মুখের ভেতরটা তেতো হয়েছিলো সকাল থেকেই। বর্তমান নিবাস থেকে পুরনো শহরে মায়ের কাছে যাবার সময় রাস্তায় লম্বা জ্যামে পড়তে হল। রাস্তা খুঁড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিরক্ত হয়ে বাসে বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। মায়ের বাসা থেকে সন্ধ্যায় বেরোবার সময়ও দেখি ভাগ্য সহায় নয় - গলির মোড়ে একটাও রিক্শা নেই। রিক্শা সব গেল কোথায়? একটু আগাতে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল - মূল রাস্তায় ভীড় বাড়তে বাড়তে যোগাযোগ ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এত ভীড় কেন? আচ্ছা, ভীড়তো হবারই কথা - আজ মহাঅষ্টমী না! সকালে কুমারী পূজা দেখতে রামকৃষ্ণ মিশনে যাবার কথা মনে না থাকায় আফসোস্ হল।
সন্ধ্যা আরতির সময় তখনো পেরিয়ে যায়নি, সুতরাং আফসোস্ কমানোর একটা উপায় করার জন্য একটু ছুট লাগালাম। তোলারাম কলেজের মোড় থেকে রাস্তায় ভীড় ক্রমে বাড়তে লাগলো। মিষ্টির দোকানগুলোতে ক্রেতার ভীড়। এই এলাকার সবগুলো মিষ্টির দোকানের সারনেম কেন যেন ‘মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ রাখা হয়েছে। ত্রিনাথের দোকানে ময়রারা দুহাতে লাড্ডু বানাচ্ছে, লোকনাথের দোকানে পিতলের থালা ভর্তি লাড্ডু নিমিষে উজার হয়ে যাচ্ছে, আর ‘আদর্শ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে’ মাছি ঢোকার উপায় নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুলিশের জীপ রাস্তার একপাশ দখল করে রেখেছে, সাথে কালো পোশাকের এলিট ফোর্সও আছে। পূজা মণ্ডপের বাইরে বাঁশ বেঁধে লাঠি হাতে স্বেচ্ছাসেবকের দল শৃঙ্খলা রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। চারদিকে সুবেশী নারী-পুরুষ, বাতাসে শারদীয় উৎসবের সুবাস।
বিশ-পঁচিশ বছর আগেকার মহাঅষ্টমীর রাতগুলোর কথা মনে হতে আমার আর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করলোনা। আমি জানি আজ আর সে উপায় নেই। আমাকে ঘরে ফিরতেই হবে। বন্ধু-বান্ধবের সাথে ফূর্তি করে সারা রাত বাইরে কাটালে কাল সকালে কর্পোরেট দাসত্বে হাজিরা দেয়া যাবেনা। তবু হিস্পানীদের ‘তাপাস ক্রলের’ মতো রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ক্রমশঃ একের পর এক পূজা মণ্ডপে হাজিরা দিতে থাকি। পূজা মণ্ডপের ধারে-কাছে কোনো পরিচিত মুখ দেখলেই অন্ধকারে গা ঢাকা দেই, শুধু মঞ্চে আসীন পরিবার-পরিজন বেষ্টিত দশভূজাকে দূর থেকে জানান দেই আমি এসেছি, আমি তোমাকে ভুলে যাইনি।
কালীর বাজারের পূজা মণ্ডপগুলো সযত্নে এড়িয়ে যাই, কারণ “ও গাঁয়ে আমার কোন ঘর বাড়ি নেই”, ছিলওনা কোনদিন। তবে হতে পারতো, যদি একবার রায়নন্দিনীকে মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারতাম, অথবা সে যদি আমাকে বলতো। কালীর বাজারের মোড়ের মিষ্টির দোকানটাতে শহরের সেরা ‘পূজা স্পেশাল’ বানালেও এখন আর সেখানে যাইনা শুধুমাত্র দোকানের নামটা রায়নন্দিনীর নামে তাই।
দুই যুগ আগে এক মহাঅষ্টমীর রাতে সুযোগ এসেছিল সেকথা বলার। সেদিন সকালে কুমারী পূজা দিতে যাওয়া গরদের শাড়িপরা সদ্যস্নাতা রায়নন্দিনীকে দেখে মনে হয়েছিল ‘আজ সেই দিন, আজ বলতেই হবে’। মায়ের কৃপাপ্রার্থী পূজারীরা প্রতিমাসম কুমারীর মাঝে কী দেখেছিলেন আমি জানি না তবে রায়নন্দিনীর স্নিগ্ধ চাহনীতে আমি কৃপালাভের সম্ভাবনা দেখেছিলাম। মনে মনে বলেছিলাম, ‘হ্যাঁ, আজ, আজই সেই দিন’। তখনো আমার গলা দিয়ে কারণবারি নামেনি, নীলচে কোনো ধোঁয়া আমাকে সঙ্গীতের রঙ দেখায়নি, তবু সেদিন সারা দিন আমি মাতালের মতো দিকশূন্য-জ্ঞানশূন্য হয়ে ছিলাম। অমৃত নাকি হলালল শুষে নেবার জন্য আমার দু’ঠোঁট বার বার শুকিয়ে উঠছিল। রায়নন্দিনীর কাছে পৌঁছানোর জন্য কীভাবে মওকা মিলতে পারে মাথায় শুধু সে চিন্তা ঘুরছিল।
কালীর বাজারে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ডজনখানেক হলেও সে রাতে আমাকে কোনটাতে যেতে হবে সেটা জানতাম। সেখানটায় মণ্ডপের সাজ কেমন হবে জানতাম, দমবন্ধ করা ভীড় হবে জানতাম, কার কার দেখা মিলবে সেটাও জানতাম। সেসময় পূজায় আজকের দিনের মতো মণ্ডপ সাজানোতে বাণিজ্যিক ঠাঁট-বাট ছিলনা; পাড়ার ছেলেমেয়েদের নান্দনিক জ্ঞান প্রকাশের সুযোগ ছিল সেখানে। বিশাল সাউন্ড সিস্টেমে কান ফাটানো গান ছিলনা; মাইকে চণ্ডীপাঠের সাথে কোলকাতা থেকে বের হওয়া পূজার গানের ক্যাসেট বাজতো। লেজার লাইটের ব্যবস্থা ছিলনা; টুনিবাল্ব জ্বালানো হতো। পপ্কর্ন-ফ্রায়েড চিকেন-নুডুল্স-স্যুপ-ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের দোকান বসতোনা; লাড্ডু-গজা-কদ্মা-বাতাসা-মুরলী-নিমকী-চট্পটি-ফুচ্কার দোকান বসতো। দোকানে দোকানে চোরাই ইলেক্ট্রিক লাইন টেনে সিএফএলের মরা আলো জ্বলতোনা; শোঁ শোঁ শব্দে সাদা আলোর হ্যাজাক জ্বলতো। মাথায় কালো রুমাল বাঁধা, পিলে চমকানো আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এলিট ফোর্সের খবরদারী ছিলনা; মাথায় রঙিন ফিতে বাঁধা, হাতে গজারীর লাঠি নিয়ে পাড়ার দাদারা ছিল। তখনো নব্বই-একানব্বই সাল আসেনি, অযোধ্যাকাণ্ড ঘটেনি, সন্দেহ-অবিশ্বাস নগণ্য পর্যায়ের ছিল। নিজের সন্তান অন্য ধর্মের ছেলে/মেয়ে বিয়ে করে ফেলতে পারে এই আশংকা ছাড়া মেলামেশায় অন্য কোনো শংকা ছিলনা। তাই সবাই নিশ্চিন্তে, মনের আনন্দে পূজা দেখতে পারতো, উৎসব করতে পারতো।
যে মণ্ডপে যেতে চেয়েছিলাম সেখানে যখন পৌঁছালাম তখন সন্ধ্যা আরতি শেষ হয়েছে কিনা মনে নেই। খুব জোরে ঢোলক-কাঁসি বাজছিলো এটুকু বলতে পারি। মোরগের মতো গলা বাড়িয়ে বার বার এদিক-ওদিক তাকিয়ে ভীড়ের মধ্যে রায়নন্দিনীকে খুঁজছিলাম। মনে মনে উচ্চারণ করলাম ‘যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’। কিন্তু মনে জোর আসলোনা। ভীড় ঠেলে ঠাকুরের দিকে যেতে হঠাৎ অপার্থিব সুবাস নাকে লাগলো, সেটা বাজারের বিকোয় এমন কোনো সুগন্ধির না। আমার চোখ বন্ধ হয়ে এলো। আমি জানি চোখ খুললে কী দেখতে পাবো তাই চোখ খুলতে ইচ্ছে করছিলোনা। অস্ফুট একটা শব্দ শুনতে চোখ মেলে চাইলাম, দেখি রায়নন্দিনী আমার