টিপাইমুখ বাঁধ বিষয়টি কী সেটি বাংলাদেশে কারো অজানা নয়। এটি আমাদের জন্য কেনো গুরুত্বপূর্ণ সেটিও অল্প-বিস্তর আমরা জানি। এটা নিয়ে সচলায়তনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায়, বিভিন্ন পর্যায়ে একসময় বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুটি একটু একটু করে আমাদের আলোচনার বাইরে চলে গেছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার বা সরকারের বাইরে কারো কোনো উদ্যোগ আর চোখে পড়েনা। অথচ বিষয়টির গুরুত্ব বিন্দুমাত্র কমে তো নাই-ই, বরং এটি বাস্তবায়ণে ভারত সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় তার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে মতামত বা ব্যাখ্যার প্রদানের প্রয়োজন হলে আমরা সাধারণতঃ বহুধা বিভক্ত হয়ে পড়ি, এবং সবাই নিজের মতামত অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। যেসকল বিষয়ের সাথে দেশ ও জাতির ভবিষ্যত ও ভাগ্য জড়িত সেসকল বিষয়ে মতামত প্রদানকালে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পূর্বজ্ঞান থাকা, নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা এবং নিজের ভাবনাতে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ থাকা জরুরী। বাংলাদেশে বহুল আলোচিত “ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ” এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেখানে কোন প্রকার মতামত দেবার পূর্বে বিষয়টি সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বিষয়টির সাথে নদী, জলপ্রবাহ, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পরিবেশ, পুনর্বাসন, কৃষি, শক্তি উৎপাদন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, কৌশলগত বিষয়, সর্বোপরি স্থানীয় ও আঞ্চলিক রাজনীতি জড়িত থাকায় বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। যেহেতু এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই এটি জটিল হলেও আমাদের সকলের এই সম্পর্কে নূন্যতম জানাশোনা থাকা উচিত। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, এই ব্যাপারে কোন জাতীয় বিতর্ক বা মতামত গ্রহন না করে ইতিমধ্যে আমাদের সরকার ভারত সরকারকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের মুখপাত্র নানা জন আমাদেরকে “বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কিছু ভারত করবে না এই আশ্বাস পেয়েছি” এই জাতীয় কথা শুনিয়েছেন। তাদের এমন উচ্চারণ বিষয়টি সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা বা এই ব্যাপারে আর কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া থেকে আপাততঃ গা বাঁচানোকে নির্দেশ করে। অন্ধ হলেও যেহেতু প্রলয় বন্ধ থাকেনা তাই টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আরো জানা, আরো আলোচনা করা এবং একটি জাতীয় বিতর্ক উপস্থাপন করে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরার গুরুত্ব এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
টিপাইমুখ বাঁধ ও তদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রকল্প যেমন, ফুলেরতল ব্যারাজ, সেচ খাল ইত্যাদি প্রকল্পের সবগুলোই আমাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ভারতে উদ্যোগ বলে এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও তার জনগণকে কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বার্থের সপক্ষে জনমত গঠন করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সকল নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধের ব্যাপারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রান্ত প্রচারণা বা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে কোন চক্রান্ত নস্যাত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। ভবিষ্যতে একই ধরণের আরো সমস্যা উপস্থিত হবার সম্ভাবনা আছে বলে এই ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে এখনই। এই বিষয়ে সরকারের নীতির সমর্থনকারী ও বিরোধিতাকারী উভয় পক্ষের ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল প্রচারণার ব্যাপারেও সতর্ক হওয়া আবশ্যক।
