এখানে যারা যারা প্রবাসি আছেন, হাত তুলেন দেখিঃ কার কার বাসায় সিদ্দিকা কবীরের “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা আছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম (হয় তো জাফর ইকবালের লেখা) যে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাসায় কোরান শরীফ না থাকলেও একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” আছে।
এই বইএর সাথে আমার পরিচ্য় বেশ ছোট বেলায়। আমার মার একটা কপি আছে, প্রথম দিক কার মুদ্রণ, গাড় নীল আর ক্রিম কালারের মলাট। ভেতরে খুবই সুন্দর একটা শাড়ি পড়া, কপালে টিপ দেয়া মহিলার ছবি আঁকা, তার হাতে মনে হয় একটা ট্রেও ছিল, খাবার ভরা। বইটা উৎসর্গ করা ছিল বাংলাদেশের পুষ্টিহীন শিশুদের। আম্মুর বইটা বেশ পুরানো, তার বিয়ের সময় পাওয়া। ব্যবহার করতে করতে বইটার এখন বেশ করুন অবস্থা, পাতাগুলো খুলে খুলে আসে। বিভিন্ন পাতায়, রেসিপিতে আম্মুর হাতে পেন্সিল দিয়ে নোটস লেখা। ছোট বেলায় বাসায় কোন দাওয়াতের আগে মাকে দেখতাম “রান্না খাদ্য পুষ্টি” নিয়ে দুপুর বেলা বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে শুয়ে কি রাঁধবে, কী কী বাজার করতে হবে এই সব লিখতো।মাঝে মাঝে আমাকে বলতো তুমি একটা রেসিপি পছন্দ করো। আমি তখন খুব আগ্রহ নিয়ে এইটা ওইটা পড়তাম। বেশির ভাগ সময়ই আমি যা পছন্দ করতাম তা দাওয়াত উপযোগী হতো না।
বিভিন্ন দেশ-বিদেশ ঘুড়ে মার জন্য প্রচুর রান্নার বই কিনেছি, কিন্তু তাঁর কাছে সিদ্দিকা কবীরের বইএর মতো কোন্ বই ভালো লাগেনি। আমার জীবনের প্রথম রান্না করা ছিল এই বইএর রেসিপি থেকে। কোন এক রোজার সময় শাহী টুকরা রেঁধেছিলাম। কেমন হয়েছিল খেতে সেটা মনে নেই, কিন্তু আমার নিজের রান্না খাদ্য পুষ্টির কপির অপেক্ষায় ছিলাম।
সেই অপেক্ষা শেষ হলো কানাডায় আসার আগে আগে। মা আমার জন্য নতুন মুদ্রনের নীল আর সবুজ মলাটের অফসেট কাগজের একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” কিনে আনলো। তারপ্র দেখি তাঁর বই আর আমারটা নিয়ে মিলিয়ে দেখছে। আমারটায় মাইক্রোওয়েভের কিছু নতুন রেসিপি আছে, তাঁরটায় নাই। বেশ মুখ করুন করে বইটা নেড়ে চেড়ে আমার রুমে রেখে গেল। পরের দিন দেখি যে সে নিজের জন্যও নতুন আরেকটা কিনে আনলো। এইখানে বলে রাখি, আমার মা খুব খুব খুব ভাল রাঁধে আর রাঁধতে পছন্দও করে। নতুন বইটা কিনে আনলেও রেসিপি দেখার জন্য সে কিন্তু পুরানোটাই হাতে তুলে নেয়।
এখানে এসে প্রায়ই “রান্না খাদ্য পুষ্টি” হাতে তুলে নেই, প্রণালি দেখি, মসলার পরিমার চেক করি, 'কষানো', 'বলক' ইত্যাদি শব্দের মানে দেখি। মার মত আমিও নোট লিখি, তবে পোস্ট-ইট স্টিকি নোটস দিয়ে। মাঝে মাঝে মনে হয় মার পুরানো রান্না খাদ্য পুষ্টির কপি নিজের সাথে আনলেই পারতাম। কোন রেসিপিতে তাঁর কি উপদেশ জানতে পারতাম। তাহলে হয়তো সে যে পাতায় হাত বুলিয়েছে, আমিও সেই পাতাগুলো ছুঁতে পারতাম।
* আম্মু তোমাকে খুব মিস করছি।*
মন্তব্য
পরের কথাগুলো পরে মন খারাপ হয়ে গেল...
বেশি মন খারাপ করো না। বাসায় চলে এসো, ওই বই দেখে কিছু রাঁধবো।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
হমম। আর ঝগড়া করেন না।
শুধু সিদ্দিকা নিয়ে লিখলেন যে; ওঁর পাশে যে মেয়েটা দাঁড়ানো থাকে তাঁকে বাদ দিলেন কেন?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
লিখেছি বইটা নিয়ে, বইএ কোন মেয়ে নাই।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আমি এইবার "টমি মিয়ার কিচেন" নিয়ে আসছি সাথে; রান্না-খাদ্য-পুষ্টির মত অত ডিটেইল না হইলও খারাপ লিখেন নাই মিয়া ভাই!
আন্টির পুরনো বইয়ের কথা পড়ে কেন জানি মনে হলো "হাফ-ব্লাড প্রিন্স" এর Potion এর বইয়ের কথা
পুরনো বই নিয়ে আসলে ভালো করতা...
( অফ টপিকঃ তুমি করে বললাম, কারন বাক্সবন্দী তানভীর আমার বন্ধু মানুষ, আর অনিকে তো চেনোই, সেও আমার এককালের বন্ধু! )
"Life happens while we are busy planning it"
টমি মিয়ার কিন্তু বেশ আরো কয়েকটা বই বাজারে আছেঃ একটা আবার রূপচর্চার।
Potion এর কথা মনে পড়লো? বেশ মজা পেলার শুনে।
( অফ টপিকঃ বাক্সবন্দী তানভীর আমারও বন্ধু মানুষ আর আমি ২ অনিকে চিনি। ফেসবুকে এডান, তাহলে বুঝতে পারবো।)
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
বইটার নাম শুনেছি কিন্তু প্রবাসে এসে এর সাথে পরিচয়। মজার ব্যাপার হল সবার বাসায় বইটা দেখি শো-কেসে সাজানো। সময় কোথায় বলেন বই দেখে দেখে রান্না করার, এর চেয়ে ইউটিউবে দেখে নিলেই হয়।
তাও হয়। কিন্তু মসলার পরিমানে হাত বুলিয়ে দেখতে আমার ভালই লাগে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
নতুন বই রাঁধতে রাঁধতে কখন পুরনো হয়ে যাবে টের পাবেন না ............
শুভ রান্নাবান্না
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ আপু।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
সিদ্দিকা কবীরের বই আমার বাসায় নাই। কোনো কবীরের বই-ই নাই। শূন্য হাতে দৃঢ়চিত্ত সম্বল করে চলে এসেছি। পরে সুমন চৌধুরী, অছ্যুৎ বলাই, বলাইনী, আর মাঝে মাঝে দেশে ফোন করে আম্মার কাছ থেকে ইনস্ট্রাকশন নিয়ে কিছুমিছু রান্না করতে শিখেছি।
তবে টিভিতে দেখেছি, রান্নাবান্না একা করা যায় না। পাশে একজন ছম্মাকছল্লো লাগে (শারমিন লাকি দ্রষ্টব্য, তবে উনার উইকিপিডিয়া লিঙ্ক যোগাইতে পার্লাম্না )। যেই কাজ সিদ্দিকা কবীর নিজে একজন এইরাম যুবতী ছাড়া করে দেখাতে অপারগ, সেইটা আমরা ক্যাম্নে করি?
বইটা পড়ে দেখেছি অবশ্য। সুমন চৌধুরীর বাসায় আছে। প্রচুর ফাইন টিউনিঙের ব্যাপারস্যাপার আছে, ওগুলি না করলেও সমস্যা হয় না। আমার ধারণা, মেয়েদের রান্নাঘরে ব্যস্ত রাখার জন্যে বইটা এইভাবে লেখা।
হিমু ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি সহমত।
আমার বইও নাই; শারমীন লাকি ও নাই। তাই রান্নাও বাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বইটা আছে ঠিকই। কিন্তু সত্যি কথা হইলো আইজ পন্ত ঐ বই মোতাবেক কিছুই রান্তারি নাই ......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সবার বই লাগে না।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
বেশি বাইরে খাইলে মুটা হয়ে যাবেন, ভাইয়া।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
:D
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
বইটা আমার কাছে পুরো বারো বছরের প্রবাস জীবন ধরেই আছে। প্রথম কপিটা ছিঁড়েভিড়ে যাবার পর আবার নতুন কপি এসেছে। প্রথম প্রথম যখন রান্নার র-ও জানতাম না, তখন এই বইয়ের নির্দেশ মানার চাইতে ফোন করে মা, আপু বা বউয়ের কাছ থেকে লাইভ ইনস্ট্রাকশনই বেশি কাজে দিতো। বইটাতে কিছু কিছু শব্দের বা ধাপের তো মানেই বুঝতাম না। যেমন একটা হলো, "তেলের উপরে উঠলে নামাও"। কি উঠলে কি নামাতে হবে কিছুই বলা নাই। তবে ফোনে ওইসব দূরবর্তী নির্দেশ মেনে রান্নার পার্ফরম্যান্স পুরোই আশ্রাফুলের ব্যাটিংএর মতো হতো। কখনো কখনো দুর্ধর্ষ রকমের ভালো হতো, আবার কখনো কখনো অখাদ্য। কারণ ওই নির্দেশগুলোতে প্রায়ই "আন্দাজমতো" বলে একটা ব্যাপার থাকতো, যেটার কুলকিনারা কোনদিনই করতে পারিনি।
তবে এখন দেখি যে, এই বইয়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারলে মোটামুটি এডিবল একটা খাবার দাঁড়িয়ে যাবে, এই কনসিস্ট্যান্সিটা মোটামুটি গ্যারাণ্টিড। তাই বইটা আমাদের বাসায় অনেক বেশি ব্যবহার হয়। ছেঁড়ে। আবার নতুন কপি আসে। তাই সিদ্দিকা কবীর জিন্দাবাদ, উইথ অর উইথআউট শারমিন লাকি।
আই আগ্রি
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
নো ওয়ে!!!
লেখাটা ব্যাপক ভালু পাইলাম। বইটা বাসায় আছে, তয় আমি ঐডা দেইখা রান্ধি না, আর আমার মায়েও রান্ধে না, আসলে আমার ঢাকার বাসায় ঐ বই নাইকা। তয়, আমি অই বই দেখি রান্ধার সময় মাঝে মইদ্ধে, উদ্দেশ্য একটাই, কি কি মসল্লা দিতে হয় না, সেটা দেখার জন্যে, যা যা দিতে হয়, তা নিজের মনের মাধুরী মিশায় ঢাইলা দেই, জনগনে খাইয়া দেখছি বিয়াফক তৃপ্তি লাভ কইরা থাকে , আমার হিসাবে রেসিপির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হইল, অযাচিত মসল্লা এড়িয়ে চলা
তয় লেখাটা চমৎকার হইয়ালছে। আর খালাম্মাকে কয়ডা ভার্চুয়াল কোলাকুলি দিয়া দাউ, মন ভালু হইয়া যাবে।
============================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখা পড়ার জন্য থাঙ্কু। আপনার রান্না একদিন খেতে চাইঃ মনের মাধুরি মেশানো রান্না খেতে বেশ আগ্রহী।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
রান্নার চেষ্টায় একটা অন্য ডাইমেনশন যোগ করি, আমার বন্ধুর মতে … কিছু একটা … শ্বাশত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বা এধরনের কিছু।
চাকুরী শুরুর প্রথম দিকে খুলনায় মাস তিনেক ছিলাম। ব্যাচেলার হওয়ার ‘অপরাধ’ সত্ত্বেও খুব সুন্দর একটা বাসার একতলায় আমি এবং আরেক ‘অপরাধী’ বন্ধু থাকার ‘বিরল’ সৌভাগ্য হয়েছিল। উপরতালায় মালিক নিজে থাকত। দুর্ঘটনা বসত মালিকের কলেজে পড়া একটি মেয়ে ছিল। সেই কারনে আমরা দুজন মাথা তুলে উপরের দিকে তাকানোই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে খালাম্মা (বাড়ীয়ালী) ফোন করে ভালমন্দ জানতে চাইত, আমরা গলায় কৃতজ্ঞতা ঢেলে উত্তর দিতাম।
রান্নার জন্য একজন রাধুনী ছিল। একবার হলকি দু/তিন দিন থেকে রাধুনী আর আসেনা। হোটেলে খেতে ইচ্ছা করেনা। একদিন ছুটিবার দিন দুজনে মিলে রান্না করব ঠিক করলাম (অবশ্য কোন বই টই ছিল না)। সব ঠিকঠাক করার পর কোনটা আগে যাবে এসব নিয়ে কনফিউজ হয়ে গেলাম।
খালাম্মাকে ফোন করে মধুর গলায় ভালমন্দ জানতে চেয়ে আস্তে করে জানতে চাইলাম এই জিনিস রান্না করতে হলে আগে কী দিতে হয়। কিছুক্ষণ পর খালাম্মা নিজে এসে রান্না করে দিয়ে গেলেন। বলে গেলেন যতদিন কাজের লোক না আসবে আমরা যেন উনার ওখানে খাওয়াদাওয়া করি। মগ্ধ হয়েছিলাম আতিথিয়তায়।
(আমি খুলনা ছেড়ে চলে আসবার পর আমার খুলনাবাসী বন্ধুও ঐ বাসা ছেড়েদিয়েছিল, কিন্তু বাংলা সিনেমার ঘটনা ঘটেছিল শুনেছিলাম, যদিও মধুরেণ সমাপন হয়নি……।)
খুলনায় কবে ছিলেন? আমরাও থাকতাম ঐখানে, তবে অনেক আগে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ভাল্লাগ্লো লেখা। সাথে বইয়ের কিছু অংশ ঊদ্ধৃত করলে আরো ভালো লাগতো, শুনে মনে হয় অনেক আগেকার বই, কাজেই ভাষাটা ইন্টারেস্টিং হতো। আমি "বারেন্দ্র রন্ধন" বলে একটা বই দেখেছিলাম, তাতে ঐ রকম প্রাচীন ভাষা ছিলো। আর আরেকটা বইতে (নাম ভুলে গেছি, তবে বেশ পুরোনো) দেখেছিলাম সব রান্না (সব মানে সব) গাওয়া ঘিতে করা, আর পুষ্টি স্বাস্থ্যের কথা নেই, সবটাই স্বাদ। অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে তাতে। বইটা হাতে এলে সে সব শেয়ার করার ইচ্ছে আছে।
ভাষা তেমন উলটা-পালটা না, তবে তুমি তুমি করে লেখা।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
দেশ ছাড়ার সময় সিদ্দিকা কবিরের বইটা মনে করে সুটকেসে ভরেছিলাম , এখনও আশেপাশেই থাকে। মাঝে মাঝে অন্যরকম কিছু খেতে চাইলে বের করে দেখি।
বইটা ভাল সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রতিদিনের অতি প্রয়োজনীয় রান্নার মেনুগুলো খুজে পাওয়া যায়না । যেমন ডাল, শাক, মাছের ঝোল। মনে আছে আসার দুতিন দিনের মাথায় ঢাকায় ফোন দিয়ে আম্মুকে বলছিলাম , তোমার সিদ্দিকা কবিরে ডালের রেসিপি নাই। অবশ্য মনে মনে খুশিও হয়েছিলাম যে ছোটখাট কথা জিজ্ঞেস করতে আম্মুর সাথে বারবার কথা বলার একটা বাহানা পাওয়ায়।
লেখা ভাল লাগলো প্রবাসিনী।
--------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
থাঙ্কু
আপনার বইটাকি নতুনটা না কি পুরানোটা? নতুনটার চাল ডাল আটা গম সেকসনে দেখতে পারেন (পেজ ৭৬)।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
লাগে টাকা............এই প্রবাদটি বদলে লাগে রেসিপি দেবেন s.k বললে মন্দ হয়না!
বুঝলাম না।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
বঙ্গ মায়েদের পাশাপাশি বঙ্গ সন্তান্ দের কাছে ও সিদ্দিকা কবির আছেন তাই লিখলাম লাগে রেসিপি দেবেন গৌরিসেন থুক্কু সিদ্দিকা কবির !
সিদ্দিকা কবিরের বইটার কথা শুনলেই মায়ের কথা মনে পড়ে যায় আমারও। সব সন্তানের মতোই বোধ হয়, আমার মায়ের হাতের রান্নাও আমার কাছে অমৃতসমান। "ওয়ার্কিং মাদার" হওয়ায় মা বেশী রান্নার সুযোগ পায় না, কিন্তু ঈদে অথবা শব-এ-বরাতে "রান্না-খাদ্য-পুষ্টির" ধরা-বাঁধা অ্যাপিয়ারেন্স হতো রান্নাঘরে। তেহারি, মোরোগ পোলাও, বুটের ডালের হালুয়া, এ-সমস্তই সিদ্দিকা কবিরের নির্দেশ অনুযায়ী-ই হতো! "রান্না-খদ্য-পুষ্টি"-র কথা ভাবলেই তাই উত্সব উত্সব লাগে!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
কতো দিন আমার মায়ের হাতের স্পর্শ পাই না।
এখন কেবল মায়ের রেখে যাওয়া কাপড়ের ভাজে মায়ের গন্ধ খুজি।
ভালো রান্নার শুভ কামনা রইলো।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
আমি দেশ থেকে আসার আগে আম্মুর একটা শাল নিয়ে এসেছি। এখনো গায়ে দেইনি, মাঝে মাঝে হাত বুলাই।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
হায় পরবাস..................
*তিথীডোর
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ঠিকই বলেছো! সবার ঘরেই আর যাই থাকুক না থাকুক, একখান করে সিদ্দিকা কবীর থাকে! আমিও বৈদেশে আসার আগে একখান উপহার পেলাম, নতুন বইটিই। ওটা থেকেই আমার যতো রান্না! লেখা পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম নিজের কথা ভেবে!
লেখা পড়ার জন্য থাঙ্কু।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
এনটিভিতে 'সিদ্দিকা কবীরস রেসিপি' অনুষ্ঠানটা চালু হওনেরও বেশ আগে ইটিভির জন্য আমি একটা রান্নার অনুষ্ঠান বানাইছিলাম... সেইটা উপস্থাপনার খাতিরে কবীর সাহেবানের বাড়িতে এক সকালে হাজিরা দিছিলাম। তখন তারে আমি প্রথম কথাটা বলছিলাম এরকম যে- এই দেশে কোরআন শরীফের পরেই সবচেয়ে বহুল পঠিত বইটার নাম রান্না খাদ্য পুষ্টি... উনি শুইনা খুব হাসছিলেন, মজাদার রান্না খাওয়াইছিলেন, উপস্থাপাইতেও রাজী হইছিলেন। কিন্তু তারপরে কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তার লগে ব্যাটে বলে হয় নাই, আমরা শেরাটনের চিফ শেফ রবার্টদারে নিছিলাম।
এই বইটা আমার ঘরে সবসময়ই আছে, কিন্তু সত্যি বলতে এই বইটা আমি তেমন একটা বুঝি না। এইটা মোতাবেক আমি কিছুই রানতে পারি নাই আজতক। যা রান্ধি বেশিরভাগই নিজের মনের মাধুরী মিশায়ে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দাওয়াত চাই, দাওয়াত চাই।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আমি নিজের কথা বলতে পারি, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কথাও বলতে পারি, সিদ্দিকা আপা সবার ঘরেই আছেন, আমার মায়ের ঘরেও ছিলেন
আমার আপা, তোমার আপা, সিদ্দিকা আপা সিদ্দিকা আপা
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
স্কয়ার কনজুমার প্রডাক্টস লিমিটেড বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না নামে একটি বই বের করেছে। বেশ রিচ বইটা। সিদ্দিকা কবীরের সম্পাদনায় এই বইটা প্রকাশিত হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রান্না-বান্নার রেসিপি বাংলা-ইংরেজি দু'ভাষাতেই মিলবে।
পরের বার ঢাকায় গিয়ে খুঁজে দেখবো।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
এমন একটা শুরু, আর এমন একটা শেষ! ভাব্তারিনাই আগে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন