পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের বয়স এখন তিরাশি চলছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ঊনসত্তর বছর। তার মানে দেশের মানুষের গড় আয়ুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এরশাদ আরো তেরো বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে বেঁচে আছেন। বছরদুই আগে একবার অর্শরোগের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে দুর্মুখেরা তার ইন্তেকালের গুজব রটিয়েছিল। সেই গুজবকে মিথ্যা প্রমাণিত করে এরশাদ বহাল তবিয়তে আবার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হয়েছেন।
গণআন্দোলনে পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ ও তার সহচরদেরকে তৎকালীন সরকার অনায়াসে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি ইত্যাদি অভিযোগে আটক করে বিচারের সন্মূখীন করতে পারতো। তার ও তার সহযোগীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ করতে পারতো। তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে ও মালামাল জব্দ করে আসন্ন নির্বাচনে তাদের কর্তৃক সম্ভাব্য ভোট কেনা-বেচা বন্ধ করতে পারতো। কিন্তু সরকার তার কিছুই করেনি। আসলে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন দ্রুততম সময়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিজ পদে ফিরে যেতে চাইছিলেন; এবং এরশাদ ও তার সহযোগীদের বিচারের ব্যাপারটা নির্বাচিত সরকারের জন্যই তুলে রাখতে চাইছিলেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের এই সিদ্ধান্তের ফলে এরশাদ ও তার সহযোগীদের পক্ষে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে অংশগ্রহন করা সম্ভব হয় এবং জাতীয় পার্টি পঁয়ত্রিশটি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু এরশাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সরকারের এই উদারতার কথা মনে রাখেননি।
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সম্পর্কে এরশাদের এই উক্তি যে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ সে’কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরশাদ এই রকম ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি করার সাহস কোথা থেকে পেয়েছেন সেটাও সবার জানা। এরশাদের আমলে তার শাসনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও তাদের জোটভূক্ত রাজনৈতিক দলগুলো গত বাইশ বছরে একটু একটু করে এরশাদকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ক্ষমতার মোহে তারা কখনো এরশাদকে কাছে টেনেছে কখনো দূরে ঠেলেছে, কখনো এক মঞ্চে বসিয়েছে কখনো জোট ছাড়তে বাধ্য করেছে, কখনো তাকে আদালতে হাজির করিয়েছে আবার কখনো তার মামলা হিমঘরে পাঠিয়েছে। তাই বোধগম্য কারণেই সরকারে বা বিরোধী দলে থাকা প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কেউই অফিসিয়ালী এরশাদের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির বিরোধিতা করেনি। বস্তুতঃ তারা ব্যাপারটিকে ধর্তব্যই মনে করেনি। আগামী নির্বাচনে এরশাদকে কাছে টানতে হবে নাকি দূরে ঠেলতে হবে সেই হিসেব করতে করতে তারা এই সব অগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্তৃক ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দেবার আরেকটি কারণ হচ্ছে বিষয়টি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সম্পর্কিত বলে। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই তাঁকে পছন্দের চোখে দেখে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগের সমর্থক অনেকে তো ২০০১ সালের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে দোষারোপও করেন। তাই তারা এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই দুই দলের পার্টনার দলগুলোর কাছ থেকেও। এরশাদের আমলে প্রবল আন্দোলন করা ছাত্র সংগঠনদের মধ্যে বড় দলগুলোও (যেমন, মুজিববাদী ছাত্রলীগ বা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল) এই ব্যাপারে কোন ঊচ্চবাচ্য করেনি। একমাত্র ব্যতিক্রম দেখিয়েছেন জাসদ ছাত্রলীগের কিছু প্রাক্তন নেতা। আশি-নব্বইয়ের দশকের এই ছাত্রনেতারা এরশাদের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির তীব্র বিরোধীতা করেছেন।
জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এর প্রতিবাদ জানালেও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এই ব্যাপারে নিরব থেকেছেন। অবশ্য এখন তার অবস্থা কিছুটা মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের আমলের ভিস্তিওয়ালা নিজাম সিক্কা’র মতো। চৌসার যুদ্ধে শের শাহের হাতে পরাজিত হুমায়ুন নদী পার হবার সময় ডুবে মরতে নিলে ভিস্তিওয়ালা নিজাম সিক্কা তার চামড়ার ভিস্তি বাতাসে ফুলিয়ে হুমায়ুনকে ডুবে মরা থেকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে রাজ্য ফিরে ফেলে কৃতজ্ঞ হুমায়ুন পূর্বপ্রতিশ্রুতি মোতাবেক নিজাম সিক্কাকে একবেলার জন্য দিল্লীর তখ্তে বসিয়ে ছিলেন। কমরেড ইনুও জানেন ওজারতীর জন্য তার হাতে মাত্র বছরখানেক সময় আছে। তাই এ’সময়ে এরশাদের মতো অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জড়িত হবার কোন উপায় নেই। কোন এক কালে এরশাদের বিরুদ্ধে তার করা মামলা নিয়ে মাথা ঘামানো সময় নষ্ট শুধু।
আমরা জেনে গেছি আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা তাদের পার্টনার রাজনৈতিক দলগুলো কখনো এরশাদের বিচার করবে না। করলে গত বাইশ বছরেই সেটা সম্পন্ন হতো। তারা এরশাদকে নিয়ে শুধু ক্ষমতার রাজনীতির দাবা খেলবে। তাদের এই আচরণে বিস্মিত হবার কিছু নেই - তারা এমনই। শুধু তারা নয়, আমাদের অনেকেও এমনই। যে একচল্লিশ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে ১৯৯১ সালেই জাতীয় পার্টির পঁয়ত্রিশ জনকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিল তাদের সবাই এরশাদের কাছ থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষ এমন ভাবার কারণ নেই। এরশাদকে রংপুরের যারা “হামার ছাওয়াল” মনে করে লাঙ্গলে ভোট দেন তাদের মনে সেলিম-দেলোয়ার-জাফর-জয়নাল-দীপালী সাহা-জিহাদ-নূর হোসেন-ডাঃ মিলনের মতো মানুষদের আত্মত্যাগের কোন মূল্য নেই। তাদের সাথে একই কাতারে ফেলা যায় সিলেট আর বরিশাল বিভাগের ঐসব মানুষদের যারা লাঙ্গলে ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে এরশাদকে এখনো ফ্যাক্টর বানিয়ে রাখে। ব্যক্তিগত লাভ, আঞ্চলিকতা, নির্বোধ আবেগ যখন বিবেক-বুদ্ধিকে গ্রাস করে তখন তার সুবিধা নিয়ে এরশাদের মতো স্বৈরাচারী শাসক বার বার তার অবস্থান সংহত করার সুযোগ পাবে সেটাই স্বাভাবিক। এভাবে এরশাদ একের পর এক নির্বাচন করে যাবে, নিজের দলের লোকজনকে মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে যাবে, এবং হয়তো একদিন তার আখেরী খায়েশ মোতাবেক রাষ্ট্রপতিও হয়ে যাবে।
এই পর্যায়ে এসেও আমি একটা বিষয়ে আশা ছাড়তে নারাজ। আমি আশা করতে চাই যে, এমন একটা দিন আসবে যে’দিন এমন একটা সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি ইত্যাদি অভিযোগে এরশাদের বিচার করে তার প্রাপ্য শাস্তি কার্যকর করবে। চিলের স্বৈরশাসক অগুস্তো পিনোশে একানব্বই বছর বেঁচেছিলেন। তবুও চিলের মানুষ তার বিচার করে তাকে শাস্তি দিতে পারেনি। চিলের প্রায় প্রতিপাদস্থানে (antipode) থাকা বাংলাদেশে একই ঘটনা ঘটুক তা আমি চাই না। খুব আফসোসের ব্যাপার হবে কোন বিচারের আগেই যদি এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। আমি চাই এরশাদ দীর্ঘজীবন বেঁচে থাকুন। অন্তত তার বিচার সম্পন্ন হয়ে শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত।
প্লিজ এরশাদ! আপনি মরবেন না। আপনি সুস্থ্য-সবল হয়ে বেঁচে থাকুন আরো বহু বছর। আমি, নয়তো আমার সন্তান, নয়তো তার সন্তান যেন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারে আপনার কৃতকর্মের বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তার শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।
মন্তব্য
দুঃখজনক সত্যি!
ত্রিশ লাখ শহীদ এর কথা ভুলে রাজাকার এর ব্যালটে সিল মারা লোকদের দেশে এরশাদকে “হামাক্ ছাওয়াল” মনে করা লোকেরও অভাব নেই--
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রাপ্ত ভোট গড়ে ৫%-এর মতো। সংখ্যাটা হেলাফেলা করার মতো নয়। সবগুলো বাম দল মিলিয়ে এই পরিমাণ ভোট পায় বলে মনে হয় না। শত্রু ঘরের বাইরে তৈরি হয়, আর নিমকহারাম ঘরের ভেতরেই থাকে। পাল্লায় ভোট দেয়া আর লাঙ্গলে ভোট দেয়া দুই দল একই নিক্তিতে বিচার্য না হলেও শেষ বিচারে উভয়েই নিমকহারাম। আর এদের সংখ্যাটা আসলেই আশংকাজনক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আর কিছু করতে না পেরে এরশাদের অর্শরোগ নিয়ে একখানা গল্প লিখেছিলাম। আনিসুল ভাইয়া মানুষ মরলে নিজের বিজ্ঞাপন দেন, আমি এরশাদের জীবদ্দশা প্রসঙ্গেই বিজ্ঞাপনের দামামা পিটলাম।
মহামহিমকে নিয়ে আপনার একটা উপন্যাস লেখার কথা ছিল। যদি এখনো শুরু না করে থাকেন তাহলে আর বিলম্ব না করে শুরু করে দিন। নয়তো তিনি ইন্তেকাল ফরমানোর বারো বছর পর কেউ তাকে মসীহ্ বানিয়ে মহাকাব্যিক উপন্যাস ফেঁদে বসবে। আর তখন গোল্ডফিশ মেমোরীর লোকজন সেটাকেই সত্য বলে ধরে নেবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দ্বিতীয় মিনিটের দিকেঃ "আগে রাষ্ট্রপতি ছিলাম আমাকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, আবার হতে চাইতেই পারি। এখন তো প্রেসিডেন্টের কোন ক্ষমতা নাই আমার তো একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল।...পৃথিবীর বুকে নাম থাকবে দেশের সর্বোচ্চ পদ সেই ইচ্ছা তো থাকতেই পারে।...মানুষের কতো বাসনাই তো থাকে।"
কত হাজারবারের পর আকাশ দেখা যাবে? কতটা কানপাতলে তবে কান্না শোনা যাবে? কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে?
াামজাদা মরুক পাণ্ডবদা অসুবিধা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
অসুবিধা আছে। তাহলে বিচার ও শাস্তির আশাটা আর থাকে না। সেক্ষেত্রে আমার আফসোসের অন্ত থাকবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এরশাদ স্বৈরাচার খুনি সবই ছিল কিন্তু বেয়াদব ছিল না
গত বাইশ বছরে সে গণতান্ত্রিকদের সাথে থেকে থেকে বেয়াদবিটাও শিখে ফেলেছে....
একেবারেই একমত নই। আর দশটা সামরিক স্বৈরাচারের মতো এরশাদও উদ্ধত, দুর্বিনীত ছিল। একটা উদাহরণ দেই। ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর যখন 'ঢাকা অবরোধ' কর্মসূচী দেয়া হয়েছিল সেদিন এরশাদ ঢাকায় থাকার সাহস করেনি। ঢাকার বাইরে (সম্ভবত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়) এক জনসভায় সে ঢাকা অবরোধের আহ্ববানকারী ও তাতে অংশগ্রহনকারীদের বিরুদ্ধে চরম আপত্তিকর সব মন্তব্য করে। বাটেভি যথারীতি ফলাও করে সেই জনসভা কাভার করে ও বারে বারে সম্প্রচার করে। সেদিন জিহাদ শহীদ হন। এরশাদ পরে জিহাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাটেভির ক্যামেরার সামনে আবারও ঢাকা অবরোধের আহ্ববানকারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলে ও জিহাদের বাবাকে এক লাখ টাকা অনুদান দেবার ঘোষণা দেয়। বাটেভি যথারীতি ফলাও করে সেই ঘটনাও বারে বারে সম্প্রচার করে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এরশাদ একটা শুয়োর।
...........................
Every Picture Tells a Story
গালিটা যথেষ্ট হলো না। আমরা আপনার এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহন ও খুব কাছে থেকে বহু ঘটনার সাক্ষী থাকার কথা কিছু জানি। সময় থাকতে এসব লিখে ফেলেন বস্। নয়তো বিকৃতি চলতে থাকবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
তাই হোক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাঙালি এমনই এক অকৃতজ্ঞ জাতি যে এ দেশে এরশাদ আবার প্রেসিডেন্ট হলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। ত্রিদিব রায়ের লাশ আসতেছে, কেন জানি মনে হয় গোলাম আযমকেও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
বাঙালি হিসাবে জন্ম নেয়ার আফসোস আমার কোনদিনও যাবে না মনে হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের চত্ত্বরে একজন মানুষের কবর আছে - সেটা কুখ্যাত মুসলিম লীগার, কসাই খান-এ-সবুরের। এই কবর তুলে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা উচিত হলেও সেকথা কেউ বলে না। ত্রিদিব রায়ের লাশ আনা ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যাপারে কর্তারা আর মিডিয়া 'বোবা-কালা'র ভূমিকায় নেমেছে। অথচ তার ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলাম আজমের চেয়ে অনেক বেশি। ত্রিদিব রায় যদি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে 'বোবা-কালা' ট্রিটমেন্ট পেতে পারে তাহলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে যদি গোলাম আজমের অন্ত্যেষ্টির হয় তখন সে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেতেই পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমাদের হিরো থাকলে মাশাল্লাহ একখানই আছে, লেজেহোমো ! আর বাংলা সিনেমার হিরোরা সহজে মরে না ! বালাই ষাট ! তিনি মরবেন কেন ! শতায়ু হও দাদু !!
বর্তমান সরকারের কাছে দাবি রাখতেই পারি, তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় একটা বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হোক !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পাপিষ্ঠরা নাকি দীর্ঘায়ু হয়। এরশাদ আর গোআজম তার জীবন্ত প্রমান। তবুও প্রকৃতির নিয়মে একদিন ওরাও মরবে।
এরশাদ মরার পর শোকের লাইনে, এবং শোকবানীতে কে কি বলবে সেটার একটা সংকলন তৈরী করলে খুব ইন্টারেষ্টিং হবে মনে হয়। দেখা যাবে ক্ষমতায় থাকতে এরশাদ যাদের পোঁদে আঙুল দিয়েছে তাদের কেউ কেউও শোকাহত হবে সেদিন। ওইদিনটা দেখে যাওয়ার জন্য আমি যেন বেঁচে থাকি মাওলা!
এরশাদ মরলে কি একটা বেহায়াস্তম্ভ তৈরী সম্ভব? চাঁদা লাগলে আমি লাইনে থাকবো শুরুতেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-এই ব্যাপারে আপনার কি কোন সংশয় আছে? ১৯৮২-১৯৯০ যারা এরশাদের বাপান্ত করেছে, গত বাইশ বছর ধরে তারাই এরশাদকে কোলে তুলে আদর করেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মরণ রে, তুঁহুঁ মম---
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আর দেশপ্রেমী জনতা ৯০-এর ইতিহাস ভুলেই গেছে , ভুলেই গেছে।
আসলে ভুলে নাই, ভুলবে না ।
facebook
হে হে... পুরো ভবিষ্যদ্বাণী মার্কা শিরোনাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন