বর্তমান সরকার (২০০৯ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়ার কাছ থেকে আমরা যুদ্ধাপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট অল্প কয়েকজন মানুষের নামের তালিকা পাই। কমিশনের তৎপরতা, মিডিয়ার খবর, সরকার পক্ষের লোকজনের ভাষ্য থেকে মোটামুটি মনে হয় এই কয়েকজনই কেবল যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী (তাও আদালতে প্রমাণসাপেক্ষ)। তাঁদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে মনে হয় দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটি হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের বাইরে শুধু বর্তমান বিএনপির সদস্য সালাহ্উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম শোনা যায়।
কেবলমাত্র আলোচিত তালিকাভূক্ত অল্প কিছু ব্যক্তি ও দল হিসাবে শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কারা কারা এদেশের মানুষকে হত্যা করেছে; কারা নির্যাতন চালিয়েছে; কারা লুট-পাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষন করেছে; কারা বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করেছে; কারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে এব্যাপারে যদি খোঁজ নেই তাহলে যাদের সন্ধান পাওয়া যায় তারা হচ্ছেঃ
(ক) পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীসমূহঃ
১. বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী (সেনা, বিমান ও নৌ) (যারা বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন তারা ছাড়া)
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তান পুলিশ বাহিনী (যারা বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন তারা ছাড়া)
৩. ইপিআর বাহিনী (যারা বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন তারা ছাড়া)
৪. বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (যারা বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন তারা ছাড়া)
বর্তমান সরকারের এই বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বাদ দেয়া হয়েছে। কারণটি কৌশলগত। কিন্তু এতে যদি কখনো বাকি সবার বিচার করা হয়ও, তাহলে তখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে বলা যাবেনা। তাই ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিচারের পথটিও খোলা রাখা দরকার। এই সব বাহিনীর যারা বাঙালী ও বাংলাদেশে বাস করে তাদের চিহ্নিত করা ও বিচার করাটাও জরুরী। এটি না করায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে বারে বারে “মুক্তিযোদ্ধা নিধণ” হয়েছে।
(খ) পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগী বাহিনীসমূহঃ
১. রাজাকার
২. আল-বদর
৩. আল-শামস্
৪. শান্তি কমিটি
এরা হচ্ছে জেনে বুঝে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বনকারী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করার দল। এদের সবাইকে চিহ্নিত করা ও বিচারের মুখোমুখি করা অত্যাবশকীয়। আজ এরা নানা দলে ঢুকে পড়েছে বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। তাদের আজকের অবস্থান যাই হোক মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য এদের বিচার হতে হবে। এদের মধ্যে জামায়াতসংশ্লিষ্টদের কারো কারো নাম শোনা গেলেও জেলা-থানা-ইউনিয়ন পর্যায়ে আরো অনেক ঘাতক-দালাল রয়ে গেছে। তাদের কাউকেই ছাড় দেবার উপায় নেই।
(গ) বেসামরিক পক্ষসমূহঃ
১. পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করা বেসামরিক প্রশাসনের সদস্যরা
২. যারা বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে
৩. বিহারী বা ভারত থেকে আগত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর একাংশ
৪. মালিক মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ
৫. ১৯৭১-এর উপনির্বাচনের প্রার্থীরা
৬. ১৯৭১-এ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংঘ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিরা
এই গ্রুপের ব্যাপারে কোন কথাই আর আজকাল উচ্চারিত হয় না। অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এরা পাকিস্তানীদের বড় সহযোগী ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের চিহ্নিত করা ও তাদের ধরিয়ে দেবার ব্যাপারে এদের ভূমিকা কুখ্যাত হয়ে আছে। বেসামরিক প্রসাশনে মিশে যাওয়া পাকিস্তানপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশকে একটু একটু করে “মিনি পাকিস্তান” বানানোর মিশন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজকের জেনেভা ক্যাম্পে লুকিয়ে থাকা বুড়ো ঘাতকের দল এখনো পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর। এদের কৃত পাপের যথাযোগ্য বিচারের কথা আলোচনায় আসা দরকার। বাকীরা সবার সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে তাদের খুঁজে বের করা দুরূহ। তবু ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই গ্রুপের শেষ দলটি বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের সক্রিয় সহযোগী। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, বুদ্ধিজীবি হত্যা শুধু ঢাকাতে বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সারা দেশ জুড়েই দেশের কৃতি সন্তানদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা দেশে ছিলেন তাঁদের মধ্যে কম জনই সৌভাগ্যক্রমে বাঁচতে পেরেছেন।
(ঘ) রাজনৈতিক দলসমূহঃ
১. জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘ
২. মুসলিম লীগের সকল ফ্যাকশন ও মুসলিম ছাত্রলীগ
৩. নেজামে ইসলাম
৪. কৃষক-শ্রমিক পার্টি (এ এস এম সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন)
৫. খেলাফত আন্দোলন
৬. জামেয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম
৭. পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি
৮. এন এস এফ
৯. পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (এম এল) (হক-মতিন-তোয়াহা-আলাউদ্দিন)
১০. ১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী ভোল পালটানো প্রাদেশিক পরিষদ ও গণপরিষদ সদস্যরা
এই গ্রুপের মধ্যে শুধু জামায়াতে ইসলামী আর ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘের নাম আলোচনায় আসে। বাকি দলগুলোর কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিছু নামসর্বস্ব হয়ে টিকে আছে। এদের অনেকেই গত চল্লিশ বছরে অন্য সব দল থেকে মন্ত্রী-এমপি হয়েছে। এরা যে আসলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল সে কথা আজ অনেকেই জানেন না। এখনকার বড় দলগুলোর অনেকগুলোতেই তাদের সদম্ভ পদচারণা আছে। বড় দলগুলো কেউ কেউ প্রায়ই যে দেশবিরোধী সব অবস্থান নেয় তার পিছনে এদের অবদান ব্যাপক।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে প্রক্রিয়াতে ও গতিতে চলছে তাতে আমরা নিশ্চিত না কবে এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে বা কী ধরনের বিচার আমরা পাবো। বিচার যাই হোক যুদ্ধাপরাধীদের দল-অবস্থান নির্বিশেষে চিহ্নিত করে তাদের কুকর্মের বয়ান ও প্রমাণ সবার সামনে তুলে ধরা জরুরী। তাতে কোনো কারণে সঠিক বিচার না হলে বা আদৌ বিচার না হলেও দেশের মানুষের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃনিত পরিচয় প্রকাশিত হবে।
ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে যুদ্ধাপরাধীদের কৃতকর্মের তথ্য-প্রমাণ নিয়ে একটি যাদুঘর আছে। আমাদের দেশেও অমন একটা যাদুঘর বানানো দরকার। যাতে যারা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বিসর্জন দেয়, তারা ভবিষ্যতে অমন কিছু করার আগে এক বার অন্তত ভাবে, নিজে দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে অমন যাদুঘরে ঠাঁই পেলে তার ভবিষ্যত প্রজন্ম কী পরিচয়ে পরিচিত হবে।
পাদটীকাঃ উপরের তালিকায় কোন দল বা গ্রুপের উল্লেখ না থাকলে সেটি মন্তব্যের ঘরে জানানোর অনুরোধ করছি। যাতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যায়।
মন্তব্য
লেখার ফরম্যাটিং-এর অবস্থা যা-তা। রিচ টেক্সট এডিটর আয়ত্বে আনতে না পারার দরুন এটা হয়েছে, এটা আমার ব্যর্থতা। পাঠকের চোখের উপর এই অযাচিত চাপ প্রদানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাঁচ তারা জানিয়ে গেলাম।
ভোলা যাবেনা, ভুলতে দেয়া যাবে না।
বর্তমান সরকারের মনে হয় এত কিছু ভেবে বিচার করার কোন চিন্তা নেই। ওদের পরবতী মেয়াদে আবার কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় এবং এর জন্য যা করা দরকার তাই করবে । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেকটা রাজনৈতিক বিচার হয়ে যাচ্ছে ।
বিষয়গুলো আগে নিজেদের বুঝতে হবে, তথ্যগুলোও জানতে হবে। নয়তো কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে ভুল করলে বা ভুল পথে গেলে সেটা ধরিয়ে দেবার কেউ থাকবে না। তাছাড়া বিষয়গুলো নিজেরা জানলে এক ধরনের সামাজিক প্রতিরোধ তৈরি হবে - সেটা জরুরী। এই পোস্টের উদ্দেশ্য সেগুলো। বিদ্যমান বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগেভাগে কোন মন্তব্য না করাটা ঠিক হবে। হতাশা ছড়ানোর লোকজন আশেপাশেই আছে, তাদের উদ্দেশ্যটাও স্পষ্ট।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রথমেই সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সচলায়তনের"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য"-এর বানানটির প্রতি। "শূণ্য" না হয়ে "শূন্য" হবে।
আপনার তালিকায় আরো কিছু সংযোজনের আছে। যেমন, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল), ন্যাপ ভাসানীর কতিপয় নেতা যেমন, জানোয়ার জাহিদ, মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া ইত্যাদি।
আদতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে একটি বিষয় মনে রাখা উচিত যে, এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর। ইতোমধ্যে প্রতিবিপ্লবীরা ক্ষমতায় এসে বহুকিছু নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা যদি পূর্ণাঙ্গ বিচারের পথে যেতে চাই তবে সুদূরপ্রসারী একটি অবস্থান থেকে বিচারের পথে এগুতে হবে। তাতে সময় যা লাগে লাগুক। কোনো অন্যায় যেন বিনা বিচারে না যায়।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গী সঠিক।
ধন্যবাদ।
আপনি ব্যানার দেখতে পাচ্ছেন নাকি? আমি তো Firefox 3.6.12-এ কোন ব্যানার দেখতে পাচ্ছিনা।
আপনার সংযোজনের ব্যাপারে আমার ভাষ্যঃ
১. পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টিঃ এটা যদি সিরাজ সিকদারের গ্রুপ বুঝিয়ে থাকেন তাহলে এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা - বিশেষতঃ মুজিব বাহিনীর সাথে এদের সংঘর্ষ হলেও এরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল না।
২. পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল)ঃ যত দূর জানি, এদের নাম তখন পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) ছিল। আমার তালিকায় এদের নাম আছে, দেখুন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এদের একটা বড় অংশ দলের নাম থেকে পাকিস্তান বাদ দেয় নাই। এই পার্টির একাংশ এখন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল) নামে পরিচিত।
৩. আনোয়ার জাহিদ - মশিয়ুর রহমান যাদুমিয়াঃ ন্যাপের কোন অংশ দলগতভাবে পাকিস্তানের সমর্থন করে নাই। বরং মুক্তিযোদ্ধাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ন্যাপের কর্মী-সমর্থক ছিলেন। মশিয়ুর রহমান যাদুমিয়ারা ব্যক্তি পর্যায়ে বা ছোট গ্রুপ ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল - এর জন্য ন্যাপ দায়ী নয়। এমন ব্যক্তি বা গ্রুপ পর্যায়ে পাকিস্তানের পক্ষে খন্দকার মোস্তাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, কাজী জহিরুল কাইয়ুমের মত আওয়ামী লীগের নেতারাও ছিল - কিন্তু তাতে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা যাবে না।
আপনার বক্তব্যের শেষ অনুচ্ছেদের সাথে সহমত। বিষয়টা সুদূরপ্রসারী অবস্থান থেকে দেখতে হবে, ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমিও ব্যানার দেখতে পাই না! ব্যাপার কি?
প্রথমেই সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সচলায়তনের"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য"-এর বানানটির প্রতি। "শূণ্য" না হয়ে "শূন্য" হবে।
আপনার তালিকায় আরো কিছু সংযোজনের আছে। যেমন, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল), ন্যাপ ভাসানীর কতিপয় নেতা যেমন, জানোয়ার জাহিদ, মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া ইত্যাদি।
আদতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে একটি বিষয় মনে রাখা উচিত যে, এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর। ইতোমধ্যে প্রতিবিপ্লবীরা ক্ষমতায় এসে বহুকিছু নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা যদি পূর্ণাঙ্গ বিচারের পথে যেতে চাই তবে সুদূরপ্রসারী একটি অবস্থান থেকে বিচারের পথে এগুতে হবে। তাতে সময় যা লাগে লাগুক। কোনো অন্যায় যেন বিনা বিচারে না যায়।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গী সঠিক।
ধন্যবাদ।
প্রিয় পোস্ট এর তালিকায় যোগ করলাম।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের দলের সমস্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে দেয়া এবং তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া। যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বা পুনর্বাসনকারী কি যুদ্ধাপরাধী দলের লিষ্টে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনা? এটা বিবেচনা করার দাবী রইলো।
সাকা হাই প্রোফাইল রাজাকার হওয়ার কারনে তার নাম সামনে চলে আসে। তবে অনেক মিডিয়াম বা লো প্রোফাইলের যুদ্ধাপরাধী কিন্তু দলগুলোর মধ্যে ঘাপটি মেরে পড়ে আছে।
রাতঃস্মরণীয়
যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পুনর্বাসনকারীদের জন্য আপাততঃ ঘৃনা আর প্রত্যাখ্যান বরাদ্দ রাখুন। তাদের আচরণ কোন মাত্রায় অপরাধ সেটা জাতীয় সংসদকে ঠিক করতে দিন।
হাই-লো সব প্রফাইলের অপরাধীকে চিহ্নিত ও বিচারের সন্মূখীন করতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠ পাণ্ডব ভাই, যুদ্ধাপরাধীর খাত এতো বাড়ালে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে না?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রশ্নটা হচ্ছে, "এই লোকটা বা দলটা কি যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল"? উত্তর যদি "হ্যাঁ" হয় তাহলে তারই বিচার হতে হবে; এতে খাত বাড়ুক আর কমুক।
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখতে পাচ্ছিনা। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। তাই এটা মুক্তিযুদ্ধ হতে পেরেছে, আমরা যুদ্ধে জিততে পেরেছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এর সাথে আরেকটু যোগ করি। গাঁ বাঁচাতেই ঠগ বাছতে হবে। না হলে ঠগ তার বাটপাড়ি তত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পাকিপ্রীতি, অফিস আদালতে নুরানী দাঁড়িসমৃদ্ধ দূর্নীতিবাজ, ধর্মের নামে বাংলাভাই - সবই ঠগের অবদান। ঠগকে ছেড়ে দিলেই সে নন্দগোপাল হয়ে যাবে না; বরং আরো কিছু লোককেও ঠগবাজি শেখাবে। অর্থাৎ ঠগের যথাযথ বিচার হওয়াটা শুধু অতীত অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত নয়; বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বার্থে আরো বেশি জরুরী।
এই প্রশ্নটা তুলেছিলাম এ কারণে যে, কেউ কেউ অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করে তিক্ততা বাড়িয়ে জাতির মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির কথিত আশঙ্কা থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিরোধিতা করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একদম সহমত।
এটা করতে পারলে "অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে জাতিকে বিভক্ত করা"র থিয়োরী দেনেওয়ালা ছাগুদের চেনা সহজ হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যে কোন মূল্যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। হোক তা যতই সুদূর প্রসারী। হোক তা ৩৮ বছর পরে উত্থাপিত। এখন যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে, বিচারের পদ্ধতি নিয়ে কথা হচ্ছে, দেশ বিভক্তির ভয় দেখানো হচ্ছে। এ সবই স্রেফ চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরণের লেখার মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরূদ্ধে যত চক্রান্ত তা নস্যাত করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বহু যুদ্ধাপরাধীকে বহু বছর পরেও বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এদের শাস্তি পেতেই হবে।
যু্দ্ধাপরাধ কী, সেটা নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো হতো। হয়তো আলাদা একটা পোস্টও আসতে পারে তা নিয়ে।
আপাতদৃষ্টিতে, উল্লিখিত সবগুলো কর্মকাণ্ডই যুদ্ধাপরাধ বলে প্রতীয়মান হয়, শুধু শেষ দুটো ছাড়া। একজন বাংলাদেশী নাগরিকের "বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করা" এবং "মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা" দেশদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য হতে পারে; সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট আইন, নির্দিষ্ট শাস্তি নিশ্চয় আছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ সেটাকে বলা যায় কি, যদি না এই দুটো কর্ম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাকি কর্মগুলোকে প্ররোচিত করে থাকে?
লেখার বাকিটা নিয়ে মন্তব্য: ঠিকআছে।
বরফ
"আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধ কী?" এমন পোস্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এটা আমাকেই লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। বিষয়টা আমাদের সবার, তাই আপনিও এটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে পারেন।
"বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করা" আর "মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা" এখনকার প্রেক্ষিতে দেশদ্রোহিতা; কিন্তু ১৯৭১ সালের প্রেক্ষিতে এগুলো যুদ্ধাপরাধ। কারণ, এখন দেশে কোনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে না, এবং আমরা এই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধ (সশস্ত্র সংগ্রাম অর্থে) করছি না। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সুতরাং এই মুহূর্তে বাংলাদেশ রাষ্ট্র, তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, তার অস্তিত্ত্বের বিরুদ্ধে কোন কাজ করা দেশদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা মানে হচ্ছে বাংলাদেশ-ধারনা, বাংলাদেশের মানুষ ও তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে সক্রিয় সহযোগিতা করা বা নৈতিক সমর্থন প্রদান করা। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে সক্রিয় সহযোগিতা করা কোন দ্বিধা ছাড়াই যুদ্ধাপরাধ। আর তাদেরকে নৈতিক সমর্থন করার মানে হচ্ছে বাংলাদেশ-ধারনাটিকে প্রত্যাখ্যান করা, বাংলাদেশে চালানো গণহত্যা, হামলা-জখম, লুটপাট, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদিকে সমর্থন করা। তখন পাকিস্তানীরা বহির্বিশ্বে এই প্রচারণা চালাচ্ছিল যে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক অবস্থা আছে ও সেখানে গণহত্যা বা এই ধরনের কিছু হয়নি। পাকিস্তানের নৈতিক সমর্থনকারীরা এই অপপ্রচারের সহযোগী। এতে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী, হামলাকারী, দুর্বৃত্ত হিসাবে চিহ্নিত করা ও এজন্য তাদের বিচার করার পথ তৈরি করা হয়েছিল। এই ধরনের নৈতিক (আসলে অনৈতিক) সমর্থন কেউ মনে মনে রেখে থাকলে কিছু করার নেই। তবে তার ভিত্তিতে যারা বাঙালীদের ধরিয়ে দিয়েছে, বুদ্ধিজীবিদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানীদের আশ্রয়-খাবার যুগিয়েছে, পত্র-পত্রিকায় লিখেছে, রেডিও-টিভিতে অনুষ্ঠান করেছে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী ভিন্ন অন্য কিছু বলার উপায় নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রথমত:
বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে ২৬শে মার্চ, আর একটা সরকার গঠন করে ১৭ই এপ্রিল। অন্তত:পক্ষে, সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকান্ডগুলো দেশদ্রোহীতার সংজ্ঞায় পড়তে পারে। দেশদ্রোহীতা আইনের সংজ্ঞায় কি বলা আছে যে ৭২-এর আগে সেই আইন প্রযোজ্য না?
দ্বিতীয়ত:
অাসলেই কি তাই? আইন কি তা বলে?
আমার সীমিত জ্ঞানে * যেটুকু বুঝি, যুদ্ধের কিছু নিয়ম আছে, কিছু বিধিনিষেধ আছে। ইচ্ছা করলেই একজন সৈন্য বেসামরিক কাউকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারে না। ইচ্ছা করলেই আবাসিক এলাকায় দুটা সৈন্যবাহিনী যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারে না। একজন আহত সৈনিককে হত্যা বা আরো আঘাত করতে পারে না। সৈন্যবাহিনী রাসায়নিক, জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা যায় না। আত্নসমর্পণকারী একজন সৈন্যকে গুলি করতে পারে না। কিছু লোক বাধা দিয়েছিল বলে (রেজিস্ট্যান্স তৈরি করা অর্থে) পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিতে পারে না। একজন বেসামরিক লোককে আর্মি ধরে নিয়ে বিচার করে শাস্তি দিতে পারে না, যেহেতু বেসামরিক লোকের জন্য বেসামরিক নিয়মিত আদালত প্রযোজ্য। কাউকে (যেমন বিপক্ষ সৈন্য) আটক করে টর্চার করতে পারে না। এই কর্মগুলো সাধারণভাবে যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞায় পড়ে।
আপনি যা বলেছেন, নৈতিক বিবেচনায় সেটা অন্যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন কি বলে? বাংলাদেশের আইন কি বলে?
পাকিস্তান কিন্তু জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী। সেই হিসাবে ঐ সময়ের অপরাধের বিচার জেনেভা কনভেনশন মোতাবেক করা যেতে পারে।
আমি লেখক নই; পাঠক হিসেবে, মন্তব্যকারী হিসেবে পাবেন কথা দিচ্ছি।
* এই বিষয়গুলো বিভিন্ন যুদ্ধের খবর পড়তে গিয়ে বা নেটে ঘাটাঘাটি করে জেনেছি। খুব সঠিক ডেফিনিশন দিতে পারব না।
আপনার এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনাটা "যুদ্ধাপরাধ" সংক্রান্ত কোন পোস্টে চালাতে পারলে ভালো হত। তাতে মূল পোস্টে করা আমার আবেদনটা রক্ষিত হতো, আলোচনাও শাখা-বিষয়ে প্রবাহিত হতো না।যাকগে, আমি আমার অবস্থান সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছি।
১. ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা ও ১৭ই এপ্রিল সরকার গঠিত হলেও মুক্তিযুদ্ধ অফিসিয়ালী শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী, বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার সাথে সাথে। তাই ঐ সময়কার কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিচার করতে হবে - সাধারণ ফৌজদারী দণ্ডবিধিতে না।
২. ১৯৭১ সালের ঘটনাবলীতে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের আগে 'যুদ্ধ' আর 'মুক্তিযুদ্ধ'র পার্থক্যটা বুঝুন। এখানে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধায়নি (যেমনটা ভারত আর পাকিস্তান মোট চার বার বাঁধিয়েছে)। এখানে পাকিস্তান হানাদার ও দখলদার; আর বাংলাদেশ মুক্তিকামী। তাছাড়া আন্তর্জাতিক আইনের সুশীল ধারা মেনে দুনিয়ার কোথায় যুদ্ধ হয়েছে বা হচ্ছে বলতে পারেন? পাকিস্তান কি এসব সুশীল ধারা মেনে বাংলাদেশ আক্রমণ করেছিল?
৩. পাকিস্তান ১৯৭১ সালে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চাওয়ার একটা বড় কারণ ছিল বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশনে তখনও সই করেনি বলে। অতীতের ঘটনাবলী অতীতের প্রেক্ষিতেই বিচার করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের প্রাপ্য (১৯৭১ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৪০,০০০,০০০,০০০ পাকিস্তানী রূপী) ক্ষতিপূরণ না দিয়ে, ৪০ বছর ধরে কয়েক লাখ পাকিস্তানীকে বাংলাদেশের জেনেভা ক্যাম্পে ফেলে রেখে, সরকারীভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা না করে পাকিস্তান কোন আন্তর্জাতিক আইনটা মেনেছে?
আপনার কাছ থেকে এসবের উত্তর জানতে চাচ্ছিনা, কারন উত্তরগুলো আমরা সবাই জানি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, সরাসরি প্রিয়তে নিলাম, অনেক কাজে লাগবে এই পোস্টটা। আরেকটা পোস্ট লেখার জন্যে আবদার রেখে যাচ্ছি আপনার দরবারে। বিষয় - রাজাকার, একটা ডেডিকেটেড পোস্ট, কেন এবং কিভাবে ঠিক করা হবে কে কে রাজাকার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
'রাজাকার' বলতে আপনি কি কেবল 'রাজাকার বাহিনী'কে বোঝাচ্ছেন? নাকি রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি সবাইকে বোঝাচ্ছেন? এরা কেউ কিন্তু কারো চেয়ে কম যায় না। নামে কেবল হেরফের, আসল কাজে একই গোত্রের। এই ইস্যুতে লেখার কথা মাথায় রাখবো।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর উপরে 'বরফ'কে দেয়া জবাবে হয়ে যাবার কথা। এরপর আরো জিজ্ঞাস্য থাকলে নির্দ্বিধায় জানান, উত্তর দেবার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, বরফ কে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর থেকে আমার ২য় প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি, সমস্যা হল, কিছু লোকজন দেখা যাচ্ছে ফাঁক খুজে বের করার চেষ্টা করছেন, গা থেকে রাজাকার বা রাজাকার বাহিনীর গন্ধ দূর করার। তারা তাই এসব প্রশ্নের অবতারণা করেন। যেখানে দেশের মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিরূদ্ধে চিন্তা করাটাই দেশদ্রোহীতা, সেখানে এসব প্রশ্ন কেন আসে আমি তাই বুঝে পাইনা। দেশের বিরূদ্ধে কিছু করে তার প্রমাণ দিতে হবে কেন এটা বুঝিনা, দেশের বিরূদ্ধে চিন্তা করছে কেউ, বলা যায়না সুযোগ পেলে হয়তো কামড় দিতেও দ্বিধা করত না।
আর প্রথম অংশের ব্যাপারে বলব বস, রাজাকার, রাজাকার চেতনা, রাজাকার বাহিনী ৩টা ব্যাপারই একটু পরিষ্কার করে সবার সামনে তুলে ধরা দরকার, সেই সাথে বিষদ আলোচনার দরকার আছে। আমার সীমিত জ্ঞানের কারণে এসব নিয়ে লিখতে পারিনা, তাই আপনাদের শরণাপন্ন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা শুরু হয়ে প্রথম কয়েকজনের শাস্তিটা কার্যকর হতে দিন শুধু; দেখবেন এইসব বর্ণচোরা রাজাকার আর ছাগুপোনাদের কী অবস্থা হয়। আশায় বুক বাঁধুন, হতাশ হবেন না। হতাশা আগেও ছড়ানো হয়েছে। ১৯৭১ সালেও বহু কাপ্তান-মৌলানা-বিদ্যাদিগ্গজেরা নানা রকম হিসেব করে দেখিয়েছিলো মুক্তিবাহিনীদের পক্ষে কেন জয় লাভ করা সম্ভব হবে না। বাস্তবে কী হয়েছে তাতো দেখতেই পাচ্ছেন।
রাজাকার, রাজাকার চেতনা, রাজাকার বাহিনী-এগুলো নিয়ে অনেক লেখা কিন্তু অলরেডি সচলায়তনসহ বিভিন্ন ব্লগে আছে। একদিন সময় করে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন। নুরুজ্জামান মানিক, অমি রহমান পিয়ালের মতো কিছু মানুষ এগুলো নিয়ে দিনরাত কাজ করছেন, সেগুলোর আউটপুটও ব্লগে দিচ্ছেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
@ সাইফ তাহসিন,
আমার ২০০৮-০৭-১৩ তারিখে প্রকাশিত পোস্ট দেখুন -তুই রাজাকার
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। মন্তব্যগুলাও সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
"মুক্তিযুদ্ধ কি ?" এর পরে আবারো যথারীতি তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট। ধন্যবাদ পান্ডবদা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। ধন্যবাদ ষষ্ঠপান্ডব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ পোষ্ট পান্ডব'দা। স্যালুট!
ঠগ বাছতে গা উজাড় হবে কিনা জানি না, তবে শুনেছি দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল নাকি অনেক ভালো।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি অর্থ-ক্ষমতা-প্রতিপত্তি-অস্ত্র ইত্যাদিতে শক্তিশালী হতে পারে তবে সংখ্যায় নয়। গোয়ালও শূন্য হবে না, দুষ্ট গরুকে চিহ্নিত করে হাইল্যা পাঁচন মারার ব্যবস্থা করুন - দেখবেন সব ঠিক আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পোস্টটা আরো একটু বিস্তৃত হতে পারতো। আইনের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধী আসলে কারা এই দিকটা আসতে পারতো। সেইসাথে সাধারণ ক্ষমা ইত্যাদির মিথ খন্ডন।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এই পোস্টটা এই পরিসরেই রাখতে চেয়েছিলাম। যাতে যুদ্ধাপরাধী কারা সেটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছাড়াই সবার বোধগম্য হয়। "যুদ্ধাপরাধ" বিষয়টিকে আইনের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করার জন্য ভিন্ন পোস্টের পরিকল্পনা আছে। সাধারণ ক্ষমার মিথটা খণ্ডন করা নিয়ে অনেক পোস্ট আছে। তবে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সেটা নিয়ে আবার লেখা যায়ই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাসনীম ভাইয়ের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, এটি একটি সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমাদের সবার এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা ও সুদূরপ্রসারী ভাবনা থাকা উচিত যা জাতির ভবিষ্য আঙ্গিনায় সুফল বয়ে আনবে। সেইসাথে এর খুঁটিনাটি দিকগুলো আরো খতিয়ে দেখতে হবে, দ্রুততায় ও চুলচেরা সুক্ষ্ণতায়।
ধন্যবাদ ষষ্ঠপান্ডব দা।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব জরুরি পোষ্ট--সরাসরি প্রিয়তে চলে গেল।
পান্ডব'দা আপনাকে স্যালুট!
এটা একটা জোরালো দাবী হতে পারে। রাজাকার যাদুঘরের দাবী জানিয়ে গেলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুণ!! এরকম লেখা চোখে পরানোর জন্য ধন্যবাদ কুমার।
নতুন মন্তব্য করুন