১।। সুন্দর চলে গেছে
সুন্দর চলে গেছে বৈরাগ্য ধ্যানে
পড়ে আছি মরা কুটিল বসতে!
টকের জ্বালায় ছিলাম অতিষ্ঠ
করি তেঁতুলতলায় বাস
হলো ভরা সর্বনাশ!
না টানে নিকটে আপনা স্বজন
না জিগায় সোদর ভাইয়ে
করি চণ্ডালে বিশ্বাস!
সুন্দর চলে গেছে পরের বাড়ি
জোস্নায় চাঁদ তাই সুখের আড়ি!!
শেখ জলিল ২৬.০৯.২০১৪
২।। নক্ষত্র চলে যায়
নক্ষত্র চলে যায় নক্ষত্রের কাছে
''ধান থুইয়া পাট বুনলাম
বাইষ্যা আইলে তিল বুনলাম
এবার বড় কুষ্টার আমদানি-
বাড়িত যাইয়া কমু আমি
ভাত রানছোনি সুন্দরী?
তোমার জন্য খাইটা মরি
নইলে কী আর এতই হয়রানি!''
[justify]''আলি, কুলি, বঙালি
পেটমোটা মারোয়ারি
নাক চ্যাপ্টা নেপালি
কার পরে আহিলি
হুন কালে ঘুচে যা
না হলে মরিবি।''
[justify]সাতচল্লিশে দেশভাগের ঠিক এক বছর পর সবার মুখ উজ্জ্বল করে এই ধরায় এসেছিল জহির। তার চাচা, মামাদের পরিবারের মধ্যে সেই ছিল বংশের প্রথম এবং সবার বড় সন্তান। যদিও জহিরের বাবা বিশা শেখ ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের ঘোরতর কর্মী কিন্তু নিজ ভিটেমাটির টানে তিনি থেকে গিয়েছিলেন এই আসাম রাজ্যে। দেশভাগের পর যখন মাওলানা ভাসানী চলে গেলেন পূর্ব পাকিস্তানে তখন তাঁর অনুসারী অনেকেই দেশত্যাগ করলেও জহিরের বাবা তাদের ক
আসাম রাজ্যের সর্বপশ্চিমের মহুকুমা সদর এই ধুবড়ি। ধুবড়ি এলাকার দক্ষিণ পাশ নদীবিধৌত সমতল এলাকা, উত্তর ও পূর্ব এলাকা পাহাড়ি অসমতল। দেশ বিভাগের পর জহিরদের বাড়ি বগড়িবাড়ি এলাকাটি পড়ে গোয়ালপাড়া জেলার ধুবড়ি মহুকুমা এবং বিলাসীপাড়া থানার অধীনে। পরে অবশ্য এই ধুবড়িকে জেলা ও বগড়িবাড়ির নিকটবর্তী 'মহামায়া'কে থানা ঘোষণা করা হয় এবং বগড়িবাড়িকে এর অধীন করে নেয়া হয়। বাঙালি মুসলমানদের জনপ্রিয় নেতা মওলানা ভাসানী ধুবড়ির
-এই জহির, এই জহির ওঠ্, এই সন্ধ্যাবেলায় এমন ডাইকা ঘুমাইতাছিস্ ক্যান?
তার বয়সী সব ক্লাসমেটরাই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেছে। অমল, দীপেন, কৃষ্ণা, মঙ সবাই যাচ্ছে ক্লাস করতে। একমাত্র সেই পারে নাই। কেন পারে নাই এর উত্তর নিয়ে সে ভাবছে আজ সারাদিন। যতই ভাবছে ততই তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে তার চিন্তার রেখা। সে ভাবনা বিস্তৃত হচ্ছে শৈশব, কৈশোর ছাপিয়ে সুদূর জন্মসূত্রে। একই প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল বা কলেজে যাদের সাথে লেখাপড়া করেছে সে তারা আজ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট, শুধু সে-ই না। অ
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গানটি সুরে বাঁধতে মঞ্চায়। আছেন কি কোনো গুণিজন?
হাওয়ায় উড়ছে দেখো মাছের বহর
পাখিরা করছে খেলা জলের ভেতর
খেয়ে আস্ত চাঁদ এক দামড়া বাছুর
রসনা সুখেতে আজ তুলছে ঢেকুর।।
বানরের গলেতে পরিয়ে মালা
অন্ধ সে হৃদয়টা করো উজালা
যদিবা চাড়ালে বাঁধে গানে মিঠে সুর
আমি কেন লড়বো সে সুরেতে অসুর।।
অমাবশ্যাতে যদি চন্দ্রগ্রহণ
পূর্ণিমা তারে কি করবে বারণ
প্রস্ফুটিত ফুলের মতোন কথারও বিভিন্ন রং আছে
কখনও গোলাপী, কখনও জবাকুসুম, কখনও হাসনাহেনা
নিখাদ ভালোবাসায় ফুটে থাকে ফুল হৃদয়ের আঙিনায়
ফুরফুরে মৌ সহসা খুলে দেয় মনের জানালা।
চুপিচুপি এসে যেদিন হঠাৎ বললে- ভালোবাসি তোমায়
বুকের বাগান ভরে গেলো সুবাসিত ফুলে ফুলে
সুনীল আকাশ মেলে দিলো উদার দিগন্ত
আরেকটি বিকেলের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলো
ধূপছায়া অহংকার আমার সময়।
অরণ্যে কমছে শ্বাপদ, বাড়ছে জনপদে
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে খুন, আছে হিংসা প্রতিপদে।
নিজেদের কেউ কখনও পড়লে বিপদে
তেড়ে আসে পশুরাও তার প্রতিরোধে
আসে না মানুষ শুধু বাঁচাতে স্বজাতে!
কাক কোনোদিন খায় না কাকের মাংশ
মানুষেরা মানুষের খায়
গ্রেনেড গুলি, বুকেতে ছুরি, শিরচ্ছেদে
কতো আদমের প্রাণ যায়!
দ্যাখো বিশ্ব চরাচরে মানুষে বিদ্বেষ
বাড়ছে নিষ্ঠুর নৃশংসতা
কাঁদছে নীরবে মানবতা একা ঘরে