ব্যক্তি খালেদা জিয়া এবং ব্যক্তি শেখ হাসিনা নিয়ে আমার সবসময়ই একটি আগ্রহ ছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ঘুরে ফিরে মোটামুটি এই দুইজন মানুষই আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। কাজেই এই দুইজনের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী, সাহস, ভীতি, নমনীয়তা, কাঠিন্য, রুচি, দূরদর্শিতার মত বিষয়গুলোতে তুলনামূলক পার্থক্য নিশ্চিতভাবেই গত দুই দশকের বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সুনির্দিষ্ট কিছু বাঁক তৈরিতে সাহায্য করেছে। তার উপর আমাদের সংবিধানের ৫৫ এবং ৭০ অনুচ্ছেদ দুটি খেয়াল করলে অবাক হবেন জেনে যে ব্যক্তি হিসেবে তাদের এই আচরণকে সরাসরি ক্ষমতায় পরিণত করার সুযোগ লিখিতভাবেই আমাদের আইনে আছে। এই লেখাটা ট্রিগার করল ২৯শে ডিসেম্বর টিভিতে সম্প্রচারিত খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক বকাঝকা, কিন্তু আমার আগ্রহ আরও আগে থেকে। আমি যেহেতু মনোবিজ্ঞানী নই কাজেই এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রফেশ্যনাল বা একাডেমিক কিছু করতে পারি নাই। কেউ করলে মন্দ হত না।
কিছু মানুষ এরকম একটি ঢালাও অভিযোগ করে যে দুই জনই সমান খারাপ বা দুই জনই সমান। প্রথমত: দুজন মানুষ হুবহু একরকম হওয়া থিওরীটিক্যালি অসম্ভব। তাহলে এরকম বলার কারণ কি? একটি কারণ হতে পারে যে দুজনের ব্যক্তিত্বের তুলনামূলক বিচার করতে যে সময় বা শ্রম দিতে হবে তারা সেটি দিতে রাজি নন। এরকম কিছু কিছু সোফায়-হেলান-দিয়ে-ভুড়ি-বাগিয়ে-বসে-থাকা বিপ্লবী আছেন যারা ফেসবুকে বা চায়ের টঙে দুইজনকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন কিন্তু এই দুইজনের আমলে সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিকই বের করে আনেন। আরেকটি দল আছে যারা জানেন নিজেদের অবস্থা এনাদের দুই জনের চেয়েও খারাপ তাই কোন রকম বিশ্লেষণে না গিয়ে খালি এনাদের দুইজনকে নিয়েই পড়ে থাকেন। এই গ্রুপে আছে কিছু বাম রাজনীতিবিদ।
আমার পরিচিত এক বড় ভাইয়ের মা পরিকল্পনা কমিশনের একনেক কমিটিতে কাজ করেছেন এই দুই জনের আমলেই। ওনার বক্তব্য ছিল মিটিংয়ে শেখ হাসিনার হোমওর্য়াক করা, আলোচনায় অংশ নেয়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার প্রবণতা খালেদা জিয়ার চাইতে বেশি। শুধু একনেকের মিটিং মিনিট থেকে ওনাদের ব্যক্তিত্বের তুলনামূলক পার্থক্যের যে খন্ডচিত্র আঁকা সম্ভব সেটি করা গেলেও কিন্তু মন্দ হত না। একনেক মিটিংয়ের কার্যবিবরণী পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনী বাঁধা থাকার কথা না কিন্তু দাপ্তরিক বাঁধা থাকতে পারে। কেউ যদি আগ্রহী হয় আর চেষ্টা করে তাহলে এটি জানা যাবে যে বাঁধাটি ঠিক কত বড়।
এই ভাইয়ার আরেকটি ধারণা হল শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের সংখ্যা খালেদা জিয়ার চেয়ে বেশি এই তথ্যটিও তাদের দুজনের ব্যক্তিচরিত্রের পার্থক্যের একটি দিক নির্দেশ করে। আমি যেহেতু এখন তাদের সাক্ষাৎকারের সঠিক সংখ্যাটি জানিনা কাজেই এটি নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
আমার ধারণা ব্যক্তিত্বের বিচারের ক্ষেত্রে স্বতস্ফুর্ত বক্তব্য বেশি বিবেচনায় আনা উচিৎ। টিভি ক্যামেরার সামনে যখন ওনারা বক্তব্য দেন তখন সেটি থাকে লিখিত এবং দলকে প্রতিনিধিত্ব করে, ব্যক্তিকে নয়। হয়তো এমন কিছু থাকে যেটি ওনারা ব্যক্তি হিসেবে সমর্থন করেননা কিন্তু তাদের বেশিরভাগ সহকর্মী করেন। সাক্ষাৎকারের সময় ওনারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও প্রশ্নকর্তারা অনেক সময় এমন প্রশ্ন করেন যা থেকে তাদের ব্যক্তিচরিত্রটি ফুটে উঠে।
এই লেখার বাকি অংশ আসলে ডকুমেন্টেশন ছাড়া আর কিছু না। আমি বিভিন্ন সূত্র থেকে ওনাদের কিছু বক্তব্য, সাক্ষাৎকার ও ভিডিও পেয়েছি যা নিচে যোগ করে দিচ্ছি। আমার ধারণা এগুলো থেকেও ওনাদের ব্যক্তিত্বের তুলনামূলক পার্থক্যের একটি খন্ডচিত্র আঁকা সম্ভব। আমি নিশ্চিত নিচে দেয়া ভিডিওগুলোর বাইরেও অনেক পাওয়া যাবে। কেউ কমেন্টে দিলে আমি তা যোগ করে দেয়ার চেষ্টা করব।
খালেদা জিয়ার যে বক্তব্য আমার এই লেখাটি ট্রিগার করল সেটি
২০১৩ সালের ২৪শে ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার প্রেস ব্রিফিং
খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার সেই বিখ্যাত ফোনালাপ
সেই ফোনালাপের শেখ হাসিনা প্রান্তের ভিডিও
সেই ফোন কলের আগে দলীয় সহকর্মীদের প্রতি খালেদা জিয়ার মৃদু বকাঝকা
বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন
বিবিসি বাংলাকে দেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
বিবিসিকে দেওয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেয়া খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকার
সিএনএনের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
১৯৮১ সালের জুন মাসে নেয়া খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকার
সিবিসির একটি ভিডিওতে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
ডেভিড ফ্রস্টের নেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: প্রথম পর্ব
ডেভিড ফ্রস্টের নেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার: দ্বিতীয় পর্ব
একাত্তর টিভিকে দেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
মন্তব্য
৯৬ এর জাতীয় সনংসদে শেখ হাসিনার কোন এক বক্তব্য এর জবাবে খালেদা জিয়া সনং্সদে দাঁড়ইয়েই 'চুপ বেয়াদপ' বলেছিলেন। শেখ হাসিনা কী বলেছিলেন সেটা এখন মনে পড়ছেনা, তবে শালীনকিছু মনে হয় না। কারো মনে থাকলে যোগ করে দিতে পারেন।
আমার যতটুক মনে পড়ে, খালেদা তোফায়েল সেদিন চুপ বেয়াদব বলেছিল আর এরপর তোফায়েল তাকে ধুয়ে দিয়েছিল।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আচ্ছা ভুল হতে পারে আমার।
ইন্টারেস্টিং পোস্ট। ভিডিও এর সাথে আপনার কিছু পর্যালোচনা যোগ করলে হয়তো ভালো হতো। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত, দেশ চালাবার মতো শিক্ষা, যোগ্যতা বা ব্যক্তিত্ব দুজনের কারোই নেই। শেখ হাসিনাকে আমার কিছুটা সহজ সরল মনে হয়।
শুধুমাত্র সরল কৌতুহল থেকে জানতে চাচ্ছি, দেশ চালাবার মত হতে হলে কতটুকু শিক্ষা, কি ধরণের যোগ্যতা বা ব্যক্তিত্ব থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
আমার মতে দেশ চালাতে এমন লোকের প্রয়োজন যে নিজে সবদিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সহজে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না, যে দলের আগে দেশের স্বার্থকে দেখতে পারে, যার ব্যক্তিত্বের সামনে বিদেশী সাংবাদিকরা অপমান করার বা নাক গলানোর সাহস না পায়।
দুজনকে আসলে এক পাল্লায় মাপিনি, আমার ধারণা একজনের ইচ্ছা থাকলেও দলের চাপে, বা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ঠিক কাজটা করা হয়ে ওঠে না, আর অপরজনের ঠিক কাজটা করার কোন ইচ্ছাই নেই।
আপনার কথায় অনেক প্রশ্ন চলে আসছে মাথায়।
১। ঠিক কাজ বলতে আপনি কি কি বুঝাচ্ছেন?
২। আপনার কথা মতো বুঝা যাচ্ছে প্রথম জন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দলের কোন চাপে কোন ঠিক কাজ করতে পারছেন না বলে মনে করে। কতটুকু আত্নবিশ্বাস আর সাহস থাকলে সারা বিশ্বের চাপের কাছে মাথা না করে কসাই কাদেরের ফাঁসি কর্যকর করতে পারেন একজন প্রধানমন্ত্রী? এটা যদি সাহস আর আত্নবিশ্বাসের উদাহারন না হয় আমাকে দয়া করে বলবেন কি করলে প্রমাণ হবে তিনি আত্নবিশ্বাসী এবং সাহসী?
৩। শেখ হাসিনা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের লক্ষ্য থেকে সরে এসেছেন এমন কিছু কোথায় পেলেন? উনার কথা ও কর্মপদ্ধতি দেখে যতটুকু বুঝি উনি একরোখা, জেদী একজন মানুষ। এটাই তার অন্যতম দোষ নিন্দুকের কাছে। আর ভালোকাজে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হতে সমস্যা কোথায়?
মাসুদ সজীব
আমার কাছে শেখ হাসিনাকে একরোখা মনে হয়না। বরং 'গালিবল' মনে হয়। কসাই কাদেরের ফাঁসি বা বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার এটাই প্রমাণ করে উনি বুঝতে পারলে ঠিক কাজটাই করেন। আবার যখন তিনি ছাত্রলীগের অপরাধকে ঢাকার চেষ্টা করেন, তখন তাকে প্রধানমন্ত্রীসুলভ মনে হয়না। তিনি একটা দলের প্রধান হলেই সেই দলের সব অপরাধ তার কাঁধে চলে আসেনা, এই জিনিসটা তাকে বুঝতে হবে।
এই মুহূর্তে তিনি হরতালে মানুষ হত্যা বা পুলিশ হত্যায় কেন এতটা নমনীয় এটা পরিষ্কার না। সম্ভবত তিনি ভীত শক্ত অবস্হান নিলে সামনে নির্বাচনে একটা আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হতে পারেন। অথচ এখন দরকার পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে যাবার আগেই একটা ব্যবস্হা নেয়া।
তাই কারোই যোগত্য নেই? কি করে দুজনকে এক পাল্লায় মাপলেন একটু ব্যাখ্যা করবেন?
মাসুদ সজীব
ভিন্ন স্বাদের দারুন পোস্ট।
মাসুদ সজীব
মজার জিনিস ! ওনাদের সম্পর্কে অন্যদের বলা ভিডিও নি্যে আর ১টা পোস্ট দিয়েন। তাহলে শফিউল আলম প্রধানের সেই অসাধারণ ভিডিও টাও যোগ করা যায়।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
দ্বিধাহীনভাবে শেখ হাসিনা একজন রাষ্ট্রনায়ক। একটি বিশেষ শ্রেণীর অত্যন্ত সূক্ষ্ম প্রচার আজকে এমন অবস্থা তৈরি করেছে যেখানে খালেদার অদূরদর্শী অবস্থানের সমালোচনা করতে হলে শেখ হাসিনারও সমালোচনা করতে হবে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে বহু সমস্যা তিনি ও তার টিম ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছেন। বাতিক্রম ছিল না বলব না। তবে এখন এক ভয়ংকর সময়ের মুখোমুখি দেশ। কাজী জাফর থেকে শুরু করে কতিপয় সুশীলেরাও গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন। একটা অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়া দেশে তারা এই কাজ কিভাবে করেন ভেবে পাই না। শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কসুলভ পদক্ষেপই আমাদের বাঁচাতে পারে, যে যাই বলি না কেন, দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে ঠেকে।
ধন্যবাদ! যোগ করে দিয়েছি।
আমার মনে হয় শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি একটু বেশি। হয়ত ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা থেকে এই একগুঁয়েমিটা আসছে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষার পার্থক্ষ্যও ব্যক্তিগতভাবে তাদের আচার আচরন, ব্যাবহার এর পার্থক্ষ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকাটাকেও অনেক সময় একগুঁয়েমি মনে হতে পারে। এই দেশের জন্য যাঁর পারিবারিকভাবে এতটা ক্ষতি হয়েছে। যাঁকে হত্যা করার জন্য এতবার মরিয়া প্রচেষ্টা করা হয়েছে। যিনি এক অর্থে বোনাস লাইফ লিড করছেন। দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য তাঁর লক্ষ্যে অবিচল থাকাটাই স্বাভাবিক।
চমৎকার তথ্য (ভিডিও) সমৃদ্ধ পোস্ট। ধন্যবাদ।
অনেকের মাঝে একটি প্রবণতা দেখেছি, হাসিনা-খালেদা দুইজনই প্রধান মন্ত্রী ছিলেন, দুই জনই দুইটি দলের প্রধান, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছেন, স্বজন হারিয়েছেন - এসব ফ্যাক্ট এনে তুলনামূলক বিচারে হাসিনা খালেদাকে সমান মাপে আনেন। কেউ কেউ আবার রাজনীতি বিমূখ ভাব এনে - 'দুই মহিলাই খারাপ' জাতীয় ব্যঙ্গ করেন। তবে সুযোগটা নেয়, রেহমানের মতো ধান্দাবাজরা। খালেদা কম কথা বলেন, হাসিনা বেশি কথা বলেন - উলটাপালটা বলেন; এসব এনে খালেদার নীরবতাকে গ্লোরিফাই করার চেষ্টা করে।
খালেদার নীরবতা কতটা প্রাজ্ঞতা থেকে বিচ্যুরিত, তার প্রমাণ পাওয়া যায় এ বছরের ফোনালাপ আর গতকালের পুলিসকে ধমকের উদাহরণ থেকে। ৬ষ্ঠ সংসদের সেই 'বেয়াদব' গালি স্মরণও করি এখানে।
আজ ফেসবুকে একটা ছবি দেখলাম, হাসিনা জয়ের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলছেন। আগে রান্নাঘরের ছবি দেখেছি। একজন নেত্রীর এমন মাতৃস্বরূপ রূপ কি খালেদার মাঝে আছে? হয়তো আছে, সেখানে প্রশ্রয়ের মাত্রাটাই এত বেশি ছিল যে এখন কর্কশ কন্ঠে ক্রোধান্বিত রূপই ধরা পড়ে।
ইন্টারেস্টিং পোস্ট! ভিডিওগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ!
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
ইন্টারেস্টিং পোস্ট! আপনার ফোকাস এর জায়গাগুলো একদম আলাদা, চমৎকৃত হচ্ছি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন