১
আজ রবিবার। আমার পড়াশোনা করার দিন। কিন্তু ২ ঘন্টা টেবিলে বসে থেকেও পড়া আগাতে পারছি না। অখাদ্য একটা প্রবন্ধ পড়তে হবে “Transits:Transposing the Subject”। মোটে তিন পাতা পড়া হলো ২ ঘন্টায়, তাই এখন পড়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে লিখি।
২
দেশ থেকে আসার প্রায় ২ মাস হয়ে গেল। তবু মনে হয় কত দিন হয়ে গেল। এইবার দেশ থেকে আসার পর খালি খারাপ খবর শুনি। খুব প্রিয় কিছু মানুষ মারা গেলেন। চিন্তা করে দেখি তাদের সাথে শেষ কবে দেখা করেছিলাম…এইবার গিয়েও কি দেখা হয়েছিল। এই সব চিন্তা করতে করতে মন অস্থির হয়ে যায়…নিজের আম্মু-পাপার তো বয়স হয়ে গেল। প্রবাস জীবন থেকে কি পাবো? জীবনের নিরাপত্তা, জীবিকার নিরাপত্তা, সাস্থ্য চিকিৎসার সুব্যবস্থা, পড়াশোনার সুব্যবস্থা। এই প্রবাস জীবনের জন্য যে কত কিছু ছেড়ে আসলাম!
৩
এইবার দেশ থেকে আসার পরপরই আম্মু ঘ্যান-ঘ্যান শুরু করেছেঃ “বিয়ে কবে করবে? বিয়ে কবে করবে? বিয়ে করো না কেন? তোমার ব্য়স হয়ে যাচ্ছে। তোমার জন্য আমরা হ্জ্ব করতে যেতে পারছি না”। আম্মু যখন এই হজ্বের অজুহাত ব্যবহার করে, তখন কেমন লাগে? নিজেকে পুরোপুরি বাড়ির পোষা পশু-পাখির মত মনে হয়। আমার দ্বায়িত্ব আরেক জনের কাছে দিয়ে যেতেই হবে। কেন? আমি আমার নিজের দ্বায়িত্ব নিয়ে পারি না?
ছোট বেলা থেকে আমাকে যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, যা শেখানো হয়েছে তাতে আমি নিজের দ্বায়িত্ব নিজেই নিতে পারবো। তো হঠাৎ করে কি হলো যে আম্মু বিয়ে দেয়ার জন্য অস্থির? সামাজিক চাপ? হয়তো বা! একা একা থাকি, পড়াশোনা করি বলে যে আমার আত্মিয় স্বজনও কম কথা বলে না…তার উপর আমার সমবয়সী সব খালাত-মামাত ভাই-বোনরাও বিয়ে করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। মানুষও কম না কথায় খোঁচা দেয়ার ব্যপারেঃ “তোমার মেয়ের বিয়ে দেয়া লাগবে না, তুমি তো তোমার মেয়েকে বিদ্বান বানাবে!” যেন বিদ্বান হওয়া খুবই খারাপ একটা ব্যপার।
কালকে আম্মুর সাথে কথা বলতে বলতে মেজাজ চরম খারাপ হয়ে গেল।“অমুক তারিখে তোমার ২ সপ্তাহের ছুটি আছে না? তখন দেশে এসে বিয়ে করে যাও”! আমি কি চাই সেইটা কেউ জানতেই চায় না। আম্মুর কথা নিজের পছন্দ যখন আছে, তখন বিয়ে কেন করবে না? যতই বলি বিয়ে তো করবোই, তবে আগে জীবনটা একটু গুছিয়ে নেই, মাস্টার্সটা আগে শেষ করি। কে শোনে কার কথা? আমার এই মাস্টার্স প্রায় শেষের পথে, আরেকটার করার চিন্তা করছি। ওমা! এতো পড়াশোনা করে কি হবে? আগে বিয়ে তো করো।
উফ বিয়ে বিয়ে বিয়ে! যেন জীবনে বিয়ে ছাড়া আর কোন কিছুরই দাম নাই? মেয়ে হওয়ার এতো বিপদ, এতো বিড়ম্বনা! [বিশ্ব নারী দিবসের আগে কি বলি এইসব?]
৪
কয়েক দিন ধরে এই গানটা খুব শুনছি।
My sweet sweet song, you don't sound sweet to me no more....
মন্তব্য
ভাববেন না, মেয়েরাই শুধু এই সমস্যার স্বীকার। আমার বাসাতেও পিএইচডি তে ঢোকার চেয়ে বিয়েকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মেজাজ চ্রম খারাপ।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কেউ বুঝে না!
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
নিজের একটি সমস্যার ব্লগীয় রূপ। একটা বড় সামাজিক সমস্যার একটি চমৎকার উপস্থাপনা। প্রথম পাতায় প্রকাশিত।
সব লেখায় আসমানী মডু'র 'কী কারণে' কোথায় প্রকাশিত জাতিয় ট্যাগওয়ালা মন্তব্যের রহস্য কী !!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমিও জানতে চাই।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আসমানী মনে হয় ঝাড়ি খাইসে কোন অতিথির দূবলা লেখা প্রকাশ কইরা
- মুক্ত বয়ান
নিজের একটা নিরুপায় অবস্থার কথা বললেন। খারাপ লাগছে। কিন্তু সবার মানসিকতা না বদলানো পর্যন্ত অবস্থার পবির্তন হবে বলে মনে হয়না...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মানসিকতা বদলাবে কেমন করে? কত দিনই বা লাগবে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
কমন সমস্যা
আমার খুব কাছের এক বন্ধুকে (মেয়ে) বিয়ে দিয়ে দিল , অথচ ও এখনো অনার্স ও শেষ করে নাই ।
এবং আমার মেয়ে ক্লাস মেট দের যাদের সম্পর্কে কিছুটা জানি , তাদের মতে বাইরে যাবার আগে বিয়ে না করে গেলে বাইরে যেতেই দেবে না!
কাল (মানে আজ ! ১২ টা বেজে গেছে অনেক আগেই) বিশ্ব নারী দিবস । এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো উচিত বলে মনে হয় ।
তবে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ছে এবং বাড়বেও । প্রশ্ন হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি ?
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
হুমম
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
টবি লাইটম্যানের ফেসবুক পেজে যান - আরো অনেক গান পাবেন
বিয়া তো ভালো জিনিস - এতে সমস্যা কি? বিয়া করলে পড়ালেখা চাঙ্গে উঠবে এই কথাটা বোধহয় পুরাপুরি ঠিক না আসল কথায় আসি: দাওয়াত পাইতাসি কবে? গত দাওয়াতে তো হাপিস মারলেন - দেশী কি জানি খাওয়াবেন বৈলা আর পাত্তা নাই
ঠিক পড়াশোনার সমস্যা তা কিন্তু না...আমি এখনো ছোট। এখনি বিয়ে করার ইচ্ছা নাই।
দাওয়াত তো আপনার দেয়ার কথা । খোমাখাতায় খাওন-দাওনের খালি ছবিই তো দেখে গেলাম।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আচ্ছা এই ছবিটা কি দেখছিলেন? হাহাহা - জাস্ট কিডিং - চিন্তা কৈরেন না, টার্ম শেষ হোক - সামারে পার্টিতে পারটারণ্য হয়ে যাবে এই শহর
সামারের অপেক্ষায় রইলাম। মাছের মাথাটা কই?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
সুপারস্টোরে কিছু কিছু মাছ (যেমন, কিছু সকাই) পরিস্কার করে বিক্রি করে - আঁশ, মাথা, নাড়িভুড়ি, ডিম সব ফালাইয়া দেয় বাঙালি মাছ এইখানে বেশিরভাগ ফরমালিন দেয়া - তাই সেইগুলা এড়াইয়া চলি
আপ্নেতো মিয়া খুউব খ্রাপ
একই সমস্যা আমারো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় তারাতারি বের করতে হবে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আপনার মতো আমারো এবার (আশা করি) মাস্টার্স শেষ হচ্ছে। এবং এখন বিয়ের জন্য প্রচন্ড চাপ। আশেপাশে একটাও কাজিন কিম্বা বন্ধু-বান্ধব নেই যে অবিবাহিত এখনও।
দেশে ফেরত গেলে 'পালাবি কোথায় ১.১' প্রকলপ চালু করতে হবে। হুমমম!
- শরতশিশির -
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
-আপনি আগে আম্মু হন, তারপর বুঝবেন আম্মুরা কেন এসব বলে। আপনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না যে, আপনার কন্যা আপনার মুখ থেকে এমন বিয়ে করো বিয়ে করো কখনোই শুনতে পাবে না।
-আমাদের মানসিকতার পুরোটা বদল হলে ভয় আছে।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
খুব ভালো একটা কথা মনে করিয়ে দিলেন। আম্মুর দৃষ্টিভঙ্গিতে হয়তো পুরো ব্যপারটাই অন্য রকম।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
জুলিয়ান ভাই, প্রবাসিনী কিন্তু বলেননি যে তিনি বিয়ে করতে আগ্রহী নন। বরং করবেন, কিন্তু আরেকটু রয়ে সয়ে। ছেলে হোক কি মেয়ে, নিজের আত্মবিশ্বাস, আত্মপরিচয় আর কিছু একটা করতে পারার ক্ষমতা আগে অর্জন করে তারপর বিয়ে করা উচিত। এটাই কিন্তু তাঁর (এবং আমাদের অনেকেরই) বিশ্বাস। কারণ 'বিয়ে করা' কিন্তু শুধু করতে হবে বলে করা উচিত নয়, বরং মানসিকভাবে তৈরী হয়ে, দায়িত্ব বুঝে করা উচিত।
এবং আমি একমত যখন প্রবাসিনী বলেন যে "আমার দ্বায়িত্ব আরেক জনের কাছে দিয়ে যেতেই হবে। কেন? আমি আমার নিজের দ্বায়িত্ব নিয়ে পারি না?"। আমরা তো বোঝা নই বাবা-মার কাছে। এই চাপটা তৈরী হয় যখন আশেপাশে কথাবার্তা, কানাঘুষা শুরু হয়। কিন্তু যেসমস্ত মা-বাবা উদারমনা, ছেলেমেয়েকে আগে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ দেন, তারা কিন্তু ঠিকই সেই চাপ উহ্য করেন। সেসমস্ত ছেলেমেয়েদের পরে বিয়ে হচ্ছে তো, নাকি?
আর হজ্বের অজুহাতটা আমার কাছে বেমানান লাগে। নিজে ধার্মিক নই, সেজন্য রেফারেন্স দিতে পারবো না, কিন্তু তাই যদি ঠিক হতো, যে ছেলেমেয়েদের সবার বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত হজ্ব কবুল হবে না, তাইলে জেনেশুনে আমার মা-খালা-মামা-ফুপুরা সবাই হজ্ব করতে যেতে পারতেন না (আমার কোনো কাজিনদের তখন বিয়ে হয়নি এবং সবাই বেশ খুঁটিনাটি গবেষণা করেই গিয়েছিলেন)। বরঞ্চ তাঁদের কাছে এটুকু শুনেছি যে, সামর্থ হলে/ থাকলে হজ্ব করা উচিত। আমার নিজের মা-বাবার কথা এটুকু বলতে পারি যে, তাঁরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্বাবলম্বী হিসেবেই বরং আগে দেখতে খুশি হবেন, বিয়ে দেওয়া নিয়ে নয়।
- শরতশিশির -
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বাবা মা-রা কি ভুল সিদ্ধান্ত নেন টেন না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বিয়ের সিদ্ধান্ত, কি ছেলেমেয়েদের, কি বাবা-মার, দু'ক্ষেত্রেই ভুল হতে পারে। খোঁজ খবর না নিয়ে, আদৌ দীর্ঘমেয়াদে টিকবে কি-না চিন্তাভাবনা না করে, শুধুমাত্র টাকা-বাড়ী-গাড়ি অথবা বাইরে থাকে দেখে বিয়ে দিয়ে দেওয়া - অনেক মা-বাবা এরকম আগেও করেছেন, এখনও করেন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। কেন? কারণ, এখানে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কাজ করে, মেয়েটাকে একটা বয়সের পর 'বোঝা' মনে করে যত তাড়াতাড়ি পার করা যায়! এর পেছনে যত না বেশি আর্থিক দৈন্যতা, তারচেয়ে বেশি মান্সিক দৈন্যতা বেশি কাজ করে। তারা ভাবেন, মেয়েটা একটা বয়স পার হয়ে গেলে, 'বিয়ের বাজারে' (?) টিকবে না! এটা তো মান্সিক দৈন্যতা থেকেই আসে, তাই না? আরে, মেয়েটা যদি স্নাতক-স্নাতকোত্তর হয়, নিজে একটা ভাল চাকরি করে, সংসারে কিছু বাড়তি আয় যোগ করতে পারে, সেটা তো বরং আরো ভাল! জামাইটার একার ওপর চাপটা থাকলো না, সেটা দেশেই হোক, কি বিদেশে! সেটাই প্রবাসিনী 'দায়িত্ব' বলতে বুঝিয়েছেন, এবং আমি পুরোপুরি একমত।
মান্সিক দৈন্যতা এখনও আছে বলেই, ভারতে এখনও কন্যা সন্তানের ভ্রুণ মেরে ফেলা হয়। কেন? মেয়ে বিয়ের বোঝা হয়ে যাবে! আমাদের দেশে মেয়ে হলে অনেককেই এখনও বলতে শুনিঃ ''ও, মেয়ে হয়েছে"! আজকে 'বিশ্ব নারী দিবস' পালন করতে হয়, শুধুমাত্র মেয়েরাও মানুষ, সমানাধিকার তাদেরও আছে, মনে করাতে। এইসব হয় বলেই।
এখন আপনার কথায় আসি। আপনার সংঞ্জায়, মেয়ের "ভাল অবস্থান" হলো ভাল বিয়ে হওয়া। ওই যে আগে বললাম, এটা মেয়েকে 'বোঝা' মনে করার ফল। হ্যাঁ, প্রত্যেক মা-বাবা চান, এমনকী আমারো, ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেখে যেতে। কিন্তু, সেটা "ভাল অবস্থান"-এর জন্য নয়। সেটা জীবনের একটা 'পরিণত' স্টেজে ছেলেমেয়েকে দেখে যাওয়া। কারণ, বিয়ে করা মানে (অন্ততঃ আমার কাছে) জীবনের সেই অংশে পা বাড়ানো, যেখানে নিজের পাশাপাশি সংসার আর অনাগত ছেলেমেয়েদের 'দায়িত্ব' বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা, নিজের এবং সংসারের 'একাউনটাবিলিটি' মেনে সব ব্যাপারে, বুঝে-শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাই না? সেটা অনেক ক্ষেত্রে হয় না বলেই, "দুনিয়া জুড়ে প্রচুর গিয়াঞ্জাম"।
এখন বলেন, আমি জানি না, আপনার নিজের ছেলেমেয়ে আছে কি-না - আপনি কি আপনার ছেলেমেয়েদের নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো বাদ দিয়ে বিয়ে করবার জন্য একটা বয়সে চাপ দিবেন? কারণ, আপনারই ছেলে কিম্বা মেয়ে এসে আপনাকে বলতে পারে (যদি তার মধ্যে সচেতনতাবোধ থেকে থাকে), যে কেন আমাকে আগে বিয়ে দিচ্ছো? আর ক'টা দিন অপেক্ষা কর, আমি ডিগ্রীটা অন্ততঃ শেষ করি, অথবা চাকরীতে আগে জয়েন করি। অথবা, শ্বশুরবাড়ী অংগীকার করেও পড়তে দিলো না, চাকরী তো দূরের কথা! পরে একসময় টিকতে না পেরে, চলে আসলো। তখন কার দোষ দেবেন (এগুলো সত্যঘটনা)? মেয়েটার না মানসিক শান্তিটা থাকলো, না নিজের কিছু করার অপশন থাকলো। অথবা, ধরা যাক, আপনার কথা মত "ভাল অবস্থান"ওলা পরিবারের কাছে মেয়েটার বিয়ে হলো, তারপর দেখা গেল, যে জামাইটা 'গে'। ছেলের পরিবার "ভাল করতে" বিয়েটা দিয়েছিল। বলেন এখন, মেয়েটার সংসার না ছেড়ে তখন উপায় কি? আমার নিজের এক ভাল, ভদ্র, উচ্চশিক্ষিত বান্ধবীর এই গল্প - বিয়ে করেছিল শুধুমাত্র বাবা-মার এককথাতেই, নিজের ভাল চাকরী ছেড়ে দিয়ে, অন্য দেশে গিয়ে। বাবা-মা'রা কি ভুল করেন না? অবশ্যই করেন। আরো অনেক মর্মান্তুদ ঘটনা আছে, শুধুমাত্র আগেভাগে 'দায়' থেকে মুক্তি পাওয়ার হুড়োহুড়িতে বিয়ে দিয়ে।
বিয়ে দুটো আত্মার মিলন। সেটা নিজেদের পরিচয় থেকে যেমন হতে পারে, তেমনি বাবা-মার সাথে মিলে দেখে-শুনে, বুঝে নিয়েও। কিন্তু, বিয়ে দেওয়াটাই বাবা-মার একমাত্র কাজ নয়। ছেলেমেয়ে যাতে ঠিক মত মানুষের মত মানুষ হয়, নিজের পছন্দের কোনো বিষয়ে পড়ে সেটা নিয়ে কাজ করতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেটা মুখ্য হওয়া উচিত। অবশ্যই সব সময় আমরা যা চাই তা পাই না, কিন্তু যতটুকু নিজেরা ঠিক রাখতে পারি, সেটুকু তো করা যায়। জন্ম দেওয়া মানেই বাবা-মা হয়ে যাওয়া না, সেটাও ছেলেমেয়েদের কাছে অর্জন করতে হয়, যেমন আমাদের প্রতিনিয়ত বাবা-মার কাছে "ভাল সন্তান" হিসেবে প্রমাণ করতে হয়। এটুকু যখন আমরা মনে রাখি, তখন জীবনের অনেককিছুই স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আর হ্যাঁ, আমি নিজে যেদিন অভিভাবক হবো, সেদিন প্রথম থেকেই আমার লক্ষ্য থাকবে বাচ্চাদের ''ভাল মানুষ'' হিসেবে তৈরী করা। কারণ, আমি জানি, যে আমার ছেলেমেয়েরা যদি ভাল, সফল মানুষ হয়, তাহলে বাকী আর সবকিছুর পাশাপাশি ভাল বিয়েটাও হবে। এটা আমি কিন্তু আমার বাবা-মা, বিশেষ করে, আমার বাবার কাছ থেকেই শুনেছি।
ভাল থাকবেন।
- শরতশিশির -
ব্যাপক মন্তব্য। মন্তব্যে পাঁচতারা।
- মুক্ত বয়ান
ধন্যবাদ অনেক, মুক্ত বয়ান। I'm touched!
- শরতশিশির -
হে হে, ভালো ভালো, তার মানে বিবাহে খুব শীঘ্রই হইবেক, আর আমরাও দাওয়াত পাইবেক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নাআআআআআআআ! আমি এখনো ছোট
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
- ভাবতেছি, এই লেখাটা পিডিএফ করে, প্রিন্ট আউট নিয়ে, সুন্দর করে তিন ভাজ করে, একটা সুন্দর দেখে খামে ভরে, উপরে কয়েক ইউরোর ডাকটিকেট লাগিয়ে পাঠিয়ে দেই আমার বাড়ির ঠিকানায়! আমার বাড়ির জনগণ দেখুক, দেখে শিখুক পোলাপানকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে হয়! পোলাপান কখনোই মুখ ফুটে বলে না!
আরে আমারে খালি একবার যদি বাড়ি থেকে বলে, "বিয়ে কর", তাইলেই তো আমি এক কাপড়ে শেরওয়ানি পিন্দা রওনা দেই। কিন্তু ভুলেও তো কয় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শেরওয়ানি পিন্দন ছাড়াও কিন্তু আরো কাজ আছে - এই পেজে আর এই গ্রুপে কিছুদিন ঘুইরা লন আগে প্রিপারেশন আছে মনে হলে এইখানে সি,ভি, পাঠান - ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ফ্যান ক্লাব এইখানে
হি হি! আমি ধূগোকে অনলাইন ডেটিঙ্গের কথা বলে ধাতানি খাইসি।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ইশ্, সেদিন যখন কইলাম তখন তো খুব লাফাইছিলেন... খাড়ান, এইবার আসেন... বিয়ার দাওয়াত খাওনের জন্য রেডি হয়া বসলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই দিন জোসে লাফালাফি করসি...এখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ধুৎ! এই বিয়ে শাদির যন্ত্রণায় আমার মাথাটা এক্কেবারে গেলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একদম ঠিক।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
বাবা-মা এরা অদ্ভুত জীব। তারা নিজেরা যা শেখায় তার অনেকটাই নিজের পালন করে না। কেউ শিশুদের সংস্কার শেখায়, কিন্তু নিজে সেটা পালন করে না। অন্যেরা সংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে শেখায়, কিন্তু নিজেরা ঠিক রয়ে যায় সংস্কার এর অন্তর্গত।
বাবা মা নিঃসন্দেহে সবার ওপরে। কিন্তু বিয়ের মত জরুরী সিদ্ধান্তে তাদের বায়নাকে প্রধান নিয়ামক করা কি উচিত?
সন্তান হিসাবে আমি বলব, না।
বাবা হিসাবে আমি এ প্রশ্নটাকে বড় ভয় পাই।
সময়ে সব পাল্টায়।
শিশুবেলায় বাবা মায়ের কাছে খেলনা-কার্টুন-চকোলেটের বায়না ধরতাম। ক্রমে লাটাই-সাইকেল-একুয়ারিয়াম এর বায়না। কলেজ-ইউনিতে গিয়ে মাইলস এর কন্সার্টের টিকেট নয়তো বন্ধুদের সাথে দার্জিলিং এ যাবার জন্য কিছু 'আর্থিক প্রণোদনা' র বায়না। যখন বাবা-মা বায়না পুরন করেনি, তখন গাল ফুলিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যাবার হুমকিও দিয়েছি।
এখন বাবা মায়েরা বায়না ধরেন। তুই বাংলা না পড়ে ডাক্তারী পড়। পাশ দেবার পর, বগুড়া-বিলাত যাওয়ার দরকার নাই, তুই বাসায় থেকে যে চাকরী করা যায় সেটা কর। চাকরীর বছর পেরুলো কি পেরুলো না, তো শুরু হল বিয়ের বায়না। প্রেম করিস তো ভালকথা, বিয়ে করে ফেল।
ছেলেমেয়ের বিয়ে না হলে তাদের হজ্জ্ব আটকে থাকে। বিয়ে করেও শান্তি হয় না। এরপরে আসে নাতী-নাতনীর জন্য বায়না। ফুটফুটে বংশধরের মুখ না দেখে তাদের দুনিয়া ছাড়তে ইচ্ছা করে না। ঠিক যেমন ছোটবেলায় বাসা ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দিতাম, তারা এখন দুনিয়া ছেড়ে যাবার হুমকি দেন।
সময়ে সবই পাল্টে যায়।
হায়রে লাড্ডু
হয়তো কোনদিন জিবরানের এই কথাগুলো আমাদের বাপ-মাদের মাথায় ঢুকবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সাধু সাধু! আহ্, খলিল জিবরান! আমার ভোরটা আজকে অন্যরকম সুন্দর হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক, সুবিনয় মুস্তফী!
- শরতশিশির -
বাপ-মায়েরা পোলা-মাইয়ার মুখ দেখলেই বুঝতে পারে কারে এখনি বিয়া করানো দরকার, কার আরো পরে হইলেও চলবে এইসব। নিশ্চয়ই আপনারে দেইখাই বুইঝ্যা ফালাইছে এখনি বিয়া করানো দরকার !
বাপ-মায়ের অভিজ্ঞ চোখরে ফাঁকি দিবেন কেমনে ! হা হা হা !
বিবাহ অতিশয় উত্তম বস্তু। ইহাতে কদাচ বিলম্ব করা অনুচিত...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সবই নিয়তি... জন্মের সময় .টিপসই দিছিলাম, সারা জীবন নারী হইয়াই থাকিব এবং সকলের বাধ্য থাকিব। আমাদের গলার স্বর যেন কেউ শুনিতে না পায়।
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
লাড্ডু জিনিসটাই খারাপ।
খাইতেও মঞ্চায়, আবার খাইলে দাঁতে পোকা ধরবে, সেটা ভেবে আকুল!!! :(
- মুক্ত বয়ান
নতুন মন্তব্য করুন