আমি আমেরিকায় আসি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে। বাংলাদেশের হিসেবে তখন রোজার সময়। দেশে ইফতার করতাম সবসময় বাসায়। এখানে এসে জানলাম মসজিদে নাকি মানুষ ইফতার করে। আমার আরো দুবছর আগে আসা একজন আমাকে ধরে নিয়ে গেল কাছের একটি মসজিদে। ইফতারের লাইনে দাড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়ানো একজন জানতে চাইলো আমি কোথা থেকে এসেছি। মনে হয় ইতিউতি তাকানো দেখে বুঝতে পেরেছে আমি ঘরের বাইরে ইফতার করতে অভ্যস্ত নই। বললাম, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। তারপর হঠাৎ করে পেছন থেকে একজন অশীতিপর শ্বেতাঙ্গ বকের মত গলা বাড়িয়ে দিয়ে বিশুদ্ধ বাংলায় জানতে চাইলেন, বাংলাদেশের কোথা থেকে এসেছি। আমি চমকে গিয়ে আগে সরে দাঁড়ালাম। তারপর বললাম আসার আগের চার বছর ঢাকায় ছিলাম। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন ঢাকার কোথায় থাকতাম। বললাম, মহাখালী। তখন সে শিশুর মত মাথা নেড়ে নেড়ে বলল, উফফ, ধানমন্ডি থেকে মহাখালী আসতে পাগল হয়ে যেতে হয়! তারপর আরো টুকটাক কথা বলার পর সে আমাকে তার বিজনেস কার্ড দিয়ে বলল, আমি জন হপকিন্সে পড়াই। এখানকার অনেক ডাক্তার আমাকে চিনে। যদি তোমাকে কখনও ডাক্তারের কাছে যেতে হয় তাহলে আমার কার্ডটি দেখিও, ডিসকাউন্ট পেতে পারো!
কার্ডটি এখনও আমার ওয়ালেটে রয়ে গেছে। এ কয়বছরে একাধিকবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়েছে। আমি কখনও কার্ডটি দেখাইনি। এটি আমি ডিসকাউন্ট পাওয়ার জন্য রাখিনি। পরিবার ছেড়ে সদ্য হাজার মাইল দুর থেকে আসা অচেনা তরুণকে তিনি কোন এক সন্ধ্যায় কিছু দয়ার্দ্র কথা বলেছিলেন। সেই স্মৃতিটুকুর প্রতিনিধি হিসেবে আমি কার্ডটি রেখে দিয়েছি।
উইলিয়াম গ্রিনোউর কথা আমি পরে আবার শুনি কিছুদিন যখন স্কুলে 'হাউ টু স্টার্ট রিভল্যুশন' প্রামাণ্যচিত্রটি দেখলাম। মধ্যপ্রাচ্যের আরব বসন্তের সৌরভ তখন পশ্চিমের বাতাসেও। শাহবাগ আন্দোলন হবে আরো দুই বছর পরে। এই প্রামাণ্যচিত্রটি মূলত: অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে দেশে দেশে তরুণরা রাজনৈতিক পরিবর্তন আনছে তার উপর। এই প্রামাণ্যচিত্রে খুব ভাসাভাসা ভাবে শুনলাম ডিক টেইলর নামে এক তরুণের নেতৃত্বে (তার বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন স্যালী উইলোবী ও উইলিয়াম গ্রিনোউ) ১৯৭১ সালে পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের কিছু আমেরিকান ও প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণ আশেপাশের বন্দরগুলোতে আমেরিকান অস্ত্র ও যুদ্ধসাহায্য নিতে আসা পাকিস্তানী জাহাজকে আমেরিকান বন্দরগুলোতে ঠেকিয়ে দিয়েছিল।
তখন, আমি এর পুরো ব্যাপারটি জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে পড়ি। তারপর 'ব্লকেড' নামে একটি বই খুঁজে পেলাম রিচার্ড টেইলরের লেখা। আবেগের চোটে একই বইয়ের একটা হার্ডকাভার আর একটা পেপারব্যাক কিনে ফেললাম। বইটির দুটি ভাগ। প্রথম ভাগে ডিক টেইলর ১৯৭১ সালে কিভাবে তারা অহিংস আন্দোলন করে পূর্ব উপকূলের এক একটি বন্দরে অস্ত্র নিতে আসা পাকিস্তানী জাহাজ ভেড়া ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তার গল্প। দ্বিতীয় ভাগটি হল ভবিষ্যতে যারা অহিংস আন্দোলন করবে তাদের জন্য একটি সহায়িকা। একদম শুরু থেকে কি করে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হয় তা শেখানোর জন্য রিচার্ডদের চেয়ে ভাল শিক্ষক আর কে আছে।
আমি এমনিতে খুব আবেগ প্রবণ মানুষ। তার উপর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অন্য মানুষের ভালবাসা দেখলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। এবারও এই মানুষদের গল্প শুনে ইন্টারনেটে আরো খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম। স্যালী উইলোবীর সাথে ইমেইলে টুকটাক কথাও হল। তারপর আবিষ্কার করলাম মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৪০ বছর পর ২০১১ সালে তাদের বাংলাদেশে তাদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সম্মান জানানো হয়েছে। মনটা আরো ভাল হয়ে গেল।
তখনও জানতাম না আরো কিছু মানুষকে স্যালীদের এই বীরত্বের ঘটনা আরো গভীরভাবে স্পর্শ করেছে এবং তারা তাদের জীবিকার ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে এদের কথার ফুটেজ রেকর্ড করে রাখছে। তারা হলেন আরিফ ইউসুফ ও তাসবীর ইমাম স্বাক্ষর। ২০০৮ সালে তাদের ফুটেজ রেকর্ড করা শেষ হল। তারপর ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে ফাঁকে তিল তিল করে তারা পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে ২০১৬ তে এসে চলচ্চিত্রটির মুক্তি দিলেন। ফেসবুকে এক বন্ধুর সুবাদে আমি প্রথম এটির খবর পেলাম। তারপর যখন দেখলাম তারা এটি ডিসিতে দেখাবেন তখন আমি নাচতে নাচতে টিকেট কিনে ফেললাম। তারপরই আমার হল জ্বর, শুয়ে থাকলাম বিস্তর, বাসাতেই কাটল শো এর প্রহর। মন খুব খারাপ করে দৈনন্দিন জীবনে ফিরে গেলাম।
(ব্লকেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেয়া)
এর মধ্যে একদিন টুং শব্দ করে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে নোটিফিকেশন আসল। দেখি, আরিফ ইউসুফ জানতে চাইলেন আমি ডিসির শো তে এসেছিলাম কিনা। উনি আশা করেছিলেন দেখা হবে। আমি খুলে বললাম। তারপর তিনি বললেন কিছুদিন পরে ফিলাডেলফিয়াতে একটি শো হবে, আমি যদি দেখতে চাই তাহলে উনি ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত করলাম আমি আসছি। ঘটনা ঘটল তারও ২৪ ঘন্টা পর। আমি প্রফেসরের সাথে একটি গ্রান্টের এপ্লিকেশনে কাজ করছি। ফান্ডিং এজেন্সী সলিসিটেশন প্রকাশ করার পর মাত্র এক মাস সময় দিচ্ছে। কিন্তু এটি বেশ বড় প্রজেক্ট, প্রায় ১০ জন ফুল প্রফেসর কাজ করছেন। কাজেই সবাই পাগলের মত কাজ করছে। প্রফেসর শুক্রবার বললেন আমাদের ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেটর সোমবার সকালের আগে একটি বিষয়ে দুই পাতা চায়। আমার মাথায় বাজ পড়ল।
কারণ আমি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম সকালে গিছু কিছু জাদুঘর দেখব, তারপর সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রটি দেখে রাতের মধ্যে ফিরে আসব। এখন তো সব বিগড়ে গেল। তারপর প্রফেসরের সাথে আপোষে আসলাম যে আমি শনিবার বিকেল পর্যন্ত কাজ করব, রাতে ফিলাডেলফিয়ায় কাজ করব আর পরদিন এসে আবার কাজ করব। আমি বেশিরভাগ সময় ওনার সাথে কাজ করি প্রফেসরের হোম অফিসে কারণ ওখানকার জায়গা আর হোয়াইট বোর্ড দুটোই ওনার স্কুলের অফিসের চেয়ে বড়। তো চা খেতে খেতে প্রফেসরের স্ত্রী বনির কাছে বললাম ফিলি যাচ্ছি সিনেমা দেখতে। প্রফেসর বেচারা জানে না। টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করলাম। তারপর প্রফেসরের কাছ থেকে যখন বিদেয় নিচ্ছি তখনও অনেক কাজ বাকি আছে। বের হওয়ার সময় বনি চিৎকার দিল, এনজয় দ্য ফিল্ম। আমার প্রফেসর ইর্ষায় জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে গেল। উনি বলল, আমি মজা করে সিনেমা দেখব আর উনি কাজ করবেন, 'নট ফেয়ার, নট ফেয়ার'। আমি বললাম, তুমি তো ভুলে গেছ, আমার তো রাত জেগে কাজ করার কথা, তুমি তখন ঘুমাবা। তারপর বেচারা একটু শান্ত হল। বাল্টিমোর ছাড়তে ছাড়তে পাঁচটা বেজে গেল।
ততক্ষণে মন আবার খারাপ হয়ে গেছে। কারণ আমার হিসেবে সন্ধ্যা সাতটায় পৌঁছাবো কাজেই প্রথম আধঘন্টা আমার মিস হচ্ছে। তবুও নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল ভেবে রওনা দিলাম। আরিফরা না জেনে আমার একটি বড় উপকার করেছে। তারা এই শোতে ফিলাডেলফিয়ার মেয়র সহ বেশ কিছু হোমড়াচোমরা কে দাওয়াত করেছিল হোমরাচোমরারা বক্তব্য দিয়েছেন ঠিক যতক্ষণ আমার দরকার ততক্ষণ। কাজেই ঠিক সাতটায় আমি থিয়েটারে ঢুকলাম আর ব্লকেডও শুরু হল।
আমি গল্পটি বলবো না। সেটি আপনারা ছবি দেখেই জানবেন। শুধু কিছু ব্যাপার যে আমাকে স্পর্শ করেছে তার কথা বলি। প্রথমটি হল এই ছবিটি। বিশাল একটি জাহাজের পটভূমিতে প্রায় খেলনা নৌকার সাইজের কিছু ডিঙি নিয়ে রিচার্ড টেইলরদের ঘেরাও করার ছবি।
(ব্লকেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেয়া)
তারা জাহাজকে ঘিরে রেখেছেন যাতে সেটি অস্ত্র নেবার জন্য ভিড়তে না পারে। এই ছবিটি আসলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পুরো গল্পটি বলে দেয়। বলে দেয় আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক ও যুদ্ধাঙ্গনে কি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, কত বড় একটি শক্তির সাথে যুদ্ধ করেছেন। সব প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ পায় না, সব প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ জিততেও পারে না। আমাদের কত সৌভাগ্য আমাদের পূর্বপূরষরা একই সাথে যোদ্ধা ও বিজয়ী!
আরেকটি ব্যাপার আমার কানে এখনও বাজছে। ব্লকেডের একটি চরিত্র হলেন সুলতানা জামান যিনি সেসময় খুব সক্রিয়ভাবে এই আন্দোলনে কাজ করেছিলেন। আপনারা চলচ্চিত্রটি দেখলে জানতে পারবেন যখন গণহত্যা শুরু হল তখন শুধুমাত্র নিজের মনকে শান্ত রাখা আর দেশ থেকে দূরে কিছু করতে না পারার অনুশোচনা থেকে তিনি নিজের কাছে নিজে ওয়াদা করেছিলেন যে প্রতিদিন ১০০ জনকে ফোন করে জানাবেন কিভাবে ছবির মত একটি সুন্দর দেশে রক্তগঙ্গা বয়ে যাচ্ছে।
তিনি স্মৃতিচারণে বলছিলেন যুদ্ধশেষে যখন দেশে আসলেন তখন যখন দেখলেন এক হিন্দু বন্ধু পরিবারকে তার বাবা-মা পুরো নয় মাস নিজেদের বাসায় লুকিয়েছিলেন তখন তিনি তাদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তখন তিনি একটি উপমা ব্যবহার করেছিলেন - সেই হিন্দু বন্ধু পরিবারটি নাকি ছিল তাদের পারিবারিক 'অ্যানা ফ্রাংক'। এই উপমাটি রোববার সন্ধ্যায় থিয়েটারের অন্ধকারে আমার গোটা সত্ত্বাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। মনে হয় ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে অ্যানা ফ্রাংকের গল্প পড়ায় এরকম হয়েছে।
একটি ব্যাপার নিয়ে শুরুতে একটু অবাক হচ্ছিলাম। আমার সিটের পাশে চলাচলের পথটিতে এক কোনায় একজন বৃদ্ধ মহিলা গুটিশুটি মেরে বসে ছিলেন। আমি ভাবছিলাম এত সুন্দর সুন্দর সীট থাকতে ইনি এক কোনায় পড়ে আছেন কেন। যাই হোক, যখন শো শেষ হল ঠিক করলাম রিচার্ড টেইলর আর স্যালী উইলোবির অটোগ্রাফ নিয়ে আমার ব্লকেডের কপিতে লাগিয়ে রাখব। পর্দায় সব ছবিতে স্যালী একটি ছিপছিপে মিষ্টি তরুণী। চল্লিশ বছর পরে কিভাবে চিনব ভাবছিলাম। তারপর গুগোল করে তার এখনকার ছবি দেখতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম আমার পায়ের কাছে গুটিশুটি মেরে বসা মহিলাটিই স্যালী উইলোবি। তার কাছ থেকে প্রথমে অটোগ্রাফ নিলাম তারপর নিলাম রিচার্ডের কাছ থেকে। স্যালীর সাথে কথা বলে মনে হল সেই বিশাল অন্ধকার থিয়েটারে টিমটিমে আলোর নিচে ছোটখাট স্যালীকে আমার যেমন লাগছিল, ১৯৭১ সালের সেই অহিংস আন্দোলনের পটভূমিতে নিজেদের অবদানকে স্যালীরা তেমনই খুবই সাধারণ মনে করেন। স্যালীকে কিন্তু বাংলাদেশের জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল!
(ব্লকেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেয়া)
তারপর নির্মাতা আরিফের সাথে দেখা করতে গেলাম। বেচারা মানুষের অভিনন্দনে একেবারে ভেসে যাওয়ার মত অবস্থা। আরিফের একটি মন্তব্য খুবই ইন্টারেসটিং লাগল। আরিফের মতে সে ব্যক্তিগত জীবনে প্রথাগত ধর্মের ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী নন। কিন্তু ব্লকেড আন্দোলনের নেতৃত্বের একটি বড় অংশ ছিলেন কোয়েকার (খ্রীশ্চান ধর্মের একটি ধারা)। তারা বাংলাদেশের জন্য আন্দোলন করেছেন তাদের পরম বিশ্বাস চর্চার একটি অংশ হিসেবে। ভিন্ন এই আঙ্গিকটি আরিফকে আকৃষ্ট করেছে। ব্যাপারটি জেনে আমারও খুব ইন্টারেসটিং মনে হল।
আরেকটি ব্যাপার যেটি ভাল লেগেছে তা হল ইলিয়ট জেভিসের কথা। তিনি হলেন বন্দরের সেই সব শ্রমিকদের একজন যারা সবাইকে সংগঠিত করেছিলেন যাতে কোন শ্রমিক কোন পাকিস্তানগামী জাহাজে অস্ত্র তুলতে রাজি না হয়। হাজার মাইল দূরে বন্দরে কাজ করা একজন শ্রমিক যখন ঠিক করে দরকার হলে সেদিন সে টাকা কিছু কম কামাবে কিন্তু বাংলাদেশে কোন অস্ত্র পাঠাতে দিবে না - এমন সব মানুষের জন্য - যাদের সে কোনদিন দেখেনি, কোনদিন দেখবেও না তখন মনে হয় যুদ্ধে জেতার জন্য ভালবাসার চেয়ে বড় অস্ত্র আর নেই। আর নিয়তি নিশ্চয়ই ঠিক করে রেখেছিল যে ইলিয়টের সাথে হয়তো মুক্তিযোদ্ধাদের কোনদিন দেখা হবে না কিন্তু তাদের সন্তানদের সাথে তাকে ঠিকই সে দেখা করিয়ে দিবে। আমাদের জীবন কত অদ্ভুৎ। ইলিয়টের চারপাশে ঠিকই আজ কত বাংলাদেশী কৃতজ্ঞচোখে দাড়িয়ে আছে শুধু একটু স্পর্শ করে ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
(ইলিয়ট জেভিস কথা বলছেন)
'ব্লকেড' মুক্তিযুদ্ধের উপর কোন প্রামাণ্য চিত্র নয়। এটি রিচার্ড টেইলরের অহিংস আন্দোলনের আখ্যান যেখানে ঘটনাচক্রে মুক্তিযুদ্ধের কথা এসেছে। আমার এই লেখাটিও 'ব্লকেড' নিয়ে নয়, এটি আমার নিজেকে নিয়ে। ব্লকেড কিভাবে আমাকে স্পর্শ করেছে এই লেখাটি তার গল্প।
বি. দ্র. আমি কিন্তু ঠিকই ফিলাডেলফিয়া ম্যাজিক গার্ডেনে গিয়েছিলাম। এখানে একটি ছবি দিলাম।
মন্তব্য
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
বাহ!
বেশ কয়েক বছর আগে ব্লকেড বইটা পড়েছি। ডকুমেন্টারিটা দেখার খুব ইচ্ছা আছে। রিচার্ড টেইলর- স্যালী উইলোবিদের পাকিস্তানী জাহাজ আটকে দেবার দিনগুলোর ছবি শেয়ার করলাম।
______________
সৌমিত্র পালিত
http://imgur.com/TSIuJRx
http://imgur.com/7FXKrQg
http://imgur.com/PeI9AeB
http://imgur.com/wTL5bZT
http://imgur.com/bSHcDU1
http://imgur.com/KNUDYqV
http://imgur.com/v1fUYbS
সৌমিত্র দা আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, এতো মুল্যবান কিছু ছবি দেখালেন। আমি প্রথম দেখলাম
এ্যানি মাসুদ
ও আচ্ছা, ভুলে গেলাম। শেহাব, তোমাকে ধন্যবাদ। আমারও লেখার ইচ্ছা ছিল এটা নিয়ে, আলসেমি করে হচ্ছিল না। তবে আমার মত যারা ডকুটা দেখতে পারেন নাই তাঁরা এই নিচের লিংকে রিচার্ড টেইলরের কথা শুনতে পারবেন।
http://www.pri.org/stories/2011-12-30/american-activists-and-birth-bangladesh
____________________
সৌমিত্র পালিত
আপনার গল্পটিও কম নাটকীয় নয়!
বুকটা কেমন কেঁপে উঠলো .. হয়ত আপনার মতই আবেগী তাই
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন বন্দর শ্রমিকরা অস্ত্রের জাহাজ আটকে দিয়েছিল শুনেছিলাম। অনেক দিন থেকেই জানার ইচ্ছে ছিল ঠিক কারা কিভাবে এটা করেছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশীদের যখন আগ্রহী দেখি যখন ইতিহাসে পড়ি তাদের কেউ কেউ সে সময়ের বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন তখন আপনার মতই আবেগাপ্লুত হই। শেহাব ভাই অনেক ধন্যবাদ, এখন ব্লকেড এর ওয়েবসাইট থেকে অনেক কিছু জানতে পারবো। লেখাটা ভালো হয়েছে, আপনার হৃদয়স্পন্দন নিজের করে অনুভব করলাম। আমার ধারনা আরো অনেকেই অনুভব করবে।
সোহেল ইমাম
দারুণ একটা লেখা শেহাব ভাই। ডকুমেন্টারিটা কীভাবে দেখা যাবে এই বিষয়ে কোনো ধারণা আছে কী?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনি আবেগ প্রবন, আপনার লিখাও আবেগ প্রবণ করে দিল। এখনই দেখতে ইচ্ছে করছে, নিউ ইয়র্কে কোথায় দেখা যাবে জানেন?
এ্যানি মাসুদ
এই ডকুমেন্টরিটা সবার দেখার জন্য উন্মুক্ত করার দাবী জানালাম। নির্মাতার কানে পৌঁছে দিয়েন দাবীটা। লেখা ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেখার উপায় কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এমন কাজের মাধ্যমে যারা আমাদের জন্য অশেষ ভালোবাসা রেখে গেছে তাদের প্রতি আজন্ম কৃতজ্ঞতা। আপনার লিখার আবেগ আমাদের কে ও ছুঁয়ে গেছে। কিভাবে এটা দেখতে পারি শেহাব ভাই?
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
"পূর্বপূরষরা একই সাথে যোদ্ধা ও বিজয়ী!"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সব প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ পায় না, সব প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ জিততেও পারে না। আমাদের কত সৌভাগ্য আমাদের পূর্বপূরষরা একই সাথে যোদ্ধা ও বিজয়ী! - আহা! আপনার এই অনুভব যদি দেশের সব মানুষের মধ্যে থাকতো! দারুন লেখার জন্য ধন্যবাদ ৷
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
Shehab Bhai, Dr Greenough is a very very nice man. He used to be a Director at ICDDR,B. My mother knows him very well, as she worked there too back in the 80s/90s as a scientist. I have even visited their house in Maryland, back in 1996. He married a Bangladeshi woman, his wife is related to Justice Sayem, the former President of Bangladesh before Zia staged his coup. It is nice to hear you ran into him in 2010. I hope he is doing well still...
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
নতুন মন্তব্য করুন