দুর্ঘটনা নাকি বলেকয়ে আসে না! আমার তো দেখি একসাথে লাইন বেঁধে আসে। চাকরি ছাড়ার যন্ত্রণা, বইমেলায় বই প্রকাশ করতে না পারা আরও কতো কী! এরপর প্রায় এক মাস যাবৎ আমার ঘরের পিসি ছিলো বিকল। বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করেই হার্ডডিস্ক বিগড়ে গেলো। ইদানিং লেখার খাতায় কলমে কোনোকিছুই লিখি না। ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলাম। এই বুঝি আমার সব হারিয়ে গেলো! শেষমেষ আমার বউয়ের এক ভাগ্নে হার্ডডিস্কের ডাটা উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। তারপরও সব ডাটা হয়তো উদ্ধার সম্ভব নয়। একেই বলে কপাল!
আমার সময় কাটে না- ব্লগিং বন্ধ। কারণ আমি কোনো সময়েই ক্যাফেতে গিয়ে ব্লগিং করিনি। তাই সিদ্ধান্ত দিলাম- কিছু গদ্য পড়বো এবার। পড়তে পড়তে উপন্যাস পড়ার একটা নেশা চেপে গেলো মাথায়। ভাবতে অবাক লাগে নতুন-পুরান মিলিয়ে এক ডজন উপন্যাস পড়ে ফেললাম এই এক মাসে-
১. নাজাই- বুদ্ধদেব গুহ
২. মহড়া- বুদ্ধদেব গুহ
৩. যাও পাখি- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪. পার্থিব- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫. হাডসনের বন্দুক- সৈয়দ শামসুল হক
৬. জলপদ্ম- হুমায়ূন আহমেদ
৭. আয়নাঘর- হুমায়ূন আহমেদ
৮. ভালোবাসার সুখ দুঃখ- ইমদাদুল হক মিলন
৯. অন্ধকারের গ্রহ- মুহম্মদ জাফর ইকবাল
১০. মি. ৪২০- সুমন্ত আসলাম
১১. খোদেজা- আলী মাহমেদ
১২. তাকে ডেকেছিলো ধূলিমাখা চাঁদ- আরিফ জেবতিক
১৩. গন্দম- অমিত আহমেদ
সচলদের লেখা উপন্যাস পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। বেশ কিছু সচলের বই প্রকাশ, আরেক সচল নামকরা ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ বেশ আনন্দ দিচ্ছে। আবারও বইমেলায় যাবো। এরপর কিনবো কিছু কবিতার বই। অনেক সচলদের বই সংগ্রহ এখনও বাকি আছে। সবকিছু ফেলে আমার তো শুধু বই-ই পড়তে ইচ্ছে করে। কিন্তু ফিরে আসি কবি মুজিব মেহদীর কথায়-আমি একজন আর পাঠযোগ্য কোটি বই এ জগতে...
২২.০২.২০০৮
মন্তব্য
আমার পুরানা কম্পুটারের হার্ডডিস্ক নিয়া মহাআতঙ্কে আছি। ওটা বিগড়ালে অনেক অম্লমধুর স্মৃতির ইলেকট্রন সমাধি ঘটবে। ব্যাকআপ নিবো ভাবি প্রতিদিন; কিন্তু সময় আর হয় না, বছরের পর বছর কেটে যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
....ভাবছি হার্ডডিস্ক পালটে ফেলবো।
তারপর কাকু কী খবর? বইমেলায় কোনো বই বেরোয়নি?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই, বেশ একটা কঠিণ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে আশা একটাই, দুঃসময়ের দিন আর দুর্ভাবনার রাতগুলি যত দীর্ঘই হোক না কেন, একদিন শেষ হয়।
ভালো থাকবেন।আর বেশি বেশি লিখবেন।
-----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
পুরোপুরি সহমত।
অনেকদিন পর দেখছি আপনাকে। ভাল আছেন? আপনার কোন বই বেরোয়নি এবারের বইমেলায়?
কি মাঝি? ডরাইলা?
না, এবারের বইমেলায় বই বের হয়নি। তবে ন্যাশনাল পাবলিকেশন এবং শিরীন পাবলিকেশনস-এর স্টলে পুরনো বই পাওয়া যেতে পারে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আগামীবার বই চাই।
নতুন মন্তব্য করুন