পত্রিকায় ৭ই মার্চ (১৯৭২ থেকে ১৯৭৫)

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: রবি, ০৭/০৯/২০১৪ - ৪:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকারের মিথ্যা কথা বলার পর সবাই কিছুটা বিরক্ত। কিন্তু এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এটা তো আর ১৯৭৫ না, এটা ২০১৪। দুনিয়া চাপাবাজদের জন্য এখন আরো কঠিন। ভাবলাম সে সময়ের কিছু নিউজ কাটিং দিয়ে এনাদের জীবন আরেকটু কঠিন করে দেই।

৭ই মার্চ, ১৯৭২

দৈনিক বাংলার শেষের পাতা

৭ই মার্চ, ১৯৭৩

দৈনিক বাংলার শেষের পাতা

দৈনিক বাংলার পঞ্চম পাতা

৭ই মার্চ, ১৯৭৪

দৈনিক বাংলার প্রথম পাতা

দৈনিক বাংলার শেষের পাতা

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতা

৭ই মার্চ, ১৯৭৫

দৈনিক বাংলার প্রথম পাতা

দৈনিক বাংলার দ্বিতীয় পাতা

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতা

দৈনিক ইত্তেফাকের দ্বিতীয় পাতা

পাঠকদের মধ্যে কেউ কি জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান খুঁজে পেয়েছেন?

এই বার একটা বাড়ির কাজ। ১৯৭৬ সালের ৭ই মার্চের দৈনিক বাংলা বা ইত্তেফাকে কেউ বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা নিয়ে একটা কথা ছাপা হয়েছে দেখাতে পারলে তাকে আমি যেখানে চান সেখানে খাওয়াব!


মন্তব্য

সুবোধ অবোধ এর ছবি

দারুণ কাজ। হাততালি

অতিথি লেখক এর ছবি

১৯৭১ সালের ৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ট্রান্সক্রিপ্ট(অডিও/ভিডিও/টেক্সট) এর কোনো সূত্র দিতে পারবেন বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের?

ইশতিয়াক আহম্মেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

শামসুল হুদা চৌধুরীর একাত্তরের রণাঙ্গন বইটিতে ভাষণের পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। এছাড়া অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস এর বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা (অনুবাদ ডক্টর মযহারুল ইসলাম) বইতে ভাষণটির শেষ ৩টি লাইনের উদ্ধৃতি রয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদও না তাঁর একটি উপন্যাসে লিখেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের শেষে "জয় পাকিস্তান" বলেছিলেন? এই তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে, এবং এত লোকের জানা থাকে, তাহলে কেন সেটা ১৬ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চেপে যাওয়া হল (এই সময়ের মধ্যে তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল সব মিলিয়ে ১০ বছরেরও কম)?

Emran

অতিথি লেখক এর ছবি

... এবং এত লোকের জানা থাকে

এত লোক বলতে আপনি কাদের বুঝিয়েছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন যারা দাবী করছেন বঙ্গবন্ধু "জয় পাকিস্তান" বলে ভাষণ শেষ করেছিলেন, তাদের বুঝিয়েছি। "এত লোক" কথাটা কোটেশন মার্কের মধ্যে রাখা উচিৎ ছিল।

Emran

এক লহমা এর ছবি

চলুক
শেহাব ভাই, খুব ভাল প্রয়াস। কাটিং-গুলি ক্লিক করে ছবিগুলি বড় আকারে দেখার ব্যবস্থা না থাকায় কাটিং-এর কথাগুলি পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। স্ক্যান-এর মান বা সেগুলি ছোট আকারে প্রকাশ করতে গিয়ে প্রকাশিত ছবিগুলির মানের তারতম্যের কারণেও পড়তে অসুবিধা হয়ে থাকতে পারে। ভালোভাবে পড়া গেছে এমন স্ক্যান থেকে লেখাগুলি পড়ে কথাগুলিকে ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে নিয়ে আসা যায়? অনেকে মিলে করলে কাজটা করে ফেলা যায় মনে হয়।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক চলুক
অসাধারণ প্রয়াস। শেয়ার দিলাম, সবার শেয়ার করা উচিত এমন লেখা। শেহাব ভাই ছবিগুলো বড় আকারে ব্যবস্থা করে দিয়েন।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
"বাড়ির কাজ" এর জন্য ৭৭ বা ৭৮ পর্যন্ত সময় দিলেও কাউকে খাওয়াতে পারেন কিনা সন্দেহ চোখ টিপি
ছবিগুলো ফ্লিকার বা imgur এ রাখলে আরেকটু বড় করে দেখা যেত।

ওহ এখানে বড় করে দেখা যাচ্ছে।

এক লহমা এর ছবি

কিছুটা ভাল পড়া গেল। ধন্যবাদ স্যাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

হাসিব এর ছবি

কিন্তু তবুও বামাতীরা বঙ্গবন্ধুর মুখে জয় পাকিস্তান গুজে দেবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

জয় পাকিস্তান ইস্যুতে ২০০৪ সালে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় পর পর কয়েক সংখ্যায় বিতর্ক হয়েছিলো। তখন আলী যাকের একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছিলেন (১৬ জুলাই, ২০০৪):

দৈনিক পাকিস্তান (স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলা) এর স্টাফ রিপোর্টার মনজুর আহমদ সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, তিনিও এ বিতর্কে স্মৃতিচারণ করেছিলেন (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৪):

সুবোধ অবোধ এর ছবি
মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক

ছবি দুটো ফেবুতে শেয়ার দেওয়ার অনুমতি চাইছি।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

হিমু এর ছবি

পোস্টের লিঙ্কটা শেয়ার করেন, তাহলে পুরো আলোচনাটাই আপনার বন্ধুতালিকার লোকজন দেখতে পাবে।

মাসুদ সজীব এর ছবি

সেটা করেছি কিন্তু অনেকেই মোবাইলে নেট ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে ব্লগে ঢুকে লেখা পড়ার ধৈর্য্য তাদের থাকে না।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দৈনিক বাংলার আর্কাইভে কি কোনভাবে ঢোকা যায়? সেই আর্কাইভ যদি না থাকে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী অথবা সাংবাদিকতা বিভাগে কি দৈনিক বাংলা (তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান)-র জানুয়ারি-মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত প্রকাশিত সংখ্যাগুলি আছে? থাকলে সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই অনাবশ্যক কু-বিতর্কের চূড়ান্ত সমাধান কঠিন হওয়ার কথা না।

Emran

সুবোধ অবোধ এর ছবি

পরবর্তীতে শামছুর রাহমান ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ, এই যে (৩০ জুলাই, ২০০৪):

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ছবি আইল না ক্যা?? চিন্তিত

এক লহমা এর ছবি

এর পরেও যারা ৭ই মার্চের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর মুখে 'বাংলা' ছাড়া আর কোন দেশের জয়ের স্লোগান বসায় তারা নিজেদের কোন না কোন ধান্ধা পূর্ণ করার স্বার্থে মিথ্যাচার করে। ন্যূনতম পর্যায়ে সেই ধান্ধাটা নিজের অজ্ঞতা ঢাকার জন্য যদি বা হয়, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কায়দা করে বঙ্গবন্ধুর অপমান আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবার জন্যই করা হয়।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এটা অনেকেই জানবে, কিন্তু বলবে না।
চুপে চাপে শামসুর রাহমান আগে 'যেটা' বলেছিলেন সেটাই ছড়াবে।

সেসব জোঁকের মুখে ছাড়ার জন্য এটা একটা ভালো লবণ (আয়োডিনযুক্ত) শয়তানী হাসি

সজীব ওসমান এর ছবি

চলুক

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

কারো মুখের কথা প্রমাণ হতে পারেনা কোনো কিছুর। তিনজনের কেউই কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সেলিব্রেটি ছাড়া তাদের মুখের কথা বিশ্বাস করার কোনো কারণই দেখতে পাচ্ছিনা। একই পাতায় প্রকাশিত আরেকজনের মুখের কথা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি অবশ্য সেলিব্রেটি নন।

কাজেই সত্যিকারের প্রমাণ হচ্ছে ১৯৭১ এর ৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ ট্রান্সক্রিপ্ট এর কপি। যার কোনোই খোঁজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি।

ইশতিয়াক আহম্মেদ

হিমু এর ছবি

সত্যিকারের প্রমাণের কথাই যখন তুললেন, বঙ্গবন্ধু "জয় পাকিস্তান" বলেছেন, এমন কোনো প্রমাণ তো এখন পর্যন্ত কোনো সেলিব্রিটি-অসেলিব্রিটিকেই পেশ করতে দেখলাম না। যারা এই দাবি তুলছে, তাদের সম্বলও তো ঐ "মুখের কথা"।

খোদ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ভিডিওর কোথাও জয় পাকিস্তানের নাম গন্ধ নাই। নাকি শেখ মুজিবের মুখের কথাও যথেষ্ট প্রামাণ্য নয়?

অতিথি লেখক এর ছবি

এক্সাক্টলি মাই পয়েন্ট। দুপক্ষেই মুখের কথাকে প্রমাণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে আমি যেটাকে সমর্থন করছি না।

আর বংগবন্ধুর ভাষণের ভিডিও প্রামাণ্য নয় কারণ ভিডিওটি এডিটেড। জয়বাংলা বলার পরেই তা শেষ হয়ে যায়। যদি ওনার বক্তব্য শেষ করে হেঁটে হেঁটে মঞ্চ থেকে নামা পর্যন্ত অবস্থার কোনো ভিডিও থাকে তবে আমি তাকে প্রামাণ্য হিসেবে মেনে নেবো।

জয় পাকিস্তানের প্রমাণ আনার দায়িত্ব সেই পক্ষেরই। কিন্তু তার বিপক্ষ যেন প্রমাণ স্বরূপ শুধু মুখের কথা না আনে। আর সবচেয়ে নিরপেক্ষ প্রমাণের জন্যই আমি ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ - ২৪ মার্চের মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো ট্রান্সক্রিপ্টের কথা বলছি কারণ তাতে কোনোই পরবর্তী সময়ের স্বার্থ জড়িত থাকার অবকাশ নেই।

ইশতিয়াক আহম্মেদ

মাহবুব-উল-আলম এর ছবি

ইশতিয়াক ভাইয়া, যারা জয় পাকিস্তানের গুজব রটায়, এই ভিডিওটার আনএডিটেড সংস্করণ দেখানর দায়িত্ব তাহলে তাদেরই। যদি কেউ ঐ রকম কোন ভিডিও দেখাতে না পারে, তাহলে এই জয় পাকিস্তানের গুজব আমরা বিশ্বাস করব না।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুপক্ষেই মুখের কথাকে প্রমাণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে...

একপক্ষে ভিডিও রয়েছে, অডিও রয়েছে, দেশি বিদেশি ভিডিও-ডকুমেন্টারি রয়েছে, দেশি বিদেশি বইয়ের নতুন পুরাতন সংস্করণ রয়েছে, তৎকালীন পত্র-পত্রিকার স্ক্যান কপি দেয়া এ পোষ্ট রয়েছে। পোষ্টে প্রত্যক্ষদর্শীর কমেন্ট রয়েছে। অথচ কি কৌশলেই না দু'পক্ষকে সমান করে দিলেন!

এসব কোন কিছুতেই আপনার চলবে না। হেঁটে হেঁটে মঞ্চ থেকে নামতে না দেখে আপনি মানবেন না। এমন কথা একমাত্র খোনকারের আত্মীয়র মুখেই মানায়।

ভাই, হেঁটে হেঁটে মঞ্চ থেকে নামার অংশ ভিডিও রেকর্ড করার মত পরিস্থিতি তখন ছিল না। ভাষণের মাঝপথে রেডিও প্রচারই বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিরা।

আপনাকে শুধু এটুকু বলতে পারি, এ ভাষণ রেকর্ড করার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সংরক্ষণ করা পর্যন্ত লিখলে একটা বই হয়ে যাবে (এর প্রমাণ চাইলে দিতে পারি)?

পদ্মাচরের কাঠিয়াল এর ছবি

জনাব, আপনি এত রাগারাগি করেন কেন? ইশতিয়াক সাহেব তো একটা ভাল প্রস্তাব দিয়েছেন।

যারা বলে শেখ মুজিব ৭ মার্চ ভাষণ শেষে "জয় পাকিস্তান" বলেছেন, তারা শেখ মুজিবের এই কথা বলার ভিডিও হাজির করুক। না পারলে বুঝে নিতে হবে শেখ মুজিব ঐ কথা বলেন নাই।

বারডেন অফ প্রুফ তো আপনার কান্ধে না, ইশতিয়াক সাহেবের কান্ধে।

ধ্রুব আলম এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার, হিমু ভাই। শেহাব ভাইয়ের পোস্টের সাথে এগুলোও ভালো addendum হিসেবে কাজ করবে। চলুক

- ইয়ামেন

দিগন্ত বাহার* এর ছবি

''কিছুদিন ধরিয়া তিনি সব বক্তৃতা শেষ করিতেন এক সঙ্গে জয় বাংলা ও জয় পাকিস্তান বলিয়া। এই দিনকার সভায় প্রথম ব্যতিক্রম করিলেন। শুধু জয় বাংলা বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন।"- আবুল মনসুর আহমদ (আমার-দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর)
(জান বের হয়ে গেলো মন্তব্যটি করতে গিয়ে, ক্যাপচা কোডগুলি খুব কনফিউজিং আকারে আসে, মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।)

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

একাত্তরের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বকর্ণে শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এ বিষয়ে সচলে আমার একটা লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। হ্যাঁ, যা বলতে চাইছি, বঙ্গবন্ধু ভাষণের শেষপ্রান্তে 'জয়বাংলা' শব্দ উচ্চারণের পরে আর কোন শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন, এমনটা আমার স্মৃতিতে নেই। তিনি 'জয়বাংলা' উচ্চারণের পরপরই সারা ময়দান 'জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো।
আমার লেখার একটা অংশ উদ্ধৃত করছি,

শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, ''ভায়েরা আমার, আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি___।'' আমি একমনে ভাষণ শুনছি আর অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি সেই কাঙ্খিত বাক্যটি শোনার জন্য। তারপর এক সময়ে বঙ্গবন্ধু বললেন " রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।" তারপর তিনি অল্পক্ষণ অপেক্ষা করলেন। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আসলো সেই ঘোষণা, " এ বারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।" মুহুর্মুহু জয়বাংলা শ্লোগানে রেসকোর্স ময়দান তখন প্রকম্পিত।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

তারপরও জানবেন, কেউ কেউ কানে বেশি শোনে।

ইতিহাসের স্বাক্ষী হবার জন্য আপনাকে শ্রদ্ধাভরে স্যালুট।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

দীনহিন এর ছবি

চলুক

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

সজীব ওসমান এর ছবি

চমৎকার! সাপ্তাহিক ২০০০ এর লেখাগুলি অনেক পরিষ্কারভাবে দেখালো আসল ঘটনা।

চরম উদাস এর ছবি

দারুণ কাজ, দরকার ছিল এটা চলুক

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বাঁধিয়ে রাখবার মতো একটা পোস্ট গুরু গুরু চলুক উত্তম জাঝা! গুল্লি

ননসেন্স এর ছবি

খুব দরকার ছিলো এটা এইসময়ে। চলুক চলুক চলুক

এখন দেখার বিষয় ফ্রি খাওয়া খাইতে কয়জন আসে??? চোখ টিপি চোখ টিপি খাইছে

Norom Manush এর ছবি

চলুক

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

দুর্দান্ত কাজ। গুরু গুরু

'৭৬ থেকে '৯৬ পর্যন্ত এই নিয়ে কি কোন আলোচনা হয়েছিল? নাকি এই সময়টাতে বঙ্গবন্ধু একজন "দেশদ্রোহী" -যিনি "২৫শে মার্চ পর্যন্ত ক্ষমতা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার চিন্তায় মশগুল একজন রাজনীতিবিদ" ছিলেন?

এদের জন্য করুণা হয়। বঙ্গবন্ধুর বর্জ্য ঘেটে আলোকিত হবার জন্য এদের প্রতিযোগিতা দেখলে ঘৃণাও হয়।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ, শেহাব ভাই কোলাকুলি

গতকালকের তৃতীয় মাত্রা দেখেছেন কেউ? সেখানে ড তুহিন মালিক বিশাল লিস্টি দিলেন

যদিও লিস্টিটা আরেকজনের করে দেয়া তা তার তোতলানো দেখে এবং ভুল করা দেখে বোঝা যাচ্ছিল
কারণ, কালের ধুলোয় লেখা কে তিনি বলেছেন কালো ধুলোয় লেখা
অলি আহাদ কে বানিয়ে দিয়েছেন কর্ণেল অলি আহমদ
আর শামসুর রাহমানের ক্লারিফিকেশন যে চেপে যাবেন বলাই বাহুল্য

লিস্টি অবশ্য আলোচ্য নয়, আলোচ্য হল তার পরবর্তী কথোপকথনঃ

ড মালিক হেঁড়ে গলায় বলবার চেষ্টা করলেন যে আওয়ামী লীগ মনে করতে পারে যে বঙ্গবন্ধু জিয়ে/জয় পাকিস্তান বলে থাকলে তা পাকিস্তানের অখণ্ডতা চাওয়ার সমার্থক। সেই সঙ্গে এটিও মনে করিয়ে দিলেন "তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের অখণ্ডতা চাওয়ার দায়ে জামায়াত একটি ট্রাইবুন্যালে অভিযুক্ত"। সহ-বক্তা অবশ্য ধরিয়ে দিয়েছিলেন জামায়াত "পাকিস্তানের অখণ্ডতা" চাইবার দায়ে নয়, বরং "গণহত্যার অংশীদার" হিসেবে অভিযুক্ত। ড মালিক আবারও তার একঘেয়ে হেঁড়ে গলায় বললেন "পাকিস্তানের অখণ্ডতা দাবী করা" একটি "রাজনৈতিক ভুল", সেই ভুলের দায়ে নাকি জামায়াতকে মুল্য দিতে হচ্ছে ব্লা ব্লা ব্লা...

ড মালিকের (অদূর ভবিষ্যতে আসিফ নজরুল/পিয়াস করিম/ফরহাদ মজহার/বদরুদ্দীন উমর/......... প্রমুখ এই একই দাবি করতেই থাকবেন বলে আশঙ্কা হচ্ছে) ভাষ্য কি আলোচ্য বইয়ের সুদূরপ্রসারী আলোচ্যসূচীর প্রথম পাতা? কিছুদিন আগে স্টেভান র‍্যাপের কথা মনে আছে কী? ভদ্রলোক বলতে চেয়েছিলেনঃ "ব্যাক্তির বিচার যদিবা হয়/দলের বিচার কখনও নয়" ... সবকিছু একলাইনে আনলে কেমুন জানি লাগে ইয়ে, মানে...

পরশুদিন একাত্তরের জার্নালে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু কিন্তু বলেছেন যে বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণে নাকি খন্দকার সাহেব "ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবার আহবান" জানিয়েছেন... আমার আশংকা পানি ঘোলা করে খাবার মতন খন্দকার সাহেব হয়তো বইটির "সংশোধিত সংস্করণ" বের করবেন... কিন্তু "মিডিয়ার প্রিয়+প্রামাণ্য" সংস্করণ হয়ে থাকবে প্রথমটিই... ঠিক যেভাবে শামসুর রাহমান উদ্ধৃত হন পরবর্তী "সংশোধনী" ছাড়াই

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

দরকারি পোস্ট, ধন্যবাদ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দরকারী

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তাসনীম এর ছবি

দিগন্ত বাহারের মন্তব্যে বর্ণিত আবুল মনসুর আহমেদের বইয়ের পৃষ্ঠা

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

এনকিদু এর ছবি

এটা তো আর ১৯৭৫ না, এটা ২০১৪। দুনিয়া চাপাবাজদের জন্য এখন আরো কঠিন। ভাবলাম সে সময়ের কিছু নিউজ কাটিং দিয়ে এনাদের জীবন আরেকটু কঠিন করে দেই।

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম বঙ্গবন্ধু জয় বাংলার পরে জিয়ে পাকিস্থান বলেছিলেন কিন্তু, ঐ এক সেকেন্ডের শব্দ দুটি কি পুরো ১৯ মিনিটের কথার সাথে মানানসই? জয় বাংলার পরে জয় পাকিস্থান কি স্লোগান রীতিতে পড়ে? ঐ এক সেকেন্ডের দুটি শব্দ কি পুরো ১৯ মিনিটের ভাষণকে মিথ্যে করে দেয়? ৫২ থেকে ৭১ এর ৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সমস্ত জেল জুলুম নির্যাতনকে মিথ্যে করে দেয়? খোন্কার সাব কি ঐদিন রেসকোর্স ময়দানে ছিল?

জানি জবাব মিলবে না । কারন হারামীদের এতসব ভাবার অবকাশ নেই । তাদের একটা প্রপাগান্ডা পেলেই হলো । শত প্রমাণ দিলেও তাদের আদর্শের সাথে না মিললে তারা বিশ্বাস করবে না।

মন্তব্যে দেখলাম একজন নতুন থিওরি নিয়ে এসেছেন, ভাষণ শেষে সিড়ির হাটা পর্যন্ত ভিডু দেখলে তিনি বিশ্বাস করবেন বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেন নাই! বলি, তুম কৌন হো হরিদাস পাল?
জনাব, আপনি কি করে বিশ্বাস করলেন যে আপনার বাবাই আপনার জন্মদাতা? এটার কি ফার্স্ট টু লাস্ট কোন ভিডিও আছে? হ্যা, ধরে নিছেন মায়ের পাশে আছেন, লোকজন বলছে, কাবিননামা দেখেছেন তাইতো? আমরাও তো আপনার বাবার পরিচয়ের ন্যায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সবগুলো প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। এখন আপনি যদি ফার্স্ট টু লাস্ট ভিডিও না দেখেও আপনার বাবাকে জন্মদাতা স্বীকার করে থাকেন তবে আমাদেরটা মানতে আপত্তি কোথায়?
এরপরও বলছি... বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্থান বলে থাকলে সেটার প্রমাণ দিন, আমরা মেনে নিব । আমরা তো আমাদের পক্ষে কাবিন হোক আর কাটছাট ভিডিও হোক কিছু একটা প্রমাণ হাজির করেছি, এবার আপনি প্রমাণ করুন যে, বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্থান বলেছিলেন অথবা এমন একটা ভিডিও দেখান যে, আপনার বাবাই আপনার জন্মদাতা?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু

মাহবুব-উল-আলম এর ছবি

ভিডিও, অথবা ওনার জন্মদিনের আনুমানিক নয় মাস আগের তারিখে পত্রিকায় ছাপা হওয়া ওনার বাবামায়ের ট্রান্সকৃপ্ট।

আয়নামতি এর ছবি

দারুণ কাজ শেহাব ভাই উত্তম জাঝা!
পাটলডাঙ্গায় পাঠিয়ে দেয়া দরকার অতিরিক্ত শ্রবণকারীদের শয়তানী হাসি

অভিমন্যু . এর ছবি

অনেক উপকার করলেন ভাই। চলুক উত্তম জাঝা!

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

ধ্রুব আলম এর ছবি

১৯৭২ এর ২৬শে মার্চ মেজর জিয়ার একটি লেখা পাবেন এখানে। যদিও সেটি ৭ই মার্চ সম্পর্কিত নয়, তবে উল্লেখ আছে এবং জিয়ার মনোভাব ও অনুভূতি কিছুটা টের পাবেন।

উল্লেখ্য যে, মেজর জিয়া যদি ধামাধরা হয়ে লেখাটি লিখে থাকেন, তাহলে তাকে ও তার ভক্তদের বলতে হয়, তার সাহসের অভাব আছে। ৭২-৭৫-এ তিনি কথিত জুলুম-অত্যাচার, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই লেখার লিংক দেবার পর একজন কুতুব বলেছেন, এইটাতো ৭২ থেকে। ৭১ এরটা কই?

সিলেটে একটা প্রবাদ আছে, 'বাবনে বাইগ ফড়ইন, ফাটার ... এই লাগে না' (ব্রাক্ষ্মণ মন্ত্র পড়ে, পাঠার বিশেষ অঙ্গে তার কোন প্রতিক্রিয়া হয় না)। এইসব লেখা পড়ে তাদের সেই একই অবস্থা। সবকয়টা পাঠা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই লেখা এবং নজু ভাইয়ের লেখা দুটোই প্রচুর তথ্যে সমৃদ্ধ পোস্ট। পুরোটাই মন্তব্যগুলো সহকারে সংরক্ষণ করা দরকার। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

৮ মার্চ, ১৯৭১ সালে প্রকাশিত পত্রিকায় কেবল "জয় বাংলা" দেখতে না পেয়ে যারা কতিপয় বাটপারের মুখে "জয় পাকিস্তানের" গুজবকে প্রামাণ্য ভেবে মনকলা খাচ্ছে, সেইসব লুজারদের জন্য দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখের খবর:

[সূত্র]

শেহাব এর ছবি

এবার ওনারা মনমুড়ি খাক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।