• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বুলগেরিয়ার গল্প-০৫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ৩:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. লেখক

আমি গল্প বলতে ভালোবাসি। এক বন্ধু বললেন, আমার যা প্রতিভা তাতে আমার লেখালেখি করা উচিত। ভেবে দেখলাম, আমার গল্পগুলোর চেয়ে হলিউড বা ব্রডওয়ের কাহিনীকারদের রচনা এমন আহা মরি কিছু না। তাই লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার ভালো করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে বলেই মনে হল। অনেক ভেবে-চিন্তে ঠিক করলাম, একবার অন্ততঃ চেষ্টা করে দেখা যাক। তারপর বেশ চেষ্টা-চরিত্র করে একটা ছোট গল্প লিখলাম যার শুরুটা এই রকম,
“সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে ট্যুরিস্টরা বাস থামাতে বললে ড্রাইভার বাস থামালেন। এক রাখাল আনন্দের সাথে বাঁশী তুলে বাজাতে শুরু করলে তার ভেড়াগুলো তার চারপাশে ঘুরতে লাগলো। এটা দেখে একজন ট্যুরিস্ট তার ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতে লাগলেন .....”।
লেখাটা “সিটি জার্নাল”-এর সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দিলাম।

সপ্তাহখানেক যাবার পর গল্পটা এইভাবে ছাপা হলো,
“সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে রাখাল তার গাড়ি থামালেন। একজন ট্যুরিস্ট আনন্দের সাথে বাঁশী তুলে বাজাতে শুরু করলে তার ভেড়াগুলো তার চারপাশে ঘুরতে লাগলো। এটা দেখে একজন ড্রাইভার তার ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতে লাগলেন ......”।
ছাপানো গল্পটা দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সম্পাদক বরাবর কড়া ভাষায় একটা চিঠি লিখলাম যেনো তারা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং গল্পটা আবার সঠিক ভাবে ছাপায়।

এরমধ্যে হলো কি একটা যৌনাত্মক ম্যাগাজিন থেকে আমাকে একটা রগ্‌রগে গল্পের সিরিয়াল লেখার জন্য বেশ ভালো একটা অফার দেয়া হলো। সেখান থেকে থেকে এটাও জানানো হলো যে, গল্পের সাথে যথাযথ ইলাস্ট্রেশনও ছাপানো হবে। এসব আঁকার জন্য তাদের গুণী শিল্পী আছেন।

“সিটি জার্নাল”-এর পরের সংখ্যায় ভুল ছাপার জন্য সম্পাদকের তরফ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে গল্পটা আবার ছাপানো হল। এইবার ছাপা হলো এ’রকম,
“একজন ট্যুরিস্টের আনন্দ দেখে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য থামলেন, এবং গাড়ির চারদিকে ঘুরে বাঁশী বাজাতে লাগলেন। এটা দেখে ড্রাইভার তার ক্যামেরা থেকে রাখাল আর ভেড়াগুলোকে বের করতে লাগলো ......”।

এই বার আমি আর রাগ সম্বরণ করতে না পেরে সম্পাদককে এক চোট ঝাড়লাম। সম্পাদক আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, “ঠিক আছে, সংশোধিত গল্প আর না ছাপিয়ে এই দফা আমরা শুধু ক্ষমা প্রার্থনা ছাপাবো”। “সিটি জার্নাল”-এর পরের সংখ্যায় একটা নোটিশ ছাপা হলো,
“পাঠকেরা লেখক ......-এর গল্পের মুদ্রণ প্রমাদজনিত ভুল সংস্করণ ছাপা হবার জন্য সম্পাদকের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে”।

নোটিশটা আমার চোখে পড়েছিল, কিন্তু “সিটি জার্নাল”কে নিয়ে আর কিছু করার আছে বলে মনে হল না। একই দিনে সৃজনশীল সাহিত্যিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, আমাকে তাদের সংগঠনের সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে। এর এক মাস পরে সাহিত্য অ্যাকাডেমি থেকে চিঠি পেলাম যে আমার গল্পটা এই বছরে “বৈজ্ঞানিক কল্প-গল্প” শাখায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে।

মূল গল্পঃ স্‌ভেতোস্লাভ পেইচেভ

২. ডোরিস

ডোরিসের দিন কাটে তার নামের অক্ষরগুলো নানা ভাবে উল্টা-পাল্টা করে। উল্টা-পাল্টা করা শব্দগুলো থেকে সে সেই জাদুর কম্বিনেশনটা বের করতে চায় যেটা তাকে বলে দেবে কেনো তার বয়স তেরো বছর হতে না হতে সে উন্মাদ হয়ে পড়লো; কেনো সে অদৃশ্য সব লোকের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, কেনো তার মনোচিকিৎসকের উজ্জ্বল চোখগুলো দেখলে সেগুলো উপড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে; কেনোই বা তার পৃথিবীর আর সব মনোচিকিৎসক, নার্স আর মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট যারা কখনো তার চিকিৎসা করেনি তাদের উজ্জ্বল চোখগুলোও উপড়ে নিয়ে কাঁচের জারে জমিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে ততোদিন পর্যন্ত, যতোদিন পর্যন্ত না সে স্বাভাবিক আর একা হয়ে পড়বে।

'ORRIS, ROD, DOORS, DRIS, RIS ..........', ডোরিস সাদা কাগজের উপর ক্রমাগত লিখে যেতে থাকে। এক একটা করে শব্দ লেখা হয় আর সে পরিতৃপ্তির হাসি হাসে। হয়তো এই উন্মত্ততা তার ভাগ্যে লেখা ছিলো বলেই এমনটা হয়েছে। হয়তো সে তার পরিবারের ঐ সব সদস্যদের মতো যারা আরো অনেক দিন আগেই উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলো। হয়তো এটা তার দিনে দশ-বারো ঘন্টা ধরে Doors-এর গান শোনার ফল। হয়তো এটা তার গান শুনতে শুনতে ভদকা দিয়ে ঘুমের ঔষধ খেয়ে অচেতন হবার ফল। ডোরিস বুঝতে পারে না ‘RIS বা DRIS’-এর মানে কী হতে পারে? তার মাথায় এতো কিছু আর এঁটে ওঠে না।

এমন এক সময়ে তার মনোচিকিৎসক ডাঃ আলফোন্সো ঘরে আসেন। তিনি সম্ভবতঃ এতোদিনে ডোরিসের মনের ইচ্ছে বুঝতে পেরে একটু সতর্কতা নিয়েছেন - তার উজ্জ্বল আকর্ষনীয় চোখ দুটোকে ওয়েল্ডারদের গাঢ় নীলরঙা চশমায় ঢেকে এসেছেন। ডাঃ আলফোন্সো মনোচিকিৎসার জন্য আবশ্যকীয় যন্ত্র - একটা বৈদ্যুতিক রড বগলে করে এনেছেন। তাকে দেখামাত্র ডোরিস তার হাতের কাগজটা গোগ্রাসে মুখে পুরে চিবাতে লাগলো। ডাঃ আলফোন্সো দৌড়ে তার কাছে গিয়ে প্রচলিত কায়দায় তার মুখ হাঁ করানোর চেষ্টা করলেন। ডোরিস আর কাগজটা গিলতে পারলোনা। কিছুক্ষণ পর ভেজা, দলা পাকানো কাগজের বলটা উগড়ে দিলো। এইবার তিনি তার হাতের রডটা ডোরিসের গলায় চেপে ধরলেন। ডোরিস মেঝেতে পড়ে যন্ত্রণায় মোচড়াতে লাগলো। এই অবসরে তিনি ডোরিসের লেখা কাগজটা পাঠদ্ধার করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু চিবানোর ফলে আর লালায় ভিজে বেশির ভাগ লেখাই মুছে গিয়েছিলো। তিনি প্রথমে জার্মান ভাষায়, পরে রুশ, ইংরেজী, ফরাসী, ইতালীয় ও গ্রীক ভাষায় গালাগালি আর অভিশাপ দেয়া শুরু করলেন; এবং আবারো রডটা ডোরিসের পাঁজরে চেপে ধরলেন। এইবার ডোরিস সাবধানে লোহার খাটের একটা পায়া আঁকড়ে ধরলো, ফলে বৈদ্যুতিক শক্‌ তাকে আর কাবু করতে পারলো না। ডাঃ আলফোন্সো রেগে মেগে ডোরিসের কিডনী বরাবর কষে লাথি চালালেন। কিন্তু তিনি জানতেন না শরীরের ঐ পাশে ডোরিসের কোন কিডনী ছিলো না। অনেক আগেই একবার রুমানিয়া ভ্রমণের সময় তার অজ্ঞাতে কিডনীটা কেটে নেয়া হয়েছিলো। ডোরিস জানতো যে ডাক্তার তার এই কিডনী খোয়ানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাই তাকে বোকা বানাতে সে “আহ্‌! আহ্‌!” বলে চেঁচিয়ে উঠলো। “বল্‌ পাগলী! ঐ কাগজে কী লিখেছিলি! বল, নয়তো তোর নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে খাবার জন্য আমি নেকড়ে আর বনবেড়ালদের ডেকে আনবো”। আলফোন্সো তার অভিজ্ঞতা থেকে জানেন খুব কম মানসিক রোগীই আছে যারা এই রকমের ভয় দেখানোতে ভয় পায় না।

এইবার ডোরিসের কাছে তার ছিন্নভিন্ন, দলা পাকানো কাগজটার শেষ দুটো শব্দের মানে পরিষ্কার হলো। তাহলে এদের মানে দাঁড়াচ্ছে - বনবেড়ালেরা এসে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে এই পাগলখানার সর্বত্র ছড়িয়ে দেবে! কিন্তু বনবেড়ালদের এই সুযোগ দিতে ডোরিসের কোনো ইচ্ছেই ছিলোনা। সে খাটের পায়াটা কামড়ে ধরলো - তাতে তার হিক্কা ওঠা শুরু হলো। কাঁদতে কাঁদতে সে বললো, “আমি শুধু জানতে চাই, আমি পাগল কেন”! অজস্রে সূঁচের ছিদ্রে ক্ষত-বিক্ষত তার হাত দুটো ছড়িয়ে দিতেই আলফোন্সো সেগুলো ধরে ফেললেন। ডোরিসের হাত দুটো ভেঙে ফেলার প্রবল ইচ্ছে দমন করে তিনি তাকে সোজা করে দাঁড় করালেন, তার সোনালী চুলগুলো ঠিক করে দিলেন, নাকের সর্দি মুছে দিলেন। তারপর কোমল গলায় বললেন, “ডোরিস সোনা! তুমি পাগল, কারণ তুমি পাগলখানায় থাকো”।

আলফোন্সোর কোন কথা ডোরিসের কানে ঢুকছিলো না। তার সমগ্র মনোযোগ নিবদ্ধ হচ্ছিলো ওয়েল্ডারদের গাঢ় নীলরঙা চশমায় ঢাকা আলফোন্সোর উজ্জ্বল চোখ দুটোর দিকে। কী করে চশমাটা খুলে আলফোন্সোর চোখ দুটো উপড়ে নেয়া যায়, কী করে সেগুলো কাঁচের জারে জমিয়ে রাখা যাবে ততোদিন পর্যন্ত, যতোদিন পর্যন্ত না সে স্বাভাবিক আর একা হয়ে পড়বে।

মূল গল্পঃ মম্‌চিল নিকোলভ্‌


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অসাধারণ স্যার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কী অসাধারণ? পেইচেভ আর নিকোলভ-কে যদি বুঝিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক আছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

পেইচেভ, নিকলভ এবং পাণ্ডভ(ব) তিনজনই অসাধারণ। ^:)^

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

ইংরেজীতে লেখকদ্বয়ের নামের বানান কী, জানালে খুশি হব।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

Svetoslav Peytchev (Светослав Пейчев) আর Momchil Nikolov (Момчил Николов)


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

লেখকে: কী বিড়ম্বনারে বাবা!!! দু:খ প্রকাশেও সব উল্টে গেল!!!

ডোরিসে: অন্যরকম লাগল। মানসিক হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আসলেই শঙ্কার জায়গাটি রয়েছে!!!

অনুবাদ খুব সাবলীল হয়েছে, অনুবাদই মনে হয় নি আমার কাছে!!! (Y)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। আমার কাজটাও আসলে ইংরেজী অনুবাদ থেকে করা। মূল গল্পগুলোর ভাষার সৌন্দর্য কেমন হতে পারে সেটা ভাবতেই পারিনা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, আসলেই ভাবা যায় না!!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গল্প দুটো ক্ল্যাসিক। আর অনুবাদ খুবই ভালো হয়েছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জবর!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

(ধনেপাতা)


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ঝরঝরে অনুবাদ, প্রথম গল্পটা-ও সেইরকম!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। এই প্রচেষ্টা আপনাদের ভালো লাগলে, বুলগেরিয় সাহিত্যের ব্যাপারে আরো আগ্রহী করে তুললে আমার চেষ্টা সার্থক হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বইখাতা এর ছবি

গল্প দুইটাই ভাল। তবে প্রথমটা বেশি ভাল। :)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এর কৃতিত্ব লেখকদের, অনুবাদকদের না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

প্রথমটা বেশী ভাল্লাগলো! দ্বিতীয়টা পড়ার সময় কেন জানিনা শাটার আইল্যান্ডের কথা মনে পড়ছিলো বার বার। কোনও মিল নেই, তবুও! :-s

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। কোন জিনিসটা পড়ে কার মাথায় অন্য কোন জিনিস যে ঘাই মারবে তা কে বলতে পারে!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আয়নামতি1 এর ছবি

আজব! দুষ্ট বালিকার মত আমারও ঐ মুভির কথা মনে পড়েছে :p ! দুটো অনুবাদই অনবদ্য (জাঝা)
মডুদের কাছে সুগারফ্রী কুকি-বা চকোলেটের ইমু জুড়ে দেবার জন্য আব্দার জানাচ্ছি। কারণ খুব সম্ভবত পাণ্ডবদাই মনে হয় গুড়ে সমস্যার কথা বলেছিলেন। যদি ভুল বলে থাকি, ক্ষমাপ্রার্থী (পপ্পন)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।

আপনি ঠিকই বলেছেন। এই প্রৌঢ়ই বয়সজনিত কারণে কৌস্তুভকে গুড়ে সমস্যার কথা বলেছিলো। তবে সুগার ফ্রি চকোলেট বা কুকি দুইটাই আমার না-পছন্দ। চিপ্‌স/ক্রিসপ/ঝালমুড়ি/চানাচুর/পপকর্ন খাওয়াতে পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দিগন্ত বাহার () এর ছবি

প্রথমটা পড়ে হা হা প গে...দ্বিতীয়টা পরে 'ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কাকুস নেষ্ট' এর কথা মনে পড়ল।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঠিক, একই সাথে মার্কেজের I Only Came to Use the Phone গল্পটার কথাও মনে পড়ার কথা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

অসাধারণ স্যার। এত স্মুথ অনুবাদ পড়লে ভারী ভালো লাগে!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। আসলে দুই হাতফেরতা জিনিসে ট্যুইস্ট, পান, স্যাটায়ারের তীক্ষ্ম কোনগুলো অনেক মোলায়েম হয়ে যায়। আর তাতেই অমন স্মুথ মনে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক(শান্তিপ্রিয়) এর ছবি

অনুবাদ লেখা অনেক সময়ই এড়িয়ে চলি ভাষার সাবলীলতার অভাবে। আপনার লেখার প্রথম দু-তিন লাইন পড়ে বুঝতেই পারিনি অনুবাদ(উপরের ট্যাগটা খেয়াল করিনি প্রথমে)।

অসাধারণ গল্প(বিশেষ করে প্রথমটা), অসাধারণ অনুবাদ। ^:)^

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।

অনুবাদ লেখা (তা যারই হোক) প্রথমে যদি একটু পড়ার চেষ্টা করে দেখেন তা সাবলীল না তাহলে সেটা বাদ দিন। এতে লেখকের প্রতি সুবিচার করা হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আশালতা এর ছবি

দারুন দারুন দারুন !!!

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পেইচেভ যে দারুণ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। নিকোলভ্‌ সবে পড়া ধরেছি - মন্দ নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দারুণ লাগলো :) আপনার অন্যান্য অনুবাদগুলোও তাই।

তুলিদির উপকথার সাথে আপনার অনুবাদগুলো নিয়েও একখানা বের করলে হয় না?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।

তুলিরেখার কাজ আর আমার কাজ একেবারেই ভিন্ন বিষয়ের। দুটো একসাথে আসতে পারে না। তবে তুলিরেখার বইটা বের হওয়া (ইলাস্ট্রেশনসহ) জরুরী। বাংলা ভাষায় অমন বইয়ের অভাব আছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

দুটো গল্প দুই রকমের ভাল লাগল, চমৎকার।

তুমি পাগল কারণ তুমি পাগলখানায় থাকো

দুর্দান্ত!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।