এই ব্যাপারে পত্র-পত্রিকাগুলোতে যেসব খবর ও আলোচনা ছাপা হয়েছে; ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে যেসব খবর, আলোচনা ও সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়েছে; সভা-সেমিনারগুলোতে বিভিন্ন বক্তা যেসব বক্তব্য রেখেছেন; এবং এসংক্রান্ত পুস্তিকাগুলোতে যা লেখা হয়েছে তাতে দেশের সাধারণ জনগণ অনেকটাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এর কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বক্তা বা লেখকের বক্তব্য বিষয়টির কোন বিশেষ একটি দিককে নিয়ে করা অথবা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর স্বার্থের অনুকূলে করা। এই ধরনের বক্তব্যগুলো থেকে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন ও বাংলাদেশের স্বার্থ কীভাবে রক্ষিত হবে তা বের করা একজন সাধারণ মানুষের কর্ম নয়। তদুপরি এতদসংশ্লিষ্ট জটিল বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী বিষয়গুলোর সহজ ও সর্বজনবোধ্য ব্যাখ্যারও প্রয়োজন আছে। এই সমস্যার সমাধাণ করার জন্য বাংলাদেশের তরুন পানিসম্পদ কৌশল বিশেষজ্ঞ জাহিদুল ইসলাম এগিয়ে এসেছেন - যিনি সচলায়তনের পাঠকদের কাছে
সচল জাহিদ নামে পরিচিত। তিনি সচলায়তনে ধারাবাহিকভাবে সাধারণের বোধগম্য করে ব্যাখ্যা করেছেন টিপাইমুখ বাঁধ সংশ্লিষ্ট জটিল বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী বিষয়গুলো, বর্ণনা করেছেন এর খুঁটিনাটি দিক আর প্রভাবগুলো, ব্যাখ্যা করেছেন এই বিষয়ে করা দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মতামত। এই বইটি তাঁর সেই ধারাবাহিক রচনার সম্পাদিত পূর্ণাঙ্গ সঙ্কলন।
বইটি পাঠকালে একজন সাধারণ পাঠক টিপাইমুখ বাঁধ বিষয়ে যথাযথ ধারণা পাবেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত থেকে বিষয়টিকে দেখা, বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়টিকে ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা এবং এই ব্যাপারে অহেতুক কাউকে দোষারোপ না করার দুরূহ কাজটি জাহিদুল ইসলাম দক্ষতার সাথে করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ পাঠকদের আগ্রহ বিবেচনা করে সচলায়তনের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে এই বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণ প্রকাশিত হল। ধারাবাহিক রচনা প্রকাশকালে যেসকল পাঠক নানা বিষয়ে তাঁদের নিজস্ব মতামত প্রদান করেছেন, প্রশ্ন করেছেন তার দরকারী অনেকগুলোই সম্পাদিত এই সঙ্কলনে মূল আলোচনায় চলে এসেছে। তবে ঘটনাপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি বিবেচনায় ও পাঠকদের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে এই বইটির আরো বর্ধিত ও বিস্তারিত সংস্করণ আসতে পারে। জাতীয় স্বার্থে ভেদাভেদহীন অভিন্ন মতামত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং এই ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করতে এই ক্ষুদ্রায়তন বইটি বৃহৎ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস রাখি।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন
মাহবুব আজাদ। প্রচ্ছদে ব্যবহৃত আলোকচিত্রটি ফটোগ্রাফার
জুবায়ের লোদী'র তোলা। বইটি রচনা ও সম্পাদনার বিভিন্ন পর্যায়ে সহসচল
স্বাধীন,
হিমু ও
ইশতিয়াক রউফ প্রচুর শ্রম ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। বইটির রিভিউ করেছেন
শোহেইল মতাহির চৌধুরী ও
মির্জা মোঃ মোজাদ্দিদ বিল্লাহ, প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন
দিগন্ত। তাদের সক্রিয় সহযোগিতা ও সচলায়তন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে একটু দেরিতে হলেও বইটি পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। এই সুযোগে তাদের সবার প্রতি পাঠকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি।
বইটি ডাউনলোড করা যাবে
এখান থেকে।
মন্তব্য
. ডাউনলোড করি...
অসাধারণ একটা কাজ হইছে
জাহিদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শ্রদ্ধা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অসাধারণ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সালাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ
অভিনন্দন।
এরকম ই-বুক সচলায়তনে আরো আসুক।
প্রচ্ছদটার ১০০x১০০ (সর্বোচ্চ) পিক্সেলের একটা ছোটো সংস্করণ ইমেইল করে দিয়েন তো পাণ্ডুদা। ডান প্যানেলে তুলতে হবে।
প্রচ্ছদটা আমার কাছে নাই। আমি জাহিদকে বলছি আপনাকে মেইল করে দেবার জন্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার উদ্যোগ।
দারুণ! এখন পড়ার সময় হচ্ছে না, পরে পড়ে বিস্তারিত মন্তব্য জানাবো। প্রচ্ছদ খুব সুন্দর হয়েছে, একদম মানানসই।
দারুণ এই উদ্যোগের সাথে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন!
জাহিদ ভাইয়ের লেখার, বিশেষ করে এই সিরিজের মুগ্ধ পাঠক আমি।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে অ-নে-ক ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মূলত প্রকাশায়তনের প্রথম প্রকাশনা হিসেবে অবমুক্তি করার প্রয়াসে টিপাইমুখ নিয়ে ইবুকের কাজ শুর হয় ২০০৯ এর জুলাইয়ে। তখন টিপাইমুখ সিরিজের শেষ পর্ব সচলে পোষ্ট করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সম্পাদনা পরিষদে ছিলেন সচল স্বাধীন, হিমু, ষষ্ঠ পান্ডব এবং ইশতিয়াক রউফ। মূল সিরিজের লেখাগুলিকে আরো চমৎকার ভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য সিরিজের লেখাগুলিকে পূনর্বিন্যস্ত করে ইবুক রূপদানের জন্য এই সম্পাদনা পরিষদ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সিরিজ চলাকালীন সময়ে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্যও বইটির পরিমার্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
২০০৯ এর আগষ্টে বইটির খসড়া প্রথম সংস্করণ ঠিক করা হয়। এর পর বইটি রিভিউ করার দ্বায়িত্ব দেয়া হয় সম্পাদনা পরিষদের বাইরে সচল শোহেইল মতাহির চৌধুরী এবং আমার বন্ধুবর মির্জা মোঃ মোজাদ্দিদ বিল্লাহকে। তাদের পরামর্শ বিবেচনায় রেখে বইটির চূড়ান্ত প্রথম সংস্করণ বের হয় ২০০৯ এর অক্টোবরে। বইটির মুখবন্ধ লেখেন অগ্রজপ্রতীম জাহাংগীর মোহাম্মদ আরিফ, জুবায়ের লোদী'র তোলা আলোকচিত্রটি দিয়ে বইটির প্রচ্ছদ করেন মাহবুব আজাদ।
এর পর একটি লম্বা বিরতি। মূলত অপেক্ষা ছিল প্রকাশায়তন অবমুক্তির জন্য, কারন আগেই বলেছি বইটি প্রকাশায়তনের প্রথম প্রকাশনা হিসেবে অবমুক্তি করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রকাশায়তনের প্রকল্প বিলম্বিত হবার কারনে এই ইবুকটির অবমুক্তির কাজও পিছিয়ে যায়। সেই সাথে টিপাইমুখ ইস্যু নিয়ে দেশে আলোচনার ঝড় থেমে যাওয়াও হয়ত এই প্রকল্পের গুরুত্ত্ব কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয় বলে অন্তত আমার ধারনা হয়েছিল। যাক, ২০১১ এর মে মাসে এসে বইটি অবশেষে অবমুক্তি পেল।
আমি বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই প্রকল্পে তাদের গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সেই সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি টিপাইমুখ সিরিজের সকল পাঠককে যাদের মন্তব্য, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা এই ইবুকটির রূপদানের নেপথ্যে কাজ করেছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমতকার কাজ। অভিনন্দন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
“টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট” সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।
প্রকাশায়তনের জন্য শুভকামনা।
কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে অভিনন্দন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পুরোটা পড়লাম। এটি একটি অমিত সম্ভাবনার বই। তবে এত সংক্ষিপ্ত কলেবরে মন ভরলো না। যদিও জনমত তৈরির জন্য এই-ই যথেষ্ট। সচল জাহিদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এ বিষয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখুন, আশার পিদিমে আরো ঘৃতসঞ্চার প্রয়োজন। এই তো সেদিন পড়ছিলাম হাইড্রোপলিটিক্স নিয়ে নানা ধরনের রচনার একটি সংকলন, ''হাইড্রোপলিটিক্স : কনফ্লিক্ট ওভার ওয়াটার অ্যাজ আ ডেভেলপমেন্ট কন্সট্রেইন্ট"। মলাটে বড় অক্ষরে লিখা, "The wars of the next century will be over water"। ভাবুন তাহলে, আত্মপ্রতিরক্ষার প্রয়োজনে আমাদের কতটুকু সচেতন ও কুশলী হওয়া জরুরী!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পুরোটা পড়লাম। এটি একটি অমিত সম্ভাবনার বই। তবে এত সংক্ষিপ্ত কলেবরে মন ভরলো না। যদিও জনমত তৈরির জন্য এই-ই যথেষ্ট। সচল জাহিদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এ বিষয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখুন, আশার পিদিমে আরো ঘৃতসঞ্চার প্রয়োজন। এই তো সেদিন পড়ছিলাম হাইড্রোপলিটিক্স নিয়ে নানা ধরনের রচনার একটি সংকলন, ''হাইড্রোপলিটিক্স : কনফ্লিক্ট ওভার ওয়াটার অ্যাজ আ ডেভেলপমেন্ট কন্সট্রেইন্ট"। মলাটে বড় অক্ষরে লিখা, "The wars of the next century will be over water"। ভাবুন তাহলে, আত্মপ্রতিরক্ষার প্রয়োজনে আমাদের কতটুকু সচেতন ও কুশলী হওয়া জরুরী!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ই-বুকটা পড়লাম এবং খুবই হতাশ হলাম। এটা টিপাইমুখ বিরোধী লেখা, কিন্তু কি কারনে টিপাইমুখ বাঁধের বিরোধীতা করবো সে বিষয়ে সত্যিকার অর্থে তেমন সারবত্তা কিছু পেলাম না।
আপনার মন্তব্যের মানে দাঁড়াচ্ছে এই যে, বইটাতে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। তাহলে সেখানে নিশ্চয়ই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে সে সব কথা আছে। নাকি সে সব কথা কিছু না বলে কেবল বার বার "এই বাঁধ বানানো চলবেনা" জাতীয় কথা বলা হয়েছে? একটু বিস্তারিত ভাবে (উদাহরণসহ) আপনার হতাশার কারণটা ব্যাখ্যা করুন। ইস্যুটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ, আপনার অভিযোগটাও গুরুতর। তাই আসুন আমরা বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াসলি আলোচনা করি। বইয়ের লেখক এখানেই আছেন সুতরাং আলোচনায় কোনো সমস্যা নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন