গত এক দশকে বাংলাদেশে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে - বাস, ট্রাক, কার সবই। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটরসাইকেল। ভারত আর গণচীন থেকে অবাধে মোটরসাইকেল আসতে থাকায় এর সংখ্যা শনৈ শনৈ গতিতে বেড়েছে। বিআরটিএ-এর হিসেব অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৯ লাখের ওপরে, যা দেশের মোট নিবন্ধিত যানের ৬০%-এর বেশি। প্রকৃতপক্ষে দেশে এখন মোট কতগুলি মোটরসাইকেল চলছে তার হিসেব বিআরটিএ-এর কাছে থাকা সম্ভব নয়। কারণ, গ্রামে-গঞ্জে চলে এমন বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেলের কোন কাগজপত্র নেই। আবার যাদের কাগজপত্র আছে তার কতগুলো হালনাগাদ করা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। আরো সন্দেহ আছে যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের কত জনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তা নিয়ে।
‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ অনুযায়ী ১৮ বছরের কমবয়সী কেউ মোটরযান চালানোর অধিকারী না হলেও এদেশের রাস্তায় হরহামেশা অপ্রাপ্তবয়স্ক মোটরসাইকেল চালক দেখা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচনের দেশ। এখানে মোটামুটি পাঁচ বছরে একবার একটা সংসদ নির্বাচন, এক থেকে দেড়টা স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। এছাড়া নানা প্রকার সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচন সারা বছর ধরেই লেগে থাকে। কোন নির্বাচন আসন্ন হলেই মোটরসাইকেল আমদানীকারকগণ বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল আমদানী করে থাকেন। এই আমদানীর লক্ষ নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীরা। কারণ, তারা তাদের কর্মীবাহিনীর জন্য মোটরসাইকেল কিনে থাকেন। এভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের হাতে মোটরসাইকেল পৌঁছে যায়, আর রাস্তা-ঘাটে নিবন্ধনবিহীন, ফিটনেসবিহীন মোটরসাইকেল চলতে থাকে।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুব উন্নত নয় বলে মোটরসাইকেল খুব জনপ্রিয় বাহন। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ২০০৯ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী যানের ৪৫%-ই হচ্ছে মোটরসাইকেল। কিন্তু লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে নিবন্ধনবিহীন, ফিটনেসবিহীন মোটরসাইকেল চলাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিআরটিএ-এর ২০০৮ সালের রিপোর্ট থেকে দেখা যায় মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৫১.৭%-এর জন্য দায়ী মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনার জন্য বদনাম কামানো ট্রাক কর্তৃক ঘটানো দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫.৪%। আমরা যদি সকল সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিতে পারতাম তাহলে সেগুলোর জন্য মোটরসাইকেল চালকের দায়ের সঠিক পরিমাণটা বের করতে পারতাম। ছোট আকারের দুর্ঘটনাগুলোর কোন রেকর্ড থাকে না বলে এই ভয়াবহতা পরিমাপের উপায় নেই। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি এই সংখ্যাটি ভয়াবহ।
যারা মহানগরগুলোতে বাস করেন তাদের কাছে যানজট প্রতিদিনকার ঘটনা। রাস্তায় যানজট হলেই দেখা যায় মোটরসাইকেলগুলো রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথ দিয়ে চলা শুরু করে। তাছাড়া উলটো রাস্তা দিয়ে চলা, নিষিদ্ধ বাঁকে মোড় নেয়া, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা, বিপদজনক গতিতে চালানো মোটরসাইকেল চালকদের জন্য ডাল-ভাত ব্যাপার। বস্তুতঃ মোটরসাইকেল জনপ্রিয় হবার জন্য এগুলোও কিছু কারণ। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, ট্রাফিক পুলিশেরা খুব কমক্ষেত্রেই আইনভঙ্গ করার জন্য মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এর একটা কারণ হচ্ছে আইন অমান্য করে বা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মোটরসাইকেল দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তার পিছু নেবার মতো উপায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকে না। তাছাড়া, মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতো বেশি এবং তাদের ঘটানো আইনভঙ্গ ও দুর্ঘটনার ফ্রিকোয়েন্সী এত বেশি যে ট্রাফিক পুলিশকে এই দিকে মনোযোগ দিতে গেলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের আর উপায় থাকবে না। এই জন্য দুর্ঘটনা ফ্যাটাল না হওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেলের নিবন্ধন বা তার চালকের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছরে মোটরসাইকেল বিক্রয় নূন্যতম ১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও ২০১৩ সালের শেষ বা ২০১৪ সালের শুরুতে সম্ভাব্য সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এই বিক্রয় বৃদ্ধির হার স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বহুগুণে বাড়বে। ফলে রাস্তায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা তথা লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়বে। মোটরসাইকেলজনিত এই বিপদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্রতিরোধমূলক ও প্রতিকারমূলক উভয় প্রকারের ব্যবস্থাই নিতে হবে। এখানে সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হলঃ
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাঃ
১। মোটরসাইকেল বিক্রয়ের পূর্বেই নিবন্ধনের এমন বিধান রাখা যাতে বিক্রয় পরবর্তীকালে সহজে স্বত্ত্বাধিকারীর নাম পরিবর্তন করা যাবে। এভাবে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল রাস্তায় নামা বন্ধ হবে।
২। মোটরসাইকেল ক্রয়কালে ক্রেতার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা। এতে লাইসেন্সবিহীনভাবে মোটরসাইকেল চালনা হ্রাস পাবে।
৩। বিআরটিএ-তে মোটরসাইকেলের জন্য স্বতন্ত্র সেল খোলা, এবং উপজেলা পর্যায়ে এই সেলের অফিস রাখা। এতে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য নিবন্ধন, নবায়ন, ফিটনেস ইত্যাদি সহজতর হবে।
৫। মোটরসাইকেলের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার/ঘন্টাতে সীমাবদ্ধ রাখা। এরচেয়ে অধিক গতিবেগসম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানী, সংযোজন বা উৎপাদন নিষিদ্ধ করা।
৬। অবাধে আমদানীকে নিরুৎসাহিত করার জন্য ফিনিশড্ বা সিকেডি উভয় আকারে মোটরসাইকেলের উপর উচ্চ হারে আমদানী শুল্ক, নিয়ন্ত্রণ শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা, এবং নূন্যতম ট্যারিফ নির্ধারণ করা। দুই স্ট্রোকের ইঞ্জিনবিশিষ্ট মোটরসাইকেল আমদানী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে তাতে বর্তমানে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক চার স্ট্রোকের ইঞ্জিনবিশিষ্ট মোটরসাইকেলের ওপর আরোপ করা।
৭। মোটরসাইকেল চালনা প্রশিক্ষণ ও ট্রাফিক আইন জানা সংক্রান্ত ড্রাইভিং স্কুল খোলা।
৮। দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এমন সব মোটরসাইকেলের নিবন্ধন বাতিল করা।
৯। নিয়মিত ভিত্তিতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায়, শহরের প্রবেশ পথে মোটরসাইকেল ও তার চালকের কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য মোবাইল টিম রাখা।
১০। মোটরসাইকেল চালক ও তার সহআরোহীর জন্য বাধ্যতামূলক জীবন বীমা এবং মোটরসাইকেলের জন্য বাধ্যতামূলক ফার্স্ট পার্টি বীমা করার বিধান রাখা।
১১। গণমাধ্যমগুলোতে ট্রাফিক আইন জানা, মোটরসাইকেল নিবন্ধন ও ফিটনেস থাকা, মোটরসাইকেল চালকের লাইসেন্স থাকার ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত ভিত্তিতে রাখা।
প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাঃ
১। নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল ধরা পড়লে তা আটক করা এবং চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা।
২। লাইসেন্সবিহীন চালক ধরা পড়লে তাকে আটক করা এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা। এক্ষেত্রে উচ্চ হারে জরিমানার বিধান রাখা যেতে পারে।
৩। ফুটপাথ দিয়ে চলা, উলটো রাস্তা দিয়ে চলা, নিষিদ্ধ বাঁকে মোড় নেয়া, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা, বিপদজনক গতিতে চালানোর জন্য তাৎক্ষণিক ও উচ্চ হারে জরিমানার বিধান রাখা।
৪। মোটরসাইকেল চালক কর্তৃক সংঘটিত দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হলে, অথবা একই চালক কর্তৃক এক বছরে তিনটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে চালকের লাইসেন্স বাতিল ও মোটরসাইকেল জব্দ করার বিধান রাখা। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনার প্রকৃতি ও আইন অমান্য করার প্রকৃতি বিবেচনায় অন্য অনেক দেশের মতো ‘পেনাল্টি পয়েন্ট’-এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেখানে একজন চালকের পেনাল্টি পয়েন্ট একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলেই তার লাইসেন্স নির্ধারিত সময়কালের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে।
সবশেষে একটা কথা বলি। মোটরসাইকেল চালকদের বড় অংশই হচ্ছে কমবয়সী তরুণ-যুবকেরা। এদের অভিভাবকেরাই এদেরকে মোটরসাইকেল কিনে দেন বা নিজের মোটরসাইকেলটা চালাতে দেন। নিজের সন্তানকে মোটরসাইকেল কিনে দেবার আগে বা তাকে মোটরসাইকেল চালাতে দেবার আগে তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্জন করতে, ট্রাফিক আইন জানতে ও মানার অভ্যাস করতে সাহায্য করুন। এতে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার হাত থেকে আপনার সন্তান ও অন্যের সন্তান রক্ষা পাবে।
মন্তব্য
যে দেশে দু'পেয়ে দের চেয়ে চারপেয়েরা বেশি সক্রিয়, গতিশীল আর করিৎকর্মা, সেখানে বাহনের ক্ষেত্রেও 'উল্টো দেশে উল্টো রাজার' জোরই বেশি । দুনিয়ার অনেক দেশেই মোটর সাইকেলের বিমা গাড়ির তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত বেশি রেখে এটাকে নিরুৎসাহিত করা হয় । আবার যে সব শহরে জ্যাম বেশি, সেখানে মটর সাইকেলের জনপ্রিয়তা, চাহিদাও বেশি । সবমিলিয়ে বাংলাদেশের রাস্তায় মটরসাইকেল উৎকট উপস্থিতি এড়ানো যখন যাবেনা, তখন একে নিয়ন্ত্রন করাই শ্রেয় । রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘুম কবে ভাঙে, সেটাই দেখার বিষয় ।
শিপলু, কিসে যে নারাজ হলেন বুঝতে পারলাম না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহনের কোন নিজস্ব জোর নেই, চালকের জোরে তার গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হয়। আমি মোটরসাইকেলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। অমন দাবী করাও অবাস্তব। তবে আর দশটা যানের মতো এরও যথাযথ নিয়ন্ত্রণ দরকার।
অসঙ্গতি, অনিয়ম এগুলো তুলে ধরা বা প্রতিবাদ করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, আইন প্রণয়নের দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের আর সেই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রসাশনের। কোন পক্ষকেই ঘুমালে চলবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা।
আচ্ছা ভিয়েতনাম বা এমন যেসব দেশে প্রচুর মটর সাইকেল, তারা কী ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বা ওসব দেশে অ্যাক্সিডেন্টের হার কেমন কোনো ধারণা আছে?
আমাদের দেশে মটোরসাইকেলের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তাই ভিয়েতনাম বা এমন দেশ থেকে আগে ভাগে কিছু শিখে নিতে পারি আমরা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মোটরসাইকেল বা ট্রাফিক নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থা কোনভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে ভালো নয়। ২০০৮ সালে ভিয়েতনামে প্রতিদিন ৩৫টা করে সড়ক দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যেখানে ৩২ জন মারা গেছে আর ২২ জন আহত হয়েছে। নিহত আর আহতের অনুপাত লক্ষ করলে দুর্ঘটনাগুলোর প্রকৃতি বুঝতে পারা যায়। আট কোটি চল্লিশ লাখ লোকের দেশে বছরে বারো হাজার জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। তবে অনেকের ধারণা নিহতের সংখ্যা বছরে বিশ হাজারেরও বেশি হবে। আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এই দুর্ঘটনাগুলোর প্রায় নব্বই ভাগ ঘটিয়েছে মোটরসাইকেল চালকেরা। প্রতি বছর সেখানে মোট যানবাহনের ১.২৪% ফ্যাটাল দুর্ঘটনা ঘটায়।
হ্যানয়, হো-চি-মিন সিটি, হাই ফঙ বা ক্যান থো'র মতো মহানগরেও মোটরসাইকেল চালকেরা নিয়মিত গতিসীমা অতিক্রম করে চলা, লাল বাতি উপেক্ষা করে চলা, উলটো পথে চলা, লেন অতিক্রম করে চলা, অযথা জোরে হর্ন বাজানো, মোবাইলে কথা বলতে বলতে চালানো, বিপুল পরিমাণ মালামাল পরিবহন করা এসব করে থাকে। হেলমেট না পড়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোও সেখানে নিয়মিত ব্যাপার। ট্রাফিক পুলিশ সেখানে একেবারেই নির্বিকার তা নয়। তবে মোট মোটরসাইকেলের সংখ্যা এতো বেশি যে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে খুব বেশি কিছু করার নেই।
প্রচুর মোটরসাইকেল আছে, কিন্তু সেটাকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে এমন দেশের উদাহরণ আমার জানা নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার প্রতিরোধমূলকের ৮ নম্বর পয়েন্ট বাদে সবগুলোর সাথে একমত। প্রয়োজনীয় লেখা এবং আরও ভালো হয় এই ধরণের লেখাগুলো যদি নীতিনির্ধারণী মহলের গোচরে আনা যায়।
বাংলাদেশে মটরবাইকারদের অধিকাংশই ধরে নেই প্রয়োজনেই এটা চালায়। কিন্তু প্রয়োজনের পাশাপাশি কিছু অপ্রয়োজনীয় এবং অনৈতিক কাজও অনেক মটরবাইকার করে থাকে- যেমন, ফুটপাথ দিয়ে চালানো, মেয়েদের উত্যক্ত করা, ছিনতাই করা, নির্বাচনকালীন মহড়া দেওয়া, মাস্তানী-টেন্ডারবাজী করা, ইত্যাদি। এইসব অপকর্ম যারা করে বেড়ায় তাদের আবার খুঁটির জোর বেজায় শক্ত। তবে বাংলাদেশে মটরবাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা থাকা আসলেই খুবই জরুরী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
৮ নম্বর পয়েন্ট কেন সমর্থন করো না সেটা কিছুটা বুঝতে পারি। কিন্তু আয়ুষ্কালের ব্যাপারে একটা সীমারেখা টানতেই হবে। জরাগ্রস্থ যান ট্রাফিকের স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করবেই।
মোটরসাইকেলের অপব্যবহারের জন্য সে দায়ী নয়, দায়ী তার চালক। চালককে আইন মানতে অভ্যস্থ করা গেলে, আইনভঙ্গ করলে শাস্তি দেয়া গেলে মোটরসাইকেল কোন সমস্যা নয়। তবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু কিছু নীতিমালা তো লাগবেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এমনকি আমেরিকাতেও দেখেছি বয়সের কারণেই কিনা মোটর সাইকেল আরোহীরা অনেকেই খুব ভয়ঙ্কর চালক হয়। গাড়ী চালানোর সময় মাঝে মাঝে বিকট শব্দ করে দুই তিনটা বাইক একসাথে যখন পার হয়ে যায় পুরা পিলে চমকে উঠে।
বিকট শব্দে, খুব জোরে, দল বেঁধে মোটরসাইকেল চালানোর এই বদ কালচারটা আরো কিছু দেশে দেখেছি। সম্ভবতঃ সব দেশেই এই বদ কালচারটা আছে। ঢাকার মতো যানজটে পূর্ণ শহরে বিকট শব্দে, অসম্ভব গতিতে স্পোর্টস কার চালাতে দেখার দুর্ভাগ্যও আমার আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিছুদিন আগে খোদ লন্ডনের রাজপথে ভিক্টোরিয়ার পাশে এটা দেখলাম। হেলমেট, জিন্স এবং ব্রাবিহীন হাতাকাটা ফিনফিনে পাতলা গেঞ্জির আবরনে এক তরুনী প্রকাণ্ড একটা এইচডি চালিয়ে যেতে যেতে ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়ালো ঠিক আমার বাসের পাশে। মনে হলো ওই মেয়ের কটিদেশ সম্ভবত এইচডির পেছনের টায়ার থেকেও চিকন হবে। আমি খোলা ছাদের বাসের দোতলায় বসে বসে তাকে দেখছিলাম এবং বিরক্ত হচ্ছিলাম তার দাঁড়ানো অবস্থাতেই ক্রমাগত এক্সিলারেটর মোচড়াতে দেখে। জানো তো এইচডিতে কি বিকট শব্দ হয়!
এটা অন্যত্রও দেখেছি। আমি নিজেও একসময় প্রবাসে এইচডি ক্লাবের মেম্বার ছিলাম। এই এইচডি, বিএমডাব্লু বিগবাইকাররা বুঝিনা কেনো সবসময় এতো অস্থির থাকে। মনে হয় যেনো এদের গুহ্যপথে সবসময় একটা পিন ঢোকানো থাকে এবং সেই পিন ক্রমাগত এদের খোঁচাতে থাকে।
ইন্দোনেশিয়ায় একবার এক ফাউল বাইকারকে টাইট দিতে গিয়ে এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে আমাকে বেশ বড়ো একটা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে হয়েছিলো। ভাগ্যক্রমে গণধোলাই থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে আর নাই, বাবা তোদের যা মন চায় কর।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মন্তব্যে বাইকারদের বদামী যতোটা না বর্ণনা করলে, বেগানা আওরতের বর্ণনা করলে তারচে' বেশি। লুল্ সামহালকে!
এইচডি'র বাইকগুলো কেন যে বানানো হয় সেটাই আমার বোধগম্য নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পোস্ট পড়া ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ফুটপাথে মোটর সাইকেল তুলে দেয়া নিয়ে হাইকোর্ট কী একটা রায় দিয়েছিল কয়েকমাস আগে। তার ছিটেফোটাও বাস্তবায়ন নেই।।।
এই সমস্যাটার জন্য প্রতিদিন ভুগতে হচ্ছে। আদালত রায় দিতে পারে, কিন্তু তার বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের। বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ এ'ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে বলে ভরসা হয় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রতিদিন সকালে আবদুল্লাপুর থেকে বনানী যেতে কিছু দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখে স্থায়ী হয়ে গেছে। পুলিস এখনও নিয়মিত ফুটপাথ দিয়ে বাইক চালায় এবং পার্ক করে রাখে। বনানীস্থ নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের গেটের সামনে একজন সার্জেন্ট বা মাঝে মাঝে একজন এএসআই ডিউটি করে। নৌসদরের গেটের ঠিক সামনে একটা ছোট ছাউনি করা আছে পুলিসদের জন্যে। সেই ছাউনির ঠিক সামনে ফুটপাথ আগলে কর্তব্যরত পুলিসের মটরবাইক রাখা থাকে। তুমি যে কোনও সময় গেলেই দেখতে পাবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। কিন্তু 'বিআরটিএ'এর কর্তাদের নজরে পড়লে তারা বলবে, 'আপনি আমত্তে বেশি বুঝেন।
ধন্যবাদ। প্রথম কথা হচ্ছে এই পোস্ট কর্তাদের কারো নজরে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তাঁরা সচলায়তন পড়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। তার পরেও যদি ঘটনাক্রমে তাঁদের কেউ এই পোস্টটা পড়েই ফেলেন, তাহলে তিনি কোন মন্তব্যই করবেন না। পাবলিকে কতো কথাই তো বলে, তাই বলে সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে নাকি!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট
facebook
পোস্ট পড়া ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মটর সাইকেলের উপ্রে আম্নের এত্তো রাগ!!!
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মোটরসাইকেলের উপ্রে রাগ করলাম কই? মাস্তানটাইপ বাইকারদের যন্ত্রণায় ফুটপাথ দিয়েও হাঁটতে পারি না। কতোবার যে হাল্কার উপ্রে ধাক্কা দিয়া গ্যালো!
এহ, কইলেই ওইলো? চালাইতে পারে না, এল্লাইগা জেদগ্রস্থ হইছে। সেইটা যেনো বুঝি না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঘর থেকে বের হওয়া প্রতিটি মানুষকে যদি ট্রাফিক আইন ঠিকমত মেনে চলতে বাধ্য করা যায় এবং ইফেক্টিভ্লি এটা মনিটর করা যায় তাহলে এখুনি নতুন আইন বা নীতি প্রণয়নের দৌড়-ঝাপ ও কাগজ চালাচালির মধ্যে না যেয়ে প্রচলিত (এভেইলেবেল) আইন, অবকাঠামো ও লোকবল দিয়েই বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। অর্থাৎ মূল কথাটা হল যেইটা ইতিমধ্যে আছে সেইটার যায়গামত ব্যবহার। আপনার কি মত পান্ডবদা?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বিদ্যমান আইন দিয়েই অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব যদি অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয় ও লোকবল বাড়ানো হয়। বিদ্যমান অবকাঠামো আর লোকবল দিয়েও কিছু কাজ করা সম্ভব যদি দুর্নীতি কম হয়। যদি নাগরিকগণের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা থাকতো তাহলে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা বা লোকের অভাব কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু এসব তো হবার নয়, তাই বিদ্যমান আইনকে আরো সংহত করার দরকারটা থেকেই যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডবদা "নাগরিকগণের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা" যদি না হওয়ার জিনিস হয় তাহলেতো আমরা যত আইনই করি না কেন তার ফল পাওয়া যাবে সামান্যই। আমি নতুন আইনের বা পদ্ধতিগত পরিবর্তন-পরিবর্ধনের বিরোধিতা করছি না, কিন্তু আমার পয়েন্টাই হল সবার আগে "নাগরিকগণের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা" তৈরি করা বা আইন মানতে বাধ্য করা। আপনাকে ধন্যবাদ, কারণ আমি আমার প্রকাশভঙ্গির সীমাবদ্ধতায় যেটা ঠিকমত লিখে উঠতে পারছিলাম না সেটা আপনার মন্তব্যে পেয়ে গেছি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সহমত, মোটরসাইকেলের ওপর ট্রাফিক আইনের প্রয়োগে আরো কঠোর হতে হবে।
মোটরসাইকেল বয়োসন্ধির কিশোরের স্বপ্ন পুরনের উপকরন রয়ে গেছে। তদুপরি আছেন রজনিকান্ত ও অক্ষয় খান্না ও তাদের অনুসারি ঢালিউডের হিরুরা। দু-পায়ের ফাঁকে শক্তিশালি উত্তপ্ত ও ক্ষীপ্র একটি যন্ত্র নিয়ে রাস্তের উল্টোদিকে বা ফুটপাথে উঠে রাস্তার জ্য়ামে আটকে পড়া রেডিমেড দরশক-শ্রোতার সামনে রজনিকান্ত হবার সুযোগ কি কোন কিশোর ছাড়তে পারে? বয়োঃপ্রাপ্ত ভারসাম্য়যুক্ত কারো এতে আগ্রহ থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়না। একারনেই সকল মোটরসাইকেল চালক এরকম করেনা। একজন নারীমোটর সাইকেল চালক (দেশে এ্ই প্রানী সাদা গোখরার মত বিরল) এরকম ইস্টুপিড কিছু করার মত রুচি কোনদিন হবে বলেও মনে হয়না।
এখানে মোটরসাইকেলের বাজারজাতকারির একটা বড় ভুমিকা আছে। বাপের টাকায় যারা মোটরসাইকেল কেনে, তার চাইতেও আরো সুবিশাল একটি বাজার যে আমাদের দেশে আছে যাদের কাছে শাস্রয়ে মোটরসাইকেল বিক্রী করা যায়, সেটা তারা বুঝে নেবে একদিন নিশ্চয়। সিটিসেলের পুরুষালি মোবাইলফোন যেভাবে গণমানুষের কাছে-থাকার আনুষাংগিকে পরিনত হয়েছে, সেভাবে আমার ধারনা ২৫০-৩০০ সিসির অপ্রয়োজনীয় দানবের চাইতে ৫০-৮০ সিসির পারিবারিক বাহনটিকে যেদিন তারা ছোট বোনটির জন্য় কলেজে যাবার বা মা-এর হুটহাট নিউমারকেটে যাবার অনুষংগ হিসাবে বাজারে ছাড়বে, সেদিন সেই কিশোর ছেলেটি বয়োপ্রাপ্ত হবার কথা ভাবতে পারে।
মেয়েদের বিনা শুল্কে মোটর সাইকেল কেনার সুযোগ কর দিন। ব্য়ান্কে ব্য়ান্কে মেয়েদের সহজ সুদে সাইকেল কেনার জন্য় লোন দিন। মোটর সাইকেলচালক সম্প্রদায়ের ভেতরে টেস্টস্টোরনের সমান পরিমান প্রোজেস্টেরন আসতে দিন। মোটরসাইকেলকে মাচো উপাদান থেকে জীবিকা ও কাজের কলকাঠিতে রুপান্তরিত করুন, তাহলে হয়তো কিছুটা পরিবরতন আসবে।
চমৎকার প্রস্তাব! এর বাজার সম্ভাবনা ব্যাপক। সামাজিক প্রতিবন্ধকতাটি উঠে যেতে বিশেষ একটা সময় লাগবে বলে মনে হয় না। প্রথমে স্কুটার দিয়ে শুরু করতে হবে। অফিসগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে নারীদের এই ব্যাপারে ঋণ দেবার জন্য। ব্যাংকগুলো অফিসগুলোকে এর জন্য টাকার জোগান দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রীদেরকেও এই ঋণ দেয়া যেতে পারে।
সাধারণ মানুষের জন্য ৫০-৮০ সিসি'র বাইকই যথেষ্ট। যাদের আন্তঃজেলা বা আন্তঃনগর যাতায়ত করতে হয় তাদের জন্য একটু বেশি লাগবে। নিরাপত্তাবাহিনীর লাগবে আরো বেশি। মোটরসাইকেল যাদের কাছে যাতায়তের সহজ উপায়ের চেয়ে ব্যাটাগিরি দেখানোর উপায় বেশি তাদেরকে হাজার সিসি'র বাইক দিলেও পোষাবে না। এই শ্রেণীই বেশি আইন ভাঙে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমেরিকায় আসার পরে মনে হয়েছে গাড়ির সিটের নীচে একটা গজারির লাঠি রাখা দরকার, সময় অসময়ে মটরবাইকারদের পিটানোর জন্য। এই দেশে আমার অভিজ্ঞতায় শতকরা হার অনুসারে মোটর সাইকেলের আরোহীদের আইন অমান্য করার হার, গাড়ির চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী। বিশেষ করে ফ্রিওয়েতে যেখানে স্পিড লিমিট সাধারনত ৭০মাইল/ঘন্টা থাকে, সেখানে আশেপাশে দিয়ে প্রায়ই ৮০/৯০ এ চালিয়ে মোটর সাইকেল আরোহীদের যেতে দেখি। আরেকটা জিনিস দেখেছি, আমেরিকায় বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল উভয়কেই রাস্তায় চলার সময় পূর্ণ যানের মতন জায়গায় দেওয়ার নিয়ম। অর্থাৎ কোন লেইন এ যদি একটা মোটর/বাই সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি তার পাশে লেইন শেয়ার করে দাঁড়াতে পারবেন না (যতই যায়গা থাকুক না কেন) পেছনে দাঁড়াতে হবে। এই নিয়ম প্রায় সব গাড়ি চালক মানলেও, অনেক ক্ষেত্রেই মোটর/বাই সাইকেল আরোহীদের ভঙ্গ করতে দেখেছি।
আমার আব্বার কাছে শুনেছি তার ৮০সালের শুরুর দিকে এক চাকরিতে তাকে একটা মোটর সাইকেল দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আম্মা আর দাদীর সম্মিলিত আপত্তিতে সেই মোটর সাইকেল তার কখনওই চালানো হয়নাই।
গজারীর লাঠি বাংলাদেশেও দরকার - মাস্তান বাইকারদের জন্য তো বটেই, বাস/ট্রাক/কারের মাস্তান ড্রাইভারকে পিটানোর জন্যও। সম্ভবত সব দেশের বাইকারদের মধ্যেই আইন অমান্য করার প্রবণতা অন্য ড্রাইভারদের তুলনায় বেশি। সাইকেল/মোটরসাইকেলের সাথে লেইন শেয়ার না করার বিধানটা জানতাম না। তবে এই আইন বাইকাররাই বেশি ভাঙে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দেশে থাকতে একটা রাখতাম। যদিও কখনও ব্যবহার করা লাগেনি।
লাঠির পরিকল্পনা ভালো তবে শাজাহান খানের পুত্র ও পৌত্ররা ওই লাঠি আবার যথাস্থানে ঢুকিয়ে দিতে পারে। হাজার হলেও মন্ত্রীর পোলা-নাতি বলে কথা! তাই আমি একটা Taser CED কেনার কথা ভাবছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
Taser ECD পুলিশের জন্য। তুমি কিনতে বা ব্যবহার করতে পারবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাংলাদেশের পরিবহন এবং এর চলন বলন সবকিছু নিয়াই নতুন করে ভাবতে হবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
"গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট"
গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট বাদ পড়ে গেছে- লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের হওয়া। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে লাইসেন্স পেতে খরচ করতে হয় ১৫০০ টাকা, তাই লাইসেন্সধারী আর লাইসেন্সবিহীন চালকের মাঝে পার্থক্য তেমন উনিশ-বিশ কিছু হওয়ার কথা না। তাছাড়া পরীক্ষাটা একেবারেই শিশুসুলভ বালখিল্যতায় ভরা। লিখিত পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বাদ দিয়ে ফালতু কিছু প্রশ্ন আসে এবং সেইগুলাও পাশেরজনের সাথে আলোচনা করে লেখার সূযোগ থাকে। ভাইবাতে মাশাল্লাহ নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয় আর লাল-সবুজ সিগনাল চিনতে পারলেই "পাশ" লেখা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ফিল্ডটেস্ট সেইটাতেও জিগজ্যাগ আর অপ্রয়োজনীয় র্যাম্প টেস্ট নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় (যদিও এগুলাতে পাশ না করতে পারলেও টাকার বিনিময়ে "ফিট" লেখাটা পাওয়া যায়) অথচ 'রোড টেস্ট' পরীক্ষাকাঠামোতে নাই!
১০০% সহমত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন