আপডেট: এই মাত্র ইস্টিশন ব্লগের এই লেখাটি পড়ে মনে হল আসলেই রাহী আর উল্লাসের বাবা-মা'র পরিচয় আর ঠিকানা প্রকাশ পেলে ওদের পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। ধর্মীয় অনুভূতি বলে কথা! তাই আমি সবগুলো ছবি থেকে বাবা-মা'র নাম আর ঠিকানা মুছে দিচ্ছি।
আমার অনেকদিন ধরেই জানার ইচ্ছা ছিল ধর্মীয় অবমাননার মামলার অভিযোগ বা অন্যান্য কাগজে আসলে কী থাকে। রাহী ও উল্লাসের মামলার কাগজ নির্ঝর মজুমদার তমালের কাছ থেকে সম্প্রতি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। যারা এই দুইজনকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দানের অভিযোগে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের অনুভূতি এরকম বাচ্চাদের সদ্যশার্প করা পেন্সিলের মত তীক্ষ্ন না হলে আমার এই ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি জানা হত না। কথা না বাড়িয়ে কাগজগুলোর কপি দিয়ে দেই। এই লেখাটি শুধুই ডকুমেন্টেশন। এখানকার ছবিগুলো কপিরাইট ছাড়া নির্ঝর পাবলিক ডোমেইনে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
প্রথমে দেখব এজাহারের কাগজ।
এর পর সিএমএম আদালতে আবেদন।
প্রথম পৃষ্ঠা:
দ্বিতীয় পৃষ্ঠা:
সর্বশেষ এফআইআরের কপি:
মন্তব্য
গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্টেশন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________
সরকার শিবিরের হাতে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তুলে দিলো। সদালাপের স্ক্রীনশট রায়হানের মত লোকজনদের তো এখন পোয়াবারো। আমি আগামী বাজেটে এদের আরো পিসি কেনা বাবদে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী জানাচ্ছি, এমনকি তা বিশ্বব্যাংক বা জাইকা থেকে নিয়ে হলেও
----ইমরান ওয়াহিদ
যত দোষ সব ব্লগারদের , অদ্ভুত এক সাতান্ন ধারা যখন ইচ্ছা তখন ব্যবহার করতে পারবে , বাহ ! ভালো তো ভালো নাহ !
অনেক ধন্যবাদ ভাই , নথিগুলো শেয়ার করার জন্য ।
শিবঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যা বুঝলাম। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের উস্কানি ও আহবানদাতার আহবানে পুলিশবাহিনী করিতকর্মা হয়ে কয়েকজনকে জোর করে থানায় ঢুকিয়ে নিয়েছেন। হাস্যকর সব অভিযোগ, হাস্যকর সব মামলা। থানায় মামলা নেয়া পুলিশ অফিসারদের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হোক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ফারাবিকে ধরার মুরদ নাই, তবে ফারাবীর সাথে যে তর্ক করবে তাকে ধরতে বাঁধা নাই। লজ্জাজনক।
বাপ্রে! ধর্মে নাই, জিরাফই ভালু এবং আমিও
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
৫৭ ধারা অদ্ভুদ এবং এক চোখা!!!!
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ওদের নিরাপত্তার জন্য আমি বাবা-মা'র নাম আর ঠিকানা মুছে দিলাম।
ফেসবুক মেসেজের কথাবার্তা নিয়েও দেখলাম অভিযোগ আছে। আমি আমার বন্ধুর সাথে ব্যক্তিগত মেসেজে কী বললাম, তা নিয়েও মামলা হবে?
ইন্টারনেটে মানুষের বক্তব্য আইন করে আটকানোর বুদ্ধি কার মাথা থেকে প্রথম বেরিয়েছিলো জানতে মন চায়।
- সুচিন্তিত ভুল
এদেশে জঙ্গি ফারাবীর ধমকে প্যান্ট ভেজায় সুশীল উদ্যোক্তা রকমারীর মেহেদী । আবার বলে , 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' । সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য হয় না কারণ মুহিত এবং নাহিদ সাহেব আগেই প্যান্ট ভিজিয়ে বসে আছেন । শাবির ভিসি তো এমনেই প্যান্ট ভেজা, ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত নিতে ভয় পায় । সর্ব সাম্প্রতিক ফারাবীর তেজে প্যান্ট ভেজালো পুলিশ ।
বাঙ্গালী একটি 'প্যান্ট ভেজানো জাতি ' ।
কন্দর্প কান্তি
ফেসবুকের এই পোস্টটির মন্তব্যগুলো পড়ুন:
লিংক
রাহী ও উল্লাসকে যারা মেরেছে, ওরা নির্লজ্জভাবে তা প্রকাশ্যে স্বীকার করছে এবং পুনরায় এই কাজ আবার করার কথা বলছে।
আমি ভিক্টিমদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি; ওরা কোন এগ্রেসিভ লিগ্যাল একশানে যেতে চাইছে না।
ভিক্টিমদের পরিবার যেভাবেই হোক এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে চাইছে ।
দু:খজনক!
এছাড়া, কালপ্রিটদের অনেকেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল/ আছে।
চারপাশ থেকে এই রিকুয়েস্ট করে ফোন আসছে, ছেলেগুলো ছোট, তাই না বুঝে এই কাজ করেছে, ওদের বিরুদ্ধে কোন একশ্যান যেন নেয়া না হয়।
অবাক হবেন, কালপ্রিটরা সবাই মাইনর।
শেষ কয়েক বছর ধরে এই কথা খুব বলা হচ্ছে, লীগের ভেতর জামাত-শিবিরের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে।
সেই কথাকে সত্য বলে প্রমাণিত করলো চট্টগ্রাম কলেজে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা।
চট্টগ্রাম কলেজ শিবির নিয়ন্ত্রিত কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই কলেজে ছাত্রলীগ বলে পরিচয় দেয়া কিছু ছাত্র যখন শিবিরের মত কাজ করে, তখন বুঝা যায়, এরা কোন প্রজাতির লীগ।
লীগের নামকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে শিবিরের পার্সাস সার্ভ করায় হচ্ছে এদের মূল উদ্দেশ্য।
লীগের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সচেতন থাকাটা জরুরি।
এ এক আজব দেশে বাস করছি ভাই।
মানুষ মারলে, মানুষকে হত্যার হুমকি দিলে, রাষ্ট্রকে লুটপাট করলে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন করলে, দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে এই দেশে জেলে যেতে হয় না কিন্তু সমালোচনামূলক লেখালেখির জন্য এই দেশে জেলে যেতে হয়।
শেষ আপডেট হলো:
ভিক্টিমদের ফ্যামিলি কোন লিগ্যাল একশানে যাবে না।
ভিক্টিমরা জেলে বসে তাদের এইচএসসি পরীক্ষা দেবে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়; আজকের পর থেকে যদি ঐ পরিবারের কিছু হয় স্পষ্টতই সেসবের জন্য দায়ী থাকবেন যারা এসব ঐ পরিবারের তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং নির্ঝর মজুমদার যিনি সরবরাহ করেছেন।
নির্ঝর মজুমদারকে বলছি-
আন্দোলন ছেড়ে যে পালিয়ে যায়, সে কাপুরুষ-নর্দমার কীট; তুমিও তাই। আন্দোলনের স্পর্শকাতর মুহুর্তে আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছিলে, ওখানেই থাকতে। দেশটা একজন ভন্ডমুক্ত হতো।
দয়া করে এই পরিবার দুটোর কোন ক্ষতি করো না। তোমার মত পাবলিসিটির লোভ এদের নেই। লেট দেম লিভ, প্লিজ।
[সাব্বির হোসাইন]
\জয় বাঙলা, জয় বঙ্গবন্ধু/
আমাকে কিন্তু নির্ঝরই বললেন নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্যগুলো মুছে দিতে।
আমরা আসলে কোন যুগে বাস করছি ? আমাদের অবশ্যই এই গ্রেফতার এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা উচিত।
গবেষক
৫৭ ধারার অপব্যবহারের একটা অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো এই ঘটনা। আমার কাছে পরিষ্কার না একটা ব্যাপার। ৫৭ ধারার সাথে ব্লাসফেমি আইনের কোন সম্পর্ক আছে নাকি? ৫৭ ধারা দিয়ে ব্লাসফেমি আইনের কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে মনে হয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
৫৭ ধারা দিয়ে ব্লাসফেমি আইনের কাজ করানো হচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন