আমি একটু একটু করে স্বাধীনতার পর পর আমাদের নেতাদের দেয়া বক্তৃতাগুলো পড়ার চেষ্টা করছি। এই বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা জানতে পারব কি করে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এই জিনিসগুলো মুক্তিযুদ্ধের পর পর বাংলাদেশে বোঝার, বোঝানোর ও চর্চার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ধারণাগুলো একটি সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে আমাদের বাহাত্তরের সংবিধানে জায়গা করে নেয়। বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারব যখন তারা এই ধারণাগুলো সংবিধানে রেখেছিলেন কি বুঝে রেখেছিলে এবং কিভাবে আমরা সেটি চর্চা করব তা চেয়েছিলেন।
আমার ভাবতে খুব খারাপ লাগে যে এই অর্গানিক পদ্ধতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর পর বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ১৫ বছরের মধ্যেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। লেগে থাকলে নিশ্চয়ই বাকিগুলোও ফেরত পাব। হয়তো আমাদের এই মহান নেতাদের মত করে ফিরে পাব কিংবা আরো ভালভাবে, যে পথে এগুনোর সময় তাদের মেরে ফেলা হয়েছিল।
নিচের এই বক্তৃতা তাজউদ্দীন সিদ্দিকবাজার কম্যুনিটি সেন্টারে দিয়েছিলেন এবং ১৯৭২ সালের পয়লা জানুয়ারী পত্রিকায় এসেছিল। ওনার এই কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ -
প্রধানমন্ত্রী সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে বাংলাদেশের একটি লোককেও অপ্রয়োজনীয় ও একতরফাভাবে হয়রানি করা যাবে না। গত ৭ই মার্চে প্রদত্ত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তি দেশের স্বাধীন নাগরিকের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। তিনি বলেন, উক্ত ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছিলেন অথবা তিনি কোন ভাষায় কথা বলেন এ ব্যাপারে তা বিবেচ্য বিষয় হবে না।
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দারুন জিনিস খুঁজে বের করেছেন শেহাব ভাই
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
নতুন কিছু তথ্য জানলাম-
১। বাহাত্তরের ৯ জানুয়ারি 'শেখ মুজিব দিবস' ছিল।
২। বাংলাদেশের কোটি কোটি সংগ্রামী মানুষের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য যে দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে, সে দেশগুলোর নামের সিক্যুয়েন্স- ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভুটান ও পোল্যান্ড।
জানলাম অনেক কিছু।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার ব্লগ একটা দারুণ ডকুমেন্টেশান হয়ে থাকছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ত্রিমাত্রিক কবির সাথে সহমত।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন