পকেট কাটার অর্থনীতি-২

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ০২/০৫/২০১০ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০৪. মাল্টি লেভেল মার্কেটিং আর পিরামিড

আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক ছোট আকারের মেশিনারী ও স্পেয়ারের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি আমদানীকারকদের কাছ থেকে নগদে বা বাকিতে কিনে সেগুলো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তার লাভের পরিমান শতকরা হারে কম হলেও ব্যবসাটা চালু থাকায় তার চলে যেত। ভদ্রলোক হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় ব্যবসাটার দায়িত্ব এসে পড়ে তার অনার্সপড়ুয়া ছেলের ঘাড়...০৪. মাল্টি লেভেল মার্কেটিং আর পিরামিড

[justify]আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক ছোট আকারের মেশিনারী ও স্পেয়ারের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি আমদানীকারকদের কাছ থেকে নগদে বা বাকিতে কিনে সেগুলো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তার লাভের পরিমান শতকরা হারে কম হলেও ব্যবসাটা চালু থাকায় তার চলে যেত। ভদ্রলোক হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় ব্যবসাটার দায়িত্ব এসে পড়ে তার অনার্সপড়ুয়া ছেলের ঘাড়ে। ছেলেটি সৎ ও পরিশ্রমী। অচিরেই সে ভালোভাবে বাবার ব্যবসাটার হাল ধরে ফেলে। বাজারেও তার পরিচিতি তৈরি হয়ে যায়। আমদানীকারক আর খুচরা বিক্রেতারাও তাদের সাধ্যমত ছেলেটিকে সহযোগিতা করতে থাকেন। এমন সময় ছেলেটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (MLM)-এ জড়িত হয়ে পড়ে। MLM-এ লাভের হারের হিসাব বেশি দেখে পৈত্রিক ব্যবসার ব্যাপারে সে উদাসীন হয়ে পড়ে। ফলে শীঘ্রই পৈত্রিক ব্যবসাটা ডুবে যায়। কিছুদিন পর MLM-এর স্বাভাবিক পরিণতিতে সে দেখতে পায় তার হাতে অনেক জিনিষ আছে (যেগুলো বেচার ব্যাপারে তার দক্ষতা বা জ্ঞান নেই) কিন্তু নতুন কোন ডিষ্ট্রিবিউটর আর পাওয়া যাচ্ছেনা। হাতের সব টাকাও নানা রকম অনামা ব্রান্ডের কম দরকারী বা অদরকারী জিনিষে আটকে গেছে। তার কিছুদিন পর মূল MLM-কোম্পানীটি ডুবে যাওয়ায় ছেলেটি অকূল সাগরে পড়ে যায়।

MLM নিয়ে বিস্তারিত বলার কিছু নেই, ব্যাপারটি সবাই জানেন। সারা দুনিয়ায় চলা এই ব্যবসাটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথাও কম হয়নি। আমি এখানে যা কিছু বলব তা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবস্থার আলোকে। বাস্তবে আমরা দেখতে পাই, MLM ব্যবসার নিচের সারিতে জড়িত হয় উঠতি যুবক-যুবতীরা আর মূলতঃ কম আয়ের লোকজন। একটু বাড়তি আয়ের আশায় তারা এই পথে পা বাড়ায়। দুনিয়া জুড়ে নামকড়া বা জনপ্রিয় ব্রান্ডের সব পণ্য বিক্রয় করার জন্য MLM-এর দরকার হয়না। সেগুলো তাদেরই ডিষ্ট্রিবিউশন চ্যানেল দিয়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছায়। বস্তাপচা মালের জন্যই (সাথে কিছু ভাল জিনিষ রাখা হয় বিভ্রান্ত করার জন্য) এই পথ ধরতে হয়। আমরা জানি, এই পিরামিড ব্যবস্থার নিচের দিকের লোকজনের অর্থেই উপরের দিকের লোকদের সমৃদ্ধি। নিচের দিকের লোকজন যখন আরো নিচের লোক খুঁজে না পায় তখন লোকসানটা তাদের গলাধকরণ করতে হয়। MLM-ব্যবসার আরেকটি বড় ফাঁকি হচ্ছে ডিষ্ট্রিবিউটরদের টাকা দেবার বদলে পয়েন্ট দেয়া এবং পয়েন্টের বদলে পণ্য দেয়া। এতে বাতিল বা অপ্রচলিত পণ্য গছানো যায়, মূল উদ্যোক্তাদের লাভও এতে বেশি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিষ্ট্রিবিউটরদের বিপুল পয়েন্ট জমানোর পর গোটা কোম্পানী ডুবে যাবার বা মূল উদ্যোক্তাদের গা ঢাকা দেবার ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশে ঔষধের কোন বিজ্ঞাপণ দেয়া যায়না বলে ঔষধ বিপননে MLM-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে কাজ করে এমন ২৪টি MLM কোম্পানীর মধ্যে কমপক্ষে ১০টি ঔষধ বিপননে জড়িত। এই কোম্পানীগুলো এক বা একাধিক ঔষধ প্রস্তুতকারী বা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের এজেন্সী নেয়। বিপননের জন্য তারা বিভিন্ন পর্যায়ে ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ’ (MR) নিয়োগ করে। MR-দের জন্য মাসিক বিক্রয়ের টার্গেট ঠিক করে দেয়া হয়, যা বেশিরভাগ সময়েই অর্জন করা প্রায় অসম্ভব হয়। টার্গেট অনুযায়ী ঔষধ MR-দের MLM-কোম্পানীর কাছ থেকে নগদ দামে কিনতে হয়। এই টার্গেট ঠিক রাখার জন্য MR-রা নিজের ট্যাঁকের লাখ লাখ টাকা দিয়ে MLM-কোম্পানী থেকে ঔষধ নেয়। MR-দের সংখ্যাধিক্য ও কমিশনের নানা রকমফের থাকায় তাদের নেয়া ঔষধ বাজারে বাকিতে বিক্রয় করা ছাড়া গতি থাকেনা। বাকির টাকা আদায়ে মূল MLM-কোম্পানী কোন ভূমিকা রাখেনা। ফলে খুচরা বিক্রেতা বা ঔষধের দোকানদারদের পক্ষে MR-দের ঠকানো সহজ হয়। তাছাড়া MR-দের অজ্ঞতার সুযোগে তাদেরকে অনামা ব্রান্ডের ঔষধ, মানহীন ঔষধ, মেয়াদবিহীন ঔষধও ধরিয়ে দেয়া হয়। চাকুরী পাওয়া, ভালো বেতন ও কমিশন পাবার আশায় হাজার হাজার বেকার যুবক MR হতে এসে পরিণামে নিজের বা পরিবারের সঞ্চয়টুকু পর্যন্ত খোয়ায়। কর্মসূত্রে আমি যে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত তার বিপনন শাখার মাঠপর্যায়ের কর্মী নিয়োগের সময় গত সাত বছর ধরে বহু চাকুরীপ্রার্থীর কাছে তাদের MR থাকাকালীন এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা শুনতে হয়েছে।

এই ব্যবসার আরো জঘন্যতম রূপ হচ্ছে ‘পাঁচে-চল্লিশ’। পাঁচে-চল্লিশে MLM-এর মত কোন পণ্য থাকেনা, সরাসরি নগদ টাকা পিরামিডের নিচের দিক থেকে উপরের দিকে যায়। পিরামিডের সবাই ভাবে সে কোনদিন পিরামিডের চূড়ায় উঠতে পারবে, আর তখন বিনা পরিশ্রমে তার বহুগুণ লাভ হয়ে যাবে। বাস্তবে খুব কমজনের কপালেই অমনটা জোটে, বাকি সবাই লোভে পড়ে নোংরা প্রতারণার শিকার হয়।

এমনই আরেকটা প্রতারণার নাম ‘স্নোবল’। যেমন, একশ’টাকা করে দশটা ফর্ম বিক্রি করতে পারলে একটা পাঁচ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ফ্রি। আমরা জানি, এই ব্যবস্থায় অচিরেই শত শত মানুষের হাতে ফর্ম থাকবে কিন্তু সেগুলো কেনার কোন মানুষ থাকবেনা। এতে শুরুর পাঁচ-দশ জন মোবাইল পাবেন, বাকিদের কপালে লবডঙ্কা।

এই ধরণের ব্যবসাগুলোর টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ। MLM ছাড়া বাকি ব্যবসাগুলো ধাঁ করে শুরু হয় আবার হুট করে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর পরই নানা রূপে এর আবির্ভাব ঘটে। প্রতারিতরা বিশেষ কোন evidence দেখাতে পারেননা বলে, আর মূল কোম্পানীগুলো regulated থাকেনা বলে কারো বিরূদ্ধে বিশেষ অভিযোগ হয়না - আইনী ব্যবস্থা নেয়া তো অনেক পরের ব্যাপার। MLM-এর আঙ্গিকে বেআইনী কিছু দেখানো যায়না বলে এর বিরূদ্ধে অভিযোগ আনা যায়না। বাস্তবে এখানেও নৈতিকতার সীমা মানা হয়না। শেষ পর্যন্ত জনগণের পকেটটাই কাটা পড়ে।

০৫. শেয়ার বাজার

একবার এক ভিনদেশী বন্ধু বলেছিলেন, “গরিবেরা লটারীর টিকিট কেনে আর ধনীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে”। অর্থাৎ শেয়ার বাজারও লটারীর মত এক প্রকার ভাগ্যের খেলা। তবে সেটা ধনীদের জন্য, যারা এই ভাগ্যের খেলাটা নিয়ন্ত্রন করতে পারে। আপাত দৃষ্টিতে দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম এই বানিজ্যটি বৈধ ও ন্যায়ানুগ। এটি শিক্ষিত ও ঝুঁকিতে আগ্রহী মানুষদের বানিজ্য। সুদের ছুঁৎমার্গে বিশ্বাসীদের জন্য এটি হালাল - কারণ এখানে আপাতদৃষ্টিতে ব্যবসা হয়, মুনাফা হয় কিন্তু সুদ নেই। বাংলাদেশের মত দেশের শেয়ার বাজার একটু খেয়াল করলে দেখবেন এখানে দুনিয়া জোড়া চলা শেয়ার বাজারের আইন-কানুনগুলোর বিশেষ পরোয়া করা হয়না। এই বাজারে efficient market hypothesis-এর প্রকরণগুলো খাটিয়ে দেখার চেষ্টা করলে দেখবেন এখানে কিছুই খাটেনা। এখানে সঙ্ঘবদ্ধ কিছু চক্র শেয়ারের দাম বাড়ানো-কমানোর কাজটি করে। সরকারী সংস্থাগুলো বারবার আইন-কানুন পালটে এগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করে বটে, কিন্তু তাতে ঐসব চক্রের কার্যক্রম বিশেষ ব্যাহত হয়না। এমন অভিযোগও শোনা যায় যে কখনো কখনো খোদ সরকারী সংস্থাগুলোতে ঐসব চক্রের নির্দেশে বিধিগুলো তাদের সুবিধা অনুযায়ী পালটানো হয়। এগুলোর সত্যতা প্রমাণ সম্ভব নয়। তবে এই সবগুলো ঘটনায় ধরা খান মূলতঃ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

আপনি যদি ১০০ টাকায় কোন কোম্পানীর প্রাথমিক শেয়ার কিনে বছর শেষে ১০ টাকা ডিভিডেন্ড পান তাহলে সেটা সব দিক দিয়ে ভালো। প্রথমতঃ আপনি একটা ব্যবসাতে বিনিয়োগ করলেন। দ্বিতীয়তঃ পাবলিকের অল্প অল্প টাকা একসাথ করে একটা বড় পুঁজি তৈরি হল। তৃতীয়তঃ এতে নতুন কর্মসংস্থান ও উৎপাদন হল। চতুর্থতঃ আপনি আপনার বিনিয়োগ থেকে বৈধ মুনাফা অর্জন করলেন। এখন এই ১০০ টাকার শেয়ার নানা অনুমিতি আর গুজবের উপর ভর করে যখন ৪,০০ টাকা দামের হয় তখন সেটা ব্যবসার জন্য কোন বড় পুঁজি সৃষ্টি করেনা - বরং তা উৎপাদনমুখী বা সেবাদানকারী ব্যবসা থেকে এই অনুৎপাদনশীল ব্যবসায় পুঁজি সরিয়ে আনে, এটি নতুন কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেনা। এখানে ৪,০০০ টাকায় শেয়ার কেনা দ্বিতীয় পর্যায়ের বিনিয়োগকারীর টাকা মূলতঃ এক ধরণের জুয়ায় ব্যবহৃত হল। কথাটা শুনতে খারাপ মনে হলেও এটি সত্য। কারণ, ১০০ টাকার প্রাথমিক শেয়ারে আপনার লোকসানের সুযোগ খুব কম, যদি না খোদ ব্যবসাটাই ডুবে যায়। বরং আপনি নিয়মিত ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ইত্যাদি পেতে পারেন। এমনকি কোম্পানী ডুবে গেলেও বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের (শেয়ারের বুক ভ্যালু) ফেরত পাবেন। পক্ষান্তরে, দ্বিতীয় পর্যায়ের বাজারের বিনিয়োগকারী যে কোন সময় দর পতনের ফলে তার বিনিয়োগের বিরাট অংশ হারাতে পারেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের বাজারে শেয়ারের এই দরের উত্থান-পতনের সাথে মূল কোম্পানীর উৎপাদন বা লাভালাভের বিশেষ যোগ থাকেনা (এজিএমের আগে-পরের সময় ছাড়া)। বড় ধরণের বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিওতে ডাইভার্সিটি এনে বা ক্রমাগত একটি বিশেষ শেয়ার কিনে ঐ শেয়ারের গড় ক্রয়মূল্য কমিয়ে এনে ঝুঁকি কমাতে বা লোকসান ঠেকাতে পারেন। কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সেই সুযোগ পান না। শেয়ার বাজারে সব সময় অমুকের তমুকের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার গল্প চালু রাখা হয়। কিন্তু কত শত জন সেই সাথে ফতুর হয়ে গেল সেই গল্প আর করা হয়না।

এক সময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘Return to Eden’-এ আমরা দেখেছিলাম হার্পার মাইনিং-এর পরিচালক স্টেফানী হার্পারের মারা গেছেন এমন গুজব ছড়িয়ে কোম্পানীটির শেয়ারের দর পতন ঘটানো হয়। তখন বাজার থেকে কোম্পানীর পরিচালক আর তাদের লোকজন কমদামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ারগুলো কিনে নেন। এরপর স্টেফানী জীবিত আছেন এমন খবর ছড়িয়ে হার্পার মাইনিং-এর শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়। এই দফা কোম্পানীর পরিচালক আর তাদের লোকজন বাড়তি দামে (আগে কম দামে কেনা) শেয়ারগুলো বাজারে ছেড়ে দিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিপুল টাকা হাতিয়ে নেন। বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে অমন নোংরা কায়দায় না হলেও প্রায়ই নানা ফন্দি ফিকির করে শেয়ারের দাম কমিয়ে-বাড়িয়ে বাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

১৯৯৬ সালে শেয়ার বাজার প্রতারণায় লাখ লাখ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছিল। সেখানে কারো বিশেষ কোন শাস্তি হয়নি। প্রতারিত কেউ কোন টাকাও ফেরত পাননি - অবশ্য ফেরত পাবার কোন উপায় থাকা সম্ভব নয়। এখন শেয়ার বাজার অনেক নিয়ন্ত্রিত, বিনিয়োগও বেড়েছে ১৯৯৬-এর তুলনায় অনেক বেশি। এখন ডিএসই-র সামনে মতিঝিলের রাস্তায় ভীড় লেগে থাকেনা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে লেনদেন হয়। টার্গেট গ্রুপও মূলতঃ শিক্ষিত-মধ্যবিত্তরা। তবে ব্যবসা পরিস্থিতির আদতে বিশেষ হেরফের হয়নি। এখন নিয়মিত ভাবে ছোট ছোট ‘১৯৯৬’ ঘটানো হয়। মাঝে মাঝে কিছু উত্তেজনা তৈরি হয়, মিডিয়াতে কিছু খবর হয়, তারপর সব আগের মত চলে। মাঝখান থেকে কিছু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।

(চলবে)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই বিষয়টা ভাল বুঝি না, তাই একমনে পড়লাম। দারুণ আলোচনা। দেশে অ্যামওয়ের এইভাবে দালালী করতে গিয়ে কতজনে শেষে মুশকিলে পড়েছে, এটা শুনেছিলাম।

কৌস্তুভ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বোঝেননা কে বলল? অ্যামওয়ের ব্যাপারে আপনার জানাটা আমাদেরকেও জানান। তাহলে সবাই শিখতে পারব।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পথে প্রান্তরে  এর ছবি

সহজ সাবলীল ভাষায় অনেক তথ্য দিলেন আপনার পোষ্টে এ জন্য ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পরের পর্ব একটু সময় লাগবে। সিরিজটি আপনাদের কাজে লাগলে আমার চেষ্টা সার্থক হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

এম এল এম নিয়ে যা লিখেছেন একমত।

কিন্তু শেয়ার বাজার নিয়ে আপনার মুল্যায়ন বড়বেশি নেগেটিভ মনে হয়েছে।

meghladin@gmail.com

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শেয়ার বাজার নিয়ে আমার কথা নিশ্চয়ই শেষ কথা নয়। আপনার মূল্যায়ণটি যদি জানাতেন তাহলে আলোচনাটা এগিয়ে নেয়া যেত, তাইনা?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

দারুণ সিরিয়াল পাণ্ডব দা !
আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা, পকেট কাটার অর্থনীতি নিয়ে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতাও কম না। সেসব যদি একটু বলতেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দারুণ

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব্যাপারগুলো কিন্তু দারুণ না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখাটা দারুণ। হাসি

তবে শেয়ারবাজার নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা থাকলে ভালো হয়। বাংলাদেশে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসার ইচ্ছা থাকলে শেয়ারবাজার ছাড়া গতি নেই। অন্তত এই সময়ে।

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কোনটাকে দারুণ বলা হয়েছে সেটা আগেই বুঝেছি।

বাংলাদেশে স্বল্পপুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে শেয়ার বাজার ছাড়াও অন্য পথ আছে। কিন্তু ব্যবসার জন্য যে চাকুরীর চেয়েও বেশি খাটাখাটনি করতে হবে লোকে সেটা মানতে নারাজ। তাই কম পরিশ্রমে, বাবু হয়ে থেকে, অল্পসময়ে অধিকলাভ করার আশায় লোকে শেয়ার ব্যবসায় নামে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কিছু লোক হয়ত সে আশায় নামেন।

একদম অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামলে চাইলে শেয়ার ব্যবসা একটা ভালো বিকল্প। চাকুরিজীবি বা অন্য ব্যবসায় যারা আছেন তাদের জন্য নতুন ব্যবসাতে বেশি সময় দেয়া সম্ভব হয় না।

আর বাংলাদেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে ব্যবসা খোলার নানা বিপত্তি আছেই। শেয়ার ব্যবসায়ে লস ছাড়া অন্য বিপত্তি কম।

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নৈষাদ এর ছবি

খোদ ঢাকা শহরে একাধিক 'মাল্টি লেভেল মার্কেটিং' সংশ্লিষ্ট বড় মাপের সরাসরি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে অতীতে, কিন্তু আজ পর্যন্ত আইনের কোন প্রয়োগ হতে দেখিনি। তবে যেতেতু জনগন কিছুটা সচেতন এখন, ঢাকা শহরে এত বড় মাপের প্রতারণা হয়ত হবে না এই আশাই করি।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে ডিভিডেন্ডের ব্যাপারটা এত গৌন হয়ে গেছে এবং দ্রুত আঙুল ফোলার ব্যাপারটা এত গুরুত্ব পাচ্ছে যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা একধরণের জুয়াই খেলে।

শেয়ার বাজারে সব সময় অমুকের তমুকের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার গল্প চালু রাখা হয়। কিন্তু কত শত জন সেই সাথে ফতুর হয়ে গেল সেই গল্প আর করা হয়না।
চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাদা, আপনার আশা সফল হবার বিশেষ লক্ষণ কিন্তু দেখা যাচ্ছেনা। মানুষের কম পরিশ্রমে তাড়াতাড়ি ধনী হবার প্রবনতা হ্রাস আর কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ না থাকলে কিন্তু এই সব ব্যবসা চলতেই থাকবে।

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিভিডেন্ডের আশা কেউ প্রায় করেনই না। প্রায় সবার ঝোঁক কমদামে কিনে হঠাৎ একদিন বেশি দামে বিক্রি করার।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

চমৎকার একটা সিরিজ! অনেক কিছু জানতে পারছি। কত ফাঁকফোকরই যে আছে দুনিয়ায়! অর্থনীতির দুনিয়াজোড়া খালি গিয়াঞ্জাম!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। শুধু অর্থনীতি কেন, দুনিয়াজুড়াই পচুর গিয়ানজাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এ বাংলাদেশে বোধহয় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ডেসটিনি। তাদের কাজকর্ম নিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০-এও নানা লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয় নি। এখনও ডেসটিনি তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি যে পিরামিড থিওরির কথা বললেন, সে হিসেবে তো ডেসটিনির এতোদিনে তল্পিতল্পা গুটানোর কথা। তা না গুটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা করছে কীভাবে? এ ব্যাপারে জানাতে পারবেন কিছু?

অ.ট. সেদিন তো আপনার পকেট ঠিকই দেখলাম! চোখ টিপি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই কোম্পানীটির ব্যবসা থেকে যা বুঝি তা হচ্ছে তারা তাদের ব্যবসাকে diversified করে পতনকে বিলম্বিত করেছে। দৈনিক পত্রিকা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনে বিনিয়োগ করে মিডিয়াকে হাতে রেখেছে। তাতে আমাদের কানে খবর পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে। এরা আবার অনেক ডিষ্ট্রিবিউটরকে তাদেরই অন্য সেক্টরে swap করে বলে শুনেছি। এতে ডিষ্ট্রিবিউটরদের আশু ক্ষতি কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে একই পথে ঠেলে দেয়া যায়।

অটঃ তাইতো বলি! সেদিন কোঞ্চিপার আড্ডা থেকে ফেরার পর আমার বুক পকেটে রাখা পাঁচশ' টাকার নোটটা পাচ্ছিলামনা কেন!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

অ.ট. আপনি না ক্রেডিট কার্ড রাখেন! বানায়া কথা বললে কিন্তু এভাবেই ধরা খাবেন!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া কোনো ভুমিকাই পালন করছে না। মাঝখানে প্রথম আলো কিছুদিন য়ুবকের বিরূদ্ধে রিপোর্ট করেছিলো।
কো অপারেটিভ সোসাইটি নিয়ে লেখার জন্য পান্ডবদাকে অনুরোধ করছি।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যুবক বা আইটিসিএল যে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে তার কোন বিচারই হয়নি। যেমন বিচার হয়নি হুন্ডি কাজল বা রাজগরিয়ার। বরং একটি দৈনিক পত্রিকাতে তার সম্পাদককে প্রথম পাতায় বিশেষ সম্পাদকীয় লিখতে দেখেছিলাম যুবকের ব্যাপারটা যেন নমনীয়ভাবে দেখা হয়।

কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যাপারটা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। সামনের কোন পর্বে থাকবে বলে আশা করি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গতিহীন [অতিথি] এর ছবি

মূলত MLM এর বিস্তারিত পড়ার জন্য এসেছিলাম, কিন্তু পরে বুঝলাম পকেট কাটার কৌশল বলছেন যাই হোক কিছু জানতে পারলাম, আমার একটা অনুরোধ MLM বিষয় নিয়ে একটা পূর্নাগ লিখা আমি আপনার কাছ থেকে আশা করছি। আমার কাছে MLM টাই কেন জানি ধান্দা বাজি ছাড়া অন্য কিছুই মনেই করতেই পারি না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

MLM-নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু লিখবো কিনা নিশ্চিত নই, তবে এই সিরিজে আর না। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে একটু গুগলান, এই পোস্টের মন্তব্যে মহাস্থবিরের দেয়া লিঙ্কটাও পড়তে পারেন। আশা করি আপনি MLM নিয়ে সত্যটা খুঁজে পাবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্বাধীন এর ছবি

সিরিজে নিয়মিত হলাম। দারুণ একটি সিরিজ হচ্ছে। প্রথম পর্বটি মিস গিয়েছিল। পড়ে আসলাম। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এবং শেয়ার বাজার নিয়ে লেখার সাথে একমত। পুরো অর্থনীতি ব্যাবস্থাটিই কেমন যেন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে। বাংলাদেশের মত ঘনবসতিগুলোতে আরো বেশি। যে যেভাবে খুশি অর্থ উপার্জনেই মত্ত। এর মাঝে যারা একটু সৎ ভাবে জীবন কাটাতে চায় তাঁদের অবস্থা কেরোসিন। সিরিজ চলুক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন। সিরিজ চালানোর চেষ্টা করছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দারুণ একটা সিরিজ
পড়ছি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। বগোডুলের অর্থনীতি নামে কিছু লেখা যায় কিনা ভাবছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

pathok এর ছবি

শেয়ার বাজারে কি আপনি সক্রিয় ভাবে জড়িত?? আপনার অনেক কথার সাথেই একমত হতে পারলাম না। লেখাটা পড়ে মনে হলো ভাসা ভাসা ভাবে লেখা। আপনি শুধু প্রাথমিক শেয়ার নিয়ে বলেছেন ভালো, আর সেকেন্ডারী মার্কেট খারাপ। মনে হলো একটা ফাদ পাতা আছে আর মানুষ না বুঝে শুনে সেখানে ধরা খাচ্ছে।

আচ্ছা বলবেন কি সেকন্ডারী মার্কেট না থাকলে প্রাথমিক শেয়ার কোথায় কেনা বেচা হবে?

আচ্ছা আপনি কি বলতে পারেন এমন কোন ব্যবসা আছে যাতে পুজি হারানোর ঝুকি নাই?শেয়ার বাজার সবসময় ই ঝুকিপূর্ন তারপরও মধ্যবিত্ত পরিবার রা এখান থেকে কিছু অতিরিক্ত আয় করে থাকে।

শেয়ার বাজার হচ্ছে ভার্চুয়াল ইকোনমি তাই তা আসল ইকোনমি থেকে বেশীই থাকবে।
শেয়ার বাজারে না বুঝে কখনোই বিনিয়োগ করা উচিত না। শেয়ার বাজারের ডিজাইনটা এভাবেই করা হয়েছে যাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনোয়গকারীরা বেশী সুবিধা পান বা লাভ করেন। সব সময়ই বলা হয় বুঝে শুনে বিনিয়োগ করেন।কেউ না শুনলে কি করার আছে। কেউ যদি তার কমন সেন্স দিয়ে বিনোয়গ করে তার লস হওয়ার কথা না।

যেমন একটা শেয়ার তার ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে কমদামে আছে। এখন কেউ যদি সেটা কিনে সে কি লস করবে??

আবার কেউ যদি একটা শেয়ারের বছরের সব্বোর্চ দামে কিনে তার কি লাভ করার সুযোগ আসে?

আমাদের স্বভাব নিজের দোষ আরেক জনের ঘাড়ে দেওয়া। এতে মানুষিক শান্তি পাই আমরা। আমি আমার কষ্টার্যিত টাকা বিনি্যোগ করবো আরেক জনের কথা শুনে এটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য??

একজন সারামাস চাকুরী করে আয় করে ৬০০০০ টাকা তাও আবার ১৬ থেকে ২০ বছর পড়াশুনা করে। আর আমি শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি টাকার মালিক বনে যাবো। এই চিন্তা কতটুকু যুক্তিপূর্ন??

হাসিব এর ছবি

শেয়ার বাজারের ডিজাইনটা এভাবেই করা হয়েছে যাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনোয়গকারীরা বেশী সুবিধা পান বা লাভ করেন।

এই থিওরী কোথায় পেলেন জানালে কৃতার্থ হই । টেকনিকালি বলতে পারেন অসুবিধা নেই । আমি অধম ফিন্যান্স গ্রাজুয়েট । বুঝতে পারবো ।
কেউ যদি তার কমন সেন্স দিয়ে বিনোয়গ করে তার লস হওয়ার কথা না।

এইটা খুব ভাসা ভাসা কথা হলো । কমন সেন্স তো কাজ নাও করতে পারে, তাই না ?
যেমন একটা শেয়ার তার ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে কমদামে আছে। এখন কেউ যদি সেটা কিনে সে কি লস করবে??

আবার কেউ যদি একটা শেয়ারের বছরের সব্বোর্চ দামে কিনে তার কি লাভ করার সুযোগ আসে?


উত্তরগুলো আপনিই দিন । ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে কমদামে থাকলে সেটা আরো নামতে পারে আবার ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে বেশী দামে থাকলেও সেটা আরো উচুতে উঠতে পারে ।

মনে হলো একটা ফাদ পাতা আছে আর মানুষ না বুঝে শুনে সেখানে ধরা খাচ্ছে।

আমার কাছে এই লেখাটাতে ফেইসভ্যালু ফেরত পাওয়া যাবে এই কথাটি বাদে গুরুতর কোন প্রমাদ ধরা পড়েনি । বাংলাদেশের স্টক মার্কেট ছোট । এই মার্কেটে এক কোটি টাকা আর গুজব ছড়ানোর কিছু পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারলেই এটাকে এক্সপ্লয়েট করা সম্ভব । সমস্যা হলো এই এক্সপ্লয়েটেশনের বিরুদ্ধে কার্যকরি কোন রাস্তা এখনো নীতিনির্ধারকদের থেকে পাওয়া যায়নি । লেখক এটাকে যদি ফাদ বলে থাকেন তাহলে আমি সেটা মেনে নিতে রাজি ।

pathok এর ছবি

উদ্ধৃতি

শেয়ার বাজারের ডিজাইনটা এভাবেই করা হয়েছে যাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনোয়গকারীরা বেশী সুবিধা পান বা লাভ করেন।

এই থিওরী কোথায় পেলেন জানালে কৃতার্থ হই । টেকনিকালি বলতে পারেন অসুবিধা নেই । আমি অধম ফিন্যান্স গ্রাজুয়েট । বুঝতে পারবো ।

জবাব---------
আমি ফিন্যান্সের লোক না তাই আপনাকে রেফারেন্স সহ বলতে পারবো না। আমি কোথাও পড়েছি এটা বলতে পারি।কিন্তূ আমি আপনাকে ডি এস ই দিয়ে প্রমান করে দিতে পারবো উপরের কথা।

উদ্ধৃতি

কেউ যদি তার কমন সেন্স দিয়ে বিনোয়গ করে তার লস হওয়ার কথা না।

এইটা খুব ভাসা ভাসা কথা হলো । কমন সেন্স তো কাজ নাও করতে পারে, তাই না ?

জবাব
কি কারনে ভাসা ভাসা মনে হলো তা উল্লেখ করুন না হলে বুজবো কিভাবে আপনার আপত্তি কোথায়?

আরো একটা কমন সেন্স বলি, একটা কথা আসে গ্যাপ ফিলিং। মানে কোনো কিছুর দাম যদি হঠাৎ করে খুব পড়ে যায় বা খুব বেশী বেড়ে যায় তাহলে তা আবার নেমে এসে বা দাম বেড়ে আগের ঐ গ্যাপ টা পূর্ন করে।

http://www.candlestickforum.com/store/images/AUG11NL%20CHART1%20copy.jpg
Stocks and Stock Market Gaps

A "Gap" is a term used to describe the condition when a stock opens at a higher price than it closed the prior day.

The word gap refers to the space that is left in the daily chart. It is the "empty space" from yesterday's close to today's open.

Gaps can be either up or down and they can happen to all stocks and in all stock markets.

Gaps are measured from the prior day's closing price to the current day's opening price. The post market activity and pre market activity do not affect the gap.

Stocks can trade after market hours, and at pre market starting, but these are not considered "normal" market hours.

For example, stock X closes at 7.00. It trades in after market hours up to 7.50. The next day it starts trading at 7.20 and trades up to 7.60. Later in the day the stock is all the way down to 7.10.

The "Gap" as we measure it is only 20 cents (7.20 - 7.00). All those post and pre market trades do not matter. The stock traded, and people made and lost money, but the gap is not affected!

What causes gaps? Usually it is news driven. Individual stocks can gap up or down due to news such as earnings reports, earnings pre-announcements, analyst's upgrades and downgrades, rumors, message board posts, key people in the company commenting, buying or selling the stock.

Groups of stocks or the whole market may gap-up or gap-down due to various economic reports, news on the economy, political news, or major world events. These news can cause many individual issues to gap with the market.

Many stocks can move very closely with the market and others may be in the sectors that are mostly affected by the news.

Whatever the exact reasons, gaps are the result of some kind of events happening while the market is closed. The result is the buying or selling pressure at the opening of the next day, that will make the stock open at a different price than the one it closed.

Why are "Gaps" important?

This sudden move by a stock, the sudden change in demand, is often the beginning of a major move.

There are i.e. swing trading strategies that capitalize on entering after a gap, and other tactics like i.e. momentum trading that capitalize on several days moves after a gap.

উদ্ধৃতি

যেমন একটা শেয়ার তার ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে কমদামে আছে। এখন কেউ যদি সেটা কিনে সে কি লস করবে??

আবার কেউ যদি একটা শেয়ারের বছরের সব্বোর্চ দামে কিনে তার কি লাভ করার সুযোগ আসে?

উত্তরগুলো আপনিই দিন । ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে কমদামে থাকলে সেটা আরো নামতে পারে আবার ৩৬৫ দিনের সবচেয়ে বেশী দামে থাকলেও সেটা আরো উচুতে উঠতে পারে ।

জবাব

শেয়ার মার্কেট এ ব্যবসায় সফলতা মানেই হলো কে কতো সুন্দর ভাবে ঝুকি সমালাতে পারে(Risk management/Money Management) আমি যা বললাম তা এর ই একটা অংশ। আপনি বলেন তো কেউ যদি ৩৬৫ দিনের নিচের দামে কোনো শেয়ার কিনে তার risk and reward ratio কতো?

হে দাম তারপর ও কমতে পারে কিন্তূ খুব বেশী কি? আপনি যেহেতু ফিন্যান্সের লোক তাহলে তো জানেন একটা স্টকের প্রাইস কখনো পড়ে থাকেনা। কারন স্টক মার্কেটে undervalued কিছুই থাকবে না।কেউ না কেউ তা কিনবেই এবং দাম বাড়বেই। একই ভাবে overvalued কিছুও থাকবে না তার কারেকশন হবেই।

ওনার এ লেখাতে আমার যা ভালো লাগেনি তা হলো ঢালাওভাবে লটারী বা জুয়ার সাথে তুলনা। ৯৬ আর এখন অনেক কিসু বদলে গেছে। এখন যা দরকার সচেতন ভাবে বিনোয়গ করা গুজবে কান না দেওয়া।

আর যারা বিনিয়োগ করতে চান তারা আগে পেপার ট্রেডিং করেন তারপর না হয় টাকা বিনি্যোগ করবেন।

সৎ ভাবে ঝামেলা বিহিন কিছু আয়ের জন্য এটা একটা ভালো জায়গা। কিন্তূ বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। আমি বিনি্যোগ করি Technical Analysis করে। আর এ সি্সটেমটা ফরেক্স এ ও ব্যবহার করা হয় এবং সময়ের সাথে পরীক্ষিত।

আমি বলবো না এখানে ম্যনিপুলেশন হয় না বা গুজব থাকে না। এগুলো ছাড়া ও আয় করা যায় যা একটা ফ্যমিলি চলার জন্য যথেষ্ট।

আপনি লিখেছেন এক কোটি টাকা থাকলেই সম্ভব ম্যনিপুলেশন করা। হাসালেন ভাই। এখন েক দিনে গড় লেনদেন হয় ১০০০ কোটি টাকা আজকে হয়েছে ১৫০০ কোটির ও বেশী। এখন মার্কেট আর আগের মতো ছোট নেই যে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিছু করতে পারবে। এখন অনেকের ব্যাক্তিগত বিনোয়গ ই আসে ১৫/২০ কোটি তাহলে তারা তো ম্যনিপুলেটর হয়ে যেতো।তর্ক করার জন্য লিখিনি লিখেছি মানুষ ভুল বুঝে অনকেই অনেক কিছু বলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সারাজীবন পোর্টফোলিও ম্যনেজমেন্ট পড়ায় কিন্তূ নিজে কোনোদিন শেয়ার মার্কেট এ বিনোয়গ করেন নি। সত্যি এ দেশে সব সম্বভ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

@পাঠক

১. আমি শেয়ার বাজারের সাথে জড়িত কিনা সে ব্যাপারটা এখানে একেবারেই অবান্তর। তাই সে আলোচনায় গেলামনা।

২. আমার লেখাটা শুধু শেয়ার বাজার নিয়ে নয়। কোন ব্যবস্থাকে খারাপ-ভালো বলা, সমর্থণ করা বা নাকচ করাও এর উদ্দেশ্য না। শুধু বিদ্যমান ব্যবস্থার যেখানে যেখানে পকেট কাটার সুযোগগুলো খোলা আছে সেগুলো নিয়ে এই সিরিজ।

৩. প্রাথমিক শেয়ার বাজারে ছাড়া হয় capital formation-এর উদ্দেশ্যে। সেকেন্ডারী মার্কেটে শেয়ারের লেন-দেন, দর উঠা-নামা কোম্পানীর মূলধনে কোন প্রভাব ফেলেনা। প্রাথমিক শেয়ার পরবর্তীতে তার বুক ভ্যালুতে বিক্রি হলে মানুষের ঠকার ব্যাপারটা থাকতোনা। কোম্পানীর ডিভিডেন্ড দেবার হারের উপর প্রাথমিক শেয়ার আবার বিক্রি হবে কি হবেনা সেটা নির্ভর করত। তাহলে প্রশ্ন ওঠে কোম্পানীর পার্ফরম্যান্সের উপর শেয়ারের ভ্যালু ওঠা-নামা না করলে এই ব্যবসায় লোকে বিনিয়োগ করবে কেন? উত্তরটা হচ্ছে - (ক) এখান থেকে ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে বলে (খ) রাইট শেয়ার পাওয়া যেতে পারে বলে (গ) শেয়ারের মূল্যমান টাকার অঙ্কে না ধরে বার্ষিক অ্যাকাউন্টিং-এর পর নেট সম্পদের উপর আনুপাতিক হারে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করলে আপনাআপনিই শেয়ারের মূল্য প্রকৃত হারে ওঠা-নামা করত।

৪. হ্যাঁ, সব ব্যবসাতেই ঝুঁকি আছে। তবে আমার বিবেচ্য ঝুঁকির চেয়ে ঠকানোর ব্যাপারটা। ঠকানোর প্রতিষ্ঠিত ফাঁদ যেখানে আছে আমার আপত্তি সেখানেই।

৫. ভার্চুয়াল ইকোনমির ভৌত চরিত্র নেই বলে রিয়াল ইকোনমির চেয়ে ঠকানোর উপায় বেশি থাকে। কোন খারাপ ব্যাপার আগে ছিল এখন নেই এটা ঠিক আছে। কিন্তু সেটা এটাও নির্দেশ করে যে, এখনো খারাপ কিছু কিছু জিনিষ রয়ে গেছে। পৃথিবীতে কোন কিছুই পরম নয় তাই এই সীমাবদ্ধতাটা থাকবে। কিন্তু আমরা আপত্তি করবো সেইখানে যেখানে অপরাধগুলো করে পার পাওয়া যায় বা অপরাধ করার ব্যাপারে ইনস্টিটিউশনের ভূমিকা থাকে।

৬. হাসিবের প্রশ্নগুলো আমারও। এই ব্যাপারে আপনার উত্তরগুলো আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এটা আমার সীমাবদ্ধতা। শুধু একটা কথা যোগ করব, ম্যানিপুলেটররা শেয়ার বাজারে আছে - বেশ প্রবলভাবেই আছে।

৭. মূল পোস্টে ফেস ভ্যালু ফেরত পাবার ব্যাপারে আমার বক্তব্যটা ত্রুটিপূর্ণ। কোম্পানী লিকুইডেট হলে দায় শোধ করার পর যা থাকে তা থেকে শেয়ার হোল্ডাররা তাদের বিনিয়োগের পুরোটা বা আনুপাতিক হারে তার চেয়ে কম অর্থ ফেরত পেতে পারেন। যদি দায় শোধ করার পর শেয়ার হোল্ডারের ভাগে কিছুই না পড়ে তাহলে ১০০ টাকার প্রাথমিক শেয়ার ক্রেতার ক্ষতি ১০০ টাকা। আর সেকেন্ডারী মার্কেট থেকে ৪০০০ টাকায় কেনা শেয়ার ক্রেতার ক্ষতি ৪০০০ টাকা।

৮. পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট পড়ালেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার প্রাকটিস থাকা উচিত ছিল - এমন ধারণাটা ঠিকনা। দুনিয়া জোড়া এমন কোটি কোটি উদাহরণ দেখানো যাবে যেখানে অধ্যাপক তার অধীত বিষয় প্রাকটিস করেননা। অধ্যাপকগণ মূলতঃ অন্যের গবেষণার ফলাফলের উপর নির্ভর করে পড়ান। সবাইকে আবার চাকা আবিষ্কার করার প্রয়োজন নেই।

৯. আমার লেখার কিছু ব্যাপার কেন, গোটা লেখাটাই যে কেউ অপছন্দ করতে পারেন। বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে আমি ভুল বা অযৌক্তিক কিছু বললাম কিনা। এটি ব্লগ, এখানে লেখকের ভুল বা অযৌক্তিক বক্তব্যর ব্যাপারে আলোচনা হওয়াটাই কাম্য।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

pathok এর ছবি

জবাব
আমি কিন্তূ দেখেয়িছি যে ভালো ভাবেই ব্যবসা করা যায় না ঠকে সমস্যা হলো আপনারা বিবেচনা করছেন শুধু ফান্ডামেন্টাল আর আমি বলছি ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল নিয়ে । আমি একজন বিনিয়োগ কারী এবং মার্কেটে আসি ২০০৮ সাল থেকে। তাই চরাই উৎরাই দেখেছি। আমিও আমার বিনোয়েগের ৫০% হারিয়েছি ২০০৮ এ এবং সেটা তুলেছিও পরে।তখন আমি কিছুই জানতাম না যাকে বলে গুজবে বিনোয়গ করা। পরবতীতে কিছু পড়াশুনা শুরু করলাম এবং অনেকদিন ধরেই ভালো আছি এবং মার্কেটে সবসময় ই থাকবো।

আপনি বলেছেন "শুধু বিদ্যমান ব্যবস্থার যেখানে যেখানে পকেট কাটার সুযোগগুলো খোলা আছে সেগুলো নিয়ে এই সিরিজ। "

তাহলে আপনি ম্যনিপুলেশন নিয়ে লিখেন বা কি সতর্কতা নেয়া উচিত তা বলুন। তা না করে আপনি পুরো একটা ব্যবস্হা কে ফাদ বলছেন। যদি ফাদ ই হতো তাহলো বিশ্বের সব দেশে শেয়ার মার্কেট আছে কেনো তাও আবার সরকারী ভাবে??

৪. কোম্পানীর উন্নতি বা অবনতির উপর ও মার্কেটে ঐ কোম্পনীর শেয়ারের দাম উঠা নাম করে। ভালো ই পি এস আসলে দাম বাড়ে আবার খারাপ আসলে কমে। আমি কিন্তূ লিখেছি কিভাবে ঝুকি এড়ানো যায় বা ঝুকি না নিয়েও ব্যবসা করা যায়। যেমন আপনি যদি শুধু স্কয়ার ফার্মার শেয়ার এ বিনিয়োগ (কিনতে হবে রের্কড পরবতী দামে)তাহলে ও আপনি বাৎসরিক ২৫% লাভ পাবেন যা কিনা ব্যাংক কখনোই দিবেনা।

৫. আপনি যেমন বলেছেন কোনোকিছুই পারফেক্ট হয়না তেমনি একটা সিস্টেম দাড়াতেও সময় লাগে আমাদের মার্কেট কতো বৎসরের?? প্রতিনিয়ত ই কিছু না কিছু উন্নতি হচ্ছে। এই যেমন সামনে অনলাইন ট্রেডিং হবে ফলে দেশের বাইরে থেকেও বিনিয়োগ করা যাবে।

৬.কোথায় অস্পষ্ঠতা তা বলুন আমি চেষ্টা করবো দুর করার। পৃথিবির সব জায়গায় ই ম্যনিপুলেটর আছে ,এই যেমন নেটে হ্যকার রা, দেশে সন্ত্রাসীরা তাই বলে কি নেট ব্যবহার করবো না?

আমার প্রতিরক্ষা তো আমাকেই নিতে হবে নাকি? তাই প্রতিরক্ষার উপায় গুলু বলেন শুধু ভয় দেখিয়ে কি লাভ।

৭. ব্যবসায় সবসময় risk and reward related তাই আপনি যতো বেশী ঝুকি নিবেন ততো বেশী লাভ পাবেন। তাই সেকেন্ডারী মার্কেটে আপনাকে অতটুকু ঝুকি নিতে পারেন যতটুকু আপনার জন্য সহ্য করা সম্বভ। এজন্যই আগে বলেছি Risk management এর উপরই আপনার সফলতা নির্ভর করবে শেয়ার মার্কেট এ

৮. তা করতে পারে কিন্তূ আপত্তি সেখানেই যখন উনারা বলেন এটা খারাপ এটা ভালো। Theory আর Practical এ অনেক তফাৎ। যদিও বেসিকটা একই। সব কিছুরই ভালো দিক আছে আবার খারাপ দিক ও আছে। তাই খারপ টা বাদ দিয়ে ভালোটাই নেয়া উচিত। আমি তাই মনে করি।

৯। আপনার কিছু শব্দ চয়ন আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি যেমন জুয়া, ফটকা, লটারী। তাই লিখলাম । না হলে লিখতাম না।

বাংলাদেশের মার্কেটে এখন একটা সচেতন অংশ তৈরী হচ্ছে যারা গানিতিক বা পরিসংখ্যান নিয়মে বিনোয়গ করে যা বাহিরের বিশ্ব বা ইনস্টিটিউশন রা করে থাকে। আমি বা আমরা ঐগুলো ব্যবহার করে থাকি।

নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন

http://www.sharemarketbasics.com/Terms/Oversold.php
http://stockcharts.com/school/doku.php?id=chart_school

আমি বাংলা লেখায় অতো দক্ষ না তাই কিছু ভুল থাকতে পারে। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি কিন্তূ দেখেয়িছি যে ভালো ভাবেই ব্যবসা করা যায় না ঠকে সমস্যা হলো আপনারা বিবেচনা করছেন শুধু ফান্ডামেন্টাল আর আমি বলছি ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল নিয়ে । আমি একজন বিনিয়োগ কারী এবং মার্কেটে আসি ২০০৮ সাল থেকে। তাই চরাই উৎরাই দেখেছি। আমিও আমার বিনোয়েগের ৫০% হারিয়েছি ২০০৮ এ এবং সেটা তুলেছিও পরে।তখন আমি কিছুই জানতাম না যাকে বলে গুজবে বিনোয়গ করা। পরবতীতে কিছু পড়াশুনা শুরু করলাম এবং অনেকদিন ধরেই ভালো আছি এবং মার্কেটে সবসময় ই থাকবো।
আপনি বলেছেন "শুধু বিদ্যমান ব্যবস্থার যেখানে যেখানে পকেট কাটার সুযোগগুলো খোলা আছে সেগুলো নিয়ে এই সিরিজ।"
তাহলে আপনি ম্যনিপুলেশন নিয়ে লিখেন বা কি সতর্কতা নেয়া উচিত তা বলুন। তা না করে আপনি পুরো একটা ব্যবস্হা কে ফাদ বলছেন। যদি ফাদ ই হতো তাহলো বিশ্বের সব দেশে শেয়ার মার্কেট আছে কেনো তাও আবার সরকারী ভাবে??

আমি কিন্তু আমার এই সিরিজে বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলোর মাঝে বিদ্যমান ম্যানিপুলেশনগুলো নিয়েই বলেছি। আমি শেয়ার বাজারের পুরো ব্যবস্থাটিকে ফাঁদ বলিনি। যেমন মূল পোস্টে আমি প্রাথমিক শেয়ারে বিনিয়োগের ভালো ব্যাপারগুলো পয়েন্ট ধরে ধরে বলেছি। আমার মন্তব্যে সেকেন্ডারী মার্কেট কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে অনুকল্প দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেগুলো আপনার চোখে পড়েনা। আপনি ধরে নিয়েছেন আমি গোটা ব্যবস্থাটিকে ফাঁদ বলেছি।

বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলোতে যে ম্যানিপুলেশনগুলো থাকে (তা শেয়ার বাজার হোক বা অন্য কিছু) সেটা কম-বেশি সব দেশেই থাকে। কোন সরকারই ঘুমায়না, আবার কোন সরকারই ম্যানিপুলেশনগুলো খুঁজে খুঁজে মূলোচ্ছেদ করেনা যতক্ষণ না তা ক্ষমতাসীনদের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটা প্রশ্ন করি, ইচ্ছে হলে উত্তর দিতে পারেন বা নাও দিতে পারেন। ২০০৮ সালে আপনার হারানো বিনিয়োগ পুনরূদ্ধারে আইপিও-র ভূমিকা কতটুকু আর সেকেন্ডারী শেয়ার কেনা-বেচার ভূমিকা কতটুকু?

৪. কোম্পানীর উন্নতি বা অবনতির উপর ও মার্কেটে ঐ কোম্পনীর শেয়ারের দাম উঠা নাম করে। ভালো ই পি এস আসলে দাম বাড়ে আবার খারাপ আসলে কমে। আমি কিন্তূ লিখেছি কিভাবে ঝুকি এড়ানো যায় বা ঝুকি না নিয়েও ব্যবসা করা যায়। যেমন আপনি যদি শুধু স্কয়ার ফার্মার শেয়ার এ বিনিয়োগ (কিনতে হবে রের্কড পরবতী দামে)তাহলে ও আপনি বাৎসরিক ২৫% লাভ পাবেন যা কিনা ব্যাংক কখনোই দিবেনা।

যারা স্কায়ার ফার্মার প্রাথমিক শেয়ার কিনেছিলেন তারা ১০০ টাকার শেয়ার আরো ৮০০ টাকা বাড়তি প্রিমিয়াম দিয়ে ৯০০ টাকায় কিনেছিলেন। বার্ষিক ২৫% হারে ডিভিডেন্ড পেলেও ঐ বাড়তি দেয়া ৮০০ টাকা উসুল করতে তাদের সময় লাগবে মাত্র ৩২ বছর। আর মোট মূল্য ৯০০ টাকা ধরলে লাগবে ৩৬ বছর। এরপর ক্রেতা লাভের মুখ দেখবেন। এভাবে লাভ ধরলে তা একটু দীর্ঘ মেয়াদিই বটে।

৫. আপনি যেমন বলেছেন কোনোকিছুই পারফেক্ট হয়না তেমনি একটা সিস্টেম দাড়াতেও সময় লাগে আমাদের মার্কেট কতো বৎসরের?? প্রতিনিয়ত ই কিছু না কিছু উন্নতি হচ্ছে। এই যেমন সামনে অনলাইন ট্রেডিং হবে ফলে দেশের বাইরে থেকেও বিনিয়োগ করা যাবে।

তা ঠিক, একদিনেই কোন জিনিষ দাঁড়িয়ে যায়না। সেটা দাঁড় করানোর জন্যও ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আলোচনাকে ব্যবস্থাটার বিরোধী মনে করলে ত্রুটিটা থেকেই যাবে।

অনলাইন ট্রেডিং হওয়া ভালো কথা, দেশের বাইরে থেকে বিনিয়োগ হওয়া আরো ভালো কথা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে বিনিয়োগের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ টাকা যেন দেশের বাইরে চলে না যায়।

৬.কোথায় অস্পষ্ঠতা তা বলুন আমি চেষ্টা করবো দুর করার। পৃথিবির সব জায়গায় ই ম্যনিপুলেটর আছে ,এই যেমন নেটে হ্যকার রা, দেশে সন্ত্রাসীরা তাই বলে কি নেট ব্যবহার করবো না?
আমার প্রতিরক্ষা তো আমাকেই নিতে হবে নাকি? তাই প্রতিরক্ষার উপায় গুলু বলেন শুধু ভয় দেখিয়ে কি লাভ।

সতর্ক করা আর ভয় দেখানো এক ব্যাপার নয়। সতর্ক করা হয় সৎ উদ্দেশ্য থেকে, ভয় দেখানোটা অসৎ উদ্দেশ্য থেকেও হতে পারে। আমি এখানে কাউকে কোন ব্যাপারে ভয় দেখানো চেষ্টা করিনি।

৭. ব্যবসায় সবসময় risk and reward related তাই আপনি যতো বেশী ঝুকি নিবেন ততো বেশী লাভ পাবেন। তাই সেকেন্ডারী মার্কেটে আপনাকে অতটুকু ঝুকি নিতে পারেন যতটুকু আপনার জন্য সহ্য করা সম্বভ। এজন্যই আগে বলেছি Risk management এর উপরই আপনার সফলতা নির্ভর করবে শেয়ার মার্কেট এ

ব্যবসা করতে গেলে ঝুঁকি নিতে হবে সেটা ঠিক। সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়িক সাফল্য আনে সেটাও ঠিক। শুধু পরিকল্পিতভাবে অন্যের ব্যবসার জন্য উদ্দেশ্যমূলক ঝুঁকি তৈরি করাটা ঠিকনা। এতে নিজের লাভ হয়, সাথে অন্যের ক্ষতি করা হয়।

৯। আপনার কিছু শব্দ চয়ন আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি যেমন জুয়া, ফটকা, লটারী। তাই লিখলাম । না হলে লিখতাম না।
বাংলাদেশের মার্কেটে এখন একটা সচেতন অংশ তৈরী হচ্ছে যারা গানিতিক বা পরিসংখ্যান নিয়মে বিনোয়গ করে যা বাহিরের বিশ্ব বা ইনস্টিটিউশন রা করে থাকে। আমি বা আমরা ঐগুলো ব্যবহার করে থাকি।

আমার পোস্ট বা মন্তব্যে আমি ‘ফাটকা’ শব্দটা ব্যবহার করিনি। তারপরও এই শব্দটা আপনার চোখে পড়ল কী করে বুঝলামনা।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে কোন শেয়ারের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের ইতিহাসের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস করে তার সাথে পটেনশিয়াল অ্যাকটিভিটি (অনিয়মতান্ত্রিক কিছু নয়) যোগ করে আসলেই কি কোন ফোরকাস্টিং করা সম্ভব? আমার পর্যবেক্ষণ বলে, না। যদি ব্যাপারটা আমার পর্যবেক্ষণের চেয়ে ভিন্নতর হয় তাহলে বলতেই হবে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার থেকে ম্যানিপুলেশন দূরীভূত হয়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

pathok এর ছবি

উদ্ধৃতি
আমি কিন্তু আমার এই সিরিজে বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলোর মাঝে বিদ্যমান ম্যানিপুলেশনগুলো নিয়েই বলেছি। আমি শেয়ার বাজারের পুরো ব্যবস্থাটিকে ফাঁদ বলিনি। যেমন মূল পোস্টে আমি প্রাথমিক শেয়ারে বিনিয়োগের ভালো ব্যাপারগুলো পয়েন্ট ধরে ধরে বলেছি। আমার মন্তব্যে সেকেন্ডারী মার্কেট কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে অনুকল্প দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেগুলো আপনার চোখে পড়েনা। আপনি ধরে নিয়েছেন আমি গোটা ব্যবস্থাটিকে ফাঁদ বলেছি।

জবাব---------

আপনি সেকেন্ডারী মার্কেটের খালি খারাপ দিক গুলো দেখিয়েছেন অথচ হওয়া উচতি ছিলো একটা ভালো গাইড লাইন তা না হয়ে হয়ে গেছে এক পেশে আলোচনা। আপনি বলেন তো আপনি শেয়ার মার্কেটের কয়টা ভালো দিক উল্লেখ করেছেন??
যা দেখিয়েছেন সব খারাপ দিক। এটা কি মিথ্যা যে শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা আয় করা যায়?

উদ্ধৃতি
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটা প্রশ্ন করি, ইচ্ছে হলে উত্তর দিতে পারেন বা নাও দিতে পারেন। ২০০৮ সালে আপনার হারানো বিনিয়োগ পুনরূদ্ধারে আইপিও-র ভূমিকা কতটুকু আর সেকেন্ডারী শেয়ার কেনা-বেচার ভূমিকা কতটুকু?

জবাব---------
আইপিও-র কোনো ভূমিকা নেই। আমি আমার শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগের প্রথম ৩ মাস আইপিও করেছি কিন্তূ এক টাকা আয় করতে পারিনি লস বা ক্ষতি ছাড়া। বলতে পারেন কিসের ক্ষতি? আইপিও-র টাকা জমা দেওয়া, রিফান্ড ওয়ারেন্ট কালেক্ট করা তারপর আবার জমা দেওয়া। তারপর টাকা আসার জন্য বসে থাকা। আবার সময় নষ্ট। এগুলো আমার কাছে ক্ষতি।
টাকা যা হারিয়েছি এই মার্কেটেই হারিয়েছি আর যা আয় করেছি সেকেন্ডারী মার্কেট থেকেই করেছি ।

উদ্ধৃতি

আমার পোস্ট বা মন্তব্যে আমি ‘ফাটকা’ শব্দটা ব্যবহার করিনি। তারপরও এই শব্দটা আপনার চোখে পড়ল কী করে বুঝলামনা।
জবাব---------
লটারী, জুয়া, ফটকা শব্দগুলো একসাথে আসে বা ব্যবহার হয়। তাই চলে এসেছে। আপনি ব্যবহার না করে থাকলে আমি দুঃখিত।

উদ্ধৃতি
যারা স্কায়ার ফার্মার প্রাথমিক শেয়ার কিনেছিলেন তারা ১০০ টাকার শেয়ার আরো ৮০০ টাকা বাড়তি প্রিমিয়াম দিয়ে ৯০০ টাকায় কিনেছিলেন। বার্ষিক ২৫% হারে ডিভিডেন্ড পেলেও ঐ বাড়তি দেয়া ৮০০ টাকা উসুল করতে তাদের সময় লাগবে মাত্র ৩২ বছর। আর মোট মূল্য ৯০০ টাকা ধরলে লাগবে ৩৬ বছর। এরপর ক্রেতা লাভের মুখ দেখবেন। এভাবে লাভ ধরলে তা একটু দীর্ঘ মেয়াদিই বটে।

জবাব---------
আপনি ঘুরে ফিরে প্রাথমিক শেয়ারে যাচ্ছেন কেনো? আমি কি লিখেছি তা একটু ভালো করে দেখেন --আমি লিখেছি "যেমন আপনি যদি শুধু স্কয়ার ফার্মার শেয়ার এ বিনিয়োগ (কিনতে হবে রের্কড পরবতী দামে)তাহলে ও আপনি বাৎসরিক ২৫% লাভ পাবেন যা কিনা ব্যাংক কখনোই দিবেনা।"
রেকর্ড পরবতী দামে যা শুধু সেকেন্ডারী মার্কেটেই হয়। এবার আসেন আমরা কিছু ঐতিহাসিক ডাটা দেখি এই কোম্পানীর। তাহলেই বুঝতে পারবো আমি কতটুকু সঠিক বলেছি---

আপনি যদি ১১ই আগষ্ট ২০০৯ এ স্কয়ার ফার্মা কিনেন ২৬৪৫ করে তার পর ৯ ই ফেব্রু্যারি ২০১০ ই আপনি বিক্রি করতে পারবেন ৩৭৪৬ টকা করে। তাহলে লাভ হলো ৩৭৪৬-২৬৪৫=১১০১ টাকা। বিনোয়গ মাত্র ২৬৪৫ টাকা আর লাভ ১১০১ টাকা তাই লাভ ৪১% সময় সময় ৬ মাস।

এবার দেখি ২০০৮ সালে ১৮ই আগষ্ট এ কিনতে হবে ২৭৮৮ করে বিক্রি করবেন ১৬ ই অক্টোবর ২০০৯ এ ৩৩২১ করে। লাভ ৩৩২১-২৭৮৮=৫৩৩ টাকা লাভ ১৯% সময় ২ মাস

এবার ২০০৭ এ কিনেন ১৯ ই আগষ্ট কিনেন ৩৪৪৯ করে বিক্রি করেন ৫৪৯৪ করে ১৮ই মে২০০৯। লাভ ৫৪৯৪-৩৪৪৯=২০৪৫ লাভ ৫৯% সময় ১০ মাস

তো এখন বিশ্বাস হচ্ছে। যদি প্রয়োজন মেন করেন তাহলে মেইল আড্রেস দিবেন আমি আপনাকে ডাটা বা গ্রাফ দিয়ে দিবো আপনার চেক করার জন্য।

উদ্ধৃতি
বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে কোন শেয়ারের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের ইতিহাসের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস করে তার সাথে পটেনশিয়াল অ্যাকটিভিটি (অনিয়মতান্ত্রিক কিছু নয়) যোগ করে আসলেই কি কোন ফোরকাস্টিং করা সম্ভব? আমার পর্যবেক্ষণ বলে, না। যদি ব্যাপারটা আমার পর্যবেক্ষণের চেয়ে ভিন্নতর হয় তাহলে বলতেই হবে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার থেকে ম্যানিপুলেশন দূরীভূত হয়েছে।

জবাব---------
আমি আগেই বলেছি আপনি কি শেয়ার ব্যবসায় জড়িত?? যদি না হন তাহলে যা জানেন না তা নিয়ে লিখে লাভ নাই। ভাসা ভাসা ভাবে কোন কিছু লেখার চাইতে না লেখাই ভালো। উপরের স্কয়ার ফার্মার এনালাইসিস থেকে কি মনে হয় এটা ম্যানিপুলেশন না আমার বানানো?
এখানে কি ঝুকি নেওয়া হয়েছে? আপনি ব্যাংকে রাখলে কতো টাকা পেতেন আর এখানে কতো পাচ্ছেন? তাই না জেনে শুধু শুধু একটা বিষয় কে খারাপ বলা ঠিক না। কেউ যদি না বুঝে বিনোয়গ করে সেটা তার দায়িত্ব। আপনি রাস্তা দিয়ে হাটার সময় দেখে শুনে হাটতে হবে। আপনি চোখ বুঝে হেটে যদি বাস চাপা পড়েন সেটা তো রাস্তার দোষ না। তাই আমি বলি বুঝে শুনে বিনোয়গ করেন। বিনোয়গ করার আগে পড়াশুনা করুন আর জানুন। তারপর আসেন বিনিয়োগ করুন।

শামীম এর ছবি

মন্তব্যটি এই পর্বের সাথে কিছুটা অফটপিক হতে পারে:

লেখাটার আগের পর্ব পড়েই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাথে হওয়া ঘটনাটা মনে পড়ছিলো। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে এটা নিশ্চিত করার পরই আমি এবং কয়েকজন কলিগ ক্রেডিট কার্ড করালাম। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে এটা ভুয়া তথ্য। কার্ডটা এক্টিভেটও করিনি তাই। অফিসিয়াল কল সেন্টারে কমপ্লেইনও করলাম। এরপরও প্রতিমাসে ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক ফী-এর জন্য সুদসহ নোটিশ আসতে থাকলো। শেষের নোটিশটি ছিল হুমকীমূলক। আমি এর জবাবে বিস্তারিত ঘটনা ইংরেজিতে লিখে নোটিশের ঠিকানায় ফোন, ফ্যাক্স করার চেষ্টা করলাম। কোনটাই যায় না। শেষে হাল ছেড়ে দিলাম। কোনো টাকা ধার না নেয়া সত্বেও ব্যাটারা আমাকে ঋণখেলাপি বানায় দিলো!

কয়েকদিন আগে HSBC ব্যাংকের আগের ATM কার্ডের বদলে নতুন কার্ড পাঠিয়েছে। এটাতে ভিসা প্লাস আছে ... ... সকল গ্রাহককেই এরা এটা দিয়েছে কোনো আলাদা আবেদন করার প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই। অবশ্য বাৎসরিক একটা অতিরিক্ত ফী কাটবে (৪০০ টাকার কম)। আর অন্য visa গ্রহণ করে এমন ATM থেকে টাকা তুললে (ধার নিলে) প্রতি ট্রানজাকশনে ১৩৮ টাকা ট্রানজাকশন-ফী কাটবে। এ সপ্তাহে গিয়ে ঐ কার্ড এক্টিভেট করাবো, তখন বাকী তথ্য জানা যাবে।

অথচ জাপানে ভিসা কার্ড ব্যবহার করতাম, কোনো রকম ফী ছাড়াই। বরং ক্যাশের বদলে ক্রেডিট কার্ডে কিনলে বিভিন্ন রকম ডিসকাউন্ট পাওয়া যেত। পরের মাসের নির্দিষ্ট তারিখে টাকাটা (ইয়েন) ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নিত, এর চেয়ে দেরী করলে তখন সুদ হিসাব হয় বলে শুনেছিলাম। আমার কখনই সুদ দিতে হয়নি, এই কার্ড দিয়ে বিভিন্ন সেমিনারে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতাম, মেম্বাশিপ ফী দিতাম। অথচ দেশে এগুলো করার কোনো উপায় নাই। (একটা উপায় আছে, সেটা না থাকার মতই)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আগের পর্বের বিষয় নিয়ে এই পর্বে বলায় কোন ক্ষতি হয়নি। বরং যা বলেছেন তা আমাদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এই পর্বটিও তীব্র রকম ভাল হয়েছে । MLM নিয়ে প্রথম আমার অভিজ্ঞতা আমি যখন কানাডা আসি । টরেন্টোতে আমরা মাত্র এসেছি । নতুন অভিবাসীদের জীবনে যা যা সংকট থাকে তার সবই আছে । দেশ থেকে সোনার হরিনের কথা শুনে এসে দেখি কোথায় কিসের সোনার হরিন, পেট ভরানোর উপায় নাই । হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছি । বাড়িতে বাড়িতে ফ্লায়ার দেয়ার কাজ পর্যন্ত করতে রাজী আছি । এই সময়ে দুই প্রতিবেশী দেশের (একজন ইন্ডিয়ান একজন পাকিস্তানী) দরজায় কড়া নাড়লেন । পরিচয় পর্বের পরে বোঝাতে শুরু করলেন “পিরামিড” কীভাবে কাজ করে । প্রথমদিন বললাম, ভেবে দেখি । তারপরেও ধৈর্য ধরে আবার এলো । তখন বয়স কম, কারুর মুখের ওপর না বলতে পারি না । শেষে একদিন বললাম, “শোনো আমার বাবার শেখানো একটি নীতি আমি মেনে চলি । সেটা হোল, “কাট ইয়োর কোট একোর্ডিং টু ইয়োর ক্লথ”, কাজেই যত কষ্টেই থাকি আমাকে এভাবেই থাকতে হবে । আমার বাবা আরো বলতেন, কখনই গাছের মগডালে এক লাফে ওঠা ঠিক না, পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী । ধীরে ধীরে ওঠাই ভাল ।” তারপর থেকে আর “পিরামিড” টিম আমার দরজার কড়া নাড়েনি । তাই দেখুন, সব দেশেই এইসব পকেট কাটার ফন্দি ফিকির করা লোক আছে । এরা সব সময়ই টার্গেট করে স্বল্প আয়ের মানুষদেরকে ।

প্রবাসী বাঙ্গালীদের দেশে জমি কেনার ব্যাপারটি নিয়ে একটি পর্ব লিখুন ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

MLM-নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এখান থেকে আমাদের অনেকেই সতর্ক হতে পারবেন।

জমি কেনা নিয়েতো আগের পর্বেই বলেছি। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন ব্যাপার আছে কিনা তা আপনার জানা থাকলে জানাবেন, আমি জানিনা।

অটঃ আগের পর্বে আপনার যে মন্তব্যটি মুছে দিতে বলেছিলেন তা মুছে দিয়েছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বর্ষা এর ছবি

@ জোহরা ফেরদৌসী, আপনি মনে হয় কুইক্সটারের খপ্পরে পড়েছিলেন। আমি নতুন আসার পর এরা বেশ যন্ত্রনা দিয়েছিলো। আমার বাসার উপরে দুজন থাকতো---- দিনে রাতে যন্ত্রনা দিতো।
প্রবাসী বাঙ্গালীদের দেশে জমি কেনার ব্যাপারটি নিয়ে প্রবাসী কারো লেখা উচিত। অনেকেই নানা ভাবে প্রতারিত হন তবে গৃহবঁধুরা হয়তো বেশী প্রতারিত হন।
@ পান্ডুদা, শেয়ারমার্কেট ব্যাপারটি তেমন বুঝিনা। ব্যাপারটি কি পুরোটাই ফাঁকি নাকি বুঝেশুনে লেনদেন করলে লস খাবে না??? অনেকেই দেখি শেয়ার কিনে রাখে---নতুন মনে হয় গ্রামীণ ফোনের শেয়ার!!!!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার প্রশ্নের হ্যাঁ-না উত্তর দেবার মালিকতো আমি নই, সে ক্ষমতাও আমার নেই। এ'ব্যাপারে আমার বক্তব্য আমার পোস্ট আর আলোচনায় পাবেন। তবে নতুন কোন ব্যাপারে নামার আগে সেই ব্যাপারে বেসিক পড়াশোনাটা করে নেবেন, ইতিহাসটা একটু জানবেন, সেখানকার কিছু মানুষের অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন। তারপর নিজেই বুঝতে পারবেন কী করতে হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অগ্নিবীণা এর ছবি

আমি ফিজিক্সের মানুষ, এগুলো ঠিক বুঝিনা, আপনার লিখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল! হাউজ লোনে বাড়ি কেনার ব্যাপারটি (দেশ ও বিদেশের প্রেক্ষিত) নিয়ে লিখলে খুব আনন্দিত হব!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা তো বেশ শার্প হন। সুতরাং আপনার কিছু না বোঝার কথানা। হাউজ লোনে বাড়ি কেনার ব্যাপারটা একটু খতিয়ে দেখতে হবে, আসলেই সেখানে ঠকবাজির কোন ব্যাপার আছে কিনা। আপনার জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

আমার পক্ষে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে লেখা সম্ভব। অন্য দেশের অভিজ্ঞতা না থাকায় আমার পক্ষে সেগুলো নিয়ে লেখা কঠিন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

মোটাদাগে আপনি শেয়ার বাজারকে লটারি, জুয়া ইত্যাদির সাথে তুলনা করেছেন বলেই আমার কাছে নেগেটিভ মনে হয়েছে। আপনার এই লেখাপড়ে যেকেউ বিভ্রান্ত হতেপারে।
আপনি প্রাথমিক শেয়ারকে কিছুটা ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। ডিভিডেন্ট, রাইটশেয়ার বা বোনাস শেয়ার ছাড়াও কিন্তু অনেক কারনে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।

এখানে ৪,০০০ টাকায় শেয়ার কেনা দ্বিতীয় পর্যায়ের বিনিয়োগকারীর টাকা মূলতঃ এক ধরণের জুয়ায় ব্যবহৃত হল। কথাটা শুনতে খারাপ মনে হলেও এটি সত্য। কারণ, ১০০ টাকার প্রাথমিক শেয়ারে আপনার লোকসানের সুযোগ খুব কম, যদি না খোদ ব্যবসাটাই ডুবে যায়। বরং আপনি নিয়মিত ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ইত্যাদি পেতে পারেন। এমনকি কোম্পানী ডুবে গেলেও বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের (শেয়ারের বুক ভ্যালু) ফেরত পাবেন।

১৯৭৬ সালে শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত পদ্মা অয়েল যার ফেস ভেলু ছিল ১০ টাকা মাত্র সেই শেয়ার দাম এই ৩৫ বছর পরে এসে আপনি আশাকরতে পারেন না ১০ টাকার আছে পাশে থাকবে। ৩০০০ টাকার উপরেও উঠেছিল গতবছর এবং সেটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু ছিলনা। সেই শেয়ার যারা ৩০০০ টাকায় কিনেছিলেন তারা জুয়া খেলার জন্যেও কেনেননি।

কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সেই সুযোগ পান না। শেয়ার বাজারে সব সময় অমুকের তমুকের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার গল্প চালু রাখা হয়। কিন্তু কত শত জন সেই সাথে ফতুর হয়ে গেল সেই গল্প আর করা হয়না

আমি নিজে একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী।আমি আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার স্বপ্ন নিয়ে বিনিয়গ করিনা বা সেধরণের গল্পতেও তেমন মনোনিবেশ করিনা। শুধু আমি কেন আমার পরিচিত অনেকেই আছেন যারা এখন অনেক সচেতন । আমাদের শেয়ার বাজার এখন আগের চেয়ে অনেক পরিপক্ক। এখন কোন শেয়ারের দাম অযৌক্তিক ভাবে বেড়ে গেলে এস ই সি তড়িত পদক্ষেপ নেয়। সংস্লিস্ট কম্পানীর ও পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেবারও নজির আছে। ( ট্রাস্ট ব্যংকের প্রাথমিক শেয়ার যখন সেকেন্ডারি মার্কেটে ১১০০ এর বেশি দামে ট্রেড হচ্ছিল তখন)

পৃথিবীর প্রায় সব শেয়ার বাজারে কোন না কোন সময় বাবল হয়। ৯৬ সালে আমাদেরও হয়েছিল। তবে তার জন্যে শুধুযে শেয়ার বাজার বা গুটিকয়েক লোক দায়ী তা বলা ঠিকহবেনা। আমাদের সীমাহীন লোভ এবং শর্টকাটে বড়লোক হবার প্রবনতা টাই ছিল আসল কাল্প্রিট। এমনও ও ঘটনা শুনেছি যে গ্রামথেকে লোকজন ব্যাগভরে টাকা নিয়ে ধানমন্ডিতে বেস্কিমকোর অফিসে হাজির হয়েছিল শেয়ার কেনার জন্যে। আপনি যদি শেয়ারের শও নাবুঝে ১০০ টাকার শেয়ার কোন কারন ছাড়াই ৩৫০০০ টাকাদিয়ে কিনে পরেরদিন ৪০০০০ টাকায় বেচার লোভে ধরা খান তাহলে সেটা কার দোষ সেটা বিবেচনার বিষয়।

এমনকি কোম্পানী ডুবে গেলেও বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের (শেয়ারের বুক ভ্যালু) ফেরত পাবেন

এই তত্ত্বটা কি আর একবার বিবেচনা করবেন? আমার জানামতে এইধরণের কোন নিয়ম আছেবলে শুনিনি। আমার ভুলও হতে পারে।

পরিশেষে একটা উদাহরন দিতে চাই। ধরুন বিদেশ ফেরত কোন লোক তার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ১ কোটি টকার বিনিময়ে ১ বিঘা জমি কিনল। বছর শেষে সে ১০০০০ টাকার ধান পেল। এখন এই ১০০০০ টাকাকে যদি ডিভিডেন্ট ধরি তাহলে মাত্র ০,১ শতাংশ তার লাভ। শুধু মাত্র এটার জন্য নিশ্চয়ই কেই জমি কেনে না তাইনা? দুইবছর পরে সে ওই জমি দেড়কোটি টাকায় বেচবে এবং এর মধ্যে যে ধান পাবে তা ফাও। এটাকে শেয়ার এর ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন বলে মনেহয়।

আবার ধরাযাক জমিটা হটাত করে সরকারের কুনজরে পড়ে অধিগ্রহন হয়ে গেল। তাহলে ধরা। সরকারী রেটে বড়জোর ২০০০০০ টাকা পাওয়া যাবে।
কিন্তু যদি সেই জমির পাশদিয়ে কোন রাস্তা তৈরীর প্নান হয় তাইলে রাতারাতি জমির দাম ৩ গুন।
শেয়ার ব্যপারটাও অনেকটা এইজমির মত। শুধুমাত্র রাইট, বোনাস, বা ডিভিডেন্টের জন্যে মানুষ শেয়ার কেনেনা। আবার লটারীর বিকল্প হিসাবেও কেনা উচিত না।

অনেক বড় অগছালো এবং বোরিং মন্তব্য করে ফেলার জন্য দুঃখিত।
বানান নিয়েও আমার মারাত্বক সমস্যা আছে।

হাসিব এর ছবি

মোটাদাগে আপনি শেয়ার বাজারকে লটারি, জুয়া ইত্যাদির সাথে তুলনা করেছেন বলেই আমার কাছে নেগেটিভ মনে হয়েছে।

লটারি জুয়া ইত্যাদিরে আমরা মনে হয় স্পেকুলেশন শব্দটা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে পারি । আজকে একটা শেয়ার কিনলে আগামি এক সপ্তায় এটার দাম বেড়ে দ্বিগুন বা কমে অর্ধেক হতে পারে । এই জিনিসটাতো স্পেকুলেশনই বলা যায় । আর আপনি নিশ্চয়ই একমত যে বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট এফিশিয়েন্ট না যে কোন স্পেকুলেশন কাজে লাগানো যাবে না । তাহলে যেহেতু স্পেকুলেশন কাজে লাগে এবং সেটা কোন মৌল ভিত্তির ওপর দাড়ায় না সেহেতু এটাকে মোটাদাগে লটারি জুয়ার সমমানের কিছু একটা বলতে সমস্যা কি?

আর বাংলাদেশে শেয়ার মার্কেটে মূল লাভটাতো মনে হয় ক্যাপিটাল গেইনই, তাই না ? এই ক্যাপিটাল গেইন কতটা হওয়া উচিত ? কোম্পানির ফিউচার গ্রোথ পটেনশিয়াল এই জিনিসটা ঠিক করে, অন্তত তাত্ত্বিকভাবে । এসইসি যদি আপনার কথামতো অযৌক্তিক দাম বাড়লেই তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেয় তাহলে বলতে হবে তাদের কল্যানে মার্কেটে অযৌক্তিকভাবে দামি কোন শেয়ার নেই । তো এইটা কি সত্য ? অনেকদিন মার্কেটের খোজ রাখি না । কয়টা শেয়ারের ইন্ট্রিনজিক ভ্যালু আর মার্কেট ভ্যালু কাছাকাছি এই মুহুর্তে ?

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

হ্যাঁ আপানার সাথে একমত। স্পেকুলেশন অনেক এপ্রোপ্রিয়েট। তবে লটারি বা জুয়া বলতে আমার ঘোর আপত্তি আছে।

বংলাদেশের শেয়ার বাজারে অতিমুল্যায়িত শেয়ার নেই সেটা আমি বলবনা বরং বেশীরভাগ ভাল শেয়ারই অল্পবিস্তর অতিমুল্যায়িত। তবে একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা সেটা আমি মনেকরি না। এস ই সি মাঝেমাঝে ব্যবস্থা নেয় দেখেই তা ভাল আছে।

আপনি বলেছেন কতটুকু দাম বাড়াটা যৌক্তিক? এই ব্যাপারটা আসলেই আপেক্ষিক। তবে অতিমুল্যায়িত শেয়ার কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ না বলে আমি মনে করি।
কোন শেয়ারের কি দাম আছে বা কতটা অতিমুল্যায়িত তা জানার জন্যে আপনি যদি একটু ডি এস ই সাইটে ঢু মারেন তাহলে ভালহয়, শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দেয়াকেন?

আমাদের শেয়ার বাজার এখনো পারফেক্টনা। তবে আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। আগের যেকোন সময়ের তুলনা মার্কেটের গভীরতা বেশি। লেনদেন ভাল। ভালভাল কোম্পানি মার্কেটে আসছে। বুঝেশুনে বিনিয়গ করলে ঠকার চান্স কম। এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারণা।

হাসিব এর ছবি

পৃথিবীর প্রায় সব শেয়ার বাজারে কোন না কোন সময় বাবল হয়। ৯৬ সালে আমাদেরও হয়েছিল। তবে তার জন্যে শুধুযে শেয়ার বাজার বা গুটিকয়েক লোক দায়ী তা বলা ঠিকহবেনা। আমাদের সীমাহীন লোভ এবং শর্টকাটে বড়লোক হবার প্রবনতা টাই ছিল আসল কাল্প্রিট।

৯৬তে যেই ব্যান্ডওয়াগন ইফেক্টটা দেখা গিয়েছিলো সেই ব্যান্ডওয়াগনের সামনের দিকে কে কে ছিলো ? তখন তো অনেক রথি মহারথির নাম শুনতাম । যাদের সম্পর্কিত ডকুমেন্টগুলো শোনা যায় গায়েব করা হয়েছে । খামোখা উন্নত অর্থনীতির বাবলের সাথে বাংলাদেশের বাবলের তুলনা করা ঠিক না ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

@ নিদ্রালু

১. আপনার আলোচনার যে বিষয়গুলো পাঠক আর হাসিবের সাথে আলোচনায় উপরে বলেছি সেগুলোর আর পুনরাবৃত্তি করলামনা। বাকিগুলোর বেশির ভাগই হাসিব উত্তর দিয়েছেন।

২. আপনি স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের মার্কেট এফিশিয়েন্ট না, সেক্ষেত্রে এখানে কোন স্পেকুলেশন বিশেষ কাজে দেবার কথানা। তাহলে এই ঘটনাটিকে লটারী বা জুয়া থেকে খুব আলাদা করা যায় কি? আমার কথা হচ্ছে যে বাজারে কোম্পানীর প্রকৃত অবস্থার সাথে বাজার মূল্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, ফিউচার গ্রোথ পটেনশিয়াল যাচাই করার জন্য সুব্যবস্থা নেই সেখানে ঝুঁকিটা কতটুকু সিস্টেমেটিক? অন্য একটা জার্গন দিয়ে একে ডিফাইন করলেই কি এর প্রকৃত অবস্থাটা পালটে যায়?

৩. আমাদের শেয়ার বাজার এখনো পারফেক্টনা। তবে আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। আগের যেকোন সময়ের তুলনা মার্কেটের গভীরতা বেশি। লেনদেন ভাল। ভালভাল কোম্পানি মার্কেটে আসছে। বুঝেশুনে বিনিয়গ করলে ঠকার চান্স কম। এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারণা।

আপনার ব্যক্তিগত ধারণা নিয়ে ভালো-মন্দ বলা আমার এখতিয়ারে নেই। তবে এই ধারণার মধ্যকার স্ববিরোধিতাগুলো একটু খেয়াল করবেন। একজন শুভাকাঙ্খী হিসাবে বলব, আরেকটু সাবধানী হোন। ঠকার সম্ভাবনা যে আছে সে কথা আপনিও স্বীকার করেছেন। ভালো থাকবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

উপদেশে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরো সাবধানী হবার চেষ্টা করব।

ঠকার সম্ভবনা বলতে আমি লস বা ক্ষতির কথা বলতে চেয়েছিলাম।খুবই বাজে শব্দচয়ন এখন বুঝতে পারছি।

তবে আমিও আপানাকে অনুরোধ করছি কোন বিষয়ে লেখার আগে আর একটু গভীরভাবে জেনেশুনে লিখলে ভালহয়।

আর টাইপ করতে অনেক কষ্টহয়। শেখার চেষ্টা করছি। আশাকরি পরে আরো কথা হবে।

meghladin@gmail.com

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

তবে আমিও আপানাকে অনুরোধ করছি কোন বিষয়ে লেখার আগে আর একটু গভীরভাবে জেনেশুনে লিখলে ভালহয়।

আমি কী বলতে ও লিখতে চেয়েছি সেটা উপরে ব্যাখ্যা করেছি। আমার লেখার ত্রুটিপূর্ণ অংশ কোনটি সেটা দেখিয়ে তার ঠিক ব্যাখ্যাটি দিয়েছি। ব্লগকে আমি কিভাবে দেখি সেটাও বলেছি। আমার লেখায় তারপরও যদি অস্পষ্টতা থাকে তাহলে তার দায় আমারই।

আমি যদি না জেনে-বুঝে কিছু বলি থাকি তাহলে সেটা অন্যায় করেছি। দয়া করে কি বলবেন কোথায় কোথায় এই অন্যায়টি করেছি। এই বিষয়টি গভীরভাবে জানেন বোঝেন এমন মানুষ হিসাবে আপনার কাছে এই দাবিটি করতেই পারি, তাইনা?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসিব এর ছবি

তবে আমিও আপানাকে অনুরোধ করছি কোন বিষয়ে লেখার আগে আর একটু গভীরভাবে জেনেশুনে লিখলে ভালহয়।

জানেওয়ালারা যখন না লিখে বসে থাকে তখন কমজানেওয়ালাদেরই কাধে জোয়ালটা তুলতে হয় ।

হাসিব এর ছবি

আপনি স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের মার্কেট এফিশিয়েন্ট না, সেক্ষেত্রে এখানে কোন স্পেকুলেশন বিশেষ কাজে দেবার কথানা।

এফিশিয়েন্ট হলে স্পেকুলেশন কাজে লাগে না । কারন মার্কেটে সব তথ্য দামের মধ্যে ইনকরপোরেটেড থাকে ।

নাশতারান এর ছবি

আলোচনা বরাবরের মতোই দারুণ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই লেখাটা পড়তে পারেন ডেসটিনি নিয়ে। বেশ তথ্যবহুল।

---মহাস্থবির---

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পড়লাম। লিঙ্কটির জন্য ধন্যবাদ। লেখাটি কি আপনার?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রানা মেহের এর ছবি

আপনার আর সুবিনয়ের কাছ থেকে অর্থনীতি মনে হয় শিখেই ফেলবো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সুবিনয়ের কাছ থেকে অর্থনীতি শিখতে চান ঠিক আছে, কিন্তু আমার কাছ থেকে না। নরসুন্দরের কাছ থেকে সার্জারী শেখা যায়না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মামুন হক এর ছবি

গন্ধ পাচ্ছি সামনে আরও অনেক কথা আছে...আগ্রহ নিয়ে পড়ছি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কথাতো আছেই। গুছিয়ে লেখার জন্য একটু সময় লাগবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ লেখা। সিরিজ চলতে থাকুক।

চলুক চলুক চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। দেখি 'গমচুরি'র ব্যাপারে কোন তথ্য পাই কিনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আলোচনাতে যোগ করার মত তেমন কিছু নেই। পড়েছি এটুকু জানিয়ে গেলাম। উপরের মন্তব্যের কিছু আলোচনাও ভালো লাগছে।

MLM বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আমেরিকাতে অনেক বেশি প্রাতিষ্ঠানিক। এদের মার্কেটিং-এর ভিডিও/অডিও সেমিনার বা স্পীচগুলো শুনলে বোঝা যায় এখানে কী বিশাল বিনিয়োগ আছে মানুষের। নতুন দেশ থেকে আসা ছাত্ররা আর নতুন চাকরী নিয়ে নতুন শহরে আসা মানুষেরা এদের প্রাথমিক টার্গেট। নিজেও বহুবার এদের পাল্লায় পড়েছি। আমাদের এক ঘনিষ্ট বন্ধু এ রাস্তায় গিয়ে মোটামুটি বন্ধু তালিকা থেকেই বাদ পড়েছে। তবে এখানেও দেখেছি সরকারের/কর্তৃপক্ষের মতামতটা "Buyer be aware" ধরনের। আর সর্বশান্ত হয়েছে বা অনেক টাকা হারিয়েছে বলে শুনিনি খুব একটা, এদের খপ্পর থেকে বের হয়ে এসেছে অমনটাই আশেপাশে দেখি বেশি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একইভাবে বাংলাদেশে MLM-এর এখনকার টার্গেট হচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা। "ক্রেতা সাবধান" বলে আইনী দায় হয়তো এড়ানো যায়, নৈতিক দায় এড়ানো যায়না। একেবারে সর্বস্বান্ত হবার আগেই অনেকে সরে পড়েন। যারা তাড়াতাড়ি বা দেরিতে সরে পড়েন তাদের মধ্যে খুব কম জনই স্বীকার করেন আসলে কতটা খুইয়েছেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দময়ন্তী এর ছবি

লেখা যথারীতি দারুণ লাগল৷

আচ্ছা এই অ্যামওয়ে, ওরিফ্লেম, অ্যাভন, এইগুলো কি এম এল এমের মধ্যে আসে? ২০০০ - ২০০১ নাগাদ কলকাতায় অ্যামওয়ের উত্পাত এমন বেড়েছিল যে আমি এমনকি আমার এক বন্ধুকে দেখেও অ্যামওয়ে ব্রিফিংএর যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে ঝপ করে ভুল বাসে উঠে ভুল দিকে চলে গেছিলাম৷ ৩ স্টপেজ গিয়ে ফেরত এসেছিলাম৷

কে যেন হাউস লোন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন দেখলাম৷ ভারতে ল্লোনের ইন্টারেস্ট ক্যালকুলেশানের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়৷ নাহলেই অনেক ব্যাঙ্কই গোলমাল করে রাখে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দিদি, যে তিনটা নাম বললেন তাদের ব্যাপারে একটু গুগলান। দেখবেন সব ফকফকা হয়ে যাবে। তবে আপনার পালানোর ব্যাপারটায় মজা পেয়েছি।

হাউজ লোনের ব্যাপারটা যারা ভালো জানেন তাদের কাছ থেকে আরো শুনতে চাচ্ছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

MLM নিয়ে আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগল। MLM এর মধ্যে যে কত বড় ফাকিবাজি আর ধোকাবাজি আছে সেইটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানর জন্য ধন্যবাদ। MLM কোম্পানী গুলো সত্যি সত্যিই মানুষের সাথে অনেক বড় ধোকাবাজি করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মত কিছুই নেই। এ ঠকবাজি থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে সচেতনতা।
ইদানিংকালে ব্রাভো আইটি থেকে বেশ চিল্লাচিল্লি শুনতে পাচ্ছি। এদের মুল টার্গেট হচ্ছে আমাদের মত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা। আমাদের একটা চিন্তা থাকে যে পুরোপুরি বাবার উপর নির্ভরশীল না হয়ে অন্তত নিজের হাত খরচটা নিজে চালানোর। এ ধরণের ছাত্ররাই এদের মূল টার্গেট। এদের এরা অনেক টাকা উপার্জনের লোভ দেখিয়ে MLM ব্যবসায় নিয়ে আসে কিন্তু যখন এরা বুঝতে পারে তারা ভুল করেছে তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ততক্ষনে তাদের পকেট থেকে কতগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কয়েকজনকে চিনি যারা শুধু টাকা দিয়েই গেছে কিন্তু কোনো টাকাই তুলতে পারেনি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্টটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ভবিষ্যতে মন্তব্য করার সময় বা লেখা পোস্ট করার সময় নিচে আপনার নামটা দিয়ে দেবেন। নয়তো কীকরে বুঝব কে এই কথাগুলো বললেন!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

@পাঠক

আপনি সেকেন্ডারী মার্কেটের খালি খারাপ দিক গুলো দেখিয়েছেন অথচ হওয়া উচতি ছিলো একটা ভালো গাইড লাইন তা না হয়ে হয়ে গেছে এক পেশে আলোচনা। আপনি বলেন তো আপনি শেয়ার মার্কেটের কয়টা ভালো দিক উল্লেখ করেছেন??
যা দেখিয়েছেন সব খারাপ দিক। এটা কি মিথ্যা যে শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা আয় করা যায়?

আবারও বলি আমার এই সিরিজটাই বিদ্যমান ব্যবস্থার মাঝে যে ম্যানিপুলেশন আছে সেগুলো নিয়ে, কিন্তু দুঃখের বিষয় সেকথা আপনার কানে যায়না। সুতরাং আমি সেকেন্ডারী মার্কেটের ভালো দিক বলে খারাপ দিকটাকে মিনিমাইজ করবো সেটা এই পোস্টের কাজ না। এই পোস্টের পরিকল্পনা ও প্রণয়ন সম্পূর্ণ আমার। সেখানে কী লেখা উচিত ছিল সেই নির্দেশনা দেবার অধিকার কি অন্য কেউ রাখেন? আমার বক্তব্য যদি অসত্য ও ক্ষতিকারক হত তাহলে মডারেটররা এই পোস্ট সরিয়ে দিতেন।

কেউ যদি শেয়ার মার্কেটের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করে পোস্ট দেন তাহলে তিনি ভালো-মন্দ সব কিছু নিয়ে করতে পারেন - সেটা তার ব্যাপার। শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা আয় করা যায়না সেকথা আমি বলিনি। আপনি অহেতুক এই প্রশ্ন তুলছেন।

আপনি ঘুরে ফিরে প্রাথমিক শেয়ারে যাচ্ছেন কেনো? আমি কি লিখেছি তা একটু ভালো করে দেখেন --আমি লিখেছি "যেমন আপনি যদি শুধু স্কয়ার ফার্মার শেয়ার এ বিনিয়োগ (কিনতে হবে রের্কড পরবতী দামে)তাহলে ও আপনি বাৎসরিক ২৫% লাভ পাবেন যা কিনা ব্যাংক কখনোই দিবেনা।"
রেকর্ড পরবতী দামে যা শুধু সেকেন্ডারী মার্কেটেই হয়। এবার আসেন আমরা কিছু ঐতিহাসিক ডাটা দেখি এই কোম্পানীর। তাহলেই বুঝতে পারবো আমি কতটুকু সঠিক বলেছি---
আপনি যদি ১১ই আগষ্ট ২০০৯ এ স্কয়ার ফার্মা কিনেন ২৬৪৫ করে তার পর ৯ ই ফেব্রু্যারি ২০১০ ই আপনি বিক্রি করতে পারবেন ৩৭৪৬ টকা করে। তাহলে লাভ হলো ৩৭৪৬-২৬৪৫=১১০১ টাকা। বিনোয়গ মাত্র ২৬৪৫ টাকা আর লাভ ১১০১ টাকা তাই লাভ ৪১% সময় সময় ৬ মাস।
এবার দেখি ২০০৮ সালে ১৮ই আগষ্ট এ কিনতে হবে ২৭৮৮ করে বিক্রি করবেন ১৬ ই অক্টোবর ২০০৯ এ ৩৩২১ করে। লাভ ৩৩২১-২৭৮৮=৫৩৩ টাকা লাভ ১৯% সময় ২ মাস
এবার ২০০৭ এ কিনেন ১৯ ই আগষ্ট কিনেন ৩৪৪৯ করে বিক্রি করেন ৫৪৯৪ করে ১৮ই মে২০০৯। লাভ ৫৪৯৪-৩৪৪৯=২০৪৫ লাভ ৫৯% সময় ১০ মাস
তো এখন বিশ্বাস হচ্ছে। যদি প্রয়োজন মেন করেন তাহলে মেইল আড্রেস দিবেন আমি আপনাকে ডাটা বা গ্রাফ দিয়ে দিবো আপনার চেক করার জন্য।

উপরে দেয়া আপনার তথ্য লক্ষ করুন। সেখানে দেখবেন এখানে অনেকগুলো যদি বিদ্যমান। তাছাড়া ঘটনা ঘটে যাবার পর এরচেয়েও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব করে আরো লাভ দেখানো সম্ভব। বাস্তবে যা ঘটেনি তার ক্ষেত্রে এমন হিসাব করা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে নিজের জ্ঞান ও বিশ্লেষণক্ষমতার উপর নির্ভর করেই কেনাবেচাটা করতে হয়। আর তা কখনোই ১০০% সঠিক হতে পারেনা।

এবার দেখুন আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন যে সত্যগুলো,

১. সেকেন্ডারী মার্কেটে কোন শেয়ারের দাম বাড়তে থাকলে বিনিয়োগকারী যদি দেখেন বিক্রয়মূল্য তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি তাহলে তাহলে তিনি তার স্টক বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন অথবা আরো দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন যেটা ঝুঁকিপূর্ণ।

২. সেকেন্ডারী মার্কেটে কোন শেয়ারের দাম পড়তে থাকলে বিনিয়োগকারী যদি দেখেন বিক্রয়মূল্য তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম তাহলে বিনিয়োগকারীকে হয় দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা কমদামে ঐ স্টক আরো ক্রয় করে তার ক্রয়মূল্যের গড় মূল্য কমাতে হবে। যেন ভবিষ্যতে ঐ স্টকের দাম বেড়ে গড় মূল্যের চেয়ে বেশি হলে তিনি তা বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।

৩. আরেকটা উপায়ে তিনি নিজের লাভ নিশ্চিত করতে পারেন সেটা হচ্ছে অন্য আরো স্টক, যেগুলোর দাম তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে বাড়তির দিকে সেগুলো বিক্রি করে এখানকার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে লাভ করা।

৪. উপরের দুই ও তিন উভয় ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে হয় তার বিনিয়োগ অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (যতক্ষণ না দাম বাড়ে) পর্যন্ত অপেক্ষা করার সামর্থ্য থাকতে হবে; অথবা ঐ স্টক আরো কেনা বা পোর্টফোলিওকে আনুভূমিক ভাবে বাড়ানোর মত আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে। বলাইবাহুল্য, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সে সামর্থ্য থাকেনা। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের এখান থেকেই প্রতিদিনের রোজগারটা করতে হত তাদের পক্ষে অপেক্ষা করা আরো কঠিন। এই পর্যায়েই তারা ক্ষতির রাস্তায় চলে যায়।

৫. সেকেন্ডারী মার্কেট কোন পণ্য বা সেবা তৈরি করেনা বলে সেখানে যে ৫% বা ১০% বিনিয়োগকারী লাভ করতে পারেন তাদের লাভের টাকাটা বাকি ৯৫% বা ৯০% এর পকেট থেকে আসে। লাভের পাল্লা তাই সবসময় খুব কমজনের দিকে ঝোঁকে - ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দিকে সাধারণত না।

আমি আগেই বলেছি আপনি কি শেয়ার ব্যবসায় জড়িত?? যদি না হন তাহলে যা জানেন না তা নিয়ে লিখে লাভ নাই। ভাসা ভাসা ভাবে কোন কিছু লেখার চাইতে না লেখাই ভালো। উপরের স্কয়ার ফার্মার এনালাইসিস থেকে কি মনে হয় এটা ম্যানিপুলেশন না আমার বানানো?
এখানে কি ঝুকি নেওয়া হয়েছে? আপনি ব্যাংকে রাখলে কতো টাকা পেতেন আর এখানে কতো পাচ্ছেন? তাই না জেনে শুধু শুধু একটা বিষয় কে খারাপ বলা ঠিক না। কেউ যদি না বুঝে বিনোয়গ করে সেটা তার দায়িত্ব। আপনি রাস্তা দিয়ে হাটার সময় দেখে শুনে হাটতে হবে। আপনি চোখ বুঝে হেটে যদি বাস চাপা পড়েন সেটা তো রাস্তার দোষ না। তাই আমি বলি বুঝে শুনে বিনোয়গ করেন। বিনোয়গ করার আগে পড়াশুনা করুন আর জানুন। তারপর আসেন বিনিয়োগ করুন।

আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি যদি ‘না’ বলি তাহলে বলবেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম আপনি এটা জানেননা, না যেনে ভাসা ভাসা ভাবে কিছু লেখার চাইতে না লেখাই ভালো”। আর আমি যদি “হ্যাঁ” বলে তাহলে আপনি কী বলবেন? আপনি অবশ্য আমার “হ্যাঁ” বা “না” বলার তোয়াক্কা করেননি। আপনি নিজেই আমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

আরেকটা ব্যাপার লক্ষনীয়। আমি ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড, মার্কেটে দোকান, ফ্ল্যাট, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ইত্যাদি ব্যবস্থায় ম্যানিপুলেশনগুলো নিয়েও বলেছি। আপনি কিন্তু সেখানে কোন উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন তোলেন নি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

pathok এর ছবি

সুতরাং আমি সেকেন্ডারী মার্কেটের ভালো দিক বলে খারাপ দিকটাকে মিনিমাইজ করবো সেটা এই পোস্টের কাজ না। এই পোস্টের পরিকল্পনা ও প্রণয়ন সম্পূর্ণ আমার। সেখানে কী লেখা উচিত ছিল সেই নির্দেশনা দেবার অধিকার কি অন্য কেউ রাখেন? আমার বক্তব্য যদি অসত্য ও ক্ষতিকারক হত তাহলে মডারেটররা এই পোস্ট সরিয়ে দিতেন।

জবাব

আপনি আবার ও ভুল বুঝলেন। আমি কি বলেছি আপনি ভালো দিক বলে খারাপ দিক মিনিমাইজ করেন। আমি বলেছি
“আপনি সেকেন্ডারী মার্কেটের খালি খারাপ দিক গুলো দেখিয়েছেন অথচ হওয়া উচতি ছিলো একটা ভালো গাইড লাইন তা না হয়ে হয়ে গেছে এক পেশে আলোচনা। আপনি বলেন তো আপনি শেয়ার মার্কেটের কয়টা ভালো দিক উল্লেখ করেছেন??যা দেখিয়েছেন সব খারাপ দিক।“
আমি আপনার লেখার বিরোধিতা করেছি এই জন্য যে আপনার লেখাটি মানুষকে একটি বিরূপ ধারনা দিচ্ছিলো শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে। আপনারা মূল লেখার সারাংশ হচ্ছে শেয়ার মার্কেট একটা ফাদ পেতে বসে আছে মানুষের না যাওয়াই উচিত। আথচ কথাটা ঠিক না।

তারপর বলেছেন এখানে ছোটো ছোটো ৯৬ ঘটানো হয়। পড়ে মনে হলো এটা আছে খালি মানুষের টাকা নেওয়ার জন্য।

জবাব

আপনি তিনটা উদাহরন দেন তো তারিখ সহ যেখানে ছোটো ছোটো ৯৬ ঘটানো হয়েছে।

আপনি কি জানেন ৯৬ এ কোন শেয়ারের দাম কতো ছিলো? হেইডেলবার্গ সিমেন্টের দাম ছিলো ২০০০০ টাকা। আর আজকে মার্কেটে দাম ২৬৩৭ টাকা। তাহলে বলেনতো এটা কি ৯৬ র দামের আশে পাশে আছে। নেই তাই আমি চেক করে দেখেছি ৯৬ র সাথে।লাগলে বলবেন ডকুমেন্ট পাঠিয়ে দিবো বা ডি এস ই লাইব্রেরী থেকে কালেক্ট করে নিতে পারেন।

তাই ৯৬ আর আসবে না কারন
1. তখন ছিলো কাগজের শেয়ার যা জাল করা সম্ভব ছিলো। আর এখন ইলেকট্রনিক শেয়ার যার রক্ষনাবেক্ষন করে CDBL যা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।
2. তখন অনলাইন লেনদেন হতো না এখন অনলাইন লেনদেন হয়। তাই যে যা খুশি তাই বিক্রি করতে পারবে না।
3. এখন সার্কিট ব্রেকার থাকে যার মানে একটা শেয়ার একদিনে সব্বোর্চ কতটুকু বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে তা এস ই সি ঠিক করে দেয় যা সরকারী প্রতিষ্ঠান।
4. আবার কোনো শেয়ার অকারনে বাড়লে তার লেনদেন ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন যেমন আছে এইমস।

5.এখন সব টাকা পয়সার লেনদেন হয় ব্যংকের মাধ্যমে তাই পরবতীতে তাকে ধরা সম্ভব যদি কোনো অপরাধ ঘটে তার দ্বারা।
সাম্প্রতিক কালে ইয়াকুব সাহেব কে জরিমানা করা হয়েছে মারিকোর শেয়ার লেনদেনে ম্যনিপুলেশন করার জন্য। এটা সম্ভব হয়েছে অনলাইন লেনদেন হওয়ার কারনে। এস ই সি তার কেনাবেচার সব ডাটা অনলাইন রেকর্ড থেকে নিয়েছে এবং সাথে আরেকজনকে ও জরিমানা করেছে। এটা কি সংকেত দিচ্ছেনা মার্কেট এ ম্যনিপুলেশন করে পার পাওয়া যাবে না?

উপরে দেয়া আপনার তথ্য লক্ষ করুন। সেখানে দেখবেন এখানে অনেকগুলো যদি বিদ্যমান। তাছাড়া ঘটনা ঘটে যাবার পর এরচেয়েও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব করে আরো লাভ দেখানো সম্ভব। বাস্তবে যা ঘটেনি তার ক্ষেত্রে এমন হিসাব করা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে নিজের জ্ঞান ও বিশ্লেষণক্ষমতার উপর নির্ভর করেই কেনাবেচাটা করতে হয়। আর তা কখনোই ১০০% সঠিক হতে পারেনা।

জবাব

অনেক গুলো যদি কোথায় বললে আলোচনার সুবিধা হতো। ম্যাথমেটিক্স এ সিরিজের ক্ষেত্রে কিন্তূ কমপক্ষে তিনটা সংখ্যা থাকে যেমন 1+2+3+......... তাই আমি যেহেতু গত তিন বৎসরের ডাটা দেখিয়েছি চাইলে আরো বেশী দেখাতে পারতাম, তাই আমরা কি গানিতিক ভাবে বলতে পারি না এটা এ বৎসর ও কাজ করবে?? আমি নিশ্চিত যে কাজ করবে কারন আমি গত ৫ বৎসরে দেখেছি এটা হয়েছে।

এবার দেখুন আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন যে সত্যগুলো,

১. সেকেন্ডারী মার্কেটে কোন শেয়ারের দাম বাড়তে থাকলে বিনিয়োগকারী যদি দেখেন বিক্রয়মূল্য তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি তাহলে তাহলে তিনি তার স্টক বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন অথবা আরো দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন যেটা ঝুঁকিপূর্ণ।

জবাব

আমি তো আগেই বলেছি টার্গেট ২০ বা ২৫% এবং দু মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে । ইতিহাস তাই বলে।

২. সেকেন্ডারী মার্কেটে কোন শেয়ারের দাম পড়তে থাকলে বিনিয়োগকারী যদি দেখেন বিক্রয়মূল্য তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম তাহলে বিনিয়োগকারীকে হয় দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা কমদামে ঐ স্টক আরো ক্রয় করে তার ক্রয়মূল্যের গড় মূল্য কমাতে হবে। যেন ভবিষ্যতে ঐ স্টকের দাম বেড়ে গড় মূল্যের চেয়ে বেশি হলে তিনি তা বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।

জবাব

এটাও আগেই বলেছি Risk Management.আপনি যেটা বললেন তা Risk Management র একটা ছোট অংশ। আরেও দক্ষ ভাবে অন্য উপায়ে Risk Mিনিমিসে করা যায়

৩. আরেকটা উপায়ে তিনি নিজের লাভ নিশ্চিত করতে পারেন সেটা হচ্ছে অন্য আরো স্টক, যেগুলোর দাম তার ক্রয়মূল্যের চেয়ে বাড়তির দিকে সেগুলো বিক্রি করে এখানকার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে লাভ করা।

জবাব

এটাকে বলে Stop-Loss Order এবং আমরা ব্যবহার করি অনেক দিন থেকেই । লিংক http://www.investopedia.com/terms/s/stop-lossorder.asp

৪. উপরের দুই ও তিন উভয় ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে হয় তার বিনিয়োগ অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (যতক্ষণ না দাম বাড়ে) পর্যন্ত অপেক্ষা করার সামর্থ্য থাকতে হবে; অথবা ঐ স্টক আরো কেনা বা পোর্টফোলিওকে আনুভূমিক ভাবে বাড়ানোর মত আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে। বলাইবাহুল্য, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সে সামর্থ্য থাকেনা। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের এখান থেকেই প্রতিদিনের রোজগারটা করতে হত তাদের পক্ষে অপেক্ষা করা আরো কঠিন। এই পর্যায়েই তারা ক্ষতির রাস্তায় চলে যায়।

জবাব

পুরুপরি ভুল বললেন ।Risk Management আরেকটা অংশ হচ্ছে Money Management এবং সেটার একটা বেসিক নিয়ম হচ্ছে
১। কখনো আপনারা সবটাকা একটা শেয়ারে বিনোয়গ করবেন না।
২। সবসময় ৫০% টাকা রাখুন ( যদি আপনি ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে ৫০ টাকা বিনোয়গ করবেন শুরুতে আর বাকি টা রাখবেন ব্যাকআপ হিসেব)
৩।পোর্টফোলিও ডাইভারসিফাই বা বহুমূখী করুন। কারন এক সাথে কখনো সব শেয়ারের দাম কমবে না বা বাড়বে ও না।

কাউকে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (যতক্ষণ না দাম বাড়ে) অপেক্ষা করতে হবে না কারন আপনি স্কয়ার ফার্মা কিনছেন রেকর্ড পরবতী দামে যা কিনা তার ঐতিহাসিক কমদামের কাছাকাছি তাই আর দাম কমার সম্ভাবনা মাত্র ৫% আর বাড়ার সম্ভাবনা ৯৫%

৫. সেকেন্ডারী মার্কেট কোন পণ্য বা সেবা তৈরি করেনা বলে সেখানে যে ৫% বা ১০% বিনিয়োগকারী লাভ করতে পারেন তাদের লাভের টাকাটা বাকি ৯৫% বা ৯০% এর পকেট থেকে আসে। লাভের পাল্লা তাই সবসময় খুব কমজনের দিকে ঝোঁকে - ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দিকে সাধারণত না।

জবাব

এখানেও একমত হতে পারলাম না। কারন সময়ের সাথে কোম্পানীর আয় বাড়ে তাই ই পি এস বাড়ে, নেট আ্যসেট ভ্যালু বাড়ে এবং শেয়ারের দাম ও বাড়ে । তাই আরেক জনকে লস দিয়েই শেয়ারের দাম বাড়াতে হবে এটা যুক্তিসংগত না। যেমন ব্যাংক গুলো আগে তাদের আয় ছিলো কম আর মা্রকেট প্রাইসো ছিলো কম। এখন আয় ও বেড়েছে মার্কেট প্রাইস ও বেড়েছে।

আরেকটা ব্যাপার লক্ষনীয়। আমি ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড, মার্কেটে দোকান, ফ্ল্যাট, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ইত্যাদি ব্যবস্থায় ম্যানিপুলেশনগুলো নিয়েও বলেছি। আপনি কিন্তু সেখানে কোন উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন তোলেন নি।

জবাব

এগুলো আমি অতো পড়ে দেখেনি আর অতো ভালো জানি ও না তাই কিছু লেখা হয়নি।

হাসিব এর ছবি

তাই ৯৬ আর আসবে না কারন
1. তখন ছিলো কাগজের শেয়ার যা জাল করা সম্ভব ছিলো। আর এখন ইলেকট্রনিক শেয়ার যার রক্ষনাবেক্ষন করে CDBL যা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।
2. তখন অনলাইন লেনদেন হতো না এখন অনলাইন লেনদেন হয়। তাই যে যা খুশি তাই বিক্রি করতে পারবে না।
3. এখন সার্কিট ব্রেকার থাকে যার মানে একটা শেয়ার একদিনে সব্বোর্চ কতটুকু বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে তা এস ই সি ঠিক করে দেয় যা সরকারী প্রতিষ্ঠান।
4. আবার কোনো শেয়ার অকারনে বাড়লে তার লেনদেন ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন যেমন আছে এইমস।

ধরে নিচ্ছি ৯৬এর সময়ে একটা বাবল হয়েছিলো এবং সেটা পরে যেকোন কারনে হোক ক্র্যাশ করেছে - ঘটনা ঠিক তো, নাকি ?

তবে এটা ঘটার সম্ভাবনা আবারো আছে । কারন -
কাগজ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর বাবল ঠেকানো গ্যারান্টি না । পৃথিবীতে উন্নত অর্থনীতিগুলোর স্টক মার্কেট বহুত আগে থেকে ডিজিটাইজড এবং তাদের কমপ্লায়ান্স রিকয়ারমেন্টও যথেষ্ট ভালো । এসব তাদের বাবল হওয়া ও সেটার ক্র্যাশ ঠেকাতে পারেনি ।
দ্বিতীয়ত, সার্কিট ব্রেকার লঙ রানে কোন কাজের জিনিস বলে প্রমানিত না । অতএব এটা থাকলে জিনিসপাতি নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কোন কারন নেই ।

হাসিব এর ছবি

আমি যেহেতু গত তিন বৎসরের ডাটা দেখিয়েছি চাইলে আরো বেশী দেখাতে পারতাম, তাই আমরা কি গানিতিক ভাবে বলতে পারি না এটা এ বৎসর ও কাজ করবে??

আন্ডারগ্র্যাড ফোরকাস্টিং মডেল হয়তো বলবে করবে । তবে একটু সফিসটিকেটেড ওয়েতে গেলে একটু ঝামেলার গন্ধ পাওয়া যাবে । স্টক মার্কেট ক্র্যাশ প্রেডিকশন এখনো কোন সলিড গ্রাউন্ড নিয়ে দাড়াতে পারেনি । বিচ্ছিন্নভাবে কিছু দাবি আছে, তবে সেটা ব্যবহার্য লেভেলে নেয়া সম্ভব হয়নি এখনো ।

pathok এর ছবি

ধরে নিচ্ছি ৯৬এর সময়ে একটা বাবল হয়েছিলো এবং সেটা পরে যেকোন কারনে হোক ক্র্যাশ করেছে - ঘটনা ঠিক তো, নাকি ?

জবাব

আপনারা নিজেদের কি মনে করেন? বেহুদা তর্ক না করলে ভালো লাগে না? আমি কোথায় লিখেছি ৯৬ হয়নি বা ঘটনা ভুল।

তবে এটা ঘটার সম্ভাবনা আবারো আছে । কারন -
কাগজ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর বাবল ঠেকানো গ্যারান্টি না । পৃথিবীতে উন্নত অর্থনীতিগুলোর স্টক মার্কেট বহুত আগে থেকে ডিজিটাইজড এবং তাদের কমপ্লায়ান্স রিকয়ারমেন্টও যথেষ্ট ভালো । এসব তাদের বাবল হওয়া ও সেটার ক্র্যাশ ঠেকাতে পারেনি ।
দ্বিতীয়ত, সার্কিট ব্রেকার লঙ রানে কোন কাজের জিনিস বলে প্রমানিত না । অতএব এটা থাকলে জিনিসপাতি নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কোন কারন নেই ।

জবাব
আপনি তো লিখেছিলেন আপনি ফিন্যান্স গ্রাজুয়েট, তো কোথায় পড়েছেন ডিজিটাল করার ফলে বাবল ঠেকানো যায়?

আমি কি বলতে চেয়েছি আর আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? একবারে না বুঝলে দুইবার পড়েন তারপর ও না বুঝলে পয়েন্ট ধরে প্রশ্ন করুন

তাই ৯৬ আর আসবে না কারন
1. তখন ছিলো কাগজের শেয়ার যা জাল করা সম্ভব ছিলো। আর এখন ইলেকট্রনিক শেয়ার যার রক্ষনাবেক্ষন করে CDBL যা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।

এখন ডিজিটাল করার ফলে আার আগের মতো জাল করা সম্ভব না। সেটা কে রক্ষনাবেক্ষন করে "সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান" তার মানে আগের ঝুকি আর নেই।

2. তখন অনলাইন লেনদেন হতো না এখন অনলাইন লেনদেন হয়। তাই যে যা খুশি তাই বিক্রি করতে পারবে না।

আগে একদিনে দাম বড়তো ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা কোনো সরকারী নিয়ন্ত্রন বা কোনো নিয়ম না থাকায়। এখন দাম ২০% র বেশী বাড়তে পারেনা। এই ২০% বাড়লেও এস ই সি query দেয় কারন কি? কেনো এই দাম বাড়লো। সোজা কথা কোনো ভ্যালিড কারন ছাড়া দাম বাড়ানো আতো সোজা না।

আপনি আবার লিখেছেন
"দ্বিতীয়ত, সার্কিট ব্রেকার লঙ রানে কোন কাজের জিনিস বলে প্রমানিত না । অতএব এটা থাকলে জিনিসপাতি নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কোন কারন নেই । "

জবাব
ধরেন একটা লোক ১০০ টাকায় একটা শেয়ার কিনলো এখন তা শেয়ারের দাম যদি বাড়ে তাহলে তিন দিনে বাড়বে ২০% করে ৬০% আর যদি কমে তাহলে ও ৬০%। তারপর ও তো ঐ লোক ৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে।

কিন্তূ ৯৬ এ কি হয়েছিলো একদিনে দাম বেড়েছে ১০০থেকে ২০০ % পড়ে কমেছে ৫০০ % ফলে ঐ লোক ৫০০০ টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হয়েছে ১০ টাকায়। এই কারনেই লোকে ফকির হয়েছে। যা এখন সম্ভব নয়।

আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা হলো আগের চাইতে নিরাপত্তা বেড়েছে অনেক গুন তাই আর ৯৬ হবে না। আপনি তা না বুঝে মাণুষদের বোঝাচ্ছেন উল্টা জিনিস।

আপনারা গ্লাস অর্ধেক খালি দেখতে ভালোবাসেন কোনো কিছুতেই পজিটিভ কিছু খুজে পান না। আপনাদের খাছে সব কিছু পারফেক্ট হতে হবে? আপনি নিজে কতটুকু পারফেক্ট?

উদ্ধৃতি

আমি যেহেতু গত তিন বৎসরের ডাটা দেখিয়েছি চাইলে আরো বেশী দেখাতে পারতাম, তাই আমরা কি গানিতিক ভাবে বলতে পারি না এটা এ বৎসর ও কাজ করবে??

"আন্ডারগ্র্যাড ফোরকাস্টিং মডেল হয়তো বলবে করবে । তবে একটু সফিসটিকেটেড ওয়েতে গেলে একটু ঝামেলার গন্ধ পাওয়া যাবে । স্টক মার্কেট ক্র্যাশ প্রেডিকশন এখনো কোন সলিড গ্রাউন্ড নিয়ে দাড়াতে পারেনি । বিচ্ছিন্নভাবে কিছু দাবি আছে, তবে সেটা ব্যবহার্য লেভেলে নেয়া সম্ভব হয়নি এখনো ।"

জবাব

আগেও বলেছি আমি বা আমরা গানিতিক মডেল বা পরিসংখ্যান ব্যবহার করি। আর গণিত তো মিথ্যা তাই না।আমার ক্ষতি হতে পারে তবে সেটা ১০% এর বেশি হবেনা। এটা পরিক্ষীতো।

একটা জিনিষ জেনে রাখুন আমি একজন Engineer এবং আমি আমার ৬ ডিজিটের চাকুরী রেখে মার্কেটে আছি আর সততা নিয়েই আছি। আমি প্রফেশনাল আর আপনাদের সাথে আলোচনা করে যা বুঝলাম আপনাদের সত্যিকার কোনো আইডিয়া নেই শেয়ার মার্কেট নিয়ে যা আছে সব বই পড়া। তাই আপনাদের সাথে আলোচনা করা আমার জন্য ঠিক না। তাই আর কোনো আলোচনা করবো না। ইচ্ছে করেই একটু কঠিন ভাবে লিখলাম কারন আপনারা সুপার নেগেটিভ। হ্য়তো এই লেখা প্রকাশ করা হবে না

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাঠক,

আমি নিজেও একটা সময় বাংলাদেশে ব্যবসা আরম্ভ করার চিন্তা করেছিলাম । অল্প পুঁজিতে ব্যবসা আরম্ভ করা যথেষ্ট কষ্টকর দেখে পরে বাদ দেই। আর যাঁরা চাকুরি করেন বা লেখাপড়ায় ব্যস্ত তাঁদের জন্য ব্যবসায়ে বেশি সময় দেয়া সম্ভব হয় না। পরে আমি শেয়ার ব্যবসায় যুক্ত হই। আর মার্কেটে লাভ নিয়ে টিকে আছি প্রায় ছয় বছর।


আমার ক্ষতি হতে পারে তবে সেটা ১০% এর বেশি হবেনা। এটা পরিক্ষিত।

আমার ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে।

আর লাভ করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি।

শেয়ারবাজারে যাঁরা হুজুগে ঢোকেন বা অল্প সময়ে পুঁজি খাটিয়ে বেশি লাভের চিন্তা করেন তাঁদের জন্য পকেটকাটার অর্থনীতি অবশ্যই।

শেয়ারব্যবসা একটা ব্যবসা। ব্যবসা করলে ক্ষতি থাকবেই।

আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট দেন। পড়ি।

কঠিন কথা বলার দরকার কী। সহজভাবেই না হয় বলি। হাসি

----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লক্ষ করেছেন একই প্রতারকচক্র বার বার নাম পালটে বাজারে আসছে! এদের মত ছোট-বড় আরো অনেক প্রতারকচক্র সক্রিয় আছে। এদেরকে গোড়াতেই ধরে ফেলার মত কোন উপায় সম্ভবত প্রশাসনের হাতে নেই। প্রতারিত মানুষদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হতেও দেখিনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।