মাঘের সকাল। রোদের আলোর ভেতর রোদকে উপভোগ করতে না করতেই রোদের উত্তাপ লাগলো শরীরে। বসেছিলাম একাকী বারান্দায়। কখন হঠাৎ এসে বললে- কাল রাতেও ঘুমাওনি তুমি! সাতসকালে চায়ের টেবিলে না পেয়ে ভাবলাম- নিশ্চয়ই গাছের পরিচর্যায় ডুবে আছো। পড়ন্ত আয়ুটা শেষ করে দিচ্ছো গাছের মায়ায়?
কালকে রাতে ঘুমুতে গেলাম যখন গাছগুলো ডাকছিলো পাতা নেড়ে। শীতের হিমেল হাওয়া কিছুটা বিরক্ত করেছিলো তাদের। আমিও বিব্রত ছিলাম তোমার কথায়। মিছেমিছি অতীতকে টেনে এনে বাড়িয়েছিলে বিস্ময়। আমি কি অতীতের পূজারী? আমি কি দেখিনি গাছ? মেধা ও মননে ফোটেনি কি ফুল কোনোদিন? এই পথের চলায় বর্তমানের হতাশায় ডুবাবো ভবিষ্যত?
বারান্দার টবে এই যে গাছেরা কথা কয় রাতদিন- সতেজ নিঃশ্বাস জেগে ওঠে সবুজ পরশে। আমি প্রাণবায়ু পাই, বেঁচে উঠি যুগ যুগান্তরে। অথচ কী আশ্চর্য বিষয়! তোমার সান্নিধ্যে আমার বসত প্রায় পনের বছর। কতো প্রেম ভালোবাসা, মিছে খুনসুটি, রাগ অভিমান, ঝগড়াঝাটিতে কেটে গেলো সাংঘাতিক সময়! কালের আবর্তে যাচ্ছে ক্ষণ, বাড়ছে বয়স, শেষ হচ্ছে যৌবন বার্ধক্য নিয়ে! এটাকে সংসার বলবে না সং-ই সার?
বেঁচে থাকি জনাকীর্ণ জনপদে হাজার লোকের ভিড়ে। এক মুঠো আলো হাতে খুঁজি ভালোবাসার সত্ত্বাকে। তবু সংস্পর্শে থেকেও যেন কেউ নেই পাশে আত্মার বিশ্বাসে। বস্তুত এ সমাজ সংসারে মানুষ ফুরায় আয়ু, গাছেরা দেয় নিঃসঙ্গ প্রাণের সতেজ বায়ু।
২০.০১.২০০৮
মন্তব্য
জলিল ভাইয়ের ইদানিংকার লেখাগুলোয় হতাশা বেশী। নাকি আমার মনোযোগের অভাব?
নতুন বই আসবে এবার? উপন্যাসের খসড়াটাও শেষ করলেন না।।।।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সাধু!
আনোয়ার সাদাত শিমুল,
নতুন বই এবার আসছে না। আর গদ্য? সেতো কোনোদিনও শেষ করতে পারি না!
ফারুক হাসান,
উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।
ধূপছায়া,
বটে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
প্রিয় কবি
আপনার লেখাটি পড়ে সুমনের গানের লাইন মনে এলোঃ
বয়স আমার মুখের রেখায় শেখায় আজব ত্রিকোণমিতি
কমতে থাকা চুলের ফাঁকে মাঝবয়সের সংস্কৃতি
লেখাটার শেষটা বেশ সুন্দর - অভিনন্দন।
বিনীত
ss
তাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন