মসনবী থেকে
ক্যাটেগরি:
১.
এক পথিক আশ্রয়ের জন্য তার এক বন্ধুর বাড়ির দরোজায় আঘাত করলো। ভেতর থেকে বন্ধু জিজ্ঞেস করলো,
- কে? পরিচিত কেউ?
- আমি।
- চলে যাও, তোমার আসার জন্য এটা ঠিক সময় না। আমার ঘরে তোমার মতো অসংস্কৃত লোকের জায়গা নেই।
পথিক ভাবলো কী করে একজন অসংস্কৃত মানুষ সংস্কৃত হতে পারে? কী করে ভণ্ডামী থেকে সে মুক্ত হতে পারে? তার এই বন্ধুটির মতো মানুষদের কাছ থেকে দূরে চলে গিয়ে একাকীত্বের আগুনে না পুড়লে তা সম্ভব না।
- কে? পরিচিত কেউ?
- আমি।
- চলে যাও, তোমার আসার জন্য এটা ঠিক সময় না। আমার ঘরে তোমার মতো অসংস্কৃত লোকের জায়গা নেই।
পথিক ভাবলো কী করে একজন অসংস্কৃত মানুষ সংস্কৃত হতে পারে? কী করে ভণ্ডামী থেকে সে মুক্ত হতে পারে? তার এই বন্ধুটির মতো মানুষদের কাছ থেকে দূরে চলে গিয়ে একাকীত্বের আগুনে না পুড়লে তা সম্ভব না।
বেচারা লোকটা এক বছর ধরে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ালো। এই এক বছরে নানা ঘটনায়, নানা সংঘাতে সে পুড়ে সোনা হয়েছে। আবার সে তার ঐ বন্ধুর বাড়িতে হাজির হলো। এবার খুব সাবধানে সে দরোজায় আঘাত করলো। ভয়ে ভয়ে থাকলো - তার মুখ দিয়ে অসংস্কৃত কোন শব্দ যেনো বের না হয়। ভেতর থেকে বন্ধু জিজ্ঞেস করলো,
- দরোজায় কে?
- হে হৃদয়ভঙ্গকারী, তুমিও তো দরোজাতেই দাঁড়ানো!
- এখন, ‘তুমি’ যেহেতু ‘আমি’ হয়ে গেছো তাহলে ভেতরে এসো। কিন্তু এই ঘরে যে দুই জন ‘আমি’ থাকার জায়গা নেই!
- দরোজায় কে?
- হে হৃদয়ভঙ্গকারী, তুমিও তো দরোজাতেই দাঁড়ানো!
- এখন, ‘তুমি’ যেহেতু ‘আমি’ হয়ে গেছো তাহলে ভেতরে এসো। কিন্তু এই ঘরে যে দুই জন ‘আমি’ থাকার জায়গা নেই!
২.
রাজপুত্র তিরমিদ তার বয়স্য দালক্বাককে জিজ্ঞেস করলেন,
- তুমি একটা বেশ্যাকে বিয়ে করতে গেলে কেনো? তুমি বিয়ে করতে চাও সেটা আমাকে জানালেই পারতে। তাহলে আমরা তোমার জন্য কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ের সাথে সম্বন্ধ করে দিতে পারতাম।
- হুজুর, আমি এর আগে নয় বার বিয়ে করেছি। তারা সবাই সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে আর গুণবতী ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের প্রত্যেকেই আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে কার্যত এক একজন বেশ্যায় পরিণত হয়েছে। তাই এই দফা আমি একজন বেশ্যাকে তার অতীত না জেনেই বিয়ে করেছি। আমি দেখতে চাই এর শেষ কী হয়। এতদিন আমি ভালো মানুষের মতো আচরণ করে গেছি, এখন আমি উন্মাদের মতো আচরণ করবো।
- তুমি একটা বেশ্যাকে বিয়ে করতে গেলে কেনো? তুমি বিয়ে করতে চাও সেটা আমাকে জানালেই পারতে। তাহলে আমরা তোমার জন্য কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ের সাথে সম্বন্ধ করে দিতে পারতাম।
- হুজুর, আমি এর আগে নয় বার বিয়ে করেছি। তারা সবাই সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে আর গুণবতী ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের প্রত্যেকেই আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে কার্যত এক একজন বেশ্যায় পরিণত হয়েছে। তাই এই দফা আমি একজন বেশ্যাকে তার অতীত না জেনেই বিয়ে করেছি। আমি দেখতে চাই এর শেষ কী হয়। এতদিন আমি ভালো মানুষের মতো আচরণ করে গেছি, এখন আমি উন্মাদের মতো আচরণ করবো।
সাবধানতা মরুকগে! ভয়ঙ্কর ভাবে জীবন কাটাতে চাই। সুনাম সব জাহান্নামে যাক। দুর্নাম আর কলঙ্কময় জীবন চাই। ভালো মানুষ হয়ে ভালোমানুষীর চেষ্টা জীবনের অনেক হয়েছে। এবার পরিপূর্ণ উন্মাদের জীবন চাই।
দোহাইঃ এই গদ্যাংশগুলো জালাল উদ্ দীন রূমী’র “মসনবী” থেকে নেয়া। মসনবী’র ভাষার মাধুর্য ও রচনার সৌকর্য সম্পর্কে নূন্যতম ধারণাসম্পন্ন মানুষ জানেন মৎকৃত মসনবী’র এই রূপান্তর চেষ্টা শিব গড়তে বাঁদর গড়ার চেয়েও অধম। তাই মসনবী নিয়ে এই অপচেষ্টা আর করবো না। কল্যানীয় শুভাশীষ দাশের আবির্ভাব তিথিতে একটা মৌলিক গল্প পোস্টানোর ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু গোলামীর জীবনে চাইলেই তো সব কিছু করা যায় না, তাই সেই আবির্ভাব তিথি পার হয়ে আরো কিছু দিবস-রজনী গত হবার এই অখাদ্যটা পোস্টানো গেলো। লেখা খাঁদ ভরা হতে পারে, তবে আমার শুভেচ্ছাটা নিখাঁদ। আয়ুষ্মান ভবেহ্।
- ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ব্লগ
- ১০৬৫বার পঠিত
মন্তব্য
অনুবাদ যথারীতি সাবলীল। আত্মার শুদ্ধির জন্যে রুমী, জামী, আত্তার আরো পড়তে চাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ বস্! এই সব কাব্যিক জিনিষের অনুবাদ আপনাকে মানায়, আমাকে নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এতো চমৎকার করে মুখের উপর সবকিছু বলে দেয়া রূমিকেই মানায়। রূমি চরমভাবে রক্স।
জীবনের গভীর সত্যের উপলদ্ধি আর তার প্রকাশের ক্ষেত্রে রূমী তুলনাহীন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মাঝে মাঝে প্রথা ভেঙে ফেলতে হয়!!
প্রথা ভাঙার জন্য সাহস থাকতে হয়, যোগ্যতা থাকতে হয়। সবার সে সাহস বা যোগ্যতা থাকে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সঠিক বলেছেন। যোগ্যতা-সাহস দুটোই দরকার।
বিনয়টা আলমারিতে তুলে রেখে অপচেষ্টাটা চালিয়ে যান...
ভালো লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাইয়ের সাথে প্রচন্ডভাবে সহমত।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ। আলমারিতে অনেক কিছুই তুলে রেখেছি, নয়তো লেখালেখির এই অপচেষ্টা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাল লাগল। (অরিজিন্যাল পড়িনি)।
ধন্যবাদ। ফারসী ভার্সানটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী বা ধানমণ্ডি'র ইরান কালচারাল সেন্টারে পাওয়া যাওয়ার কথা। ইংরেজীটার জন্য নিউ মার্কেট আর আজিজে খোঁজ করতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ, উন্মাদ হওয়াটা জরুরী...
শুভাশীষদা'র জন্যে আবারো শুভ কামনা। আর- পান্ডবদা'র জন্যে নিয়মিত অনুবাদের অনুরোধ...
শুধু উন্মাদ হলে চলবেনা, সাথে সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
সাদী-রূমী-জামী-হাফিজ-আত্তার-ফেরদৌসী-নিজামী এই মহান কবিদের রচনার যথাযথ বাংলা অনুবাদের জন্য বড়সড় প্রকল্প হাতে নেয়া দরকার। বাংলা একাডেমি এই কাজটা করতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রূমী ইংরেজিতে পড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম, মজা পাচ্ছিলাম না। অনুবাদ চালু রাখার অনুরোধ রইলো।
দাশভকে শুভাশীষ
ইংরেজী অনুবাদটা কে করেছেন ব্যাপারটা তার উপর নির্ভর করে। নয়তো মসনবী পড়তে খারাপ লাগার কথা না। সুহানকে বলা ছয় জনের কিছু কিছু কর্ম সচলের পাঠকদের সামনে হাজির করার ইচ্ছে আছে। তবে আমি কবি না বলে ব্যাপারটা আমার জন্য অসম্ভবের কাছাকাছি। তুমি চেষ্টা করতে পারো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরে, তোফা, তোফা। অনুবাদ, উপহার- দুটোই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, আমি আসলে পড়ে আরাম পাই নাই। দশ ঘন্টার 'শিক্ষাশ্রম" শেষে মাত্র বাসায় আসছি বলেই বোধহয়! পরে আরেকবার পড়ে দেখব। অথবা হয়তো এই 'ঘি' আমার পেটে সইবে না!
শুভাশীষ'দা কে আরেকবার শুভেচ্ছা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরাম না পাবারই কথা। ফারসী থেকে ইংরেজী, সেখান থেকে বাংলা। মহান লেখকের কাছ থেকে বাজারী লেখক, সেখান থেকে হাতুড়ে। তাহলে ঘি কি আর ঘি থাকে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একের প্রথমটুকু আমি বুঝতে পারিনি। দুইয়ের প্রথম অংশে একটা লোক নয়টা বিয়ে কেন করলো, নাহ্, নয় না, দশটা করেছে, যাই হোক, প্রথম কয়েকটা ফেইলড অ্যাটেম্পট-এর পরেই তো 'বিয়ে'র আগ্রহ চলে যাবার কথা, কাজেই এইটাও বুঝি নাই। খালি শেষের কথা কয়টা বুঝলাম যে এইটা ঠিক, কোন কিছুর পরোয়া না করে, নিজের যেটা ভালো লাগে সেটা করাতেই নিজের শান্তি!
শুভাশীষ'দাকে শুভেচ্ছা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রূমীর রচনা, বিশেষত মসনবী, আক্ষরিক অর্থে ধরলে চলবে না। এর ঘটনা, বাক্য এমনকি শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ আক্ষরিক অর্থের চেয়ে ভিন্ন হতে পারে। এই জন্য গত প্রায় সাড়ে সাতশত বৎসর ধরে রূমী আর তার মসনবী এতো বিখ্যাত। আর এই পোস্ট না বুঝতে পারার দায় আমার। উপরে অনার্য সঙ্গীতকে কী বলেছি দেখো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বিরাট পরিশ্রমের কামে হাত দিলেন! আপনাকেই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমি ছোট/বড় কোনো কাজে/কামে হাত দেই নাই। সুতরাং আপনার
ফেরত নিয়ে যান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরবী-ফারসি জানি না। রূমীরও কোন কিছু পড়ি নাই। আপনার অনুবাদের মাধ্যমে যদি মসনবীর সাথে পরিচয় হয়, মন্দ না সেটা। জীবনে এখনো কত কিছু পড়া বাকি... !
আর বুঝতে পারার কথাই যদি হয়, তো হতে পারে যে আমিই হয়তো রূমীকে বুঝতে সক্ষম হয়ে উঠিনি এখনো...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার করা অনুবাদের অনুবাদ দিয়ে (তাও কয়েক লাইন মাত্র) তো রূমীকে বোঝা সম্ভব না। আমি মূল মসনবী পড়িনি, ফারসীতে লেখা বলে। ইংরেজীতে যা পড়েছি তাতে রূমীর দর্শনের ১%ও বুঝেছি বলে মনে হয় না। এই জীবনে কতো কতো পড়া আর তা বোঝা বাকি রয়ে গেলো। এই অপূর্ণতার কথা ভাবলে আমার স্বর্গ বিশ্বাস করতে ও সেখানে যেতে ইচ্ছে হয়। স্বর্গে যেতে পারলে পৃথিবীর যাবতীয় সাহিত্য পড়ে শেষ করে ফেলতাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার লেগেছে।
আপনার অনুবাদটা পড়ে মনে পড়লো মারা যাবার কয়েক বছর আগে বাবা রুমীর একটা অনুবাদ কিনতে বলেছিল। ভুলে গেছিলাম, খোঁজা হয়নি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। পিতৃআদেশ শিরোঃধার্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব ভালো লেগেছে। এমন আরো চাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ। কিছু কিছু ব্যাপারে ইচ্ছা থাকে, কিছু চেষ্টাও থাকে তারপরও কেনো যেনো কিছুই হয়না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাগ্যিস! ফারসী-ইংরেজি কোনো মাধ্যমেই 'রূমী' পড়া হয়নি। যে কারণে আপনার অনুবাদ আমার চমৎকার লাগলো ভাইয়া। অনুরোধ থাকলো এভাবে কিছু কিছু অনুবাদ প্রচেষ্টা চালু রাখবার। সচলে এলে কতোকিছুই যে পাওয়া হয়ে যায়! সেজন্য সচলের সব লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শুভাশীষ ভাইয়াকে অনেক শুভেচ্ছা। পোষ্ট লেখকের প্রতি অজস্র ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার অনুবাদ। তবে আমার ধারনা ছিল মসনবী কাব্য। অনেক আগে R.A. Nicholson-এর করা পদ্যানুবাদ/কাব্যানুবাদের কিছু কিছু টুকরো অংশ পড়েছিলাম।
****************************************
ধন্যবাদ। মসনবী কাব্যই। আমি তো কবি না, তাই কাব্যকে গদ্যাকারে রূপান্তর করি। খেয়াল করে থাকলে দেখেছেন হয়তো, এর আগে লু স্যুনের গদ্যকবিতা গল্পাকারে রূপান্তর করেছিলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার কাছে ভালো লেগেছে।
বেশ ভাবনার কথা
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ। এই এক লাইন পড়েই ভাবনায় পড়ে গেলে! তাহলে গোটা মসনবী পড়লে তোমার কী হবে!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সৈয়দ মুজতবা আলী'র আমলে "শের মুহম্মদ খান" মসনবীর কাব্য অনুবাদ করেছেন বাংলায়, সরাসরি ফার্সী থেকে।
মুজতবা আলী নিজেও উত্তম ফার্সী জানতেন। তিনি ঐ অনুবাদ সম্পর্কে বলেছেন, "মাঝারী। বরঞ বলবো, মসনবী অনুবাদ কী কঠিন কর্ম জানা ছিল বলে মনে হল, আশাতীত ভালো।"
নতুন মন্তব্য করুন