১. ভালোবাসাবাসির জায়গা
দুপুরে এমা বসের রুমে গিয়ে বললো, “আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। আমি কি এখন চলে যেতে পারি”? কাজের চাপ কম থাকায় যাবার অনুমতি মিললো। অফিস থেকে বের হতে এমা দেখলো অফিস বিল্ডিং-এর বাইরে পল অপেক্ষা করছে। পল ভাবলো, ছ’টা বাজতে এখনো অনেক দেরী। তারমানে এমার স্বামী বাসায় ফেরার আগে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। তাহলে আজ কোথায় হতে পারে? শেষবার বড় সুপার মার্কেটটার মাটির নিচের কার পার্কিং-এ হয়েছিলো। কয়েকশ’ গাড়ির মধ্যে কে কোন গাড়িতে কী করছে কেউ সেটা বুঝতে পারেনি। আশে-পাশে লোকজনের আনাগোনার সম্ভাবনা যতোটা বাড়ে, এমার মধ্যে উত্তেজনাও ততোটাই বাড়ে। যে জায়গা যতো বেশি বিপদজনক সেখানে মিলিত হবার মজা ততো বেশি!
পল জানে শহরের বাইরে আজব সব জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে তার ভেতর এসব করতে এমা মজা পায়। আজ গাড়ি চলতে চলতে যখন এক সারি উঁচু ঝোপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এমা তখন চেঁচিয়ে উঠলো, “এখানে, এই ঝোপের পেছনে”! সুতরাং গাড়ি ঘুরিয়ে রাস্তা ছেড়ে ঝোপগুলোর পেছনে আনা হলো। ঝোপের ঠিক অন্যদিকে মাত্র কয়েক গজ দূরে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। এতো কাছে গাড়িগুলো চললেও কেউ ওদের দেখতে পাচ্ছিলো না। এটা ভেবে এমা উত্তেজিত হয়ে কাপড় খুলতে লাগলো।
পল আর এমা যখন ভালোবাসাবাসিতে মত্ত তখন কখন যে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে, আবার কখন সেটা থেমেও গেছে তারা কিছুই টের পায়নি। সমস্যা বাঁধলো তখন, যখন পল বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি স্টার্ট দিলো। পলের গাড়িটা এমনিতে হালকা, কিন্তু ঝোপের পাশের মাটি ছিল বেশ নরম। বৃষ্টিতে ভিজে মাটি কাদা হয়ে আরো আঠালো হয়ে গেছে। আর এতক্ষণ ধরে গাড়ির ভেতর চলা ক্রমাগত ঝাঁকুনী চাকাগুলোকে কাদায় আরো শক্ত করে গেঁথে দিয়েছে। পল গাড়ি থেকে নেমে ট্রাঙ্ক থেকে দড়ি বের করে সাহায্যের আশায় রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ালো।
পল কিছুক্ষণ হাত নাড়ানোর পর একটা “জীপ” এসে থামলো।
- কী ব্যাপার?
- এই ঝোপগুলোর ওপাশে আমার গাড়িটা কাদায় আটকে গেছে।
- অমন আজব জায়গায় গাড়িটা নিয়ে ঢুকেছিলেন কেন?
- আসলে জায়গাটা একটু আজব বলেই ওখানে গেছি। আপনাকে খুলেই বলি। আমার সাথে একজন মহিলা আছে। সে এমনসব অদ্ভূত জায়গাতেই মিলতে পছন্দ করে। লোকজনের এতো কাছে এমন জায়গা হলে তো কথাই নেই, তখন সে একেবারে বাঘিনীর মতো হয়ে যায়! আজকে আমরা যখন গাড়ির ভেতরে ছিলাম, তখন কখন যে বৃষ্টি হয়েছে টের পাইনি। পরে দেখি গাড়ি কাদায় আটকে গেছে। এখন তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হতে হবে, ওর স্বামীর বাসায় ফেরার সময় হয়ে গেছে।
একগাল হেসে “বোঝা গেছে” বলে লোকটা গাড়ি থেকে নেমে তার গাড়ির পেছনে দড়ি বাঁধতে পলের সাথে হাত লাগালো। দড়ির আরেক মাথা পলের গাড়ির সামনের বাম্পারের সাথে বেঁধে লোকটা সোজা হয়ে দাঁড়ালো। এমা ততোক্ষণে কাপড়-চোপর ঠিক করে গাড়ির সামনের সিটে এসে বসেছে। লোকটা মুখ তুলে পলের গাড়ির ভেতরে তাকাতে অবাক গলায় বলে উঠলো, “এমা! তুমি এখানে”!
২. আমার নতুন প্রেমিকা
অফিসের কাজে জাপানে যাওয়া সহকর্মী আমার জন্য একটা ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছিলেন - একটা পকেট নোটবুক। নোটবুকটার উপরের কাভারের ভেতরটা আয়নার মতো চক্চকে। আসলে ওটা একটা হলোগ্রাম। একটু বাঁকা করে ধরলে সেখানে “Sony” লেখাটা দেখা যায়। পেছনের কাভারের ভেতরটা ছিলো একটা ক্যালকুলেটর। দুটো কাভারই এতো পাতলা আর নরম ছিলো যে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
নোটবুকটা আমার খুবই ভালো লাগলো। আমি প্রায়ই হলোগ্রামের দিকটা আয়নার মতো করে মুখের সামনে ধরে দেখি। খেয়াল করলাম আমার কপালের দু’পাশে রূপালী চুলেরা ঝিলিক দিচ্ছে। আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না যে আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এটা সত্যি। সকালে শেভ করার সময়ও দেখতে পাই চুলের ফাঁকে রূপালী ঝিলিক। চুলে পাক ধরার ব্যাপারটা আমাকে একটু চিন্তায় ফেলে দিলো। আমার বউ ঘন ঘন চুলের রঙ পাল্টায়, তাই তার চুলে পাক ধরেছে কিনা বোঝা যায় না। বউয়ের চোখে যেনো আমার পাকা চুল ধরা না পড়ে সেজন্য সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে বাথরুমে ঢুকে চুলে কলপ লাগালাম।
কলপ লাগানোর পরের কয়েকটা দিন বেশ উৎকণ্ঠায় কাটলো। বাথরুমের আয়নায় বার বার নিজেকে পরখ করলাম নতুন কোনো পাকা চুল দেখা যায় কিনা। যতো লুকনোই থাকুক, কোনো পাকা চুল সাদা রাখা যাবে না। কলপ ধুয়ে হালকা হয়ে যেতে পারে ভেবে গোসল করাটাও ছেড়ে দিলাম। ব্যাপারটা কিন্তু বউয়ের চোখ এড়ায়নি, একদিন ঠিকই চেপে ধরলো।
- ঘটনা কী, গোসল করছো না কেন? শরীর খারাপ?
- না, না! কিছু হয়নি আমার।
- বললেই হলো! অফিসে কোনো নতুন ঝামেলা শুরু হয়েছে নাকি?
- আরে নাহ্! অফিসে কিছু হয়নি।
- বুঝতে পেরেছি।
সমঝদারের ভঙ্গিতে এ’টুকু বলে বউ সে’দফা রেহাই দিল।
সন্ধ্যাবেলা বউয়ের সাথে বসে টিভি দেখছিলাম। এমন সময় পাকা চুলের কথাটা আবার মাথায় আসলো। কী কাজে যেনো বউ লিভিং রুম থেকে বেরুতেই তড়াক করে আমি নোটবুকটা নিয়ে তার আয়নায় তাকিয়ে পাকা চুল খুঁজতে লাগলাম। দেখি অবস্থা খারাপ, আবার পাকা চুল দেখা যাচ্ছে।
খেয়াল করতে পারিনি বউ কখন যেনো লিভিং রুমে ফিরে এসেছে।
- ঐ নোটবুকটাতে এতো কী দেখছো? তোমার নতুন প্রেমিকার ফোন নাম্বার কি এখনো মুখস্থ হয়নি?
উন্মাদের মতো চিৎকার করতে করতে বউ আমার উপর ঝাঁপিয়ে পরে হাত থেকে নোটবুকটা কেড়ে নিতে নিতে বলল,
- ও, এখানে তার ছবি লাগিয়ে রেখেছো, না! বার বার দেখেও আশ মিটছে না, তাই না! ইতর, বদমাশ কোথাকার! তুমি ভেবেছো আমি তার খোঁজ পাইনি। আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন।
ঘটনার আকস্মিকতায় আমি একটু হতবাক হলেও গোটা ব্যাপারটায় আমার একটু দুঃখ আর একটু মজা লাগলো। হঠাৎ করে খেয়াল করলাম আমার বউ বুড়ো হতে শুরু করেছে। খুব ভালোভাবে খেয়াল করার দরকার নেই, এমনিতেই বোঝা যায়।
৩. স্বাগমতম!
প্লেন ল্যান্ড করার জন্য নিচের দিকে নামতে নামতে একেবারে মাটির খুব কাছে চলে এলো। জানালা দিয়ে নিচের সুন্দর বাড়িঘর আর মসৃন রাস্তায় ছুটন্ত গাড়ি দেখে কবি ভাবলেন, “সাদাদের দুনিয়াটা সত্যি খুব সুন্দর”!
এখন তার বিশ্বাস হচ্ছে যে, দেশে যে ভয়ঙ্কর ঘটনার মধ্য থেকে বেঁচে আসা গেছে এখন তা শুধুই অতীত। এখানে তাঁর ধর্মের জন্য, তিনি যা বলতে বা লিখতে চান তার জন্য কেউ তাঁকে খুন করতে চাইবে না। সাদাদের দুনিয়ায় এসব কিছু ঘটে না। এখানে গণতন্ত্র আছে, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রচেষ্টা আছে, ব্যবস্থা আছে।
কিন্তু কবি যা জানতেন না তা হচ্ছে, এসব দেশে এখন গণতন্ত্রের খোলসটাই শুধু আছে। এই গণতন্ত্রের পেছনে বিশেষ চালিকাশক্তি আছে। আর সেই বিশেষ চালিকাশক্তিটা হচ্ছে টাকা।
প্লেন থেকে নামতে ইমিগ্রেশন পুলিশ অভিবাসন আইন ভঙ্গ ও বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে কবিকে গ্রেফতার করলো। কবি যেমন তাদের ভাষা জানতেন না, তারাও তেমন কবির ভাষা জানতো না। একজন দোভাষী আনা হলে কবি তার কাছে ব্যাখ্যা করলেন দেশে তাঁকে কী দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, এবং কেন তিনি এই দেশে মানবিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তারা সবই শুনলো, কিন্তু কিছুই মানলো না; এবং অসুস্থ কবিকে হাজতে পাঠিয়ে দিলো।
আসলে এই কবির মতো “কালো” “আবর্জনা” এই দেশে দরকার নেই। তাই এক সপ্তাহ পরে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। কবির দু’হাতে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দু’জন সাদা পোশাকের পুলিশ অফিসার তাঁকে ফেরত যাত্রার প্লেনে তুলেলো। প্লেন টেক-অফ করতেই কবির অ্যাজমার টান উঠলো।
কবি বিমানবালাদের তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা বোঝাতে চাইলেন, কিন্তু তারা কিছুই বুঝলোনা অথবা বুঝতে চাইলো না। তিনি বার বার হাতকড়া বাঁধা হাত তুলে সাহায্য চাইলেন, এতে পুলিশ অফিসার বিরক্ত হয়ে শিকল দিয়ে তাঁকে শক্ত করে বাঁধলো যেনো তিনি নড়তে না পারেন।
কবির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে লাগলো। তিনি কাঁদতে লাগলেন আর সহযাত্রীদের কাছে সাহায্য চাইতে লাগলেন। এতে পুলিশ অফিসার আরো রেগে গিয়ে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের কাছ থেকে ফার্স্ট এইড বক্স চেয়ে নিয়ে তাঁর মুখ টেপ দিয়ে আটকে দিলো। কবি চিৎকার করতে চাইলেন কিন্তু তা গোঙানীর মতো শোনালো। শেষে এক সময় তার গোঙানীও থেমে গেলো।
রিফুয়েলিঙের জন্য প্লেন মাঝপথে যে দেশে থামলো সেখানে কবির লাশ নামানো হলো। স্থানীয় হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর রিপোর্ট দেয়া হলো, “শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু”।
কবির লাশ তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর এ’ব্যাপারে তদন্ত করা হলো। এবারের রিপোর্ট, “বিমানে দুঃখজনক মৃত্যু”।
গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু পুলিশ অফিসারদের অপরাধের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, সুতরাং তাদের কোনো প্রকার শাস্তি দেবার প্রশ্নই ওঠে না। কবিকে পাহারা দেয়া পুলিশ অফিসারদেরও তাই কিছুই বলা হলো না।
বড় পোস্টারে “স্বাগতম” লেখা গণতান্ত্রিক দেশটার এয়ারপোর্টে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করা চলতে থাকলো।
মূল গল্পঃ স্ভেতোস্লাভ পেইচেভ
মন্তব্য
১ খুবই চমৎকার।
২ বুঝিনি।
৩ ও ভালো লেগেছে।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ। ২- যদি না বুঝে থাকেন তাহলে ত্রুটিটা আমারই। ভাষার আড়ষ্টতার জন্য এমনটা হয়েছে বোধকরি। এই দুই হাত ফেরতা অনুবাদ/রূপান্তর কর্মে ভাষাগত ব্যবধান আর সংস্কৃতিগত ব্যবধানটা থেকেই যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনুবাদ করলেন? বেশ লাগলো কিন্তু!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ। একটা অনুরোধ করি। বুলগেরিয়ার অন্যতম সাহিত্যিক ইলিয়াস কানেত্তি মূলত জার্মান ভাষায় লেখালেখি করেছেন। ঐ ভাষাটা তো আপনার জানা আছে, তাই আপনি কি কানেত্তির কিছু অনুবাদে হাত লাগাবেন? তাহলে পাঠকদের এই দুই হাত ফেরতা রূপান্তর পড়তে হবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডুদা এটা দেখুন:
http://www.sachalayatan.com/sondesh/38265
নিয়মটা জানি। কিন্তু ব্যাপারটা আয়ত্বে আনতে পারিনি। ব্যর্থতাটা আমারই, অজ্ঞতাবশত। দেখুন না এই লেখাতেই একেক জায়গায় প্যারাগ্রাফ স্পেস একেক রকম হয়ে গেছে। যাকগে আরেকবার চেষ্টা করে দেখছি।
চেষ্টায় যে ফল মিললো সেটা দেখতে আমার কাছেই জুতের মনে হচ্ছে না। দুঃখিত। আমার শেখার আরো বাকি আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এখন ঠিকই আছে।
দারুণ
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১। তৃতীয় ব্যক্তি আসতেই বোঝা গেছে
২। সুন্দর
৩। এইটা সবচেয়ে দারুন। খুব ভালো লাগলো।
... অনুবাদ চলুক। আরো অনেক অনেক আসুক।
অনুবাদ/রূপান্তর কর্মের একটা বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ভাষার বেড়া ডিঙাতে গিয়ে ট্যুইস্ট, অনুপ্রাস, বাকধারা ইত্যাদিকে মেরে ফেলা। প্রথম গল্পটার শেষাংশ জোলো হয়ে যাবার কারণ হচ্ছে এই। দ্বিতীয়টাতেও কিছু সমস্যা আছে যেটা উপরে সুপ্রিয় দেব শান্তকে বলেছি।
অনুবাদের পরিকল্পনায় নিকোলাই হেইতভের একটা বড় গল্প আছে। গল্পটা আমার কাছে ভালো লেগেছে, কিন্তু গল্পটার যা আকার তাতে পাঠক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সেটা নিয়ে শংকা আছে। অমন ধারার গল্পতে আবার ট্যুইস্ট থাকে না। সে কথা ভেবেও পিছিয়ে যাই। তবে কখনো আরো বেশি কিছু ভাবলে সেখানে ঐ গল্পটা থাকবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুন!
১ টা শেষ হওয়ার আগেই বোঝা গেছে কি ঘটতে যাচ্ছে
ধন্যবাদ। প্রথম গল্পটা নিয়ে উপরে সুহান রিজওয়ানকে কী বলেছি দেখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার। অনুবাদাণুগল্পের জগতে 'স্বাগমতম!' (যদি আগেও এমন পোস্ট না দিয়ে থাকেন আরকি)।
মনমাঝি
হে মাঝি ভাই, একটু কষ্ট করে "বুলগেরিয়ার গল্প-০৩"-টা একটু দেখুন।
পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উপ্প্স !
মনমাঝি
অনুবাদ ভালো লাগলো। -রু
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শিরোনাম ঠিকাছে।
ব্লগিং চলুক জোরেশোরে।
ভেবে দেখলাম এই রকম "কমন" শিরোনামে দিলে পাঠকের সুবিধা হবে। সাথে একটু ভয়ও হয়, সিরিজ করতে গেলেই কী করে যেন আর লেখা আগায় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
২ ভালো লাগলো।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধন্যবাদ। আপনার প্রতিক্রিয়াটা ব্যতিক্রমী। কারো কারো ক্ষেত্রে ২-এ কী বলেছি সেটাই তাদের কাছে পরিষ্কার হয়নি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনুবাদ, গল্প ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনুবাদ গল্প ভালো লেগেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ বস্।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দ্বিতীয় গল্পটিতে ক্ষুরের ধার আছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধার যা কিছু সেটা পেইচেভের লেখনীতে স্যার। আমি কামলার কামলা মাত্র।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১ বুঝা গেছে আগেই, তবু ভালো লেগেছে
২ ও ৩ অনেক দারুন
১-এর ট্যুইস্ট কেন মার খেলো সেটা উপরে ব্যাখ্যা করেছি, দেখবেন। পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রথমটা শেষে কি হবে অনুমান করতে পারছিলাম, দ্বিতীয়টা তেমন ভালো বুঝি নি, কিন্তু শেষেরটা জটিল
প্রথমটা অনুবাদে জোলো হয়ে গেছে। দ্বিতীয়টা অনুবাদে আড়স্ট হয়েছে। তৃতীয়টা এতো ভালো গল্প যে আমি তার বারোটা বাজাতে পারিনি। পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ।
একের ব্যাপারে আপনার উপরের মন্তব্যের সাথে সহমত। এইটাকে আরেকবার লিখতে পারেন, প্রয়োজনে মূল গল্পের কাঠামোর সামান্য হেরফের করেও।
অলমিতি বিস্তারেণ
হেরফের করার চেষ্টা করতে চাই না। এ'জন্য চাই না যে তাতে গল্পটা আমার হয়ে পড়তে পারে। এতে পাঠকের সাথে প্রতারণা করা হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দেরিতে পড়লাম। দ্বিতীয়বার পড়ার পরে ২ দুর্দান্ত লাগল।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার অনুবাদ পড়ে তো আমি বুল্গেরিয়ান গল্পের ফ্যান হয়ে যাচ্ছি! আচ্ছা একটা প্রশ্ন; আসল গল্পগুলোই কি এত ছোট ছোট নাকি অনুবাদের খাতিরে এব্রিজ করেছেন?
আমি ইংরেজী থেকে বাংলায় রূপান্তর করি। গল্পগুলোর সাইজ ইংরেজীতে এমন, আমি কোনো কাটছাঁট করিনি। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রে মূল বুলগেরিয় গল্পের সাথে আমি মিলিয়ে দেখেছি সাইজ এমনই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন