ইতিহাস পুনর্পাঠ (১ - ৮)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৬/২০১১ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

নাজাফি বংশের প্রতিষ্ঠাতা গাদ্দার-ই-আবরার নওয়াব মীর জাফর আলী খানকে বাংলার মানুষ “মীরজাফর” নামে চেনেন। এ’দেশে কাউকে “মীরজাফর” বলা হলে তাকে আসলে কী বলা হলো তার আর কোনো ব্যাখ্যা দেবার দরকার হয় না। নাজাফি বংশের শেষ নওয়াবের নাম মনসুর আলী খান। মনসুর আলী খানের ছেলে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ফতেহ্‌ আলী মির্জা’র বড় ছেলের নাম ইস্কান্দার আলী মির্জা - সংক্ষেপে ইস্কান্দার মির্জা। মুর্শিদাবাদে জন্মানো এই নবাবপুত্তুর ছিলেন পাকিস্তানের সর্বশেষ বড়লাট (গভর্নর জেনারেল) আর প্রথম প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানে প্রথম সামরিক শাসন জারীর কৃতিত্বও এই হুজুরের। সামরিক শাসন জারীর বিশ দিনের মাথায় উনাকে ক্ষমতা আর দেশ দুইটাই ছাড়তে হয়। গাদ্দারদের প্রথম পুরুষ যেমন চতুর্দশ পুরুষও তেমনই তার নিজের দেশ-জাতির বারোটা বাজিয়ে গেছে, কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি।

২.

ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্‌। জিন্নাহ্‌ হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যার ব্যক্তিগত জীবনাচরনে কোন ধর্মের অনুশাসন মেনে চলার ব্যাপার ছিলোনা। একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের জাতির পিতা শরীয়তে পাবন্দ হবেন এমনটা ভাবা স্বাভাবিক হলেও জিন্নাহ্‌ নামাজ আদায় করতেন না বা রমজানে রোজা রাখতেন না। ১৯৪৭ সালের ১৪ই অগাস্ট ছিল রমজান মাসের একটি দিন। সেদিন দুপুরে জিন্নাহ্‌ লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে মর্ধাহ্ন ভোজে নিমন্ত্রিত করেন। নামাজ-রোজা ইত্যাদি ধর্মীয় আচার ব্যক্তিগত ব্যাপার হলেও যে ব্যক্তি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেন তার এসব ব্যক্তিগত ধর্মাচরণও আলোচনায় আসে। ইসলামের সাথে সংস্রববিহীন, বিলাসী-অপব্যয়ী এমন ব্যক্তিকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের জাতির পিতা বানানোর মতো ভণ্ডামী পাকিস্তানীদেরই মানায়। জিন্নাহ্‌ও তার দেশের মানুষদের মতই ভণ্ড ছিলেন। নিজে অগ্নিউপাসক রতন বাঈকে বিয়ে করলেও তার কন্যা একজন খ্রীস্টানকে বিয়ে করতে চাইলে তিনি তাকে ভৎসনা করেন ও তাকে পরিত্যাগ করেন। জিন্নাহ্‌ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নন্‌ বা এর প্রথম পর্যায়ের সদস্যও ছিলেন না। বিশের দশকে কংগ্রেসের রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে তিনি পাকাপাকি ভাবে লন্ডনে চলে যান ও সেখানকার বারে আইনজীবী হিসাবে প্রাকটিস শুরু করেন। লিয়াকত আলী খান ও অন্যান্য নেতারা অনুনয়-বিনয় করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। দেশে ফিরে তিনি মুসলিম লীগের কর্ণধার ও সেখান থেকে পাকিস্তানের জাতির পিতা হয়ে যান। আর তাতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় মুসলিম লীগের এতোদিনের ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবদান তার নিচে চাপা পড়ে যায়।

৩.

পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আইউব খান হচ্ছেন এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাসের একমাত্র পাকিস্তানী ফিল্ড মার্শাল। অতীতের রাজা-গজাদের কথা বাদ দিলে আধুনিক বিশ্বে তিনিই একমাত্র স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল। তিনি ক্ষমতায় থাকা কালে তার দেশে একমাত্র সংঘটিত যুদ্ধটি হচ্ছে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ। তাও সেই যুদ্ধে তার দেশ জেতেনি। তবু তিনি নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নিত করেন। তাছাড়া তিনি নিজেকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধি “নিশান-ই-পাকিস্তান”-এও ভূষিত করেন। দুঃখ হয় নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবার ক্ষমতাটা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের হাতে নেই কেন সেটা ভেবে। সেটা থাকলে আইউব খান শান্তিতে নোবেল প্রাইজটাও পেতে পারতেন।

৪.

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে মোট চার বার - ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ আর ১৯৯৯ সালে। প্রথম দফা যুদ্ধ চলে ৪৩৭ দিন ধরে (২১শে অক্টোবর, ১৯৪৭ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৪৮), আক্রমণকারী পাকিস্তান, উদ্দেশ্য কাশ্মীর নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়া। যুদ্ধে ভারত পক্ষে ১৫০০ জন নিহত ও ৩,১৫২ জন আহত হয়, পাকিস্তান পক্ষে ১৫০০ থেকে ২,৬৩৩ জন নিহত ও ৪,৬৬৮ জন আহত হয় - এই হিসাবে পাকিস্তানের ক্ষতি বেশি। যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ আসে। এই হিসাবেও পাকিস্তান পিছিয়ে।

দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ চলে ৫০ দিন ধরে (৫ই অগাস্ট থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫), আক্রমণকারী পাকিস্তান, উদ্দেশ্য ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা। যুদ্ধে ভারত পক্ষে ৩,০০০ জন নিহত হয় ও ভারত নিজের ৩০০ বর্গমাইল জায়গার নিয়ন্ত্রণ হারায়, পাকিস্তান পক্ষে ৩,৮০০ জন নিহত হয় ও পাকিস্তান নিজের ৭০০ বর্গমাইল জায়গার নিয়ন্ত্রণ হারায়। এই হিসাবে পাকিস্তানের ক্ষতি বেশি।

তৃতীয় দফা যুদ্ধ চলে ১৪ দিন ধরে (৩রা ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১), আক্রমণকারী পাকিস্তান, উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠেকানো। যুদ্ধে ভারত পক্ষে ৩,৮৪৩ জন নিহত হয় এবং কোন জায়গার নিয়ন্ত্রণ হারায় না বা লাভ করে না, পাকিস্তান পক্ষে ৯,০০০ জন নিহত হয়, নিজ দেশের ৫৫,৫৯৮ বর্গমাইল জায়গার নিয়ন্ত্রণ ঐ জায়গার বৈধ অধিকারীদের কাছে চিরতরে হারায় এবং ৯৩,০০০ জন সৈন্য প্রতিপক্ষের নিকট আত্মসমর্পণ করে। এই হিসাবে পাকিস্তানের ক্ষতি সমূদয়।

চতুর্থ দফা যুদ্ধ চলে সর্বোচ্চ ৬৪ দিন ধরে (মে’র শুরু থেকে ২৬শে জুলাই, ১৯৯৯), আক্রমণকারী পাকিস্তান, উদ্দেশ্য ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কারগিল অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা। যুদ্ধে ভারত পক্ষে ৫২৭ জন নিহত হয়, পাকিস্তান পক্ষে নিহতের সংখ্যা ৪৫৩ থেকে ৪,০০০ জন - অর্থাৎ পাকিস্তানের ক্ষতি বেশি। যুদ্ধে কোন পক্ষ কোন ভূমি না হারালেও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সমর্থণ বিবেচনায় পাকিস্তানের ক্ষতি সমূদয়।

দেখা যাচ্ছে প্রতিবারই পাকিস্তান প্রথম আক্রমণকারীর ভূমিকায়, কিন্তু যুদ্ধ শেষে ক্ষতি তারই বেশি। তাছাড়া যতদিন গেছে পাকিস্তানের দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার ক্ষমতা ততো কমেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। তবু কারা কারা যেনো পাকিস্তানীদের দুনিয়ার সেরা যোদ্ধার জাত বলে দাবী করে।

৫.

আকলিম আখতার নাকি গায়ক আদনান সামী খান আর ফখ্‌রে আলমের দাদীস্থানীয় - এমন কথা শোনা যায়। আকলিম আখতারকে আজকের বাংলাদেশের মানুষরা না চিনলেও যারা ষাটের দশকে প্রাপ্তবয়ষ্ক ছিলেন তারা “জেনারেল রাণী”কে চিনবেন। জেনারেল রাণীর পেয়ারের লোক, যাকে তিনি “আগা জানি” বলে ডাকতেন, তাকে আমরা নরপশু ইয়াহিয়া খান নামে জানি। ইয়াহিয়া খানের আমলে তার এই মিসট্রেস ছিলেন রাষ্ট্রের অঘোষিত দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ইয়াহিয়ার পূর্বসুরী আইউব খানের ব্রিটিশ মডেল ক্রিস্টিন কেলারসহ বহু নারীর সাথে সম্পর্ক থাকলেও তাদের কেউ তার ক্ষমতায় ভাগ বসাতে পারেনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সচ্চরিত্রবান বহুবল্লভেরা ছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রেসিডেন্ট।

৬.

বহুজাতিক যুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ বাদ দিলে আধুনিক বিশ্বে একক কোনো যুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্যের আত্মসমর্পণ ঘটে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। এই দিন পাকিস্তানের ৯৩,০০০ সৈন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা অর্জনের পনের বছর পরেও বাংলাদেশের মোট সৈন্য সংখ্যা ৯৩,০০০ ছিলো না। ৯৩,০০০ সৈন্য নিয়ে কোন সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণ শুধু সেই দেশ নয়, যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়গুলোর একটি।

৭.

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর প্রধান আমির আবদুল্লাহ্‌ খান নিয়াজীর ভাতিজা সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান নিয়াজী ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের প্রাক্কালে জিও টিভিতে বলেন যে - ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের বর্বরতার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ইমরান খান বর্বরতার জন্য পাকিস্তানীদের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন, কিন্তু এর জন্য দায়ী পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিচার দাবী করেন না। কারণ, তাতে তার প্রয়াত চাচা সবার আগে ফাঁসবে।

৮.

বাংলাদেশের মানুষ মাত্র ২৬৬ দিন মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করে। এই ২৬৬ দিনে মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশ পরিপূর্ণ সরকার ব্যবস্থা গঠণ ও পরিচালনা, নিয়মিত সামরিক বাহিনী (সেনা, বিমান ও নৌ) গঠণ ও পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। এই সময়ের মধ্যে নিজস্ব মুদ্রা ও ডাকটিকেটও চালু করা হয়। এতো অল্প সময়ে এই কাজগুলো আজ পর্যন্ত পৃথিবীর আর কোনো মুক্তিবাহিনী করতে পারেনি।


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

ইস্কান্দার মীর্জা, মীর জাফরের বংশধর আর ক্রিকেটার ইমরান খান, পাকি যুদ্ধাপরাধী জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা-- এই দুটি তথ্য ই নতুন আমার জন্য। পোস্ট ভাল লেগেছে।

নীল সমুদ্র

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

অনেকগুলো নতুন জিনিস জানলাম।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মেম্বর, ইমোর নতুন চালান পাইছেন মনে হয়। একেবারে ঢাইল্যা দিছেন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

দেশে ফিরে তিনি মুসলিম লীগের কর্ণধার ও সেখান থেকে পাকিস্তানের জাতির পিতা হয়ে যান।

আধুনিক বিশ্বে তিনিই একমাত্র স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল।

কারা যেনো পাকিস্তানীদের দুনিয়ার সেরা যোদ্ধার জাত বলে দাবী করে।

পাকিস্তানীরা আজন্ম বাটপার, লম্পট ও পরাজিত! তবু তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করতে পছন্দ করে!!!

কারণ, তাতে তার প্রয়াত চাচা সবার আগে ফাঁসবে।

ওরা কী পরিমান সূক্ষ্ম প্রতারক!

৯৩,০০০ সৈন্য নিয়ে কোন সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণ শুধু সেই দেশ নয়, যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়গুলোর একটি।........বাংলাদেশের মানুষ মাত্র ২৬৬ দিন মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করে। এই ২৬৬ দিনে মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশ পরিপূর্ণ সরকার ব্যবস্থা গঠণ ও পরিচালনা, নিয়মিত সামরিক বাহিনী (সেনা, বিমান ও নৌ) গঠণ ও পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। এই সময়ের মধ্যে নিজস্ব মুদ্রা ও ডাকটিকেটও চালু করা হয়। এতো অল্প সময়ে এই কাজগুলো আজ পর্যন্ত পৃথিবীর আর কোনো মুক্তিবাহিনী করতে পারেনি।

এই শেষ স্তবক নমস্য গুরু গুরু , শক্তিসঞ্চারী!!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। আমাদের জেনে রাখা দরকার কোন কোন বিষয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। মাথা নিচু করে নয়, সসম্মানে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীলকান্ত এর ছবি

গুরু গুরু
গুল্লি


অলস সময়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুল্লি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মন মাঝি এর ছবি

চমৎকার! তবে জিন্নাহ সম্পর্কে আপনার উল্লেখিত প্রচলিত অভিযোগগুলি মিথ্যে না হলেও কিছুটা হয়তো একপেশে। আমার অতিক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা বুঝেছি, এই উপমহাদেশের গত দেড় শ' বছরের যৌথ ইতিহাসে একদম নিখাদ ভিলেন বা নিখাদ হিরো প্রায় কেউই নয় (কিছু ব্যতিক্রম বাদে অবশ্যই)।

****************************************

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জিন্নাহ্‌কে হিরো বা ভিলেন কোন কিছু বানানো এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধুমাত্র জিন্নাহ্‌ সংক্রান্ত কিছু বৈসাদৃশ্যের কথা বলতে চেয়েছি।

নিজের বোধের কথা বলি। আত্মকেন্দ্রিক বা স্বার্থপর মানুষ জ্ঞানত বা নিজের অজান্তে অন্যের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। নিজের সীমা বুঝতে পেরেও যে রশি আঁকড়ে থাকে সে অন্যের ক্ষতিই করে। ১৯৪৭ সালে অখণ্ড বাংলা স্বাধীন না হয়ে ভাগ হবার জন্য জিন্নাহ্‌ আর নেহেরুর ভূমিকা কী সেটা ইতিহাস পড়ুয়া মানুষ মাত্র জানেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মন মাঝি এর ছবি

ঐ শব্দদু'টি জটিলতা এড়িয়ে আমার মন্তব্যটা সহজে ও সংক্ষেপে সারার জন্য ব্যবহার করেছি। হয়তো খুব এপ্রোপ্রিয়েট হয়নি। আপনি যে অসঙ্গতিগুলি তুলে ধরেছেন তা সর্বাংশে সত্যি। সমালোচনা করা বা ভুল ধরা আমার উদ্দেশ্য নয় - আমি শুধু মিথস্ক্রিয়ার স্পিরিটে প্রাসঙ্গিক ভাবে আমার ক্ষুদ্র ভাবনাটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।

আমি যা বলতে চেয়েছি তা হলো - ইতিহাসের অনেক অজানা, অনালোচিত, ধামাচাপা পড়ে যাওয়া বা সময়ের বিচারে ইনএক্সপিডিয়েন্ট দিক, তথ্য বা ব্যাখ্যা থাকে যার উপর কালের চক্রে নতুন আলো পড়লে অনেক সময় পুরনো জানা সত্য তথ্য বা ব্যাখ্যাই আবার ভিন্ন একটা মাত্রা পায়। ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানাটা কদাচিৎ সম্পূর্ণ। ক্ষেত্রবিশেষে জানার ইচ্ছাটাও অনেক সময় অপূর্নাঙ্গ বা সিলেক্টিভ। এটা আমার বোধের কথা হাসি -- অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী হয়ে গেলে ক্ষমা করে দিবেন আশা করি।

বাংলাভাগের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন তাতো ঠিকই। তবে আমার ধারণা ভাগটা শুধু ঐ দু'জন মাত্রের ইচ্ছাতে ঘটেনি - বরং তারা ছিলেন দৃশ্যমান টিপ অফ দ্য আইসবার্গ। আর ঐ আইসবার্গের বেশির ভাগটাই হয়তো ছিল তৎকালীন সমাজের বিশেষ আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-পতিদের থেকে শুরু করে তৃনমূল পর্যন্ত প্রোথিত। তবে ইতিহাসের আলোচনায় দেখি সাধারনত আলোটা গিয়ে টিপ অফ দ্য আইসবার্গের উপরেই পড়ে অনেক সময়। আর হ্যাঁ, ইতিহাসের ক্ষেত্রে অঘটিত অতীতের আলোচনা বা ঘটিত-র সাথে তার তুলনামূলক মূল্যবিচার খুব একটা ফলপ্রসূ বা বাস্তবসম্মত চর্চা নয় বলেই আমার মনে হয়। 'স্বাধীন বাংলা'-র ইস্যুটাও আমার ধারনা সেই গোত্রেরই। তাছাড়া, আমার ধারনা এমনকি জিন্নাহ চাইলেও 'স্বাধীন বাংলা' আসলে কোনমতেই হত না। তবে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

যাহোক, 'মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত'-জ্ঞান নিয়ে আমার নাগালের অনেক বাইরে অনেক বড় বিষয়ে বড় বড় কথা বলে ফেলছি বলে মনে হচ্ছে। তাই, আর কথা না বাড়িয়ে একটা শেষ পর্যবেক্ষন দিয়ে বিষয়টা ছেড়ে দেইঃ জিন্নাহর (বা সে সময়ের অন্যান্য যে কোন একদম নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদের) মোটিভেশনটা আপনি যদি স্রেফ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি, ক্ষমতালিপ্সা, নেতৃত্বলিপ্সা, স্বার্থপরতা, ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেখতে চান তাহলে আমার মনে হয় সেটা একেবারেই একমাত্রিক ও ফ্ল্যাট হয়ে যাবে। ভুল নয়, তবে একপেশে ও খণ্ডিত। সে সময়ের দুই শিবিরের শীর্ষস্থানীয়দের কারো মোটিভেশনই আমার মনে হয় এতটা একমাত্রিক ছিল না। জিন্নারও না। নেতৃত্বলিপ্সা, স্বার্থপরতা তার মধ্যে ছিল নিশ্চয়ই আরো অনেক রাজনিতিবিদের মতই- হয়তো অনেক বেশিই ছিল - তবে অন্যবিধ শক্তিশালী আইডিওলজিকাল মোটিভেশনও ছিল - যার ঠিক-ভুল বিচার কিন্তু ভিন্ন প্রসঙ্গ। এসবও ইতিহাসের বইতেই আছে - তবে বিরোধী ওরিয়েন্টেশনের ইতিহাসবিদদের কাছে এগুলি বহুদিন স্বীকৃতি পায়নি। ইদানিং কিন্তু আস্তে আস্তে একটু একটু পাচ্ছে। আমরা কেউ সেই পাঠকে আদৌ পাত্তা দিব কিনা সেটা আমাদের চয়েস। না দিলেও বিরাট কোন অসুবিধা নেই।

****************************************

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি যা বলতে চেয়েছি তা হলো - ইতিহাসের অনেক অজানা, অনালোচিত, ধামাচাপা পড়ে যাওয়া বা সময়ের বিচারে ইনএক্সপিডিয়েন্ট দিক, তথ্য বা ব্যাখ্যা থাকে যার উপর কালের চক্রে নতুন আলো পড়লে অনেক সময় পুরনো জানা সত্য তথ্য বা ব্যাখ্যাই আবার ভিন্ন একটা মাত্রা পায়।

ঠিক আছে, সহমত। নিঃসন্দেহে এটা ইতিহাসের পূর্ণাঙ্গ পাঠ নয়। তবে পূর্ণাঙ্গ পাঠের ইন্টারপ্রেটেশনটা গড়ে উঠতে এই তথ্যগুলো দরকারী বই কি।

বাংলা ভাগের দায়টা আমি সর্বতোভাবে জিন্নাহ্‌ আর নেহেরুর ঘাড়ে চাপিয়ে দেইনি। সেটা সত্যও নয়। দেশভাগ বিশাল ও ব্যাপক বিষয়। এটা ১৯৪৭ সালে হুট করে ঘটা কোনো ঘটনা নয়। তবে অবস্থানগত কারণেই জিন্নাহ্‌ আর নেহেরুর তৎকালীন ভূমিকা অধিক সমালোচনার মুখোমুখি হবে। তাছাড়া তাদের দায়টা অস্বীকার করার বা হালকা করার উপায়ও নেই। আপনার ভাষ্য অনুযায়ী তারা আইসবার্গের দৃশ্যমান ১০% হয়তো, তবে বাকি ৯০%-কে স্বীকার করেও ১০%-এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে।

ঐ সময়ের নেতৃত্বের কথা বলতে গিয়ে আপনি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি, ক্ষমতালিপ্সা, নেতৃত্বলিপ্সা, স্বার্থপরতা, সম্ভাব্য ভ্রান্ত আইডিওলজিক্যাল মটিভেশন সবই যদি স্বীকার করেন তাহলে তো আর কিছু বাকি থাকলো না। ১৮৮৫ সালে অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউমের গড়া ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন জানিয়ে “ডিভাইড এন্ড রুল” নীতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গড়া নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতৃত্বে আপনার বলা অমন লোকেরাই তো থাকার কথা। স্বাধীনতা বা মুক্তির আকাঙ্খায় লড়া এই দলগুলোর সাধারণ নেতা-কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষাকে আমি অবনত মস্তকে স্বীকার করি, কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক ভাবে গঠিত দলের নেতৃত্বকে পূর্ণ আস্থায় নিতে পারি না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পড়লাম

সিরিজ চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। এটা সেই অর্থে সিরিজ নয় স্যার। কিছু পরিমাণ অণুপোস্ট জমা হলেই এই রকম পোস্ট দেয়া হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

১। ভাল লেগেছে। টুইটারের যুগে অনুব্লগ এড়আনোর উপায় নেই।

২। পাকিস্তান মুর্দাবাদ।

৩। মীর জাফরকে গাদ্দার বলা হয়। তবে আমরা ধরে নিয়ে আরাম পাই, পলাশীতে তার গাদ্দারীর ফলে বাংলার আলাদা করে কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমি বলতে চাই, পলাশীতে সিরাজ জিতলে, ইস্কান্দর মীর্জার নাম হত ইস্কান্দরদ্দোঊলা, এই যা। পলাশির তিন চরিত্রের কে জতল, আর কে কার সমর্থন করল, এতে কিছু আসে যায়না। সেখানে তিন চরিত্রের যেকোন একজনের জয় সমান বাংলার পরাজয়। আমরা দেখেছি আরব জাফর তার তুর্কী শালির চাঁদাবাজ ছেলে (সিরাজ) এর পাশে যুদ্ধ করতে না এসে ইংরেজের ইন্ধনে চুপ থেকেছে। সিরাজ তখনো পুরো নবাব নয়, কারন তার কাছে নবাবী চালানোর টাকা নেই। কিন্তু তার নবাবীর হাল হাকিকত কি হত আমরা বুঝতে পারি যখন সে ঠিক মাস দুয়েক আগেই নাস্তানাবুদ করে বরখাস্ত করা খালুর (যে কিনা আবার নিজেই নবাব হতে চায়) ওপর ভরসা করে সুসজ্জিত ইংরেজের সাথে যুদ্ধে যায়। কিন্তু মীর জাফর যদি তার শালির ছেলের পাশেই থেকে যেত, তাতে বাংলার সুবিধা হত কচু। সিরাজ পলাশিতে জিতে এই জাফরের সঐন্য দিয়েই বাংলার মানুষকেই পিশে তার খালি টাকশাল পুরন করত, ঠিক যেমনটা সে কাশিমবাজার ও ফোর্ট উইলিয়ামে করে দেখিয়েছে।

৪। পাকিস্তানের ইতিহাসে বংশানুক্রমিক গাদ্দারীর কথা বলা হল। আমি অনুরোধ করছি স্বআধীন বাংলাদেশের বংশানুক্রমিক গাদ্দারীর কথাটাও সবিস্তারে বলুন। কিউসি, ইস্পাহানী, ইসলাম, বাহাই, চিরলা কাজীবাড়রী, মগবাজার - এদের লতাপাতার কথা আপনার প্রজন্ম যত ভাল জানেন, আমাদের ও পরের প্রজন্ম সেটা অতটা জানেনা। হারিয়ে যাওয়া নাজিদের মত এরা ও এদের বংশধরেরা ক্রমেই বিস্মৃতির আড়আলে চলে যাচ্ছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। ধন্যবাদ। সহমত।
২। পাকিস্তানের পরিণতি সে নিজেই ডেকে আনে, অন্য কারো সাহায্য লাগে না।
৩। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ জিতলেও ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতা অনিবার্য ছিলো হয়তো। শশাংকের মৃত্যুর পর বাঙালী শাসক আর কৈ (মাঝখানে রাজা গণেশ আর জালালুদ্দিন-যদু)। নিম্নবর্গের মানুষের দৃষ্টিতে ইতিহাসের পুনর্পাঠ শুরু হয়েছে সেটা একশ' বছরও হয়নি। সুতরাং প্রাচীন পদ্ধতির দেশপ্রেমিক আর গাদ্দারের সংজ্ঞায়ণ চলবে আরো অনেক দিন। আর যে শব্দগুলো ভাষার বাকবিধিতে ঢুকে গেছে সেগুলো হঠানোর দরকার নেই।
৪। অনুরোধটা আমার পক্ষে রাখা সম্ভব নয়। এর কারণ, জানার অভাব, তথ্যের অভাব। যারা জানেন তারা যতটুকু জানেন ততটুকু লিখলেও হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কেশব এর ছবি

অনেক নতুন তথ্য জানতে পারলাম, ধন্যবাদ এই অসাধারণ রচনার জন্য হাসি

শেয়ার দিলাম হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

(গুড়)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বুড়ো মানুষের রক্তে শর্করার পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। তাকে যখন তখন গুড় দেয়াটা কি ঠিক?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপ্নের বয়স ২৫-এ স্টিকি না?!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

২৫-এ স্টিকি হচ্ছে নজ্রুলিস্লামের বয়স। আমি তার চেয়ে অল্প কয়েকদিনের বড়। আর কৌস্তুভ তো এই সেদিনের ছেলে, আমার চেয়ে কয়েক মাসের ছোট তো হবেই - তাই নিজেকে বুড়ো বললাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। চলুক
লেখার জন্যে ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

দারুণ লাগল। সিরিজ হিসাবে চললে ভাল হত (দুর্দান্তর ৪ ন মন্তব্য)।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ বস্‌। দুর্দান্তের ফাঁদে পা দেবার মতো জ্ঞান আমার নাই। যারা এইসব বিষয়ের কোনো একটি সম্পর্কেও জানেন তারা লিখলেই ভালো হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

উত্তম জাঝা!

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ বস্‌!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

Bijoy_369 এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে। ১৯৪৮ সালের যু্দ্ধের উল্লেখিত সময়কাল (৪৩৭ দিন) আর তারিখ গুলোর ব্যবধান এক নয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৪৮ কে ভুলে ৩১শে অক্টোবর, ১৯৪৮ লিখেছিলাম। তারিখ ঠিক করে দিলাম। মনোযোগ দিয়ে পড়ার ও ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

দুর্দান্ত। পাকিস্তানি স্বেচ্ছাচারী গুণধর সেনাপ্রধানদের কাছ থেকে এর চেয়ে আর কি বেশি আশা করা যায়? কায়েদে আজম তার লেবাসের মাধ্যমে যে ভন্ডামির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এরা তারই ধ্বজাধারী মাত্র।

তবে মনে রাখাটা জরুরি, পরের প্রজন্মের ইমরান খানরা যতই ক্যারিশম্যাটিক হোন না কেন, যতই মানবতার বুলি কপচাননা কেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা শেষমেশ সম্ভব হয়না। যে জাতির ভিত্তিমূলেই সন্দেহ ও বিশ্বাসঘাতকতার বীজ নিহিত, তাদের বিশ্বাস করাটা স্রেফ বোকামি।

তথ্যগুলোর জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ জানবেন।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সত্য প্রকাশিত হবেই, সেটা আজ না হলে আগামী কাল। ইতিহাস সচেতনতা আমাদেরকে ভবিষ্যতে ঠকার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিকেত এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা বস! সরাসরি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
একটা অনুরোধ করতে চাচ্ছিঃ
আপনি যে ঘটনা/তথ্য উল্লেখ করেছেন সেইগুলোর সূত্রগুলো এইখানে দিলে পোষ্টটা আরো শক্তিশালী হয় সেইসাথে আমাদের মত আম-জনতার জন্যেও সুবিধা হয়। তর্কের মঞ্চে এইসব সূত্রগুলো অমোঘ আয়ুধ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অনিকেতদা' তথ্যসূত্রগুলো আমি ইচ্ছে করেই দেইনি। আজকের সময়ে এই ব্যাপারগুলো খোঁজ করা কয়েক মুহূর্তের ব্যাপারমাত্র। এক উইকিপিডিয়া ঘাঁটলেই অনেক কিছু পাওয়া যাবে। আমি চাই এখানে উল্লেখিত কোন তথ্যের ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ হলে তিনি নিজে যেনো একটু খোঁজ-খবর করেন। তাহলে তিনি এর সত্যতা তো পাবেনই সাথে সাথে এমন আরো কিছু তথ্য পেতে পারেন যা আমার জানা নেই বা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।

পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

The Reader এর ছবি

তথ্য গুলোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । " যে জাতির ভিত্তিমূলেই সন্দেহ ও বিশ্বাসঘাতকতার বীজ নিহিত, তাদের বিশ্বাস করাটা স্রেফ বোকামি" ---- অদ্রোহ এর সঙ্গে একমত ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পড়া আর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গুরু গুরু
মুগ্ধ হলাম।

পুনশ্চ: জমিদার নন্দনের জন্য মায়াই লাগল শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। পাকিস্তানে তো সবাই জমিদার। কোন্‌ জমিদারপুতের জন্য মায়া লাগলো?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধূসর অরণ্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- গুরু গুরু

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনাকেও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অনেক কিছু জানলাম পাণ্ডব'দা।
শেষের প্যারাতে এসে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেলো। ঊনিশো পঁচাত্তরের ৩রা নভেম্বর ঘটানোই হয়েছে আমাদের মাথা যাতে কোনোদিন উঁচু হতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য। এর পর থেকে তো আমাদের মাথা কেবল নিচুই হয়ে আসছে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একজন মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তাঁর আদর্শ আর শিক্ষাকে হত্যা করা যায় না। জাতীয় নেতাদের আদর্শ আর শিক্ষাকে আমরা ধারণ আর চর্চা করতে পারলে আমাদের মাথা আপনা থেকেই উঁচু হয়ে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আয়নামতি1 এর ছবি

দারুণ একটা পোষ্ট! প্রিয়তে নিতে পারিনা বলে আফসোস হচ্ছে খুব। ৬. ৮. এই দুটো অনুচ্ছেদ পড়তে গিয়ে বুকের ভেতরটা কেমন যে করলো! ইতিহাসের এসব অধ্যায়গুলো সম্পর্কে আরো বেশি বেশি বলা দরকার। গর্ব করার মত এ সব ব্যাপার গুলোকে পিছনে ফেলে খামোখাই অমূলক সব ইস্যুতে কচুটেপনা মত্ত থাকেন আমাদের রাজনীতির মানুষগুলো। আমাদেরই তাই এসব নিয়ে বেশি করে বলতে হবে। আমি তো মনে করি এসব তথ্যগুলো স্কুলের পাঠ্য বইতে বাধ্যতামূলক ভাবেই অর্ন্তভূক্ত করা উচিৎ এমন একটা নীতি করে যাতে সরকার বদলের তুঘলকীতে ইতিহাসের এসব গর্বের ব্যাপারগুলো বার বার চাপা পড়ে না যায়! ....................আর পাকিস্তানের হতভাগাগুলোর জন্য শুধুই করুণা...ভন্ডের দল! পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়া ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শর্মা-ই-আযম এর ছবি

খুব প্রয়োজনীয় কিছু টুকরো ইতিহাস। এই ইতিহাসগুলো কতিপয় মানুষের খুব ভাল করে দেখা উচিত। আমার কাছে পাকিস্তান জাতীয়তাবাদ ও পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র বিশ্বের প্রধানতম হিপোক্রিসি মনে হয়। যে জাতির পিতাই এক হিপোক্রিট সেখানে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকার কথা না। জিন্নাহ্‌ আর নেহেরু, এই দুই ব্যক্তিই মানবতার শত্রু। এদের কারণেই লাখ লাখ মানুষ মরেছে আর বাস্তুহারা হয়েছে। এদের লোভের কারণেই। কেউ তো বিচার করবে না, কারণ এরা জোচ্চুরি দিয়ে দুটি তথাকথিত প্রজাতন্ত্রের দেশে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে রাজনৈতিকভাবে। মানবতার ভিত্তিতে বিচার করলে এরা দুইজনেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ভাগীদার হবে। যদিও তারা মরে গেছে। তবুও আমি চাই এদের বিচার হোক। ক্ষীণ আশা আছে, হয়তো কোন একদিন হবে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শর্মা-ই-আযম, আপনার বিশ্লেষণে কিছুটা যান্ত্রিক সরলীকরণ আছে। ইতিহাস বিশ্লেষণে আরো বেশি নির্মোহ ও পক্ষপাতশূন্য হতে হয়। দেশভাগ একটা বিশাল ও ব্যাপক ব্যাপার, ব্যক্তি বিশেষের ভূমিকা এখানে অনস্বীকার্য হলেও সেটাই সব নয়। তাছাড়া একাধিক ব্যক্তির ভূমিকা একই হতে পারে না।

পোস্ট পড়া ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অত্যন্ত গোছানো পোষ্ট। ১৯৪৭ পরবর্তী ইতিহাসের পর্যালোচনায় ক্রমান্বয়ে অপরাপর আরও কিছু অবশ্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র নিয়ে এলে কেমন হয়?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌ অণুপোস্টগুচ্ছ ঠিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনার জন্য ডেডিকেটেড নয়। তবে অমন কিছু জানতে পারলে নিশ্চয়ই আপনাদের সাথে তা শেয়ার করবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

১। হ
২। জানা যায়, জিন্নাহ মদপান করতেন,শুয়রের মাংস খেতেন, শরিয়তি আহকাম নামাজ রোজা পালন করতেন না , বাইজিখানায় যাতায়াত ছিল । উড়ে এসে জুড়ে বসে সাবেক কংগ্রেসি জিন্নাহ মুসলীম লীগের কর্নধার বনে যাবার পর টুপি পরতেন , তার মুসলমানিত্ব শুধু এটুকুই !

৩। হ

৪। যারা পাকিদের সেরা যোদ্ধার জাত বলে তারাই আবার প্রচার করে-"আক্রমন করা হারাম, প্রতিরোধ করা ওয়াজিব" । আবার, তারাই আক্রমনকারি পাকিদের প্রতি প্রেম দেখায় ! ওরা ভন্ড , ওরা ভন্ড ।

৫। বান্ধবীদের খাতায় এদেশের অনেক গুনীশিল্পীর নামও শোনা যায় । তবে, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আলুর দোষ পুরনো ব্যাপার তাই বিস্ময়ের কিছুই নেই ।

৬। হ

৭। ইমরানের দায়ী পাকিদের বিচার দাবি না করার হেতু বুঝলাম কিন্তু আমাদের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী পাকিদের বিচার না চাওয়ার হেতু কি ? পঞ্চাশের মানবসৃষ্ট দুর্ভক্ষের প্রাণহানীও গণহত্যাই ছিল , বিচার হয়নি । কেউ দাবিও করেনি ! কিন্তু দায়ী বৃটিশদের প্রতি আমার ঘৃণা জারি আছে । একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিদের বিচারও হয়তো হবে না কিন্তু আমার ঘৃণা জারি আছে ও থাকবে ।

৮। এর কৃতিত্ব একাধিক ব্যক্তি ও দলের উপর থাকলেও এককভাবে একজনের নাম বললে তাজ উদ্দিনের নামই আসবে যেমন ভাষা আন্দোলনে অলি আহাদ । দু’জনই আনসাং হিরো !

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

৭।

ইমরানের দায়ী পাকিদের বিচার দাবি না করার হেতু বুঝলাম কিন্তু আমাদের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী পাকিদের বিচার না চাওয়ার হেতু কি ?

- সেটাই তো বুঝি না বস্‌! ঘৃণা সেটা খুনী ব্রিটিশরা হোক আর খুনী পাকিরাই হোক তাদের প্রত্যেকের প্রতি জারী রাখাটা জরুরী, তাহলেই কখনো না কখনো প্রাপ্য বিচার করাটা সহজ হবে।

৮। আনসাং হিরোদের যথাযথ স্বীকৃতি দেবার দায়টা আমাদের। আমরা যতো বেশি উনাদের কথা বলবো, স্মরণ করবো ততোই ইতিহাস বিকৃতিকারীরা পিছু হটবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আব্দুল্লাহ্ এ.এম. এর ছবি

পোষ্ট ভাল হয়েছে। কয়েকটি তথ্যে সামান্য বিচ্যুতি আছে বলে মনে হয়-
১। জিন্নার মেয়ে দীনা কোন খ্রীষ্টানকে নয়, বিয়ে করেছিলেন নেভিল ওয়াদিয়া নামক জনৈক ভারতীয় বংশদ্ভূত পার্সী যুবককে।
২। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ ৫০ দিন নয়, ১৭ দিন স্থায়ী হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ৬ই সেপ্টেম্বর। এ দিনটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
৩। স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ছাড়া আরও একজন ছিলেন, উগান্ডার ইদি আমিন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. নেভিল নেস্‌ ওয়াদিয়ার বাবা স্যার নেস্‌ ওয়াদিয়া জরথুস্ত্র ধর্ম ত্যাগ করে খ্রীস্টান হয়েছিলেন। নেভিল নেস্‌ ওয়াদিয়া দীনা জিন্নাহ্‌কে বিয়ে করার সময় খ্রীস্টানই ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জরথুস্ত্র ধর্ম গ্রহন করেন।

২. ১৯৬৫ সালের ৫ই অগাস্ট পাকিস্তানীরা কাশ্মীরের লাইন অভ কন্ট্রোল পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে যুদ্ধের সূচনা করে। সুতরাং যুদ্ধ এই দিন থেকে শুরু বলে ধরা যায়। ভারতীয় প্রতি-আক্রমণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের "অপারেশন গ্রান্ড স্লাম" শুরু হয় ১লা সেপ্টেম্বর যা আপনার বলা ৬ই সেপ্টেম্বরেরও আগে। পাকিস্তান সব সময়ই সে যে প্রথমে আক্রমণ করেছে এই ব্যাপারটা অস্বীকার করে গেছে। সুতরাং তারা যে ৫ই অগাস্টের অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে ৬ই সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা দিবস পালন করবে সেটাই স্বাভাবিক।

৩. আপনার তথ্য সঠিক। আমার মনে হয় আরেকটু খুঁজলে এমন আরো স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শালের দেখা পাওয়া যাবে। যেমন, কম্বোডিয়ার লন্‌ নল।

মনোযোগ দিয়ে পড়া আর মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গুরু গুরু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

guest_writerআদু ভাই এর ছবি

কোপাও মামা... গুল্লি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ওডিন এর ছবি

সেই ম্যাচের আগে ইমরান খান যখন এই ক্ষমা-বিচার-থিওরি নিয়া হাজির হইলো এর কয়দিন পরে এক সর্বজ্ঞানী সেলফ প্রোক্লেইমড মুক্তিযোদ্ধা 'জ্যাঠামশাই' এর সাথে তর্কে জড়ায় পড়ছিলাম ইমরানকে পিঁয়াজির ভাতিজা বলে তাচ্ছিল্য করায় (স্বীকার করছি, গুরুজন হোক বা কিংবদন্তীসম ক্রিকেটার, আমি আবার লোকজনকে বেশি ভক্তিশ্রদ্ধা করতে পারিনা- এইটা আমার একট দূর্বলতা খাইছে )। তিনি আবার ইমরান খানকে অর্গাজমিকভাবে উপাসনা করেন। শেষে ছলোছলোচোখে প্রমাণ দাবি করে বসলেন। আমি উলটো বলে বসলাম এহহে এইটা আপনে জানেন না, কি এমুন যুদ্ধ করছেন যে নিয়াজির ভাগিনাভাতিজাদের নামও জানেন না। নিয়াজি কেডা হেইটা জানেন তো। ভদ্রলোক রেগেমেগে উঠে চলে গেছিলেন দেঁতো হাসি

ভাবছি এই লেখাটাকেও কয়দিন পর পর এসে ঠেলাধাক্কা দিতে হবে, আমাদের আবার গোল্ডফিশ মেমোরি কি না হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নর্সদেব, একটা কথা পরিষ্কার করে দেই। ক্রিকেটার ইমরান খান নিয়াজী জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ্‌ খান নিয়াজীর সরাসরি ভাতিজা কিনা এটা নিয়ে কিঞ্চিত বিতর্ক আছে। এক পক্ষ দাবী করে যে তারা দুই এলাকার নিয়াজী তাই তারা সম্পর্কিত নয়। তাদের কথা যদি সত্য বলেও ধরে নেই তাহলেও কতগুলো ব্যাপার মিথ্যে হয়ে যায় নাঃ

১. ১৯৭১ সালে ইমরান খান নিয়াজী একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ ছিলেন এবং সেই সময় তিনি যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়ণরত ছিলেন।

২. ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাঙালীরা ও অনেক ভিনদেশীরা বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক ঘটমান গণহত্যাসহ অন্যান্য বর্বরতার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রকার demonstration করেছেন।

৩. ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের সকল প্রকার মিডিয়াতে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক ঘটমান গণহত্যাসহ অন্যান্য বর্বরতার কথা সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে।

৪. উপরে বর্ণিত ২ ও ৩-এর কোনটিই ইমরান খান নিয়াজীর চোখে না পড়ার কথা নয়। তাছাড়া সেই সময় পাকিস্তানে বসবাসরত তার পরিবার-পরিজন ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পাকিস্তানী কমিউনিটিতেও এটা নিয়ে বিস্তারিতই তার শোনার কথা। কিন্তু ২০১১ সালের আগে এই ব্যাপারে তার নূন্যতম কোনো প্রতিক্রিয়াই লক্ষ করা যায় না।

৫. ইমরান খান নিয়াজী পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের একজন রাজনীতিবিদ ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান। তিনি যখন গণমাধ্যমে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে কিছু বলেন তখন তা ভেবেচিন্তেই বলেন, এবং তার অন্তর্নিহিত অর্থ ও গুরুত্ব আছে।

৬. তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক ঘটমান গণহত্যাসহ অন্যান্য বর্বরতার কথা জেনেও যখন তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবী না করে ক্ষমাপ্রার্থণার কথা বলেন তখন তিনি কার পক্ষে কী 'ইনসাফ' করতে চাচ্ছেন তা বুঝতে কষ্ট হয় না।

৭. অর্থাৎ ইমরান খান নিয়াজী জেনারেল নিয়াজীদের কৃত বর্বরতাকে হালকা করার অপচেষ্টায় রত। এই প্রকার মনোভাবসম্পন্ন মানুষকে জেনারেল নিয়াজীদের মানসিক উত্তরসূরী বলা যায়। তাতে তাকে জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা বলা ভুল কিছু হয় না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ। কৃতজ্ঞতা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার পোষ্ট মনেই আলোচ্য বিষয়কে ভিন্ন আলোয় দেখা, নতুন অভিজ্ঞানের সন্ধান। আমায় বিস্ময়াভিভূত করে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।