যে আমলে ‘খোমাখাতা’য় দিন কাটাতাম সে আমলেও কখনো ঐখানে আপনার দেখা পাইনি। আপনি হয়তো ফেসবুক অ্যাকাউন্টই খোলেননি, সেটা জানতে পারিনি। আসলে খুব ইচ্ছে ছিল আপনাকে দেখার, আপনার সাথে লম্বা আড্ডা দেবার। এরিক মারিয়া রেমার্কের বইয়ের বঙ্গানুবাদ ‘থ্রি কমরেডস’ যে হাতে লেখা হয়েছে সেই হাতের সাথে করমর্দন করার।
তার বহু বছর পরে ‘সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ’ পড়ে বুঝেছি আপনার রসবোধ কতো প্রগাঢ়। সচলে যতদিনে আমার পদচারণা শুরু হয়, ততদিনে আপনি ‘ছড়মানু’, ‘দ্বিপদীপঞ্চক’, ‘কামরাঙা ছড়া’, ‘সুরা পানের সুরা’, ‘ছোট্ট গোলরুটি’, ‘উর্দিবাণী’, ‘সামরিকার্টুন’ দিয়ে আসর জমিয়ে বসেছেন। আসরের পেছনের সারিতে বসে অল্প কিছু দিন সে রসের স্বাদ পেয়েছিলাম। তারপর তো সেই অনিঃশেষ নীরবতা।
আজ সচলে এসে জানলাম আপনি চলে গেছেন, নীরবে, আরও কয়েক দিন আগেই। চলে যাওয়াটা সবারই নির্বন্ধ, কিন্তু তাই বলে এতো আগে! অনুভূতি বোঝাতে দুঃখ, কষ্ট ইত্যাদি ক্লিশে শব্দগুলো এখানে প্রযোজ্য নয়। আসলে আমরা স্তব্ধ প্রস্তর হয়ে গেছি।
অনেক দিন আগে একদিন আপনার অগ্রজের সাথে আপনার বিষয়ে আলাপ করছিলাম, মানে তিনি বলছিলেন আর আমরা শুনছিলাম। তিনি বলেছিলেন আপনার নাম আসলে হওয়া উচিত ছিল ‘সন্ন্যাসে এক সংসারী’, কারণ আপনি এতোটাই গোছানো একজন মানুষ। আপনার লেখা লক্ষ করলে সেগুলোর গঠন, শব্দচয়ন, পরিমিতিবোধ, ত্রুটিহীনতা থেকে বোঝা যায় আপনি আসলে কতোটা গোছানো মানুষ।
গভীর রসবোধের সাথে অকপটতা, সঙ্কোচ-সংশয়হীনতা, সংস্কারমুক্ত-উদারতা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী এগুলোর এমন দুর্লভ কম্বিনেশন সহসা হয় না। যে সীমানাহীন অন্ধকারের কালের ভেতরে আমরা প্রবেশ করেছি সেখানে আপনার লেখার ধার সহ্য করার ক্ষমতা অনেকের না থাকার কথা। অসহিষ্ণুদের পৃথিবী কি আপনাকে এতোটাই বিরক্ত করলো যে লেখা ছাড়লেন, শেষে পৃথিবীটাকেও!
একবার আমাকে একটা বিষয়ে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম, কিন্তু আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়নি। কখনো হয়তো মূর্খের ঔদ্ধত্য দেখিয়েছি, কিন্তু আপনার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়নি। অবশ্য আপনি এসব কৃতজ্ঞতা, ক্ষমা ইত্যাদির বিশেষ তোয়াক্কা করতেন বলে মনে হয় না, আর আজ তো এসব অকিঞ্চিকর বিষয়ের বহু ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন।
আপনার সাথে কি কখনো দেখা হবে? ধানের ছড়ার পাশে, কার্তিক মাসে! যখন সন্ধ্যায় কাক ঘরে ফিরবে, হলুদ নদী নরম হয় শর কাশ হোগলায় – মাঠের ভেতরে; পাখির নীড় থেকে খড় ছড়ায়, মুনিয়ার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের জল আসে! হঠাৎ মেঠো পথে, একরাশ পাতার পেছনে মাঝরাতে যখন চাঁদ আসবে শিরীষ-জাম-ঝাঊ-আমের সরু কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তখন! আজ থেকে বছর কুড়ি পরে যখন আপনি আমি একই অবস্থানে থাকবো তখনও কি আপনার সাথে দেখা হবে না!
মন্তব্য
সচলদের সাথে বেশ কয়েকটা আড্ডায় কোন একদিন পানশালায় বসা হবে এবং সেখান সন্ন্যাসী থাকবে এরকম কথা হয়েছে। অনেক অসমাপ্ত কাজের মধ্যে এটাও অসমাপ্ত থেকে গেল। ইউক্রেনে যাবো ভাবছি। অন্তত একজন হলেও তার কবরটা দেখে আসুক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
খবরটা জানার পর থেকে খুবই অস্থির আছি। অনেক উৎসাহ দিতেন সন্ন্যাসীদা। খুবই আপনজন মনে হত তাকে। অফুরন্ত প্রেরণার উৎস ছিলেন।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাবছিলাম লোকটাকে চিনিনা। যখন পরিচিত লেখা গুলোর কথা জানলাম তখন বুঝলাম একজন নিজের মানুষকে হারালাম। লেখকরা দুরের মানুষ হতে পারেননা একথাটা আবার উপলব্ধী করলাম।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
বিদায়, প্রিয় অনুবাদক!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
‘সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ’ বইটা অমিত হাবিবের হাতে প্রথম দেখি কোন এক ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায়, ২/৩ পাতা পড়েই ছুটে বইমেলা থেকে কিনে নিয়ে এলাম। আমার হাতের কাছেই থাকে বইটা। ‘স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালবাসা’ বইটা এ ওনার অনুবাদ এখন জানলাম। এত চমৎকার অনুবাদ! সকালে আম্মাকে খবরটা দিলাম, শুনে আম্মা হতভম্ব।
আস্তে আস্তে সব অস্তমিত হচ্ছে...
"স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা" জাহিদ হাসানের অনুবাদ করা। মাসুদ মাহমুদ "থ্রি কমরেডস" আর "দ্য রোড ব্যাক" অনুবাদ করেছিলেন...
ভুলটা আমারই। তাড়াহুড়ায় ভুল করে 'স্বপ্ন, মৃত্যু, ভালোবাসা'র কথা লিখেছিলাম। খেয়া তাতে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
...'৯৪ সালের কথা। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে জানুয়ারি'র ঠাণ্ডায় উনি এসেছিলেন একটা গাঢ় সবুজ - কিছুটা অলিভ রঙের টী শার্ট পরে, পায়ে অনেকটা চপ্পল এর মত স্যান্ডেল, এক মাথা এলোমেলো ঝাঁকড়া চুল। বয়স কম ছিল, তাই বোধ হয় খুব অবাক হয়েছিলাম এমন একটা অনুষ্ঠানে এভাবে ওনাকে দেখে! ভেবে নিয়েছিলাম, রুশ দেশে থাকা মানুষদের মনে হয় ঠাণ্ডা লাগে কম। ...বড় হবার পর বুঝতে পেরেছি, সমাজের পোশাকী রূপ'টাকে থোড়াই কেয়ার করতেন তিনি। ...বেশ ক'বছর পর দেখা। তাই পাশে বসিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কি পড়ি - কোথায় পড়ি - শেষ কোন গল্পের বইটা পড়েছি - পড়ার ফাঁকে আর কি কি করি? তখন স্ট্যাম্প জমাতাম, কয়েন জমাতাম, বিল'ও। পকেটে কয়েন ছিল না - তাই একটা ৫ রিভনিয়া'র বিল বের করে স্নেহভরা হাসিমুখে বললেন, "এটা আছে তোমার কাছে?"
...সেই সবজেটে ধূসর ৫ রিভনিয়া'র বিল'টা এখনও আমার কাছে আছে, ছোট বেলার একতলা সিগারেট/দোতলা সিগারেট (ফিল্টার ছাড়া/ ফিল্টার'অলা) স্মৃতিগুলি আছে, বইগুলি আর অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা লেখাগুলি আছে, মানতে পারছি না এখনও - তবু হারিয়ে গিয়েও খুব করে থাকা মানুষটাও আছেন এসবের মাঝেই, থাকবেন চিরকাল !
