এটা মূলত: ডকুমেন্টেশনের জন্য। আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। একটি সর্বদলীয় কমিটি এটির খসড়া প্রণয়ন করে। এক পর্যায়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য এটি ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপানো হয়। এর বাইরে সংসদেও আলোচনা চলে। এর মাধ্যমে কিছু সংশোধনও হয়। আমি এই পত্রিকায় ছাপানো খসড়াটি এখানে রাখলাম।
এতে কি লাভ হবে?
আমাদের সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি কিন্তু রীতিমত বেশ ইনভলভড ছিল। কোন এক রহস্যময় কারণে এই ইতিহাসটি কখনও আমাদের পরীক্ষা পাশের জন্য পড়তে হয়নি। কিন্তু এটি থাকা উচিৎ। গুরুত্বপূর্ণ লোকদের আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য আমি এখানে সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, জনমত যাচাই করার জন্য খসড়া সংবিধান দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হওয়া, এই ব্যাপারটি ডকুমেন্ট করলাম।
প্রত্যেকটি ছবির উপর রাইট ক্লিক করে ইমগুর থেকে আরো বড় করে দেখা যাবে।
মন্তব্য
কি জিনিস দিলেন ভাই!
ধন্যবাদ শেহাব। দারুণ একটা বিষয় তুলে আনার জন্য।
ভরত স্বাধীন হবার পরে সংবিধান দিতে লেগেছে ৩ বছর। পাকিস্তান ২৫ বছরেও পারে নাই। অথচ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ, জাতিকে সংবিধান উপহার দিয়েছে স্বাধীনতার মাত্র ১ বছরের মাথায়। আশেপাশের সব দেশের চেয়ে গুনগত মানে সেরা সংবিধান।
বঙ্গবন্ধু সরকার ৪ বছরে যে লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক (যতগুলো আইন, নীতিমালা, প্রণিধানমালা) তৈরি করেছিল, তা ভারত-পাকিস্তানের করতে বহু বছর লেগেছে। এবং ওই সরকারের যেই পরিমাণ ডিপ্লোম্যাটিক এফোর্ট ছিল, তা ভারত-পাকিস্তান সরকারের স্বাধীনতার পরে দশ বছরেও সেটা দিতে হয়নি। আর এসব করতে হয়েছে মাথার উপরে আইন-শৃঙ্খলা ক্রাইসিস, রিসোর্সের অভাব, ষড়যন্ত্রের বোঝা নিয়ে।
আফসোস, এসব নিয়ে কথা হয়না।
ইজরায়েলের গাধাগুলো এখনও কোন সংবিধান করতে পারে নাই।
ডকুমেন্টেশানগুলা একটা ভাল কাজ হচ্ছে। (আপনার অন্যান্য লেখাগুলো ফলো করছি, এই পত্রিকাগুলো কি অনলাইন সার্ভারে রাখা আছে? নাকি আপনার ব্যক্তিগত সংগ্রহ?)
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সত্য কথা বলতে কি, এ তথ্যটি আমার জানা ছিল না। আপনি ঠিকই বলেছেন, পত্রিকায় খসড়া ছাপিয়ে সে সম্পর্কে জনগণের মতামত আহব্বান করার মাধ্যমে, সংবিধান প্রনয়নের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করার এ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেগের বিষয়টি আমার মত অধিকাংশ মানুষই জানে না।
আমাদের পবিত্র সংবিধানের প্রথম সংস্করণ বা অন্য কোন সংস্করণের খসড়া কপি দেখার সৌভাগ্যও এর আগে আমার হয়নি। এ দুর্লভ ডকুমেন্টগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সে সাথে বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ নিয়মিতভাবে এমনি আরও বেশ কিছু দুর্লভ পেপার কাটিং শেয়ার করার জন্যও আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গেক্রমে, সব সচলকে একটি তথ্য জানা থাকলে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। ১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দের ১৩ই অক্টোবর তারিখে সর্বসাধারণের মতামত জানতে চেয়ে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপানো সংবিধানের খসড়াতে দেখতে পেলাম ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ তারিখে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা হবার তথ্য উল্লেখ আছে। আমার প্রশ্ন হ‘ল, বর্তমানে আমরা যেসব প্রত্যক্ষ, অপ্রত্যক্ষ এবং ভেকধারী বুদ্ধিবেশ্যাদের স্বাধীনতা ঘোষণাকারী এবং ঘোষণার তারিখ নিয়ে ইতিহাস-তথ্য ব্যবসায় লিপ্ত দেখি - তাদের কেউ কি তখন স্বাধীনতা ঘোষণার তারিখের ব্যাপারে তাদের দ্বিমতের বিষয় জানিয়ে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান প্রনয়ন কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছিল। যদি তখন না করে থাকেন, তবে তাদের কেউ কি এ বিষয়ে কথা বলার সময় সেই সময়ে তাদের দ্বিমতের কথা না জানানোর দুর্বলতার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন? এ বিষয়ে যদি কারও কোন তথ্য জানা থাকে তবে তা শেয়ার করলে খুব উপকৃত হব।
তাদের দ্বিমত প্রকাশের কথা না জানলেও আমরা অন্তত এ তথ্যটি জানি যে, যে প্রয়াত মেজর জিয়া‘র উপর, তার মৃত্যুর আগে নয়, মৃত্যুর পরে, এত বড় মিথ্যার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বিভিন্ন কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, সে মেজর জিয়া অন্তত তার জীবদ্দশায় কোন দিন এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেননি। যেতেতু মেজর জিয়া এবং অন্য কেউ পত্রিকার এ আহব্বানের প্রেক্ষিতে তখন কোন দ্বিমত প্রকাশ করেননি, কাজেই এখন তা নিয়ে কোন দ্বিমত প্রকাশ করার কোন নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
- পামাআলে
এই ব্যাপারটিই তো জানা ছিল না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইনের ছাত্রী হিসেবে ভার্সিটিতে সাংবিধানিক আইন পড়েছি। তখন ছিল পড়ার জন্য পড়া। এখনও আইন পড়ি তবে খোড়াখুড়ির জন্য পড়ি। চমৎকার লাগে। চমৎকার উদ্যোগ। সাধুবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনি কি একটু কষ্ট করে ৭ম / ৮ম শ্রেণীর বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত বাংলা ভাষায় এই সংবিধান রচনার ইতিহাসটি লিখে দিতে পারবেন?
কষ্ট নয়, খুব অানন্দের সাথে লিখে দিতে পারবো, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিয়ে শুরু। খানিকটা পড়াশুনা করছি। অার অাজ থেকে তিনদিনের জন্য ফ্যামিলি ট্যুরে বান্দরবান যাচ্ছি, ফিরে অাসলে লেখাটা অাপনাকে দিবো ইনশাআল্লাহ। ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হুমম। সিনারিওটা এরকম ভাবতে পারেন - ৭ম শ্রেণীর এক পিচ্চি জানতে চায় সংবিধান জিনিসটি কি? তখন আপনি তাকে ব্যাখ্যা করলেন। তারপর তার বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্য দিয়ে গল্পটি এগিয়ে যাবে।
যখন লেখাটি দাঁড়িয়ে যাবে আমরা খুঁজে বের করব কোন পত্রিকার শিশু-কিশোর পাতায় এটি ছাপানো যায়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য, অজানা জানা হলো
দারুণ
এই তথ্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নীতিমালাতে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার যে চর্চা ইদানীং চালু হয়েছে সেটা যে আগে থেকেই বাংলাদেশে চালু ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা দিয়ে আবার বুঝতে পারলাম কী রকম প্রচণ্ড স্মার্ট একদল লোক বাংলাদেশের জন্মের সময় এর নেতৃত্ব দিয়েছিল।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
অভিনন্দন পূর্ণ সচল শেহাব!
ধন্যবাদ!
আরে তাইতো! অভিনন্দন!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ । ধন্যবাদ আপনাকে ।
-নাজিয়া ফেরদৌস
প্রথম পেপার কাটিং-এ শুরুতেই ডক্টর কামাল হোসেনকে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান বলা হয়েছে।
অথচ শেষ পেপার কাটিং-এর একেবারে শেষে বিবৃতিতে তাকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য বলা হয়েছে।
নতুন মন্তব্য করুন