অচিনে বসত নিয়া বান্ধো তুমি ঘর
আমারে আন্ধার দিয়া হলে স্বার্থপর!
কেমনে কাটাই দিন বুঝলে না তুমি
হৃদয় গহনে খরা শুষ্ক মরুভূমি।
না ছিলো যখন কেউ তোমার একার
ছিলাম বটের ছায়া আমিই দেখার।
এখন সবাই দেখে দেখি নাতো আমি
দু'চোখ বন্ধ কইরা দূরে থাকো তুমি।
আমার শত্রুরা হলো তোমার বান্ধব
হাসিয়া খেলিয়া কতো যে করে উৎসব!
এমনও গেছে যে দিন ঘরে উপবাস
তখন আমার ছিলে প্রেমে বসবাস!
জুটলো কপালে সুখ তুমি গেলে চলে
সুখের আশ্রয় ডোবে দুঃখের অতলে।
জানি না কী দোষ দাও এখন আমার
সোনার সংসার পোড়ে দু'চোখ আন্ধার।
যার তরে এতো করে সাজাই বাসর
সেই তো বসত ভাঙে, করে যায় পর!
১০.০১.২০০৮
মন্তব্য
দৈনন্দিন বাস্তবতা
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কবিতাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা লাইনই সুন্দর। এরকম কবিতা দেখলে দারুণ হিংসা হয় :@
কার উদ্দেশ্যে কবি, মনের মানুষ যে দূরে চলে গেছে? নাকি অন্য কেউ?
ক্যাটাগরিই বা 'মাটির ঘ্রাণ' কেন?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
ভালোই তো!
কবিতাটি ভালো লাগল। এর কাঠামোটা এমন যে প্রতি লাইনে (৬+২+৬)=১৪ মাত্রার শাসন বরাবর অক্ষুণ্ন থাকবে এমনটিই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরে তিনি কোথাও কোথাও প্রস্তাবিত শৃঙ্খলা শিথিল করে দিয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ছন্দের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্পিত না থেকে কবিতার দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করে শেখ জলিল, অধ্যাপক নন বরং কবিরই পরিচয় দিয়েছেন।
..................................................................................
অপরিপক্কতা সবসময় একরোখা হয়, আর পরিপক্কতা হচ্ছে সর্বগ্রাহী
সেলিম আল দীন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ওরে বাপ্স!
----------------------------------------
শমন,শেকল,ডানা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন