পুরনো বই-খাতা, খবরের কাগজ আর ম্যাগাজিনের বিনিময়ে আপা কড়কড়ে দশ টাকার নোটের সাথে বাড়তি যেটুকু কটকটি পেয়েছিলো আমাদের বাকি তিন ভাই-বোনের চোখ ছিল সেদিকে। কিন্তু আপার চোখ ছিল কটকটিওয়ালার টুকরির পুরনো অন্য বইগুলোর দিকে। সেখানে হাত বাড়িয়ে আপা একটা মলাট ছেঁড়া বই তুলে নিল, নাম - মোহাম্মদী খাবনামা। বইটা কিসের তাই বুঝতে পারলাম না। আপা বইটা নিতে আগ্রহী কিন্তু তার জন্য টাকা দিতে আগ্রহী না। কটকটিওয়ালা টাকা না দিলে কটকটি দেবে না, তাতে আমাদের তিন জনের আপত্তি আছে। আপার জেদের কাছে আমাদের আপত্তি পাত্তা পায় না। অতএব লোভনীয় কটকটির বদলে আমরা মোহাম্মদী খাবনামার মালিক হলাম। বইটা খুলে দেখা গেলো সেখানে ফালনামা আর হরকতে বদন নামের দুটো বড় অধ্যায় আছে। এগুলো কোনটারই মাথামুন্ডু বুঝলাম না। যে জিনিস বুঝিই না তার জন্য কটকটি হাতছাড়া করার কী মানে! আপা বুঝিয়ে দিলো স্বপ্নে আমরা যা দেখি তার অর্থ জানা যায় খাবনামা থেকে। হরকতে বদন মানে হচ্ছে গায়ের কোথায় তিল থাকলে কী হয়, শরীরের কোন অংশ আপনা থেকে কেঁপে উঠলে কী হয়, কারো আকৃতি আর চেহারা দেখে বুঝতে পারা সে কেমন লোক ইত্যাদি। ফালনামার অর্থ আপাও ঠিক বুঝতে পারেনি।
বইটা আপার তথা আমাদের সম্পত্তি হলেও বিকেলের মধ্যে সেটা মায়ের দখলে চলে যায়। ছোটদের নাকি এসব জানার দরকার নেই। আমি প্রায় রাতেই স্বপ্ন দেখি, যদিও তার খুব কমই সকালে মনে থাকে। সেসব স্বপ্নের মানে জানলে ভালো হতো। কিন্তু মা আমার সেসব স্বপ্নকে পাত্তা দিলেন না। “তুই আবার কী স্বপ্ন দেখিস”? এমন প্রশ্নের উত্তর আমার মুখে যোগায় না, উত্তর ঠিক জানাও নেই। কয়েকদিন পর সিনেমার গান, নামাজ শিক্ষা, গীত আর পত্রলেখার বই নিয়ে হকার এলে আপা তার কাছ থেকে ছয় টাকা দিয়ে ‘খা’বের তাবীর’ নামে একটা বই কেনে। গোলাপী মলাটের বইটা আসলে আরেকটা খাবনামা - কেবল নাম ভিন্ন। বয়সে বড় বলে আপা মায়ের দখলে থাকা দুটো বইই পড়ার সুযোগ পায়। বই দুটো মিলিয়ে দেখতে দেখতে আপা বলে ওঠে,
- যত্তোসব ফালতু কথাবার্তা!
-কেন?
- এই দ্যাখ! এই বইয়ে লিখেছে, “স্বপ্নে হলুদ দেখলে = রোগমুক্তির লক্ষণ” আবার এই বইটাতে লিখেছে, “স্বপ্নে হলুদ দেখলে = রোগাক্রান্ত হবার লক্ষণ”। তাহলে কোনটা ঠিক?
আপার গবেষণালদ্ধ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা থাকার কথা না। আমি ভাবি, লোকে স্বপ্নে হলুদ দেখতে যাবে কেন? হলুদ তো হচ্ছে একটা মশলা! হলুদ দিয়ে মাছ বা মাংস রান্না করা দেখতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘটনাটাকে বলা উচিত “স্বপ্নে গরুর মাংস রান্না করতে দেখলে” বা “স্বপ্নে পুঁটিমাছ রান্না করতে দেখলে”। কিন্তু খাবনামাতে অমন যৌক্তিক ঘটনাগুলোর কথা লেখা ছিল না। সেখানে সাপে তাড়া করা, মাকড়সা দেখার মতো আজব আজব ব্যাপার ছিলো। সেখানে আরো বলা ছিল কীভাবে রাতে অজু করে কোন কাত হয়ে শুয়ে কোন দোয়া পড়লে ভালো স্বপ্ন দেখা যায়। বাপরে! একি ঘুমুতে যাওয়া নাকি নামাজ পড়তে যাওয়া! আমি তাই বোধহয় বইয়ে বলা ভালো স্বপ্নগুলো দেখতাম না।
আমি ভালো স্বপ্ন দেখি বা না দেখি মা’কে প্রায়ই দেখতাম সকালে খুব চিন্তিত মুখে খাবনামা দুটো খুলে কী যেন খুঁজছে। খুঁজতে খুঁজতে ঠিক উত্তরটা পেলে মা’র মুখ আনন্দে ভরে উঠেছে এমনটা দেখিনি। বেশিরভাগ সময় দেখতাম মায়ের মুখটা নিরাশায় কালো হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবচে’ সুন্দর মানুষটার মুখ কালো হয়ে যেতে দেখলে আমাদের ভাই-বোনদের কারোই ভালো লাগতো না। স্বপ্নের মানে খারাপ হবার পরিণতিতে আজ আমাদের কপালে কী পরিমাণ পিটুনী জুটতে পারে সেই আশঙ্কা করার চেয়ে মা যে আজ সারাদিন মন খারাপ করে থাকবে সেটা আমাদের বেশি ভাবাতো।
আমাদের তখন ভয়াবহ দুর্দিন। বাবা মাস চলার চালটা ঠিকমতো কিনতে পারতেন কেবল। আর কোন কিছুরই যোগানই নিয়মিত হতো না। সকালে নাস্তায় মুড়ি আর চা, বড়জোর শুকনো রুটি আর চা জুটতো। বিকেলের নাশ্তা বলে কোন বস্তু ছিল না। দুপুর আর রাতে ভাতের সাথে জুটতো নিরামিষ। সব্জির সেই চচ্চড়িকে আমরা বলতাম “বটি”। যেমন, “চালকুমড়োর বটি” বা “ডাঁটার বটি”। বটি শব্দটার উৎস আমাদের জানা না থাকলেও বটির উপাদানগুলোর উৎস আমাদের জানা। আমাদের বাড়ির সীমানা আড়াই কাঠায় সীমাবদ্ধ হলেও মা সেখানে মৌসুমী সব্জির চাষ করতো। কোন মৌসুমে বরবটি হলো তো মাসখানেক বরবটির ভর্তা আর বটি খাওয়া চলতো। কোন মৌসুমে ঢেঁড়স, আবার কখনো গাছ আলু বা ধুঁধুল বা চালকুমড়ো। ভর্তা, ভাজি, বটি। কখনো কখনো দুই তিন পদের সবজি একসাথে মিলিয়ে রান্না করা লাবড়া। বাসায় বারোমাস্যা কাঁচামরিচ আর লেবুর গাছ ছিল। তাই বটি দিয়ে ভাত মাখানোর সময় লেবুর রস আর মরিচ ডলে নেয়া যেতো। সে এক আশ্চর্য সুবাস ছিল লেবু আর মরিচে। একবার প্রায় ছয়মাস টানা বটি খাওয়া চলেছিলো। ঘোর বর্ষায় একজন একগাদা আধপঁচা পোয়ামাছ নিয়ে আনলে মা সপ্তাহের বাকিতে সেগুলো কিনেছিল। তারপর সাত দিন ধরে লেবুপাতা দিয়ে রাঁধা পঁচা পোয়ামাছ খাওয়া চললো। পোয়ামাছটা আমার খুবই অপছন্দ, কিন্তু কোন গত্যন্তর ছিলো না। পোয়ামাছের মাথা খেলে বড় বড় সাদা দাঁতের মতো হাড় পাওয়া যেতো। আমরা দু’ভাই সেসব দাঁত জমিয়ে রাখতাম। কিন্তু সেই দাঁত দিয়ে কী খেলবো সেটা জানতাম না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মা যেদিন খাবনামা নিয়ে বসতো, বুঝতাম সেদিন মায়ের মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। আমরা তাই তাড়াতাড়ি করে বই নিয়ে গলা ফাটিয়ে পড়তে বসে যেতাম। মা না বললেও রান্নাঘর থেকে ভেজা কাঠ নিয়ে বাইরে রোদ্দুরে দিতাম, অথবা কা’র (অ্যাটিক) থেকে রান্না করার জন্য ধানের ভুষি নামিয়ে রাখতাম, অথবা নিজেই নিজের ময়লা জামা-কাপড়গুলো ধুয়ে দিতাম। তবু মায়ের মন ভালো হতো না। একদিন মা আশ্চর্য একটা কথা জিজ্ঞেস করলো,
- আচ্ছা, তোরা যে মাঠে খেলতে যাস্ সেখানে খেতের আ’লে কখনো মাটির কলস দেখস্নি - সোনার মোহর ভরা! অথবা যখন বাজারে যাস্ তখন কোন টাকার থলে পড়ে থাকতে দেখিস্নি?
আমরা তখনই জানতাম সোনার মোহরভরা কলস বা টাকাভরা থলে কেবল গল্পেই থাকে। বাস্তবে মানুষের ব্যাঙ্কভরা টাকা বা সিন্দুকভরা গয়না থাকে। মা বড় মানুষ হয়েও এমন ছেলেমানুষী কথা কেন বললো সেটা তখন বুঝিনি। পরে বুঝেছি সীমাহীন দারিদ্র থেকে বাঁচার জন্য মা অলৌকিক সমাধান খুঁজতেন খা’বের তাবীরে, সোনার মোহরভরা কলসে বা টাকাভরা থলেতে।
স্বাভাবিকভাবে মায়ের দারিদ্রের সমাধান অলৌকিকভাবে হয়নি। আসলে মায়ের আর্থিক দারিদ্র কোনদিনই ঘোঁচেনি। বহুদিন হয় বাসায়, যেটা এখন মায়ের বাসা হয়ে গেছে, সেখানে আর কোন খাবনামা জাতীয় বই নেই। হতাশ হতে হতে মা বোধহয় এখন পাথরের মতো হয়ে গেছে। জীবনের সবদিকেই অসফল তার ছেলেমেয়েগুলোর ভাবনা তাকে বোধহয় টাকার ভাবনার চেয়ে বেশি গ্রাস করে। কে জানে, হয়তো তার ছেলেমেয়েদের কেউ কেউ হঠাৎ কোনদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবনামায় স্বপ্নের মানে বের করতে বসে। মায়ের মতো করে টাকার অভাবের মতো লৌকিক সমস্যার অলৌকিক সমাধান খোঁজে। তখন তাদের মুখটাতেও হয়তো মায়ের মুখের মতো আষাঢ়ের মেঘ ভর করে।
মন্তব্য
অদ্ভূত সুন্দর
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন খারাপ করার কী আছে মেম্বর সা'ব। ঘটনা এমনই হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন খ্রাপ কইরা দিলেন মাইক্রফটদা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মাইক্রফট কিরে ভাই? মন খারাপ হলে কাল মেলায় চলে আসো, আড্ডা দেবো'খন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটা নিশ্চয়ই একটা গল্পই শুধু, তাই না?
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দুঃখিত, এটা গল্প নয় মোটেও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনোব্যাথা জাগানিয়া, বিষণ্ণ অতীত ঘিরে আসে...........
গল্প হিসেবে বললে অসাধারণ হয়েছে !!
ধন্যবাদ। তবে এটা গল্প নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ব্যথা জেগে থাকলো..........
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।
ডাকঘর | ছবিঘর
ছোটবেলার তুচ্ছ একটা ঘটনা, কিন্তু মনে পড়ে গিয়ে কত আনন্দ পেলাম! পাণ্ডবদা, আপনি একটা জাদুকর!
এমন কত হীরে-মুক্তো আমাদের জীবন ভরে আছে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাস্তব আর কত কঠিন হবে। সত্যিই এখন আর ভালো লাগেনা। মনে হয় সত্যি 'কেউ কথা রাখেনি।'
ডাকঘর | ছবিঘর
বাস্তব সহজ কঠিন যাই হোক, আমরা সেটাতেই বাস করি। ভালো লাগুক আর না-ই লাগুক জীবন এভাবেই কেটে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এভাবে লিখলে মন খারাপ হয়ে যায়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি তো শুধু ধারা বর্ণনা দিয়েছি। ঘটনা তো আমি বানাইনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন্তব্য করতে পারছি না। বুঝলাম আপনি এইরোদ এইমেঘ পরিস্থিতিতে মেঘের পক্ষে।
অজ্ঞাতবাস
আমি শক্তভাবে মেঘ বা রোদ কারো পক্ষে না। আর মেঘেদের দলে থাকলেই বা ক্ষতি কী, তার আড়ালে রোদ তো আছেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনটা খারাপ করে দিলেন ভাই।
দুঃখিত। এটা ইচ্ছে করে করিনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ অভিব্যক্তি, লেখা!
জীবন এমনই। এই একটি দিক আপনি প্রকাশ করলেন, অন্যদিকও আছে।
জীবন তো বহুমাত্রিক। এক জীবনে আমরা কতো কিছু পার হই। সেগুলোর একটাকে ঠিক ধরে উপসংহার টানার উপায় নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ট্যাগে গল্প নেই দেখে একটু বিচলিত হলাম। আবার স্মৃতিচারণ নেই দেখে সামান্য আস্বস্ত বোধ করলাম। আর মুগ্ধতা নতুন কিছু না।
ট্যাগে 'গল্প' নেই কারণ এটা গল্প নয়। 'স্মৃতিচারণ' লিখতে মন সায় দিলো না। অনুভূতিগুলো শেয়ার করলাম মাত্র। তাই 'ব্লগরব্লগর' ট্যাগ দেয়া।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটানে পড়ে ফেললাম।
খালি মন খারাপ করাইতেন জানেন আপনি। পারলে খ্যাক খ্যাক করে হাসাইয়া দেখান দিকি !
লেখা দিয়ে লোক হাসানোর যোগ্যতা আমার নেই। সচলে ঐ লাইনে বহু গুরু লোক আছেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি লেখার যে জাদু দেখালেন তার তুলনা নাই। কি বিষণ্ণ, মন খারাপ করা নিত্যদিনের গল্পের কথকতা।
ঠিক! এটা নিত্যদিনের কথকতাই বটে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা অসাধারণ কিন্তু মন খারাপ করে দিল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ। মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারন।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা চমৎকার হয়েছে!
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন খারাপ করে দেওয়া, কিন্তু শুধুই গল্প কি ??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
না, শুধু গল্প নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সরকারী চাকুরীজীবী সৎ বাবা’র নির্দিষ্ট আয়ে খুব কষ্ট করে আমাদের দুই ভাই বোনকে বড় করেছেন মা, কিন্তু কোনদিন কিছু টের পেতে দেননি; কোনদিন বিশ্বাস করতে দেননি পৃথিবীতে কোন খারাপ মানুষ আছে ..
আপনার মায়ের জন্য শ্রদ্ধা ..
পৃথিবীর সব মা'কে আভূমি প্রণাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কী সরল সুন্দর বর্ণন!
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব ভালো লিখেন তো!
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হুঁ সেই সময়, '৭৪ এ আমাদের পরিবারেও এইরকম অবস্থা ছিলো, চালটা শুধু কোনরকমে জুটতো।
...........................
Every Picture Tells a Story
বস্ '৭২ আর '৭৪-এ দেশের প্রায় সবার এমন অবস্থা হয়েছিল। সেগুলোর কারণ সবার জানা। এরপর আরো নানা সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কখনো প্রাকৃতিক বা অন্য কোন দুর্যোগে পড়ে, রাষ্ট্রীয় কোন নীতির পরিবর্তনে, টেকনোলজির পরিবর্তনে এমন দুর্দশায় পড়েছে; এখনো পড়ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগলো পান্ডবদা। শৈশবের এসব সংগ্রাম, শৈশব জনিত অক্ষমতা অনেক আঘাত দেয়। বড় হয়ে অনেক কিছুর ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করি, কিন্তু সব কিছু সারে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ক্ষতি যা হয় তার পূরণ কি আদৌ সম্ভব? সময় অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয় মাত্র। সব কিছু মুছে ফেললেও মোছার চিহ্ন থেকে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমাদের জীবনগুলোতে অনেক মিল!
কী বলব বুঝতে পারছি না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমরা তো ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা নই তাই আমাদের জীবনে এমন মিল থাকেই। এক বইয়ে চিলির মানুষ-ইতিহাস-সংস্কৃতি নিয়ে পড়েছিলাম। সেখানে আমাদের সাথে তাদের মিল দেখে অবাক হয়েছিলাম। অথচ বাংলাদেশের সাপেক্ষে চিলি দুনিয়ার অপর পৃষ্ঠের দেশ - প্রায় এগারো হাজার মাইল দূরে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছুয়ে গেলো। এরকম কিছু লেখা পড়লে মাঝেমাঝেই মনে হয় লেখালেখি ছেড়ে দেই। আমি মাঝখানে টানা পাচ বছর একটা শব্দও লিখিনি। মনে হয়েছিল চারপাশে এত অদ্ভূত সুন্দর সব লেখা আছে বসে বসে দিনরাত শুধু পড়ি, নিজে লিখে পাঠকের বোঝা বাড়িয়ে লাভ কি। এবং তাই করেছিলাম। এরকম লেখা আরো আসতে থাকলে আবারও পূর্ণ পাঠক হয়ে যাব।
লিখতে গেলে সবাইকে সব কিছু লিখতে হবে এমন ভাবাটা ঠিক না। যেমন, আমার পক্ষে ‘জগাখিচুরী’র মতো স্যাটায়ার বা ‘সাহিত্যিক’-এর মতো রসাত্মক উপন্যাস লেখা সম্ভব না। আমি তাই লিখবো যেভাবে আমি লিখতে পারি, যেভাবে আমি আমার ভাবনাটা ফুটিয়ে তুলতে পারি। পাঠক হওয়াটা সহজ। তাই পাঠক হবার হাতছানিটা আমাদের সব সময় টানতে চায়। কিন্তু নিজের অনুভূতি, নিজের জানাটা অন্যের সাথে শেয়ার না করাটা অনুচিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অদ্ভুত সুন্দর।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ বর্ণনা!!
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন ছুঁয়ে গেল লেখাটা।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
স্বপ্ন কিন্তু মুক্ত না। স্বপ্ন খুব খারাপ ভাবে স্বপ্ন-না এমন জিনিসপত্রের সাথে যুক্ত।
বহুযুগ আগে, স্বনির্ভর গ্রাম ব্যবস্থায় মানুষের এক স্বপ্ন ছিল। তারপর গ্রামের ভিতর দিয়ে রেললাইন কাটা হলে স্বপ্ন বদলায়। রেল দিয়ে মানুষ এখানে-সেখানে যায়।
যেখানেই যায়, আড়াই কাঠা সঙ্গে নিয়ে যায়। এই আমাদের পথের পাঁচালী।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
স্বপ্ন মুক্ত না বলেই খাবনামার মতো জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই জীবনযাত্রা পাল্টানোর সাথে সাথে স্বপ্ন আর তার তাবীর পালটে যায়। একশ' বছর আগের খাবনামায় যে স্বপ্নের যে তাবীর লেখা থাকতো এখনকার খাবনামাতে সেই স্বপ্নের তাবীর নিঃসন্দেহে পালটে গেছে।
আমাদের বড় হয়ে ওঠা, বেসিক শিক্ষার সাথে সাথে মনে-মগজে-আচরণে-মানসিকতায় আড়াই কাঠা জুড়ে যায়। একে অস্বীকার করা যায়, কিন্তু এর হাত থেকে নিস্তার মেলে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনটা খারাপ হলো লেখাটা পড়ে। চমৎকার, অসাধারণ এই শব্দগুলো দিয়ে লেখাটাকে বিশেষিত করা সম্ভবপর হচ্ছে না কারণ এটি কোন গল্প নয়, এটি বাস্তব কাহিনী। আবার অন্যভাবে দেখলে এটি এখনো অনেকের জন্যে নিত্যদিনের গল্প
নিত্যদিনের গল্পগুলো তো বাস্তবই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই ভিডিও অনুযায়ী ২০১১ সালের শুরুতে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৬.৫ কোটি!
লেখাটা অসম্ভব হৃদয়-ছোঁয়া, মন খারাপ করা হয়েছে পাণ্ডবদা!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
মোটে ৬,৫ কোটি! সংখ্যাটা আরো অনেক বড় হবার কথা। পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাদশা হোটেলের কথা মনে আছে আপনার পাণ্ডব'দা? নারায়নগঞ্জ টার্মিনালের পাশেই ছিলো। দেয়ালে সবুজ রঙের প্রলেপ দেয়া বাদশা হোটেলের বিরিয়ানী খুব বিখ্যাত ছিলো। অনেক নাম শুনতাম খুব। বাদশা হোটেল অথবা তার বিরিয়ানীর কথা আমি ভুলি নাই, প্রায়ই মনে পড়ে যায়। আপনার এই লেখাটা পড়ে সেটা আবারও মনে পড়লো, বাবার হাত ধরে খেয়া ঘাটের দিকে হেঁটে চলা ৮-৯ বছরের অভিমানী এক শিশুকে সহ...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাদশা হোটেলের বাইরে খাঁচায় রাখা বড় বড় পায়রাগুলোর কথা মনে আছে? আজও নিশ্চয় ৮-৯ বছরের কোন অভিমানী বালক বাবার হাত ছাড়িয়ে সেই খাঁচাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে পালক-ফোলানো পায়রাগুলোকে দেখে। হোটেলের ভেতর থেকে ভেসে আসা বিরিয়ানীর সুবাসে তারও নিশ্চয়ই বিরিয়ানী খেতে খুব ইচ্ছে করে। স্বাস্থ্যসচেতন বাবা তাকে এই বয়সেই হোটেলের অখাদ্য খেতে দিতে নারাজ। অভিমানী বালক তাই বাবার হাত ধরে খেয়া ঘাটের দিকে এগিয়ে যায়। সেই খেয়া তাকে কোথায় নিয়ে যায়? বন্দর, মদনগঞ্জ, সোনাকান্দা, ত্রিবেণী, কলাগাছিয়া, মেরিন ডিজেল, ডকইয়ার্ড নাকি অন্য কোন দেশে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনটা খারাপ হলো লেখাটা পড়ে। তবে, লিখা অসাধারণ।
ধন্যবাদ। মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মাহমুদুল হকের লেখার কথা মনে পড়লো আপনার এই লেখাটা পড়ে।
লেখাটা ভালো লাগলো। এখনো কাগজি লেবুর ঘ্রাণ পাচ্ছি নাকে।
ধন্যবাদ। আজও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলে আমি অমন দিনগুলোর রোদের ঘ্রান পাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিষণ্ণ কিন্তু মায়াময়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সাত সকালে মনটা খুব খারাপ হল, অসাধারণ লেখা।
দুঃখিত। এটা ইচ্ছে করে করিনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বেশ কিছু বলার ছিল - শুধু বললাম 'চমৎকার'।
এখন না বলুন, পরে কখনো বলবেন-লিখবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সুন্দর লেখা। এসবের মাঝেও বেঁচে থাকে সুন্দর!
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ধন্যবাদ। সৌন্দর্য কম-বেশি সব জীবনেই আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটা একটা অসাধারণ লেখা। অ-সা-আ-ধারণ।
সব বদলায়, স্বপ্নেরাও।
ধন্যবাদ।
আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর সুহানের লম্বা ছুটি। অনেক গল্প বকেয়া হয়ে আছে কিন্তু!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমাদের পুরোনো বাড়িটাতে কয়েকটা কলা গাছ ছিল। আনাজী কলা বলে চট্টগ্রামে, তরকারীর কলা ওটা। বাবার দুঃসময়ের অভাবের দিনগুলোতে ওই কাঁচকলা আমাদের কিরকম যে সাহস যুগিয়েছিল আপনার লেখা পড়ে সব মনে পড়ে গেল। আমরা কলার তরকারী খেতাম, ভাজি খেতাম, বটি খেতা, ভর্তা খেতাম। মাসের পর মাস আমাদের জীবন কলাময় হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে এক চিলতে উঠোন ছিল সেই উঠোনে হেলেঞ্চার ঝোপ ছিল, আমাদের খাবার বাটিতে প্রায়ই থাকতো সেই হেলেঞ্চার কাব্যময় উপস্থিতি। আপনার লেখাটা বোধকরি আমাকেই সবচেয়ে বেশী ছুঁয়ে গেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমরা বলতাম কাঁচকলা। সেটার গাছ ছিল একটা। আর হেলেঞ্চা! রাস্তার পাশের ডোবাভর্তি ছিল। মরা মাছ (মানে পঁচা মাছ) রান্নাতে এর কোন তুলনা ছিলনা। তাই কাঁচকলা নিয়মিত কপালে না জুটলেও হেলেঞ্চা প্রায়ই জুটতো। হেলেঞ্চা কপালে জোটা মানে হচ্ছে - মরা হোক, পঁচা হোক মাছ খেতে পাওয়া। এই আনন্দ কয়জন বুঝবে?
একটা সবজি বা ফলের গাছ এক পরিবার মানুষকে কতোটা ভরসা দিতে পারে সেটাই বা কয়জন বুঝবে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মুড়ি ..
এই লেখাটা দুঃখবোধ নয়, বরং অসাধারণ একটা প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে বলে বারবার পড়ে যাচ্ছি এসে .. যা দেয়া হয় তাই হাসিমুখে খেয়ে নেয়ার যে অভ্যাস ছিলো তাই আমার সম্বল .. দাম নয়, জৌলুস নয়, শুধু পাতে দেয়া খাবারে আন্তরিকতা আর মহব্বত এর মাত্রার সাথে খাওয়ার রুচি উঠানামা করে, টের পাই .. আরকিছু নয় ..
পুরনো ঢাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে, অনেকটা এরকম -’রান্ধনের সময় হাতে মহব্বত থাকতে হয়’!
শুধু মুড়িই না, সাথে ছাতুও আছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ ছাতু খেতে ভুলে গেছে।
রান্না, পরিবেশন এগুলোতে ভালোবাসার কথাও লোকের আর মনে নেই। এখন শুধু দেখনধারী আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বুকের ভেতর কেমন করে ওঠা একটা লেখা ! স্মৃতিকাতরতায় পড়ে যেতে হয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বুকজুড়ে এমন আরো অনেক কিছুই আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পোস্টের পরপরই পড়েছিলাম, কিন্তু এত ছুয়ে গেল লেখাটি যে মন্তব্য কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
facebook
উত্তরে আমি কী বলবো তাও বুঝতে পারছি না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আনা কারেনিনায় পড়া প্রথম লাইনটা সব সময় মনে হয় ঠিক না। আমাদের অনেক মানুষের অনেকগুলো দুঃখবোধ বোধহয় ঘুরেফিরে এক মাপের স্মৃতির কুয়াশায় জড়ানো।
৮৬র এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলছে দেশজুড়ে। বাবা জেলখানায়। আমাদের বাড়িতে কাঁচকলার ঝাড় ছিলনা। তবে পাড়াপড়শিরা অনেকেই কলার আবাদ করতেন। সাগর কলা। এই কলার মোচা একটু তেঁতো। তবুও ঘুরে ফিরে মাসের পর মাস ঐ কলার মোচার ঘণ্ট আর ভাজি খেয়ে পার করেছি। ছোট আর অবুঝ ছিলাম খুব। মাঝে মাঝে খাবার ঠেলে উঠে যেতাম। মা কিছু বলতেন না। পরের বেলায় হয়ত ডোবার ধারের কচু শাক তুলে আনতেন।
এখন কোথাও হঠাৎ কলার মোচা বা কচুশাক দেখলে প্রথমে নাকের কাছে তুলে ধরি। আমার শৈশবের সেই ফেলে আসা সেই কষ্টের ঘ্রাণ খুঁজি।।।
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন। পৃথিবীর যে প্রান্তেই আপনি থাকুন না কেন সেই সুবাস পাবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার ছোটখাটো একটা ইচ্ছে ছিল। ইচ্ছেটা পূরণ করে গেলাম।
অসাধারণ লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ বস্
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লাফাংজনিত ঘ্যাচাঙ
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সারাদিন ল্যাবে কাজ করে এসে এই পড়তে হলো ঘরে এসে?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
দুঃখিত
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কেন সবাই এমন মায়ায়ভরা লেখাতে 'মন খারাপ' হয়ে গেলো বলছেন! এমন গল্প তো আমাদের সবার আছে। মন খারাপ হতে পারে পাণ্ডবদা'র মত
করে লেখতে না পারার কারণে। ফালনামা আমি পড়িনি কখনো অথচ একটা ফালনামা থাকলে বেশ হতো। আমি আজকে স্বপ্ন দেখেছি, পরীক্ষা শুরু
হয়ে গেছে, অথচ আমি নাক ডেকে ঘুম যাচ্ছি। তারপরই মেইলবক্স খুলে দেখি সচল আমাকে 'মিস করছে' বলে চিঠি দিয়েছে, সাথে চোখ রাঙানি S বেঁধে দেয়া দিনের মধ্যে দেখা না দিলে ' আয়নামতি ফিনিশ!' পড়িমরি করে ছুটে এসেছি। না এলে আরো অনেক কিছুর মত এমন লেখা মিস হয়ে যেত।
সচলকে ধন্যবাদ আয়নামতিকে এমন সুযোগ দেবার জন্য। আর পাণ্ডবদা'র জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।
ফিরে আসার জন্য আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা পড়ে মনে হল, " হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান" এই বাক্য আপনার জন্য লেখা ,... আগুনে পুড়ে খাটি সোনায় পরিণত হওয়া একজন মানুষের লেখা...
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি মহান হতে পারিনি, সেই চেষ্টাও কখনো ছিলোনা। কষ্টের সময়গুলো আমাকে কষ্টই দেয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রাত সাড়ে তিনটায়,যখন চারপাশ চুপচাপ, তখন এই লেখাটা পড়া আমার মোটেই উচিত হয়নি
দুঃখিত
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হুম্। পুরনো দিন গুলিতে হয়্ত কষ্ট ছিল। তারপরও ঐ দিনগুলিই যেন সুখে ভরা। আর কি কখনো ইচ্ছা থাকলেও পারবো ফিরে পেতে সেই একসাথে থাকার সুখ। আপনার জীবনের অনেক কিছুই মিলে গেল আমার ছোটবেলার সাথে, তাই বললাম। ভালো
লাগলো লিখাটা।
ধন্যবাদ। কখনো মনে হলে আপনার কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা পড়তে পড়তে যে নীরবে অনেক অশ্রু বিসর্জন দিয়েছি তা তো আগেই জানিয়েছি তোমাকে।
এবার বলি,
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমি আপনাকে কী বলবো বস্! আপনি তো অথৈ সাগর পাড়ি দিয়ে এসেছেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ... আপনার হাতে জাদু আছে...
বিষাদের রসে মনটা ভিজিয়ে দিলেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মা-এর কষ্টটা বুকে বাজল খুব।পরিবারে সবার মুখে অন্ন তুলে দেয়ার দায়িত্ব আর না পারার কষ্ট মা-এর মত কেউ ভোগ করেনা। পড়তে পড়তে খুব মনটা হাহাকার করে উঠলো।
মায়ের কষ্ট সন্তান হয়ে বুঝলে, আর মায়ের সাথে সেই অনুযায়ী যথাযথ আচরণ করলে আমাদের অপরাধের বোঝাটা একটু হালকা হয় কিনা জানি না তবে মায়ের মুখটা হাসিতে ভরে ওঠে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ!! কিছু কিছু লেখায় মন্তব্য করাটা খুব কঠিন মনে হয় আমার, এই লেখাটা সেরকম একটা লেখা। থাক, আর কিছু না লিখি।
এই পোস্টের মন্তব্যে কী লিখবে সেটা নিয়ে বিশেষ ভাবার দরকার নেই। তারচেয়ে তোমার একটা কবিতা পোস্ট করো। তাতেই চলবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এমন একটা লেখায় কিছু না বলাটা অন্যায়। আর কিছু বলাটা খুব খুব কঠিন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
চমৎকার বলেছেন। কথাটা আমি মনে রাখবো, আর আপনার উল্লেখ ছাড়াই যেখানে দরকার সেখানে প্রয়োগ করবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কি বলব বুঝতে পারতেসি না।
আমি আর কী বলতে পারি!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখাটি পড়ে আমার মনের চোখে কেন জানি আমার মায়ের মুখখানি ভেসে উঠল, তারপর কিভাবে যেন এই মায়ের মুখচ্ছবি আর আমার মায়ের মুখচ্ছবি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। মায়ের সীমাবদ্ধতা না বুঝে কত যে রাগ করেছি মায়ের উপর। আপনার লেখা পড়ে মনের মধ্যে সেই অনুতাপ আবার জ্বলে উঠল।
মা তো মা-ই। তা তিনি আপনার মা হোন আর আমার মা-ই হোন। মায়েদের মুখচ্ছবি একই রকম না - একই। মায়ের প্রতি করা অপরাধ আর নিজের করা অনুতাপের কথা বলছেন? দয়া করে এই লেখাটা একটু দেখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ। পড়েছি।
নতুন মন্তব্য করুন