অতলান্তিক/ শেখ জলিল
বুকের এ ভাঁজ খুলে কাকে দেখাবো এখানে প্রেম ছিলো, ভালোবাসা ছিলো-
আঁধারের শীর্ষ ছুঁয়ে সাগরের নীল জলে ডুবে গেছে পূর্ণিমা চাঁদ।
বিশীর্ণ এ পথ ধরে এক বুক জ্যোছনার হাসি কী করে দেখাবো আমি?
দিন কেটে রাত এলে দীঘল প্রান্তরে অমাবস্যার আঁধার দেখে
কী করে বুঝবে তুমি এখানে পূর্ণিমা ছিলো
প্রাণান্ত হাসির উত্তাল তরঙ্গ ছিলো!
কাল রাতে সাঁই সাঁই করে বয়ে গেছে প্রলুব্ধ বাতাস
বুকের তোরঙ্গ খুলে এক ঝাঁক পাখি
তারই সাথে মিলিয়ে নিয়েছে পাখার দাপট।
কাল রাত বাস্তবিক আমার নিজস্ব ছিলো-
আজ রাত শুধুই তোমার!
দিনভর রাতভর টুপটাপ ঝিরঝির
এইরূপ একটানা বর্ষণের শেষে যদিবা জানতে চাও
এই বুকে কতোটুক্ রক্তের প্রতিজ্ঞা ছিলো-
আমি দেখাবো সাগর আর নীল জলে ডুবন্ত পূর্ণিমা চাঁদ।
প্রকাশ: ২৩.০৯.১৯৮৯
মন্তব্য
ভালো লাগলো। এটা মনে হয় আগে পড়েছিলাম
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তাইতো ।
আচ্ছা, অতলান্তিক কি আটলান্টিক এর বাংলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
এই বাংলাটা কার করা?
----------------------------------------
সঙ্গ প্রিয় করি,সংঘে অবিশ্বাস
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এইরূপ একটানা বর্ষণের শেষে যদিবা জানতে চাও
এই বুকে কতোটুক্ রক্তের প্রতিজ্ঞা ছিলো-
আমি দেখাবো সাগর আর নীল জলে ডুবন্ত পূর্ণিমা চাঁদ।
এই উপমাটি ভালো লেগেছে , বিশেষত: "নীল জলে ডুবন্ত পূর্ণিমা চাঁদ" কথাটা।।
জীবন্ত কবিতা, যেন চোখের সামনেই ভেসে উঠলো দৃশ্যপট...
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন