সেদিনগুলোতে অসুস্থ মনটা নিয়ে বেশ টানাহিঁচড়ে হচ্ছিলো। বস্তুত সেবার জন্য কোনো শুশ্রুষাকারীর খোঁজ মেলেনি তল্লাটে। পারিবারিকমন্ডলে যে ক'জন শুভাকাঙ্ী ছিলেন নিশ্চুপ তারা। স্বজনের কাছে কোনো অভিযোগই গুরুত্ব পায়নি আমার।
বিশ্বাসের সিঁড়িটা ডিঙাতে মিথ্যার আশ্রয়ে তুমি ছিলে একরোখা। সুযোগের সদ্ব্যবহারে তোমার কর্মপরিধি বাড়ছিলো তরতর করে। এই লোকালয়ে তুমি সুন্দরী ললনা অপরূপ রূপের বাহার। তোমার নিষ্পাপ মুখ ছিলো দেবীর তুলনা, সবার আরাধ্য। ফি রাত ফি দিন একই অভিযোগ কে শুনবে বারবার? অগত্যা পাগল বলে আখ্যায়িত হলাম জনতার আদালতে!
প্রায় এক যুগ কম হলেও এগারোটি বছর গেলো চলে। মানুষ অপেক্ষা করে নিদারুণ কালে ফল পায় হাতে। আমারও এলো সেরকম দিন- নিষ্ঠুরতার করালগ্রাস!
প্রমত্ত ঝড়ের দিনে পাখিরা ছাড়ে না বাসা অতিদূর। উন্মত্ত সিংহীও প্রসবিত ছানাদের পারে না মারতে। অথচ তুমিই পারলে তা নিজগুণে বিশ্বাসের অবিশ্বাসে। একদিন নির্দ্বিধায় অসুস্থ দেহটা টেনে নামালে ভাগাড়ে। আর আমি সৎকারে সচেষ্ট হলাম আগামী দিনে তাকে!
২৬.১২.২০০৭
মন্তব্য
বুঝার চেষ্টা করেছি।
====================
অবিরাম ছুটে চলায় হঠাৎ থমকে যাওয়া
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
নতুন মন্তব্য করুন