বাংলায় চিত্রনাট্য লেখার যন্ত্রনা

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: সোম, ১২/০৬/২০১৭ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: আমার চিত্রনাট্য লেখার উপর কোন আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। যেহেতু এটি আমার বর্তমান পেশা না কাজেই আমি চিত্রনাট্যকারদের সাথে খুব বেশি আড্ডাও দেইনি। তাই বন্ধুদের সাথে সাথে ঘুরে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগও হয়নি।

আমি বাংলায় টুক টাক চিত্রনাট্য লেখা শেখার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত কাজটি বেশ কঠিন মনে হয়েছে। চিত্রনাট্য লেখার বিজ্ঞানটি কঠিন কিন্তু আমি সে ব্যাপারটি নিয়ে এখানে কথা বলছি না। যদি আপনি ইংরেজীতে খুব ভাল চিত্রনাট্য লিখতেও পারেন (যেমন: উডি অ্যালেন) তারপরও আমার অভিজ্ঞতায় বলে আপনার বাংলায় চিত্রনাট্য লিখতে খুব সমস‌্যা হবে।

কেন? চিত্রনাট্যের একটি খুবই নিয়মতান্ত্রিক ভাষা থাকে। কারণ একই চিত্রনাট্য পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফার সবাই যার যার নিজের অংশটুকুর জন্য সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে। কাজেই এটির ভাষা দ্ব্যর্থক না হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে ব্যাপারটি অনেকটি সফটওয়্যার প্রজেক্টের ডিজাইন ডকুমেন্টের মত মনে হয়েছে। একটি সফটওয়্যারের ভেতরের নকশা যেমন ইউনিফায়েড মডেলিং ল্যাংগুয়েজ বা ইউএমএল দিয়ে খুব পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয় তেমন চিত্রনাট্যও সেভাবে লেখা হয়।

উদাহরণ হিসেবে নিচে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের ইউজ কেইস (আমি আনুষ্ঠানিক ইংরেজী পরিভাষা ব্যবহার করলাম) দিলাম।

চিত্রনাট্যের আনুষ্ঠানিক ভাষারও কিছু উদাহরণ নিচে দিলাম। এটি হল লালা ল্যান্ডের চিত্রনাট্যের শুরুটা। পুরো চিত্রনাট্য এখানে পাবেন।

আমি চাইলে এখানে লেখাগুলো কপি পেস্ট করে দিতে পারতাম। ইচ্ছে করেই সেটি করিনি। কারণ, চিত্রনাট্যের ফন্ট, স্পেসিং, পেজিং এসব ব্যাপারে নিয়মকানুন গুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। এটির একাধিক কারণ আছে। প্রথম কারণ হল দলের সবাই যেন একই সূত্র ব্যবহার করে যার যার কাজের পরিকল্পনা করে সেটি নিশ্চিত করা। আরেকটি কারণ হল এখন যেহেতু সফটওয়্যার অনেক ব্যবহার করা হয় টেক্সটের ফর্মেটিং বা সজ্জা যদি সবসময় একই রকম রাখা যায় তাহলে সেখানেই অনেক দরকারী তথ্য দিয়ে দেয়া যায়।

নিচে একটি উদাহরণ দিলাম। এটি এয়ারফোর্স ওয়ান সিনেমার শুরুর দিকের দৃশ‌্য।

একই দৃশ্য এখন আমি নিচে একটু রঙটঙ মেখে দিলাম।

একদম প্রথম লাইনে দেখুন সব বড়হাতের অক্ষরে লেখা "INT. BEDROOM -"। এর নাম হল সিন হেডিং। এটি সবসময় বড় হাতের অক্ষরে হবে। শুরুতে ইন্ট. বা এক্সট. লেখা থাকবে। সবাই সেখান থেকে বুঝে নিবে এটি আউটডোর নাকি ইনডোর। তারপর দেখুন প্রথম যখন ইভান স্ট্র্যাভেনেভিচ চরিত্রটি যোগ করা হয়েছে তখন নামের সব অক্ষর বড় হাতের রাখা হয়েছে। ডায়লগের অংশে দেখুন প্রত্যেকটি লাইনের শুরুতে কতটুকু হোয়াইটস্পেস বা ইন্ডেন্টেশন রাখা হয়েছে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। একারণেই এক পলক দেখেই চিত্রনাট্যের অনেক তথ্য জেনে ফেলা যায় এবং সফটওয়্যার চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্যগুলো বের করে নিতে পারে। এরকম আরো অনেক নিয়ম আছে। যেমন: মার্জিনের পরিমাপ, ব্র্যাকেটের ব্যবহার, কিছু সংরক্ষিত শব্দ, ইত্যাদি।

আমরা যদি বাংলায় চিত্রনাট্য লিখতে চাই তাহলেও এরকম নিয়ম আমাদের দরকার। এই জায়গাতেই আমি যন্ত্রণায় আছি। আমি শুনেছি এফডিসি ডাবল কলামের একটি ফরম্যাট ব্যবহার করে। সেটি আমি কখনও দেখার সুযোগ পাইনি। বুদ্ধিটি খুব একটা ভাল বলেও মনে হয় না। আমরা যদি আন্তর্জাতিক যে মান সেটি অনুসরণ করতে চাই তাহলে আমাদের নিজেদের কিছু সৃজনশীলতা ব্যবহার করে তার বাংলা প্রামাণ্য সংস্করণ তৈরি করতে হবে। সেটি কেমন হবে জানিনা।

এখানে আমি কেবল আমার কি কি ঝামেলা হয়েছে তার টুকটাক বলছি। কিছুদিন আগে আমার পাঁচ মিনিটের একটি স্ক্রিপ্ট লিখতে হয়েছিল। আমি যেহেতু জানিনা কিকরে বাংলায় লিখতে হয় কাজেই আমি আগে ইংরেজীতে লিখেছি। তারপর বাংলায় নিজের মত করে অনুবাদ করেছি। একটু উদাহরণ দেই। তার আগে বলে রাখি দুই ভাষার স্ক্রিপ্টের কপিরাইটই আমার।

এটি একদম প্রথম দৃশ্য। ইংরেজীতে তাই সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে লিখলাম।

এখন আমি তার কী বাংলা অনুবাদ করেছি দেখুন!

আমি এই দৃশ্য বাংলায় লিখতে গিয়ে কি কি ঝামেলায় পড়েছি সেটি এখন বলি।

১। ইংরেজীতে মনোস্পেস ফন্ট ব্যবহার করা হয়। আমি বাংলায় মনোস্পেস ফন্ট খুঁজে পাইনি (আমার দুর্বলতা?)।
২। আমি মানছি আমি মার্জিনের ইংরেজী নিয়ম না মানার কারণে দেখতে খারাপ লাগছে। বাংলায় এর জন্য কোন নিয়ম আছে কি?
৩। INT. কে আমি করেছি 'দৃশ্য - অভ্যন্তর'।
৪। সিন হেডিংয়ের সব অক্ষর ইংরেজী বড় হাতের করতে হয়। বাংলায় আমরা কি করবো? আন্ডারলাইনড নাকি ডাবল কোটেশন? মা চরিত্রটির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।? এই ব্যাপারে আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
৫। জুলেখা চরিত্রটি যখন প্রথমবার এনেছি ইংরেজীতে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করেছি। বাংলায় কি করবো? আন্ডারলাইনড? নাকি অন্য কিছু?

আরেকটি দৃশ্য দিলাম যেখানে ডায়লগ আছে।

নিচে তার বাংলা সংস্করণ দিলাম। দেখতেই পাচ্ছেন আমি নিজের মত করে অনেক মানদণ্ড ঠিক করেছি এবং আমার কোনই ধারণা নেই এগুলো ঠিক কি ভুল।

আমার মনে হয় এই জায়গায় চলচ্চিত্র শিল্পের (শিল্পায়ন অর্থে) সবার একসাথে কাজ করা দরকার। একজনের চিত্রনাট্য পড়ে যদি আরেকজন না বুঝি তাহলে তো বিপদ!


মন্তব্য

Sarwar এর ছবি

একজনের চিত্রনাট্য পড়ে যদি আরেকজন না বুঝি তাহলে তো বিপদ!

আপনি আগেও সচালায়তনে চিত্রনাট্য নিয়ে লিখেছিলেন। কিন্তু উদাহরন হিসাবে আপনাকে কেন লা লা লেন্ডের চিত্রনাট্যের কথা লিখতে হল। কেন দেশের সবচেয়ে জোরে ঢাকঢুল পিটান পরিচালকের পিপ্রাবিদ্যা কিংবা এইরকম কিছুর চিত্রনাট্যের উদাহরন দিতে পারলেন না।

পারেন না কারন আমার ধারনা দেশে এখন যারা চলচিত্র তৈরী করেন তারা কেউ চিত্রনাট্য লিখতেই পারেন না। এই কারনে তাদের চিত্রনাট্য ইন্টারনেট বা অন্য কোথাও হারিকেন দিয়ে খুজেও পাওয়া যায় না। তারা টেলেন্টদের "চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া" করে কেমেরা চালু করে রাখেন।

ইংরাজি চিত্রনাট্য থেকে আমাদের কেন চিত্রনাট্যের কায়দা এই ২০১৭ সালে শিখতে হবে। বাংলায় যেসব চিত্রনাট্য লিখা হয়েছে সেগুলি কে কিভাবে লিখেছে। সত্যজিত রায় জহির রায়হান আলমগীর কবীর তারেক মাসুদদের চিত্রনাট্যে এইসব কায়দা কি পাওয়া যাবে না।

শেহাব এর ছবি

আমার আসলেই কোন আইডিয়া নেই কি করে তাদের স্ক্রিপ্টের কপি পাব।

হিমু এর ছবি

যেসব ভাষার বর্ণে ক্যাপিটালাইজেশনের সুযোগ নেই (ফারসি বা কোরিয়ান, বা হিন্দি), সেসব ভাষায় চিত্রনাট্য কীভাবে লেখা হয়, সেটা দেখলে হয়তো বিকল্প নিয়ে ধারণা পাবেন।

সিন হেডিং বা দৃশ্যাখ্যার পর সবকিছু একদফা ইনডেন্টের আওতায় আনা যায়। চরিত্রের নাম << জুলেখা >> এভাবে দিতে পারেন (সুইসরা এভাবে কোটমার্ক দেয়)।

বাংলা সিনেমার খাত ধরে অনেক পানি বয়ে গেলেও কারিগরি ব্যাপারগুলোর পরিভাষা তৈরি হয়নি (যেমন অতীতদৃশ্যের বদলে ফ্ল্যাশব্যাক)। এগুলো খুব সামান্য ব্যাপার হয়তো, কিন্তু নিজের মতো করে না নিলে শেষ পর্যন্ত অন্যের জামা গায়ে দিয়ে চলার মতো অবস্থা হয়। এটা নিয়ে যদি সময় দেন, হয়তো আরো অনেকে উপকৃত হবেন। নইলে চিত্রনাট্য ইংরেজিতে থাকলেই বা সমস্যা কী?

শেহাব এর ছবি

আমার সময় দিতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার ধারণা আমার পর্যাপ্ত যোগ্যতা নেই।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আলোচনা। চিত্রনাট্য যে এতটা সংগঠিত নিয়মতান্ত্রিকভাবে লেখা হয় এটাই জানতাম না। এই ব্যাপারে আমাদের বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি বা বাঙালি চিত্রনাট্য লেখকরে কীভাবে কাজ করছেন এটা জানতে পারলে ভালো হতো। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো কোনো সিনেমা না হলেও অনেকে চেষ্টা করছেন। কলকাতায় ঋতুপর্ণ ঘোষ ছাড়াও সম্প্রতি অনেকে ভালো কাজ করেছেন/করছেন। তাঁদের নিশ্চয়ই একটা কর্মপন্থা আছে। তাঁদের কোনো ফিডব্যাক পাওয়া গেলে আসলে ভালো হতো।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

বিষয়টি আসলে এত জটিল না। ইয়ে, মানে...

আপনাকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বিষয়টি সহজ করে দিচ্ছি, চেষ্টা করছি-

চিত্রনাট্যের ভাষা নয়, বরং ফরম্যাট আপাতদৃষ্টিতে জটিল।

ভাষার প্রসঙ্গে সামান্য বলে খালাস করে দিই- স্রেফ সিম্‌পল প্রেজেন্ট টেন্স এ লিখুন, সবকিছু “এখন” ঘটছে। এবং অব্যশই এমন কিছু লিখবেন না যেটার “দৃশ্যায়ন” সম্ভব না। অর্থাৎ, সিনেমা যেহেতু একটি দৃশ্যগত মাধ্যম, চিত্রনাট্যের (প্রায়) প্রতিটি বাক্যের দৃশ্যরূপ নেবার যোগ্যতা থাকতে হবে। “প্রায়” যে লিখলাম, সে বিষয়টি আপনি বিভিন্ন চিত্রনাট্য পড়তে পড়তে, এবং লিখতে লিখতেই সহজাতভাবে ধরে ফেলবেন, নো ওঅরিজ।

দ্যাট্‌স ইট। বাকী যা মনে চায়- লিখুন।

আসি ফরম্যাট এ।

চিত্রনাট্যের ফরম্যাটের পারপাজ হলো সিনেমার ফিজিক্যাল প্রোডাকশান ফ্যসিলিটেইট করা

চিত্রনাট্যকার চিত্রনাট্য লেখেন সাহিত্য রচনার মতো করে, একেবারে প্রাথমিক কিছু ফরম্যাটিঙ ব্যবহার করে। সেখানে পরিচালনা করার প্রবণতা, যেমন শট কি হবে, ক্যামেরা এ্যঙ্গেল কি হবে, এডিট কি ধরণের হবে ইত্যাদি থাকে না। সেগুলো পরিচালকের এখতিয়ারে। চিত্রনাট্যকার কেবল গল্পটি বলেন

“সাহিত্যকর্ম” চিত্রনাট্যটিকে শুটিঙ স্ক্রিপ্ট এ রূপ দেয়া হয়, কারিগরি নির্মাণের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা মাফিক। ব্রেক ডাউন করা হয় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের জন্য। কালার মার্ক করা হয়। সেখান থেকে প্রোডাক্‌শান বোর্ড করা হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।

এগুলো “চিত্রনাট্যকার” এর জন্য প্রাসঙ্গিক নয়

আপনি স্রেফ ভাষার সামান্য দাবী দুটি এবং প্রাথমিক ফরম্যাটিঙ মেনে লিখে যান।

পরামর্শ দেব, কোন ধরণের স্ক্রিনরাইটিঙ সফ্টওয়্যার ব্যবহার না করে মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড এ লিখতে, স্টাইলাইজিঙ ব্যবহার করে। ইয়্যুটিউবে অনেক সিম্‌পল টিউটোরিয়াল পাবেন ওয়ার্ডে ফরম্যাটিঙ করার উপায় বিষয়ে।

ওয়ার্ডে লেখার সুবিধে হলো, সফ্টওয়্যারে আপনাকে টার্ম গুলো সাজেস্ট করবে, আপনি নির্বাচন করলেই হয়ে যাবে, কিন্তু ওয়ার্ডে বারবার আপনাকে টার্মগুলো নিজে লিখতে হবে, সেভাবে আপনার আত্মস্থ হবে বিষয়টা। মানে ডিজিটাল এর আগে ম্যানুয়াল! দেঁতো হাসি

এবং- নয়েজ কম, স্রেফ লেখায় মনোযোগ দিতে পারবেন
*

বাংলায় লেখা প্রসঙ্গে-

ইংরেজীর সাথে বাংলায় লেখার গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য কেবলমাত্র একটি। ফন্ট

ইংরেজী কুরিয়ার ফন্ট ব্যবহার করা হয় কারণ কুরিয়ার একটি ফিক্সড্‌-পিচ্‌ ফন্ট। এর প্রতিটি ক্যারেকটারের এবং স্পেইস এর “প্রস্থ” সমান।

এর ফলে, একটি ফরম্যাট মেনে প্রফেশানালি লেখা চিত্রনাট্যের প্রতিটি পাতা প্রায় “এক মিনিট” “স্ক্রিনটাইম” নেয়, অর্থাৎ প্রতি পাতায় প্রায় এক মিনিটের দৃশ্যায়ন থাকে। কম-বেশী। একেবারে বিজ্ঞান নয় এটি, কিন্তু “প্রায়”।

একারণে একটি চিত্রনাট্য কত পাতার তা দেখে ধারণা করা যায় ফাইনাল প্রোডাক্টটির দৈর্ঘ্য কত হবে, কম-বেশী। প্রচলিত আছে, ঝানু প্রযোজক চিত্রনাট্য হাতে নিয়ে, ওজন বুঝে ধারণা করে ফেলতে পারেন ঘটনা কোথায় গড়াবে! চাল্লু

যা হোক- বাংলায় তো ফন্টের সে সুবিধে পাওয়া সম্ভব না। সুতরাং গোল্লায় যাক!

এক মিনিট এর টেনশান ভুলে যা আছে তাই দিয়ে লিখুন।

ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র, বিট, অফ স্ক্রিন, ভয়েস ওভার, কন্‌টিনিউড, মোওর ইত্যাদির বাংলা কি করবেন- আপনি জানেন! হাসি

এটুকু বলতে পারি- ইন্টেরিয়র এর জন্য “দৃশ্য – অভ্যন্তর” লেখাটা রিডান্‌ডেন্ট, স্রেফ অভ্যন্তর-ই যথেষ্ট। বড় অক্ষরে লেখা হয় সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য, সেক্ষেত্রে ডাব্‌ল কোটেশান চোখে পড়বে কম, “আন্ডারলাইন” করতে পারেন- যথেষ্ট।

বাকী প্রাথমিক ফরম্যাটিঙ মেনে চললেই- একেবারে আন্তর্জাতিক তরিকায় এর ব্রেক ডাউন করা সম্ভব।

*

আপনার প্রদত্ত স্যাম্পলের প্রসঙ্গে-

সমস্যা কি কি না বলে, আমি কিভাবে লিখতাম সে স্যম্পলের সাথে কমেনট্যারি-

FADE IN

INT. DHAKA MEDICAL COLLEGE – GYNE WARD – DAY

A large gloomy room. Rows of beds crowded with mothers (NEW দৃশ্যগতভাবে কিভাবে দেখানো হবে?) and their babies. (Each bed এর লাইন বাদ, কারণ আগেই crowded। রিডান্‌ডেন্ট)

JULEKHA, a uniformed nurse, enters the room. She wanders around, focuses on a bed on the far side (জুলেখার choice এর দৃশ্যায়ন কিভাবে হবে? জুলেখা distance থেকে দেখে, কিন্তু কি? যেটা দূরে আছে), nears and talks to a mother (mother কি একটি “চরিত্র”? না হলে বড় অক্ষরের প্রয়োজন নেই। “চরিত্র” হলে শুরু থেকেই তার “নাম” থাকবে)

She leaves a while later.

দ্বিতীয় স্যম্পলে যেমন, She greets- কিভাবে? এটি "সংলাপ" হিশেবে যাবে।
*

প্রচুর বাঙলা সিনেমার চিত্রনাট্যের কপি আপনি পাবেন ফিল্ম আর্কাইভে। শাহ্‌বাগ থেকে স্থানান্তরের কাজ চলছে আগারগাঁও এ নতুন ভবনে। উদ্বোধন হলে যেতে পারেন।

বাংলায় আগে (এখনও) “কাজ চালিয়ে নেয়া”র মত করে চিত্রনাট্য লেখা হতো(হয়), প্রোডাক্‌শান- “বাংলা স্টাইল” এ। যতদূর মনে পরে তারেক মাসুদের চিত্রনাট্য হলিউডি ফরম্যাটের ছিল, কিন্তু প্রোডাক্‌শান পদ্ধতি কি ছিল? জানি না।

ইদানীঙ অনেকে হলিউডি ফরম্যাট মানার চেষ্টা করেন। কারণ সে ফরম্যাট মানলে, পরে ফিজিকাল প্রোডাক্‌শানের কারিগরি প্রস্তুতি খুব দ্রুততার সাথে সুনর্দিষ্ট-দক্ষভাবে নেয়া যায়, সবকিছু সহজ(!) হয়ে আসে, শেষে প্রোডাক্‌শানের “মান” বাড়ে।

আর, বেহুদা জগাখিঁচুড়ি ব্যবহারিক ঝামেলা কমে আসলে, মূল “সিনেমা” নির্মাণেও বেশ মনোযোগ দেয়া যায়।
*

আপনি স্রেফ প্রাথমিক ফরম্যাটিঙ এবং ভাষার সামান্য দাবী মেনে বিন্দাস লিখুন! চলুক শেয়ার করবেন!

শুভকামনা। দেঁতো হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভালো কমেন্ট চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

শেহাব এর ছবি

আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি দেশের বাইরে থাকি। কাজেই একমাত্র উপায় হল কাউকে ভাড়া করা যে আমার হয়ে আর্কাইভ থেকে চিত্রনাট্যের কপি জোগাড় করবে। আমি দেখি মনোস্পেস ফন্টের ব্যাপারে কি করা যায়। ওটা আমার কাছে মনে হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি যেখানে আছেন, হাতের কাছে কোন টাইপফেইস ডিজাইনার কে পেলে তাকে বাংলা বর্ণমালার নমুনা দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে পারেন। আমার কমন সেন্স বলছে বাংলায় ফিক্সড্‌-পিচ্‌ করা সম্ভব না, বাট দ্যাট্‌স জাস্ট মি! একজন প্রফেশানাল ডিজাইনার ভাল বলতে পারবেন। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

শেহাব এর ছবি

কেন করা সম্ভব না?

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়েল, আবারও বলবো, স্রেফ কমন সেন্স থেকে বলছি-

স্বরবর্ণগুলোর বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন, যেমন- া, ি, ী, ে, ৌ, ৈ, ৌ
সংশোধক বর্ণ, যেমন- অনুঃস্বর, বিসর্গ, যফলা

এবং বিশেষভাবে, “যুক্তাক্ষর” গুলোর জন্য।
*

সিনেমা দেরীতে

শেহাব এর ছবি

মিত্র মনো ফন্ট খুঁজে পেয়েছি। দেখা যাক।

সবুজ এর ছবি

অনেক দিনবাদে সিনেমা দেরীতে আপনাকে সচলে দেখে ভাল লাগল।কত দিন হল লেখেন না বলেন তো?দেশী সিনেমা নিয়ে শুধু কেন, বিদেশি সিনেমা,তাদের নির্মাণ কৌশল,কারিগরি দিক,প্রস্তুতি ইত্যাদি নিয়ে তো লিখতে পারেন।আমি বা আমরা প্রচন্ড আগ্রহী।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা! সবুজ, আপনার এবং আপনাদের আগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ! হাসি

একেবারে লিখিনি তা নয়। “ভুবন মাঝি” সিনেমা নিয়ে মার্চ-এ লিখেছিলাম, কিন্তু (সম্ভবত) আপত্তিকর ভাষার ব্যবহারের জন্য সচলায়তনে প্রকাশিত হয়নি। শেষে আমার ফেইসবুক পেইজে সেটি প্রকাশ করি। এবং পরবর্তীতে সচলায়তনের মডারেটরদের আর অযথা বিরক্ত না করার ইচ্ছায় আমার ব্যক্তিগত ব্লগ খুলে সেখানেই দেশী সিনেমা নিয়ে লেখার সিদ্ধান্ত নিই- কারণ দেশী সিনেমা নিয়ে লেখার বেলায় দিনে দিনে আমার ভাষা প্রোভোকেটিভ থেকে প্রোভোকেটিভতর হয়ে উঠছে।

মূলত বিদেশী সিনেমা নিয়ে লেখার ইচ্ছা থেকেই লেখালেখি শুরু করলেও, প্রথম লেখাটির পরের ঘাত-প্রতিঘাতে, কোনওএকভাবে, দেশী সিনেমা নিয়ে লেখার একটি দায়িত্ব আমার উপরে চেপে বসে। বেশীরভাগ পাঠকই আশা করতে থাকেন আমি দেশী সিনেমা প্রসঙ্গে আমার আনকম্প্রমাইজিঙ সমালোচনার স্ট্যান্ড কন্‌টিনিউ করবো। ফলে, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার মধ্যকার সীমিত সময়টুকুতে আমি কেবল দেশী সিনেমা নিয়েই লিখতে থাকি। (যদিও সেটিও খুব নিয়মিত নয়)

বিদেশী সিনেমা নিয়ে লেখার আশা রাখি। কখনও লিখে ফেলবো কিছু। হাসি

এক একটি লেখার মাঝের দীর্ঘ বিরতিতে পাঠকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার আশায়, এবং আড্ডার জন্যেও, ফেইসবুক পেইজ খুলেছিলাম একটি- আপনার ফেইসবুক একাউন্ট থাকলে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে পরবর্তী লেখাগুলো পাবেন।

আবারও ধন্যবাদ!
*

সিনেমা দেরীতে

শেহাব এর ছবি

আমে সেল্টেক্স ব্যবহার করি ইংরেজীতে লেখার জন্য। বাংলায় লেখার জন্য এখনো গুগোল ডক ব্যবহার করি।

Safwath  এর ছবি

পশ্চিমবঙ্গে সত্যজিত, ঋতিক, ঋতুপর্ণ কিভাবে চিত্রনাট্য লিখতেন? তারা কি কোন নির্দিষ্ট ফরম্যাট ব্যবহার করতেন? শুনেছি সত্যজিত প্রচুর ছবি একে রাখতেন দৃশ্যগুলোর পরিকল্পনায়। আমাদের দেশের আলমগীর কবি, জহির রায়হান অথবা তারেক মাসুদরা এক্ষেত্রে কি ধরনের নিয়ম মেনে চলতেন, অথবা তাদের নিজস্ব ভঙ্গী ছিল কিনা এসব জানতে পারলে মনে হয় ভালো একটা ধারনা পাওয়া যাবে।

শেহাব এর ছবি

সত্যজিতের স্কেচবুক সংগ্রহ করেছি। অনেক বেশি অনানুষ্ঠানিক।

অতিথি লেখক এর ছবি

কয়েকদিন পর এই লেখাটা পড়লাম।
মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, দুটি জিনিস আছে। একটি গল্প (এখানেও আসলে সমস্যা ইংরেজির সাথে। এটাকে পান্ডুলিপি বা স্ক্রিপ্ট বলেই চালাই)। এটাতে শুধু লেখা থাকে সংলাপ এবং দৃশ্যটির একটি ধারণা মানে ইনডোর না আউটডোর, চরিত্র কয়টি, সকাল না বিকাল ইত্যাদি প্রাথমিক ইনফো। মূলত সংলাপই থাকে। আর একটি চিত্রনাট্য। চিত্রনাট্য লিখতে গেলে আসলেই চলচ্চিত্রের অনেকগুলো পরিভাষা জানা দরকার, শর্ট ডিভিশন, ক্যামেরা, লেন্স, এ্যাংগেল ইত্যাদি এবং সময়োপযোগী গিয়ার সম্পর্কেও সম্মক ধারণা থাকা দরকার (সম্ভবত এতসব ‘জানা’ দরকার বলে এদিকে কেউ আগায় না- এটা আমার ধারণা)। একটি সিনেমা বা ডকুমেন্টারি বা টিভি নাটক বা বিজ্ঞাপন বা যেকোন চলমান ছবির প্রজেক্টে চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনপ্লে গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডাস্ট্রি অনুযায়ী এটার ফরম্যাট আলাদা। আমাদের যেহেতু ইন্ডাস্ট্রি খুবই দরিদ্র এবং নকলপ্রবণ তাই কোন ফরম্যাট তৈরি হয়নি। আমার ধারণা, এটা চলে মঞ্চনাটকের স্ক্রিপ্ট থেকে ধার করে। আর পরিচালকদের শেখার উপর ভিত্তি করে। মানে পরিচালকরা ঠিক কত ভালো গুরুর কাছ থেকে শিখেছে তার উপর ভিত্তি করে। কারণ আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ পরিচালক আসলে কারো না কারো কাছে শিখে কাজ করতে আসে। প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা মানুষ এতই কম যে তাদের হাতে গুনতে হয়। যাইহোক, আমাদের এই কারিগরি দিকগুলো দাঁড়ায়নি এখনো। বা দাঁড়ালেও সেগুলো খুব দুর্বল। তবে একটা বিষয়, মৃণাল সেন বা সত্যজিত রায়ের চিত্রনাট্য যে হলিউড স্টান্ডার্ড সেটা কিন্তু বলা যাবে না। তবে আমি যে দু’একটা চিত্রনাট্য পড়েছি আমার মনে হয়েছে, সিনেমার চাইতে নাটকের থিউরিটাই তারা ব্যবহার করেছেন বেশি। আর বাকিটা নিজেদের অনুশীলন, পড়াশোনা আর নতুন কিছু করতে চাওয়া থেকেই এসেছে।
আমাদের বাংলা লেখার একটা কমন ফরম্যাট হচ্ছে বোল্ড করে দেওয়া অথবা ইতালিক করে দেওয়া। যেকোনকিছুই আপনি বোল্ড বা ইতালিক দিয়ে আলাদা বা বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করতে পারেন। অথবা আর একটা বিষয় বলা যায় যেটা পুরনো আমলের গবেষণা পত্রে দেকা যেত, বডি টেক্সট যত ফন্টের বিশেষ ভাবে চিহ্নিত অংশ তার চাইতে এক ফন্ট বড় বা ছোট করে নিতে পারেন। তাতে একটা থেকে আর একটা আলাদা করে বোঝা যাবে।
ফেড ইন বা ফেড আউট বা কাট টু কাট- দৃশ্য শুরু হতে পারে যেকোন ভাবেই। তবে যাতে দৃশ্যটি দেখতে ভালো লাগে বা হুট করে কিছু না হয় এ জন্যে শুরুতে ফেড ইন দেওয়া হয় আর দৃশ্য শেষে ফেড ইউট (সাধারণ সূত্র)। সাউন্ডের বেলাতেও তাই। আর দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে কিভাবে যাবেন সেটা যিনি চিত্রনাট্য লিখবেন তিনিই আসলে ঠিক করে নেবেন তার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে। অনেকগুলো বিষয় এখানে যোগ হতে পারে। যেমন, মন্তাজ আছে, কাট টু কাট আছে, অনেকগুলো সুন্দর ইফেক্ট আছে আরো অনেককিছু।
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় (ছবি দেখে এবং কিছু চিত্রনাট্য পড়ার সুবাদে- ইংরেজি, হিন্দীর বাংলা অনুবাদ এবং বাংলা- মৃণাল সেন, সত্যজিত), গল্পের গতি, ছন্দ, ছবি ধারণ করার কারিগরি বিষয় এবং সম্পাদনার কথা মাথায় রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়। শুনেছি, চিত্রনাট্য শেষ করে, পরিচালকের পছন্দ হলে বড় বড় প্রডাকশনে শর্টগুলোর স্কেচ করা হয় তারপর সেই অনুযায়ি কারিগরি দিকটি সাজানো হয় মানে কোন ক্যামেরা, কোন লেন্স, কোন গিয়ার ইত্যাদির রিকয়ারমেন্ট দেওয়া হয়।
বাংলা স্টাইলটা খুব মজার কিন্তু।
ধরুন- এভাবেও চিত্রনাট্য লেখা হয়।
দৃশ্য-১
আউটডোর/ গোধূলী
চরিত্র- তিনটি
রুবিনা, মতি আর একটি গরু
রুবিনা আর মতির বয়স যথাক্রমে ৮ এবং ১০। গোধূলী। একটি সরু আলজাতীয় রাস্তা দিয়ে প্রথমে মতি, মাঝে গরু শেষে রুবিনা। মতির হাতে গরুর দড়ি। লং শটে দূর থেকে দেখা যাবে মতি আর রুবিনা গরুটি নিয়ে হেঁটে হেঁটে আসছে। ক্যামেরা ক্রেনের উপর বসানো। টিল ডাউন। ক্যামেরা ডাউন করার সময় তিন জন ক্যামেরা পাস করে চলে যাবে। যাবার সময় রুবিনার কথা শোনা যাবে।
(কেউ কেউ আরো ডিটেইল করে। ক্যামেরা কত ডিগ্রী এ্যাংগেলে ঘুরবে বা টিল ডাউন করবে ইত্যাদিও এক সাথে রাখে)
রুবিনা: ভাই, গরুটারে খুব সুন্দর লাগতেছে।

‘নৃ’ সিনেমার চিত্রনাট্য দেখেছিলাম। সেখানে চিত্রনাট্যে পরিচালক এত ডিটেইল লিখেছিলেন যে আমার প্রথমে সন্দেহ হয়েছিলো এটা চিত্রনাট্য না ট্যাকনিক্যাল শিট! কিন্তু ইউনিটের সবাই সেটা বুঝতো। সেভাবেই শুটিং হয়েছিলো।

কয়েকটি পিডিএফ আছে বাংলা। পাঠিয়ে দেব।

অনার্য তাপস

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ভিন্ন বিষয় এবং ভিন্নমাত্রার আলোচনা, ভালোই লেগেছে। আমার নিজের চিত্রনাট্য বিষয়ে তেমন কোন ধারনা নেই, তবে আমার দু-একজন বন্ধু আছেন, যারা ঢাকার মিডিয়াগুলোর জন্য নাটক, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বানান। আপনি চাইলে তাদের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রায় তো ঘাবড়ে গেছিলাম। চিত্রনাট্য লেখা কি অতই কঠিন?
বাংলাদেশে কিন্তু বেশ চলনসই চিত্রনাট্যের ফর্মেট আছে। বেশ সোজা
এফডিসিতে যারা কাজ করে তারা একটা ইউনিফর্ম ফর্মেট মেনে চলে যা সকলেই বোঝে

বিজ্ঞাপনচিত্রের বেলাতেও তাই হয়

আর এলোপাথাড়ি চিত্রনাট্য (অথবা অন্য কোনো বস্তু) নিয়া কাজ করে টিভি নাটকওয়ালারা এবং ডকুমেন্টারিওয়ালারা
এর পয়লা কারণ এখানকার বেশিরভাগ লেখক/পরিচালক কোনো স্কুলিং থেকে আসা না
নিজে বুঝে নিজে করে ফেলে। টেকনিশিয়ানরা একটা মুখস্ত ফর্মেট সব কিছুর উপর চাপায়া দেয়
আর দ্বিতীয় বিষয় হইল টিভি আর ডকুতে এইটার লাইগা বাজেটই থাকে না। নাট্যকার তার মতো করে সংলাপগুলা দিয়া দেয়। আর পরিচালক স্পটে গিয়া সেইটা থেকে বানায়া ফেলায়

শেহাব এর ছবি

আমি শুনেছি এফডিসিতে এভি ফরম্যাট ব্যবহার করা হয়। সেটিতে মনে হয় দুই কলাম থাকে। সেটি চিত্রনাট্যের হলিউডি ফরম্যাট থেকে আলাদা। এটি মনে হয় একাধিক ক্যামেরা ব্যবহার করলে তখন লেখা হয়। আমি ঠিক নিশ্চিত নই কেন এটি হলিউডে ব্যবহার করা হয় না। বিজ্ঞাপন বা টিভি নাটকের ব্যাপারে আমার কোন ধারণা নেই।

মহঃ আব্দুল আলিম এর ছবি

আপনার দেওয়া তথ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে । আর আপনি যে চিত্রনাট্যের ফরম্যাটটি উদাহারণস্বরুপ উল্লেখ করেছেন সেটি হলিউডে ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বলিউডে ব্যবহার করা হয় । বাংলা সিনেমায় ডান দিকে উপরে স্লগ লাইন ও ডিসক্রিপশন লেখা হয় আর বামদিকে চরিত্রের নাম ও সংলাপ লেখা হয় । এই ফরম্যাট্যে অন্ততঃ আমি চিত্রনাট্য লিখে থাকি ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।