এতো কাছে যে তার নিঃশ্বাস আমার গায়ে পড়বে। আমার নিঃশ্বাস গরম হয়ে উঠলো, আর সেই উত্তাপে আমার ঠোঁট, জীভ, গলা, বুক শুকিয়ে আসলো। আমার জীভ পাথরের মতো ভারী হয়ে গেল আর আমার অবস্থা দেখে রায়নন্দিনী কাঁচ ভাঙার শব্দে হেসে উঠলো। হঠাৎ পাশ থেকে বাজখাঁই গলার আওয়াজ, “দীপা, ঐদিকে কই যাস্? প্যান্ডেলের পিছে বাড়ির সবতে আছে; ঐখানে যা”। আকণ্ঠ ভাঙের শরবত গেলা জেষ্ঠ্য রায়নন্দনের চোখগুলো আলতা মাখানো ডিমের মতো লাল আর বড় হয়ে ছিটকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে। রায়নন্দিনী যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব করে প্যান্ডেলের পিছনে চলে গেলো আর আমিও নিরাপদ দূরত্বে সরে আসলাম।
দশভূজা পূজার আনন্দ আমার সেদিন থেকে শেষ। পরে স্কুলে বা অরুণ স্যারের ব্যাচে পড়তে রায়নন্দিনীকে কখনো ভাই, কখনো গৃহকর্মী সহযোগে যেতে আসতে দেখা যেতো। বুঝলাম, বলার পথটা আরো দুর্গম হয়ে গেছে। একদিন গণিতের সমাধানে সামান্য একটা ভুলের জন্য অরুণ স্যার যখন যাচ্ছেতাই ভাষায় আমাকে গালাগালি করলেন তখন বুঝলাম অভিযোগ অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমি অরুণ স্যারের কাছে পড়া ছেড়ে দিলাম। তার পাঁচ বছরের মাথায় আমি আমার শহরকে ছেড়ে গেলাম আর এই সময়ের মধ্যে রায়নন্দিনী তার দেশকে ছেড়ে চলে গেলো।
চাষাড়া স্টেশন থেকে এখনকার ঘরে ফেরার বাসে চড়ি। বাসটা ছুটতে ছুটতে একটা পুষ্পক রথ হয়ে যায়। কুবেরকে দেয়া ব্রহ্মার উপহার অনায়াসে অচ্ছ্যুৎ পাণ্ডবের বাহন হয়ে টিটাগড় থেকে খড়দহ, সোঁদপুর, আগরপাড়া, বেলঘরিয়া হয়ে দম দম পৌঁছানোর ট্রেনটার সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটতে থাকে। দশানন যেভাবে জানকীকে হরণ করেছিল সেই কায়দায় ট্রেন থেকে রায়নন্দিনীকে আমার রথে তুলে আনি। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা’।
মন্তব্য
প্রচেষ্টা হবে কেন, দিব্যি সুন্দর গল্প হলো তো।
রায়নন্দিনী নামটার ঠাট-বাট শুনে অবশ্য আমারই প্যালপিলেশন শুরু হয়ে গেসলো।
হুম। পুলিশ বেষ্টিত পূজামন্ডপ দেখলেই মনটা দমে আসে, স্বভূমে নিজেকে পরবাসী মনে হয়।
---------
সাত্যকি
---------
এখন সব ধর্মের জমায়েতেই পুলিশ থাকে। ধর্ম্ভিত্তিক নয় এমন জনসমাবেশেও থাকে। এটা বাস্তবতা। মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গ্রেট। অনেকদিন পর গল্প-প্রচেষ্টা কর্লেন।
গল্পটা ২০১০-এর মহাঅষ্টমীর রাতে লেখা। পোস্ট করার কোন ইচ্ছে ছিলনা। অনেকদিন হয় কিছু লিখিনা তাই পোস্ট করলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাল লাগলো। -রু
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ লাগল গল্পটা*।
*"গল্প প্রচেষ্টা" বলার অপচেষ্টা কর্লাম না
কুটুমবাড়ি
ধন্যবাদ। এটা প্রচেষ্টাই, আশা আছে কখনো এগুলো সত্যি সত্যি গল্পের রূপ পাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১. যেসব বানানভ্রান্তি চোখে পড়লো সেগুলো বলে দিলে ভালো হতনা? তাহলে শুধরে নেয়া যেতো।
২. কিছু কিছু জায়গায় "ও পলাশ, ও শিমুল" জাতীয় গান বাজে সত্য; তবে তার পর পরই হিন্দী গান বাজা শুরু হয়।
৩. রায়নন্দিনীর পরিণতি এখানে পাওয়া যাবে।
৪. ইসমাইল হোসেন সিরাজী যেটা লিখেছিলেন সেটা অপসাহিত্য। ওটার কথা ভুলে যাওয়াই ভালো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রচেষ্টা জারি থাক। বেশ কিছু বানানভ্রান্তি দৃষ্টিগোচর হলো। মাইকে কিন্তু আমার প্রাক্তন পাড়ায় এখনো পুরনো দিনের গানগুলোই বাজে। বড় ভালো লাগে। রায়নন্দিনীর শেষ পরিণতিটা স্পষ্ট হলো না। নামটা শুনলেই ইসমাইল হোসেন সিরাজী মনে পড়ে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ম-জা, আপনাকে দেয়া উত্তরটা আপনার মন্তব্যর উপরে চলে গেছে। একটু কষ্ট করে দেখে নেবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, গল্পে ক্রিয়াপদের সাধারণ অতীতের অধিক ব্যবহার যেমন হল, মিলল, লাগালাম, লাগলো, দেখেছিলেন, ছিলাম, জানতাম, ঘুরছিল, আসলাম ইত্যাদি গল্পের গতিকে ব্যাহত করেছে। আমার কাছে পড়তে গিয়ে তাই মনে হলো।
এখানে একই সাথে দুই সময়ের দুটো স্লাইড পাশাপাশি রাখা তাই দুই ধরনের ক্রিয়াপদ ব্যবহার করেছি। তবু আরেক দফা চেষ্টা করবো গল্পটাকে সাবলীল করা যায় কিনা। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ডুপ্লি, ঘ্যাঁচাং।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারন!!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ। তোমার "বাজে গল্প" লেখার কী-বোর্ডটা কি হারিয়ে গেছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পেশাগত কিছু ব্যস্ততা... তাই আরকি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সকালে কুমারী পূজা দেখতে রামকৃষ্ণ মিশনে যাবার কথা মনে থাকায় আফসোস্ হল।
মনের পরে একটা "না" হবে বোধহয়।
অনেক অনেক দিন পর একটা গল্প পাওয়া গেল আবার
শেষ অনুচ্ছেদটা অসাধারণ, পাণ্ডবদা।
ঠিক ধরেছ। সংশোধন করে দিচ্ছি। আসলে শেষ অনুচ্ছেদটাই গল্প, বাকিটুকুতো ভণিতা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটা।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগলো। আরো পড়ার ইচছা হচছে।।
আখ্যানতো শেষ হয়নি, তবে আবার কবে লিখতে পারবো জানিনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই গল্পটা পড়ে আপনারই আরেকটা পুরোনো গল্প প্রচেষ্টা(!)র কথা মনে পড়লো। কৈশোরে ভালো লাগা কাউকে নিয়ে লেখা ছিলো সেটা।
শেষের অনুচ্ছেদ খুব ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে, এর আগের অনুচ্ছেদটা না থাকলেও চলতো।
১। ঠিক্। সেটার লিঙ্ক উপরে দিয়েছি।
২। শেষের আগের অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটা জরুরী। বাকিটুকু বাহুল্য বলা চলে। তবে এত ছুরি-কাঁচি চালালে এই জিরো-ফিগারের গল্পতো নাই হয়ে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোলারাম কলেজ, কালীবাড়ি- আহা! সবকিছু ফিরে এলো যেনো। শারদীয় উৎসবের সময়টায় আসলেই জমকালো মনে হতো। হায় রায়নন্দিনী...! চলেই গেলো তবে সব রঙ নিয়ে দূরে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দিলেন তো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা! এমনিতেই বয়সের কারণে পূজাতে ঠিকমতো আনন্দ করা যায়না তার ওপর এই দীর্ঘশ্বাস!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা কি আর এমনি এমনি আসে গো পাণ্ডব'দা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার এই ঘরাণার লেখা দেখলেই পিলে চমকে ওঠে। আজ আবারও পড়লাম। দুঃখ পাবো জেনেও পড়লাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এহ্হে! সোদপুরের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি করে ফেলেছি দেখছি। ঠিক করে দেবো। অসংখ্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গল্পটা বেশ ভাল লাগল|
ইয়ে 'সোদপুর'এর মাথায় একটা বাড়তি চন্দ্রবিন্দু এসে গেছে
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সবকিছু স্বাভাবিক হোক। গল্প ভাল।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে মনে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব ভাল লাগল। অতীতকাতরতা…। হায় রায়নন্দিনী...!!
রায়নন্দিনীরা জানবেও না তাদেরকে নিয়ে সচলায়তনে কতোশত হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার হাহাকার রচিত হয়েছে! তারা সারাজীবন ভুল মানুষকে ঘিরেই বেঁচে থাকবে। হীরার দ্যুতি ছেড়ে কাচের চাকচিক্য নিয়ে।
বাই দ্য ওয়ে, আপনি অতীতকাতরতা বলছেন যে নৈষাদ'দা! ট্যাগে তো লেখা 'গল্প'!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নৈষাদদা' যখন গল্প লেখেন তখন ট্যাগে সাধারণতঃ 'গল্প' লেখেন না। পরে জনগণের চাপে পড়ে ট্যাগ পাল্টান। দাদা কল্পনা আর জীবনের মিশেল দিয়ে চমৎকার গল্প নামাতে পারেন, তাই অমন ট্যাগ দিতে পারেন। আমার সেই ক্ষমতা নেই। আমার গল্পগুলো নিছক গল্পই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মূল ব্যাপার হল গল্প ট্যাগ দেবার সাহস হয়না।
ঠিক কথা। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, গতকাল সকালে পড়ছিলাম যখন গল্পটা, পাশের গাড়িতে খুব পুরানো দিনের একটা গান বাজছিল, ….. বলি বলি করে তবু বলা হল না, জানি না কিসের এত দ্বন্দ্ব …..। বাহ্। কী আবহ সঙ্গীত।
সবই কপাল দাদা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
'কপাল' এর কথা শুনে মিউনিখে আগের বারের আশেকানে মজলিশে তীরু'দার বলা একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো।
"কপাল" ভিজিয়া গেলো নয়নেরও জলে...
ঠ্যাঙ দুটি বাঁধা ছিলো হিজলেরও ডালে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কথাটা একটু উল্টো হয়ে গেলো না? যারা হাহাকার করে বেড়ায় তাদেরই তো কাঁচের টুকরা হওয়ার কথা। হীরার টুকরারা দ্যুতি ছড়াতেই ব্যস্ত, হাহাকার করার সময় বা প্রয়োজন কোনটাই তাদের হয়না।
-রু
প্রচেষ্টা খুবই রোমান্টিক হয়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন