ফরমালিন বা বরফ দেয়া ছাড়া মাছ যেমন দিনে দিনে পঁচে যায় তেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন নানা বিষয় উত্তপ্ত আলোচনা-সমালোচনা হয়ে হারিয়ে যায়। শ্রেণী বা গোষ্ঠী স্বার্থকে স্পর্শ করে যায় এমন বিষয়গুলো ব্যপ্তি ও গভীরতা বিচারে সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত সব ধরনের মিডিয়াতে টিকে থাকে। এরপর নতুন ইস্যু এসে পুরনোগুলোকে চাপা দিয়ে যায়।
কোন শোকই স্থায়ী নয়, এমনকি জনক-জননীর জন্যও। শোক স্থায়ী হলে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারতো না। কখনো কখনো পুরনো শোক যে নিকটজনকে তাড়িত করে সেটাও স্বাভাবিক, এবং স্বল্পস্থায়ী।
যেখানে ন্যায়বিচার দাবী করতে হবে সেখানে দৈনন্দিন জীবনযাপনের চাপে দাবীটা প্রতিদিন উচ্চারিত না হলেও সময় সময় সেটার কথা জানিয়ে, বুঝিয়ে দিতে হবে যে ন্যায়বিচারের দাবী আদায়ের অবস্থান ত্যাগ করা হয়নি।
কোন আশা থেকে নয়, শুধু মনে করিয়ে দেবার জন্য বলছি — পাঁচ বছর পার হয়ে গেলো এখনো বিচার হয়নি।
পিতার হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পঁয়তাল্লিশটা বছর। সে বিচারের রায় হয়েছে, কিন্তু ঘাতকেরা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের স্বর্গরাজ্যগুলোতে নির্বিঘ্নে চড়ে বেড়াচ্ছে। পুত্রের হত্যার বিচারের জন্যও কি অমন দশক দশক অপেক্ষা করতে হবে?
ক্ষোভের কথা বললাম না, হতাশার কথাও বললাম না। কোন দল বা গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন মানুষের কথা কে শুনবে! কার দায় পড়েছে!
পুনশ্চঃ এই দফা আইন নিয়ে কিছু বললাম না। এর আগে আইনের ধারা নিয়ে কথা বলায় বিশেষজ্ঞ লোকজন আমাকে তুলোধুনো করেছেন। কেন আমি আইন বিষয়ে কোন ডিগ্রি না নিয়েই আইন নিয়ে কথা বলতে গেলাম! নিজের গায়ের ওপর দিয়ে যায় এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলেও যে বিশেষজ্ঞ হতে হবে তা জানা ছিল না। অধমের এই ধৃষ্টতা ক্ষমা করে দেবেন।
মন্তব্য
পাণ্ডবদা আপনাকে আবার লিখতে দেখে কতটা ভালো লাগছে সেটা লিখে বোঝাতে পারব না।
সহমত জানানো ছাড়া এখানে আর কিছু বলার নেই। আর লেখালেখির ক্ষেত্রে ডিগ্রীর ব্যাপারটা নিয়ে আপনার মতো আমিও চিন্তিত।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এখানে না ফেবুতে লাইক কামানোর স্কোপ আছে, না রাজনৈতিক ক্যাপিটালের, না আখেরাতের অশেষ নেকির।
তো বিচার, হুয়াট বিচার?
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
অনেকদিন পর পান্ডবদা আপনার লেখা দেখতে পাওয়া অন্যরকম সুখকর বিষয়।
কোন কিছু নিয়ে কথা বলতে ডিগ্রী লাগবে এমন দাবি যারা তুলে তাদের জন্যই এখনো অন্ধকারের জয়জয়কার চারিদিকে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আপনার লেখা বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, পাণ্ডবদা।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
দীর্ঘ বিরতির অবসান ঘটিয়ে আবার লেখালেখি শুরু করায় আন্তরিক ধন্যবাদ!
"শুধু মনে করিয়ে দেবার জন্য বলছি — পাঁচ বছর পার হয়ে গেলো এখনো বিচার হয়নি" ঠিক বুঝলাম না, কোন বিষয়টির কথা বলছেন?
একটি বিষয়ে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- মন্তব্য লেখার বক্সটির উপরে লিঙ্ক, বোল্ড, ইমোটিকন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের জন্য জে ট্যাবগুলি আছে, কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছি এ্যাকাউন্ট লগইন করবার পর তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। দয়া করে একটু ব্যাখ্যা দিবেন?
লেখার ক্যাটেগরিতে দেয়া ট্যাগগুলো খেয়াল করলে কোন বিষয়ে বিচার চাওয়া হয়েছে সেটা বুঝতে পারবেন।
আরো অনেক বছর যাবে। আরো অনেক মানুষ যাবে। কারো জায়গাই কোনভাবে পূরণ হয় না। হবেও না।
অজ্ঞাতবাস
গোড়া থেকেই আমার সন্দেহবাতিক। যে দুর্ঘটনায় জনাব মাসুদ ওর জনাব মিশুক একসাথে মারা গেলেন, সেটাকে নিছক দুর্ঘটনা হিসাবে গ্রহণ করতে পারিনি কোনদিন। "রানওয়ে" ছবিটার প্রায়-ডকুমেন্টরি কাহিনী বানাতে গিয়ে তারা কাদের ছায়া মাড়িয়ে থাকতে পারেন, তার একংশ উন্মোচিত হয়েছিল জুলাই-আগসট মাসে।
নতুন মন্তব্য করুন