে চীন দর্শন হল। আমি আগের পর্ব সব পড়িনি যদিও। এখন সময় করে পড়তে থাকব।
সাবেক কূটনীতিবিদ ফারুক চৌধুরী একটা লেখা লিখতেন যায় যায় দিনে, সেখানে মাওলানা ভাষানীর সাথে চীন ভ্রমণের বর্ণনা আছে। উনিও চীনের গ্রামের সাথে বাংলাদেশের গ্রামের তুলনা করেছিলেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বস্, সময় করে পড়ুন আর মন্তব্যে আপনার মতামত জানান।
ফারুক চৌধুরীর সেই লেখা আমার পড়া হয়নি। আমি ফারুক চৌধুরীর মত বড় মানুষ নই। চীনে আমাকে যাদের সাথে কাজ করতে হয়, মিশতে হয় তারাও চীনের বড় মানুষ নন্। আমার লেখাকে ছোটর দৃষ্টিতে ছোটদের ছোট ছোট ঘটনা/বিষয় বলতে পারেন। তারপরও বড়দের সাথে কিছু মিলে গেলে সেটা আমার ভাগ্য বলতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অবশ্যই জানাব।
ফারুক চৌধুরীর লেখাটা মনে হয় বই বেরিয়েছিল পরে, নাম সম্ভবত ছিল "প্রিয় ফারজানা"।
ভাষানী চীনের গ্রামেই গিয়েছিলেন, মনে হয় জেলখানাও দেখতে গিয়েছিলেন। বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল ওই পার্টটা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বহুদনি পর পাণ্ডবের চায়না পুরান
এইবার আপনি বগডুলকে বস্তা থেকে বের করেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বরাবরের মতোই অসাধারণ- নতুন করে আর কি বলবো।
সেইদিন খেকশিয়াল আর সবজান্তার সাথে আলাপ করছিলাম- রাজাউজিরহাতিঘোড়া শিকার আর কাঠমুন্ডু থেকে মানসসরোবর ঘুরতে যাবার ব্যপারে। অনেকভেবেটেবে বের করা হলো যে আপনার সাথে একটা উচ্চপদস্থ বৈঠক করা দরকার। দেখি একদিন সময়করে হয়তো আমরা আপনাকে বিরক্ত করে ফেলতেও পারি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
যে কোন বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ফোন করে জেনে নিতে পারেন পরদিন আমি সময় দিতে পারবো কিনা। তাহলেই আশা করি দেখা-মিটিং হয়ে যাবে। অন্য দিনগুলোতে রাত আটটার দিকে সময় হয়। আমিও আপনার সাথে সাক্ষাতে আগ্রহী। আমার ফোন নাম্বার সবজান্তা/খেঁকশিয়ালের কাছে পাবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সাধারণ মানুষেরা পৃথিবীর সব জায়গায় যে একই তার প্রমাণ আবারও পেলাম আপনার লেখায়।
আপনার এই সিরিজটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
নতুন মন্তব্য করুন