বোকা মেঘ, আপনি তো সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যারা তাঁর কাছে ছিলেন, স্নেহাশীষ পেয়েছিলেন। একটু লিখুন না তাঁকে নিয়ে, প্লিজ। হোক না সেসব ব্যক্তিগত কথা, তবু তাঁর সম্পর্কে আমাদের আরও জানা তো হবে।
(অটঃ সালটা যদি ১৯৯৪ হয়, তাহলে কারেন্সিটা কি হৃভনিয়া হয় নাকি কার্বোভনেত হয়? হৃভনিয়া ১৯৯৬ সালের বা তার পরের হবার কথা না! আমার জানায় ভুল থাকলে বলবেন।)
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিদায় সন্ন্যাসী এই সংসার থেকে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিদায় সন্ন্যাসী'দা!
দু'জনেই একেবারেই অসময়ে চলে গেলেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
একজন আপাতঅচেনা মানুষের প্রস্থানেও যে এত মন খারাপ হতে পারে এটা বুঝতে পেরেছি যখন একে একে বিভিন্ন কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু-সমমনা-সহযাত্রী-সহযোদ্ধাদের হারাতে শুরু করেছি। সন্ন্যাসীদার চলে যাওয়া একটা ব্যাখ্যাতীত গভীর বিষাদে আচ্ছন্ন করেছে আমাকে। আমি যখন সচলে কিছুটা সচল হয়েছি, ততদিনে উনি সচলে আর লেখেন না। তারপরেও কতদিন বসে বসে ওনার লেখাগুলো পড়েছি আর অজান্তেই মন ভালো হয়ে গেছে। এখন থেকে সেই লেখাগুলো পড়লে মন ভালো হবার বদলে মন খারাপই হবে হয়ত।
আমি যতদূর জানি সন্ন্যাসীদা মৃত্যুর পরে কোনো অলীক জগতে গিয়ে ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা কখনও করেননি। সেরকম কোনো কিছুতে আমারও যেহেতু বিশ্বাস নেই, সেরকম উদ্ভট কোনো কামনা আমি করব না। উনি আমাদের মধ্যেই থাকবেন চেনা আর অচেনা সুহৃদদের ভালোবাসা নিয়ে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
- এটা একদম ঠিক বলেছো। একটা মাত্র জীবন, সেটা নিজের মতো করে কাটানোর সুযোগ আর সাহস সবার হয় না। জুবায়ের ভাইয়ের কথা যতোটা শুনেছি, পড়েছি তাতে মনে হয়েছে তিনি সেটা করতে পেরেছিলেন। সন্ন্যাসীদা'র কথা যতোটা শুনেছি, পড়েছি তাতে মনে হয়েছে তিনিও সেটা করতে পেরেছিলেন। এবং আনিস ভাইকে যতোটা দেখেছি, তাঁর কথা অন্যদের কাছে যতোটা শুনেছি, বা অন্যদের লেখায় যতোটা পড়েছি তাতে মনে হয়েছে তিনি সেটা করছেন। এটা ঈর্ষনীয় একটা ব্যাপার। মেধা, যোগ্যতা, সততা, সাহস আর পরিশ্রমের যোগে এমন এক একটা জীবন তৈরি হয়। সন্ন্যাসীদা'র জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা আর আমাদের মতো চেনা-অচেনা মানুষদের ভালোবাসায় তিনি টিকে থাকবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিদায় সন্ন্যাসী'দা---
সচলে তাঁর কোন লেখা আমিও দেখি নি। হয়ত জানতামই না, আপনার অতুল্য বিবেচনা বোধের কারনে অনেক কিছুই জানলাম। তাঁকে জানাই শ্রদ্ধা, আপনাকে ধন্যবাদ!
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটা কথা বলি আবদুল্লাহ্ ভাই, সচলের এখনকার পাঠকদের একটা বড় অংশ সচলের শুরুর দিক থেকে যারা লিখেছেন কিন্তু এখন আর অমন সক্রিয় নন্ তাদের লেখা পড়েননি। এমনকি যারা এখনো নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন তাদের পুরনো লেখাগুলো পড়েননি। অথচ লেখাগুলো সচলেই আছে এবং সেগুলো খুঁজে বের করা কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন ডান দিকের প্যানেলে পুরনো লেখার যে রেকমেন্ডেশন আসে সেগুলো পড়লেও আগের অনেক লেখকের বা লেখার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানকার মন্তব্য আলোচনায় আরও অন্য লেখক এবং তাদের লেখার খোঁজ পাওয়া যায়। সচল একটা রত্মভাণ্ডার, এখানে হাত বাড়ালেই হীরে-জহরত মেলে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথা সত্য। আমি মাঝে মাঝে বোর হয়ে গেলে http://www.sachalayatan.com/?page=1 এইখানে ইচ্ছামত একটা পেইজনাম্বার বসায়ে টাইমট্রাভেল করি।
..................................................................
#Banshibir.
এতে আমার তো বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, আদৌ সন্দেহবাতিকগ্রস্থ তেমন কেউ আছেন বলে মনে হয় না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সচলের বেশ কিছু পুরনো লেখা পড়েছি বটে, তবে সেসবের অধিকাংশই সমসাময়িক লেখকদের লেখা। অনেকবারই ভেবেছি, পুরনো লেখাগুলো বছরওয়ারী হিসেবে পড়া শুরু করবো, কিন্তু আফসোস, এখন পর্যন্ত তা করে উঠতে পারলাম না।
নানান কাজের ঝামেলায় বেশ কিছুদিন নেট জগত থেকে দূরে থাকায় দেরীতে জানলাম খবরটা। অচেনা মানুষ হয়েও সংবাদটা কেমন একটা ধাক্কার মতো ছিল। তাঁর সাথে আমার পরিচয় ছিল না, সচলে পেয়েছি মাত্র কয়েক মাস। তাঁকে শুধু নিক দিয়ে চিনতাম, পরিমিত রসবোধের অসাধারণ এক লেখক হিসেবে জানতাম। কিন্তু জানতাম না তিনিই আমার প্রিয় বই 'থ্রি কমরেডস' এর বাংলা অনুবাদক মাসুদ মাহমুদ। এটা জেনে বোধহয় আরো বেশী বেদনাবোধে আহত হলাম।
উপরের সহসচলদের মন্তব্য পড়ে যা জানলাম আপনি যতদিন পৃথিবীতে ছিলেন, নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন। নিজের পছন্দের জীবন কাটাবার সুযোগ খুব বেশী মানুষের থাকে না। আপনি যা রেখে গেছেন, সেই অমূল্য লেখাগুলো আপনাকে আরো বেশ কিছুকাল বাঁচিয়ে রাখবে খ্যাতির জীবনে, আনন্দ ভূবনে। আপনি যে আনন্দ ছড়িয়ে গেছেন আমাদের মধ্যে, সেই আনন্দের মধ্যেই আপনার দ্বিতীয় জীবন বেঁচে আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আজকের আমি চিন্তা ভাবনায় যেখানে দাঁড়িয়ে, তার পেছনে সন্ন্যাসী দা' সহ আরো অনেক সচল, সচলায়তনের প্ল্যাটফর্মের অনেক বড় ভূমিকা আছে। সন্ন্যাসীদা চলে গেলেও উনাকে মনে থাকবে।
মৃত্যুর পর আর কিছুতে উনি বিশ্বাস করতেন না, আমিও করি না- তাই আর কখনো দেখা হবে, কিংবা মৃত্যুর ওপারে উনি ভালো থাকবেন, এমন কোন আশাবাদও জানাই না। যে রসবোধ এবং যুক্তি উনি ধারণ করতেন, তা আরো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই শুধু চাই।
বিদায় কমরেড!
অলমিতি বিস্তারেণ
- ঠিক। তবে মৃত্যুর পর পঞ্চভূতে লীন হওয়াটা তো সবারই নির্বন্ধ তাই বছর কুড়ি পরে তাঁর সাথে একই অবস্থানে যাবার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন