এটি খন্দকার মোশতাকের কোন পদত্যাগ?

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: বুধ, ১০/১২/২০১৪ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদদের একজন থন্দকার মোশতাক আহমদ বেশ কয়েকবার পদত্যাগ করেছিলেন। জন্মযুদ্ধ '৭১ এ একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতে পেরে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু আর জাতীয় চার নেতার লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে তিনি একবার অল্প সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন কিন্তু খালেদ মোশাররফ আর শাফায়াত জামিলের ভয়ে তিনি ১৯৭৫ এর ৫ই নভেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন।

এসবের বাইরে ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারী দৈনিক বাংলায় একটি খবর দেখলাম বাংলাদেশের মন্ত্রীসভা আগেরদিন শুক্রবার ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ খন্দকার মোশতাকের পদত্যাগপত্র প্রত্যাখান করেছেন।

একই দিনে অবজারভারে খবর এসেছে খন্দকার মোশতাক নাকি সংগঠনে আরো বেশি সময় দেয়ার জন্য শুক্রবার সাংবাদিকদের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা জানিয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরো সময়টুকুতে খন্দকার মোশতাক তাজউদ্দীনকে কী ঘোড়ার ডিম সাহায্য করেছিলেন তা তো আমরা জানি।

আমার প্রশ্ন হল আসলে সেদিন কি ইস্যুতে এই ব্যাটা পদত্যাগ করতে চেয়েছিল? কেউ কি জানেন?


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভবত তাজউদ্দীন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কাছে উনার সব কর্মকান্ড খোলাসা করে দিবেন এই ভয়ে ডুব দিতে চেয়েছিলেন। অথবা হয়তো বঙ্গবন্ধু ফিরলে আবার চোখের জল নাকের জল এক করে কিছু একটা নাটক করার প্লট ছিল এটা।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

খোন্দকার মোশতাক ছিল একটা সাম্প্রদায়িক বদমায়েশ। বঙ্গবন্ধু '৫৫ সালের কাউন্সিল অধিবেশনে সাম্প্রদায়িক "আওয়ামী মুসলিম লীগ" এর বদলে অসাম্প্রদায়িক "আওয়ামী লীগ" নাম প্রস্তাব করলে এই মৌলবাদী কুলাঙ্গার ওয়াক আউট করে এবং প্রথম মুজিব-মোশতাক বিরোধ সামনে আসে। এই জানোয়ারকে দলে রেখেই বঙ্গবন্ধু মারাত্মক ভুল করেছিলেন।

মোশতাক ছিল পাকিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তানের সাথে আবার এক হবার জন্য তার ছলের অভাব ছিল না। এই পদত্যাগ স্বভাবতই সেটারই নির্দেশনা দেয়। এতে করে সন্তুষ্ট হয়ে যদি তার পাকিস্তানী প্রভুদের কৃপাদৃষ্টি মেলে!

মোশতাকপন্থীরা এখন কে কোথায়? তা নিয়ে হবেষণা হওয়া উচিত। এরা জাতির শত্রু।
অসাধারণ পোস্ট শেহাব ভাই।

ইয়ামেন এর ছবি

মীরজাফর মোশতাক সিরিয়াল পদত্যাগকারী ছিল বলে বুঝা যাচ্ছে। হো হো হো

চমৎকার জিনিসের সন্ধান পেয়েছেন শেহাব ভাই! চলুক

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

খন্দকার মোশতাক ধোয়াশা করতে পছন্দ করতেন। তবে তিনি আসলেই ছিলেন ধোয়ার মতই বিশ্বাসঘাতক, সামনাসামনি দেখতে গেলে আছেন, কিন্তু ধরতে গেলে আর নেই।

নজমুল আলবাব এর ছবি

বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা বেইমান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।